আলোকচিত্র : শান্তিনিকেতনে কিছুদিন -০৬

in hive-129948 •  2 years ago 

বাংলা নববর্ষের পরেরদিন সকালে আমার ঘুম আর ভাঙতেই চায় না । প্রায় সারারাত জেগে পোস্ট করেছি আর ভোট দিয়েছি । অনেক ঠেলাঠেলি গুঁতোগুঁতির পরে উঠলাম । আজকে আমরা হোটেলেই ভারী প্রাতরাশের পরে বেড়াতে বেরোবো এটা ঠিক করে নিয়েছিলাম । আমি ওঠার পরেও টিনটিন আর ওঠে না । তনুজা তো সমানে গর্জাতে লাগলো, বেড়াতে এসেও বাপ-ব্যাটার এত ঘুম । যাই হোক, সবাই ঘুম থেকে উঠে সকাল ৯ টার দিকে ফ্রেশ হয়ে হোটেলের ডাইনিং হলে হাজির হলাম ।

বেশ ভারী প্রাতরাশের অর্ডার দিলাম । সব বাঙালি খাবার অর্ডার করলাম । সাদা ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত, টমেটো দিয়ে ডাল, আলু-ফুলকপি-মটরশুঁটির নিরামিষ তরকারি, বড় বড় পাবদা মাছের সরিষা দিয়ে ঝাল, বিশাল সাইজের পাকা রুইয়ের কালিয়া, ডিমের ডালনা, তোপসে মাছ ফ্রাই, ভেটকি দিয়ে আলুর পাতলা ঝোল, চিকেন কারি আর শেষ পাতে টমেটোর চাটনি ।

এরপরে স্নান করে নিলাম দ্রুত । একটু রেস্ট নিয়ে গাইডকে কল করলাম । আজকে আমাদের সাঁওতালদের গ্রাম "শালবনি" আর সংলগ্ন শালবনে যাওয়ার কথা । আর বিকেলে যাবো আবার সোনাঝুরির হাটে । আজকে হাটবার । বিশাল হাট বসবে সোনাঝুরিতে ।

আমাদের হোটেল থেকে খুব একটা দূরে নয় শালবনি । মাত্র মিনিট কুড়ির রাস্তা গাড়িতে গেলে । সমস্যা একটিই, সেটি হলো সাঁওতালদের গ্রামের রাস্তা খুব সরু । গাইড জানালো গাড়ি যাবে, তবে এই বিশাল সাইজের SUV গাড়ি গ্রামের প্রধান সড়কে কষ্টে সৃষ্টে গেলেও গ্রামের অপরাপর রাস্তা গুলোতে ঢুকবে না । কি আর করা, অগত্যা তাই সই ।

তারপরের অভিজ্ঞতা অসাধারণ । শালবনি গ্রামের শতভাগ অধিবাসীই সাঁওতাল । রাস্তা ঘাট মেঠো রাস্তা, কিন্তু কোথাও এক বিন্দু ময়লা-আবর্জনা চোখে পড়লো না । রাস্তা ঘাটে গাছের পাতা অব্দি এরা জমতে দেয় না । সকাল-সন্ধ্যায় সবাই যে যার বাড়ির উঠোন ও তৎসংলগ্ন সামনের রাস্তা ঝাঁট দিয়ে পরিষ্কার রাখে ।

আরেকটা জিনিস চোখে পড়লো, সাঁওতালরা অসম্ভব পরিশ্রমী জাত। পুরুষ ও সমর্থ মেয়েরাও নিস্কর্মা বসে থাকে না । অলস লোককে সাঁওতালরা দারুন ঘৃণা করে । এরা আবার খুব অতিথিপরায়ণ হয়ে থাকে । বাড়িতে অতিথি হয়ে এলেএরা তাকে দেবতা জ্ঞানে তার খাতির যত্ন করে ।

প্রথমে উঠোনের একটি ছায়াময় পরিষ্কার স্থানে একটি চৌপায়ের ওপর অতিথিকে সসম্মানে বসতে দেয় । এরপরে বাড়ির মেয়েরা এসে জলভরা একটি ঝকঝকে পেতলের ঘট এনে অতিথির পায়ের কাছে রেখে অভিবাদন করে । এই ঘটির জল দিয়ে হাত, মুখ, পা প্রক্ষালন করে এসে বসার পরে একেবারে নতুন একটি গামছা আর ধুতি এনে সামনে রাখে । এগুলো সাঁওতালরা গাঁয়ের তাঁতেই বুনে থাকে ।

