Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৬

in hive-129948 •  3 years ago 

Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৬


পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৫


হ্যালো বন্ধুরা,

শুভ দুপুর বন্ধুরা,

আশা করি সবাই বসন্ত উৎসবে দিনপাত করছেন । ইউক্রেনেও সবে বসন্ত উঁকি মারছে, কিন্তু এই বসন্ত ক্রন্দনভরা বিষাদমাখা বসন্ত । কিভের স্বপ্ন উপত্যকা আজ মৃত্যু উপত্যকা । না ফোটা ফুলগুলি আজ রক্তলাল তুষারাবৃত । শ্বেত শুভ্র তুষার আজ রক্তবর্ণ ধারণ করেছে । বুলেটের আঘাতে ভেঙে চুরমার হচ্ছে সবকিছু, স্বপ্নগুলির নিমেষে ধূলিস্যাৎ হওয়া, সাজানো সংসার নিমেষে নরকে পরিণত হওয়া এখন রোজকার ঘটনা ইউক্রেনে । সব চাইতে মর্মান্তিক হলো ইউক্রেনের সমস্ত হসপিটালগুলিতে অক্সিজিনের সরবরাহ আর মাত্র ২৪ ঘন্টার মতো আছে । এর পর কি হবে ?

উত্তর জানা নেই কারোও ! WHO উদ্বেগ প্রকাশ করেই কর্তব্য সমাধা করেছে, জাতিসংঘ, unisef, unesco সব সংস্থাই শুধুমাত্র গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেই ক্ষান্ত হয়েছে । কিন্তু, যার যায় সেই শুধু বোঝে স্বজন হারানোর তীব্র বেদনা । আর কারো পক্ষে অনুধাবন করা কার্যত অসম্ভব -

"কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে
কভু আশীবিষে দংশেনি যারে "

আসুন সবাই মিলে একটু প্রেয়ার করি সেই হতভাগ্য নিরপরাধ মানুষদের জন্য যাঁরা যুদ্ধ কি বোঝার মতোই অবস্থায় নেই । অক্সিজেনের নলের উপরে নির্ভর করছে তাঁদের আয়ু । আর মাত্র কয়েকটি ঘন্টা, তারপরে পৃথিবীতে আর শ্বাস নেওয়া তাঁদের হবে না । কবিগুরু ভাষায় তাই বলতে ইচ্ছে করে আজ -

"আমি-যে দেখেছি গোপন হিংসা কপট রাত্রিছায়ে
হেনেছে নিঃসহায়ে,
আমি-যে দেখেছি প্রতিকারহীন শক্তের অপরাধে
বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে ।
কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে, বাঁশি সংগীতহারা,
অমাবস্যার কারা
লুপ্ত করেছে আমার ভুবন দুঃস্বপনের তলে,
তাই তো তোমায় শুধাই অশ্রুজলে--
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো ।"
---রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এবার আজকের মিউজিয়াম পর্ব ।

"প্রাচীন ভারতের এন্টিক দ্রব্যসামগ্রীর প্রদর্শনী" পর্বের আজকে চতুর্দশতম পর্ব । এ পর্যন্ত মোট তেরোটি পর্বে আমি কাঠ, ধাতু ও হাতির দাঁতের তৈরী অনেক antique দ্রব্যের ফোটোগ্রাফ শেয়ার করেছি । আশা করি খুব একটা খারাপ লাগেনি আপনাদের কাছে ।

আমাদের আজকের এপিসোডে যে সব antique বস্তুর ফোটোগ্রাফি থাকছে সেগুলো হলো :

১. মধ্যযুগের জমিদারশ্রেণীর অভিজাত লোকেদের বাড়ির পিছনের দরজা
২. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী একটি প্রাচীন শো পিস্ - মিনিয়েচার মন্দির মডেল
৩. কালো পাথরের তৈরী একটি সুপ্রাচীন সুরাদান
৪. রৌপ্য নির্মিত মৎস্যাকৃতির অসাধারণ কারুকার্যময় এক জোড়া মহিলাদের জুতা ও মল
৫. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী অনেকগুলি শিল্পবস্তু - হাতির পিঠে মাহুত, হাওদা হাতি, যুদ্ধরত দুটি হাতি এবং চিঠির বাক্স
৬. সম্পূর্ণ রৌপ্য নির্মিত কারুকার্যময় একটি সুরাপাত্র
৭. একটি শিকারে ব্যবহৃত অসাধারণ কারুকার্যময় শিকারের ঢাল

