ছোটবেলার ফল-পাকুড় চুরির কিছু মজার ঘটনা - "কাঁচা আমের গুঁটি চুরি"

in hive-129948 •  3 years ago 


Copyright free Image Source Pixabay


এমন কারো ছেলেবেলা খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর যারা ছোটবেলায় অন্যের গাছের ফল-পাকুড় চুরি করে খায়নি । আমার শৈশব হলো গে নব্বইয়ের দশকের । গ্রামের ছেলে । চারিদিকে প্রচুর ফল-ফলারির গাছে ভরা । শহরের মতো এতো বদ্ধ পরিবেশ নয়, উন্মুক্ত । গ্রামের প্রকৃতি যেমন খোলা উন্মুক্ত, গ্রামের মানুষেরও হৃদয় তেমনি খোলা এবং উদারতায় পূর্ণ । "বাচ্চারা ফল-পাকুড় চুরি করে খাবে" - এটা যেন একটি অলিখিত আইন ছিল । বড়রা এ নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামাতো না ।

তাই আমাদের ছিল একটি স্বপ্নের শৈশব । আমি মনে করি সময়ের সাথে সাথে মানুষ চেঞ্জ হয়ে আসে । নব্বইয়ের দশকে আমার জন্মের সময়কার গ্রামের মানুষদের যেমন দেখেছি এখন মনে হয় না তেমন সহজ সরল উদার মানুষ আর খুঁজে পাওয়া যাবে । পরিবেশ, পরিস্থিতি আর সময়ের স্রোতে মানুষগুলি কেমন যেন দিন দিন আরো স্বার্থপর, লোভী আর সংকীর্ণমনা হয়ে যাচ্ছে ।

তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক আমার শৈশবের কাহিনী - ফল চুরি করে খাওয়ার কিছু মজার স্মৃতি ।

প্রথমেই শুরু করি আম দিয়ে । আমি পাকা আমের চাইতে কাঁচা আমই বেশি পছন্দ করি সেই ছোট্টবেলা থেকে । এই সময়টাতেই, চৈত্র মাসে কাঁচা আমের ছোট ছোট গুঁটি পাওয়া যেত । কাল-বৈশাখী বা এমনি ঝোড়ো হাওয়াতে প্রচুর আমের গুঁটি নিচে পড়তো, এছাড়াও আম গাছের নিচু ডালগুলোতে প্রচুর পরিমানে আমের গুঁটির সন্ধান মিলতো । এই গুলো চুরি করার প্ল্যান হতো পুকুরে বাঁধানো ঘাটে বসে, বিকেলে মাঠ থেকে খেলাধুলা করে ফেরার পরে । প্রথমে আমরা এলাকা রেকি করতাম । কোন কোন গাছে ভালো মানের কাঁচা আমের গুঁটি প্রচুর পরিমানে আছে সেটা বোঝার জন্য কয়েকজনকে গুপ্তচর করা হতো । গুপ্তচরেরা অত্যন্ত সততার সাথে কাজ সারতো, নিজেদের বাগানের আম গাছ কেও তারা ছাড়তো না । গাছের খোঁজ পাওয়ার পরে আরেকটা দল পাঠানো হতো যারা গাছে চড়তে ওস্তাদ । তারা গুপ্তচরদের সাথে গিয়ে আরো একবার রেকি করে আসতো ।

