ছোটবেলায় আমড়া নিয়ে মজার ঘটনা

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)


Copyright Free Image Source: Pixabay


অনেক দিন আগের কথা । তখন আমি একদমই ছোট্ট । খুব সম্ভবত তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি তখন । আমাদের গ্রামে হাটখোলা নামে একটা জায়গা ছিল । হাটখোলায় সপ্তাহে দুই দিন হাট বসতো । এত দিন পরে মনে নেই কবে কবে ছিলো হাটবার । তবে, বৃহস্পতিবার একদিন বসতোই । কারণ, ঘটনাটি বৃহস্পতিবারই ঘটেছিলো ।

তো, শুরু করি মূল ঘটনা । একদিন বৃহস্পতিবার বিকেলবেলা হাটে গিয়েছি বাবার সাথে । হাটখোলার হাট বসতো একেবারে নদীর কিনারে । হাটখোলার পাশ দিয়ে এঁকে বেঁকে ছোট্ট একটা নদী বয়ে গিয়েছে । নদীর এই পাশটা যেখানে হাট বসতো সেখানে গাছপালা শূন্য একটি মাঠের মতো ছিল । এটাই হাটখোলার মাঠ । এই মাঠেই সপ্তাহে দুই দিন হাট বসতো ।

আমার মনে আছে সেদিন দুপুরের পর থেকে বেশ কয়েক পশলা বৃষ্টি পড়েছিল । রাস্তা ঘাট কর্দমাক্ত, পিচ্ছিল । কারণ শ্রাবণ মাস চলছিল তখন । বাবা নেবেই না আমাকে হাটে । বর্ষার দিনে বাচ্চা কাচ্ছা সামলিয়ে বাজার করে আসা বেজায় কঠিন কাজ । তবুও আমি যাবোই যাব । শেষমেশ আমার জেদের কাছে নতি স্বীকার করে বাবা আমাকে নিয়ে হাটে গেলো ।

হাটে গিয়েই শুরু হয়ে গেলো আমার খাই খাই । কারণ, এই কাজেই তো হাটে আসা আমার । আসল কাজ তো এটাই । বাবা যথেষ্ঠ বিব্রত হয়ে পড়লো । বাজার করবে না খাওয়াবে আমাকে ? রাগে গজ গজ করতে করতে ছোলা-বুট মাখা, বরফ (আইসক্রিম নয় ), গজা এসব কিছু কিছু কিনে দিচ্ছে আর আমি মুহূর্তের মধ্যে খেয়ে ফেলছি । আর পাত খালি হলেই আবার আবদার শুরু করছি ।

বাবা রেগে মেগে অস্থির । বাট, ওসব আমি থোড়াই কেয়ার করি । হাটে এমনিতেই আসতে পারি না । মাসে ১-২ দিন আসতে পারি । তাই, মুখ চালাচ্ছি কোনোদিকে কর্ণপাত না করে । যেটা দেখছি সেটাই খেতে চাচ্ছি । আর বাবা রেগে গেলেও কিনে দিতে বাধ্য হচ্ছে শেষমেশ ।

এভাবে খাওয়া আর বাজার করা চলছেই । এর মধ্যে দেখলাম সেই খাদ্যবস্তুটা । যার প্রতি একটা দুর্নিবার আকর্ষণ ছিল ছোটবেলায় । কাঁচা আমড়া মাখা । ঝাল, নুন, কাসুন্দি আর মশলা দিয়ে মাখা কাঁচা আমড়া । দেখলেই জিভে জল চলে আসে । তো, দেখেই মাটিতে খুঁটি গাড়লাম । আর আমাকে সেখান থেকে নাড়ায় এমন সাধ্য কার ?

বাধ্য হয়ে বাবা কিনে দিলো । দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাচ্ছিলাম । বাবা হাত ধরে টেনে নিয়ে চললো সাথে । বাবার বাজার করা চলছে আমার খাওয়াও চলছে । এভাবে আস্তে আস্তে বাবার বাজার করা হয়ে গেলো । আমার খাওয়া চলছেই । শেষ হচ্ছে না । বাবার মনে খটকা লাগলো ।

এতটুকু আমড়া মাখা এখনো শেষ হয়নি খাওয়া ? শেষমেশ বাবা আবিষ্কার করলো যে আমি আমড়া মাখা শেষ করে কাগজটা চেটে চলেছি । কাগজে তখনও তেল, নুন, ঝাল, কাসুন্দি মাখা । তাই, চেটে চলেছি । দেখে তো বাবা রেগেমেগে আগুন । একটান দিয়ে কাগজটা ছুঁড়ে ফেলে দিলো ।

গভীরভাবে মুষড়ে পড়লাম আমি । আরো একবার কাগজটা চাটতে মনে গভীর একটা ইচ্ছে ছিল আমার । সেটি আর পূরণ হলো না । বহুদিন পর্যন্ত এ দুঃখটা মনের গভীরে ছিল আমার ।

এখন ভাবলেই খুব হাসি পায় আমার । ছোটবেলা আসলেই বেশ মজার ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Beautiful...
Please support my blog 🙏

Hello rme you must superb post

Nice post! Do you have a donations page like on Poof https://www.poof.io/ or Venmo?

