ছবিতে এক জন কৃষকের সবজি চাষ এবং তার পরিচর্যা

in hive-129948 •  3 years ago 

আমাদের কলকাতা শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে এক গ্রামে আমরা প্রায়শই ঘুরতে যাই । একটানা শহরে থেকে যখন বুকে হাঁফ ধরে যায় তখন গ্রামের উন্মুক্ত পরিবেশে পাখা মেলতে ছুটে যাই । তা সপ্তাহে অন্তত একদিন হলেও যাই । দুপুরের দিকে বেরিয়ে পড়ি আর সন্ধ্যের কিছুটা পরে আবার ফিরে আসি বুক ভর্তি তাজা বাতাস আর চোখে একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে । আরো এক সপ্তাহ বন্দীপুরীতে আমার বাঁচার রসদ এটি ।

রবি ঠাকুরের সেই কবিতাটি খুব মনে পড়ছে আজকের এই নিষ্ঠুর শহুরে সভ্যতার বুকে বসবাস করতে করতে -

দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর,
লও যত লৌহ লোষ্ট্র কাষ্ঠ ও প্রস্তর
হে নবসভ্যতা! হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী,
দাও সেই তপোবন পুণ্যচ্ছায়ারাশি
..............................................
..............................................
পাষাণপিঞ্জরে তব
নাহি চাহি নিরাপদে রাজভোগ নব--
চাই স্বাধীনতা, চাই পক্ষের বিস্তার,
বক্ষে ফিরে পেতে চাই শক্তি আপনার,
পরানে স্পর্শিতে চাই ছিঁড়িয়া বন্ধন
অনন্ত এ জগতের হৃদয়স্পন্দন।
- শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গ্রামে যখন যাই চারিদিকে সবুজের প্রাচুর্য্যে আমার মন প্রাণ সব জুড়িয়ে যায় । মনে একটা অদ্ভুত প্রশান্তি আসে । খোলা হাওয়ায় যখন দাঁড়াই তখন একঘেঁয়ে কর্মজীবনের সকল অবসাদ, সকল প্রশান্তি এক নিমিষেই দূর হয়ে যায় । আবার কর্মে উদ্দীপনা বাড়ে, সজীব হয়ে ওঠে এ বুড়ো মন ।

আজকে একজন গ্রাম্য কৃষকের সবজি চাষ এবং তার পরিচর্যা নিয়ে কয়েকটি ফটোগ্রাফ শেয়ার করতে চলেছি । আশা করছি ভালোই লাগবে এই ব্যতিক্রমী পোস্টটি ।



এক পাশের ক্ষেতে পুঁইশাক ও কলমি শাকের চারা, আরেক পাশের ক্ষেতে ধানের চারা । দুই ক্ষেতের আলের মাঝে এক কৃষক জল প্রবাহের (সেচের) নালা গুলো মেরামতির কাজে ব্যাপৃত ।
স্থান : সর্পডিহি , পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্ষেতের আলের মাঝে জল প্রবাহের নালা মেরামতির কাজ শেষ । কৃষক এখন জলের পাম্প মেশিনের কাছে যাচ্ছে পাম্প চালাতে ।
স্থান : সর্পডিহি, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


সেচের কাজ আপাতত শেষ, বাড়ি ফিরে যাবেন । ছবি তোলার অনুরোধ করা হলে মিষ্টি হেসে দাঁড়িয়ে একটি পোজ দিলেন ।
স্থান : সর্পডিহি, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এবার কৃষকের ঘরে ফেরার পালা ।
স্থান : সর্পডিহি, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


আরেক কৃষক হাজির, বেলাশেষে কীটনাশক স্প্রে করতে । সবজি চারা গুলোকে ক্ষতিকর পোকা মাকড়ের হাত থেকে বাঁচাতে এই কীটনাশক স্প্রে করা হয় ।
স্থান : সর্পডিহি, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


কোন কোন ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করা হবে চলছে তার জরিপ ।
স্থান : সর্পডিহি, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


