কৈশোরের কিছু স্মৃতিচারণ (ফেলে আসা সোনালী অতীত)

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

childhood
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY


বলা হয়ে থাকে মানুষের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সময় হলো তার শৈশব । এই ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করার মতো মানুষের সংখ্যা খুবই কম আছে । আমার বাল্যকালের কিছুটা সময় কেটেছে শহরে নয়, গ্রামে । একেবারে অজ পাড়া গাঁ যাকে বলে । বিদ্যুৎ ছিলো না , রাস্তা ঘাট সবই ছিলো কাঁচা । গ্রামে পাকা বাড়ির সংখ্যা ছিলো একেবারেই নগণ্য যাকে বলে । আমাদের স্কুলটা অবশ্য খুব একটা দূরে ছিলো না, কিন্তু তাও নয় নয় করে হলেও ২ কিলোমিটারের মত দূরে ছিল আমাদের বাড়ি থেকে । ক্লাস ফোর অব্দি পড়েছি আমি গ্রামের সেই স্কুলটিতে ।

আমরা হেঁটেই যেতাম স্কুলে ক্লাস করতে, কারণ আগেই বলেছি আমার জন্মস্থান গ্রামটি ছিলো একেবারেই অজ । গ্রামের কাঁচা রাস্তায় এক বাইসাইকেল ভিন্ন দ্বিতীয় কোনো যান দেখিনি ছোটবেলায় । বাড়ি থেকে স্কুলটি যেহেতু প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ছিলো তাই সকালে ক্লাস শুরু হওয়ার বেশ কিছুটা আগে থেকেই আমরা কয়েক বন্ধু বেরিয়ে পড়তাম ।

আমাদের দলে ছিলো আমার সমবয়সী কিছু বন্ধু, আমাদের চাইতে বয়সে অনেক বড় কিন্তু সহপাঠী হিসাবে পাড়ার কয়েকজন দাদা আর কয়েকটি সমবয়সী মেয়েও ছিলো আমাদের দলে । এক ঘন্টা আগে থেকে বেরিয়ে পড়তাম আমরা স্কুলের উদ্দেশ্যে । আর সারা রাস্তা নানারকম মজা ও দুষ্টুমি করতে করতে স্কুলের দিকে এগিয়ে যাওয়া । আমার মনে আছে আমাদের দলে আমিই ছিলাম আমার সব সহপাঠী বন্ধুদের মধ্যে সব চাইতে কম বয়সী । যাদেরকে আমি সমবয়সী ভাবতাম তারাও আমার চাইতে ৬-৭ মাসের বড় ছিলো ।

কিন্তু, ওই বয়সেই আমার নেতৃত্ব দেওয়ার একটা সহজাত প্রবৃত্তি ছিলো । সারা স্কুলের মধ্যে উঁচু ক্লাসের ছেলেরাও আমাদের গ্রুপের পিছনে লাগতে সাহস পেতো না । সবার ছোট ছিলাম কিন্তু লিডার ছিলাম দলের । অন্যের গাছের ফল চুরি করা, টিফিন কেড়ে খাওয়া , ছোট বাচ্চাদের অকারণে কান ধরে ওঠবস করানোর ঘোরতর বিরুদ্ধে ছিলাম আমি ও আমার দল । তবে যেদিন আমাদের গ্রুপের সাথে অন্য কোনো গ্রূপের ক্রিকেট খেলা হতো সেদিন টের পেতাম আমাদের বিরুদ্ধে কি পরিমান আক্রোশ ছিলো অন্য সব দলের ।

এত জোরে তারা বল করতো যে আমরা সবাই চোখে অন্ধকার দেখতাম । আঘাতের হাত থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই উইকেট ছেড়ে দিত । তবে, প্রায় সময়ই গো-হারান হারলেও আমাদের গ্রূপের যে ছেলেগুলো অনেক বড় ছিলো আমাদের চাইতে তাদের এলোপাথাড়ি ধুম ধাম চার ছয়ে মাঝে মাঝে আশ্চর্যজনক ভাবে জিতে যেতাম । সেদিন যে সারাটা দিন কি খুশি যে লাগতো তা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব ।

আমাদের দলের যেই সেদিন umpire হতো নিরপেক্ষভাবে সে বিচার করতো । কিন্তু অন্যদলের ছেলেগুলোর আচরণ আমাদের ব্যথিত করতো । পপিং ক্রিজের পাঁচ হাত দূরে থাকতে উইকেট ভেঙে দিলেও আউট হতে চাইতো না, umpire এর সাথে তর্ক করতো । অথচ, ওদের দলের কেউ আম্পায়ার হলেই আমাদের শরীরের কোথাও বল টাচ করলেই এলবিডাব্লিউ আউট দিয়ে দিতো। অদ্ভুত !

এবার বালক বয়সের একটি ঘটনা উল্লেখ করেই আজকের মতো পরিসমাপ্তি টানবো । আমাদের স্কুলে অন্য গ্রাম থেকে কয়েকটি ছেলে পড়তে আসতো । তাদের যা বয়স ছিল তাতে তাদেরকে কোনো মতেই বালক হিসাবে অভিহিত করা সম্ভবপর ছিলো না । আমাদের চাইতে তারা কম করে হলেও ১০-১২ বছরের বড় ছিল । অথচ, পড়তো আমাদের চাইতে মাত্র দু'ক্লাস উপরে । কেন যে তারা এই বয়সে এসে হাই স্কুলে ভর্তি হলো কে জানে ।

যাই হোক, তাদের সাথে আমাদের সম্পর্কটা ছিলো একেবারে যাকে বলে আদায় কাচঁকলায় ।সুযোগ পেলেই তারা আমাদেরকে ধরে ঠ্যাঙাতে চাইতো । কিন্তু, সুযোগ পেলে তবে তো ঠ্যাঙাবে । আমার আজও মনে আছে তাদের মধ্যে সব চাইতে বখাটে দুটোর নাম ছিলো ইন্দ্র আর গৌরাঙ্গ । মিটমিটে শয়তান ছিলো দুটোই, বদবুদ্ধিতে ঠাসা । অন্যগুলোর ছিলো শুধু মোষের মতো শক্তি গায়ে, কিন্তু বুদ্ধি ছিল না ।

কো-এড স্কুল, কাজেই ছেলে মেয়ে উভয়ই পড়তো । ওই বয়সে মেয়েদের প্রতি আমাদের একটাই টান ছিল যেটা বন্ধুত্বের টান, ছেলেদের প্রতি যে টান সেটাই । আর কোনো জ্ঞানচক্ষুর উন্মীলন হয়নি আমাদের তখন । নাকি শুধু আমারই হয়নি তখন, আমি এখনো confused । যাই হোক, ইন্দ্র গ্রুপ প্রায়শই স্যারদের হাতে পিটুনি খেত মেয়েদেরকে উত্যক্ত করার জন্য । আর তাদের এগেনেস্টে বেশিরভাগ রিপোর্ট যেতো আমাদের কাছ থেকেই ।

