আমার ছোটবেলায় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা - "পদ্ম গোখরো-র তাড়া খাওয়া"

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)


Copyright Free Iamge Source


আমার যে গ্রামে জন্ম সেটা এতই অজ-পাড়াগাঁ ছিল যে কি আর বলবো । বিদ্যুৎ ছিল না, কাঁচা রাস্তা আর ঝোপ-ঝাড় জঙ্গলে পরিপূর্ন ছিল । গ্রামটির নামও তার চেহারারই মানানসই । দিনের বেলাতেই, সাপ, বন বেড়াল, বেজী আর শেয়াল কত দেখেছি ! আর ছিল বড় বড় গোসাপের দল । এরা আপাত নিরীহ হলেও সময়ে সময়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতো । ছোট ছেলেমেয়েদেরকে তাড়া করতো । শেয়ালের কামড় আর সাপের কামড় খাওয়াও খুব একটা বিরল ঘটনা ছিল না ।

আমার মনে আছে ছোটবেলায় সন্ধ্যের পর বাড়ির থেকে বেরোনো নিষেধ ছিল শুধুমাত্র শেয়াল আর সাপের কারণে । আমার মা তার বিয়ের পর এই গ্রামে এসে সাপের উপদ্রব দেখে ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলার মতো অবস্থা হয়ে ছিল । ভাগ্যকে ধন্যবাদ যে আমাদের ফ্যামিলির কাউকেই কোনোদিন সাপে কাটেনি । কিন্তু, অনেকগুলি ভয়াবহ ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল আমাদের ফ্যামিলির অনেকেই । তার মধ্যে আমিও একজন আছি ।

আমাদের ফ্যামিলির আদি নিবাস এই গ্রামে ছিল না । পূর্ববঙ্গের অন্য একটি গ্রামে ছিল, বহুকাল আগে সেখানে আমাদের এক পূর্বপুরুষ এক জমিদারের নায়েব সরকারের চাকরি করতেন । যতদূর জানা কথা বেশ অত্যাচারী ছিলেন তিনি । প্রজাদের উপরে খাজনা আদায়ে বেশ কড়া ছিলেন । প্রভূত সম্পত্তির মালিক হওয়া সত্ত্বেও তার পাপের ফল তিনি পেয়ে গিয়েছিলেন । হাজার বিঘে জমি হারানো, বংশধরদের বাড়িতে অজস্রবার ডাকাতি হওয়া, আগুন লেগে বসতবাটীর পুরোটাই ভস্মীভূত হয়ে যাওয়া, এসব তো ছিলই । কিন্তু, সব চাইতে বেদনাদায়ক ব্যাপার ছিল যেটি সেটি একটু বলি । এরপরে আমার সাপে তাড়া খাওয়ার গল্পটি করবো ।

আমার সেই পূর্বপুরুষের পুত্রবধূ । মাঝবয়সী । তাঁর অভ্যাস ছিল প্রত্যহ সন্ধ্যায় নদীর ঘাটে গা ধুতে যাওয়া । সময়টা বর্ষার মাঝামাঝি । নদীতে তখন ভরা বর্ষার বান ডেকেছে । এই সময়টাতে গ্রামের মানুষ পুকুর বা দীঘিতেই স্নান সারে, কারণ পরে বলছি । সেদিন ঢেঁকি ঘরে ধান কোটার কাজ তদারকি করতে করতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে । ঠাকরুন স্নানে যাবেনই যাবেন । সকলের অজস্র নিষেধ অমান্য করে তিনি এসে দাঁড়ালেন বাড়ির পিছনদিকে প্রবাহিত সেই ছোট্ট নদীর ঘাটে । ঘাটের সিঁড়িতে এক ঝি-কে গামছা, তেল আর সিঁদুর দিয়ে বসিয়ে রেখে ঠাকরুন ঘাটের পৈঠা বেয়ে জলে নামলেন ।

সামান্য কিছু মুহূর্ত । জলে হঠাৎ একটা ভীষণ আলোড়ন উঠলো । বিশাল একটি কালো অবয়ব আবছা দেখা গেলো । তার দুই রাক্ষুসে বিশাল চোয়ালের ফাঁকে ঠাকরুনের শরীরটা ছটফট করছে । পরক্ষনেই জলের অতলে ডুব দিলো সেই রাক্ষস । ঝি চিৎকার করে ছুটতে ছুটতে বাড়িতে এসে আছাড়ি পিছাড়ি খেয়ে পড়লো ।