জরিপ শেষ । এখন চলছে সবজির চারায় কীটনাশক স্প্রের কাজ ।
স্থান : সর্পডিহি, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Superb ❤️

সজীবতায় ভরপুর প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখতে কার না ভালো লাগে। স্প্রে করার ছবিটি সত্যিই অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রকৃতির সান্নিধ্যে যতই থাকা যায় ততই মনটা ভালো হয়ে। মনের মধ্যে থাকা চাপা বোঝা গুলো যেন হালকা হয়ে যায়। প্রকৃতি আর মনের মধ্যে অদ্ভুত এক যোগসুত্র আছে। এটা শুধু অনুভব করা যায়।

দাদা আসলে শহরের থেকে গ্রামরে আবহাওয়া অনেক ভালো ভরপুর শুদ্ধ বাতাসে নিতে অনেক ভালো লাগে।গ্রামের দৃশ্যেপট গুলো দারুন ছিলে।দাদা ফটোগ্রাফি সাথে সাথে উপস্থাপনা অনেক সুন্দর।ধন্যবাদ।

hey guys follow me I give you feedback

গ্রামের মুক্ত হাওয়া সত্যিই মনকেও শরীরকে আরাম দেয় এবং একঘেয়েমি দূর করে।ফটোগ্রাফীগুলি খুবই সুন্দর হয়েছে।গ্রামের মানুষ অনেক পরিশ্রম করে ফসল ফলান।ধন্যবাদ দাদা।

কৃষি ও কৃষি সংক্রান্ত কাজগুলো আমার একটু বেশি প্রিয়। যাদেরকে কৃষি কাজ করতে দেখি তাদের বুকে জড়িয়ে নিতে ইচ্ছে করে। যেকোন পরিশ্রমের কাজ যেমন নির্মান শ্রমিক, শিল্পের শ্রমিক কিংবা কৃষকদের কাজ আমার অনেক ভাল লাগে তবে কৃষিকাজ একটু বেশি ভাল লাগে। আমাদের বাঙালি সমাজে কৃষিকাজ অন্যতম বিশেষকরে গ্রামগুলোতে। গ্রামে গেলেই আমি বিকালে সকালে কৃষি মাঠে ঘুরে বেড়াই। ভাল লাগল ছবিগুলো

দাদা ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর লাগছে| তোমার এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে কৃষকের পরিশ্রম দেখা যাচ্ছে আর কৃষক কি করে আমাদের পর্যন্ত খাবার পৌঁছে তার কিছুটা অংশ বোঝা যাচ্ছে | দাদা ,আমিও গ্রাম খুব ভালোবাসি মাঝে মাঝে সময় পেলে তোমাদের মত আমিও গ্রামে গিয়ে ঘুরে আসি আর এইসব দৃশ্য দেখতে পাই| তোমার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমারও সেই সব কথা মনে পড়ে গেল|

গ্রামের সহজ-সরল পরিবেশ মনকে শান্ত করে। গ্রামের আবহাওয়া, গ্রামের প্রকৃতি আমাদেরকে সজীব করে তোলে। আমিও মনকে রিফ্রেশ করার জন্য শহুরে বন্দী খানা থেকে বাঁচতে গ্রামে যাই রিফ্রেশমেন্টের জন্য। গ্রামের কৃষকদের ফসলের ক্ষেত পরিচর্যা করা দেখে খুবই ভালো লাগলো। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে দাদা। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

good

মানুষের চাতুর্য বিস্ময়কর যখন সে সাধারণ সমস্যা সমাধান করতে ইচ্ছুক, খুব সুন্দর পড়া @rme

গ্রামের দৃশ্যগুলো আসলেই দাদা মন ছুঁয়ে যাবার মতো। গ্রামে যেরকম সবুজ অরণ্য আছে, শহরে কিন্তু তেমন নেই। কৃষকের জমিতে কীটনাশক দেয়ার দৃশ্যটি ভালো ছিল। আপনারা ভালোই উপভোগ করেছেন গ্রামের সৌন্দর্য।