তো বন্ধুরা চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে ! আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না আজকের আয়োজন আপনাদের কাছে ।


মধ্যযুগের জমিদারশ্রেণীর অভিজাত লোকেদের বাড়ির পিছনের দরজা । একে বলা হতো খিড়কি দুয়ার । অসাধারন সব সুক্ষ কারুকার্যময় এই খিড়কি দরজা ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী একটি প্রাচীন শো পিস্ । এটি একটি প্রস্ফুটিত পদ্মের উপরে একটি মন্দিরের মিনিয়েচার মডেল । অসাধারণ দেখতে এটি তাই না ?
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


কালো পাথরের তৈরী একটি সুপ্রাচীন সুরাদান । এই পাত্রে সুরা মানে মদ রাখা হতো এবং এই পাত্রেই পরিবেশন করা হতো । অতিথিরা এই পাত্র থেকে সুরা গ্লাসে ঢেলে পান করতেন । বিশেষ একধরণের সুক্ষ ছিদ্র যুক্ত পাথরে তৈরী এই সুরাদান । এই সুক্ষ ছিদ্র দিয়ে বায়ু চলাচল করতে পারতো, ফলে এর মধ্যস্থ সুরা গরমকালেও ঠান্ডা থাকতো ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এটি কি বলতে পারবেন ? জানি পারবেন না । এটি হলো সুপ্রাচীন মেয়েদের জুতা । রৌপ্য নির্মিত মৎস্যাকৃতির অসাধারণ কারুকার্যময় এক জোড়া মহিলাদের জুতা ।সাথে রয়েছে পায়ে পরার এক জোড়া মল ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী অনেকগুলি শিল্পবস্তু । সবার উপরের তাকে রয়েছে সুসজ্জিত হাতির পিঠে মাহুত, হাতে অঙ্কুশ । মধ্যের তাকের বাঁদিকের তাকে রয়েছে হাওদা হাতি এবং হাওদায় আসীন রাজা । এরপরের তাকে রয়েছে যুদ্ধংদেহি দুই দাঁতাল হাতি । এরপরের তাকে রয়েছে আরো একটি হাতির হাওদা, এই ধরণের হাওদা শোভাযাত্রার সময় রাজা গজারা ব্যবহার করতেন । একেবারে নিচের তাকে রয়েছে দুটি চিঠিপত্র ও দলিল দস্তাবেজ রাখার জন্য হাতির দাঁতের তৈরী দুটি বাক্স ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


সম্পূর্ণ রৌপ্য নির্মিত একটি সুরাপাত্র । রাজা মহারাজাদের ব্যবহৃত সুরাপাত্র এটি । সুরাপাত্রটির গায়ে রয়েছে অসাধারণ সব কারুকাজ । অসংখ্য ফুল লতা পাতার ডিজাইনের পাশাপাশি রয়েছে অনেকগুলি রাজাদের শিকার দৃশ্য । সবগুলিই রুপার তৈরী ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এটি একটি শিকারে ব্যবহৃত শিকারের ঢাল । ঢালটির গায়ের অপরূপ কারুকার্য দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায় । গোটা শিল্ডটা জুড়েই রয়েছে অজস্র শিকার দৃশ্য । ধাতু খোদাই করে নির্মাণ করা হয়েছে এসব অসাধারণ শিকার দৃশ্যাবলী ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা খিরকি দরজা দিয়ে পালিয়ে যাবার কথা অনেক শুনেছি, আজ প্রথম দেখলাম। যুদ্ধের ব্যয় মেটাতে পৃথিবীর যাবতীয় দেশগুলো যে পরিমাণ অর্থ সম্পদ ব্যয় করে এগুলো যদি বিজ্ঞান গবেষণা আর মানব কল্যাণে লাগানো যেত তাহলে না জানি কি বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হতো প্রযুক্তি জগতে। কিন্তু কে শুনে কার কথা। কর্তৃত্ব আর ক্ষমতার লড়াইয়ে দুর্বল শ্রেণী চিরকালই নির্যাতিত হয়ে আসছে। যুদ্ধের প্রথম বলির শিকার হয় নারী-শিশু বৃদ্ধসহ নিরপরাধ মানুষ গুলো। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা রইলো তিনি যেন সকলের উপর শান্তি বর্ষণ করেন।