কাজেই আমাদের উপর তাদের শকুনি নজর ছিল । সুযোগ খুঁজছিলো তারা আমাদেরকে একদিন ধরে ইচ্ছেমত বানাতে । কিন্তু, সুযোগ দিলে তবেই না । আমাদের গ্রুপেও আমাদের সহপাঠী কয়েকজন ছিলো প্রায় তাদের সমবয়সী, গায়েও তাদের মোষের শক্তি । তারাই আমাদের গ্রূপের সৈনিক, বডি গার্ড প্রহরী সব ।

একদিন কিন্তু তাদের হাতে সুযোগ এসেই গেলো । বার্ষিক পরীক্ষার মাঝামাঝি । আমাদের গ্রুপের মোষগুলো সব অনুপস্থিত । গায়ে যতই তাদের শক্তি থাকুক মগজে তার ছিটেফোঁটাও নেই । তাই ড্রপ আউট । পরীক্ষায় বসলো না তারা । আর আমাদেরকে আনসিকিউর্ড করে ফেলার সুবর্ণ পেয়ে গেলো ইন্দ্র গ্রুপ ।

সেদিন বেশ শীত । অঙ্ক পরীক্ষার দিন । পরীক্ষা দারুন হলো । আমাদের প্রায় সবাই খুশি । বিকাল হয়ে এলো প্রায় । বাড়ি ফিরছি । এমন সময় নির্জন হাটখোলার কাছে এসে আমাদের বাহিনী হঠাৎ এমবুশের মুখে পড়লো । গেরিলা আক্রমণ ইন্দ্র গ্রূপের । প্রথম দিকটায় আমরা ভীষণ ঘাবড়ে গেলাম । নির্জন জায়গা, মনের সুখ মিটিয়ে আমাদের আচ্ছাসে পিটিয়ে পরোটা বানাবে এখন ।

আমার লাইফের সব চাইতে বড় নেতৃত্ব দিয়েছিলাম আমি সেইদিন । চিৎকার করে সবাইকে সতর্ক করলাম । দৌড়াতে বারণ করলাম সবাইকে । ইন্দ্রাকে চ্যালেঞ্জ করলাম ।তাদের যা শক্তি তাদের তুলনায় আমাদের হলো বাঘের পাশে বিড়াল । দেখলাম ইন্দ্র গ্রূপের কোনো তাড়াহুড়ো নেই । শীতের দুপুর শেষ হয়ে বিকেল হয়ে আসছে ।ছাত্রছাত্রী সবাই বাড়ি চলে গেছে । হাটখোলার পাশে এই মাঠের ধারটা নির্জন থাকবে আরো বেশ কিছুক্ষন । তাই তাদের আনন্দ দেখে কে ?

আর আমি চাইছিলাম তখন টাইম ওয়েস্ট করার একটা সুযোগ । যতই নির্জন এলাকা হোক । গ্রামের দিকে রাস্তা ঘাটে কখন কে চলে আসবে তার কোনো ঠিক নেই ।আর সে রকম কেউ চলে আসলেই আমরা বেঁচে যাই । এটাই ছিলো আমার প্ল্যান । তাই সময়ের অপচয় করার চেষ্টা করলাম ।

আড়চোখে তাদের হাতের খেঁজুরের ডাল দিয়ে বানানো লাঠিগুলো একবার দেখে নিলাম । তারপরে শুরু করলাম । প্রথমে জানতে চাইলাম যে তারা কি চায় । চেঁচিয়ে লাঠি দেখিয়ে বলে দিলো তাদের সাধু উদ্দেশ্য । আমাদের দলের অবস্থা তখন শোচনীয় । এক কলম ছাড়া দ্বিতীয় কোনো অস্ত্র নেই আমাদের ।

আমি একটা সন্ধি প্রস্তাব দিলাম ইন্দ্রকে । আমাদেরকে ছেড়ে দিলে তাকে আমি আমাদের বাড়ির এয়ারগানটা যখনি চাইবে তখনি ধার দেব । আমি জানতাম এই অফার ফেরানোর সাধ্য ইন্দ্র গ্রূপের কারো নেই । ইন্দ্র সম্মতি দিলো । কিন্তু তিন সত্যি করে দিব্যি করতে বললো । আমি তিন সত্যি করলাম । একটু পরেই সসম্মানে আমাদেরকে তারা রীতিমত গার্ড করে বাড়ি অব্দি পৌঁছে দিলো ।

পরে অবশ্য আমি চাইলেই এর শোধ নিতে পারতাম । কারণ ততদিনে উঁচু ক্লাসের গুন্ডা প্রকৃতির একটি মুসলিম ছেলের সাথে কিছুটা সখ্যতা হয় । অন্ধের মতো আমার সব কথা শুনতো সে । তার গ্রূপকে আবার যমের মতো ডরাতো ইন্দ্র গ্রূপ । কিন্তু, প্রতিহিংসা শুধুই প্রতিহিংসা-কেই ডেকে আনে, প্রতিশোধ শুধুই আরেকটি প্রতিশোধেরই জন্ম দেয়; কিন্তু কোনো সমাধান আসে না কখনোই ।

তবে বেশিদিন আমি গ্রামে ছিলাম না । ক্লাস ফোরে উঠেই সেই যে শহরে পাড়ি দিয়ে চিরদিনের জন্য ইট বালি কংক্রিটের দেয়ালে বন্দী হয়ে গেলাম, আর কোনোদিন বেরোতে পারলাম না । গ্রামে আর ফেরা হয়নি কোনোদিন । মুছে গেলো জীবনের একটা বৈচিত্রময় অংশ ।

পরিশেষে বলি, আমি আমার কথা রেখেছিলাম । ইন্দ্রকে এয়ার গানটা ব্যবহার করতে দিতাম যখনি সে চাইতো । আর চিরদিনের জন্য গ্রাম ছেড়ে শহরে আসার আগে আমার কাকার এয়ার গানটি আমি ইন্দ্রকে দান করে এসেছিলাম ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

প্রতিহিংসা শুধু প্রতিহিংসাকেই ডেকে আনে,প্রতিশোধ শুধু আরেকটা প্রতিশোধেরই জন্ম দেয় এক কথাটি একেবারে মনের গভীরে গেঁথে গেলো। আমাদের যে আনন্দের শৈশব ছিলো এখনকার শহরের বাচ্চাদের তা নেই। গ্রামের মাটির পথ অনেক দিন দেখিনা আপনার লেখায় কল্পনায় সেই পথ দেখতে পেলাম। সত্যিই স্মৃতি কাতর করে দিলেন।