এই ফাইনাল অনুসন্ধানে সঠিক গাছগুলো ফিল্টারেশন করা হয়ে যেত । যেসব গাছে ওঠা যেমন সহজ, নামাও তেমনি সহজ এবং গাছের ডাল যথেষ্ঠ নিচু সে সব গাছগুলোকেই শুধুমাত্র প্রাইম টার্গেট করা হতো । প্ল্যানিং শেষ । এবার অ্যাকশন । আমি ছিলাম দলনেতা । নিখুঁত প্ল্যান বানাতে আমার মাথার উপরেই সবার ভরসা ছিল । আমাদের মতো এত প্ল্যান করে চুরি করতে আরো কোনো গ্রূপের ছেলেদেরকে দেখিনি । তারা "ধর তক্তা, মার্ পেরেক" নীতিতে বিশ্বাস করতো । তাই তাদেরকে নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করতাম । একেবারে ছোটবেলা থেকেই আমি যে কোন কাজ প্ল্যান করে করতাম । তো, প্ল্যান অনুসারে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেই আমরা পুকুর পাড়ে হাজির হয়ে যেতাম । ফাইনাল মিটিং হতো - অতি দ্রুততার সাথে । দলের সবাই চারটি গ্রূপে ভাগ হয়ে যেত ।

প্রথম গ্রূপের কাজ হলো পাহারা দেওয়া । বড়দের কাউকে গাছের কাছাকাছি আসতে দেখলেই শিষ দিয়ে সতর্ক করা দলের বাকিদেরকে । দ্বিতীয় গ্রূপের কাজ হলো গাছের নিচু ডালগুলোতে চড়া এবং ভালো দেখে গুঁটি গুলো বোঁটা ছিঁড়ে ছিঁড়ে নিচে ফেলে দেওয়া । তৃতীয় গ্রূপের কাজ হলো নিচে পড়া সব আমের গুঁটি এক স্থানে কুড়িয়ে জড়ো করা এবং গামছা দিয়ে পুঁটুলি বেঁধে ফেলা । আর, চতুর্থ এবং শেষ গ্রূপের কাজ হলো গামছার পুঁটুলিগুলো খেপে খেপে পুকুরপাড়ে নিরাপদ স্থানে জড়ো করা ।

সব কাজ মিটে গেলে শুরু হতো ভোজন পর্ব । যে যত পারে ।প্রত্যেকের পকেটে থাকতো ঝিনুকের ছুরি । সেই ঝিনুকের ছুরি দিয়ে আমের গুঁটির ছাল ফেলে দিয়ে কাঁচা লঙ্কা আর নুন দিয়ে কচমচ কচমচ । কিছুক্ষন, আর কোনো শব্দ পাওয়া যেত না । শুধু, কচমচ আর কচমচ ।

খাওয়া শেষ হলে । প্রত্যেককে বাকি গুঁটি গুলো সমান ভাগ করে দিতাম বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য । দলনেতা হওয়ার সুবাদে প্রত্যেকের ভাগের থেকে বাড়তি দুটো করে গুঁটি আমার প্রাপ্য হতো । সেগুলো প্যান্টের পকেটে ভরে আমরা সবাই ভালো ছেলের মতো মুখটি করে যে যার বাড়িতে গিয়ে মুখ ধুয়ে পড়তে বসে যেতাম ।


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

হি হি হি,,,, এত চমৎকার একটি আম চুরি করার গল্প শুনে জিভে জল চলে এলো দাদা♥শৈশবে আমারও এমন অনেক কাহিনী আছে যা এখনো মনে করে একা একা হাসি।তবে দলনেতা হিসেবে আপনি একদম পারফেক্ট ছিলেন দাদা সেই ছোটবেলা থেকে।আপনার গল্প পড়ে কাচা আম লবন মরিচ এবং ধনেপাতা দিয়ে মেখে কচমচ করে খুব খেতে ইচ্ছে করছে।♥♥♥

হাহাহা, দাদা সত্যিই অনেক মজা পেলাম ঘটনাটি পড়ে। আর দলনেতা যে একটু বেশি পায় সেটি আমাদের বেলায়ও ছিল এবং খুব চমৎকার ভাবে আপনি প্লানিং করে বিষয়গুলো করেছেন। দলকে চারটি ভাগ করেছেন এবং চারটি দলের আলাদা আলাদা কাজ দিয়েছেন সত্যিই একদম নিখুঁত প্ল্যানিং এবং খুব সুন্দর ভাবে চুরির কলা কৌশল। যাইহোক দাদা আমারও একটি ঘটনা রয়েছে খুব শীঘ্রই আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব সেটি।

