সংগ্রামে প্রণয় (My Original Bengali Poetry "Love in Conflict")

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)


The above photograph was originally snapped by me

সংগ্রামে প্রণয়

এইমাত্র যে ফুলটিকে আমি
হত্যা করেছি অবলীলায়,
সেই হত্যার বিচার কি হবে?
কে আমাকে শাস্তি দেবে?
কে আমাকে বোঝাবে?
সত্যিকারের মানবতা ভুলে
ফুলের রাজ্যে আমি নিষিদ্ধ হয়ে গেছি।
সৌন্দর্যের মিলনমেলায় আমি অবাঞ্ছিত
কালো রাজনীতি নিয়ে ঘুরেছি বারংবার,
এক কুরুক্ষেত্র থেকে অন্য কুরুক্ষেত্রে
আমি অভিশপ্ত এক যোদ্ধা।
অমাবস্যার গভীর রাত্রে রাজকীয় বৈঠক নিয়ে,
বিশ্বাস করেছি যাকে ভালোবাসা নিয়ে
সেই শত্রু হয়েছে স্বার্থের কাছে বিক্রি হয়ে।
অন্তর্ঘাতের জবাবে আমি কি দিতে পারি?
আমি হিংসায় ভর করে দু'হাত মেলি
আমি উন্মাদ আমি সর্বশ্রেষ্ঠ,
আমি ক্ষমতার বড়াই করি
আমি দাম্ভিক যোদ্ধা
আমার কোনো নিঃশেষ নেই।
হয়তো ভালোবাসার তীব্রতা নিয়ে,
একদিন ফুরিয়ে যাবো আমি ও,
শূন্যতায় অস্তিত্ব বাজি রেখে।
ভালোবাসার রাজ্যে আমি চিরদিন কলঙ্কিত নায়ক।
তবু ও আমার খুব বাঁচার স্বাদ,
আমি আত্মসমর্পণ করে দিতে পারি
কেউ যদি বাড়ায় দুটি বিশ্বাসী হাত।

◀Thank You▶

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Please consider to approve our witness 👇

Come and visit Italy Community

দাদা 'সংগ্রাম পরিণয়' কবিতা চমৎকার লেগেছে । আপনার কবিতায় বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছেন। মানুষ তার সততা ও ন্যায়পরায়ণতাকে ভুলে গিয়ে অসৎ পথ বেছে নিয়েছেন।

হয়তো ভালোবাসার তীব্রতা নিয়ে,
একদিন ফুরিয়ে যাবো আমি ও,
শূন্যতায় অস্তিত্ব বাজি রেখে।
ভালোবাসার রাজ্যে আমি চিরদিন কলঙ্কিত নায়ক।

ভালোবাসা নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন। ভালোবাসা মানুষের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। জীবনে সুখী হতে গেলে খুবই প্রয়োজন।যা অনেকের জীবনে কলঙ্কিত ডেকে আনে।আমার মতো ব্যাখা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এতো সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

অনেক সুন্দর কবিতা লিখেছেন ভাই। দারুন কবিতা বাস্তব সত্য কবিতা। সেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

কবিতাটি খুবই যুক্তিসঙ্গত ও নিজস্ব বাস্তবধর্মী।আমি এটি পড়ে যেটা বুঝলাম -- সবার মনে ভালোবাসা নামের একটি ফুল থাকে।কিন্তু তার সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় নি অর্থাৎ ভালোবাসার মূল্যায়ন করা হয় নি।ফলে আমরা অনেকসময় ভালোবাসায় ব্যর্থ ও অবাঞ্ছিত হই।কিন্তু একদল মানুষ সমালোচনায় ব্যস্ত থাকে সর্বদা এবং ভালোবাসার মানুষটিও স্বার্থপরতার পরিচয় দেয়।তখন আমাদের মনে শুধু আঘাতে আঘাতে হিংসার সৃষ্টি হয়।হিংসা, দাম্ভিকতা মানুষকে ধ্বংসের পথ দেখায় এবং নিঃস্ব করে দেয়।আমরা সমালোচনার মাঝে আবার নতুন ভাবে বাঁচতে বা জেগে উঠতে পারি শুধুই দরকার বিশ্বস্ত একটি ভালোবাসার মানুষকে।
আমার সারমর্ম লেখাতে ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