দাদা তোমায় শৈশবটা
অনেক মজার ছিল,,
তোমার লেখা শৈশবটা
দারুন মজা দিল,

অজ পাড়াগাঁয় গ্রামটি
রাস্তাগুলো কাঁচা
ক্রিকেট খেলায় উইকেট
ছেড়ে নিজেকে বাঁচা।

অবশেষে ইন্দ্ররা ও
হারলো তোমার কাছে
শক্তির চেয়ে বুদ্ধি বড়
মানল তারা পাছে
♥♥


মুগ্ধ হয়ে পড়ছিলাম আর নিজের শৈশবের কথা ভাবছিলাম। সেই সময়ের দিনগুলোকে সত্যিই কোনদিন ভুলা যাবে না। আপনার ছোটবেলার দাদাগিরির ঘটনা গুলো সত্যিই খুব মজার ছিল।

আমি দশম শ্রেণী পর্যন্ত গ্রামে বড় হয়েছি এবং আমাদের অঞ্চলটি অনেকটা চর এলাকা যা প্রায় অজ পাড়াগাঁয়ের মত। আর আমার জীবন থেকে এটা উপলব্ধি হয়েছে যে, মূলত দুরন্ত শৈশব কেবলমাত্র গ্রামেই খুঁজে পাওয়া যায় যেটা শহরের জীবনে একেবারে অসম্ভব কারণ এত বিভিন্ন রকমের খেলাধুলা এবং আনন্দ আড্ডায় আমরা মেতে থাকতাম যা শহরের ছেলে মেয়েদের পক্ষে চিন্তা করাই অসম্ভব।

শহরের অনেক ছেলেমেয়ে ছোট একটা গাছে উঠতে ভয় পাবে কিন্তু আমরা কত রকম গাছে যে উঠেছি আর কত রকম খেলাধুলা আর দুরন্তপনা যে করেছি তা হিসাব করে বলা মুশকিল।

ধন্যবাদ আপনার শৈশবের স্মৃতিচারণ করার জন্য যা আমার শৈশব কে আজ মনে করিয়ে দিয়েছে।

প্রতিহিংসা শুধুই প্রতিহিংসা-কেই ডেকে আনে, প্রতিশোধ শুধুই আরেকটি প্রতিশোধেরই জন্ম দেয়; কিন্তু কোনো সমাধান আসে না কখনোই ।

আপনার উপরের লাইনের কথাগুলোর সাথে আমি একমত। আপনার প্রতিটি পোস্ট পড়ে অনেক শিক্ষা,দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়। এটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

খুবই চমৎকার কাহিনী পড়লাম এবং কিছু শিখলামও বটে।

প্রতিহিংসা শুধুই প্রতিহিংসা-কেই ডেকে আনে, প্রতিশোধ শুধুই আরেকটি প্রতিশোধেরই জন্ম দেয়; কিন্তু কোনো সমাধান আসে না কখনোই ।

খুব ভালো লেগেছে আপনার এই ধরনের মানসিকতা দেখে, যেটা আপনি সেই ছোট্ট বেলা হতেই লালন করে আসছেন। আমার জীবনের এই রকম ঘটনা আছে, দল বেঁধে এবং গ্রুপিং নিয়ে আমিও চলতাম। তবে আমার সাথে কেউ কোন দিন পেরে উঠতে পারে নাই কারন আমাদের এলাকার তিনটি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের ছেলে ছিলো আমার ক্লাসমেট এবং তিনজনেই আমার বন্ধু ছিলো। সুতরাং সব সময়ই নিজের একটা ভাব ছিলো ক্লাসে হে হে হে। কোন প্যারা ছিলো না আমার কিন্তু অন্যদের ঠিকই প্যারায় রাখতাম।

আমার ছোটকাল টাও আপনার মত গ্রামে কেটেছে। তবে আমি এখন গ্রামেই থাকি। আমার গ্রামে কারেন্ট আসে যখন আমি ক্লাস টু তে পড়ি ওই 2009 সালের দিকে। এবং মোটামুটি আমার স্কুলটাও আমার বাড়ি থেকে দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে।আমি ওই এক ঘন্টা আগে বাড়ি থেকে বের হতাম।আমাদের গ্রুপের দুজন মেয়ে সহ আমরা চারজন ছিলাম।অনেকটা আপনার ছোটবেলার সাথে মিলে যায়।এবং খেলাধুলার কথা কি বলব খেলা ধুলার ক্ষেত্রে আমি সবসময় আমার দলকে নেতৃত্ব দিতাম। কারণ খেলাধুলার প্রতি ছোটবেলায় থেকে আমার একটা ঝোক ছিল।এবং খুব ভালো বুঝতাম। কিন্তু আমার নেতৃত্ব দেয়া খেলা এর অধিকাংশই আমরা হেরেছি। তবে হ্যাঁ যেদিন জিতেচি প্রতিপক্ষকে একেবারে গো হারান হারিয়েছি। এমন হয়েছে আমরা 11 জন ব্যাটিং 12 রানে আউট এবং বিপরীত দলকে 10 রানে অলআউট করেছি। তাহলে ভাবুন। এবং আমাদেরও প্রতিপক্ষ ছিল ছোটবেলা কিন্তু আমরা কখনো আপনার দলের মত ঐরকম সম্মুখ সমরে যায়নি। আপনার সাহস আছে বলতে হয় দাদা ওইটুকু বয়সেই সংখ্যালঘু হয়েও চোখে চোখ রেখে কথা বলা চাট্টিখানি কথা ছিল না।

সত্যিই শৈশবকাল টা তখনই মজার ছিল। গ্রামের শৈশবকাল খুবই মজাদার একটি মুহূর্ত। সন্ধ্যার সময় যখন কারেন্ট থাকতো না আমরা সকলে এক জায়গায় বের হতাম লুকোচুরি খেলতাম। কত আনন্দ কোন টেনশন ছিল না ভবিষ্যৎ নিয়ে। আসলেই গ্রামে অনেক আনন্দ উদযাপন হয়।আসলেই আপনারাই স্কুলে যাওয়ার জন্য অনেক কষ্ট পরিশ্রম করেছেন। এর জন্যই আজকে সফল।

ওদের দলের কেউ আম্পায়ার হলেই আমাদের শরীরের কোথাও বল টাচ করলেই এলবিডাব্লিউ আউট দিয়ে দিতো। অদ্ভুত

  • জোর যার মুল্লুক তার এটা মনে হয় ঘুষ দিয়ে করত। এটা খুবই অন্যায় আমাদের এখানেও হয়ে থাকে গ্রামাঞ্চলে। এটা বেশিরভাগ হয়ে থাকে গ্রাম অঞ্চলে। আউট দিতে চায়না।