দাদা আপনার এই জাদুঘর ভ্রমণ এর পোস্ট গুলা প্রত্যেকদিন পড়ার মাধ্যমে অনেক অজানা জিনিস জানা হয়ে যায়। আজকেও তার ব্যতিক্রম কিছু হল না। আজকে আমি প্রথম মধ্যযুগের জমিদার বাড়ির পিছনের দরজা টি দেখতে পেলাম আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে,হাতির দাঁতের তৈরী একটি প্রাচীন শো পিস্,রৌপ্য নির্মিত কারুকার্যময় একটি সুরাপাত্র সহ আরো অনেক কিছু দেখতে পেলাম আপনার এই পোস্টটির মাধ্যমে। আজকে অনেক অজানা জিনিস জানতে পারলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা প্রতিনিয়ত এমন সুন্দর সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেবার জন্য।

ইউক্রেনের মানুষদের জন্য সত্যিই খারাপ লাগছে, এমনিতেই সারাবিশ্বে মহামারীর কারণে ভয় ভীতি রয়েছে তার উপর এরকম একটি দুঃসংবাদ কখনোই কাম্য ছিল না।

আপনার মিউজিয়াম ভ্রমণের পোষ্টের অপেক্ষায় থাকি। নতুন কিছু অ্যান্টিক পিস এবং ভাস্কর্য দেখার জন্য , যদিও সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য হবে কিনা জানিনা, তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে কিছুটা হলেও সাধ মিটাতে পারছি।

@tipu curate 6

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



দাদা আপনার প্রতিটি Indian Museum পর্ব সত্যি অসাধারন। আর আপনি সব কিছুকে অসাধারন ভাবে তুলে ধরেন আমাদের মাঝে,তাই আপনাকে যানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।কেনো না আমি বারবার বলেছি , আমি আপনার মাধ্যমেই Indian Museum কে দেখছি আর তার সমস্ত কিছু সম্পর্কে জানতে পারছি বলে।আপনার Indian Museum পর্বের আমার এই লাইন দুটি বেশ মন কেড়েছে-

"কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে
কভু আশীবিষে দংশেনি যারে "

শুভকামনা রইল দাদা আপনার জন্য

she is amezing

দাদা, আপনার লেখাগুলো পড়ে বুকের ভেতরটা কেমন যেন হু হু করে উঠলো। মনে হচ্ছে হৃদয়টা বুঝি ভেঙে চুরে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। কষ্টের এই অনুভূতিকে প্রকাশ করার মত নয়। ইউক্রেনের সমস্ত হাসপাতালগুলোর অক্সিজেনের সরবরাহ আর মাত্র ২৪ ঘন্টা এটা ভাবতেই শরীরে যেন শিহরন দিয়ে উঠছে। কি হবে দাদা এরপরে। আমাদের শুধু দুই হাত তুলে উপরওয়ালার কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর বা কি করার আছে। তাই এখন মন প্রাণ দিয়ে উপরওয়ালার কাছে প্রার্থনা করছি ইউক্রেনের মানুষগুলো যেন সুস্থ ও সুন্দর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পারে। যাইহোক দাদা, আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর মাধ্যমে আমাদেরকে সুপ্রাচীন তৈরি দ্রব্য সামগ্রী গুলোকে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য। আমাদের সৌভাগ্য, আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে, আমাদের দাদার মাধ্যমে, ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর সুপ্রাচীনকালের তৈরি দ্রব্যসামগ্রী গুলোকে দেখতে পারছি এবং এর বর্ণনা গুলো ভালোভাবে জানতে পারছি। এজন্য আপনাকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি দাদা। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করি সব সময়।

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Please consider to approve our witness 👇

