জীবনের প্রথম কম্পিউটার পাওয়ার অনুভূতি

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

FB_IMG_1654746141559.jpg
ফেইসবুক থেকে প্রাপ্ত : আমার ভাইঝি পুটু আড়াই বছর বয়স থেকেই ল্যাপটপ চালানো শিখেছে


ছোটবেলায় কোনোদিনও ভাবিনি বড় হয়ে কম্পিউটার চালিয়েই খেয়ে পরে বাঁচতে হবে । নব্বইয়ের দশকের ছেলেবেলা আমার । তখন ইউরোপ আমেরিকায় কম্পিউটার খুবই জনপ্রিয় হলেও উপমহাদেশে তখন রঙিন টিভি আর ভিসিআর জনপ্রিয় । আমাদের গ্রামের বাড়িতে নিজেদের একটা লাইব্রেরী ছিলো । পারিবারিক লাইব্রেরি । দুঃখের বিষয় ছোটদের কোনো বই ছিল না সেখানে । ছোটদের গল্পের বই কেনা শুরু করে আমার অগ্রজ । আমার জীবনের প্রথম গল্পের বইটিও তারই কিনে দেওয়া । আমার দাদা বয়সে আমার থেকে অনেক বড় । তাই, আমি যখন খুদে ছিলাম একেবারে, দাদা তখন মাধ্যমিক দিচ্ছে । তো, দাদা তখন বেশ কিছু বিদেশী পত্রিকা কিনতো নিয়মিত । সেই বিদেশী পত্রিকার মাধ্যমেই জীবনে প্রথম কম্পিউটার এর পরিচয় পেলাম ।

রঙিন টিভির মতো মনিটর দেখে টিভির সাথে কম্পিউটার এর প্রভেদ করতে পারতাম না তখন । উইন্ডোজ ৯৫ এর বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হতো সেই পত্রিকা গুলোতে । বিশ্বের প্রথম জনপ্রিয় GUI (Graphical User Interface) সম্বলিত অপারেটিং সিস্টেম হলো windows 95 । আমার মনে আছে তখন ভাবতাম উইন্ডোজ মানে তো জানালা, সেটা আবার কম্পিউটারে ঢোকে কি করে ?

এ সব হলো ৯৭ সালের ঘটনা । ছোট ছিলাম তাই বুঝতাম না কিছুই । আর দাদা মাধ্যমিক দিচ্ছে, তাই অনেক কিছু জানতো । পড়ার একটু ফাঁক পেলেই কম্পিউটার এর সম্পর্কে পড়তো । আর গল্প বলতো আমাকে । কম্পিউটারে সব করা যায় । পড়াশোনা, গান শোনা, ভিডিও দেখা, সিনেমা দেখা, টিভি দেখা, গল্পের বই পড়া, ছবি আঁকা আর গেম খেলা । কম্পিউটারে নাকি যে কোনো লেখা বা আঁকা এবং ছবি তাৎক্ষণিক প্রিন্ট করা যায় । শুনে মনে হতো আলাদিনের প্রদীপ মনে হয় এই কম্পিউটার ।

যাই হোক, খুউব ছোট্টবেলা থেকেই কম্পিউটার নামক এই অত্যাশ্চর্য বস্তুটির প্রতি অসীম ভালোবাসা জন্মালো । এটা কি কেনা যায় না ? আমাদের ফ্যামিলির আর্থিক স্বচ্ছলতা মোটামুটি ভালোই ছিল । মধ্যবিত্ত পরিবার বলতে যা বোঝায় আর কি । অতএব স্বপ্ন দেখতে মানা ছিলো না । দাদা আবদার করলো বাবার কাছে । মাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করলে চিন্তা ভাবনা করে দেখবে - বাবা জানালো ।

আমি তখন কল্পনায় কত গেম খেলতাম । আনন্দমেলার একটা পূজাবার্ষিকীতে পড়েছিলাম আশ্চর্য সব কম্পিউটার গেমসের বর্ণনা । পড়ে আমি ঠিক করে ফেলেছিলাম এ জিনিস না হলে আমার চলবে না । যাই হোক, দাদা মাধ্যমিকে খুবই ভালো রেজাল্ট করলে বাবা বললো - "উচ্চ মাধ্যমিক আরো কঠিন, এখন কম্পিউটার কিনলে আর লেখা পড়া হবে না কিছুই । আগে পাশ করো ভালো করে এবং মেডিকেলে চান্স পাও তারপরে কিনে দেব । "