কুমীর । লোনা জলের ভয়ঙ্কর দানব । শিকার ধরার আশায় ঘাটের কাছেই ওঁৎ পেতে ছিল । ঠাকরুন জলে নামার মুহূর্তে আক্রমন করে তাঁকে শিকারে পরিণত করে । লণ্ঠন আর প্রচুর লোকজন নিয়ে সবাই ঘাটের কাছে এলো । কোথাও কিছু নেই । নিস্তব্ধ চারিদিক । নদীর জলের কোথাও রক্তের লেশমাত্র নেই । থাকার কথাও নয়, যে স্রোত !

না, আর কোনোদিনও ঠাকরুনের খোঁজ মেলেনি । সেই ঠাকরুনের ছেলের ছেলে হলো আমার ঠাকুরদা, অর্থাৎ আমার বাবার বাবার বাবার বাবা হলো ওই ঠাকরুনের ছেলে । এই করুন ইতিহাস আমি ছোটবেলায় বহুবার শুনেছি ।

এবার আসা যাক আমার ঘটনায় । সাপের ছোটবড় বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছিলো আমার ছোটবেলায় । খুব বেশিদিন গ্রামে থাকিনি তো । কে জানি আরো বেশি কিছুদিন থাকলে এতদিনে ছবি হয়ে যেতাম কি না । যাই হোক স্মৃতি থেকে দুটি মাত্র ঘটনার উল্লেখ করবো আমি ।

কৃষ্ণা চতুর্দশীর রাত সেদিন । শ্রাবণ মাসের সবে শুরু । আমাদের বাড়িতে অনেক গুলি ঘর ছিল আগেই বলেছি একদিন । মোট ১১ খানা ছোট বড় মিলিয়ে ঘর ছিল । তো সেদিন আমি আমার মেজ জেঠুর ভেতর বাড়ির এক ঘরে শুয়েছিলাম । অনেক রাত্তির পর্যন্ত জেঠতুতো দিদিদের সাথে লুডু খেলে আর আমাদের ঘরে যাইনি । ওখানেই একটা খাটে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম । ছোট মানুষ, খাটের এক কোনায় দিব্যি জায়গা হয়ে গিয়েছিলো ।

তো মাঝ রাত্তিরে আমার হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলো । হিসু পেয়েছে । গ্রামে যখন থাকতাম তখন মাঝরাত্তিরে প্রস্রাবের জন্য মা'কে ঘুম থেকে ডেকে তুলে তারপরে বাইরে গিয়ে প্রস্রাব করতাম । পুরোটাই ঘুম চোখে , প্রায় চোখ বুজে । তো সেদিন ঘুম ভেঙে প্রথমে কিছুক্ষন মাথাটা ভোম্বল হয়ে থাকলো । কোথায় আমি, তাই মনে করার প্রানপন চেষ্টা করছি ।

এমন সময় একটা অদ্ভুত হিস্ হিস্ শব্দ শুনতে পেলাম । মনে হচ্ছে কেউ যেনো হুইসলে ফুঁ দিচ্ছে প্রানপনে কিন্তু শুধু তীব্র হিস্ হিস্ শব্দ হচ্ছে । প্রেশার কুকারে সিটি দেয়ার মতো । তবে শব্দের তীব্রতা অনেক বেশি । হিস্ হিস্ শব্দের সাথে তীব্র ফোঁসফোঁসানি প্রায় গর্জনের মতো । শুয়ে শুয়ে অনেক্ষন শুনলাম । কিন্তু কিছুই বুঝতে পারলাম না ।

এবার মশারি সরিয়ে মেঝেতে এক পা দিলাম । নামবো । হিসু না করলেই নয় । দু'বার মৃদুস্বরে মা মা করে ডাকলাম । তখন, হঠাৎ খেয়াল হলো আমি জেঠুর ঘরে । মা'কে কোথায় পাবো । আবার পা তুলে নিলাম । আজ এতো বছর পরে মনে পড়লে এখনো গাঁ শিউরে ওঠে । ঈশ্বরকে ধন্যবাদ সেদিন পা তুলে নিয়েছিলাম ।