আমি কৃষি প্রধান পরিবার থেকে উঠে এসেছি। কৃষিকাজ আমার ছোটবেলা থেকে হাতেখড়ি। কৃষি কাজ করতে আমি খুব আনন্দ পাই। কৃষিই আমাদের জাতীয় অর্থনিতীর মেরুদন্ড। শহরের যান্ত্রিক জীবন থেকে বের হয়ে প্রকৃতির সান্নিধ্যে আসতে হলে অবশ্যই গ্রামে আসতে হবে

রবি ঠাকুরের কবিতা টি সত্যিই অসম্ভব সুন্দর লেগেছে আমার। তারে কবিতার মধ্যে অনেক গভীরতা এবং বাস্তব কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। আর আপনি কৃষকের ছবিগুলো অনেক সুন্দর ভাবে আপনার ক্যামেরাবন্দি করে নিয়েছেন। প্রকৃতির ছোঁয়া আসলে আমাদের মন ভালো করে দেয়। শহরের ইট-পাথরের জীবনের থেকে গ্রামের পরিবেশটা আসলেই অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। দাদা আপনার এত সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।

দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর,
লও যত লৌহ লোষ্ট্র কাষ্ঠ ও প্রস্তর
হে নবসভ্যতা! হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী,
দাও সেই তপোবন পুণ্যচ্ছায়ারাশি

সত্যি কবিতার মর্মকথাগুলো আজ আমরা বেশ ভালই অনুধাবন করতে পারছি। মাঝে মাঝে আমারও এটা বলতে ইচ্ছে করে উচ্চাস্বরে চাইনা সর্বনাশা এই সভ্যতা। ফটোগ্রাফিগুলো সত্যি বেশ সুন্দর ক্যাপচার করেছেন, তবে আমার কাছে শেষের দৃশ্যগুলো বেশী ভালো লেগেছে।

ছবি গুলো সুন্দর তবে একটা কথা বলি দাদা। আমি যে পরিবারে বিয়ে করেছি সেই পরিবার টি একটি গৃহস্থ পরিবার। তাদের বেশ জমি জমা রয়েছে। আমার শশুর উনি একজন সাচ্চা কৃষক। মাঠে বেশ পরিশ্রম করে ।আমি চিন্তা করে পাই না কিভাবে উনি এত পরিশ্রম করেন। আপনার ছবিতে জমিতে সেচ দেয়ার জন্য পাম্প এর ঘর দেখলাম।আমি এই পাম্পের জলে স্নান করেছে কিযে মজা , ঠান্ডা জল পেট পিঠ জুড়িয়ে যায়।চারিদিকে সবুজে সমারহ।কবি গুরু ঠিক লিখে গেছেন আগামীর কথা। ধন্যবাদ দাদা । ভাল থাকবেন । শুভেচ্ছা রইল।

এই ধরনের গ্রামীণ পরিবেশে গেলে আসলেই মনটা প্রশান্তিতে ভরে যায়। পুরো মাঠ ভরা সবুজের সমারোহ, বিশুদ্ধ বাতাস, আদিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ। চোখ জুড়ানোর জন্য আর মন ভরানোর জন্য এর চেয়ে বেশি আর কি চাই? সময়টা চমৎকার উপভোগ করেছেন সেটা বোঝা যাচ্ছে দাদা।

দাদা ছবিগুলো দেখে মনটা একদম ভরে গেল।মাঠ ভরা সবুজ শস্য সাথে, কৃষকেরা কাজ করছে এরকম দৃশ্য কার না ভালো লাগে। মনটা একদম জুড়িয়ে যায়।গ্রামবাংলায় জমিতে কৃষক কাজ করছে এরকম দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লাগলো দাদা। প্রত্যেকটা ছবি অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে গ্রামবাংলার এত সুন্দর সুন্দর কিছু দৃশ্য উপস্থাপন করার ।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