আপনার ছোটবেলার কাহিনীর সাথে আমার ছোটবেলার কাহিনীর অনেকটা মিল রয়েছে। গ্রামে বাস করে ছোটবেলার ফল চুরি করে খায় নি এমন ছেলে মেয়ে পাওয়া অসম্ভব। আপনার ছোটবেলার সাথে আমার ছোটবেলার কিছু মিল রয়েছে সেটা হলো আমার চাচাতো ভাইদের সাথে আমরা ও একসাথে ফল চুরি করতাম আবার মাঝে মাঝে লোক দেখে দৌড়ে পালাতাম

কি দারুণ দলনেতা। 🤪🤪

এতো প্ল্যানিং করে তো কেও কাজ ও করেনা।যতোটা প্ল্যানিং করে আম চুরি করতেন।😅
যাক পড়ে মজা পেলাম দাদা,আর আফসোস আমার শৈশবে এমন কিছুই ছিলোনা।

হাহহাহহাহহা। দাদা সব চাইতে বেশি মজা পেয়েছি সকাল ভোরে ফাইনাল মিটিং এর বিষয়টা। এমন ভাবে বললেন মনে হলো খুব বড় একটা প্রজেক্ট এর কাজ যা শেষ মিটিং করতে হয়েছে হাহহাহাহহাহ। আমি একা একা হাসলাম কিছু সময়।

@tipu curate 10

কি দারুন দল নেতা বাহ🤩
আমি স্কুল লাইফে সব কাজে লিডার বা দলনেতা থাকি তবে একটা কাজেই পারি না😔
সেটা হল গাছের আম চুরি করে খাওয়া 😁কারণ আমি গাছে উঠতে পারি না বলে আমারে আমার বন্ধুরা ঠকাতো আম কম দিত। আমার আম চুরি করে খাওয়ার গল্পটা শেয়ার করবো দাদা।
তবে আপনার গল্পটা বা ছোট্ট বেলায় আমের ঘুটি খাওয়ার প্লানিং টা বেশ মজার ছিলো দাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর মজার একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



দাদা অনেক ভালো লাগলো আপনার শৈশবের গল্প পড়ে। অনেক আনন্দে কাটিয়েছেন আপনি আপনার শৈশব। শৈশবে যদি কোন দুষ্টুমি না করি তাহলে সেই শৈশবের কোন মানেই থাকেনা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার শৈশবের মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

খুবই অবাক হয়ে গেলাম। ঝিনুকের মাঝখানটা একটু ভেঙ্গে সেই ঝিনুক দিয়ে আম এর খোসা ছাড়ানোর ব্যাপারটি তাহলে আপনারাও করেছেন। দুই বাংলার সংস্কৃতি ও অন্য সব কিছুই কেবল এক নয় বরং ছোটবেলায় শৈশবের কাজ ও মুহূর্ত গুলোও দেখি এক। কেন যে বাংলাকে তারা দুই ভাগ করেছিল!

দাদা,আপনার এই ছোটবেলার গল্পটা পড়ে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল, কারণ আমার গল্পটি ও এমনটাই ছিল।সেই ঝিনুক দিয়ে আমের খোসা ছাড়িয়ে নুন,ঝাল দিয়ে আম মাখানো দারুণ মজার ছিল।বেশ উপভোগ করলাম আপনার গল্পটি পড়ে।

আপনি শৈশবকালের অত্যন্ত সুন্দর একটি ঘটনা তুলে ধরেছেন। আমরা আগে বন্ধুরা মিলে অনেক আম কাঁঠাল লিচু এবং তরমুজ চুরি করতাম। যখন যে মৌসুমী ফল পাওয়া যায় তো সেই মৌসুম আমরা সেটারী চোর ছিলাম। এর জন্য বাড়িতে অনেকবার মার খেয়েছি। তবে কাজগুলোতে মার খাওয়াটা একটা মজার ব্যাপার হাহা। ধন্যবাদ দাদা আপনি অনেক সুন্দর একটি ব্লগ তৈরি করেছেন। আপনার জন্য সবসময় ভালোবাসা রইলো।