তবে বেশিদিন আমি গ্রামে ছিলাম না । ক্লাস ফোরে উঠেই সেই যে শহরে পাড়ি দিয়ে চিরদিনের জন্য ইট বালি কংক্রিটের দেয়ালে বন্দী হয়ে গেলাম, আর কোনোদিন বেরোতে পারলাম না । গ্রামে আর ফেরা হয়নি কোনোদিন । মুছে গেলো জীবনের একটা বৈচিত্রময় অংশ ।

*সত্যি দাদা আসলে গ্রামের মুহূর্তরা খুবই মিস করছিলে। আপনি শহর অঞ্চলে চলে আসলেন চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি। খেলাধুলার জন্য কোন অবস্থায় থাকে না সবসময় রুমের ভীতর।

দাদা পুরোটা গল্প পড়তে আমার আধাঘন্টা সময় লেগেছে , আর এই আধা ঘন্টা সময়ে আমি চলে গিয়ে ছিলাম আপনার সেই শৈশব কালে , প্রতিটা কথা আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছিলো , দাদা কতটা সুন্দর ছিল আপনার শৈশব কাল , আমি আজ পর্যন্ত অনেক গল্প পড়েছি কিন্তু কিন্তু দাদা এতটা মজা আমি পাইনি , দাদা আপনার ছোটবেলার প্রতিটা আচরণ দেখে বুঝা গেলো আপনি কতটা বুদ্ধিমতি আর ভালো মন মানুষিকতার মানুষ ছিলেন , আর এখনো আছেন। আমরা ও আপনার মতো ছোট বেলায় অনেক দুষ্টমি করেছি কিন্তু আপনার শৈশব কাল অনেক আলাদা আমাদের কাছ থেকে , অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা , আর কিছু বলার নেই।

দাদা আপনার নেতৃত্বগুণের এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে তা জানি তবে ছোটবেলা থেকেই যে নেতৃত্বগুণ আপনি অর্জন করেছেন তা সারাজীবন আপনার মাঝে বই থাকবে আরেকটা বিষয় হচ্ছে হিংসা বিদ্বেষ হানাহানি করে কখনো কারো মন জয় করা যায় না অন্যায় করে কখনো পাওয়া যায় না আপনি সব সময় সব ছিলেন ন্যায়ের পক্ষে ছিলেন বলেই আপনি সবার চোখের মনি হয়েছেন আর ছোট বয়সে অথবা আমাদের মেয়েদের ভিতরে এরকম দলাদলি ছিল না বললেই চলে খুব কম তারা এসব নিয়ে ভাবি না তবে ছেলেদের দেখতাম আমাদের কলেজগুলোতে দলাদলি চলত হানাহানি চলত ছেলেদের নামে অভিযোগ আসছে আমাদের কাছে এই অভিযোগটি তাদের ক্লাসের অধিকাংশ সময় ব্যয় করত অর্থাৎ প্রতিটি জায়গায় প্রতিটা সময় প্রতিটা স্টেজে বখাটে ছেলেদের থেকেই যাবে তাদের তুলনা করার জন্য আপনাদের মত যোগ্য ব্যক্তিরা সবসময় এগিয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক ধন্যবাদ দাদা আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার শৈশব সম্পর্কে।

দাদা আপনার শৈশবের পড়তে পড়তে রবীঠাকুরের একটি গানের কয়েক টি লাইন মনে পড়ে গেল।

(আমার যে দিন ভেসে গেছে
নিবিড় সুখে, মধুর দুখে
জড়িত ছিল সেই দিন
দুই তারে জীবনের বাঁধা ছিল বীন)

আমাদের শৈশব ও কেটেছে ঠিক আপনার মতই অনেকটা । দাদা আপনার স্কুলের সাথী কিংবা ইন্দ্রর দলের সাথে আর কি কখনও দেখা হয়েছে ? আর কি কোন দিন গ্রামে যান নি ? এখন কি সেই নীরবতায় ঘেড়া রাস্তা টি আছে ? আপনার কি কখনও জানতে ইচ্ছে করে কিংবা দেখতে ইচ্ছে করে ?

সত্যি সুন্দর ভাবে বর্ননা করেছেন আপনার শৈশবের স্মৃতি বিজরিত দিন গুলো। ভাল থাকবেন দাদা । শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায়
রইলো না রইলো না
সেই যে আমার
নানা রঙের দিনগুলো

আপনার পোস্টটা পড়ে এই গানটা মনে পড়ে গেল। ছোট বেলায় আমিও কিছু দিন গ্রামে কাটিয়েছি। চমৎকার ছিলো সেই সময়টা। আপনার পোস্ট পড়ে নিজের শৈশবে ফিরে গেলাম ক্ষণিকের জন্য। ধন্যবাদ দাদা।

  ·  3 years ago (edited)

শৈশবের সোনালী দিনগুলোর কথা কার না ভালো লাগে বলুন? আপনার এই স্মৃতি গুলো দেখে আমার শৈশবের স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেল।আমিও ছোটবেলায় এক বছর আমাদের গ্রামের স্কুলে গিয়েছিলাম ।সেখানে পায়ে হেঁটে যেতাম যদিও বেশি দূর ছিলনা একেবারেই কাছে ।তারপরও খুব মজা হতো যখন চাচাতো ভাই বোন সহ সকলে মিলে একসঙ্গে স্কুলে যেতাম। স্কুলে যাওয়ার পথে সবচেয়ে মজার ব্যাপার ছিল একটি নদী পার হতে হতো, সাকো দিয়ে পার হতে হতো ।নদীর ওপারে ছিল আমাদের স্কুল, যাওয়ার পথে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে হেঁটে যেতে হতো জঙ্গলের মাঝে নানা ধরনের বুনো ফলমূল, খুব উপভোগ করতাম।

আপনার স্মৃতিগুলো যেনে খুব ভালো লাগলো। ছোটবেলা থেকেই আমি অনেক শান্ত প্রকৃতির, নরম ও উদার মনের মানুষ যা আমাদের সকলেরই মন কেড়ে নেয়।

