ছোট্টবেলার প্রিয় টিভি প্রোগ্রামগুলি

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)


কপিরাইট ফ্রী ইমেজ সোর্স : pixabay


নব্বইয়ের দশকে যাঁদের ছেলেবেলা কেটেছে তাঁরা ভাগ্যবান । নব্বইয়ের দশক ছিল বিংশ শতাব্দীর একদম শেষ দশক । কম্পিউটার ও ইন্টারনেট জগতের আধিপত্য বিস্তারের শুরুর দিক । আমাদের গোল্ডেন চাইল্ডহুড । উন্নত বিশ্বে নব্বইয়ের দশকে টিভির চাইতে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে, কিন্তু আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে টিভি-ই ছিল সব চাইতে জনপ্রিয় । এই টিভি ছিল একাধারে সিনেমা, নাটক, গান, নাচ, কবিতা আবৃত্তি, খেলাধুলা ও খবর এর বিশাল সমাহার অন্যধারে ছিল আমাদের মতো ছোটদের মনের সাথী । অদ্ভুত সুন্দর কিছু সিরিয়াল আর কার্টুন মাতিয়ে রাখতো আমাদের ছেলেবেলা । আজকে সেই গল্পই করবো ।

নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকটা আমার কেটেছে গ্রামে এবং শেষের দিকটা শহরে । যখন গ্রামে থাকতাম তখন টিভি একটু বেশি মাত্রায় দেখতাম । আমাদের মতো ছোটদের কথা মাথায় রেখে তেমন কোনো প্রোগ্রাম তখন তৈরিই হতো না । তাই আমরা যা পেতাম তাই গোগ্রাসে গিলতাম । বহুদিন আগের কথা । তাই ডিটেলে কিছু মনে নেই । ভাসা ভাসা মনে পড়ে সব কিছু ।

গ্রামে আমাদের বাড়িতে প্রথমদিকে নিজস্ব টিভি ছিলো না । আমাদের বাড়ির পাশে এক মামাতো ভাইয়ের টিভি ছিল । সেই বাড়ি, যে বাড়িতে আমি কুকুরের কামড় খেয়েছিলাম ।যেহেতু আমাদের আত্মীয় বাড়ি ছিল, তাই টিভি দেখায় কোনো ধরণের কোনো রেস্ট্রিকশন ছিল না । যখন ইচ্ছে দেখতে পেতাম । তো আমি যখন ক্লাস থ্রী-তে পড়ি তখন টিভিতে দুটি খুবই জনপ্রিয় সিরিয়াল চলছে । একটি ছিলো বাংলায় ডাব করা অন্যটি হিন্দী। তাই-ই সই । দুটি সিরিয়াল-ই ছিল ইন্ডিয়ার বিখ্যাত প্রযোজক ও পরিচালক রামানন্দ সাগর-এর । একটি হলো "রামায়ণ" এবং অন্যটি "আলিফ লায়লা" ।

"রামায়ণ" ছিল ধর্মীয় সিরিয়াল এবং শহর গ্রামে বিপুল জনপ্রিয় । এটির হিন্দি ভার্সন এর বাংলা ডাবিং নব্বইয়ের দশকে ইটিভি-তে (বর্তমানে চ্যানেলটি লুপ্ত) প্রচারিত হয় । আমরা ছোটরা এই সিরিয়ালটি দেখতাম একটু অন্যচোখে, আহা সে কি মারপিট ছিল । গোটা রামায়ণ জুড়েই ছিল অসংখ্য যুদ্ধের সিকুয়েল । রাক্ষসদের সাথে রাম, লক্ষণ, হনুমানের সে কি অসাধারণ ফাইট । দশমাথা রাবণের সে কি পরাক্রম । সিরিয়াল দেখে দেখে আমরা নিজেরাই পুকুরপাড়ে সীতাহরণ থেকে রাবণ বধ সেরে ফেলতাম অভিনয় আর খেলার মাধ্যমে ।