The post is very nice. I hope for such a post in the future. I enjoyed reading the post. I learned a lot.

আমড়া মাখার কাগজ কখনো চেটে না খেলেও চিপ্স ফুরিয়ে গেলে পেকেটে লেগে থাকা মসলা গুলো খাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা এখনো মনে আছে । আহা পেকেটে লেগে থাকা মসলা গুলোর স্বাদ যেন অমৃত ছিল তখন । বড়দের সামনে খেতে পারবো না তাই লুকিয়ে লুকিয়ে সে চেষ্টা চলতো ।

ছোট বেলার স্মৃতি গুলো এমনি এখন মনে পড়লে বড্ড হাসিপায় । আপনার আজকের শেয়ার করা ছোট বেলার স্মৃতি গল্প পড়ে ভীষণ হাসি পেলো ।

খুব হাসলাম ভাই পড়ে। তবে এইটা একদম চিরন্তন সত্য কথা বলেছেন , আমড়া মাখার সঙ্গে যে লবণ কাসুন্দি ও ঝাল দেয় সেটা খাওয়ার স্বাদটাই আলাদা । একদম মুখের ভিতরে পানি চলে এসেছে ভাই ।

দাদা গল্পটা পড়ে খুব ভালো লাগলো।দাদা বাবার বকুনি আর আমড়া, দুইটারই আলাদা স্বাদ আছে। যা আপনি উপভোগ করেছেন শৈশবে।

@tipu curate 9

মাসে ১-২ দিন আসতে পারি । তাই, মুখ চালাচ্ছি কোনোদিকে কর্ণপাত না করে ।
কাগজে তখনও তেল, নুন, ঝাল, কাসুন্দি মাখা । তাই, চেটে চলেছি

আপনি চেটেই চলছিলেন আর আমি হেসেই চলেছি।দারুন মজা পেয়েছি উপরের ওই লাইন দুটি থেকে। আরেকটি জিনিস বুঝতে পারলাম ছোটবেলা থেকেই আপনি খাওয়ার অনেক পাগল ছিলেন, যেমন এখনো খাওয়ার জন্য শুধু মেলায় চলে যান।

আহা ! আরো একবার কাসুন্দি আর মশলা মাখা কাগজটা চাটার একটা গভীর বাসনা ছিল মনে ।

জি দাদা ছোটবেলার ঘটনা গুলো আসলে খুবই মজার। আপনার এই ঘটনার কথা শুনে আমারও ছোট্ট একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল আমি একদিন একটি আচার খাচ্ছিলাম পলি দিয়ে প্যাকেট করা খেতে খেতে আচারের পলিটাকেও এমনভাবে চিবিয়ে খেয়েছি এর মধ্যে আর কিছুই ছিল না। আর এই ছোটবেলার কাহিনীটি পড়ে আমারও মনে পড়ে গেল তাই খুব হাসলাম মন খুলে। হাহাহাহাহাহাহা......

গল্পটা পড়ে রীতিমতো আমারও হাসি পাচ্ছে। এখন কিন্তু যথেষ্ট বড় হয়ে গিয়েছি তারপরেও চানাচুর বা চিপস খাওয়ার পরে সুযোগ পেলে আমিও প্যাকেট চেটে খাই।

very nice

আপনার শেয়ার করা ছোটবেলার আমরা মাখা খাবার গল্পটা পড়লাম খুবই মজার ছিল গল্পটা।

ঝাল, নুন, কাসুন্দি আর মশলা দিয়ে মাখা কাঁচা আমড়া । দেখলেই জিভে জল চলে আসে ।

আসলে সত্য কথা বলতে এই ধরনের আমরা মাখা দেখে যে শুধুমাত্র আপনার জিভে জল চলে আসে তা কিন্তু নয় প্রায় প্রত্যেকটি মানুষই এটা দেখে আর নিজেকে স্থির রাখতে পারেনা। ব্যক্তিগতভাবে আমি তো পারিই না। যখনই কোথাও দেখি আমরা মাখা বিক্রয় করছে তখনই সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ি আর খেতে শুরু করে দেই।