প্রত্যেকের জীবনেই বাল্যকালের মধুর স্মৃতি রয়েছে। এই মধুর স্মৃতি গুলোর মাঝে মিশে রয়েছে হাজারো দুষ্টু মিষ্টি গল্প ও কাহিনী। দাদা আপনার পোস্টটি পড়ে আমার বাল্যকালের সেই মধুর স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। আমিও আপনার মতই বাল্যকালে একটু নেতা স্বভাবের ছিলাম। আমার পিছে সবাইকে নিয়ে ঘুরতে ভাল লাগত। নেতা নেতা একটা ভাব ছিল আমার মধ্যে। যদিও স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে আমাকে নেতা মানাত না কিন্তু আমার উপস্থিত বুদ্ধির জন্য আমার প্রিয় বন্ধুরা আমাকে নেতা মানতো। ছোটবেলার সেই দুষ্টুমি গুলোর কথা মনে পড়ে গেল। আমি একবার আমার বন্ধুদের নিয়ে আমার এলাকার এক লিচু বাগানে লিচু চুরি করতে গিয়েছিলাম। এরপর সবাই মিলে অন্যের গাছের পেয়ারা চুরি করেছিলাম। মাঝে মাঝে দলবেঁধে যাত্রা গান শুনতে গিয়েছিলাম। সেই স্মৃতিগুলো আজ মনে পড়ে গেল। তবে বন্ধুদের কাছে আমি যেমনি হই না কেন আমি আমার ক্লাসে সেরা ছিলাম। স্যার আমাকে খুবই ভদ্র এবং শান্ত প্রকৃতির ভাবতো। আসলে তো প্রকৃতপক্ষে আমি কেমন ছিলাম তা তো আপনাদেরকে বলেই দিলাম। যাইহোক দাদা আপনার শৈশবের বিভিন্ন স্মৃতিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এটা জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। আপনার এবং আপনার বাল্যকালের সেই শিষ্যদের জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।

পুরো ঘটনাটা পড়লাম ☺️ খুব ভালো লাগলো পড়ে। আর অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ছোট বেলায় আমি ভীষণ শান্ত স্বভাবের ছিলাম তবে ইন্দ্রের মতো আমারও একটা শত্রু ছিল যে আমার শান্ত থাকাটা পছন্দ করতো না। সে চাইতো তার সাথে আমিও বদমাইশি করি। যখন তার বিরক্তি চরম মাত্রায় পৌছায় তখন একবার তাকে চ্যাংধোলাই দিয়েছিলাম। আপনার গল্পটা পড়তে পড়তে সেই স্মৃতি গুলো মনে পরে গেল।

দাদা আপনার ছোটবেলার গল্পটি পড়ে আমাকে খুবই ভালো লাগলো। ছোটবেলার কাটানো দিন গুলি সারা জীবন স্মৃতি হিসেবে রয়ে যায়। ছোটবেলায় কমবেশি সবাই এরকম বদমাশ ছিল।

আমাদের দলের যেই সেদিন umpire হতো নিরপেক্ষভাবে সে বিচার করতো । কিন্তু অন্যদলের ছেলেগুলোর আচরণ আমাদের ব্যথিত করতো । পপিং ক্রিজের পাঁচ হাত দূরে থাকতে উইকেট ভেঙে দিলেও আউট হতে চাইতো না, umpire এর সাথে তর্ক করতো । অথচ, ওদের দলের কেউ আম্পায়ার হলেই আমাদের শরীরের কোথাও বল টাচ করলেই এলবিডাব্লিউ আউট দিয়ে দিতো। অদ্ভুত !

আসলে দাদা নিজের বিবেক বলতে কিছু নেই, ক্ষমতার অপব্যবহার।

অবশেষে আপনি ইন্দ্র আর গৌরাঙ্গ গ্রুপকে নিজের নেতৃত্বে হার মানিয়ে দিয়েছে। আসলেই দাদা যেখানে শক্তি দিয়ে কোন কিছু করা সম্ভব না হলে বুদ্ধি দিয়ে করতে হয়। আপনি তার প্রমাণ দিয়েছেন।

তবে শেষমেষ আপনার কথা রেখেছে । ইন্দ্রকে এয়ার গানটা দিয়ে শহরে চলে গিয়েছেন।

ধন্যবাদ দাদা আপনার ছোটবেলার স্মৃতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

"মিটমিটে শয়তান ছিলো দুটোই, বদবুদ্ধিতে ঠাসা"

আপনার লেখা এই লাইনটি আমার বেশ ভাল লেগেছে। মিটমিটে শয়তানদের একটু বুদ্ধি বেশি হয়। দাদা আপনার ছেলেবেলার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। তবে দাদা আপনি ছোটবেলায় দেখছি দারুন দুষ্টু ছিলেন। আপনার এই লেখাগুলো পড়ে ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল। নিমিষেই হারিয়ে গেলাম সেই ছেলেবেলার স্মৃতি গুলোর মাঝে। আমিও আপনার মতই ছোটবেলায় আমার বাসা থেকে অনেকটা দূরে স্কুলে পড়তাম। এখন যেমন যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হয়েছে সেসময়ের যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ ছিল। মাঝে মাঝে রিক্সা পেতাম আবার মাঝে মাঝে হেঁটে স্কুলে যেতাম। তবে আমি আপনার মত এত দুষ্টু ছিলাম না। কেন জানি আমাদের শৈশবের স্মৃতি গুলো একই রকমের। আমাদের শৈশবে কাটানো মুহূর্তগুলো ও দুষ্টুমি গুলো সবগুলোর সাথেই মিল রয়েছে। কারণ আমরা সেই বয়সে একই মানসিকতায় বড় হয়েছি। তাই আমাদের দুষ্টুমির ধরনগুলো একই রকমের ছিল।

দাদা আপনার মতো আমারো বেড়ে ওঠা একদম অজ পারা গ্রামে যেখানে মাত্র তিন বছর হলো বিদুৎ এসেছে এবং রাস্তা গুলো এখনো কাচা রয়েছে।আগের দিন গুলো কেমন জেনো শুধুই সৃতি হয়ে আছে হেরিকেন এর আলোয় পড়া আর রাত ৭ টা বাজলেই মনে হতো কতোটা রাত হয়ে গিয়েছে ঘুমাতে হবে।সত্যি সব দারুন মুহুর্ত ছিল।ছেলে বেলায় সব থেকে বেশি সৃতি তাদের যাদের বেড়ে ওঠা টা গ্রামে ছিল।

লাস্টে যে ঘটনা বলেছেন এটা আমাদের সাথেও হতো।অনেক সময় তখন ক্লাস ৭ এ পরতাম বড় ভাইদের সাথে বাজিতে টিফিন টাইমে ক্রিকেট অথবা ফুটবল খেলা নিতাম আমাদের দারুন খেলায় তারা গো হারা হেরে যেতো তবে শক্তিতে তারা ছিল খুবই তূখর আমাদের কে অনেক ভাবে ভয় দেখাতো।কিছু কিছু ছেলেরা ভয় পেলেও সবাই পেতো না।শেষ মেষ আমরাই জিতে যেতাম।

