পুরী ভ্রমণ - পর্ব ১০

in hive-129948 •  last year 

কোনারকের সূর্য মন্দির মিউজিয়াম থেকে বেরিয়েই টিনটিন খুব বায়না জুড়ে দিলো খেলনা কিনবে বলে । সে কী কান্না আর চেঁচামেচি, বাপরে ! তড়িঘড়ি খেলনার দোকান থেকে বেশ কয়েকটি খেলনা কিনে দিয়ে তবে কান্না থামানো গেলো । সূর্য মন্দির আর মিউজিয়ামের মধ্যবর্তী স্থানে রাস্তা চলে গিয়েছে । এই রাস্তার দু'দিকে অসংখ্য দোকানপাট দিয়ে সাজানো । ট্যুরিস্ট স্পট বলে কথা । অসংখ্য দোকান আছেই শুধু ট্যুরিস্টদের স্যুভেনির সংগ্রহের জন্য । এছাড়াও অসংখ্য খাবারের দোকান আর বাচ্চাদের খেলনার দোকানও আছে ।

টিনটিন দুটো ডক্টরস সেট আরেকটা কিচেন সেট কিনলো । তনুজা কয়েকটা হ্যাট কিনলো । স্বাগতাও কিছু হালকা কেনাকেটা করলো । এরপরে স্বাগতার বাবা আমাদের সবাইকে ডাব খাওয়ালেন । এরপরে স্বাগতা খাওয়ালো লেবুর শরবত । খাওয়া দাওয়া করে একটু জিরিয়ে নিয়ে সবাই গুটিগুটি পায়ে এগোলাম মন্দিরের দিকে । বিশাল মন্দির প্রাঙ্গন । অগুনতি মানুষের ভীড় । এই পুরো সূর্য মন্দির ও তৎসংলগ্ন প্রাঙ্গনের পুরোটাই ইন্ডিয়া আর্কিওলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের অধীনে । আমরা টিকেট কেটে ফেললাম দ্রুত । মন্দিরে প্রবেশমুখে প্রচুর প্রোফেশনাল ফোটোগ্রাফারের ভীড় ।

ছবি তোলানোর জন্য তারা ভীষণ চাপাচাপি করছিলো । অবশেষে একরকম বাধ্য হয়ে ৪ টা ছবি তোলালাম । মোট ৪০০ টাকা । এক একেকটা ছবি ১০০ টাকা করে । আমরা যতক্ষণ মন্দিরে ঘুরবো ততক্ষণের ভিতর ছবি প্রিন্ট করে দেওয়ার ওয়াদা করে ফোটোগ্রাফার বিদায় নিলো । যদিও সে ওয়াদা সে রাখেনি । সে কথায় পরে আসছি । টিকিট কালেক্টরদের কাছে টিকিট জমা দিয়ে আমরা ঢুকে পড়লাম মন্দিরে ।

মূল মন্দির প্রাঙ্গনে ঢুকেই জাস্ট অবাক বিস্ময়ে আত্মহারা হয়ে গেলুম । ভারতীয় উপমহাদেশে গৌড়ীয় স্থাপত্যের একটা অসাধারণ নমুনা এই কোনারকের সূর্য মন্দির । ঢুকেই বিশাল একটা সূর্যঘড়ি ও নাটমন্দিরের ভগ্নস্তুপ ।প্রায় দুই তলা সমান উঁচু হবে । নিরেট পাথর দ্বারা নির্মিত । প্রবেশদ্বারে বিশাল দুই প্রস্তরনির্মিত সিংহ ও হস্তীর মূর্তি । বিশাল একটা সিংহ উল্লম্ফনরত, তার পায়ের কাছে একটি হস্তী শায়িত আর হস্তীর নিচে একজন মানুষের শায়িত দেহ । এই মূর্তি প্রতীকী, একটা বিশেষ বার্তা বহন করে তৎকালীন সমাজের । উল্লম্ফনরত সিংহ হলো সমাজের ক্ষমতবানের ক্ষমতা প্রদর্শন, আর শায়িত হস্তী হলো বিত্তবানের সম্পদ প্রদর্শন । এ দু'য়ের নিষ্পেষণে জর্জরিত মানুষটি হলো ওই হস্তীর পেটের নিচে শায়িত মনুষ্যদেহ, অর্থাৎ সমাজের সাধারণ জনগণ ।


সূর্য মন্দির প্রাঙ্গণে আমরা । এটা উন্মুক্ত । কিন্তু মন্দির প্রাঙ্গনের কিছুটা ঘিরে টিকিট ব্যবস্থা চালু করেছে ইন্ডিয়া আর্কিওলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ০১ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।


এটি একটি সিংহ মূর্তি । ক্ষয়িষ্ণু এবং ভঙ্গুর ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ০১ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।


মন্দিরে ঢুকে গিয়েছি আমরা । সামনের স্থাপত্যটি হলো একটি বিশালকায় সুউচ্চ নাটমন্দির । এই নাটমন্দিরে দেবদাসীরা নৃত্যগীতির মাধ্যমে সূর্যদেবের আরাধনা করতো ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ০১ টা ২০ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।