এই কথা শুনে দাদা কিছুটা হতাশ হয়ে পড়লো ঠিকই তবে নতুন উদ্যমে আবার পড়াশোনা শুরু করলো । ১৯৯৯ সালে দাদা মেডিকেলে চান্স পেলো । আর সবাইকে অবাক করে দিয়ে বাবা তার কথা রাখলো । ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে ডিসেম্বরের এক সন্ধ্যায় বাড়িতে কম্পিউটার ঢুকলো । সে এক অবাক করা কাহিনী । এক মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির বড় ছেলের স্বপ্নপূরণ । তখন কম্পিউটার এর খুবই উচ্চ মূল্য ছিল । এভারেজ কনফিগারেশনের ডেস্কটপ কম্পিউটার এর মূল্য ছিল ৫৫,০০০ থেকে ৮০,০০০ এর মতো ।

দাম শুনে তো বাবার চোখ কপালে উঠে গেলো । ১৯৯৯ সালে ষাট-সত্তর হাজার টাকার মূল্য অনেক ছিল । যাই হোক, কম্পিউটার শপের মালিক জানালো যদি অপারেটিং সিস্টেম পাইরেটেড নেওয়া হয় তবে দাম প্রায় ১৫,০০০ কম পড়বে । উপায় ছিল না কোনো, তাই দাদা বাধ্য হয়ে রাজি হলো । তো, পাইরেটেড উইন্ডোজ সহ কম্পিউটার এর দাম পড়লো ৫২,০০০ এর মতো । বাজেট স্বল্পতায় ভালো মানের স্পিকার আর মাউজ, কি-বোর্ড কেনা গেলো না ।

আমার জীবনের প্রথম কম্পিউটার এর কনফিগারেশন হলো -

Processor : Intel Pentium III 733 MHz
Motherboard : ASUS
Monitor : SAMSUNG CRT 14''
RAM : 128 MB SD
Graphics Card : 8 MB
Sound Card : 24 BIT
Hard Disk : Quantum Fireball 40 GB
CD ROM : SONY
Floppy Disk Drive : SAMSUNG 1.44 MB
Keyboard : Eagle Touch Multimedia
Mouse : Ball Mouse
Speakers : General

Operating System : Windows 98

অবশেষে স্বপ্নপূরণ । উইন্ডোজ ৯৮ তখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে । চমকপ্রদ গ্রাফিক্স । দারুন দারুন সব গেম্স্ । জীবন একেবারে রঙিন হয়ে গেলো । আমরা তখন গ্রাম ছেড়ে শহরে থাকা শুরু করেছি । বিদ্যুৎ নিরবিচ্ছন্ন ছিল । ইন্টারনেট ছিল না । যা কাজ করার, গেম খেলার সব অফলাইনে । এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটার এ ডাটা দেওয়া নেওয়া করার সব চাইতে ইজি ওয়ে ছিল ফ্লপি ডিস্কেট এর মাধ্যমে । পেনড্রাইভের আবিষ্কার হয়নি ।

দিন রাত যখনই সময় পেতাম কম্পিউটারে গেম খেলতে বসে যেতাম । জীবনে প্রথম খেলা কম্পিউটার গেম হলো Road Rash । এরপরে খেলেছি House of The Dead, Virtual Cop 2, Cossacks European Wars, Age of Empire, Need for Speed, Cricket Captain, Cricket 2000, FIFA World Cup 98, Hitman এমন অসংখ্য গেম । ফটোশপে ছবি আঁকা শিখতাম, আর MS Paint তো দারুন প্রিয় ছিল । Microsoft Office এর word এ কত কিছু আবোল তাবোল লিখতাম । দুঃখ তখন একটাই ছিল, বাংলায় লেখা যেত না ।