সত্যি দাদা পোস্টি পড়ে আবার সেই ছোট বেলা টাকে মনে পরে গেলো।

এত সুন্দর শৈশবের স্মৃতি গুলো আপনি তুলে ধরেছেন দাদা খুবই ভালো লেগেছে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে। আপনার এই শৈশবের স্মৃতি গুলো পড়ে আমি ও আমার ছোটবেলায় চলে গিয়েছিলাম। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমরা আমাদের গ্রামের বাড়িতে গেলে সবাই মিলে এভাবে খেলাধুলা এবং মানুষের খেত থেকে , গাছ থেকে বিভিন্ন জিনিস চুরি করে খেতাম ।এমনকি রাতের বেলায়ও রসের হাড়ি থেকে রস চুরি করে আমরা অনেক খেয়েছি ।ঠিকই দাদা আপনার মত বিপদের সময় সবাই যদি নিজেকে শান্ত রাখতে পারতো তাহলে তো ভালই হতো।কিন্তু কোন বিপদের সময় অথবা রাগের সময় মাথাইতো ঠিক থাকেনা। আপনি কত সুন্দর ঠান্ডাভাবে ইন্দ্র গ্রুপের সাথে বুদ্ধি দিয়ে মীমাংসা করলেন। আমি যখন পড়ছিলাম তখন আমার মনে হচ্ছিল ইন্দ্রকে কি দাদা এয়ার গানটি দিয়েছিল পরে দেখলাম যে আপনি দিয়েছিলেন। আপনার লেখাটি পড়ে মাঝে মাঝে অনেক হাসি হাসি হয়েছে আপনাদেরকে পিটিয়ে পরোটা বানাব এই লেখাটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে পিটিয়ে আবার পরোটা বানানো যায়। খুবই ভালো লাগলো দাদা আপনার শৈশবের স্মৃতি চারন দেখে। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

দাদার শৈশবের গল্প টি পরে খুব ভাল লাগল। নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আসলে সুখের সময় গুলো শেষ হয়ে গেলেই তার মর্ম বুঝা যায়। ছোটবেলা থেকেই লিড দেওয়ার অনেক ভাল একটি গুণ আছে আপনার। তবে একটা কথা ঠিক বলেছেন দাদা, এলাকায় গ্রুপে গ্রুপে খুব ভাল একটা সম্পর্ক না থাকলে এরা শোধ নিতে চায় ক্রিকেট ম্যাচের মাধ্যমেই। এই ধরনের ঝামেলা প্রায়ই লাগত আমাদের। কখনো তাদের আম্পায়ার নিরপেক্ষ বিচার না করলে আমরাও করতাম না। তবে সব মিলিয়ে খুব ভাল ছিল সময়গুলো যা এখন শুধুই স্মৃতি মাত্র।

কিযে দারুন লাগলো আপনার ছোটবেলার কাহিনী গুলো পড়তে। ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলার সময় একটা সমস্যা প্রায়ই দেখতাম । যার ব্যাট বল তাকে প্রথমে বল করতে দিতে হয় অথবা ভ্যাট দিতে হয়। তা না হলে সে ব্যাট-বল নিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার হুমকি দিত।

আপনার লেখাগুলো পড়তে পড়তে আমি আপনার শৈশবের মধ্যেই কেমন যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষের দিকে এসে সত্যিই খুবই খারাপ লাগছে। ছোটবেলার সেই ফেলে আসা স্মৃতিগুলো আপনার সহপাঠীরাও হয়তো মনে লালন করে আছে। আপনার মত তারাও হয়তো আপনাকে খুব মিস করেছিল। শৈশবের সোনালী দিনগুলো ফেলে আসা সত্যিই খুবই কষ্টের।

আপনার সহপাঠীরা অনেকেই হয়তো আপনার বর্তমান অবস্থা জানেনা। কিন্তু বর্তমান অবস্থা যদি জানতো তাহলে তারা খুবই গর্বিত হতো। তারা গর্বিত হত এটি ভেবে যে তাদের একজন সহপাঠী এত বড় দিলের মানুষ।

ওই সময়টায় যারা গুন্ডা প্রকৃতির ছিল, তারাও হয়তো এখন বড় হয়ে অনেক ভালো মনের মানুষ হয়েছে। তাদের মনেও আপনার সাথে কাটানো সময় গুলো শুধু স্মৃতি হয়ে রয়ে গেছে।

দাদা চমৎকার চমৎকার চমৎকার ।এক কথায় অসাধারণ একটি গল্প লিখেছেন। আপনার ছেলেবেলার গল্পটি আমি পড়ছিলাম আর আপনাদের সবাইকেই আমি কল্পনার চোখে দেখছিলাম। পুরো গল্পটা যেন আমার চোখের সামনে হয়েছিল এমন ভাবে উপভোগ করেছি। দারুন লেগেছে আমার কাছে আপনার ছেলেবেলাটা ।আপনি খুব সুন্দর ইনজয় করেছেন। আর সে কি নেতৃত্ব দিয়েছেন আপনি সেটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। আপনি ছোটবেলা থেকেই যে নেতৃত্ব দিয়েছেন তা আজও বর্তমান আছে। মানুষের জীবনে শৈশবের স্মৃতি সত্যিই অনেক মজার হয়ে থাকে। দাদা আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার শৈশবের এত সুন্দর স্মৃতি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।

আপনার গল্পটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে, এই গল্পটি পড়ে আমি ছোটবেলায় চলে গিয়েছি, কারণ ছোটবেলা আমার নানা ঘটনার সাথে আপনার ঘটনার অনেক মিল রয়েছে। আমিও ছোটবেলায় হেঁটে হেঁটে স্কুলে যেতাম এবং আমার ক্লাসে আমি সবচাইতে ছোট ছিলাম। কিন্তু ছোট হলেও আমার দাদা ছিল এই স্কুলের মাস্টার। যার কারণে আমার দাদা মাস্টার হওয়ার জন্য আমাকে দেখে সবাই ভয় পেত এবং আমার কথায় সবাই শুনতে। আমি অনেক দুষ্ট ছিলাম কিন্তু আমার দাদা থাকার কারণে কেউ বিচার দিত না। সবাইকে ধরে ধরে মারতাম এবং সকলের ভালো ভালো টিফিন আমি খেয়ে ফেলতাম। আমার দলেও অনেকি ছিলো। একদিন আমি ক্রিকেট খেলতে একজনের বল নিয়ে চলে আসছিলাম।সে বল চাইতে আমার কাছে আসলেই তার মুখে বল ছুড়ে মারলাম এবং নাক দিয়ে রক্ত বের হলো। দিন গুলো খুব মনে পরছে। মজার ছিল সেই ছোটবেলার গল্প গুলো।

