Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪০

in hive-129948 •  3 years ago 

Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪০


পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৩৯


হ্যালো বন্ধুরা,

সুপ্রভাত । আশা করি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন ।

সেই কবে শুরু করেছি আমার "ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম" ভ্রমণের ধারাবাহিক এই সিরিজ ফোটোগ্রাফি পোস্ট । দেখতে দেখতে আজকে চল্লিশতম পর্বে চলে এসেছি ।আশা করছি পঞ্চাশতম পর্ব ক্রস করতে পারবো খুব শীঘ্রই । এটা কিন্তু আমার লম্বা সিরিজ নয় । এর আগে আমার ফার্স্ট স্টিমিট আইডি দিয়ে একটি সিরিজ পোস্ট রান করেছিলাম ২০০+ পর্ব অব্দি । জীবজগতের মজার, রহস্যময় ও অজানা তথ্য নিয়ে করা ছিল সিরিজটি । তবে সেটা ছিল ইংলিশ সিরিজ । কিন্তু, এই সিরিজটি সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় । তাই এটাই আমার লংগেস্ট সিরিজ এখনো অব্দি ।

"প্রাচীন ভারতের এন্টিক দ্রব্যসামগ্রীর প্রদর্শনী" পর্বের আজকে অষ্টম পর্ব । এ পর্যন্ত মোট সাতটি পর্বে আমি কাঠ, ধাতু ও হাতির দাঁতের তৈরী অনেক antique দ্রব্যের ফোটোগ্রাফ শেয়ার করেছি । আশা করি খুব একটা খারাপ লাগেনি আপনাদের কাছে ।

আমাদের আজকের এপিসোডে যে সব antique বস্তুর ফোটোগ্রাফি থাকছে সেগুলো হলো :

১. কাঠের তৈরী শৌখিন প্রাচীন ময়ূরের একটি প্রতিমূর্তি
২. একটি খুবই প্রাচীন কোনো এক ভারতীয় মন্দিরের ব্যবহৃত পুজোর থালা
৩. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী একটি খুবই প্রাচীন ভারতীয় যুদ্ধরথ
৪. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী বংশীবাদক অবস্থায় শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালের প্রতিমূর্তি
৫. একটি অসংখ্য কারুকার্যখচিত তামার তৈরী অতিকায় কেটলি
৬. সম্পুর্ন কাষ্ঠনির্মিত প্রাচীন আমলের অসাধারণ কারুকার্যখচিত ছুরি-চামচ-কাঁটা চামচ
৭. মখমলের কাপড়ের উপরে সোনার সুতো, রুপোর সুতো, তামার সুতো, অভ্রের সুতো এবং রং বেরঙের নানান সুতো দিয়ে করা একটি প্রাচীন সূচিশিল্প

তো বন্ধুরা চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে ! আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না আজকের আয়োজন আপনাদের কাছে ।


এটি একটি কাঠের তৈরী শৌখিন প্রাচীন ময়ূরের একটি প্রতিমূর্তি । ময়ূরটি যতদূর বোঝা যায় ছিল কোনো প্রাচীন অভিজাত পরিবারের বাচ্চাদের খেলনা । ময়ূরটির সামনে ঠোঁট ও বুক পর্যন্ত কাঠের একটি দন্ড লাগানো, এটি ধরার সুবিধার্থে । আর ময়ূরটির পায়ের নিচে একটি কাঠের প্লাটফর্ম, এবং তার নিচে চাকা লাগানো ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এটি একটি খুবই প্রাচীন কোনো এক ভারতীয় মন্দিরের ব্যবহৃত পুজোর থালা । খুব সম্ভবত বৃন্দাবনের কোনো এক মন্দিরের পুজোর থালা এটি । থালাটির গায়ে রংবেরঙের ধাতু নির্মিত বেশ কিছু অলংকরণ ও শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালের চিত্র , বৃন্দাবনের অন্যান্য গোপ বালকদের সাথে খেলার চিত্র ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এটি একটি খুবই প্রাচীন ভারতীয় যুদ্ধরথ । এই শৌখিন বস্তুটি পুরোটাই হাতির দাঁত দিয়ে তৈরী করা । যুদ্ধরথে একজন রাজপুরুষ উপবেশন করে আছেন একটি দন্ডায়মান সিংহের প্রতিমূর্তির পাশে । রথের সারথি রাজপুরুষের কাছে কিছু জানতে চাইছে । রথের সামনে চারটি যুদ্ধের ঘোড়া রথটি টেনে নিয়ে চলেছে । অসাধারণ অলংকরণ রথের সর্বাঙ্গে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী বংশীবাদক অবস্থায় শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালের প্রতিমূর্তি । মূর্তিটির মাথার একটি সাইড ভেঙে গিয়েছে । তারপরেও অনিন্দ্যসুন্দর এই মূর্তিটির দিক থেকে চোখ ফেরাতে ইচ্ছে করে না মোটেও ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এটি একটি তামার তৈরী অতিকায় কেটলি । খুবই প্রাচীন এটি । কেটলির গায়ে অসংখ্য ফুল-লতা পাতার নকশা মিনে করা আছে । বর্ষ কিছু মূর্তিও খোদাই করা আছে এর গায়ে । সব চাইতে ইন্টারেস্টিং হলো কেটলির ঢাকনা । ঢাকনার উপরে শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলার একটি খন্ডচিত্র । সব গুলি মূর্তিই নিরেট তামার তৈরী । জাস্ট অসাধারণ ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