এভাবেই কখন জানি কম্পিউটারকে জীবন দিয়ে ভালোবেসে ফেললাম আমি । দাদা মেডিকেলে ভীষণ বিজি হয়ে গেলো । কম্পিউটার আর তাকে টানেনি । কিন্তু, ঠিক আরেক জনকে টানলো, ভীষণ ভাবে । কম্পিউটার তার জীবনে প্রথম প্রেম । তেইশটা বছর ধরে কম্পিউটার তার জীবনে মিশে আছে, হয়তো মৃত্যুর আগে অব্দি এভাবেই মিশে থাকবে ।


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Sir Please like my post

Hii

চিন্তা করা যায় দাদা ১২৮ এম বি রেম আর ৪০ জিবি হার্ড ড্রাইভ। তারপরও কম্পিউটার ভাল গতিতেই চলতো। আর এখন আমরা সব চাইতে কম হলেও ৮ জিবি রেম এর নিচে কোন কাজই করতে পারি না। আর হার্ড ড্রাইভ তো এক টেরা । সত্যি অদ্ভুত এক আনন্দ হয়েছিল আপনার। আমার বাড়ীতে ২০০৪ সালে প্রথম কম্পিউটার ঢোকে। আমি যেহেতু একমাত্র ছেলে তাই সব কিছুই আমার মতন। আমারও 128 রেম ছিল। হার্ড ডিস্ক ৪০ । তবে তাতে আমি মিষ্টিরিয়াস আই ল্যান্ড গেম খেলেছি। উইন্ডোজ এক্স পি ব্যবহার করতাম।

দাদা আপনার কম্পিউটার পাওয়ার অনুভূতির গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে আপনার দাদার চেষ্টার কমতি ছিল না লেখাপড়া করে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে আপনার বাবার মনকে জয় করে ফেলেছিল দাদা। আপনার দাদার স্বপ্ন পূরণের সাথে সাথে সেই সাথে আপনিও কম্পিউটার চালানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। বিশেষ করে কম্পিউটারে কিনার আগে স্বপ্নে কম্পিউটার চালাতে এবং গেম খেলার স্বপ্ন দেখতেন যেটা পড়ে একটু হাসি পেয়েছি দাদা। যাইহোক, অনেক ভালো লেগেছে চালানোর অনুভূতির গল্প পড়ে।

আমাকে মা কিনে দিয়েছিল ক্লাস এইটে বৃত্তি পাওয়ার পরে , তবে সেটা সম্ভবত 2004 কি 2005 সালের দিকে হবে । আমার ঐ কম্পিউটারটা এখনো আছে ভাই । তবে সেটা আমার আগের বাসাতে । কত স্মৃতি , কত কিছু । কম্পিউটারটা এখনো রেখে দিয়েছি । আপনার অতীতটাও বেশ আবেগপ্রবণ ছিল ভাই । ভালোই লাগলো পুরো লেখাটা পড়ে ।

৯৭ সালের ঘটনা,তখন আমি জন্মগ্রহণ করিনি।ভগবান জানেন কোন দুনিয়ায় ছিলাম।সেই কালে বেশ চড়া দামে কম্পিউটার কিনে স্বপ্ন পূরণ করেছিলেন দাদা।একজনের স্বপ্ন পূরণের সঙ্গে সঙ্গে অন্যজনের হাতে খড়ি তারপর কম্পিউটার জীবনসঙ্গী।দারুণ লাগলো বড়ো দাদার সঙ্গে সঙ্গে আপনার স্বপ্ন পূরণ পড়ে।ধন্যবাদ দাদা,শুভকামনা রইলো আপনার পরিবারের সকলের জন্য।।

কম্পিউটার প্রেমিক মানুষ।আপনার মত আমার বড় ভাই মেডিকেলে চান্স পাওয়ার পর তাকে ল্যাপটপ কিনে দেওয়া হয়েছিলো ৫১০০০ টাকা দিয়ে। আমি তখন সভেন কিংবা এইটে।ভাইয়া যখন কম্পিউটার অন করতো সামনে বসে থাকতাম। মনে পরে গেলো অতীতের কথা।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

Thank You for sharing...