এরপরে চলে ভোজসভা । অতিথি এলে প্রায়ই এরা মোরগ রান্না করে অতিথিকে খাওয়ায় । নিজেরা নানা আজেবাজে পশুর মাংস খেয়ে থাকে । কুকুর, বেড়াল, খরগোশ, শূকর, শজারু, ইঁদুর, গোসাপ সব কিছুই এদের খাদ্য ।

গ্রামের রাস্তায় কিছুক্ষন বেরিয়ে আমরা শালবনে ঢুকে পড়লাম । এদিকটায় জঙ্গল বেশ ঘন । বুনো শুকরের উপদ্রব আছে । একটি দাঁতাল বুনো শুকরের একটি মানুষ মারতে মোটে দুই মিনিট লাগে । পা থেকে বুক পর্যন্ত দাঁত দিয়ে ফেঁড়ে ফেলে এরা । তাই আমরা সাঁওতালদের যে খানটায় নানা ধর্মীয় উৎসব মানে পরব হয়ে থাকে সেখানে গেলাম ।

ও মা, সেখানে মানুষ প্রচুর । এখানে শালগাছগুলি ফাঁকা ফাঁকা । গাইড জানালো "ইষ্টি কুটুম" নামক একটি বাংলা সিরিয়ালের শুটিং এখানেই চলেছিল দীর্ঘ ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে । একটা অস্থায়ী বিয়ে পড়ানো ঘর দেখলুম । এখানে সাঁওতালদের বিয়ের ছাদনাতলা । ঘন বনের মাঝে । ভাবা যায় ?


IMG_20220415_173924.jpg

IMG_20220415_174158.jpg

IMG_20220415_174205.jpg

IMG_20220415_174217__01.jpg

IMG_20220415_174255.jpg

IMG_20220415_174405.jpg

সাঁওতালদের গাঁয়ের রাস্তায় আমরা । রাস্তা এত পরিষ্কার যেটা ধারণাই করা যায় না ।

তারিখ : ১৬ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ১০ টা ৫০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20220415_173917.jpg

সাঁওতালদের গাঁয়ের একটি মুদি দোকান ।

তারিখ : ১৬ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ০০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20220415_174129.jpg

এটি সাঁওতালদের গাঁয়ের একটি মন্দির । মারাং বুরু এই মন্দিরের দেবতা । মারাং বুরু আর হিন্দুদের প্রধান দেবতা শিব একই । সাঁওতালরা হিন্দু নয়, কিন্তু বিবাহরীতি হিন্দুদের মতোই । বিবাহিতা মেয়েরা শাঁখা-সিঁদুর পরে । দূর্গা, কালী, শিব, লক্ষী পূজাও করে এরা ।

তারিখ : ১৬ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ২০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20220415_174609.jpg

IMG_20220415_174847.jpg

সাঁওতালদের পরবের স্থান । শালবনের মাঝেই এটির অবস্থান ।

তারিখ : ১৬ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ৪০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20220415_174634.jpg

IMG_20220415_174642.jpg

সাঁওতালদের বিবাহ-বাসর অর্থাৎ ছাদনাতলা । এখন যেটা দেখতে পারছেন এটা শুধুই কাঠামো । বিয়ের সময় ফুল-লতা-পাতায় সেজে ওঠে বিবাহ বাসর ।

তারিখ : ১৬ এপ্রিল ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ৫০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20220415_174656.jpg

IMG_20220415_174743.jpg

IMG_20220415_175346.jpg

শালবনে আমরা ।

তারিখ : ১৬ এপ্রিল ২০২২
সময় : দুপুর ১২ টা ০০ মিনিট
স্থান : শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সাদা ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত, টমেটো দিয়ে ডাল, আলু-ফুলকপি-মটরশুঁটির নিরামিষ তরকারি, বড় বড় পাবদা মাছের সরিষা দিয়ে ঝাল, বিশাল সাইজের পাকা রুইয়ের কালিয়া, ডিমের ডালনা, তোপসে মাছ ফ্রাই, ভেটকি দিয়ে আলুর পাতলা ঝোল, চিকেন কারি আর শেষ পাতে টমেটোর চাটনি ।

দাদা মনে হচ্ছে সবগুলো খাবার চোখের সামনে ভেসে উঠলো, সত্যি এগুলো ছাড়া খাবারে একদমই তৃপ্তি আসে না, যদিও বৈশাখের দিনে একটু বেশী খাওয়ার চেষ্টা করা হয়।

তবে অতিথির আপ্যায়নের রেওয়াজটা বেশ ভালো লেগেছে সাঁওতালদের। নিজেরা যাইহোক খাক না কেন, অতিথিদের ঠিক মোরগ রান্না করে খাওয়ায়, সত্যি দারুণ! ফটোগ্রাফিগুলো ভালো লেগেছে।