সম্পুর্ন কাষ্ঠনির্মিত প্রাচীন আমলের অসাধারণ কারুকার্যখচিত ছুরি-চামচ-কাঁটা চামচ । ইংরেজ আমলের এগুলি । ডিনার টেবিলে সাজানো থাকতো । এগুলো দিয়ে আদৌ খাওয়া হতো নাকি নিছক সাজানো থাকতো টেবিলে সে বিষয়ে সন্দেহ আছে । অসাধারণ কারুকার্য চামচ, ছুরি এবং কাঁটাচামচের গায়ে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


মখমলের কাপড়ের উপরে সোনার সুতো, রুপোর সুতো, তামার সুতো, অভ্রের সুতো এবং রং বেরঙের নানান সুতো দিয়ে অসাধারণ এই শিল্পকর্মটি করা হয়েছে । খুবই প্রাচীন আমলের জগন্নাথদেবের রথযাত্রা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই সূচিশিল্প কর্মের মাধ্যমে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এর আগে আমার ফার্স্ট স্টিমিট আইডি দিয়ে একটি সিরিজ পোস্ট রান করেছিলাম ২০০+ পর্ব অব্দি

এটা শুনে আমি রীতিমতো হতবাক। ২০০+ পর্ব এটা অনেক বড় একটি ব‍্যাপার। অনেক ধৈর্য লেগেছিল কাজটা করতে।

আপনার আজকের এপিসোডের শিল্পকর্ম গুলো এককথায় অসাধারণ ছিল। তবে হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি শ্রী কৃষ্ণের বাল‍্যকালের ছবিটি থেকে নজর সড়াতে পারছিলাম না। অনেক ভালো লেগেছে ওইটা।

মখমলের কাপড়ের উপরে সোনার সুতো, রুপোর সুতো, তামার সুতো, অভ্রের সুতো এবং রং বেরঙের নানান সুতো দিয়ে অসাধারণ এই শিল্পকর্মটি করা হয়েছে । খুবই প্রাচীন আমলের জগন্নাথদেবের রথযাত্রা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই সূচিশিল্প কর্মের মাধ্যমে ।

সত্যি যতই দেখছি ততোই মুগ্ধ হচ্ছি দাদা, আপনার ফটোগ্রাফি সিরিজের মাধ্যমে অনেক তথ্য জানার এবং চমৎকার সকল নিদর্শন দেখার সুযোগ পেয়েছি। ধন্যবাদ

এই শৌখিন বস্তুটি পুরোটাই হাতির দাঁত দিয়ে তৈরী করা।

এই যুদ্ধ রথটির দেখে জাস্ট অবাক হয়ে গেলাম আমি।হাতির দাঁত দিয়ে যে এতোকিছু বানানো যায় তা তো একেবারে ভাবাই যায়না!!বাপরে বাপ!কি হাতের কাজ।