নাটমন্দিরের প্রবেশপথের দু'পাশে যে মূর্তিদ্বয়ের কথা বলেছিলাম এটাই সেই । মূর্তিগুলো প্রকান্ড বড় । ঝাঁপরত প্রকান্ড একটি সিংহের মূর্তির ঠিক নিচে বিশাল একটি হস্তী শায়িত, আর হস্তীর নিচে নিষ্পেষিত একটি মনুষ্যদেহ । পুরোটাই বেলে পাথরের তৈরী । নান্দনিক গঠনশৈলী । এক কথায় অপূর্ব ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ০১ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।


এই মূর্তি একটি প্রতীকী এবং বিশেষ এক বার্তা বহন করে তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার । ঝাঁপরত সিংহ হলো সমাজের শাসক শ্রেণীর ক্ষমতা, আর শায়িত হস্তী হলো সমাজের সম্পদশালীদের সম্পদ। এ দু'য়ের নিষ্পেষণে জর্জরিত মানুষটি হলো ওই হস্তীর নিচে শায়িত মানুষটি, অর্থাৎ সমাজের সাধারণ জনগণ ।
তারিখ : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ০১ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কোনারক, উড়িষ্যা, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)


তারিখ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪

টাস্ক ৪৭১ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : ce8a15a4df2b317bbed70ea8821bc66b4c40510b0233ee71d9622d5ee3598c55

টাস্ক ৪৭১ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

»»——⍟——««

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমার আজকের NFT আর্ট রূপকথার আশ্চর্য সুন্দর প্রাণীদের নিয়ে । আমরা সবাই "এলিস ইন ওয়ান্ডার ল্যান্ড"বইটি পড়েছি । অদ্ভুত সুন্দর এই বইতে অত্যাশ্চর্য সব প্রাণীর বর্ণনা আছে । যেমন কথা বলা খরগোশ, অদৃশ্য হয়ে যাওয়া বিড়াল, ধূমপায়ী অলস শুঁয়োপোকা ইত্যাদি । আজকের আর্টটিও ওই বই থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে করা ।

আমার আজকের আর্ট এর বিষয়বস্তু হলো - "একটি সুন্দর নরম কোঁকড়ানো লোমওয়ালা মথ ঝাঁ চকচকে দারুন একটা মঞ্চে পারফর্ম করছে" ।


Fairy Creatures


Screenshot 2024-01-20 004704.png

cute fuzzy moth

দারুন ইউনিক কনসেপ্ট তো দাদা। একটি মথ সে আবার মঞ্চে পারফর্ম করছে। বেশ ভালো হয়েছে দেখতে।

অবশেষে একরকম বাধ্য হয়ে ৪ টা ছবি তোলালাম । মোট ৪০০ টাকা । এক একেকটা ছবি ১০০ টাকা করে

বলেন কি দাদা, টাকা অনেক বেশি নেয় তাহলে। কক্সবাজারে প্রতি ছবি ৫ টাকা করে নেয়। যাইহোক টিনটিন বাবুকে তাহলে খেলনা কিনে দিয়ে কান্না থামাতে হলো। টুরিস্ট স্পটে এমনিতেই প্রচুর দোকান থাকে। যাইহোক প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ উপভোগ করলাম দাদা। মূর্তি গুলো কতোটা নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়েছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

This is another Interesting post you have shared.

I love the display of love between you all, the way you purchased toy for Tintin, and how tanuja bought some hats.

In conclusion, I can say that the puri trip was a great adventure.

Thank you @rme Dada for sharing this with us 😊❤️

যখন বাচ্চা ছিলাম, তখন টিনটিনের মত আমিও খেলনা কেনার জন্য বায়না ধরতাম! আহা পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। আর ৪ টা ছবি ৪০০ টাকা মানে পুরোই ডাকাতি। কিছু বলার নেই, ট্যুরিস্ট স্পট গুলোতে এখন এমনটাই হচ্ছে। 😴

Posted using SteemPro Mobile

টিনটিন যেখানে যায় সেখানেই শুধু খেলনা কিনে। বড় দিদি ও ছোট দিদিও কিছু কিনলেন। বড়দিদিকে দেখলাম ছোট ছাতা মাথায় দাড়িয়ে আছে। মন্দির টা দেখেই বুঝা যাচ্ছে কত পুরাতন। প্রতীকী মূর্তি দিয়ে বার্তা বহন করে তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার চিত্রটা দেখে অবাক হলাম। তখন সমাজের সাধারণ জনগণের কি অবস্থা ছিল। ধন্যবাদ।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



আসলে দাদা বাচ্চারা এমনি। বাচ্চারা খেলনা দেখলে না কিনে উপায় নেই। যাইহোক আপনি কয়েকটি খেলনা কিনে দিলেন আবার দুই বৌদি কিছু কিছু জিনিস কিনলো জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে এক জায়গায় গেলে কিছু না কিনলে কেমন হয়। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে মূর্তি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। সিংহ মূর্তি দেখতে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে এটা অনেক অবাক করার বিষয় ৪ টা ছবিতে ৪০০ টাকা নিয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।