দাদা আপনি যা কাজ করতেন ছোট বেলায় এসব মনে হলে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দিয়ে পরতে হবে। হিহিহিহি। তবে কাসন্ধি দিয়ে আমড়া মাখা সত্যিই অনেক টেস্টি। আমরাও স্কুলে খেতাম খুব । না চেটে কি আর উপায় আছে 😉। এই স্বাদের তুলনা নেই যে।

ছোটকালে আমড়া খাওয়ার প্রতি অনেকেরই কমবেশি লোভ থাকে। ঠিক তেমনি আমারও ছিল। আমাদের প্রাইমারি স্কুলের পাশে যখন আমড়া বিক্রেতা ঝাল লবণ মশলা মাখিয়ে বিক্রয় করতো তখন বাড়িতে এসে বাবার কাছে টাকা চাইতাম। তবে বড়ই হাস্যকর ব্যাপার সপ্তাহে একদিন এক টাকা দিত। তবে এভাবে কোনদিন কাগজ চেটে খেয়েছি কিনা স্মরণে আসে না।

আহা! আপনি আরেকবার কাগজটা চাটতে পারেননি এটা জেনে আমারও খুব আফসোস হচ্ছে। নুন ঝাল কাসুন্দি দিয়ে আমড়া মাখানো খাওয়ার পর শেষের অংশটা চাটতে কি যে মজা লাগে। আসলে দাদা এটা যে কখনো খায়নি সে বুঝতে পারবে না। বিশেষ করে ছোটবেলায় বাবা কাকাদের সঙ্গে গ্রামের সেই হাট গুলোতে যেতে অনেক মজা লাগতো। আপনার মত সেই স্মৃতিগুলো অনেক সময় আমারও অনেক মনে পড়ে। দাদা আপনার ছোটবেলার হাটে দেওয়ার ঘটনাটি পড়ে আমি খুব মজা পেলাম। বুঝতে পারলাম ছোটবেলা থেকেই আপনি অনেক পেটুক ছিলেন হা হা হা।

অনেক মজা পাইলাম,হাসি একটা ঘটনা আপনার আমড়া খাওয়া কাহিনী তবে বেশি হাসি পাইছে আমড়া পর কাগজটা চেটে খাওয়া আর না পাইলে মাটিতে খুঁটি ধরা।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



ওরে বাবারে কি অবস্থা, পুরনো দিনের সেই অভ্যেসটার কথা মনে করিয়ে দিলেন, সব শেষ হয়ে গেলো শেষে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে তারপর শেষ স্বাদটা নেয়ার চেষ্টা, হা হা হা হা। মাঝে মাঝে সেই দিনগুলোর কথা মনে হলে এখনো মুচকি হাসি চলে আসে মুখে। দাদাতো দেখছি সেই খাদক খাদক ভাবের ছিলেন, নিতেন আর সাবার করতেন হা হা হা।

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

হা হা,আসলেই ছোটবেলায় মনে হয় সবার এমনই হয়।ভালে লাগলো গল্পটা পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে

I was very nice to hear the story.

এটা পরেছি কাল রাতেই।তবে সমস্যা হলো অনেক মাথা ব্যথা থাকাতে আর কমেন্ট করা হয়নি।তবে মজার বিষয় আমি গতকাল আমড়া খেতে খেতেই এই পোস্টটা পড়েছি।
তবে আপনার আফসোস কিন্তু খুব কষ্টের,আহা কাগজ!😀

এখন ভাবলেই খুব হাসি পায় আমার । ছোটবেলা আসলেই বেশ মজার ।

সত্যিই দাদা ছোটবেলা বেশ মজার ছিল। আমি বড়ইয়ের আচার ভীষণ পছন্দ করতাম। আপনার আমড়া মাখা খাওয়ার কথা শুনে আমার সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। তবে কোনদিন কাগজ চেটে দেখিনি। এখন মনে হচ্ছে আহ্ কাগজ চেটে খাওয়ার মাঝেও কি মজা। দাদা হাসতেও পারছিনা 😕 শরীর একদম ভালো না।

  ·  2 years ago (edited)

খাওয়া আর বাজার করা চলছেই । এর মধ্যে দেখলাম সেই খাদ্যবস্তুটা । যার প্রতি একটা দুর্নিবার আকর্ষণ ছিল ছোটবেলায় । কাঁচা আমড়া মাখা । ঝাল, নুন, কাসুন্দি আর মশলা দিয়ে মাখা কাঁচা আমড়া । দেখলেই জিভে জল চলে আসে । তো, দেখেই মাটিতে খুঁটি গাড়লাম । আর আমাকে সেখান থেকে নাড়ায় এমন সাধ্য কার ?

