একজন পেটুক মানুষের গল্প

in hive-129948 •  9 months ago 

gluttonous-7042425_1280.jpg
Copyright Free Image Source:Pixabay


আজ একজন খাইয়ে মানুষের গল্প করবো আপনাদের কাছে । জীবনে পেটুক মানুষ অনেক দেখেছি, আমি নিজেও একজন পেটুক মানুষ কিন্তু, আজ যাঁর কথা বলতে যাচ্ছি এঁনার মতো পেটুক মানুষ আমার লাইফে আর দু'টি দেখিনি । ব্যক্তিটি আবার আমাদের আত্মীয় স্বজনের মধ্যেই পড়ে । আজকে যে কথাগুলি বলতে যাচ্ছি তার সবকিছুই একদম দিনের আলোর মতো সত্যি কথা, এক বিন্দুও বাড়িয়ে বলা নেই কোথাও ।

বেশ ক'বছর আগের কথা । তখন আমি উচ্চমাধ্যমিকে পড়ি । এমন সময় আমার বাবার ছোট এক বোনের মেয়ে অর্থাৎ, আমার আপন পিসতুতো বোনের বিয়ে হয়ে গেলো । এই বোনের স্বামীই আমার আজকের কথামালার নায়ক । আজ্ঞে হ্যাঁ, ইনিই তিনি । আমার জীবনের দেখা সেরা খাইয়ে মানুষ ।

বিয়ের পর পরই তাঁর খাওয়ার বহরের কিঞ্চিৎ নমুনা দেখেই আমার সেই যে মাথা ঘোরা শুরু হয়েছিল, সেই যে মুগ্ধতার আবেশ লেগেছিলো আজও তা পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যমান । বিয়ের দিন প্রথম টের পেলুম পেটুক কাকে বলে । বিয়ে ছিল গোধূলি লগ্নে । তাই সন্ধ্যার কিছু পরেই বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়ে গেলো । রাত ন'টার দিকে নতুন জামাইকে সাথে নিয়ে আমরা খেতে বসলুম । এরপরেই তাজ্জব বনে গেলুম তাঁর খাওয়ার বহর দেখে ।

সে কী খাওয়া ! বাপরে বাপ্ !! বিয়ের মেন্যুতে ছিল সব বাঙালি খাবার, গ্রামের দিকে যেমন হয়ে থাকে । ভাত, মুড়িঘন্ট, মাছের কালিয়া, খাসির মাংস, রাজহাঁসের মাংস, চাটনি, দই-মিষ্টি । তো উনি প্রথমেই মুড়িঘন্ট নিলেন ছয় বার । সাথে দুই বার ভাত । কি মাথা ঘুরছে ? আরো আছে । মাছ ১২ পিস্ । খাসির পিস্ আর গুনিনি, তবে তিরিশ-বত্রিশ পিসের কম হবে না । না, রাজঁহাসও ফেলেননি । তবে এই সময়টায় খাওয়ার পরিমান কমে এসেছিলো । মাত্র ১০-১২ পিস্ রাজহাঁসের মাংস খেয়ে খাওয়া ফিনিশ করলেন । না না, চাটনি, দই-মিষ্টি এসব ফালতু খাবার দিয়ে ওঁনার বহুমূল্যবান পেট ভর্তি করেননি ।

এবার আসি দ্বিতীয় ঘটনায় । আমার দাদার (বড়ো ভাই) বৌভাতের দিনের খাওয়ায় কি হলো সেটা শুনলে মাথা ঘুরে যাবে । এদিনও আমি তাঁর পাশেই ছিলুম । এদিন উনি মাত্র ৪৯ পিস্ খাসি খেয়েছিলেন । আর ১ পিস্ খেলেই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ হতো । কিন্তু, তার আগে বিঘৎ খানেক লম্বা এক একটা মাছের পিস্ একটানা খেয়ে গিয়েছিলেন ১৮ পিস্ অব্দি । চোখ বুজে একদম নিবিষ্ট চিত্তে । খাসি খেয়ে শেষে চিকেনও ছাড়েননি উনি । তবে পিস্ আর গোনার সাহসে কুলোয়নি আমার ।