দাদা ওই ফটোগ্রাফার এর কথা না রাখার বিষয়টি জানতে চাই,ছবি দেয়নি ? প্রতীকী মূর্তি গুলোর বার্তাটা এখন বোধহয় আরো বেশি প্রকট।কারণ শাসক শ্রেণীরা সেই জুলুম ই করে যাচ্ছে।

পুরী ভ্রমণের প্রতিটি মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে ধারাবাহিকভাবে শেয়ার করলেন। আজকের মুহূর্তটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এতদিন তো মন্দিরের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেছিলাম। আজকে সরাসরি বাইরের দৃশ্য গুলো দেখলাম বেশ ভালো লাগলো। তাছাড়া বেশ খাওয়া দাওয়া এবং কেনাকাটা করলেন। মুহূর্তটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ দাদা।

ট্যুরিস্ট স্পট গুলোতে অনেক দোকানপাট দেখতে পাওয়া যায়। তাই তো সবাই নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারে। তবে ফটোগ্রাফার তার কথা রাখেনি জেনে সত্যিই খারাপ লাগলো দাদা। যাই হোক আপনারা সবাই মিলে অনেক সুন্দর ভাবে সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভকামনা রইল দাদা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আশা করি শ্রদ্ধেয় দাদা ভালো আছেন? পুরী ভ্রমণের আজকের পর্ব দেখে ভালো লাগলো। আসলে বাচ্চারা যেখানে যায় সেখানে খেলনা কেনার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। স্নেহের টিনটিন বাবু খেলনা কেনার জন্য বায়না ধরেছে। মন্দিরের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। প্রতীকী মূর্তি সমাজের শাসক শ্রেণীর সম্পর্কে অবহিত করে। পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই শ্রদ্ধেয় দাদা।

এই মন্দিরে দেখার মতো অনেক কিছু আছে এবং এই মন্দিরটি সেই প্রাচীন যুগের মানুষের মানসিকতার প্রতিনিধিত্ব করে। খুব চমকপ্রদ গল্প এবং দুর্ভাগ্যবশত সেই সময়ে সাধারণ গরিব মানুষদের সাথে কেমন আচরণ করা হয়েছিল তাও জানার মতো।

বাচ্চারা বাইরে গেলে তাদের একটাই আবদার। খেলনা কিনে দিতে হবে, খেলা করবে এই সেই।অবশেষে টিনটিনের কান্নাকাটিতে তাকে খেলনা কিনে দিতেই হলো।তবে ফটোগ্রাফার কথা রাখেনি কেন দাদা,সেটা তো জানতে পারলাম না।তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর দেখা যাচ্ছে। সবাই মিলে তাহলে বেশ আনন্দ করেছেন।

প্রথমত দাদা, লেখাগুলো পড়ছিলাম আর কিছুটা হলেও যেন অনুমান করতে পারছিলাম সেই অবস্থানের কথা, কেননা পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে এমনটা হওয়া নিতান্তই স্বাভাবিক, তাছাড়া টুরিস্টদের আকর্ষণের জন্যই তো সবকিছু। বিশেষ করে বেশি ভালো লেগেছে মন্দিরের ছবি ও মন্দিরের সামনের ভাস্কর্য গুলোর ছবিগুলো দেখে। তবে ফটোগ্রাফারের ব্যাপারটা জেনে বেশ ব্যথিত হলাম ।

১ টা ছবির দাম ১০০ টাকা! তাহলে তো অনেক টাকা নিয়ে নিল, ব্যাটা কে দাদা পরে পাইছিলেন নাকি ফুড়ুৎ ছবি তুলে দিয়ে 🙆‍♂️। যাক বিশালাকার মূর্তির অর্থটা অনেক ভালো লাগলো। সমাজের শাসক শ্রেণী আর সমাজের সম্পদশালীর নিচে সাধারণ জনগণ! এটাই তো সমাজের আসল রূপ

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

vison sundor post dada. ami new comer golpo porte r bolte valobasi . tai steemit e asa. na ele apner eto sundor organized post dekha miss kortam.

প্রতীকী সিংহ, হাতি আর মানুষ সমাজের করুন চিত্রকে ফুটিয়ে তোলে যা বর্তমানেও অনেকাংশে বিদ্যমান। ফটোগ্রাফার পরে কি করল দাদা, ছবি দিতে অনেক দেরী করেছে নাকি?

খুব সুন্দর ছবি দেখতে সবসময় আকর্ষণীয়

Posted using SteemPro Mobile

এই ধরনের প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন দেখতে আসলেই বেশ ভালো লাগে। আর বাচ্চারা এই সমস্ত জায়গায় গিয়ে খেলনার দোকান দেখলে খেলনা কিনতে চাইবে এটা খুবই স্বাভাবিক। বোঝা যাচ্ছে টিনটিনের খেলনার প্রতি ভালো আকর্ষণ রয়েছে। আপনারা যে সবাই মিলে ঘুরতে যান এই বিষয়টা আমার কাছে দারুন লাগে। ধন্যবাদ দাদা।