ওই সময় আপনার বাবা কম্পিউটার কিনে দিয়েছিল বলেই হয়তো আজকে আপনি কম্পিউটারের খুঁটিনাটি সবকিছু নখদর্পণে করতে পেরেছেন । অবশ্যই এর জন্য আপনার দাদা বিশাল বড় ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। আমাদের বাসায় যখন প্রথম কম্পিউটার এলো তখন ও আমাদের একটি নেশাই ছিল গেমস খেলা । সবাই মিলে পাল্লা দিয়ে গেম খেলতাম।আপনার আজকের পোষ্টের মাধ্যমে সে কথা মনে পড়ে গেল।
এতদিনে আপনার প্রথম প্রেমকে খুঁজে পাওয়া গেল অবশেষে।

আপনি প্রথম দিকে কম্পিউটারের সংস্পর্শে আসেন। 2003 সালে যখন আমি আমার ইমেল অ্যাকাউন্ট খুলি তখন আমি প্রথমবারের মতো একটি কম্পিউটার পরিচালনা করি এবং 2009 সালে আমি আমার প্রথম ডেস্কটপ পাই কারণ আমার বাবা শিক্ষিত নন তাই তিনি কম্পিউটার সম্পর্কে কিছুই জানতেন না।

আমি যখন প্রথম উইন্ডোটি শুনেছিলাম, তখন আমি ভেবেছিলাম এটি একটি বাড়ির জানালা ছিল না জেনে এটি একটি অপারেটিং সিস্টেমের একটি সংস্করণ। এটা মজার কারণ আমরা হাই স্কুলে কম্পিউটার কোর্স শিখিনি। এখন, 1 বছর বয়স থেকে শিশুরা কম্পিউটার চালানো শুরু করেছে। তাদের আগে আয়ত্ত করার একটি খুব বড় সুযোগ রয়েছে কারণ অনেক লোক এখন একটি কম্পিউটার কিনতে পারে যখন এটি ব্যয়বহুল ছিল এবং শুধুমাত্র ধনী ব্যক্তিরা এটি বহন করতে পারে। পৃথিবী সত্যিই বদলে গেছে। প্রথম উইন্ডোজ ৮-এর তুলনায় এখন আমাদের কাছে অত্যাধুনিক অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। দারুণ পোস্ট।

Thank You for sharing Your insights...

জীবনে প্রথম কম্পিউটার পাওয়ার অনুভূতি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, যা আমার কাছে অনেক ভালো লাগল আপনার অনুভূতির কথা গুলো পড়ে। দামের দিক থেকে সেই সময় খুবই উচ্চ মূল্য ছিল বলে অনেকেই এটিকে স্বপন পূরনের একটি বস্তু ছিল। জীবনে নতুন কিছু পাওয়ার আখাংকা সত্যি এরকম হয় দাদা। আমি যখন লেপটপ কিনেছিলাম, সেই সময়টা আমার রাতে ঘুম হত না ,মনে হত আমি ঘুমের মধ্যে সেখানে বসে আছি। এই যে একটা অন্যরকম আগ্রহ প্রকাশ হয় , এটি জীবনের আনন্দের মুহূর্র্ত । শুভকামনা দাদা

দাদা আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে জীবনে প্রথম কম্পিউটারের আনন্দময় মুহূর্ত গুলো আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। সত্যি ১৯৯৯ সালে প্রথম কম্পিউটার আসে আপনাদের বাড়িতে এটি সত্যিই অসাধারণ। মধ্যবিত্ত হলেও তখন কম্পিউটারের দাম ছিল ৬০ হাজার ১৯৯৯ সালের ৬০ হাজারের মূল্য অনেক। আপনার দাদা মেডিকেলে চান্স পায় তাকে উপহার এবং কথা রাখতে আপনার বাবা বাড়িতে একটি কম্পিউটার নিয়ে আসলো। সত্যিই এই মুহূর্তটা ছিল অনেক আনন্দের। জীবনটা আপনার রঙিন হয়ে গেল। কম্পিউটারের নানা রকম গেম সত্যি মুহূর্তগুলো ভাবতে আমার ভালো লাগছে। আপনার জীবনের প্রথম কম্পিউটারের গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। দাদা শুভ কামনা রইল আপনার জন্য এবং কম্পিউটার আপনার জীবন মৃত্যু পর্যন্ত থেকে যাবে এটা বোঝাই যাচ্ছে। সব সময় সুস্থতা কামনা করি।

Thank You for sharing...