এরপরে ছিলো ভারতের সেই সময়কার অত্যন্ত জনপ্রিয় আর একটি সিরিয়াল "আলিফ লায়লা" । এটিও রামানন্দ সাগরের । পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে ডিডি ন্যাশনাল'স -এ এটি সম্প্রচারিত হয় । আমাদের ছোটদের প্রাণভোমরা ছিল এই সিরিয়ালটি । এরাবিয়ান নাইটস বা আরব্য রজনীর গল্পের উপর ভিত্তি করে এই সিরিয়ালটি নির্মিত । রাক্ষস-খোক্কস, দত্যি-দানো, রাজপুত্র-রাজকণ্যা, পক্ষীরাজ ঘোড়া, পরী, জাদুকর কি না ছিলো সেই সিরিয়ালে ! টানটান উত্তেজনা, ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস ,গল্পের বাঁধুনি আর চোখ ধাঁধানো অভিনয় । পুরো তাক লেগে যেত দর্শকদের ।

সিন্দবাদের সাতটি বাণিজ্য অভিযান সাগরের বুকে আর নানান রহস্যময় ঘটনার সাথে জড়িয়ে যাওয়া, আমাদের ছোটদের ক্ষুদ্র হৃদয়টা আনন্দে উত্তেজনায় উদ্বেলিত হয়ে উঠতো । এত ছোট ছিলাম যে প্রায় কোনো কাহিনীই বুঝতাম না তখন, কিন্তু তাও গোগ্রাসে দুই চোখ দিয়ে গিলতাম সবটুকু ।



কপিরাইট ফ্রী ইমেজ সোর্স : pixabay


এরপরে নিজেদেরও একটা সাদা-কালো টিভি কেনা হয় গ্রামের বাড়িতে । তখনও রঙিন টিভি কি বস্তু জানতামই না । এন্টেনা ছিল বাইরে একটা বাঁশের আগায় । তাই-ই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে টিভির ছবি ঠিক করা হতো । ওই কাজটা কঠিন হলেও আমাদের মতো ছোটদের কাছে বিশাল মজার একটি কাজ ছিল - এন্টেনা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সঠিক পজিশনে এনে টিভির পর্দায় ছবির ঝিরঝিরে ভাব কমানো । বেশ উৎসাহ নিয়ে করতাম আমরা ছোটরা কাজটি ।

এরপরে নব্বইয়ের শেষের দিকে গ্রাম ছেড়ে একেবারে পাকাপাকিভাবে আমরা শহরে চলে আসি । সেই সাদা কালো টিভিটা আর আনা হলো না । শহরে এসে পড়াশোনার একটু চাপ বাড়লো । কিন্তু, টিভি দেখার নেশা বিন্দুমাত্র কমেনি তখনও । আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে আমার বাবার এক বন্ধু ও কলিগের টিভি ছিল, রঙিন টিভি । আমার তো চোখ একেবারে ছানা বড়া । সাদা কালোতে টিভি দেখতে অভ্যস্ত আমি, রঙিন টিভি দেখে হতবাক পুরো । আহা রঙের কি বাহার । স্কুল থেকে ফিরেই টিভি দেখতে বসে যেতাম । সন্ধ্যায় দ্রুত পড়াশোনা শেষ করে আবার টিভির সামনে । রাতের খাওয়া খেয়ে আরেক প্রস্থ বই নিয়ে বসতাম । এরপরে আবার টিভি দেখতাম । তারপরে ঘুম । এই ছিল আমার দৈন্দিন রুটিন । আর ছুটির দিনগুলোতে প্রায় সারাক্ষণই টিভি দেখতাম ।

এই সময়টাতে আমাকে টিভিতে কার্টুন দেখার নেশা পেয়ে বসে । দিনরাত খালি কার্টুন দেখতাম । কার্টুন নেটওয়ার্ক চ্যানেলে । সবার উপরে ছিলো আমার পছন্দের "টম এন্ড জেরী" শো । আর ছিল "জাঙ্গল বুক"; আমরা ছোটরা বলতাম মোগলি । মোগলি আমাদের বন্ধু ছিল । কত যে স্টিকার কিনেছি এই মোগলির ! স্কুলে ভীষণ প্রতিযোগিতা ছিল মোগলির স্টিকার কে কয়টা কিনতে পারে । "জাঙ্গল বুক" কার্টুন শো'টি রুডিয়ার্ড কিপলিংয়ের "দি জাঙ্গল বুক" বইটি থেকে নির্মাণ করেছিল ডিজনি । "জাঙ্গল বুক" এর প্রধান ক্যারেক্টার ছিলো নেকড়ে পালিত মানব সন্তান মোগলি । এছাড়াও মোগলির নেকড়ে বাবা, নেকড়ে মা, নেকড়ে ভাইয়েরা, এবং সঙ্গীসাথী বালু, বাঘিরা, একেলা, কা অসম্ভব প্রিয় ছিলো আমাদের ।