Come and visit Italy Community

মন থেকে ইউক্রেনের মানুষের জন্য দোয়া সারাক্ষণ করছি দাদা 🙏
উপর ওয়ালা যেন তাদের হেফাজত করেন 🥺
হাতির দাঁতের তৈরি যেকোন জিনিস কেমন যেন আমার ভীষণ ভালো লাগে ♥️
আজকের শিল্পগুলো অসাধারণ সুন্দর ছিল 🥀

আপনার জন্য দোয়া করি ✨
ভালো থাকুন সবসময় 💌

বুলেটের আঘাতে ভেঙে চুরমার হচ্ছে সবকিছু, স্বপ্নগুলির নিমেষে ধূলিস্যাৎ হওয়া, সাজানো সংসার নিমেষে নরকে পরিণত হওয়া এখন রোজকার ঘটনা ইউক্রেনে । সব চাইতে মর্মান্তিক হলো ইউক্রেনের সমস্ত হসপিটালগুলিতে অক্সিজিনের সরবরাহ আর মাত্র ২৪ ঘন্টার মতো আছে । এর পর কি হবে ?

সত্যি কি বলবো, কি লিখবো? ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এই রকম একটা পরিস্থিতিতে বিশ্ব বিবেক আজ নিজেদের স্বার্থ নিয়ে খেলা করছে এবং নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে ব্যস্ত রয়েছে।

এটি একটি শিকারে ব্যবহৃত শিকারের ঢাল । ঢালটির গায়ের অপরূপ কারুকার্য দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায় । গোটা শিল্ডটা জুড়েই রয়েছে অজস্র শিকার দৃশ্য

সত্যি অসাধারণ কারু কাজ বেশ দারুণ লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ

দাদা সর্বপ্রথম যে কথাগুলো লিখলেন এগুলো পড়ে মনটা যেন বিষন্ন হয়ে গেল ।আমরা সব সময় চাই সবাই ভালো থাকুক। আর এটাই চাই যারা এই অমানবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তারা যেন ভালো থাকতে পারে এই প্রার্থনা করি। তবে নীচের দিকের যেই ছবিগুলো আপনি আজকে শেয়ার করেছেন সেগুলো দেখে ভালো লাগতেছে দাদা ।আসলে বিশেষ কিছু জিনিস গুলো দেখলে আমরা চিনতাম না, সেগুলো সম্পর্কে আপনি সম্পূর্ণ ধারণা দিয়েছেন ।যার কারণে খুবই ভালো লাগে এগুলো দেখতে এবং এগুলো কি জিনিস তা জানতে।

সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী একটি প্রাচীন শো পিস্ । এটি একটি প্রস্ফুটিত পদ্মের উপরে একটি মন্দিরের মিনিয়েচার মডেল । অসাধারণ দেখতে এটি তাই না ?

সত্যি দাদা এটি দেখতে অসাধারণ। খুবই সুন্দর লাগছে। আসলেই হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি করা প্রাচীন এই শো পিস্ আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি করা এই সুন্দর শো পিস্ আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন।আসলে আজকের হাতির দাঁত তৈরি করা এই সৌন্দর্যময় শো পিস দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

মিউজিয়ামের ছবি গুলো বরাবরের মতই সুন্দর । তবে ইউক্রেনের সম্পর্কে যে তথ্যগুলো দিলেন, তা খুব হৃদয়স্পর্শী , খারাপ লাগছে ভেবে । ঈশ্বর সবার সহায় হোক এই কামনাই করি ।

রাজা মহারাজাদের ব্যবহ্নত সুরাপাএটি চোখ লাগার মত ছিলো এর ভিতরে বেশ কারূকাজ করা সব মিলিয়ে দেখতে অপরূপ লাগছিলো।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা আমাদেরকে অনেক অনেক গুরূত্বপূর্ণ তথ্য উপহার দেয়ার জন্য। বিশেষ করে রাজাদের আমলে ব্যবহ্নত জিনিসপত্রাদী ব্যবহার সম্পর্কে তাঁর সচিএ্য প্রতিবেদন তুলে ধরার জন্য।

দেখতে দেখতে ৪৬ পর্বে হাজির হলাম।বাদও গেলো কয়েকটি। তারপরও দেখার আনন্দে সাথে আছি।

সব চাইতে মর্মান্তিক হলো ইউক্রেনের সমস্ত হসপিটালগুলিতে অক্সিজিনের সরবরাহ আর মাত্র ২৪ ঘন্টার মতো আছে ।