অসাধারণ কবিতা লিখেছেন দাদা। আরো এমন কবিতা চাই। 😀

শেষ পর্যন্ত দুইটি বিশ্বাসী হাত পেলে আত্মসমর্পণ করে আবার ভালবাসার মাঝে বাঁচার ইচ্ছা। অনেক চমৎকার লেগেছে কবিতাটি এবং ছন্দ গুলো খুব ভালো লেগেছে।

ভাইয়া আপনার কবিতা পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। প্রতিটা শব্দই যেনো যুক্তসর্ম্পণ।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এমন সুন্দর কবিতা লিখার জন্য।

  ·  3 years ago (edited)

বতর্মান সময়ের কিছু মানুষের চরিত্রের সাথে কবিতাটির মিল খুজে পাওয়া যায়। যারা বিনা দোষে শুধুমাত্র ক্ষমতা দেখানোর জন্য ভালো মানুষের উপর অত‍্যাচার চালায়। এবং ক্ষমতার প্রভাবে আবার কোনো শাস্তি পাওয়া লাগে না। তার সাথেও তার সহকর্মীরা একদিন ক্ষমতার জোরে এটাই করবে তাকে হয়ত ধোঁকা দেবে। এবং দিনশেষে সে যখন বুঝবে সে ভূল করেছে কিন্তু সে আর তখন ফিরে আসতে পারবে না। কারণ তখন তার সময় ঘনীয়ে এসেছে। তবুও সে বাঁচতে চাইবে। কিন্তু তার পূর্বের কর্মকান্ডের জন্য তার দিকে কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবে না। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হও। মানুষের কল‍্যাণে এসো। তাদের উপর জুলুম বাদ দাও।।

অবলীলা→অসংকোচে/অনায়েসে আমরা আমাদের সত্যকে ঠেলিয়ে দিতেছি মেকির কাছে এবং একজন কল্যাণকামী মানুষকে হত্যা করছি। সিরাজুদ্দৌলাকে মীর জাফর হত্যা করে তার ভুল বুঝতে পেরেছিলো কিন্তু পরে সে তার ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারেনি বা সেই সুযোগও পায়নি কিন্তু প্রকৃতর নিয়মে সে তার ফল পেয়েছে। আমরা কারো মনের মাঝে যায়গা করে নিয়ে তার বিশ্বাস ঘাতকতা করি নিজের স্বার্থ অর্জনের জন্য কিন্তু বেলা শেষে সেও অন্যের হাতে হত্যা হয়।

দাদা মাথা যতটুকু এসেছে সার্মম লেখার চেষ্টা করেছি। আপনাকে ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আপনার লেখা কবিতার প্রশসা আমি সবসময় করে থাকি। অনেক সুন্দর ভাবে অনেক কিছু বুঝিয়েছেন এই কবিতাটির মাঝে। প্রতিটা লাইন যেন কোনো না কোনো কিছুর ইঙ্গিত দিয়ে গেছে। আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এই কবিতা সারমর্ম লিখলাম। আশাকরি ভালো লাগবে।

সমাজের মানুষ অসৎ ও অন্যায় ভাবে নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছে বার বার। অপরাধের পথে পা বাড়াতে বিন্দু মাত্র বাধঁছে না তাদের। কিন্তু বর্তমান অবস্থা এমন যে অন্যায় ভাবে কারো উপর জুলুম করলেও কেউ যে তার বিচার করবে বা তাকে বুঝাবে এমন মানুষ এখনকার সমাজে নেই বললেই চলে। তাই মানুষ অন্যায় করতে করতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিজেকে একটি অভিশপ্ত মানুষে পরিণত করেছে।