এরপরে "মিকি মাউস", "ডোনাল্ড ডাক", "উডি দ্য উডপেকার" খুবই প্রিয় ছিল আমার । ওহ, আরেকটা কার্টুন ছিল আমার খুবই প্রিয় - "পাপাই দ্য সেইলার" । এক চোখ বোজা, মাথায় নাবিকের টুপি, হাতে জাহাজের উল্কি আর মুখে সবসময় পাইপ - অত্যন্ত প্রিয় পাপাই । বিপদে পড়লে বা শত্রুর মোকাবেলায় "স্পিনাচ" খেয়ে গায়ে আনতো আসুরিক শক্তি । তারপরে সব অসম্ভব কাজকে নিমেষে সম্ভব করে , শত্রুকে পিটিয়ে পরোটা বানিয়ে প্রেমিকার হাত বগলে করে সেই খিক খিক এক চোখ বুজে হাসি । চোখ বুজলে এখনো যেন দেখতে পাই সে সব । আহা !

আরেকটা কার্টুনের কথা বলেই শেষ করছি আজকের লেখা ।"টিনটিন" । ইয়েস, কার্টুন নেটওয়ার্কে "দি অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টিনটিন" নামে টিনটিনের ১৯ টা কমিকস বই অবলম্বনে তৈরী করা হয় ৩৯ টি এপিসোডের কার্টুন শো । এটি ছিলো আমার সব চাইতে পছন্দের এবং সব চাইতে প্রিয় টিভি শো ।বলতে কোনো লজ্জা নেই এখনো অব্দি এটাই আমার সব চাইতে প্রিয় টিভি শো । আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে এই টিভি শো'টি কিন্তু কোনোদিনও টিভিতে দেখা হয়ে ওঠেনি আজও ।প্রথম দেখি নিজেদের প্রথম কেনা ডেস্কটপ কম্পিউটার এ । এরপরে অসংখ্যবার দেখেছি ইউটিউবে, কিন্তু হয় ল্যাপটপ বা মোবাইলে ।

১৯৯৮ সালে আমি যখন খুবই ছোট, তখন আমাদের বাড়িতে পার্সোনাল কম্পিউটার ঢোকে । আমার বড় ভাইয়ের জন্য বাবা কিনে দিয়েছিলো । সেই কম্পিউটারে ইন্টারন্যাল টিভি কার্ড অ্যাড করা হয়েছিলো যাতে আমরা কম্পিউটারেই দরকার মতো টিভি দেখতে পাই । সেই কম্পিউটারেই আমি দেখে শেষ করেছিলাম কার্টুন নেটওয়ার্কে প্রকাশিত আমার সব চাইতে প্রিয় টিভি শো "দি অ্যাডভেঞ্চার্স অফ টিনটিন" এর সব ক'টি এপিসোড ।



কপিরাইট ফ্রী ইমেজ সোর্স : pixabay


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

তাই আমরা যা পেতাম তাই গোগ্রাসে গিলতাম

এটা দারুণ ছিল দাদা হা হা। আমিও একসময় সাদা কালো টিভি দেখেছি আমিও আপনার মতো কিছু বুঝতাম শুধু গ্রোগাসে গিলতাম। এবং কোনোরকম সমস্যা হলেই বাঁশের মাথায় বাঁধা এন্টিনা ধরে ঝাকাতাম হিহি।

আলিফ লায়লা আমাদের দেশেও অনেক জনপ্রিয় ছিল। ছোটবেলা রাতে ঘুম ঘুম চোখে সিনবাদের সমুদ্র যাএার গল্প আহ কী সেই সুন্দর সময়টা ছিল। একেবারে মনে করিয়ে দিলেন দাদা। এবং একসময়ে এসে আমারও আপনার মতো কার্টুনের নেশা হয়ে যায়। তবে আমার পছন্দের কার্টুন ছিল সন্তু কাকাবাবুর এ‍্যাডভেঞ্জার, টেনি দা, নন্টে ফন্টে, গোপাল ভাঁড় এইগুলো এবং টম এন্ড জেরি যে অপছন্দ করবে তাকে আমি মানসিক রোগী বলব।