ইউক্রেনের যুদ্ধে যেসব নিরীহ মানুষ বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে তাদের জন্য সব সময় প্রার্থনা করি দাদা। হসপিটালের সেই মুমূর্ষু রোগীরা যেনো নিজের প্রাণ ফিরে পায় এই প্রত্যাশা করি সবসময়। দাদা আপনি আজকে ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের ভেতরের যে ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করেছেন সেগুলো আমার কাছে ভালো লেগেছে। রৌপ্য নির্মিত মৎস্যাকৃতির জুতাগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। খুবই নিখুঁতভাবে কারুকার্য করা। এছাড়াও অন্যান্য যে দ্রব্যগুলোর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন সেগুলো অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ দাদা প্রাচীন যুগের বিভিন্ন নিদর্শনের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

এটা একদম ঠিক যে যার যায় সে ই বুঝে,আর কেও দূরে বসে কোনোদিন ও বুঝবেনা।আমরাও কি আর করতে পারি?শুধুমাত্র দোয়া করতে পারি।

শিকারের ঢালটির কারুকার্য গুলো যা অসাধারণ লাগছে।

In 1971 during our Liberation War we also had to face this kind of situation. More that 20 millions Bangalees had to cross the border and took shelter in different area of Inia but while we crossed the Border we didn't have to have passport. IBGs never asked for the passport. Our people took shelter in different Refugee camp and our people came back after December 1971 when we defeated the Pak Army and got our independence. We can feel what a pathetic scenario it was. God bless the Ukrainian people.

সত্যিই যুদ্ধ মানেই একটা আতঙ্কের সৃষ্টি রক্তের বন্যা।এটি শুনলেই গা শিউরে ওঠে।প্রে করি যেন সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়।আজকের ছবিগুলো ও অসাধারণ দাদা।মেয়েদের জুতাটি খুবই সুন্দর, কিন্তু কি করে পরে হাটতো সেটিই আমার অবাক লাগে।ধন্যবাদ দাদা,ভালো থাকবেন।

Girls Whatsapp Numbers

এটি কি বলতে পারবেন ? জানি পারবেন না । এটি হলো সুপ্রাচীন মেয়েদের জুতা । রৌপ্য নির্মিত মৎস্যাকৃতির অসাধারণ কারুকার্যময় এক জোড়া মহিলাদের জুতা ।সাথে রয়েছে পায়ে পরার এক জোড়া মল ।

রুপোর নির্মিত মহিলাদের জুতা আসলেই একটু অন্যরকম ছিল। আর দেখিয়েও মনে হয়নি যে এটি রুপোর তৈরি।

Excellent publication.

ইউক্রেনের খবরগুলো টিভিতে দেখার সাথে সাথে বুকের ভেতরে যেন কেঁপে ওঠে দাদা। ভেবে অবাক হয়ে যাই, আজ সভ্যতার দ্বারপ্রান্তে এবং আধুনিকতার শীর্ষে পৌঁছেও আমাদের মাঝে মনুষ্যত্বের লেশমাত্র নেই। বড় বড় সব শক্তিধর দেশ মুখের বুলি উড়িয়েই শান্ত থাকছে। রাশিয়ার একতরফা এই আগ্রাসন একদমই মেনে নেয়ার মত না। ভগবান যেন উপযুক্ত বিচার করেন।

দাদা আজকের পর্বে মেয়েদের বিশেষ যে জুতা দেখলাম সেটা খুবই অবাক করে দিয়েছে আমাকে। এমন ধারার জুতা পায়ে হাঁটত কিভাবে সেই সময়কার মেয়েরা! ভাবতেই অন্য রকম একটা অনুভূতি হচ্ছে।

যুদ্ধ কোন সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আমরা সকলেই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যেন এই যুদ্ধ খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় এবং ইউক্রেনের মানুষগুলো রাশিয়ার সৈনিকদের কাছ থেকে রক্ষা পায়।।
এই পর্বে বিশেষ করে হাতির দাঁতের তৈরি জিনিস গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। প্রাচীনকাল থেকেই হাতির দাঁতের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সত্যি দাদা এইসব যদি আপনি শেয়ার না করতেন তাহলে হয়তো এসব দেখতে পেতাম না, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