দাদা আপনার ছোটো বেলার ঘটনা আমাদের মাঝে খুবই চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি। কিছুক্ষণের জন্য মনে হচ্ছিলো কোন কাব্য উপন্যাস এর লেখা গল্পের মাঝে হারিয়ে গেছি।
বিশেষ করে আপনার লিডিং এর বিষয় টা এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যেন চোখে ভাসছিলো। আর সকলের একসাথে মিলে কচমচ কচমচ করে আম খাওয়ার দৃশ্য টা কল্পনা করতেই আমারও জ্বিভে পানি চলে আসলো। আমার আবার কাচা আম বেশি করে ঝাল ঝাল করে খেতে ভীষণ ভালো লাগে।

ধন্যবাদ আপনাকে দাদা আপনার সুন্দর স্মৃতিময় ছেলেবেলা আজকে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

These line never fails to relax my mind, and it also reminds me some sweet past memories, thank you so much for this awesome content

গুপ্তচরেরা অত্যন্ত সততার সাথে কাজ সারতো, নিজেদের বাগানের আম গাছ কেও তারা ছাড়তো না

হাহাহা.... প্রত্যেকের মধ্যে এতো সততা ছিল যে তারা নিজের গাছের আম ও চুরি করতে দুঃখ করতো না।হাহাহাহা ,,,, তবে দাদা আপনার প্রতিটি প্ল্যান কিন্তু বড় মাপের ছিল। যাই হোক অনেক হাসলাম তবে সব শেষে কচমচ করে খাবার কথা শুনে আমি নিজেও লোভ সামলাতে পারছিনা। অনেক বেশি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দাদা।

কাঁচা আম খেতে আমারও খুব ভালো লাগে ছোটবেলায় কত ছোট ছোট কাঁচা আম গুলো কামড়ে কামড়ে খেয়েছি।আর আপনার আমের কচমচ কচমচ শব্দ শুনে আমার জিভে পানি চলে এসেছে সত্যি বলছি দাদা। এক আম চুরি করার চারটি গ্রুপ খুবই ভালো লাগলো আপনার আম চুরি করার গল্পটা পড়ে। ছোটবেলায় মনে হয় এই রকম ফল চুরি করার ছোটখাটো গল্প সবারই আছে।

  ·  3 years ago (edited)

দাদা বিশ্বাস করো তোমার এই ছোট বেলার গল্প গুলো এত মজা লাগছে পড়তে। হাসতে হাসতে যেন শেষ আমি। আমার মনে হয় যে পড়বে এই লেখাগুলো , তারই হাসি পাবে 😊। বাপরে বাপ কত প্ল্যানিং 👌 হিহিহিহি। সব কাজ এত প্ল্যানিং করে বুঝে শুনে এগোও বলেই তো তুমি আজ আমাদের সবার প্রিয় দাদা। তোমার একটা কথা আমি কখনো ভুলবো না দাদা,,

শুধু, কচমচ আর কচমচ

কি আম পাগল ছিলে, 🤗😊

দাদা আপনার এই পোস্ট পড়ে ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। ছেলেবেলায় বন্ধুদের সাথে ঘুরে ঘুরে অন্যের গাছের ফল চুরি করেছি অনেক। আমিও গ্রামে বড় হয়েছি। তাই বন্ধুদের সাথে ফল চুরির মুহূর্তগুলো আমার জীবনেও এসেছে। দাদা আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার ছেলেবেলার গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা। ❣️❣️❣️