এবার আসি তৃতীয় ঘটনায় । সেবার আমি বাড়িতে একাই ছিলুম । কোনো কারণে বাড়ির সবাই গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলো । আমি, আমার ভাই আর আমার এক ভাইপো ছিলাম শুধু বাড়িতে । তো, বিকেলে বাজারে গিয়ে কি মনে করে তিনটে বড় দেখে তাগড়াই সাইজের মোরগ কিনলুম । কেটেকুটে মোট মাংসের পরিমাণ হলো প্রায় পাঁচ কিলো । বাড়িতে তো আমরা সর্বসাকুল্যে ৩ জন । এতো মাংস খাবো কি করে । এখানে বলে রাখি, আমরা মাংস ফ্রিজারে রেখে খাই না ।

তাই আমি আমার এক কাজিন-কে ফোন করে রাতে খেতে বললুম । এরপরে, ভাবলুম আমার ওই ভগ্নিপতিকেও ডাকি রাতে খেতে । তাহলে মোট পাঁচজন হয়ে যাবো । যে কথা সেই কাজ । রাতে খেতে বললুম তাঁকে । পাঁচ কিলো মাংস । কত আর খাবে ? রাতে রান্না হলো ভাত, ডিম্ ভাজা আর মাংস । পুরো পাঁচ কিলো মাংসের সবটাই রান্না হলো । রান্না করলো আমার সেই কাজিন আর আমার ভাইপো ।

খাওয়ার সময় আমরা পাঁচজনে বসলুম । শুধু মাংস আর ভাত । তাই বেশিক্ষন লাগলো না খেতে । আমরা সবাই খেয়ে উঠে গেলুম শুধু আমার ভগ্নিপতি তখনো চালাচ্ছেন । তাঁকে খেতে দিয়ে আমরা টিভি দেখতে চলে গেলুম । প্রায় ঘন্টা খানেক পরে এসে তিনি জানালেন তাঁর খাওয়া শেষ, এখন বাড়ি যাচ্ছেন । আমরা ঘাড় কাত করে সম্মতি জানালাম । এর প্রায় ঘন্টা খানেক পরে আমার ভাইপো ডাইনিং রুমে গেলো বেঁচে যাওয়া ভাত আর মাংস ফ্রিজে তুলে রাখতে । একটু পরেই তার ঘর ফাটানো চিৎকার শুনে দৌড়ে ডাইনিং রুমে গেলাম সবাই । গিয়ে কি দেখলাম ? মাংসের বিরাট গামলা যাতে পুরো পাঁচ কিলো মাংস রান্না করে রাখা ছিল, যার কিছু অংশ দিয়ে সকালে আমরা ভাত খাবো বলে ভেবেছিলুম তার মধ্যে এক টুকরো আলু আর ফ্রেশ চার টুকরো মাংস পড়ে রয়েছে । আমি বললুম গভীরস্বরে - "হুঁ, মাথা পিছু এক টুকরো করেই আছে" ।


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)


তারিখ : ১৯ মার্চ ২০২৪

টাস্ক ৫৩১ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : be3b0c603d4635e28c785e628c2752c56d012428373e3a3d686b59ac35084625

টাস্ক ৫৩১ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

»»——⍟——««

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাইরে ভাই 😂🤣😂🤣🙆‍♂️🙆‍♂️🙆‍♂️!! এটা কি শোনাইলেন দাদা। আমার তো পুরা মাথা ঘুরে যাচ্ছে শোনে। কঠিন লেভেলের খাদক উনি 😂😂😂। উনি এখনও গিনেস বুক ওয়ার্ল্ডে নাম লেখাননি কেন 😂। শেষে যে এক পিস করে পেলেন এটাই তো অনেক 😂। উনাকে একদিন দাওয়াত দিতে হবে আমার বাড়িতে। 🙆‍♂️😂।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 100 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.