আসলে গ্রাম অঞ্চলের মানুষের জীবনধারা খুবই সুন্দর। তাদের জীবনধারা দেখলে সত্যিই মনটা এমনিতেই ভরে যায়। গ্রাম অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুন্দরভাবে ফুটে উঠে সেই সাথে সাধারণ মানুষের সুন্দর জীবন যাপন এক কথায় অসাধারণ।

খুব ভালো লাগলো চমৎকার গ্রামীন পরিবেশের কিছু দৃশ্য দেখতে পেলাম, অনেকদিন শহরে থাকলে মন ভালো হয়ে থাকে না, দূরে কোথাও গেলে মনটা ভালো হয়। অনেক ভালো লাগলো আপনার গ্রামীন পরিবেশের কিছু প্রাকৃতিক ছবি দেখে।

দাদা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট পেলাম আজ আপনার কাছ থেকে। আপনাকে কখনো এ ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে দেখিনি। যাইহোক আমার মনে হয় যারা শহরে বসবাস করেন তাদের প্রত্যেকেরই মাঝে মাঝে গ্রামে এমন উন্মুক্ত পরিবেশে যাওয়া উচিত। এতে করে ফ্রেশ অক্সিজেন যেমন পাওয়া যায় তেমনি কর্মস্পৃহাও বৃদ্ধি পায়। মোটকথা ব্যাটারি রিচার্জ করার জন্য এমন পরিবেশ এর বিকল্প নেই। ছবি দেখে মনে হচ্ছে কৃষকের পেছনে আপনি অনেক সময় ব্যয় করেছেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট। আপনার জন্য শুভকামনা রইল সবসময়❤️

হ্যালো..আমি মূসা এবং আমি আপনার বিষয়বস্তু পছন্দ করি. আমার অনেক কিছু বলার নেই কিন্তু আমি শুধু তোমার কাছে কিছু সাহায্য চেয়েছিলাম। আমি স্টিমিটে নতুন এবং আমি শুধু চেয়েছিলাম আপনি আমাকে কিছু স্টিম ডলার দিয়ে সাহায্য করুন কারণ আমি খুব ভেঙে পড়েছি এমনকি কিছু খাবার পেতেও সাহায্য করতে পারছি না। আমি আসলে স্টিমিটে যোগ দিয়েছিলাম কারণ আমি ভেবেছিলাম এটি আমার জন্য একটি উজ্জ্বল পথ তৈরি করবে এবং আমার পরিবারকেও সাহায্য করবে। আর দোয়া করি একদিন আমিও তোমার মতো স্টিমিটে সফল হব। আমি আফ্রিকার কনিষ্ঠতম দেশ দক্ষিণ সুদান থেকে একজন শরণার্থী। আপনাকে ধন্যবাদ এবং ঈশ্বরের মহিমা কীর্তন করা

আসলে গ্রামীণ পরিবেশ সবসময়ই প্রশান্তি এনে দেয়। গ্রামীন পরিবেশ এবং কৃষকের ছবি দারুন ছিল। মনটা প্রশান্তিতে ভরে গেছে ☺️
দাদা ভালো থাকুন দোয়া সবসময়ই করি।

আসলে দাদা আমি অনেক মজা পাইছি। যখন আপনি ছবি তোলার আমন্ত্রণ পাঠালেন এবং কৃষকটি একটি পোস দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। ওই কৃষকের জায়গায় আমি হলে তো এতক্ষন লাফালাফি শুরু করে দিতাম।

চমৎকার ছিল কবিতা সহ প্রতিটি ফটোগ্রাফি। তার সাথে বুকভরা সতেজ নিঃশ্বাস নেওয়ার গল্পগুলো।