নব্বই দশকের যুগ, আমার বড় বোন আমাকে যা বলে, তার মতে, সর্বোত্তম ছিল, এভাবে বলতে গেলে। এটি অনেকের কাছে স্বর্ণযুগ। যদিও আমি নব্বইয়ের দশকে জন্মগ্রহণ করেছি, আমি বলতে পারি না যে আমি এটি উপভোগ করেছি, তবে আমার কাছে আমার বাবার অনেক গল্প আছে যে সে সময় মানুষ এবং সেই বছরের অর্থনীতি কেমন ছিল।

আপনি যখন বলেন যে আজকাল মানুষ কিছুটা স্বার্থপর এবং লোভী হয়ে উঠেছে তা সত্য। তবে এটি সবই আমরা বর্তমানে যে পরিবর্তনগুলি অনুভব করছি, যেমন কিছু জিনিসের অভাবের কারণে। মহামারীর কারণে আমরা যে খারাপ অর্থনীতির সম্মুখীন হচ্ছি। অনেক কিছু আছে যা অনেক মানুষের পরিবর্তনকে প্রভাবিত করে।

তোমার শৈশব সুন্দর ছিল। আমরা যখন শিশু থাকি তখন প্রতিবেশীর কাছ থেকে আম চুরি করার মতো দুষ্টুমি করা এড়াতে পারি না যেটি ছোটবেলায় আমার প্রিয় বিনোদন ছিল।

পরিবেশ, পরিস্থিতি আর সময়ের স্রোতে মানুষগুলি কেমন যেন দিন দিন আরো স্বার্থপর, লোভী আর সংকীর্ণমনা হয়ে যাচ্ছে ।

সত্যি দাদা আমাদের সময়কার পরিবেশ এবং মানুষগুলোর সরলতা এখন খুঁজে পাওয়ার বড্ড বেশী দুস্কর। আর আম খাওয়ার কথা কি বলবো, আপনি ঠিকই বলেছেন তখন একটা অলিখিত নিয়ম ছিলো, পাড়ার অন্যদের গাছের ফল খাওয়ার বিষয়টি। ধন্যবাদ

ভাই আপনাকে স্যালুট এতো সুন্দর একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন আপনারা করেছেন কি বলবো হাহহাহা। দাদার গল্প পরেই আমার আগ্রহ হয়ে গেলো সবার চুরি করার গল্প পড়ার জন্য। সেই বিনোদন হবে এবার এর কন্টেস্টে 😁😁😍🥰🥰🥰।

Superb nice content 👌

দাদা এ তো দেখছি আমার ছেলে বেলার ডুপ্লিকেট । কত যে আম চুরি করেছি । আর কি বলবো শুধু আম নয় কাঠাল লিচু সফেদা । সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে আমার বাসার সামনে একটা কাচা মিঠা আম গাছ ছিল । সেটির যে কত আম আমি পেয়েছি । কিন্তু দুখেঃর বিষয় হলো গত মাসে গাছটি কেটে ফেলেছে। ঝিনুকের চাকু সিমেন্টের সাথে কিংবা দেয়ালের সাথে ঘষে মাঝ খান দিয়ে ফাকা করে নিতাম । তারপর শুরু হতো আম কাটা। সুন্দর একটা ছেলে বেলা কাটিয়েছেন যে ধরনের সময় এখন কার ছেলেপেলে পাবে না। তবে গ্রামের দিকে কিছুটা পরিবেশ এখনও রয়েছে। খুবি ভাল লাগলো দাদা আপনার ছেলেবেলার গল্প পড়ে। ভাল থাকবেন । ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।

দাদা ছোটবেলার দারুন মজার একটি স্মৃতি শেয়ার করলেন আজ। আপনার আর আমার শৈশব কাল প্রায় একই সময়ে কেটেছে অর্থাৎ নব্বইয়ের দশকে। আপনার মত আমিও ছোটবেলায় অনেক দস্যিপনা করেছি। যা সত্যি স্মৃতির পাতায় অমলিন হয়ে থাকবে সারাটি জীবন। আপনার গল্পটি পড়ে আমার স্মৃতিগুলোও মনের আকাশে যেন ঝিলিক দিয়ে গেল।