আর ভালোবাসা !!!
ভালোবাসার মধ্যে থাকে না কোনো স্বার্থপরতা, থাকে না কোনো ঘৃণা ও হিংসা। কিন্তু এখনকার ভালোবাসা শুধুই স্বার্থপরতা। স্বার্থের লোভে একজন থেকে অন্য জনের কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে মানুষ। তাই ভালোবাসা ব্যথিত মানুষগুলো কষ্টে আর ঘৃনাই নিজেকে শেষ করতে করতে আজ একটি মূল্যহীন মানুষে পরিণত হয়েছে। যদিও মানুষটি ভালো হতে পারতো , যদিও জীবনটাকে আবারো সুন্দর করতে পারতো , কিন্তু তাতে শুধু প্রয়োজন দুটি বিশ্বাসী হাত।

দাদা,অসাধারণ সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতা প্রতিটা ভাষা ছিল মনমুগ্ধকর এবং সুন্দর কবিতা।লেখার ধরনটাই যেন অন্যরকম আপনার।আপনার থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।ধন্যবাদ দাদা

দাদা বিদ্রোহী কবিতাটি অনেক মুগ্ধ করেছিল। যেখান থেকে বুঝতে পারলাম মানুষ নিজের দায়িত্বকে ভুলে অন্যের প্রতি জুলুম করার মনোভাব তবে প্রত্যেকটি মানুষের একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে সেদিন কোথায় রবে তাহার বাহাদুরি

ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য

দাদা আপনি খুব ভালো লিখেন।

হয়তো ভালোবাসার তীব্রতা নিয়ে,
একদিন ফুরিয়ে যাবো আমি ও,
শূন্যতায় অস্তিত্ব বাজি রেখে।

দাদা আপনার প্রত্যেকটা কবিতা খুবই অর্থপূর্ণ। আসলে অর্থপূর্ণ কবিতা গুলো পড়ে খুব ভালো লাগে। সবাই ফুরিয়ে যায় একদিন।আশা করি আপনি সবসময় এভাবেই আমাদেরকে কবিতাগুলো উপহার দিয়ে যাবেন।

তবুও আমার খুব বাঁচার স্বাদ,
আমি আত্মসমর্পণ করে দিতে পারি
কেউ যদি বাড়ায় দুটি বিশ্বাসী হাত,,,,

অসাধারন লিখেছেন দাদা♥। আসলে বিশ্বাসী হাতের বড়ই অভাব দাদা।বর্তমান প্রেক্ষাপটে চারিদিকে শুধু স্বার্থ স্বার্থ বিশ্বাস আর বিশ্বাসী হওয়া বড়ইকঠিন। অনুমতি পেলে কবিতাটি পাঠ করতে চাই দাদা??

মানবতার জয় হোক জয় হোক ভালোবাসার। আর এই সমাজে কেইবা করবে অমানবিক বিষয়গুলোর বিচার। প্রকৃতপক্ষে আমরা সবাই অমানবিক। মানবতাবোধ আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গিয়েছে।

কবিতার মূলভাব সত্যিই অসাধারণ ছিলো মানবতার এই অবনতির অগ্রযাত্রা

"কেউ যদি বাড়ায় দুটি বিশ্বাসী হাত।" বিশ্বাসী হাত তো ঘরের মাঝেই ভাইয়া,বৌদিকে ডাকুন। সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া৷ শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।

দাদা আপনার কবিতার লাইনগুলোর মধ্যে সংগ্রামে পরিণ্য এর মূল থিমটি ফুটে উঠেছে।বরাবরের মতোই অসাধারন লিখেছেন দাদা।ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।