দাদা পুরো গল্পটি পড়ে শেষ করলাম তারপরও মনে হল যেন আপনার আমড়া খাওয়া এখনো শেষ হয়নি। জীবনের সেরা ছোটবেলার একটি গল্প পড়লাম।

মাটিতে খুঁটি গাড়লাম । আর আমাকে সেখান থেকে নাড়ায় এমন সাধ্য কার ?

বাপরে এতো জেদ। যাইহোক এভাবে আমড়া মাখার কথা বললেন আর এখন দিয়ে আমার জিভে জল গড়িয়ে পড়ছে। আর সত্যি বলতে চানাচুরের পয়াকেট এভাবে চেটে খাওয়া হতো😁। আপনার পোস্ট টি পড়ে আমার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেলো,,,,🤪🤪

আসলেই দাদা, ছোটবেলাকার জীবনটা অনেক মজাদার ও মধুর। ছোটবেলায় বাজারে গেলে বাবা মায়ের কাছে কত কিছুই না আবদার করতাম। বাবা মা অস্তির হয়ে যেতো। আর এখন কিছুদিন আগে আমার ছেলেকে নিয়ে বাজারে গেলাম। তাকে এত করে বললাম কিছু খাবে কিনা কিন্তু খাওয়াতে পারলাম না, যাও জোর করে তার পছন্দের গজা কিনে দিলাম, সে বলল বাড়িতে এসে খাবে। এই হল তখনকার আর এখনকার সময়ের মধ্যে পার্থক্য।

আপনার ছোটবেলার গল্পটা আমি পড়ছি আর হাসছি ।সত্যি হাসতে হাসতে মরে যাচ্ছি। এত চমৎকার হয়েছে আজকের গল্পটা কি বলবো ।আহারে শেষ চাটাটা দেওয়ার আগেই কাগজটা ফেলে দিল খুবই কষ্টের। মাসে দুই একবার যেতে পারেন তাই বলে একদিনে সমস্ত খাবার খেয়ে নিচ্ছেন সত্যি মজার ছিল। আপনার দ্বারাই এগুলো সম্ভব। আরে এধরনের আমরা মাখা খেতে কিন্তু আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে।

দৃশ্যটা চিন্তা করতেই হাসি পাচ্ছে। আমড়া খাওয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পরও আপনি কাগজ চেটে চলেছেন। হা হা হা

ছোটবেলার কথা মনে হলে , সত্যি এখন হাসি পায় ।আপনার আমড়া মাখানো নুন,ঝাল,কাসুন্দি পড়তেই জিভে জল চলে আসলো । বাইরের খাবারে আমার অনীহা থাকলেও , পথে এই বানানো আমড়ার দিকে খুব লোভ আমার এখনও ।

Great!

ওরে মাইরি 😂😂 । কাগজ চাটা ফাইনালি কখন যে আপনার আমড়া খাওয়া শেষ হয়ে গেল খেয়ালই করেননি 🤭। আপনি দেখছি নাছুরবান্দা, খেয়ে ছাড়ছেনই 😁। বাবার সাথে এভাবে কখনো বাজার থেকে খাওয়া হয়নি। আপনার গল্পটা পড়ে বেশ মজা পেলুম

দাদা আপনার এই শখটা যদি এখন মেলায় গিয়ে পূরণ করেন তাহলে কেমন হবে। সাথে অবশ্যই বৌদি থাকবে। আহ সেই দৃশ্য কল্পনা করেই হাসিতে পেট ফেটে যাচ্ছে। বৌদি করমর করে আপনার দিকে তাকিয়ে আছে আর আপনি আমড়ার কাগজ চেটেই যাচ্ছেন।

হাহহাহহাহা দাদা গল্পটা আরো বড় হলে আরো কিছু সময় হাসতে পারতাম হাহহাহা। ভাগ্যিস কাগজটা খেয়ে ফেলেন নাই 😃😃😃😃। তবে এটা সত্যি যতোই খাই যদি ফিল থাকে লাস্টে আরো একটু খাবো সেটা না হলে আর ভালো লাগে না 😄

আরো একবার কাগজটা চাটতে মনে গভীর একটা ইচ্ছে ছিল আমার ।

আমি তো হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দাদা।আসলে গ্রামে সপ্তাহে একবার দুইবার হাট হলে যে কী আনন্দ হতো বলে বোঝানো যাবে না।আমাদের ওখানে সপ্তাহে একদিন হাট বসত।গরম গরম জিলিপি,ছোলা ভাজি তেল পেঁয়াজ দিয়ে দারুণ লাগতো আমার আর পেঁয়াজু।দারুণ ছিল আপনার গল্পটি কিছুটা শৈশবে আমিও ফিরে গেলাম।ধন্যবাদ দাদা।