প্রথমেই বলি দাদা আপনার এই টেলিভিশনের দেখি আমার অতীতের কথা মনে পড়ে গেল। আগে আমাদের এলাকায় শুধুমাত্র দু-একটি টেলিভিশন ছিল এবং সেটিও ছিলো সাদাকালো। আমার এখন স্পষ্ট মনে আছে শুক্রবার করে বাংলা ছায়াছবি অনুষ্ঠিত হতো, এবং আমাদের আশেপাশের অনেক মানুষ এসে আমরা একসাথে সিনেমাটি দেখতাম। সত্যি দিনগুলো অনেক চমৎকার ছিল এবং বাংলা টেলিভিশনের আলিফ লায়লা এবং আরো একটি কার্টুন হত, যার নাম এখন মনে পড়ছে না। সত্যি অতীতের স্মৃতিগুলো দাদা সত্যি অনেক চমৎকার যদি একবার অতীতে যেতে পারতাম তাহলে হয়তো মন্দ হতো না।

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

god bless you

দাদা কি বলবো বলার কোনো ভাষা নেই। আসলে আপনি 90 দশকের পুরো কাহিনীটা যেভাবে তুলে ধরলেন এবং সেইসাথে পুরো কাহিনীটা আমার জীবনে ঘটে যাওয়া সব কিছুই সাথে অনেকটাই মিলে যাচ্ছে। আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন নব্বই দশকে যাদের ছেলেবেলা কেটেছে তারা আসলেই ভাগ্যবান। জীবনের প্রথম দিকেই তারা নিজেদেরকে অনেক নতুন কিছু সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে আনন্দে মেতে ছিল। তবে দাদা আমার মনে আছে আমি ছোটবেলায় এরকম আলিফ লায়লা, সিনবাদ, টিপু সুলতান, রবিনহুড, হারকিউলিস, আর কার্টুনের মধ্যে জঙ্গল বুক টা বেশি দেখা হয়েছিল, সেই সাথে আমাদের বাংলাদেশে আর একটা বেশি জনপ্রিয় ছিল বাংলা সিনেমা সেই যে কি দুঃখের সিনেমা, প্রেম ভালোবাসা সিনেমা খুব মনোযোগ দিয়ে দেখতাম যখন দুঃখের সিনেমা গুলো দেখতাম তখন চোখ দিয়ে শুধু পানি পড়তো অনবরত সেই যে কি কান্না যত জন তখন দেখছে সবাই কান্না করছে। এরপরে টিভি দেখা দিয়ে কত যে মার খেতে হয়েছে কত যে পড়ালেখার ফাঁকিবাজি করেছি বলাই কঠিন। আপনি ঠিকই বলেছেন সে সাদাকালো টিভিতে এন্টিনার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কত চেষ্টা করেছি টিভি পরিষ্কার করার জন্য যাতে ভালভাবে দেখা যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে 90 দশকের সেই স্মৃতি জড়িত দিনগুলো মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।

দাদা আসলে আপনার পোস্টটি মাধ্যমে আমি পুরনো দিনের কথা মনে পরে গেলে
।আসলে আমার বয়স আনুমানিক ৬-৮ বছর বয়স,আমি প্রাইমারি স্কুলে পড়াতাম।এখনকার মতো টিভি ছিলে না। বৃহস্পতিবার আর শুক্রবার আসলে ছায়াছবি দেখার জন্য আগাভাগা কাজ করতাম।এই টিভি দেখার জন্য আমরা অনেক দুরের এক দাদুর বাড়িতে গিয়ে ছায়াছবি দেখতাম। অনেক ধন্যবাদ আপনার পোস্টটি মধ্যে দিয়ে আমার ছোটে বেলার কিছু স্মৃতি লিখতে পারলাম। ধন্যবাদ দাদা।