আমার ডাক শুনে আমার এক জেঠতুতো দিদির ঘুম ভেঙে যায় । সে সেই তীব্র ফোঁসফোঁসানি আর হিস্ হিস্ গর্জন শুনে মশারি সরিয়ে মেঝেতে টর্চের আলো ফেললো । সে মুহূর্তে আমরা দু'জনেই ভয়ে একদম পাথর । আমার পিঠ দিয়ে ভয়ের একটা শীতল স্রোত নেমে গেলো । মাটির মেঝে । আর সেই মেঝেতে একটি চলমান মেটে কালো ধূসর বর্ণের সরীসৃপ । মেঝে থেকে প্রায় ১ হাত উঁচু ফণা তুলে তীব্র রাগে ঘরের এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত কাউকে তাড়া করে চলেছে । বিশাল একটি পদ্ম গোখরো, কেউ কেউ বলে খৈয়া কেউটে । সাক্ষাৎ মৃত্যু দূত ।

তীব্র বিষ এই কেউটের । এক ছোবলেই একদম ছবি । আমার দিদি যেভাবে বাড়ি মাথায় করে চিল চিৎকার দিলো আমি ভাবলাম তাকেই বুঝি কামড়ে দিয়েছে । তার চিৎকারে বাড়িসুদ্ধ সবাই জেগে উঠলো । সবাই টর্চ নিয়ে দৌড়ে এলো । এত লোকের তাড়া খেয়ে সাপটি একটি ইঁদুরের গর্তে ঢুকে পড়লো ।

আসলে, হয়েছে কি সন্ধ্যের পর কোনো এক সময় সাপটি ঘরে ঢুকেছে ইঁদুরের লোভে । ওই ইঁদুরের গর্তেই সে আশ্রয় নিয়েছিল । মাঝ রাত্তিরে ঘরে হঠাৎ ছুঁচো ঢুকলে সে ছুঁচো তাড়া করছিলো । আর ধরতে না পেরে নিষ্ফল ক্রোধে অমন তর্জন গর্জন করছিলো ।

সাপের গর্ত আবিষ্কার হলো । ব্যাঙ বড়শিতে গেঁথে গর্তের মুখে দিয়ে সাপ টেনে বের করে পিটিয়ে মারলো সবাই । পরে, আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে ফেলতে ভোর হয়ে গিয়েছিলো ।আমি অবশ্য সে সব দৃশ্য উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলাম । কারণ, মা আমাকে আমাদের ঘরে নিয়ে যায় প্রায় সঙ্গে সঙ্গে । আর ওদিক পানে যেতে দেয়নি । পরে সকাল হলে, আমার জেঠতুতো-কাকাতো ভাই বোনেদের মুখে গত কালরাত্রির বাকি ঘটনাটুকু শুনে ছিলুম ।

মনে আছে, এই ঘটনার পর থেকে আমার সমবয়সীদের কাছে আমি রীতিমত হিংসার পাত্র বনে গিয়েছিলাম, এমন রোমাঞ্চকর ঘটনা আমার সাথে ঘটার জন্য । অনেক দিন আগের কথা । কিন্তু এখনো শিউরে উঠি সেদিন রাতের কথা মনে পড়লে ।


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Nice

@godlovermel25 Fuck off your fucking trash comment! You are shitty fucking asshole motherfucker 🖕

Thank You for sharing Your insights...

জীবন,যার প্রতিক্ষন
একটি ঘটনা।
কেউ রটায়,
কেউবা রটায় না।

হিসহিসানী ফিসফিসানি
পরে বুঝলেন সাপ,
টর্চের আলোয়
চিল্লান দিয়ে বললেন বাপরে বাপ।

এতদিন পর রটিয়ে দিলেন
আমাদের তরে,
গল্পের মত মনে হলো
উপস্থাপনার কারনে।

ঠাকরুনের কাহিনী পড়ে আমি খুবই মর্মাহত সত্যি কথা বলতে পরিবারের জ্যেষ্ঠদের নিশাত থাকা সত্ত্বেও যখন আমরা কোনো কাজ করতে চাই তখন একটু বিপদ আমাদের সাথে হানা দেয় কিন্তু ঠাকরুনের সাথে যে বিপদ এসেছিল তা একটি পরিবারকে একটি সন্তানকে মারা হয়েছিল তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক বলে মনে করছি।

দাদা পদ্মগোখরা অসম্ভব বিষধর সাপ আমি শুনেছিলাম এই সাপে একটি ছবি নাকি হাতির হাড় নাকি গলে যায় যায়। কিন্তু আপনি এই বিপদ থেকে বেঁচে আছেন এজন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া। আপনার সাপের গল্পটি শুনে আমারই গা ঝিমঝিম করছে ভয়ে । আমি হলে তো ওখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যেতাম। এত সুন্দর একটি লোমহর্ষক কাহিনী আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Thank You for sharing...