হাহাহাহা!! দাদা খুব মজা পেলুম গল্পটি পড়ে। আপনি ছোট বেলা থেকেই প্লেন করে সব কাজ করেছেন, আম চুরির ক্ষেত্রেও 😉। আমরাও এরকম চুরি করেছি আম। তবে এতো প্লেন মাফিক কোনো চুরি করতে পারিনাই। ঢিল মেরে আম পেরে নিয়ে এসে পড়তাম। কি সুন্দর ছিল দিনগুলো!

নুন, মরিচ দিয়ে আমের গুটি মাখার কথা শুনে জিভে পানি চলে আসলো। এত চমৎকার ভাবে আম চুরি করার প্ল্যানিং করেছেন যেন মনে হচ্ছে আম নয় সোনা- দানা চুরি করতে নেমেছেন, হিহিহি...। দাদা আপনাদের ছোট বেলায় আম চুরি করার প্ল্যানিং শুনে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমিও প্রচুর আম চুরি করেছি ছোটবেলায়, তবে সেটা ধর তক্তা মার পেরেক, হিহিহি...। আম চুরির এই মজার ঘটনা শুনে খুবই ভালো লাগলো দাদা। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Please consider to approve our witness 👇

Come and visit Italy Community

দলনেতা হওয়ার সুবাদে প্রত্যেকের ভাগের থেকে বাড়তি দুটো করে গুঁটি আমার প্রাপ্য হতো । সেগুলো প্যান্টের পকেটে ভরে আমরা সবাই ভালো ছেলের মতো মুখটি করে যে যার বাড়িতে গিয়ে মুখ ধুয়ে পড়তে বসে যেতাম ।

হাসতে হাসতে একেবারেই শেষ। দুটি করে গুটি আবার বেশি পাওয়া হত। আরো অবাক হয়েছি চুরি করার জন্য এতগুলো গ্রুপ কাজ করেছে তা দেখে। খুবই ভালো লাগলো আম চুরির মজার ঘটনাটি পড়ে।

যে চোরদের এত সুন্দর প্ল্যান থাকে তারা কিন্তু কখনোই চুরিতে ধরা খাবে না। খুবই সুন্দর একটি আম চুরির ঘটনা পরলাম অনেক ভালো লাগলো দাদা। আসলে এভাবে ঘটনা আমার জীবনে অনেক আছে। আসলে এভাবে আম চুরি কিংবা ডাব চুরি করে খাওয়ার ঘটনা মনে পড়ল আপনার এই পোস্ট পড়ে। আর আপনার পোস্টের যে জিনিসটা সব থেকে বেশি মজা পেয়েছে সেটা হল শেষের কচমচ মত শব্দ। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সেই ঘটনাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

দাদা আপনার শৈশবের কাহিনীর সাথে আমার শৈশব কাহিনীর অনেকটা মিল খুঁজে পেলাম। অন্য কোন জিনিস চুরি না করলেও আম বেশ চুরি করেছি। আমার গ্রাম এর পাশে একটা আম বাগান ছিল এবং বর্তমানে ও আছে স্কুল ছুটি হলে বাড়িতে এসে আগে আমের বাগানে দৌড় দিতাম এবং ডালপ বসে আম খেয়ে গুটি কয়েক আম নিয়ে চলে আসতাম।হাহাহা কি মজাই ছিল শৈশব বেলা।ধন্যবাদ দাদা আপনার শৈশব কাহিনী পড়ে বেশ মজাই পেলাম।

আমি এখনো গ্রামেই থাকি। কিন্তু ছোটবেলার গ্রাম আর এখনকার গ্রাম যেন আকাশ-পাতাল পার্থক্য। সবাই ছিল কত সহজ-সরল আর হাসি খুশিতে মাতোয়ারা। এখন কেমন যেন গম্ভীর একটা ভাব। রাজনৈতিক বিষ ঢুকে গেছে সবার মধ্যে। আগের মতো আর আন্তরিকতা নেই।