আমার মনে আছে তখন ভাবতাম উইন্ডোজ মানে তো জানালা, সেটা আবার কম্পিউটারে ঢোকে কি করে ?

খুবই যুক্তিযুক্ত প্রশ্ন ছিলো এটা, কিন্তু উত্তরটি তখন জানা ছিলো না হি হি হি। সে সময় কম্পিউটার কেনার পর সকলের প্রথম আকর্ষণ থাকতো গেম খেলা। Road Rash আর Virtual Cop 2 এই দুইটা গেম আমিও খুব খেলাম। আর কয়দিন পর পর মাউস পরিবর্তন করতাম।

দাদা প্রথম পাওয়া কম্পিউটারে নিয়ে চমৎকার অভিজ্ঞতা লিখেছেন। বলতে গেলে আমার অভিজ্ঞতাও ছিল প্রায় আপনার মত একই রকম। আমিও 98 সালে প্রথম কম্পিউটার এর সঙ্গে পরিচিত হই। অবশ্য সেটা ছিল আমার মামার কম্পিউটার। নিজস্ব কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য হয়েছিল আরো অনেক বছর পরে। আপনার মত আমিও কম্পিউটারের প্রচুর গেমস খেলেছি। শুধুমাত্র ইউরোপিয়ান ওয়ার বাদে বাকি সব গুলো গেমস আমার খেলা। সেই থেকে কম্পিউটারের সঙ্গে আমারও এমন একটি হয়েছে যা হয়ত মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর বিচ্ছিন্ন হবার নয়।

Thank You for sharing...

দাদা আপনার প্রথম কম্পিউটার পাওয়ার গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো ।প্রথম কম্পিউটার পেলে সবারই মনে হয় গেমস খেলার দিকে বেশি আগ্রহ থাকে ।আমাদের ক্ষেত্রে ও তেমনই হয়েছিল। সারাক্ষণ গেমস খেলতাম ।সেই ছোটবেলা থেকে আপনি কম্পিউটার চালানো শুরু করে আজও চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাবেন আশা করছি। প্রথম প্রেম বলে কথা। তবে প্রথম প্রেমকে কেউ এভাবে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকে আপনাকেই প্রথম দেখলাম ।ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা, আপনার প্রথম প্রেম কম্পিউটার ছিল বলেই আজ আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের জন্ম। তাই প্রেম টা একদম যথার্থই ছিল। আমার বাড়িতে প্রথম ডেস্কটপ ঢোকে ২০১১ সালে। তার জন্য কত জেদ! আপনার লেখা গুলো পড়তে পড়তে পুরোনো সে সব দিনে হারিয়ে যাচ্ছিলাম খুব। আর দাদা আপনি যখন কিনেন ৫২০০০ কিন্তু কম টাকা নাহ্,, ঐ টাকার মূল্য ওই সময় সত্যিই অনেক ছিল। দাদা আপনার সাথে গেমস খেলার আমারও বেশ মিল আছে। তবে need for speed খেলতে এখনও ভালো লাগে আমার।

এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটার এ ডাটা দেওয়া নেওয়া করার সব চাইতে ইজি ওয়ে ছিল ফ্লপি ডিস্কেট এর মাধ্যমে । পেনড্রাইভের আবিষ্কার হয়নি

এটাও ছিল তাহলে। এই ব্যবস্থা এখন হটস্পটের মাধ্যমে নেয়া যায়। আপনার সময়কার কম্পিউটার এর দাম তো খুব কড়ামূল্য। টাকার ভ্যালুও তো অনেক ছিল। ফিফা, ক্রিকেট গেমগুলা ফোনে খেলেছি। অনেক কিছুই জানতে পারলাম দাদা। অবশেষে এই কম্পিউটার এ এখন আপনার সব ❣️

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Thank You for sharing...