দাদা আপনার গল্পটি পড়ে আমরা সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমিও গ্রামে বসবাস করেছি এবং গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে আমি পড়াশুনা করেছি, গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে হেঁটে যেতাম, বন্ধুদের সাথে হেঁটে যেতে যেতে কত দুষ্টামি মারামারি করতাম। আপনি দলের প্রধান ছিলেন এবং আপনিও আপনার কান মলা দিয়েছেন এবং বন্দুদের টিফিন খেয়েছেন। এই কথাগুলো পড়ে আমার সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল, আমিও আমার ক্লাসের সহপাঠীকে কান মলা দিয়েছি অনেক। সেই কথাটি মনে পরে গেল। বন্ধুদের সাথে কত দুষ্টামি করতাম, টিফিন খেয়ে ফেলতাম। একদিন আমার বন্ধু টিফিন খেয়ে ফেলেছিলাম সে অনেক কান্না করে স্যারকে বলে দিয়েছিল, স্যার আমাকে মাঠের ভিতর কান ধরে দাঁড়িয়ে রেখেছিল। আপনার গল্পটা পড়ে সত্যিই আমি সেই ছোটবেলার ছোটবেলায় চলে গেছি। অনেক ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আপনার গল্পটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো, বিশেষ করে আপনি দুই কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে চলেছেন, পায়ে হেঁটে হেঁটে এই দুই কিলোমিটার পথ বন্ধুদের সাথে এত পথ আপনি মজার সাথে হেঁটেছেন, সত্যিই অবাক দুই কিলোমিটার পথ এখন আর কেউ হাঁটতে যায় না।এটি অনেক কঠিন কাজ, কিন্তু তারপরেও আপনি বন্ধুদের সাথে দুই কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়েছেন।ইন্দ্র গ্রুপ যখন আপনাদেরকে পাকড়াও করেছিল তখুন খুব খারাপ লাগছে।ভয় ও পেয়েছি ভেবেছিলাম আপনারদের উপরে বড় বিপদ হয়তো আসবে কিন্তু পরে আপনারা সবাই সুস্থ ভাবে বাড়ি ফিরেছেন এটা পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। পরের অংশটুকু অপেক্ষা রইলাম।

দুই কিলোমিটার হেঁটে যেতেন শুনে খুব অবাক হলাম। কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে মিলে যাওয়ার মজাই মনে হয় আলাদা ছিল। আপনার লিখাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। মনে হচ্ছিল যে আমি ওই মুহূর্তে পৌঁছে গিয়েছি। ইন্দ্র গ্রুপ যখন আপনাদেরকে পাকড়াও করেছিল তখন খুবই ভয়ে ভয়ে পরেরটুকু পড়েছি। ভাবছিলাম যে শেষে কিনা অবস্থা হয়েছে আপনাদের। যাক সব শেষে আপনারা সবাই সুস্থ মত বাড়িতে পৌঁছাতে পেরেছে এটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার মন যে আগাগোড়া খুব ভালো তা আপনাকে দেখলেই বোঝা যায়। দাদা এর পরের লেখার অপেক্ষায় রইলাম।

চিরদিনের জন্য গ্রাম ছেড়ে শহরে আসার আগে আমার কাকার এয়ার গানটি আমি ইন্দ্রকে দান করে এসেছিলাম ।

এই ব্যাপারটা পড়েই কেমন একটা ভালো লাগা কাজ করলো দাদা।মানে হয়না গল্পটা পড়ছি তবে শেষটা একদম মনের মতো হলো।ঠিক তেমনটাই।
সেদিন যদি এইসব এর আগুনকে জ্বালিয়ে রাখতেন তাহলে হয়তো কোনো বিপদ হতো।তবে আপনি তা করেননি। কি সুন্দর এক নিমিষেই সব কিছুর সমাপ্তি করে ফেললেন।এখানেই আসলে ভালো মনের মানুষদের আলাদা করা যায়। ভালো মনের মানুষদের কাজ গুলো এমন ই হয়।
তবে লিডার ছিলেন তা জানা ছিলো, তাহলে ছোট থেকেই এই স্বভাব।তাইতো বলি এতো শান্ত থাকেন কি করে দাদা।

দাদা আপনার শৈশোবের সাথে আমারও শৈশবের কিছু মিল আছে। আমার শৈশব কেটেছে গ্রামে, জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় হচ্ছে শৈশবকাল। এই জীবন একবার গেলে আর ফিরে আসে না, পরবর্তীতে বাবার চাকরির সুবাদে শহরে আসি, আসলে শহরের ইট-পাথরের পরিবেশ টা তেমন ভালো লাগে না, সেই গ্রামই টানে। মাঝে মাঝে গ্রামে চলে যাই,ছোটবেলার সেই দুরন্ত বন্ধুদের সাথে দেখা করি, মজা করি আড্ডা করি।

খুব সুন্দর লিখেছেন দাদা💓💓💓শুভকামনা 💓

একদমে পড়ে নিলাম সব লেখা।এত ভালো লাগছিল পড়তে যে আমার ছোটবেলার জীবনের সঙ্গে কিছুটা মিলে যায়।এত সুন্দর করে সাজিয়ে লিখেছেন দাদা,মনে হচ্ছিল আস্ত একটা কিশোরের মজার গল্প পড়ছি।মাঝে মাঝে হেসে ও ফেলেছি।ছোটবেলায় গ্রামের রাস্তা ধরে হেঁটে যাওয়ার মধ্যে আলাদা একটি আনন্দ ও উদ্দাম কাজ করত মনে।আমিও যেহেতু সেই প্রাইমারি স্কুলটা গ্রামেই পড়েছি,তাই অনুভূতি গুলি দারুণ উপভোগ করেছি।এখন খুবই মিস করি দিনগুলো, সেই চিরচেনা ছেলেবেলাকার বন্ধুগুলিকে।গ্রামের অধিকাংশ স্কুলগুলি কো-এড ছিল।তবে একদম বাড়ির পাশেই আমার স্কুল ছিল।দূর থেকে পড়তে আসতো অনেকে সেখানে।সময়গুলো সব কেমন হারিয়ে গেছে, শুধু স্মৃতি হয়ে রইয়ে গেছে মনে।আপনার কৈশোরের স্মৃতিচারণটি বেশ সুন্দর ছিল দাদা।এইরকম কিছু জীবন থেকে নেওয়া গল্প আর ও শুনতে চাই।ধন্যবাদ আপনাকে।