কবিতাটির মাঝে ভেসে বেড়াচ্ছে আমাদের সমাজের কিছু চিরচেনা চরিত্র। সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা তাদের ক্ষমতার দাপটে নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখা মানুষটিকে হারিয়ে ফেলে। স্বার্থপরতা ও দাম্ভিকতার মাঝে চাপা পড়ে যায় তার জীবনের সুখ গুলো। সমাজের চোখে হয়ে যায় সে কলঙ্কিত নায়ক। জীবন যখন ফুরিয়ে যাবে ক্ষমতার দাপট সবকিছুই মিশে যাবে ওই ধূলিকণার সাথে। তবে কেন এই প্রতিযোগিতা ও কেন এই স্বার্থপরতা। হয়তো সে শেষ জীবনে তার জীবনের হাজারো ভুলগুলো উপলব্ধি করতে পারে। তখন সে খুঁজে এক বিশ্বাসী হাত যার হাতে তার জীবনের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে সুখের নিঃশ্বাস ফেলতে চায়। এরই নাম বুঝি সংগ্রামে পরিণয়।

আমি আত্মসমর্পণ করে দিতে পারি
কেউ যদি বাড়ায় দুটি বিশ্বাসী হাত।

ফিনিশিং টা দারুন হয়েছে দাদা, শুরুটা প্রশ্ন দিয়ে তারপর বাস্তবতার নিদারুণ চিত্র উপস্থাপন এবং শেষটা বিশ্বাসী মনোভাব, বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। যদিও আপনি কবিতায় বেশ পরিপক্ক, ইতিমধ্যে এটা প্রমান হয়েগেছে। ধন্যবাদ

দাদা আপনার লেখা সবগুলো কবিতাই বাস্তবতাকে সামনে রেখে লেখা হয়। যেখানে আমরা আমাদের নিজেদের ক্ষমতাকে প্রকাশ করে অন্যদেরকে কষ্টের মাঝে ডুবিয়ে রাখি। আপনার কবিতাগুলোর সার্রমম বোঝাটা যদিও একটু কষ্ট সাধ্য। তবও চেষ্টটা করি মূল অর্থটাকে বোঝার। আসলে জীবন একদিন শেষ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সেই হয়ে যাবে ভেবেও আমরা বিশ্বাস আর ভালোবাসায় নিজেদেরকে জরিয়ে রাখতে চাই।

যাতে কিছুটা সময় ভালোভাবে জীবনটাকে কাটানো যায়। কিন্তু এরই মাঝে কেউ কেউ সেই ভালোবাসাটাকে নিয়ে ছলনা করে থাকে।

অনেক সুন্দর ছিল দাদা আপনার আজকের কবিতাটা। আপনার জন্য ভালোবাসা এবং শুভ কামনা রইল।

খুবই অর্থবহ একটি কবিতা লিখেছেন দাদা, যার ভাব ভঙ্গি বোঝা খুবই কষ্টকর তারপরও চেষ্টা করেছি।

প্রতিটি মানুষের মাঝে একটি হৃদয় থাকে যা নিষ্পাপ যেটিকে আমরা সঠিক সময়ে মূল্যায়ন করতে পারিনা, জীবন যুদ্ধের মাঝে নিষ্পেষিত হয়ে নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখি, তখন মনের অজান্তেই এই নির্মম বিষয়টিকে গলাটিপে হত্যা করি। যখন আমরা নিজের ভুলগুলো উপলব্ধি করতে পারি তখন সময় ফুরিয়ে যায়, তখন আশেপাশের মানুষগুলোর মাঝে মনে হয় আমি যেন অসহায়। তখন বিশ্বাসী মানুষ গুলোকে আর বিশ্বাস করা যায়না। নিয়তি বড়ই নির্মম এভাবেই মানুষ বেঁচে থাকে।