@tipu curate 7

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

আরেকটা জিনিস চোখে পড়লো, সাঁওতালরা অসম্ভব

এই কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত দাদা। আমিও কিছুদিন আগে রাঙ্গামাটি গিয়েছিলাম। সেখানে অনেক পাহাড়ি অধিবাসী রয়েছে তারা বিভিন্ন প্রজাতি হিসেবে পরিচিত। তারা প্রচুর পরিশ্রম করে এবং আমি দেখেছি তারা সব সময় কোন না কোন কাজে ব্যস্থ থাকে এবং তারা খুবই পরিশ্রমি।। সন্ধার আগেই তারা নিজের বাসায় ঢুকে পরে, দিনের আলোতে সব কাজ করে রাখে তারা।

দাদা আপনার এই ছবিগুলো সত্যিই অসাধারণ হয়েছে বিশেষ করে এরকম জায়গায় ঘুরতে আমার ব্যক্তিগতভাবে অনেক ভালো লাগে। রাঙ্গামাটি গিয়েছিলাম সেখানে চারিদিকেই শুধুমাত্র বন, নদী, পাহাড় ছিল, সে দৃশ্য গুলো দেখলেই মন জুরিয়ে যায়। তবে তাদের ঘন জঙ্গলে ঘুরতে গেলে একটু সাবধানতা সবসময় অবলম্বন করতে হয়, কারণ বন্য পশুরা আশেপাশেই থাকে।

Thank You for sharing Your insights...

সাদা ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত, টমেটো দিয়ে ডাল, আলু-ফুলকপি-মটরশুঁটির নিরামিষ তরকারি, বড় বড় পাবদা মাছের সরিষা দিয়ে ঝাল, বিশাল সাইজের পাকা রুইয়ের কালিয়া, ডিমের ডালনা, তোপসে মাছ ফ্রাই, ভেটকি দিয়ে আলুর পাতলা ঝোল, চিকেন কারি আর শেষ পাতে টমেটোর চাটনি ।

দাদা ভারি প্রাতরাশ করবেন সেটা বুঝলাম কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে এটা তো অনেক বেশি ভারী এতসব খাবার খেয়ে ফেলেছেন সকাল সকাল হা হা হা। যাই হোক দাদা বরাবরের মত আপনার আজকের পোস্টেও দর্শনীয় এবং শিক্ষনীয় কিছু পেয়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার ফটোগ্রাফি খুলো দেখি মনে হল আমি নিজেই সাঁওতালদের গ্রাম থেকে ঘুরে আসলাম আপনার পোস্টে এসে সাহসা সাঁওতালদের ছাঁদনাতলা পরবের স্থান সব দেখা হয়ে গেল। সাঁওতালদের মারাং বুরু দেবতা ও হিন্দুদের প্রধান দেবতা শিব যে একই এটা আমার জানা ছিল না। অজানা তথ্যগুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

সকালবেলার খাবার গুলোর নাম শুনেই মুখে পানি চলে আসলো ভাই । আহা সব বাঙালি খাবার । এইটা একদম সত্য কথা সাঁওতাল জনগোষ্ঠির মানুষজন বেশ অতিথিপরায়ণ ও পরিশ্রমী । আমি নিজে স্বচক্ষেই তাদের জীবনধারা দেখেছি । কারণ আমার যে জায়গায় গ্রামের চেম্বার, সেখান থেকে খুব কাছেই একটা সাঁওতাল পল্লী আছে । ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ।

দাদা আপনার ব্রেকফাস্ট এর লিস্ট শুনেই জিভে জল এসে গেল। সাঁওতালদের গ্রাম টি দেখে বেশ ভালো লাগলো। এত সুন্দর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মানুষ তারা জেনে অবাক হলাম। সেই সঙ্গে এত অতিথি বৎসল মানুষ এখন তো পাওয়াই যায়না। দারুন কিছু অভিজ্ঞতা হল আপনার পোস্টের মাধ্যমে।

আপনিতো সাঁওতালদের সম্বন্ধে অনেক খুঁটিনাটি জানেন দেখছি দাদা। এই আদিবাসীদের সম্বন্ধে আপনার পোস্ট থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম। এই আদিবাসীদের ব্যাপারে শুধু এটুকু জানতাম যে এরা প্রচণ্ড পরিশ্রমী। আপনার ছবিগুলোর মাধ্যমে অনেক কিছু দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ দাদা।

আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন দাদা সাঁওতালরা আসলে অনেক পরিশ্রমী হয়।কারণ আমি অনেক সাঁওতালদের চোখের সামনে দেখেছি।বৌদির ড্রেসটা অনেক সুন্দর আপনার পাশে বৌদিকে দারুন লাগছে।অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা অবিরাম♥♥