ছোটবেলার সেই খুঁনসুঁটি, আম পেড়ে খাওয়া, লিচু পেড়ে খাওয়া সেগুলো স্মৃতির সোনালী ফ্রেমে বাঁধানো আছে। দিনগুলো আর ফিরে পাওয়া যাবে না।

ছোটকালের একটা ঘটনা আমার এখনো মনে পড়লে হাসি পায়। আমি আর আমার এক ভাই গাছে উঠে কাঁচা আম খেয়ে বোটার সাথে আঁটি রেখেই দিয়েছিলাম। মানে বোঁটা থেকে আম না পেরেই ওভাবেই বাঁদরের মতো খেয়ে রেখে এসেছিলাম। হাহাহা।।

আপনি তো দেখছি দাদার থেকেও আরও বেশি দুষ্টু ছিলেন, মজা পেলাম অনেক।

ছোটবেলা মানেই বাঁদরামি। হিহিহি 😋

শৈশব টা আমারও আপনার মতো আম চুরি করে কেটেছে। যদিও আমি দলনেতা ছিলাম না। গ্রামের মানুষ নব্বইয়ের দশকের মতো অতোটা সরল নেই। এমন লোক খুজে পাওয়া যাবে না যারা ছোটবেলা আম চুরি করে নি।

বাচ্চারা ফল-পাকুড় চুরি করে খাবে" - এটা যেন একটি অলিখিত আইন ছিল

একেবারে সঠিক বলেছেন দাদা এটা একটা অলিখিত আইন। তবে আপনাদের মতো আমরা আম চুরির সময় অতো সাবধানতা অবলম্বন করতাম না। তবে আমাদের মিটিং ও হতো ঐ খেলার মাঠ না হয় পুকুর ঘাট। হাফিজ ভাইয়ের প্রতিযোগিতার বিষয়ের সাথে আপনার পোস্টের মিল আছে।

আমি গর্ব করে বলতে পারি নব্বই দশকের জন্মানো মানুষের প্রত্যেকেই কম-বেশি এইসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত । অবলীলায় কিছু স্মৃতিচারণ করে দিলেন ভাই ।আমি তো আমার দাদু ভাইয়ের গাছকেও ছাড় দেই নি । সেই গুটি আম সঙ্গে লবণ মরিচ গুঁড়ো, আহা সেকি প্রশান্তির খাওয়া,সেই স্বাদ যেন এখনো মুখে লেগে আছে ।

শুভ ভাই আপনার পোস্টে একটা না কয়েকটা চুরি করে খাওয়ার গল্প লিখবেন হাহহাহা। আপনাদের সব গোপন চুরির রহস্য এবার ফাঁস হবে। সেই লাগছে আমার কাছে এবার এর কন্টেস্ট🥰🥰🥰🥰😄😄😄😄

And hey guys I'm new here just joined yesterday so I will appreciate it if you help me to grow and I will do the same I'm a traveler so I post pics and some sweet memories I captured while my journey, so please help me and I will do the same for sure

দাদা আপনি দেখছি জন্মগত ভাবেই দলনেতা। আপনার মত আমিও কাঁচা আম খেতে পছন্দ করি। তবে ছোটো আম কখনো সেভাবে খাওয়া হয়নি। আপনার লেখা পড়ে ছোটবেলার বিভিন্ন স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

হুম ভাই শুধু তাই না। দাদার এই ছোট বেলার গল্প থেলে একটি বিশয় ক্লিয়ার দাদা যোগ্য নেতা। কারন একজন আদর্শ নেতা কোন কাজ নিজে একা সিদ্ধান্ত নেয় না। বরং সবাই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করেন। আর ঠিক এই কাজ টা দাদা আমার বাংলা ব্লগেও করেন 🥰🥰🥰🥰🥰🥰।