দাদা আপনার প্রথম কম্পিউটার পাওয়ার অনুভূতি পড়লাম বেশ ভালই লাগলো। আসলে আপনি তো ওই সময় কম্পিউটার হাতে পেয়েছিলেন কিন্তু আমরা তখন সাদাকালো টিভির নিয়ে খুব উৎসাহে আনন্দে ছিলাম সেই সাথে ভিসিআর মোটামুটি দেখতাম। তবে আপনি যত গেম খেলেছেন আমিতো নামও শুনিনি দাদা আপনার গেমস এর নাম পড়তে গিয়ে আমি তো হতবাক। আপনার প্রথম কম্পিউটার পাওয়ার 90 দশকের অনুভূতি গুলো পড়ে আমার নিজেরই অনেক কিছু মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ দাদা এরকম একটি স্মৃতি বিজড়িত অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য

Thank You for sharing Your insights...

দাদা আপনার জীবনের প্রথম কম্পিউটার পাওয়ার গল্পটা অনেক ভালো লাগলো। আপনি যে সময়ে কম্পিউটার কিনেছিলেন ঐ সময়ে আমি জন্ম গ্রহন করেছিলাম না।

দাম শুনে তো বাবার চোখ কপালে উঠে গেলো।

আসলে ঐ সময়ে টাকার মূল্য ছিল অনেক বেশি। ৫২ হাজার টাকা একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য অনেক বড় সংখ্যা ছিল। তারপরও আপনাদের বাবা বড় ভাইয়ের মেডিকেলে চান্স উপহার হিসেবে কম্পিউটার কিনে দিয়েছিলেন। আসলে বাবারা এমনই হয় সব সময় চেষ্টা করে তাদের সন্তানদেরকে খুশি রাখতে।

আমারও কম্পিউটার কেনার অনেক শখ কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হবার কারণে আজ পর্যন্ত পরিবারের কাছে বলার সুযোগ পাইনি আমার একটা কম্পিউটার এর প্রয়োজন। যদি কোনদিন নিজের উপার্জন দিয়ে কম্পিউটার কিনতে পারি সেই দিনই আমার শখ পূরণ হবে।

Thank You for sharing Your insights...

কিন্তু, ঠিক আরেক জনকে টানলো, ভীষণ ভাবে । কম্পিউটার তার জীবনে প্রথম প্রেম । তেইশটা বছর ধরে কম্পিউটার তার জীবনে মিশে আছে, হয়তো মৃত্যুর আগে অব্দি এভাবেই মিশে থাকবে ।

দাদা সেই মানুষটি নিশ্চয়ই আপনি।
দাদা আপনার জীবনের প্রথম কম্পিউটার পাওয়ার অনুভূতি পড়ে খুব ভাল লাগল। আমার মা তার জমানো টাকা দিয়ে আমাকে যেদিন ল্যাপটপ কিনে দিয়েছিল সেদিন সারারাত আমি ঘুমুতে পাড়িনি।মনে পড়ে ১৯৯৯ সালের দিকে আমার এক বন্ধুর কম্পিউটার কিনেছিল তখন তার কম্পিউটারে হাত দিতে পারতামনা, কম্পিউটারের কাছে যেতে দিতনা। সেদিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখন হাসি পায়, মনে মনে হাসি।

আমারও কম্পিউটারে হাতে খড়ি উইন্ডোজ 98 OS এ। সালটা ২০০৫ স্কুলের কম্পিউটার ক্লাসে স্ক্রিন সেভারে নিজের নাম লিখে দেওয়া। Paint এ আঁকিবুকি করা। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।

সময়ের অভাবে ভালোবাসার জিনিস গুলো জীবন থেকে বাদ পড়তে থাকে।

লজ্জা বাদ দিয়ে বলছি আমি এখনো মাঝে মাঝে Road Rash ইনস্টল করে খেলি।

  ·  3 years ago (edited)

আমার মনে আছে তখন ভাবতাম উইন্ডোজ মানে তো জানালা, সেটা আবার কম্পিউটারে ঢোকে কি করে ?