Nice

  ·  2 years ago (edited)

দাদা আপনার গল্প পড়তে গিয়ে আমার পিছনের অতীতের কথা অর্থাৎ সাপ নিয়ে আমার ভয়ের গল্প মনে পড়ে গেল।একবার আমি পুকুর থেকে কলসি ভরাট করে পানি আনতেছিলাম আমাদের দুপুরবেলা রান্নার জন্য।আর আমি যখন আমার উঠান পর্যন্ত মাথা করে কলসটি আনলাম তখন নারকেল গাছের উপর থেকে একটা সাপ আমার মাথার উপর পড়ল। আর আমি কলস পেলে দিয়ে দৌঁড়ে গিয়ে আমার মায়ের কাছে গিয়ে পালালাম।সেই কি যে বিভীষিকা মুহূর্ত ছিলো আমার দাদা।
তবে আপনার গল্পটা শুনেও আমার গা শিহরিত হয়ে উঠলো।
ধন্যবাদ দাদা আপনার গল্প পড়তে গিয়ে আমার ও সাপ নিয়ে যে একটা ইতিহাস বা ভয়ের গল্প ছিল তা মনে পড়ে গেল।

Thank You for sharing...

লেখাটা পড়তে নিয়ে ভয়ে গা শিউরে উঠল দাদা । কপাল ভালো যে কোনো ক্ষতি হয়নি কারোর। ছোটবেলায় আমি যখন গ্রামে থাকতাম আমার সাথে এরকম দুই একটা ঘটনা ঘটেছিল। এই সরিসৃপ প্রানী টিকে ভীষণ ভয় পাই আমি। লেখাটা পড়ে ভেতরে খুব ভয় ভয় লাগছে সত্যি।

দাদা আপনার ছোট বেলার গল্প পড়তে পড়তে আমি কোথায় জানি হারিয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল আমি আপনারদের বাড়ী টি দেখতে পাচ্ছি কল্পনায়। এত সুন্দর সহজ সরল ভাষায় লিখেছেন খুবি ভাল লাগলো। আমাদের ঘড়েও একটা সরীসৃপ ঢুকেছিল তবে সেটা কি ধরনের তা জানি না। সেও ইদুরের গর্তে ঢুকে ছিল। আমি তাকে সাবল দিয়ে খুচিয়ে বের করে টুকরো টুকরো করেছিলাম। ভাল লাগলো দাদা এভাবে শেয়ার করবেন আপনার ছোট বেলার গল্প গুলো। শুভেচ্ছা।

ভাগ্যিস মশারি ভিতর থেকে নেমে পড়েন নি ভাই । ও মাই গড , কি একটা অবস্থা । ভাবতেই গা শিরশির করছে । খুব কাছ থেকে বেঁচে গেছেন ভাই । তাছাড়াও ঠাকুরুনের ব্যাপারটাও বেশ ভয়ের ছিল ভাই ।

দাদা ভয়ানক একটি সত্য গল্প শুনে ভয়ে আমার গা শিউরে উঠেছে। সাপ নামক এই প্রাণীটাকে আমি অত্যন্ত ভয় পাই। দূরে থেকে বাঘ দেখলে আমার ভয় লাগে না কিন্তু সাপ দেখলে আমার গা শিরশির করে ওঠে। লেখাটি পড়ে বুঝতে পারলাম যে আপনি ছোট বেলায় অনেক বড় বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছেন। সেরাতে আপনি বিছানা থেকে পা নামিয়ে না উঠালে যা বিপদ হওয়ার হয়ে যেত। আপনার ছোটবেলার লোমহর্ষক এই ঘটনাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

Thank You for sharing...