ময়ূরটি দেখতে বেশ সুন্দর ছিলো দাদা। আর কাটা চামচগুলো আরো বেশি সুন্দর লাগছে। আর শেষের ছবিটি দেখে আমিতো পুরোই অবাক হয়েগেলাম😯।
মখমলের কাপড়ের উপরে সোনার সুতো, রুপোর সুতো, তামার সুতো, অভ্রের সুতো দিয়ে অসাধারণ এই শিল্পকর্মটি পুরো অবাক করার মতো।

দাদা আপনার পোস্টের সিরিজ যত বড় হবে পড়তে তত আমাদের ভালো লাগবে। কারন প্রতিনিয়ত একটা চমক পাই আমরা। আজকেও বেশ উপভোগ করলাম। কাঠের তৈরি ময়ূর আর হাতির দাঁতের তৈরি জিনিসপত্র আমার চমৎকার লেগেছে ✨
ভালো থাকুন সবসময় এই দোয়া করছি।

  ·  3 years ago (edited)

সত্যি বলতে দাদা আপনার প্রতিটা সিরিজ এর মধ্যে অনেক জানার বিষয় রয়েছে মিউজিয়াম সিরিজ এর মধ্যে থেকে আমরা অনেক অজানা জিনিস গুলো সম্পর্কে জানতে পারছি। প্রতিটা চিত্র দারুন আর আমার চোখে এগুলো প্রথম দেখলাম।ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করতে চাইনা।পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা😍😊

একটি সিরিজ পোস্ট রান করেছিলাম ২০০+ পর্ব অব্দি।

অবাক হলাম দাদা শুনে। তবে আশা করি এটি খুব শীঘ্রই ৫০+ হয়ে যাবে। যায়হোক আজকের পর্বটিও অনেক ইন্টারেস্টিং ছিল। তামার তৈরি কেটলিটি আসলেই দাদা অনেক সুন্দর। তবে এর ঢাকনা আরও বেশি সুন্দর। আজকের পর্বটিও উপভোগ করেছি সেই সাথে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারলাম।

দাদা আজকের পর্বের সকল বস্তুই খুবই অসাধারন ছিল। তবে আমার সবথেকে অসাধারন লেগেছে হাঁতির দাঁতের তৈরী যুদ্ধরথটি।বিশেষ করে যুদ্ধরথটির ডিজাইন আমাকে অবাক করেছে।

দাদা আপনি ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের ভেতরের ফটোগ্রাফি গুলো সিরিজ আকারে আমাদের মাঝে প্রকাশ করছেন বলেই আমরা এগুলো দেখার সুযোগ পাচ্ছি। আসলে হয়তোবা কোনদিন ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ হবে না। তবে আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পারছি এবং কারুকার্য ভরা বিভিন্ন ভাস্কর্যগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি যুদ্ধরত খুবই সুন্দর দেখতে। সত্যি দাদা এতটা কারুকার্য ভরা এই ভাস্কর্যগুলো খুবই মনমুগ্ধকর। দারুন সব ফটোগ্রাফি সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

প্রথমে দাদার সুস্থোতা কামনা করি যে এত ব্যস্তোতার মধ্যেও এতো দামি দামি ফটোগ্রাফি দিয়ে আমাদের দেখার সুযোগ করে দেন Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪০ এর প্রতিটি ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল মনোমুগ্ধ কর ছিল ।

সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী একটি খুবই প্রাচীন ভারতীয় যুদ্ধরথ
৪. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী বংশীবাদক অবস্থায় শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালের প্রতিমূর্তি
৫. একটি অসংখ্য কারুকার্যখচিত তামার তৈরী অতিকায় কেটলি

তবে এই গুলো ফটোগ্রাফি গুলো বেশি মনে ধরেছে ।ধন্যবাদ ও দোয়া রইলো দাদা ।

এটি একটি খুবই প্রাচীন ভারতীয় যুদ্ধরথ । এই শৌখিন বস্তুটি পুরোটাই হাতির দাঁত দিয়ে তৈরী করা । যুদ্ধরথে একজন রাজপুরুষ উপবেশন করে আছেন একটি দন্ডায়মান সিংহের প্রতিমূর্তির পাশে । রথের সারথি রাজপুরুষের কাছে কিছু জানতে চাইছে । রথের সামনে চারটি যুদ্ধের ঘোড়া রথটি টেনে নিয়ে চলেছে । অসাধারণ অলংকরণ রথের সর্বাঙ্গে ।