WHO উদ্বেগ প্রকাশ করেই কর্তব্য সমাধা করেছে, জাতিসংঘ, unisef, unesco সব সংস্থাই শুধুমাত্র গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেই ক্ষান্ত হয়েছে । কিন্তু, যার যায় সেই শুধু বোঝে স্বজন হারানোর তীব্র বেদনা

ডিপ্লি কন্সার্ন ছাড়া আর কোন একশন দেখিনা কোন ক্ষেত্রে। এরা ডিপ্লোমেটিক কথা বলে, যে কোন ইস্যুতে তারা কেবল ঐ ডিপলি কন্সার্ন পর্যন্তই।

কি হবে এই পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা জানেন। যুদ্ধ মনে করেছিলাম থেমে যাবে, এখন মনে হচ্ছে থামবে না, কেবল চলবেই। সুন্দর একটা পরিবার, সম্পর্ক, জীবন সপ্তাহেই নরকে পরিনত হয়েছে অনেকের কাছে সেখানে। কি তাদের অপরাধ!!

এবারের পর্বে জুতাগুলো খুব ভাল লেগেছে। প্রথমে সত্যিই বুঝতে পারিনি কি এটা, ভাগ্যিস ক্যাপশন ছিল। ধন্যবাদ

দাদা ইউক্রেনের কথা ভাবলে সত্যি ভালো থাকতে পারিনা। খুব খারাপ লাগে এই অসহায় মানুষ গুলোর দিকে তাকালে। সারা বিশ্ব যখন বসন্ত আনন্দে মেতে উঠেছে তখন ইউক্রেনবাসী ঘর ছাড়া হয়েছে , রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। সারা পৃথিবীতে যখন ফুলের খেলায় মেতে উঠেছে তখন ইউক্রেনে রক্তের খেলা চলছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা টি দারুন হয়েছে। মধ্যযুগের জমিদার শ্রেণীর মানুষদের বাড়ির দরজা হাতের বিভিন্ন কারুকার্যখচিত জিনিসপত্র সুন্দর হয়েছে আমি মুগ্ধ হয়ে এগুলো দেখি ।আমার খুব ভালো লাগে। আপনি বারবার অবাক হয়ে যাই কলকাতা মিউজিয়াম এ কত সমৃদ্ধ কলকাতা মিউজিয়াম এর তুলনায় ঢাকার জাতীয় জাদুঘর 10% ও সমৃদ্ধ না। আপনি এইভাবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যদি কলকাতা মিউজিয়াম এর সংগ্রহ গুলো আমাদের না দেখতেন তাহলে আমরা জানতে পারতাম না।এই জন্য আপনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

হাতের তৈরি শিল্প বস্তুগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। শিলং কালো পাথরের তৈরি একটি প্রাচীন সুরাদান এটিও আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর হয়েছে দাদা। আপনি ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম সংক্রান্ত তথ্য আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার মাধ্যমে আমরা ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। আপনার আগামীর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল দাদা।

দাদা দোয়া করি এই পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসুক।পৃথিবীটা হোক সবার নিরাপদ আশ্রয়স্হল।দাদা আপনার antique বস্তুর ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে।

দাদা ভ্রমণ পর্বের ৪৬ যা কিছু দেখেছি সবকিছুই যেন কল্পনায় ভাসছে। কিন্তু আপনার লেখা রবীন্দ্রনাথের কথাগুলো হৃদয় ভেদ করার মত। আপনি ঠিকই বলেছেন যার ধ্বংস হয়নি, যার ক্ষতি হয়নি, সেই বা কি বুঝবে ধ্বংসের মর্ম। প্রত্যেকটা লাইনের অর্থ অনেক কঠিন, হয়তো সবকিছু বুঝি না তবুও কথাগুলো চির বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। যেখানে আমরা বসন্ত উদযাপন নিয়ে আনন্দমুখর সময় পার করছি, আর আজকের এই দিনে ইউক্রেনে রক্তের লেলিহান শিখার মত স্রোত বইছে। ইউক্রেনের জাগ্রত ফুল গুলি আজ রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে সত্যিই হৃদয়ে বিষাদের ছোঁয়া দিচ্ছে। দাদা আপনার এই কথাগুলো যদিও ব্যাখ্যা করতে পারছিনা, কিন্তু চির বাস্তব, তাই এই দুটো লাইন আমি নিয়ে নিলাম।

"কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে
কভু আশীবিষে দংশেনি যারে "

আর আজকের এপিসোড আমাদের জন্য উপহার হিসেবে দিয়েছেন দারুন দারুন বৈচিত্র্যময় উপহার হাতির দাঁত এবং বিভিন্ন ধরনের কারুকাজের দ্রব্যসামগ্রী। আর আমাদের সাথে এত সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা অবিরাম দাদা।

যার যায় সেই শুধু বোঝে স্বজন হারানোর তীব্র বেদনা । আর কারো পক্ষে অনুধাবন করা কার্যত অসম্ভব -

ইউক্রেনের যুদ্ধের ভয়াবহতার কথা মনে হলে হৃদয় কেঁদে ওঠে। আসলে কত মানুষ তাদের প্রিয়জনদের হারিয়ে ফেলছে। প্রিয়জন হারানোর বেদনা শুধু তারাই বোঝে যাদের হারিয়েছে। এইসব মানুষগুলো যেন খুব শীঘ্রই এই খারাপ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে এবং সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পায় এই কামনা করি দাদা। তবে যাই হোক আজকে আপনি যে ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করেছেন সেগুলো খুবই ভালো লেগেছে আমার। রৌপ্য নির্মিত একটি সুরাপাত্র দেখে অনেক ভালো লাগলো। এই সুরাপাত্রটিন গায়ে অসংখ্য কারুকাজ করা। খুবই নিখুঁতভাবে এই কারুকার্য গুলো করা হয়েছে। দাদা আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দারুন সব ফটোগ্রাফি সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য এবং আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য দাদা।

আজ ইউক্রেনে ফুলে ভরা বসন্ত উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল কিন্তু রাশিয়া আক্রমণের কারণে তাদের বসন্তের প্রত্যেক রক্তে লালে রঞ্জিত হয়েছে। যেটা খুবই কষ্টদায়ক খবর এবারের বসন্ত বেদনাদায়ক একটি বছর। ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর কিছু শিল্প সংস্কৃতির ঐতিহ্যের দৃশ্য দেখে ভালই লাগলো ।পরবর্তী পর্বের জন্য আশায় রইলাম দাদা।

কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে
কভু আশীবিষে দংশেনি যারে "

প্রতিদিন নিরীহ অনেক মানুষ বুলেটের আঘাতে নিহত হচ্ছে । খুবই উদ্বেগের বিষয় সেইসাথে অক্সিজেনের পরিমাণ সেখানে কোন দিয়েছে দ্রুত সংকট যেন লেগে যাবে এরকমই আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে । আশা করি সংকট খুব শীঘ্রই দ্রুত কেটে উঠবে ইউক্রেন ।

যাই হোক আজকের পর্বটি বেশ উপভোগ করলাম দাদা বেশকিছু নতুন ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম ।

সম্পূর্ণ রৌপ্য নির্মিত একটি সুরাপাত্র । রাজা মহারাজাদের ব্যবহৃত সুরাপাত্র এটি ।

কারুকার্য খচিত এরূপ নির্মিত সুরাপাত্রটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দর ছিল ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ।

ইউক্রেনের মানুষের জন্য সত্যি খুবই খারাপ লাগছে। দূর থেকে বসে তাদের জন্য প্রার্থনা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। দোয়া করি তাদের দুর্দশা যেন খুব তাড়াতাড়ি কেটে যায়।

দাদা আজকের পর্বের ভারতীয় প্রাচীন অ্যান্টিক সব দ্রব্যসামগ্রীর প্রদর্শনী খুবই সুন্দর ছিল। প্রত্যেকটি বস্তুর শিল্পকর্ম এবং কারুকাজ দেখতে খুবই মন মুগ্ধকর। বিশেষ করে সুপ্রাচীন মেয়েদের পায়ের জুতা গুলা দেখে আমি অবাক। এছাড়া রৌপ্য নির্মিত সুরাপাত্র টিও আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।