আমি আগে থেকেই সাপ দেখে অনেক ভয় পাই আর আপনার আজকের এই গল্প পড়ে সাপের প্রতি ভয় পাওয়া যেন আরো বেড়ে গেল। তবে বলতে হবে আপনি ছোট থেকেই অনেক সাহসী।

@tipu curate 8

আমার বাবার বাবার বাবার বাবা হলো ওই ঠাকরুনের ছেলে

বাবা রে বাবা আমি আর হিসাব করতে পারছি না। কুমিড় ধরার কাহিনী টা রুপকথার মতো ছিল। হয়তো বাস্তব থেকে রুপকথার সৃষ্টি। আমি সবচেয়ে বেশি ভয় করি সাপ। আমি ছোট থেকে গ্রামে থাকি অনেক সাপ দেখেছি তবে কখনো মারার সাহস করি নাই। তবে আপনার ঘটনা টা শিহরণ জাগিয়ে যায়। ব‍্যাঙ দিয়ে সাপ মারার পদ্ধতি টা বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে।।

Thank You for sharing...

বাবারে বাবা! অতীব ভয়ানক দাদা। ভাগ্যিস কারোর ক্ষতি হইনি। তবে তোমার সাথে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে বলেই তো আমাদের এই ছানা পোনা দের শোনাতে পারছ। গল্প টা বেশ জম্পেশ ছিল দাদা। ভালো থেকো।

আপনার ঠাকরুনের সাথে যে ঘটনাটি ঘটেছিল সেটির সত্যিই খুবই ভয়ঙ্কর, পোস্ট পড়ার সময় একটু কল্পনা করছিলাম তখনই গা শিউরে উঠলো, কি ভয়ঙ্কর একটি ঘটনা ঘটেছিল সেদিন রাতে। আপনার ঘটনাটিও ভয়ঙ্কর বলা যায়, একটুর জন্য প্রাণ টা বেজে গেল। সাপ আমার ভয় লাগে।

বাবারে বাবা গল্পটা পড়ে তো ভয় পেয়ে গেলাম দাদা। ছোটবেলার স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।।

দাদা এ কি গল্প শোনালেন আপনি!! দুটি গল্পই অত্যন্ত রোমাঞ্চকর। মনে হচ্ছিল কোন রোমান্স উপন্যাসের পাতা থেকে পড়ছি। শুনেছি এক সময় নদীতে প্রচুর মিঠা পানির কুমির ছিল। তবে মানুষ টেনে নিয়ে যাবার মত ঘটনা কখনো শুনিনি। যে আমলের কথা বলেছেন সে আমলে নিশ্চয়ই এই প্রজাতিগুলো এতটা বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। আর এখন কার সময়ে বাড়ির আশেপাশে এত সব প্রাণী দেখতে পাওয়া রীতিমত কষ্ট কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়। আপনার নিজের অভিজ্ঞতাও নিতান্তই কম রোমাঞ্চকর নয়। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা ছিল বলেই হয়তো আপনি সে যাত্রা বেঁচে গিয়েছিলেন। না হলে আমরা হারাতাম আমাদের প্রিয় দাদাকে সেইসঙ্গে ভালোবাসার আমার বাংলা ব্লগকেও।❤️❤️❤️

Thank You for sharing...

চমৎকার একটি গল্প শোনালেন দাদা আপনি। আপনার ছোটবেলার এবং আপনার গ্রামের অনেক সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করলেন এবং আমরাও এ গল্পটি অনেক উপভোগ করেছি। গল্পটি একটু ভুতুড়ে টাইপ ছিল। অনেক আগের গ্রামের চিত্র গুলো তুলে ধরেছেন এবং জমিদারদের কিছু কথাতুলে ধরেছেন। যদিও জমিদার দের এভাবে আমরা দেখিনি তবে বইয়ে পড়েছি জমিদার একটু এমনই কঠোর টাইপ হয়। সব সময় প্রজাদের উপর এক ধরনের জুলুম তাদের লেগেই থাকে। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালোবাসা অবিরাম।

সত্যি দাদা আপনার গল্প শুনে গায়ের লোম দাড়িয়ে গেল।কারন সাপ আমার ভীষণ ভয় লাগে। আমি কখনো সাপের তাড়া খাইনি। তবে সাপ দেখলে আমি দৌড়ে পালাই😁😁।খুবই ভয় লাগে। আপনার গল্প শুনে খুবই সুন্দর লাগল।সত্যি বলতে চমৎকার কাহিনি শুনতে পেলাম আজকে। কুমির এর বিষয় টা বেশ ভয়ংকর ছিল। সত্যি বলতে অসাধারণ ছিল দাদা আপনার ছোট বেলার কাহিনি। আপনার জন্য ভালোবাসা অবিরাম। 💞💞

Thank You for sharing...