৪০তম পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বিশেষ করে হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি করাএই সুন্দর ভাস্কর্য আহ কি সুন্দর। এত দক্ষতা দিয়ে তৈরি করেছে। সত্যিই অসাধারণ। আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা আমাদের দেখা সুযোগ করে দিয়েছেন।

সেই কবে শুরু করেছি আমার "ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম" ভ্রমণের ধারাবাহিক এই সিরিজ ফোটোগ্রাফি পোস্ট । দেখতে দেখতে আজকে চল্লিশতম পর্বে চলে এসেছি ।আশা করছি পঞ্চাশতম পর্ব ক্রস করতে পারবো খুব শীঘ্রই ।

ঠিক বলেছেন দাদা সিরিজটা অনেক লম্বা।

মখমলের কাপড়ের উপরে সোনার সুতো, রুপোর সুতো, তামার সুতো, অভ্রের সুতো এবং রং বেরঙের নানান সুতো দিয়ে অসাধারণ এই শিল্পকর্মটি করা হয়েছে । খুবই প্রাচীন আমলের জগন্নাথদেবের রথযাত্রা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই সূচিশিল্প কর্মের মাধ্যমে ।

তাকলাগিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।

অসাধারন সব শিল্প কর্ম । এমন আকৃতির পূজোর থালা কখনও দেখিনি। শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি টি দারুন ।হাতীর দাতের কারুকাজ দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম । তাছাড়া যুদ্ধরথ ময়ূর কেতলী সবগুলো যেন নজর কাড়া কারুকাজ খচিত। গল্পে শুনেছি সোনার সুতো রুপো সুতো আজ দেখলাম । মনটা যেন শান্তি পেলো। প্রাচীন কালেও কাটা চামচের ব্যবহার ছিল এটা তারই নিদর্শন স্বরুপ। প্রতিটি পর্ব বেশ আনন্দের সাথে উপভোগ করছি। সামনা সামনি দেখা কখনও হবে কিনা জানি না। তবে ভাগ্যে আছে বলেই দেখছি আপনার মাধ্যমে। ভাল থাকবেন দাদা ।

অসম্ভব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দাদাভাই। যতই ফটোগ্রাফি গুলো দেখি ততই অবাক হয়ে যাই। তবে এবারের ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে সর্বশেষ ফটোগ্রাফিটি আমার নজর কেড়েছে। মখমল কাপড়ের উপর কি করে সোনার সুতো, রুপোর সুতো, তামার এবং অভ্রের সুতো দিয়ে কাজ করেছে। জাস্ট অসাধারণ লেগেছে ব্যাপারটা। ধন্যবাদ দাদা প্রতিটি ফটোগ্রাফি সাথে এত সুন্দর বর্ণনা দেওয়ার জন্য। এটা কি সত্যিই অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পেরেছি এবং আশা করছি আরও অনেক জানতে পারবো। ভালো লাগে এমন শিক্ষণীয় এবং অসাধারণ পোস্ট গুলো দেখতে। অনেক ভালো থাকবেন দাদা। আপনার‌ জন্য অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল।

দাদা আজকের পর্বটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে মখমলের কাপড়ের উপর সোনার সুতো, রুপোর সুতো, তামার সুতো, অভ্রের সুতো এবং রংবেরঙের নানান সুতো দিয়ে তৈরিকৃত শিল্পকর্মটি দেখে আমি মুগ্ধ। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে প্রাচীনকালের ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারছি এবং তাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন অ্যান্টিক দ্রব্য সামগ্রী দেখে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর সুদর্শন কিছু চিত্রকল্প ঐতিহ্যের সমাহার আপনার পর্ব গুলোর মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি। যেগুলো আগে কখনো দেখা হয়নি এক এক পর্ব করতে করতে ৪০ পর্বে পৌঁছেছেন প্রত্যেকটা পর্বের দৃশ্য পটভূমি আমাকে মুগ্ধ করেছে। আজকের নতুন কিছু বিষয়ের সাথে পরিচিত হতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের জন্য আশায় রইলাম দাদা।