Congratulations, your post has been upvoted by @upex with a 41.11% upvote. We invite you to continue producing quality content and join our Discord community here. Keep up the good work! #upex

Hahaha 😃, this is a great post Dada.

This post reminds of my immediate younger brother, he is a gluttonous person too.

Hw loves eating and eats more than everybody in the family.

He eats almost 5x of what each of us eats 😃😃

Maybe one day I'll tell of his story too.

Thanks for sharing this post with us Dada ❤️❤️❤️

অবাক হয়ে গেলাম পোস্ট পড়ে।এতো খেও খেতে পারে!আমি ভাবছি উনাকে নিয়ে বুফে তে গেলে কি হবে!সব তো একাই শেষ করে দেবে।তবে পড়ে বেশ মজা পেলাম।

হা হা হা 😄
দাদা এই পেটুক মানুষের গল্প শুনে আমার মাথা রিতীমত ঘুরছে 🤓
দাদা এটুকু পেটে কিভাবে এতো খাবার আঁটে আমি তো সেই চিন্তা করছি। সবথেকে বেশি হাসি পেয়েছে শেষের অংশটা পড়ে। সত্যিই তিনি খেতে পারেন বটে 🤪

Posted using SteemPro Mobile

একটা মানুষ এতো কেমনে খাই???
পুরোটা পড়ে সত্যি খুব অবাক হলাম। মজাও পেয়েছি খুব। পোস্টটি পড়ে বুঝলাম তার মুখের রুচির পাশাপাশি পেটেও প্রচুর জায়গা।

আমি বললুম গভীরস্বরে - "হুঁ, মাথা পিছু এক টুকরো করেই আছে" ।

দাদা আপনারা সকালে খাবেন বলেই,উনি চার টুকরা মাংস রেখেছিলো 😂। এমন পেটুকের গল্প তো কখনো শুনিনি। একজন মানুষ এতো খায় কিভাবে সেটাই তো ভেবে পাচ্ছি না। দাদা উনাকে ব্যুফে রেস্টুরেন্টে খেতে পাঠাবেন কয়েকদিন পরপর। আমার মনে হয় উনাকে দ্বিতীয়বার কোনো ব্যুফে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করতে দিবে না। কারণ উনি বারবার গেলে,এমনিতেই লস হবে এবং একটা সময় রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে🤣। আপনার শেয়ার করা তিনটি ঘটনা পড়ে হাসতে হাসতে আমার পেট ব্যথা হয়ে যাচ্ছে। যাইহোক উনি যেনো আরও বেশি বেশি খেতে পারেন,সেই কামনা করছি। এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গেল।🤩 গল্পের শেষটা দারুন ছিল 5 কেজি মুরগির মাংস রান্না করেছেন। সেই মাংস পাঁচজন লোক আপনারা যাইহোক খেয়েছেন । কিন্তু আপনার ভগ্নিপতি এত বড় খাতক আপনারা টিভির রুমে গিয়েছেন। ঐদিকে তিনি গোপনে গোপনে সব মাংস ভাত সাভার করে দিয়েছেন ।সত্যিই এইরকম পেটুক মানুষ আমিও দুই একজনকে দেখেছি অনেক খাইতে পারে। তাদের সাথে এরকম খাওয়ার মুহূর্তটা উপভোগ করতে ভালোই লাগে।অনেক ভালো লাগলো গল্পটি দাদা।

একটা মানুষ এতো কেমনে খাই???
পুরোটা পড়ে সত্যি খুব অবাক হলাম। মজাও পেয়েছি খুব। পোস্টটি পড়ে বুঝলাম তার মুখের রুচির পাশাপাশি পেটেও প্রচুর জায়গা।