আমাদের দেশে তারা সত্যিই বিপজ্জনক প্রাণী ভেনিজুয়েলায় সাপগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক হল তথাকথিত র‍্যাটলস্নেক, কারণ এটির লেজে একটি র‍্যাটেল থাকে যা শত্রুদের সতর্ক করার জন্য শব্দ করে।

বাপরে বাপ। দাদা মনে হলো কোনো এডভেঞ্চার কাহিনী পড়ছি আমি।আমি জাস্ট ভাবছি দাদা আপনি নিজের লাইফের এসব গল্প নিয়ে একটি বই ই লিখে ফেলুন,দারুণ হবে কিন্তু।সাপ আমি অসম্ভব ভয় পাই আবার।মাগোমা,পড়েই কেমন শরীরটা শিউরে উঠলো দাদা আমার।

Wow

কি গল্প বললেন দাদা ওটা গ্রাম না অন্য কিছু।কিভাবে বাস করেছেন ওই গ্রামে।সাপের নাম শুনলেই ভয় লাগে আর আপনি শুয়ে শুয়ে সাপের হিস হিস শুনছেন।আমি হলেতো ঐখানেই ফিট হয়ে যেতাম।গল্পটা পরে সত্যিই গা শিউরে উঠেছে।

দাদা ঈশ্বরের কৃপায় আপনাকে আমাদের জন্য বাঁচিয়ে রেখেছেন। খইয়া হানোক, আমাদের আঞ্চলিক ভাষা, তবে এটা বই এর বাসা গোখরা সাপ। আপনার গল্প শুনে আমার শরীরের লোম গুলো দাঁড়িয়ে গেছে। তবে আপনি যদি পা টা না উঠাতেন নির্ঘাত আপনি ছবি হয়ে যেতেন। তবে এমনিতে মাঝের মধ্যে সাধারণত ঘুম ভেঙ্গে গেলে কোথায় আছি কিভাবে আছি হুস থাকে না। তবে আপনার দাদার বাবার গল্পটা আরো ভয়ঙ্কর ছিল। দাদা আমিও গোখরা সাপের কবলে পড়েছিলাম বেশ কয়েকবার। তবে আমি আগামীকালকে লেখার চেষ্টা করব। আর আপনার এত সুন্দর ভয়ঙ্কর গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।

Thank You for sharing...

আজ সত্যি সত্যি দাদা ভয় পেয়ে গেলুম আমি, সবচেয়ে বেশী যে প্রাণীটিকে আমি ভয় করি সেটা হলো সাপ। গ্রামের বাড়ীতে গেলে সন্ধ্যার পর কখনো আমি বের হতে চাই না, শুধুমাত্র এই সাপের ভয়ে। ভীষণ ভয় পাই আমি। সত্যি সেদিন আপনার ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিলো। আর আপনাদের অতীত কাহিনী শুনে খারাপ লেগেছে অনেক। শুনেছি আগের দিনে নাকি বর্ষার সময় নদীতে প্রায় কুমিরের দেখা মিলতো। ভাগ্যিস সেই দিনগুলো এখন আর নেই।

সত্যিই দাদা,আপনার ঠাকরুনের গল্পটি শুনে খারাপ লাগলো।আর সাপকে তো আমি খুব ভয় পাই,যা আমি জোককে ও পাইনা।ওই একটাই ভয় আমার।ভগবানের অশেষ কৃপা যে আপনাদের বিষাক্ত সাপ কিছুই করতে পারেনি।সত্যিই গা শিউরে ওঠার বিষয়।ধন্যবাদ দাদা।

কোনোদিনও ঠাকরুনের খোঁজ মেলেনী ।

একথাটি শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল দাদা।
সাপের কথা কি বলবো খুব ভয় পাই ।এই সাপগুলো খুব বিষাক্ত হয় । সাপের কবল থেকে বেচে গেলেন ।না হলে আমরা দাদাকে কই পাইতাম ।আপনার ছোট বেলার এই ঘটোনাটি সত্যই ভয়ানক ।ভালো লাগলো পড়ে ।ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর ভয়ানক ঘটনা শেয়ার করার জন্য ।