বেশ দারুণভাবে কাটিয়েছেন ছোট বেলাটা আপনি, যদিও আমাদের এই রকম সুযোগ ছিলো না। হ্যা, মাঝে মাঝে একটু টিভি দেখার সুুযোগ পেতাম, আলিফ লায়লা দেখতাম তখন খুব বেশ জনপ্রিয় ছিলো আমাদের এই দিকে এটা তখন।

সবার উপরে ছিলো আমার পছন্দের "টম এন্ড জেরী" শো । আর ছিল "জাঙ্গল বুক"; আমরা ছোটরা বলতাম মোগলি ।

এই দুইটির কথা আলাদা বলার প্রয়োজন নেই, সত্যি দারুণ উপভোগ করতাম তখন এগুলো, আমার কাছে বেশী আকর্ষণীয় ছিলো জঙ্গল বুক। আর বাঁশ ঘুরানোর কথাটি স্মরন হয়ে গেলো। ইন্ডিয়ান চ্যানেল দেখার জন্য কত কষ্ট করতাম তখন হি হি হি।

দাদা আজকে কি লিখলেন? আপনার প্রতিটি লাইন পড়ার সময় একদম ছোটবেলার স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। আপনার ছোটবেলার টিভি দেখার সিরিয়ালগুলো একদম আমার সাথেও মিলে গেল। রামায়ণ আমিও দেখেছি অবশ্য হিন্দি ভার্সন। খুব ভালো লাগতো দেখতে। তাছাড়া আলিফ লায়লা তো আমি বড় হয়েও আরেকবার রিভিশন দিয়েছি এতো ভালো লাগতো। টম এন্ড জেরি, দা জঙ্গল বুক, দা অ্যাডভেঞ্চার অফ টিনটিন এগুলো এখনো আমি আমার বাচ্চার সঙ্গে দেখি। এত ভালো লাগে। এছাড়াও আমাদের সময় সিন্দাবাদ, রবিনহুড খুব জনপ্রিয় ছিল। কিছু সময়ের জন্য শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে যেতে পেয়ে খুবই আনন্দ লাগছে। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে। সবই আপনার জন্য সম্ভব হয়েছে।

আলিফ লায়লা (হাতেম তাই, আলাদিন, সিন্দবাদ)
রামায়ন
নুরজাহান
রবোকপ
মগলি
টিপু সুলতান
গুল সানোভার
রুপনগর নাটক
টারজান
থিফ অব বাগদাদ
মীনা
শক্তিমান
হ্যালো ইন্সপেক্টর

আরো কি কি যেন ছিল। মনে পড়ছে না

আপনার পোস্ট টি পড়ে আসলে ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলার বেশি ভাগ সময় নানু বাড়িতে কাটিয়েছি। নানু বাড়িতে সাদা কাল টিভি ছিল। সেই সময় আলিফ লাইলা আমাদের এখানে খুব জনপ্রিয় ছিল। এটা দেখার জন্য সারা দিন অপেক্ষা করতাম, আর রাতে আলিফ লাইলা শুরু হওয়ার সাথে সাথে সবকিছু ছেড়ে এটা দেখতে বসে যেতাম।

এন্টেনা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সঠিক পজিশনে এনে টিভির পর্দায় ছবির ঝিরঝিরে ভাব কমানো । বেশ উৎসাহ নিয়ে করতাম আমরা ছোটরা কাজটি ।

দাদা আপনার লেখাগুলো পড়ে সেই শৈশবে হারিয়ে গিয়েছিলাম। আসলে সেই সময়কার টিভি দেখার ঘটনা গুলো এখনো মনে পড়ে। "আলিফ লায়লা" শুরু হওয়ার আগেই ঘর ভর্তি লোকজন হতো। সব কিছুই মনে হয় যেন একেবারে জমজমাট আয়োজন। টিভির চ্যানেল ঠিক করার জন্য বারবার টিভির এন্টেনা ঘুরিয়ে পজিশন ঠিক করা খুবই আনন্দের একটি কাজ ছিল। সত্যি দাদা এই কাজগুলো এখনো মনে পড়ে। দাদা আপনার ছোটবেলার পছন্দের টিভি প্রোগ্রামের কথাগুলো শুনে অনেক ভালো লেগেছে। জেনে ভালো লাগলো আপনিও টিভি কার্টুন সিরিয়াল গুলো দেখতে অনেক ভালোবাসতেন। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা সুন্দর একটি পোষ্ট সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ছোটবেলার ছোট ছোট স্মৃতি যে কতোটা মধুর হয় তা প্রকাশ করা সত্যিই কঠিন।আমার ও এসব সব পছন্দ ছিলো।বিশেষ করে আলিফ লায়লা দেখার জন্যে আগে আগে পড়া শেষ করে উঠে যেতাম টেবিল থেকে।