হাহাহাহ বিয়ের দিনেও খেতে মিস করে নি ৷ তবে দাদা এসব মানুষ কে কেউ ভয়ে নিমন্ত্রণ দিবে না ৷বাবা রে বাবা এত পেটুক ৷ ৪৯ পিস মাংস ভাবা যায় ৷ শেষ গল্পটা এক ঘন্টা ধরে খেয়েই চলেছে কি অবস্থা ৷
হিহিহি !! ভালো লাগলো দাদা এমন পেটুক মানুষের গল্প শুনে ৷

এদিন উনি মাত্র ৪৯ পিস্ খাসি খেয়েছিলেন । আর ১ পিস্ খেলেই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ হতো ।হুঁ, মাথা পিছু এক টুকরো করেই আছে" ।

দাদা আপনার এই কয়েকটি বাক্যবচন শুনে আমি হাসিতে অস্থির হয়ে গেলাম 😂🤣🤣🤣। আসলে মানুষ যে এরকমভাবে খাবার খেতে পারে সেটা আপনার পোস্ট না দেখায় বুঝতে পারতাম না। আমার তো মনে হয় উনার একাই ৭ থেকে ৮ জনের খাবারের প্রয়োজন হয়। একজন মানুষের পেটে এরকম এত খাবার কি করে জায়গা ধরে আমি তো এটাই চিন্তা করতেছি। আসলে দাদা বেশ কয়েকদিন যাবত মনটা খুব খারাপ ছিল, কিন্তু আজকে আপনার পোস্টটি পড়ার পর অনেক বেশি মনে আনন্দ অনুভূত হচ্ছে। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি আনন্দদায়ক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

দাদা গল্পটা পড়ে অনেক মজা পেলাম , সাথে অনেক হাসিও পাচ্ছে বটে ৷ সত্যি বলতে আমি এমন পেটুক মানুষ এখনো দেখিনি ৷ যে কিনা পাঁচ কিলো মুরগির মাংস একাই খেতে পারে ৷ বিয়ে করতে এসে এতো এতো খাবার নিমিশেষই শেষ করে ফেলে ৷ তবে ৪৯ পিচ খাসির মাংস দুই কিলোরও বেশি হবে সম্ভবত ৷ এতো খাবার মানুষ কিভাবে খায় ৷ ভাবতেই অবাক লাগে ৷ যাই হোক , আমি বাপের জন্মেও এতো খাবার এক বসায় খেতে পারবো না ৷ তবে আপনার এই গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ দাদা

Posted using SteemPro Mobile

দাদা আর কী বলব আমি পুরোটা পড়েছি আর হেসেছি। সত্যি এইরকম খাইয়ে মানুষ আমি আমার জীবনে দেখিনি। আমি ভাবছি এতো খাই তাহলে তার শরীর টা কেমন হবে। ৪৯ পিস খাসির মাংস দিয়ে তো আমার অর্ধেক বছর চলে যাবে হা হা। সত্যি আমি বেশ অবাক হয়েছি দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

তবুও তো আপনাদের জন্য চার টুকরো মাংস ছেড়ে গিয়েছিল। না হলে তো আরো মন খারাপ হয়ে যেত। তবে যাই বলুন না কেন দাদা পেটুক দের গল্প শুনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আমার তো বেশ হাসি পাচ্ছিল। এখনো মানুষ এত খেতে পারে এটা ভাবতেই পারছি না দাদা।

বেশ মজা পেলাম।ভাগ্যিস চার টুকরো রেখেছিলো 🤪🤪মানবতা এখনও বেঁচে আছে হা হা।আমার তার খাওয়ার বর্ননা শুনে বেশ মাথা ঘুরাচ্ছে একটা মানুষ এত খাবার কেমনে খায়,৪৯ পিছ মাংস! কি সাংঘাতিক ১৮ পিছ মাছ কেমনে কি সম্ভব। ভুলে তাকে একবার নিমন্ত্রণ করলে আরেকবার করবে না🤪তার রুচি অনেক বেশি বলে।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা গো কি করবো ভেবেই তো পাচিছ না। হাসবো নাকি আপনার পোস্ট পড়বো। এও কি সম্ভব? একজন মানুষ এত এত কেমন করে খায়। এখান পেটও বটে। যে সুন্দর করে আপনি বাস্তব গল্প ‍তুলে ধরেছেন তাতে করে যে কেউ হেসে ফিট হয়ে যাবে। দারুন ছিল আজকের পোস্টটি দাদা।