ঠাকুরুনের সাথে ঘটে যাওয়া কাহিনী শুনে সত্যি মনটা খারাপ হয়ে গেল। আমিও ছোটবেলায় এমন অনেক শুনেছি যে আমাদের গ্রামের বাড়ীতে একটি দীঘির পানিতে নাকি কোন একটা জীব রয়েছে যে কিনা মানুষকে একা পানিতে পেলেই টেনে তলিয়ে নিয়ে যায়।

দাদা আমি শুনেছি এই পদ্ম গোখরো সাপ নাকি খুবই বিষধর এবং ভয়ঙ্কর। আপনার সাথে ঘটে যাওয়া এই সাপের কাহিনী শুনে আমার গাঁ একেবারে শিউরে উঠলো। ভাগ্যিস মেঝে থেকে পা টা উঠিয়ে নিয়ে ছিলেন , না হলে কি যে হতো! মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক শুকরিয়া তিনি আপনাদের সুস্থ রেখেছেন। সাপ নিয়ে আপনার ছোটবেলার গল্প শুনে সত্যিই শিহরিত হলাম ‌। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

Thank You for sharing...

দাদা আমার যদি এমন ক্ষমতা থাকতো তাহলে আপনার প্রতিটি ছোটবেলার গল্প একটা বই হিসেবে ছেপে নিতাম। আর সবাইকে বিলি করতাম। কাহিনী তো সুন্দর কিন্তু লিখা গুলার ভাষা গুলো আরো বেশি সুন্দর। একবার হাসি তো আরেকবার কান্না। এই গল্পে একবার মন খারাপ করলাম আর একবার হাসলাম। আর কিছু বলার নেই। ধন্যবাদ দাদা।

আপনার গল্প পড়ে ভয়ের থেকে মজা বেশি লাগলো। আপনি এত মজা করে গল্প লিখেন যে পড়তে পড়তে কখন শেষ হয়ে যায় বুঝতেই পারি না।
আর ভাগ্গিস আপনি পা উপরে তুলে ফেলেছিলেন। তা না হলে আমরা দাদা কোথায় পেতাম।

আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো।
এতো রোমাঞ্চকর সাপের গল্প কি বলবো।
সাপ আমি ভীষণ ভয় পাই আর এতো গোখরা সাপ 🐍 ভীষণ মারাত্মক। একটু ভুলে সাক্ষাত মৃত্যু হতে পারতো আপনার 🥺
যাক উপর ওয়ালা রক্ষা করছেন দাদা।

Thank You for sharing...

আমার পিঠ দিয়ে ভয়ের একটা শীতল স্রোত নেমে গেলো । মাটির মেঝে । আর সেই মেঝেতে একটি চলমান মেটে কালো ধূসর বর্ণের সরীসৃপ । মেঝে থেকে প্রায় ১ হাত উঁচু ফণা তুলে তীব্র রাগে ঘরের এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত কাউকে তাড়া করে চলেছে । বিশাল একটি পদ্ম গোখরো, কেউ কেউ বলে খৈয়া কেউটে । সাক্ষাৎ মৃত্যু দূত । তীব্র বিষ এই কেউটের । এক ছোবলেই একদম ছবি ।

আপনার বর্ননার ধরনের জন্য আপনার লেখা ও গল্পগুলো পড়তে খুব ভাল লাগে। ২/১ দিন আগে খবরে দেখলাম বাংলাদেশে এক পুকুরে কুমির পাওয়া গিয়েছে। কি ভয়ের কথা!

খুব মর্মান্তিক ছিল কুমিরের ঘটনাটি। আর সাপের ব্যাপারটিত যেন আপনার কানের পাশ দিয়ে বুলেট যাওয়ার মত।

Thank You for sharing...

upvoted!:)

আজ এতো বছর পরে মনে পড়লে এখনো গাঁ শিউরে ওঠে । ঈশ্বরকে ধন্যবাদ সেদিন পা তুলে নিয়েছিলাম ।

দাদা আপনি সাপের কামড়ের হাত থেকে বেঁচে গেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। আসলে সাপের কথা মনে হলেই আমার গাঁ শিরশির করে ওঠে। আজকে যখন আপনার লেখা পড়ছিলাম তখন ও হঠাৎ করে আমার গাঁ শিরশির করে উঠলো। আমি সাপ খুবই ভয় পাই। সাপের কথা মনে হলেই গাঁ শিউরে উঠে আমার। ছোটবেলার এই স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।