দাদা অসম্ভব সুন্দর লেখনি আমাকে ৯০ দশকের সেই দিনগুলোর কথা ভীষণ মনে করিয়ে দিচ্ছে। যতই পড়ছি ততই যেন আপনার লেখনি আমার ছোটবেলার সেই দিন গুলো মনে করিয়ে দিচ্ছে। তখনকার দিনে জনপ্রিয় সিরিয়াল আলিফ লায়লা দেখার জন্য আমাদের বাসাতেও প্রচুর পরিমাণ লোকের সমাগম হত। ঘরের ভিতরে যখন জায়গা দিতে পারতাম না তখন টিভিটাকে বাইরে উঠানে টেবিলের ওপর বসিয়ে দিত। সেই সময়ে কেউ চেয়ার-টুল, পিরির তোয়াক্কা না করেই যার যার স্যান্ডেলের উপর বসে পড়ে এই আলিফ লায়লা দেখতে শুরু করতো। কি বলবো দাদা এত সুন্দর মেগা সিরিয়াল দেখার সময় হঠাৎ করেই টিভিতে ঝিরঝির শুরু হয়ে যায় আর সেই সময়ে টিভির এন্টিনা যথারীতি ঘোরানো শুরু হয়ে যায়। জোরে জোরে চিৎকার করে বলি ঝিরঝির কমেছে, কেউ যদি ওপাশ থেকে বলে হ্যা কমেছে তাহলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে দৌড়ে গিয়ে আবারও টিভির সামনে গিয়ে বসি। এছাড়াও রয়েছে মোগলি দেখার নেশা। এই মোগলি দেখার জন্য মায়ের হাতে অনেক মার খেয়েছি তবুও কখনো মোগলি দেখা থেকে আমাকে আটকাতে পারেনি।এখনকার এই বয়সে এসে সেই দিনের কথা ভাবতে সত্যিই অনেক অনেক ভালো লাগে। আপনার অসাধারণ এই পোস্টটি আমাকে ৯০ দশকের ছোটবেলার সেই দিনে নিয়ে গেছে দাদা। আপনার এত সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আমাদের বাংলাদেশে ৮৮ সালে একটা বন্যা হয়। তার পরপরই বাবা একটা সাদাকালো টিভি কিনে আনে।ব্রান্ড ছিল ন্যাশনাল। কট কট করে ঘুড়িয়ে চ্যানেল চেঞ্জ করতে হোত।অনেক টা ফ্যানের রেগুলেটারের মতন। বাশের মাথায় এন্টেনা । কতবার যে ঝড়ে ভেঙ্গে গেছে। দাদা আপনাদের ওখানে তখন বোধ হয় বুষ্টার টাইপ কিছু একটা কিনতে পাওয়া যেতো যেটা দিয়ে ছবিকে বেশী পরিস্কার দেখা যেতো।আমাদের ছিল শুধু মাত্র বিটিভি। আপনি টিভিতে যেগুলো দেখেছেন আগে সেগুলো আমাদের এখানে অনেক পরে এসছে। যেমন আলিফ লায়লা। তবে রামায়ন দেখেছি ভিসিপিতে।টিভিতে প্রশ্নই ওঠে না। তখন আমার প্রিয় কাটুর্ন গুলোর মধ্যে **কিসিফার** ছিল প্রিয়।এটি শুক্রবার সকালে দেখাতো। তবে প্রচুর ইংলিশ মুভি দেখেছি । সেগুলো সপ্তাহ ঘুড়ে ঘুড়ে দেখাতো । তার মধ্যে বেশ কিছু মুভি দেখাতো রাতে যেমন **ম্যাকগাইভার**, **দ্যা এ টিম**, **রেভেন**, **নাইট রাইডার**, **গার্ল ফর্ম টুমরো**, **স্পাইডার ম্যান**, **দ্যা ওস্যান গার্ল**, যা হোক আরো কিছু দেখেছিলাম কিন্তু মনে নেই। ৯৬ সালের দিকে আমাদের বাড়ীতে কালার টিভি এসেছিল। তখন ক্যাবল লাইন সবে চালু হয়েছে। ৪ কি ৫ টি চ্যানেল দেখাতো। সত্যি বলতে আপনার লেখনী পড়তে পড়তে হারিয়ে গিয়েছিলাম সেই ছেলেবেলায়। তবে মনে হলো আপনার ছেলেবেলা আর আমার ছেলাবেলার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। ভাল লাগলো খুবি দাদা । ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা রইল।