দাদা গো কি করবো ভেবেই তো পাচিছ না। হাসবো নাকি আপনার পোস্ট পড়বো। এও কি সম্ভব? একজন মানুষ এত এত কেমন করে খায়। এখান পেটও বটে। যে সুন্দর করে আপনি বাস্তব গল্প ‍তুলে ধরেছেন তাতে করে যে কেউ হেসে ফিট হয়ে যাবে। দারুন ছিল আজকের পোস্টটি দাদা।

"হুঁ, মাথা পিছু এক টুকরো করেই আছে" ।

এই লাইনটা পড়েই উপরের সবগুলো ভুলে গেছি দাদা, হা হা হা হা। আমি সামনে থাকলে বোধহয় জ্ঞান হারিয়ে ফেলতাম আশ্চার্য হয়ে। আমার তো এখন মনে হচ্ছে উনিই আপনার মূল প্রেরণা, বেশী খাওয়ার স্টাইলটা আপনি তাহলে উনার কাছ হতেই শিখেছেন হা হা হা।

পোস্টটা পড়ে দাদা আমার একটা কথাই মনে হচ্ছে আপনার সেই আত্মীয় কি মানুষ নাকি মানুষরূপী অন্য কিছু? সাধারণ মানুষ এত খাবার কখনো খেতে পারে? আমার তো শুনেই যেন কেমন লাগছে। মনে হচ্ছে একবার সামনাসামনি বসে উনার খাওয়া দেখতে পারলে মন্দ হোতো না। তবে এই জাতীয় লোকজনকে যে কোন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়ার সময় একটু চিন্তা-ভাবনা করে দাওয়াত দেয়া দরকার। না হলে খাবার শর্ট পড়ে যেতে পারে। হা হা হা....

হাহাহাহাহা, দাদা এই তো পুরু পেটুক মশাই, খেয়ে চেটেপুটে সব শেষ করে ফেললো। আমি আপনার পোস্ট পরছিলাম আর হাসছিলাম।
তবে আপনার লাস্ট কথাটা কিন্তু দারুন ছিল

হুঁ, মাথা পিছু এক টুকরো করেই আছে" ।

অসম্ভব মজা পেয়েছি দাদা আজকের পোস্ট পড়ে।

দাদা, তোমার পোস্ট পড়তে পড়তে আমার রীতিমতো খিদে লেগে গেছে। একজন মানুষ এত খাবার কি করে খায়, আমি শুধু সেটাই চিন্তা করছি। একজন মানুষের পাকস্থলী কত বড় হয় , ৪৯ পিস খাসির মাংস একজন সুস্থ মানুষ কি করে খেতে পারে! আমি তো দাদা অন্যান্য খাবারের কথা বাদই দিলাম। তোমার গল্প পড়ে হাসতে হাসতে শেষ আমি দাদা। তবে কিঞ্চিত ভয়ও পেয়েছি। হা হা হা...🤭🤭

Beautiful

ভাই রে ভাই, যখন আমি আপনার লেখা পড়ছি তখন আমি নিজে কেবল সেহরি করে উঠলাম। আমি অল্প একটু খেয়েই নড়তে পারছি না আর আপনার বোন জামাইয়ের খাওয়ার ঘটনা পড়ে, হাসতে হাসতে অবস্থা আমার কাহিল। বেশি মজা পেয়েছি ওনার নিজের বিয়ের খাওয়ার ঘটনা শুনে। তবে ভদ্রলোকের এমন কর্মের জন্য, প্রশংসা করতেই হয় । দারুণ উপভোগ করলাম লেখাটি।