বেশ ভালো আপ্যায়ন পেয়েছেন মনে হচ্ছে। সাঁওতালদের ছাদনাতলা বেশ সুন্দর তো। সব মিলিয়ে অসাধারণ দাদা। বেশ ভালো সময় পার করেছেন। ধন্যবাদ

সাঁওতালদের সম্পর্কে নতুন অনেক কিছু জানলাম আপনার আজকের লেখায়। আসলেই অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন গ্রাম। আমার কাছে সাঁওতালদের পরবের স্থানটা খুব ভালো লেগেছে। গাছগুলো খুব ভালো লাগছে। কেমন শান্তি শান্তি লাগছে জায়গাটা দেখে। এই আপনাকে মিস করেছি আজকের আপনাকে দেখে। কোন মিল নেই দুইজনের মধ্যে।😜😜

দাদা আমার একবার ভাগ্য হয়েছিল সাঁওতালদের বাড়িতে যাওয়ার। সাঁওতালদের বাড়িঘর খুবই পরিচ্ছন্ন থাকে এবং মাটির তৈরি। রংপুর অঞ্চলে অনেক সাঁওতালের বসবাস। সাঁওতালদের জীবনধারা কৃষিকেন্দ্রিক আমাদের দেশে। পুরুষ মহিলা সহ সবাই মাঠে কাজ করে। আপনার পোস্টগুলো পড়ে অসাধারণ কিছু জানতে পারি এই ধরনের পোস্ট গুলো আমাদের মাঝে আপনি পর্ব এখানে দারুণভাবে উল্লেখ করে থাকেন দাদা। আপনাদের মাধ্যমে আবারও সাঁওতাল গ্রাম খুব সুন্দর ভাবে দেখতে পারলাম। দুজনকে দারুন লাগছে বিশেষ করে বৌদিকে বেশি লাগছে আর আপনার মাথার চুল যে পাতলা আকাশে উড়ছে। 🤪🤪

Thank You for sharing...

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Thank You for sharing...

তনুজা তো সমানে গর্জাতে লাগলো, বেড়াতে এসেও বাপ-ব্যাটার এত ঘুম ।

দাদা, বৌদি গর্জাবে তো কারণ বেড়াতে এসে যদি এভাবে ঘুমানো হয় তাহলে কি ঘুরাঘুরি সম্ভব তাইতো বৌদি গরম হয়ে গিয়েছে। বৌদি গরম হওয়াতে ভালোই হয়েছে খাবার-দাবার শুরু করে দিয়েছেন।দাদা,যে খাবারগুলোর নাম আপনি পোস্টে লিখেছেন নাম গুলো পড়ছি আর জিভে জল এসে যাচ্ছে খাবারগুলো বাঙালি খাবার এবং খুবই সুস্বাদু খাবার।দাদা, শান্তিনিকেতনে যাওয়ার কারণে আমরা অনেক কিছু জানতে পেরেছি এবং দেখতে পেরেছি। সাঁওতালদের জীবন-যাপন সম্বন্ধে তেমন একটা আমার ধারণা ছিল না। দাদা, আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম তারা খুবই পরিশ্রমী এবং তাদের বাড়িঘরে ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারলাম তারা খুবই পরিষ্কার তবে খুব খারাপ লেগেছে তাদের খাবারের কথা দেখে।দাদা, ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে দাদা আপনাকে এবং বৌদিকে বেশ দারুণ লাগছে। কিন্তু দাদা, চোখ দেখা যাচ্ছেনা বিদায় আপনাকে সুন্দর লাগে না বৌদিকে কিন্তু বেশ দারুন লাগছে🥰 ধন্যবাদ দাদা, এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।

Thank You for sharing Your insights...

মারাং বুরুর প্রেক্ষাপট নিয়ে আমি বেশ কয়েকবার তথ্য জোগাড় করতে নেমে ব্যর্থ হয়েছি। সঠিক ঐতিহাসিক তথ্যসমৃদ্ধ বই কোথাও খুঁজে পাই নি। টুকটাক কথা বলে বা অল্প বই পড়ে আমার বারবার মনে হয়েছে মারাং বুরু হয়তো বনদেবতা/দেবী।

রাত করে ঘুমোতে গেলে সকালে ঘুম থেকে উঠতে খুবই আলিস্য হয়। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে পারি 😆