গত বুধবার থেকে টানা ৩ দিন ছুটি পেয়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম, স্নিগ্ধ বাতাস মুক্ত মায়ের কোলে। এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল আমার বাংলার মাটি এবং মায়ের কোলে। তবে যাত্রাপথে জ্যামে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামে যাওয়ার আশা টুকু মনে হয় যেন হারিয়ে ফেলেছি। এতটা কষ্ট পেয়েছি যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। তবে আপনি আবারো মনে করিয়ে দিলেন গ্রামের মুক্ত বাতাস এবং প্রশান্তি সম্পর্কে। আপনার ফটোগ্রাফ এগুলো দেখে ইচ্ছে করছে ছুটে যাই গ্রামের বাড়িতে। দাদা গ্রামের সহজ সরল মানুষ গুলোর হাসি দেখলে এমনিতেই মন ভরে যায়। আপনি অসম্ভব সুন্দর করে লিখেন যা আমার শুধু কল্পনাতেই থাকে। আর আমাদের সাথে এত সুন্দর করে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম দাদা।

হ্যালো, আপনার ছবির সংগ্রহ দেখে ভালো লাগলো। কৃষকদের কর্মকাণ্ড দেখে ক্ষেতে তাজা বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অভ্যাসও রয়েছে আমাদের। তারা মহান যোদ্ধা।

IMG_20220103_154149.jpg

Cc. @rme

wow

কৃষকেরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ফসল ফলায়। আসলে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে কৃষকদের এই ফসলের পরিচর্যার দৃশ্য গুলো দেখতে পেলাম খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি খুবি ভালো লাগেছে দাদা।

আসলেই দাদা গ্রামের প্রকৃতি এতোটাই মধুর যে শহরের এতো যান্ত্রিকতার মাঝে সে সুখ খুঁজে পাওয়া সম্ভব না।আহা আপনার জন্য যদি সপ্তাহের একটা দিন এভাবে বেরিয়ে যেতে পারতাম কতোটাই না ভালো হতো।

দাদা নমস্কার। আপনি কেমন আছেন?? আমি ফরহাদ মিয়া। আমি beauty of creativity community পোস্ট করি। তবে মাঝেখানে ঠিকভাবে পোস্ট করতে পারি নি। আমার কন্যা সন্তান হওয়ার পর পারিবারিক বিভিন্ন কাজের চাপে ও সমস্যার জন্য। আমার বাবা একজন কৃষক। আমি মধ্যবৃত্ত পরিবারের সন্তান। আমি অনার্স পাশ করে এখনও বেকার হয়ে আছি। আমাদের পরিবার শুধু মাত্র ধানের উপর নির্ভরশীল। আমার বাবার পক্ষে এখন আমাদের পরিবারের খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে গেছে। আমাদের পরিবারের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৪ জন। আপনি যদি দয়া করে আমার পোস্টের মান নির্ধারন করে আমাকে সাপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন তাহলে আমার পরিবার ও সন্তানকে নিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে থাকতাম না।আপনি তো দয়ার সাগর। 😭😭😭😭।@rme দাদা আমার বিষয়টা একটু নজরে দেখবেন।

গ্রামের নিরিবিলি পরিবেশে ও প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে খুবই ভালো লাগে। আসলে শহরের চার দেয়ালের মাঝে বন্দী থাকতে থাকতে নিজেকেও ইট পাথরের মতো মনে হয়। তাই মানসিক প্রশান্তির জন্য ও বুক ভরে শ্বাস নেওয়ার জন্য হলেও মাঝে মাঝে গ্রামে যাওয়া উচিত। দাদা আপনি গ্রামীণ পরিবেশে খোলা মাঠে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।

What a beautiful view of nature, super relaxing. I can't identify the type of vegetable, what is it?

প্রথম কথা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি সুন্দর হয়েছে ।আর যেটা খারাপ লাগার বিষয়, সেটা হচ্ছে এই রোদে গরমে মানুষজন কীভাবেই না খাটে, কিভাবে পরিশ্রম করে । সবুজের মাঝে এরকম পরিশ্রমী একজন মানুষ কে পেয়ে ক্ষেত গুলো যেন হাসিতে উৎফুল্ল হয়ে উঠেছে।

এটা একদম সত্য কথা যে দাদা, গ্রামীণ পরিবেশ গুলোতে গেলে আসলেই নিজের ভিতরে একটা সজীবতা ভাব কাজ করে । বিশেষ করে গৃহবন্দি জীবনের অবস্থা অনেকটাই কেটে যায় এবং ফুরফুরে মেজাজে থাকা যায় । তারপর আমি আপনার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি, যে নতুন করে কর্মে আবার মনোনিবেশ করা যায় । ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