দাদা ছোটবেলায় এরকম উদ্ভট প্রশ্ন সবার মনেই জাগে। আপনার মত আমিও ছোটবেলায় এরকম একটি আশ্চর্য ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলাম। ছোটবেলায় যখন গ্রামে থাকতাম তখন আমাদের গ্রামে একটিও টেলিভিশন ছিলনা। আমাদের বাড়ীতেই গ্রামের প্রথম টেলিভিশনটা আসে তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রচণ্ড উত্তেজনা। রাতে যখন টেলিভিশন ছাড়া হল আমি পেছনে গিয়ে মানুষ গুলোকে খুঁজতে লাগলাম। খুঁজে না পেয়ে আবার সামনে এসে ভাবতে লাগলাম যে মানুষগুলো ভেতরে গেল কিভাবে হা হা হা !! যাইহোক দাদা আমার প্রথম টেলিভিশন দেখার উত্তেজনা থেকেই আপনার কম্পিউটার এর প্রতি ভালোলাগার অনুমান করতে পারছি। তবে একটা কথা মানতেই হবে আপনার কম্পিউটারের প্রতি এই ভালোবাসার কারণেই আমরা আজ আমার বাংলা ব্লগ এর মত প্লাটফর্ম পেয়েছি। অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।

Thank You for sharing Your insights...

১৯৯৮ সালে আমার জন্ম হয়েছে তখন থেকেই আপনি কম্পিউটার চালানো শিখছেন, ১৯৯৯ সালে আপনাদের বাসায় কম্পিউটার ঢুকেছে জেনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আপনার অভিজ্ঞতা থেকে আমার আগের দিনের কথা মনে পড়ে গেল আমি যখন প্রথম কম্পিউটার চালাই তখন সেটি ছিল উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম সত্যি বলতে সেই দিনগুলোর কথা মনে পরে গেল। এবার সুযোগ নিয়ে একটি পোস্ট করব, অসাধারণ লাগলো দাদা।। তবে এখন একটু বিষয় লক্ষ্য করা যায় দাদা, এখন ও অনেকেই জানেন এই না যে সফটওয়্যার কিনে ব্যবহার করতে হয়। এর জন্য তারা মাঝে মাঝে অনেক বিপদে পরে। আসলেই বিষয়টি আমাদের সকলের সতর্ক থাকা উচিত।।

অতি আবেগের প্রথম কিছু পাওয়ার অনুভূতি আসলেই সারাজীবন মনে রাখার মতো। আমাদের সময়ে যখন কম্পিউটার অতো বেশি সহজলভ্য ছিলো না তখন সাদাকালো বা রঙিন টিভিতেই আমরা আমাদের সুখ খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করতাম। শহরে কিছু দোকানে যখন দেখতাম টিভির মধ্যে দিয়ে কি কি যেন করা যাচ্ছে তখন মনটা বেশ আগ্রহী হয়ে উঠতো এই জিনিসটা কি? জানতে পেরে খুব ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে করতো। কি সব করা না যায় এ দিয়ে!

প্রথম সাক্ষাতে বেশ ভালো লেগেছিলো আমার কম্পিউটার ল্যাবে যখন প্রথম একে ভালো করে নেড়ে দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। সত্যি সে অনুভূতি এখনও মনে আছে আমার। অসম্ভব ভালো লাগা কম্পিউটারের প্রতি এখনও কাজ করে।

Thank You for sharing...

তার পরেও আপনাকেও ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ আপনি যে সময়টাতে ঘরে কম্পিউটার পেয়েছেন ওই সময়ে আমরা বাড়িতে কম্পিউটার চিন্তাও করতে পারতাম না। তবে কি মজার জিনিস হচ্ছে আজকালকার জেনারেশন কিন্তু ফ্লপি ডিস্ক চেনেনা। আমার মনে আছে আমি যখন প্রথম কম্পিউটার গেম খেলি সেটা ছিলো ঢাকা থেকে আমার এক চাচাতো ভাইয়ের কম্পিউটারে। সেখানে আমি ফ্লপি ডিস্ক প্রথম দেখেছিলাম। শেষের ছবিতে যে কম্পিউটার দেখা যাচ্ছে এটা সম্ভবত ব্ল্যাকস দাদার নতুন গেমিং কম্পিউটার। পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো দাদা।

৯৭ সালের ঘটনা

তখন আমার জন্ম হয় নি। তারপরও আমি আমার দাদাদের মুখে শুনেছি যে তখন টাকার অনেক মু্ল্য ছিল। তখনকার সময়ে কম্পিউটার মানে স্বপ্নের মতো ছাড়া আর কিছু না। আমারও স্বপ্ন ছিল কম্পিউটার কিনবো। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ার কারনে এখনো আমার সামর্থ্য হয়নি। আমি চাই নিজে উপার্জন করে কম্পিউটার কিনতে। আশা করছি কয়েক বছরের ভিতর আমি কম্পিউটার কিনবো। আপনার কম্পিউটার কেনার গল্পটি শুনে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনার কম্পিউটার কেনার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