দাদা আজকের পর্বটিও যথারীতি বেশ আকর্ষণীয় ছিল। প্রাচীন ভারতের বেশকিছু অ্যান্টিক দ্রব্যাদি দেখতে পেলাম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। সেইসঙ্গে জীবজগৎ সম্পর্কে মজার তথ্য গুলোর যে পোস্ট আপনি তৈরি করেছিলেন সেটা বাংলায় এই আইডিতে পোস্ট করার অনুরোধ রইল। সম্ভব হলে একটু বিবেচনা করে দেখবেন। আমার কাছে প্রাণহীন বস্তুর চাইতে প্রাণিজগৎ সম্পর্কিত তথ্যই বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়। ভালোবাসা রইলো আপনাদের জন্য

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Please consider to approve our witness 👇

Come and visit Italy Community

প্রথমেই ধন্যবাদ জানাব এত সুন্দর ভাস্কর্য আমাদের দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য, কাঠের বা হাতির দাঁতের তৈরি অনেক কিছু আমরা দেখতে পাই। যা অতীব সুন্দর এবং প্রশংসাযোগ্য।

CM5Ghiq.jpg

আমার কাছে সবথেকে ইন্টারেস্টিং লেগেছে ওই কাপড়টি যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে সোনার সুতো রুপার সুতো তামার সুতো

115.png

দাদা আপনার এই ধারাবাহিক সিরিজ এর মাধ্যমে আমরা কিন্তু অনেক না জানা জিনিস জানতে পারছি অনেক এন্টিক প্রাচীন কিছু জিনিস দেখতে পারছি এটাও কিন্তু কম কিছু না। খুব সুন্দর করে প্রত্যেকটি পর্বতে প্রাচীন সেই জিনিস গুলো কে আপনি তুলে ধরেন যেটি খুব ভালোই লাগে আমার কাছে।

দাদা প্রতিনিয়ত আপনার এই অসাধারণ পোষ্ট গুলি আমাকে মুগ্ধ করেছে। কখনোই এই পোস্ট গুলি শেষ না হতো ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকতো অনেক ভালো লাগতো। মকমলের কাপড়ের উপর সোনার সুতো ,রূপার সুতো, তামার সুতো দিয়ে তৈরি শিল্পকর্মটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি শ্রীকৃষ্ণের শিল্পকর্মটি মনমুগ্ধকর ছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

দাদা সবগুলো ছবি শুধুমাত্র মন কেড়ে নেয়ার মতো। সত্যিই এত অসাধারন কিছু ছবির দিকে শুধুমাত্র তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে।প্রাচীন দ্রব্যাদি এবং প্রতিমূর্তি যা দেখে মনে হয় কতই না সৌখিন তারা ছিল এবং কত সুন্দর করে তারা কাজ করতো। এত সুন্দর কিছু জিনিস আমাদের মাঝে যদি আপনি শেয়ার না করতেন তাহলে আমরা কখনোই এসব ব্যাপারে জানতে পারতাম না। আপনার প্রতি অনেক শ্রদ্ধা এবং ধন্যবাদ রইল দাদা আমাদের মাঝে প্রতিনিয়ত এত সুন্দর কিছু উপস্থাপন করার জন্য।

দাদা আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি পোস্টে নতুন কিছু শিক্ষা দেয় আমাদের, এবং অজানাকে জানা হয়। হয়ত কখনো জানা হতো না কিন্তু তা এখন জানতে পারতেছি আপনার সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে।

সব থেকে অবাক লাগে প্রাচীনকালেও মানুষের মাথায় এতো বুদ্ধি এবং এতো সুন্দর কাজ কিভাবে সম্ভাব ছিল। দেখতে দেখতে ৪০ পর্ব শেষ হয়ে গেলো প্রতিটা পর্বেই আমি অনেক কিছু জানছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা প্রত্যক বারের মতো এবার ও আপনার তোলা মিউজিয়াম এর ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। দাদা আপনার তোলা প্রাচীন যুগের কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেরে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যি অসাধারণ হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