দাদা আপনার অসম্ভব সুন্দর লেখাটি পড়তে পড়তে আমিও যেন আমাদের গোল্ডেন চাইল্ডহুড সেই নব্বই এর দশকে ফিরে গিয়েছি। ওই সময় আমরা দিনের বেলায় স্কলে লেখাপড়া শেষে হাত মুখ ধুয়ে খেয়ে দেয়ে রাতের লেখাপড়া করতে বসতাম। যেহেতু বিকাল চারটার পর বিটিভির সেন্টার খুলতো তাই সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই ঘরের চারদিকে লোকজনের ভিড় লেগে যেত টিভি দেখার জন্য। কারণ পুরো মহল্লার মধ্যে শুধু আমাদের বাড়িতে একটি সাদাকালো টিভি ছিল। বিশেষ করে বেশি লোকের সমাগম হতো আলিফ লায়লা দেখার দিন। আর প্রতি মাসে একটা কি দুইটা শুক্রবারে বাংলা সিনেমা দেখানো হতো। তখন সিনেমা দেখার জন্য সবাই চাতক পাখির মতো চেয়েছিল আর অপেক্ষা করছিল ওই দিনটার জন্য। যদি বিদ্যুৎ না থাকে তাই আগে থেকেই ব্যাটারি ভাড়া করে নিয়ে আসতাম। আর বাশের মাথায় লাগানো এন্টেনার বিভ্রাট তো প্রতিদিনই ছিল একটু বাতাস হলেই ঝিরঝির শুরু হয়ে যেত। আসলে ওই সময়কর টিভি সিরিয়াল গুলো এখনো আমাদের অন্তরে গেঁথে আছে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে ৯০ এর দশকের গোল্ডেন চাইল্ডহুডে আবার ঘুরে আসতে পারলাম।

আমার ছোটবেলায় টিভি সিরিয়াল দেখার মধ্যে শুধু আলিফ লায়লা কথাই মনে আছে। যদি আলিফ-লায়লার কথা বলতে চাই তাহলে প্রথমেই আসবে সিনবাদের কথা।
মজার বিষয় হচ্ছে আপনিও আলিফ লায়লা দেখতে বেশ ভালো বাসতেন।
আপনার প্রিয় শো গুলোর মধ্যে অনেক গুলো আমি দেখেছি তার মধ্যে টম এন্ড জেরি সবচেয়ে জনপ্রিয়।

দাদা,আসলেই আপনার পোস্ট পড়ে,আমারো মনে পড়ে গেলো,আলিফ লায়লার, আলাউদ্দিনের জাদুর প্রদীপ,মজার মজার গল্প,আরো কতো কি, আনাদের বাসায় ও সাদা কালো টিভি ছিলো।টিভের সাইডে রেগুলেটর এর মত ছিলো।ঐটা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঠিক করতাম।আর যখন অন্যর বাসায় রঙিন টিভি দেখতাম মনে হতো আমাদের টিভিটা যদি উপর দিয়ে কালার করি তাহলে হয়তো রঙিন হতো,😉।আমরাও মোগলি দেখেছি।যাই হোক কুকুরের কামড় খেয়ে ও টিভি দেখা ছাড়েন নাই😉😉।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ

নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকটা আমার কেটেছে গ্রামে এবং শেষের দিকটা শহরে । যখন গ্রামে থাকতাম তখন টিভি একটু বেশি মাত্রায় দেখতাম