Good

সংগ্রামে পরিণয় কবিতাটিতে কবি শুরুতেই নিজের এক ভুলের প্রকাশ করেছেন। এবং এর সাথে নিজের অন্তর্গত ভুলের অনুশোচনায় নিজের বর্ণনা দিয়েছেন। কবিতার শুরুতেই ফুল দিয়ে কবি একটি অতি পবিত্র বস্তুর কথা বোঝাতে চেয়েছেন। একটি ফুলকে গাছ থেকে ছিঁড়ে ফুলটির হত্যা হয়েছে ।কবি এখানে বলেছেন এই যে তিনি একটি নিষ্পাপ ফুলের হত্যা করলেন, তার জন্য বিচার কে করবে ।কে তাকে শাস্তি দেবে ।আর কেইবা তাকে বুঝিয়ে দেবে যে এটা করা ঠিক হয়নি ।আজ নিষ্পাপ এর হত্যার ফলে পবিত্র ফুলের রাজ্যে অর্থাৎ সততার রাজ্যে কবি নিষিদ্ধ হয়ে গেছেন। কবি নিজের বর্ণনায় বলেছেন সৌন্দর্য্যের মিলন মেলায় কবি বাঞ্ছিত নন । কারণ কবি কালো রাজনীতি মিথ্যাচার নিয়ে এক যুদ্ধ থেকে আরেক যুদ্ধে ঘুরে বেড়িয়েছেন ,যেন কোন এক অভিশপ্ত যোদ্ধার মত ।যোদ্ধা হওয়া যে কত বড় অভিশাপ ,তা তিনি নিজের অন্তর্গত যন্ত্রণার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন ।নিজের স্বার্থে তাকে হত্যা করতে হয়েছে অনেক কিছুই। আবার তিনি এও বুঝিয়েছেন যে, যাকে তিনি ভালোবাসা দিয়ে বিশ্বাস করেছেন, সেও কিন্তু স্বার্থের জন্য তার শত্রু হয়ে উঠেছে। কবির অনুশোচনা হয় নিজের কার্যের ওপর, কখনো নিজের হত্যাকারী মিথ্যাচারী চরিত্রে। কখন আবার নিজের একান্তই ভালবাসায় ভরপুর চরিত্রে।কবি উন্মাদ হয়ে উঠেছেন এই সমাজের সাথে তার যে এই রকম সম্পর্ক তার জন্য কি করতে পারেন। এখানে তার দোষটাই বা কোথায় ।কবি নিজের দুর্বলতা থেকে গর্জে উঠেছেন নিজের অহংকার এ। তিনি জানিয়েছেন তার ভালোবাসা এবং বিশ্বাস এর তীব্রতা তার জন্য যদি মৃত্যু ডেকে আনে, শূন্যতা ডেকে আনে ।তাই তিনি মাথা পেতে মঞ্জুর করবেন। আর যদি কেউ ভালোবাসা দিয়ে বিশ্বাস দিয়ে এই হত্যাকারীর নিষ্পাপ মনের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয় ।তাহলে তিনি আত্মসমর্পণ করবেন। সমাজের বুকে দু'প্রকারের মানুষ বিরাজ করে। এই কথাটা বলা ঠিক নয়। হয়তো এক একটা মানুষের সাথে আমাদের এক এক রকম সম্পর্ক তৈরী হয়ে ওঠে। আমরা কোথাও ভালোবাসার সম্পর্ক সৃষ্টি করি। কোথাও আবার অজান্তেই শত্রু হয়ে ওঠে মানুষ। কিন্তু আমরা যেখানে মন থেকে বিশ্বাসে ভালোবাসা তৈরি করি ,তা যখন কখনো আঘাত করে তখন নিজেকে বড়ই অসহায় বলে মনে হয় ।সেখানে জবাব দেওয়ার কোন রাস্তা থাকে না ।আর এই যন্ত্রনা কবি কে বারে বারে আঘাত করছে। সংগ্রামের মধ্যে দিয়েও কবি বাঁচার ইচ্ছে হাত পেতে চাইছেন। চাইছেন সেই পরিণয়, সেই মিলন, যা তিনি নিজে হাতে ধ্বংস করেছেন ।আবার সেই পরিণয় সেই মিলন যেখানে তিনি বিশ্বাস করে ঠকে গেছেন।