ভগ্নিপতি মানুষটি জাস্ট সেরা। নিজের বিয়েতে যে মানুষ এতো খেতে পারেন তাকে নিশ্চিতরূপে প্রকৃত খাদ্য রসিক বলা যায়। বেশ মজার মানুষ।

দাদা, একটা প্রশ্ন আছে। এতো কিছু খাবার পরে তার পেটের আয়তন কেমন হতো? 😁

দাদা আপনার সেই পেটুক ভগ্নিপতি সাহেবকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গেলে আগে থেকে খাবার অর্ডার করে যেতে হবে। তা না হলে তিনি খাওয়ার পরে ঐদিনের জন্য রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে বাড়ি চলে যেতে হবে,হা হা হা। ব্লগটা পড়ে অনেক মজা পেলুম। ধন্যবাদ দাদা।

আপনাদের ৪ জনের জন্য ৪ পিস রাখছে।

৪৯ পিস খাসি খেয়েও থামেননী!!
বাহ।

আমার কাছে ভালই লেগেছে। খেতে পারলে খাওয়াতে এক ধরনের আনন্দ লাগে।

আপনি বলেছেন তাই এটি সত্যি। তবে খুবই অবাক করার মত বিষয়। একবার দেখতে হবে উনাকে। আমার বাচ্চা দুইটা খেতে চায়না, ওনাকে দেখালে যদি একটু রুচি আসে। হা হা

দাদা গল্পটা পড়ে বেশ মজা পেলাম। এবং অবাকও হচ্ছি একজন মানুষ এতটা খেতে পারে। ৪৯ পিস খাসি খেয়েছিলেন আর এক পিস খেলে হাফ সেঞ্চুরি হতো। আবার মাছও একটা না ১৮ পিস খেয়েছিলেন। আমি আপনার পোস্টটি পড়ছিলাম আর নিজে নিজেই চিন্তা করছিলাম এটা কি তার পেট নাকি অন্য কিছু। তবে বেশি মজা পেয়েছি শেষের গল্পটি পড়ে। এত দারুণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।

আমি বললুম গভীরস্বরে - "হুঁ, মাথা পিছু এক টুকরো করেই আছে" ।

এমা, কি বড় পেট। এত আস্ত বড় খাবারের গোডাউন। তবে, সব পরিবারের মধ্যে দু একজন এ রকম থাকবেই। যারা একাই সবার খাবার গিলে ফেলতে সময় নিবে না। হেহে। এমন লোক মাঝে মধ্যে দরকার পড়ে, বেঁচে যাওয়া খাবার যাতে নষ্ট না হয়, সেগুলো সাবার করে দেওয়ার জন্য।

গল্পটা, সত্যিই অসাধারণ ছিলো দাদা। ভবিষ্যতে আবার ওনার গল্প শুনতে চাই দাদা।

হাহাহাহা পুরা সত্যি ঘটনা নিয়ে গল্প টি পড়ে বেশ হাসলাম। এত্তো খেতে পারে বাবারে বাবা তাও আবার নতুন বর।খুব ভালো লাগলো পুরা গল্পটি পড়ে।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য যে পোস্ট টি পড়ে অনেকদিন পর প্রাণ খুলে হাসলাম।

এদিন উনি মাত্র ৪৯ পিস্ খাসি খেয়েছিলেন।

আমার ধারণার বাইরে একজন মানুষ যে এতোটা খেতে পারে সেটা হয়তো আপনার এই পোস্ট না পড়লে বুঝতে পারতাম না। সত্যি বলতে দাদা আপনার এই পোস্ট পড়ার পরে মানুষটাকে দেখতে ইচ্ছে করছে।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা I cannot stop laughing after reading your post, আপনার শেষ কথাটা দারুন ছিল।

"হুঁ, মাথা পিছু এক টুকরো করেই আছে" ।

Hahahaha