শেষ পর্যন্ত ইন্দ্র এর গ্রুপ পারল না আপনার সাথে, আপনি প্রমাণ করে দিলেন শরীরে বলের চেয়ে বুদ্ধির বল অনেক বেশি শক্তিশালী । ছোটবেলায় আপনি যেমন লিডার ছিলেন তেমনি রয়ে গেছেন, আপনার মত একটি লিডার পেয়ে আমরা গর্বিত। আপনার ছোটবেলার দিন গুলো পড়ে আমারও আমার পুরনো বন্ধুদের কথা গুলো মনে পড়ে যাচ্ছিল,🙂 তাদের সাথে আমাদের এমনই টক্কর হত। এখন সবাই কোথায় চলে গেছে শুধু রয়ে গেছে স্মৃতিগুলো। আমার একটা বিষয় ভেবে অনেক ভালো লাগছে, আপনার বয়স ছিল অল্প সে তুলনায় আপনার বুদ্ধি অনেক প্রখর ছিল সেজন্য আপনার চেয়েও বয়সী বড়রাও আপনাকে প্রাধান্য বেশি দিত। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর কিছু স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আপনার লেখনি পড়ে শৈশব মনে পড়ে গেল। আমিও গ্রামে বড় হয়েছি গ্রামের স্কুলে লেখাপড়া করেছি। তবে যুগের পরিবর্তনের কারণে কাঁচা রাস্তার দেখা পায়নি। এখন তো সব দিকেই পাকা রাস্তা। আর ছোটবেলায় এলাকাভিত্তিক দু চারজন ছেলে মেয়ের সাথে মারামারি করা ছিল নিত্যদিনের রুটিন। আপনার গল্পের সাথে আমার বাস্তব জীবনের বেশ মিল আছে। এখনো ইচ্ছে হয় শৈশবে ফিরে যেতে। আপনার লেখনি দারুন ছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।

top work

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



দাদা,আপনার শৈশবের সেই স্মৃতিময় মুহূর্তগুলো পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। কারণ আমি গল্প পড়তে খুব পছন্দ করতাম, কিন্তু বিভিন্ন কারণে এখন আর সময় করে গল্প পড়া হয় না। তবে আমি মাধ্যমিকে পড়াকালীন প্রতি সপ্তাহে ১/২ টা গল্পের বই নিতাম স্কুলের লাইব্রেরি থেকে, পড়ার জন্য৷ আমি আনন্দ পেতাম সেই গল্পগুলো পড়ে। তবে আজ আপনার পোস্ট পড়ে সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। মনে হলো কোনো এক ছেলের গল্প পড়তেছি। খুব ভালো লেগেছে দাদা। এরকম আরো কিছু মূহুর্ত চাই গল্পএর মাধ্যমে উপভোগ করার।

দাদা আপনার কৈশোরের স্মৃতিচারণের কাহিনীটি পড়ে এই দৃশ্য গুলো যেন আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো। দাদা আপনার গ্রুপ ও ইন্দ্রদের গ্রুপের মধ্যে যে এয়ার গান নিয়ে সন্ধি হয়েছিল, এই বিষয়টি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। দাদা আপনি যে পরবর্তীতে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা ভাবেননি ব্যাপারটি প্রমাণ করে যে আপনি খুবই ভালো মনের একজন মানুষ। প্রতিশোধ শুধু আরেকটি প্রতিশোধের জন্ম দেয় ‌‌; কিন্তু কোনো সমাধান আসে না কখনোই। কথাটি যথার্থ লিখেছেন দাদা। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

অনেক ভালো লেগেছে দাদা,আপনার এই শৈশবের দিনের কাহিনি। যখন আমি পড়তেছিলাম তখন মনে হলো যে কোন এক গল্পএর বই পড়তেছি,মাঝে মাঝে হেসেই দি কিছু কথা পড়ে। আসলেই স্মৃতির পাতায় গাথা হয়ে গেল সেই মূহুর্ত। সেটা আর ফিরে পাবার নয়।

top work

You are really doing the great job?

top work

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Please consider to approve our witness 👇

Come and visit Italy Community

দাদা ছোট বেলার স্কুল জীবনে কিছু না কিছু এমন ঘটনা আছে যা মনে হলে জীবন থমকে যায়।কারন এর সাথেই জীবন ওতপ্রত ভাবে জড়িত ভোলা যায় না ।কখন মনে পরে যখন সব ছেড়ে চলে যাই নতুন ঠিকানায় ।তখন ফেলে আসা সব কিছু মনে হয় পিছু ডাকে।দাদা আপনার ছোট বেলার গ্রামের ঘটনা পরে খুব ভালো লাগলো ।ইন্দ্রদের দল খুব জ্বালাইছে আপনাদের বুজা গেলো ।আবার পরে এয়ার গান ও দিলেন ।ধন্যবাদ দাদা ছোট বেলার ঘটনা শেয়ার করার জন্য।আমার মনে পরে গেলো ছোট বেলার কথা ।

অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা খুবই সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। দাদা আপনি এখানে প্রমাণ করে দিয়েছেন শরীরের বল বুদ্ধির বল এর কাছে তুচ্ছ। পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি ছোটবেলা থেকেই অনেক বেশি প্রখর বুদ্ধির অধিকারী। আর আমরা আপনার মত প্রখর বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের অধীনে কাজ করতে পেরে সত্যিই গর্বিত। দাদা আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

আপনার গল্পটি পড়ে আমার সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।
সত্যি সুন্দর ভাবে বর্ননা করেছেন আপনার শৈশবের স্মৃতি বিজরিত দিন গুলো।

এত সুন্দর একটা আপনার ছোটবেলার স্মৃতি আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। তবে আমার সবথেকে ভালো লেগেছে যখন ইন্দ্র আপনাদের উপর অ্যাটাক করতে এসেছিল এবং আপনি বুদ্ধি করে নিজেকে ও আপনার দলকে বাঁচিয়ে দিলেন। সত্যি ছোটবেলার স্মৃতি গুলো অনেক সুন্দর স্মৃতি।

আপনার শৈশবের স্মৃতিময় গল্পটি পড়ে আমার অনেক কিছু মনে পড়ে গেল আমার স্কুল জীবনের। যখন আমি মাধ্যমিক স্কুলে পড়াশোনা করি তখন আমিও আপনার মত ক্লাসের লিডার ছিলাম। শুধু ক্লাস বললে ভুল হবে 2016 সালে আমি যখন ক্লাস ৮ এ পড়ি তখন সম্পূর্ণ স্কুল-কলেজ মিলে ছাত্রনেতা নির্বাচনের জন্য ভোট হয়েছিল এবং আমি সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে হয়েছিলাম। স্কুলে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতায় আমি সবার আগে থাকতাম। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করে বেশ কয়েকবার বিতর্ক প্রতিযোগিতা দেওয়া হয়েছিল আমি প্রতিবার শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয়ে ছিলাম। এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমি অনেককিছু শিখেছিলাম। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে গেলে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান আহরণ করতে হয় নয়তো কথা বলা সম্ভব না। সব মিলিয়ে স্কুলের ফার্স্ট বয় ছিলাম। যাইহোক দাদা আপনি আমার মত সবাইকেই ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আগে আমার কাকার এয়ার গানটি আমি ইন্দ্রকে দান করে এসেছিলাম ।