আপনি যে কোন লেখার একদম গভীরে ঢুকে যান। আপনার লেখার বিশেষত্ব এটি। কিছু কিছু লাইন দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। আপনার কবিতা বরাবরই আমার ভালো লাগে। অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইল দাদা।

"সংগ্রামের পরিণয়" কবিতাটি আমি বেশ কয়েকবার সাধারণভাবে পড়েছি এবং বেশ কয়েকবার কবিতা আবৃত্তি করে পড়েছি। অসাধারণ একটি কবিতা লিখেছেন দাদা আপনি। যতই পড়ি ততই মনে হচ্ছে যেন নিজের বিবেক একটু নেড়েচেড়ে উঠছে। সত্যিকার অর্থে এই কবিতায়টি পড়ে আমি যেটা বুঝতে পেরেছি তার সারমর্ম আমি নিচে উপস্থাপন করলাম।

কবিতাটির সারমর্ম

আমরা জানি প্রত্যেকটি মানুষের মাঝে একটি বিবেক থাকে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমরা আমাদের সেই বিবেককে যথা সময়ে কাজে লাগাই না। মানুষ যখন নিজে কোন অন্যায় করে বা কারো প্রতি অবিচার বা জুলুম করে তখন প্রত্যেকটি মানুষের বিবেক সে অন্যায় অবিচার করার পর সে মানুষটিকে প্রশ্ন করে আমি যে কাজটি করলাম তা কি ঠিক করেছি, আমি কি এর জন্য কারো কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আর তখন সে নিজেকে অনেক ক্ষমতাশালী মনে করে কিন্তু তখন সে তার বিবেকের কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে সে তার মত করে তার অন্ধকার রাজ্য চালিয়ে যায়। তখন সমাজের কাছে সে একজন কলঙ্কিত নায়ক হয়ে যায়। আমরা মানুষরা যতই খারাপ হোই না কেন আমাদেরকে কোন না কোন ভাবে কাউকে ভালবাসতে বা বিশ্বাস করতেই হবে। আর এই বিশ্বাস এর মাঝে আমাদের কিছু শত্রু তৈরি হয়ে যায় যা আমরা বুঝতেই পারিনা। আর এই ভালোবাসার মানুষ ও শত্রু একদিন গলায় ছুরি ধরে মানুষের বিশ্বাস ভেঙ্গে সম্পূর্ণ একা করে দিয়ে চলে যাবে। আর এই একাকীত্ব জীবনে যখন তার ক্ষমতা ফুরিয়ে যাবে, দাম্ভিকতা নষ্ট হয়ে যাবে তখন তার বিবেক তাকে আবারও প্রশ্ন করবে সে প্রশ্নের জবাবে সে নিজেকে আত্মসমর্পণ করে দেবে এবং সে তার ভুল বুঝতে পেরে এই জগত সংসারে বেঁচে থাকার প্রত্যয় জানাবে যদি সে বিশ্বাসী কোন মানুষ পেয়ে থাকে। কিন্তু মানুষ কি সেই সময় আর ফিরে পাবে? না তখন তার সময় ফুরিয়ে যাবে এবং সে তার বিশ্বাস মানুষের মাঝে আর ফিরিয়ে আনতে পারবে না।

রূপক কবিতা হিসেবে বাস্তবের সাথে অনেক মিলে যায়। আসলে মিথ্যেকে আমরা আগেই জয় জয় কর করে তুলে রাখি। আর সত্য লুকিয়ে রেখে বাস্তবতাকে ভুলে যাই। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অঙ্গরাজ কর্ণ সেই দশা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে বাস্তবতা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।