দাদা,ভারতীয় মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফি গুলো যদি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার না করতেন তাহলে হয়তো ভারতীয় মিউজিয়ামে কি কি আছে সেই বিষয়গুলো সেই জিনিস গুলো দেখতে এবং জানতে পারতাম না।আপনার ৪০ তম এপিসোড আপনি কাঠের তৈরি হাতির দাঁতের তৈরি বিভিন্ন সৌখিন জিনিসপত্র ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।দাদা,সত্যি কথা বলতে কি আপনার ভারতীয় মিউজিয়ামের এই ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লাগে।তবে সবচেয়ে বেশি আকর্ষনীয় আমার কাছে লেগেছে হাতির দাঁত দিয়ে প্রাচীন ভারতীয় যুদ্ধরথ সৌখিন বস্তুটি।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা,ভারতীয় মিউজিয়ামের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাচীন মূর্তি এবং প্রাণীকুলের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী বংশীবাদক অবস্থায় শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালের প্রতিমূর্তি । মূর্তিটির মাথার একটি সাইড ভেঙে গিয়েছে । তারপরেও অনিন্দ্যসুন্দর এই মূর্তিটির দিক থেকে চোখ ফেরাতে ইচ্ছে করে না মোটেও ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।

অসাধারন ও চোখ ধাঁধানো । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

Amazing piece of art. Nice to see these pictures

খুব ভালো লাগে আপনার পোষ্ট

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



ভ্রমণ -পর্ব ৪০দেখতে দেখতে 40 পর্ব দেখে নিলাম।মখমলের কাপড়ের উপরে সোনার সুতো, রুপোর সুতো, তামার সুতো, অভ্রের সুতো এবং রং বেরঙের নানান সুতো দিয়ে অসাধারণ এই শিল্পকর্মটি করা হয়েছে । খুবই প্রাচীন আমলের জগন্নাথদেবের রথযাত্রা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই সূচিশিল্প কর্মের মাধ্যমে ।যা আমার কাছে মনমুগ্ধকর।সম্পুর্ন কাষ্ঠনির্মিত প্রাচীন আমলের অসাধারণ কারুকার্যখচিত ছুরি-চামচ-কাঁটা চামচ । ইংরেজ আমলের এগুলি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে।অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা দাদা আপনার প্রতি।আপনার পোস্টের মাধ্যমে এত চমৎকার চমৎকার ঐতিহ্য দেখতে পাচ্ছি♥♥

খুব ভালো লাগে আপনার পোষ্ট

ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম ভ্রমণ ৪০ পর্বে, আমরা কিছু মূল্যবান ছবি দেখতে পেলাম।যা দেখে খুবই ভালো লাগছে।

সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী বংশীবাদক অবস্থায় শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালের প্রতিমূর্তি । মূর্তিটির মাথার একটি সাইড ভেঙে গিয়েছে । তারপরেও অনিন্দ্যসুন্দর এই মূর্তিটির দিক থেকে চোখ ফেরাতে ইচ্ছে করে না মোটেও ।

হাতির দাঁত দিয়ে যে মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে তা অসম্ভব সুন্দর ছিল।ধন্যবাদ দাদা আমাদের মাঝে প্রতিনিয়ত এরকম সুন্দর সুন্দর পোষ্ট করার জন্য।

  ·  3 years ago (edited)

দাদা মিউজিয়ামের পর্ব গুলো সংখ্যায় অনেক হলেও প্রতিদিন বেশ উপভোগ করছি । নতুন নতুন তথ্য জানা হচ্ছে। আজকের পর্ব তে সবচেয়ে বেশি সুন্দর লেগেছে পুজোর থালা টি। এত চমৎকার ভাবে নকশা করা। আর হাতির দাঁতের তৈরি রথ দেখেও খুব অবাক হয়ে গেলাম। আসলে আমি বুঝে পাইনা হাতির দাঁত দিয়েও কিভাবে এত কিছু জিনিস তৈরি করা সম্ভব 🤔

দেখতে দেখতে চল্লিশতম পর্বে চলে এসেছি। প্রতিটি পোস্টের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে সব চেয়ে বেস্ট ফটোগ্রাফি ছিল। আজকের পোস্ট ও তার থেকে কম নয়।

মখমলের কাপড়ের উপরে সোনার সুতো, রুপোর সুতো, তামার সুতো, অভ্রের সুতো এবং রং বেরঙের নানান সুতো দিয়ে অসাধারণ এই শিল্পকর্মটি করা হয়েছে ।

এটা আমার কাছে সব বেশি অবাক লাগলো।