আমার যতদূর মনে হয় হিন্দুদের আদি দেবতা, ধ্বংস ও মৃত্যুর প্রতীক, এ পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্রের একচ্ছত্র দেবতা , তিনিই একমাত্র প্রধান আদি দেব যিনি মর্ত্যে কৈলাস পাহাড়ের শিখরে বসবাস করেন তিনিই সাঁওতালদের মারাং বুরু ।

https://sobbanglay.com/sob/marangburu-santhal-deity/

ধারণা কিছুটা পরিষ্কার হলো।

দাদা তাহলে তো আপনারা খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সেই সুন্দর মুহূর্ত গুলো ক্যামেরাবন্দি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন তা দেখে আমার কাছে আরও বেশি ভালো লাগলো। আপনার এই পোস্ট দেখে সাঁওতালদের সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানা হল। বইয়ের মধ্যে সাঁওতালদের নিয়ে অল্প কিছু কথা লেখা ছিল কিন্তু আপনার কাছ থেকে অনেক সুন্দর কিছু কথা জানতে পারলাম। সাঁওতালরা সত্যিই অনেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিশ্রমী মানুষ। আপনার ফটোগ্রাফিতে দেখা যাচ্ছে তাদের রাস্তাগুলো কতটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রেখেছে। এত সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

Thank You for sharing...

বৌদিকে এই ড্রেসটায় যা মিষ্টি লাগছে। ছাদনাতলা দেখে অবাক লাগলো বেশ।এতোটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন তা তো আমরা ভাবতেই পারিনা।

দাদা কোনটা রেখে কোনটার কথা বলবো তা খুঁজে ও পাচ্ছি না।সাঁওতালদের গাঁয়ের রাস্তা এত সুন্দর তা আগে দেখি ও নাই শুনি ও নাই তবে আজ চক্ষুষ সাক্ষী হলাম আপনার ফটোগ্রাফি দেখে।এরপরে সাঁওতালদের গাঁয়ের একটি মুদি দোকান সত্যিই আমি যেন হারিয়ে যাচ্ছি এই দৃশ্যবলি দেখে।তাঁরপরে সাঁওতালদের বিবাহ বাসর ঘর দেখে তো পুরোই অবাক আমি এখনো এই যুগে এই বসবাস।সত্যিই দাদা আপনি যদি শান্তি নিকেতন এর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার না করতেন তাহলে এই অজানা কিছু কথা ও প্রামাণ্য চিত্র দেখা হত না।
আপনার প্রতি কৃতঙ্গতা প্রকাশ করছি এত সুন্দর একটা পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।

Thank You for sharing...

দাদা আপনার খাবার মেনু শুনলে আমার চোখ কপালে উঠে যায় বারবার। আজকের পোস্ট টাই অনেক কিছু জানার ছিল। ছাদনাতলা দেখেই তো মনের সুপ্ত বাসনা জেগে উঠলো দাদা 🥰🥰। আর শাওতালদের আপ্যায়নের ব্যাপারটা খুব ভালো লেগেছে। অনেক বছর আগে টিভি সিরিয়ালে মারাং বুরু নামটা শুনতাম খুব। আজ সামনে থেকে দেখার সুযোগ পেলাম। সত্যি খুব ভালো লাগলো। আর সবশেষে দাদা বৌদির সেলফি মন ভরিয়ে দিল❤️🥰

ভাইয়া আপনার মাধ্যমে সাওতাঁলদের নিয়ে অনেক তথ্য জানতে পারলাম। শালবনের পরিবেশটা অনেক সুন্দর। আর পরিশ্রমী মানুষদের সবাই সম্মান করে । যা সাওতালদের অন্যতম একটি গুণ। আর আশা করি সোনাঝুরি হাটের ছবি দেখতে পারবো। ধন্যবাদ ভাইয়া।

Thank You for sharing...

দাদা,সাঁওতালিরা বেশ পরিশ্রমী ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সেটি জানি কিন্তু তাদের অতিথিকে সেবার রীতিনীতি সম্পর্কে আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম।বেশ ভালো লাগলো।আর আপনাদের দুইজনকে বেশ লাগছে শালবনের মাঝে।আপনাদের সুন্দর জুটির জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা অবিরাম।

সাঁওতালদের পরবের স্থান ।

দাদা পরব মানে কি বুঝলাম না!

বাপরে! বুনো কুকুরও আছে তাহলে। শালবনটা আসলেই সুন্দর দাদা । শালবনের মাঝে ছাদনাতলে বাসর পর্যন্ত করে । বউদি আর আপনাকে অনেক সুন্দর লাগছে। এভাবেই একসাথে আজীবন কাটিয়ে দিতে পারেন এই কামনাই করি দাদা। ভালোবাসা রইল আপনাদের জন্য।

Thank You for sharing...