অনেকদিন হলো গ্রামে যাওয়া হয়না আর এমন দৃশ্য ও দেখা হয়না। অতীত মনে পরে গেলো আজকের এই পোস্ট দেখে দাদা। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এমন ছবি শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা রইলো দাদা।

সেই ছোট বেলা থেকেই এটা দেখে চলেছি এবং বাবার সাথে এই কাজ গুলো করেছি এমনকি এখনো করছি আসে আমি গ্রামকে শহরেএ প্রান বলি।কারণ গ্রাম এমন একটা যায়গা যেখানে কৃত্তিম কিছু নেই সব প্রাকৃতিক ফলে আমরা আমাদের মন কে খুব সহজেই ভালো করতে পারি আর এর সৌন্দর্য্য শেষ হবার নয়।শহরের কৃত্তিম জিনিস গুলো দেখতে দেখতে শেষ হয়ে যায় কিন্তু প্রাকৃতিক কোনো কিছুই দেখে শেষ করা যাবে না।অনেক দারুন একটা সময় কাটিয়েছেন দাদা।দোয়া করি এভাবে যেনো প্রতিটা সপ্তাহ উপভোগ করতে পারেন😘🥰🥰🥰

দাদা,ঠিক বলেছেন একটানা শহরের যান্ত্রিক জীবনে থেকে যেন আমরা প্রত্যেকটা মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছি। আমরা প্রত্যেকটা মানুষ চাই গ্রামের দূষণমুক্ত বাতাসে বুক ভরে শ্বাস নিতে। গ্রামের সবুজ ফসলের মাঠে গিয়ে দাঁড়ালে মনের যত অবসাদ শরীরের অবসাদ এক নিমিষে যেন শেষ হয়ে যায়।দাদা, কৃষকরা খুবই পরিশ্রম করে এই ফসল ফলায় ভালো লাগে গ্রামের পরিবেশ থাকতে আমার। দাদা, সপ্তাহে আপনি একবার হলেও গ্রামের পরিবেশে ঘুরে আসেন। আমার মনে হয় না আমি এই দু বছরে গ্রামের কোন পরিবেশে ঘুরতে পেরেছি😔 যাই হোক দাদা, আপনার লেখা পোস্টটি পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই মন জুড়িয়ে গিয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

গ্রামে যখন যাই চারিদিকে সবুজের প্রাচুর্য্যে আমার মন প্রাণ সব জুড়িয়ে যায় । মনে একটা অদ্ভুত প্রশান্তি আসে । খোলা হাওয়ায় যখন দাঁড়াই তখন একঘেঁয়ে কর্মজীবনের সকল অবসাদ, সকল প্রশান্তি এক নিমিষেই দূর হয়ে যায় । আবার কর্মে উদ্দীপনা বাড়ে, সজীব হয়ে ওঠে এ বুড়ো মন ।

আপনার কথাগুলো শুনে আমার মনটাও সতেজ হয়ে গেল দাদা। আমি গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করি এবং গ্রামীণ সৌন্দর্য প্রতিদিনই আমি উপভোগ করি এবং এটি আমাকে সত্যিই অনেক মুগ্ধ করে। আলুর ক্ষেতে কীটনাশক দেওয়ার মুহূর্তটা দারুন দেখাচ্ছিল। দাদা আপনি গ্রাম অঞ্চলের কৃষি কাজ কে আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। দাদা আসলেই আপনার মনটা অনেক বড়, আপনি। আপনার কৃষিকাজের মূল্যায়ন করা দেখে মনটা যেন পুনরায় সতেজ হয়ে গেল। কেননা আমি নিজেও একজন কৃষকের ছেলে ‌।🙂 আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই স্পষ্ট ছিল দাদা ।ধন্যবাদ আপনাকে "প্রিয় দাদা" এমন সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ❣️❣️

@tipu curate 10