감사합니다

দাদা ৯৭ সালের ঘটনা । তখন ছোট ছিলেন তাই বুঝতেন না কিছুই । আর আপনার দাদা মাধ্যমিক দিচ্ছে, তাই অনেক কিছু জানতো । পড়ার শুনায় একটু ফাঁক পেলেই শুধু কম্পিউটার এর সম্পর্কে পড়তো । আর গল্প বলে শোনাতো আপনাকে । কম্পিউটারে সব করা যায় । পড়াশোনা, গান শোনা, ভিডিও দেখা, সিনেমা দেখা, টিভি দেখা, গল্পের বই পড়া, ছবি আঁকা আর গেম খেলা । কম্পিউটারে নাকি যে কোনো লেখা বা আঁকা এবং ছবি তাৎক্ষণিক এসব কথা তখন অবাস্তব মনে হতো।আর এখন কম্পিউটার ছাড়া মানুষের জীবন যাত্রা অকল্পনীয়। আপনার ভাইঝির জন্য শুখকামনা।

দাদা আপনার জীবনের প্রথম কম্পিউটার পাওয়ার অনুভূতি পড়ে অভিভুত হলাম।♥♥

Thank You for sharing Your insights...

আপনার জীবনের প্রথম কম্পিউটার পাওয়ার অনুভূতি জানতে পেরে ভালো লাগলো। আমারও গেম খেলতে, কম্পিউটার চালাতে খুব ভালো লাগেতো। তাই 2010 সালে প্রথম কম্পিউটার কিনেছিলাম। যা এখন জাদুঘরে রাখা যাবে।

চাইতেই এক নিমেষে আজকালকার জেনারেশন অনেক কিছু পেয়ে যায়।তাই ওই মর্ম আর মায়া ওদের একেবারেই নেই। আমার ভাইটা অমন হয়েছে, আমিও অনেক জেদাজেদি করে হাত পা ছুঁড়ে কান্না করে কষ্ট করে তবে কম্পিউটার পেয়েছিলাম।আমার প্রথম ফোন কিনতে গিয়েও কত জেদ করতে হয়েছে।

তোমার পোস্ট পড়ে পুরনো স্মৃতি তাজা হয়ে গেল। যুগ ধীরে ধীরে কত বদলাচ্ছে, আর গ্যাজেট গুলোও। কিন্তু মর্ম বলেও একটা শব্দ আছে, সেটা কমে যাচ্ছে ।

আপনার পরিবারের কম্পিউটার কেনার বিষয়টা খুব ভালোভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরলেন ।এতদিন পর কম্পিউটার টি আপনাদের হেফাজতে রয়েছে বলে আমার খুবই ভালো লাগলো ।তবে আপনার দাদা শেষ পর্যন্ত ডাক্তার হতে পারল কি না তা বর্ণনায় তুলে আনা হয় নাই। আপনার কম্পিউটার আসক্তি আজ আপনাকে প্রযুক্তির জগতে এতদুর পর্যন্ত নিয়ে এসেছে এটা একটা ঐতিহাসিক ব্যাপার ।থাকেন পুরনো কম্পিউটারের সাথে ।নতুন কম্পিউটারের ব্যবহার কতদূর করতে পারতেছেন তাও একবার আমাদের জানান ।শুনেছিলাম আপনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। এ ব্যাপারে আপনিও কোন কোন সময় পোস্টে যত্সামান্য লিখেছিলেন ।কম্পিউটার হোক আপনার জীবনের রুজি রোজগারের সাথী এই কামনা করছি।

Thank You for sharing...

আসলেই এই যুগের আমাদের সারাজীবন ভালবাসা থাকবে কম্পিউটার এর সাথে।

প্রতিদিন অন্তত ১ ঘন্টা বসা হয় কম্পিউটারে। Paint আমার এখনো প্রিয়। সাধারন কাজ Paint এই করে ফেলি।