দাদা আপনি ৯০ দশকের পুরো ঘটনার সুন্দরভাবে আজকে পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আসলে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আমার বড় ভাইদের কাছে ৯০ দশকের গল্প শুনে খুবই ভালো লাগে ৯০ দশকের গল্প আজকে আপনার কাছে শুনতে পেরে ভালো লাগছে। আসলে গ্রামে টিভি যা ছিলো সকলেই একসাথে দেখতো।আর আপনি টম এন্ড জেরি কথা বললেন। টম এন্ড জেরি আমার ছোটবেলা থেকেই অনেক প্রিয়। আমি এখুনো দেখি।আপনার অনেক প্রিয় ছিলো জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ৯০ দশকের ঘটনাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলে।খুবই ভালো লাগলো।

Your post was upvoted and resteemed on @jonel

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



এ কী করে সম্ভব বলুনতো ভাই, সবটাতেই তো মিল পাই আপনার সঙ্গে আমার ছেলেবেলার ঘটনায় । সেই আলিফ লায়লা থেকে সেই কার্টুন টিনটিন কোথায় মিল নেই, আমি তো সেটাই ভেবে পাচ্ছি না । বাঁশের আগায় লাগানো এন্টেনা থেকে পাশের বাড়িতে টিভি দেখতে যাওয়া , আত্মীয়-স্বজনের বকা খাওয়া অতিরিক্ত টিভি দেখার কারণে । ইস কি একটা শৈশব ছিল । নব্বইয়ের দশক আসলেই সোনায় মোড়ানো । যা চাইলেও কখনো ভোলা যায়না । ভালো লিখেছেন বেশ, আমি অনেকটাই আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছি ।

নব্বইয়ের দশকে যাদের শৈশব কেটেছে আমিও তাদের মধ্যে একজন। আলিফ লায়লা, মুগলি আর টিনটিন এগুলো এক একটা ভালবাসার নাম। কত যে স্মৃতি জড়িয়ে আছে এগুলো নিয়ে তা বলে শেষ করা যাবেনা। আমার বড় মামা ওই সময়ে আমাদেরকে একটা কালার টেলিভিশন উপহার দিয়েছিলেন। যেটাতে আলিফ লায়লা দেখার জন্য গ্রামের প্রায় অর্ধেক মানুষ আমাদের বাড়ি এসে ভিড় করত। কি সব দিন ছিল সেগুলো। সত্যিই আপনার লেখার মধ্যে জাদু আছে। এ যেন বিভূতিভূষণ এর আধুনিক সংস্করণ।❤️

এক ধাক্কা তে আজ সেই ছোট বেলায় ফিরে গেলাম দাদা। এমন ধরনের একটা টিভি আমাদের ও ছিল। একটা মাত্র চ্যানেল। সেটা কখন খুলবে সকাল থেকে সেই আশায় বসে থাকতাম। আবার একটু ঝিরঝির করলেই টিভির অ্যান্টেনা ঘুরাতে ঘুরাতে পাগল হয়ে যেতাম। আর শহরে আসার পর বাবা ডিস লাইন নিত না। পড়াশোনা করবো না এই জন্য। পাশের বাড়িতে দৌড়ে যেতাম এই রামায়ণ আর আলিফ লায়লা দেখতে । কত মার দিত মা মাঝে মাঝে। আমার চাইতে আমার দিদি বেশি মার খেত 😊। সত্যি দাদা আজকের পোস্ট টা একদম মন ভালো করে দিল।

ছোটবেলার একগাদা স্মৃতি মনে পড়ে গেলো দাদা। আমার এখনো মনে পড়ে। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন বাংলাদেশে অর্ধেক বেলায় টেলিভিশন চলতো। শুধু শুক্রবার সকাল থেকে সারাদিন টেলিভিশন প্রোগ্রাম হোতো। আমার পছন্দ ছিল প্রতি সপ্তাহে একদিন একটি ইংলিশ মুভি দেখা তো সেই মুভি গুলো। বিশেষ করে ওয়েস্টার্ন মুভিগুলো আমার খুবই পছন্দের ছিলো। আর আমার সবচাইতে প্রিয় কার্টুন ছিল থান্ডার ক্যাটস আর টিনএজ মিউট্যান্ট নিনজা টার্টলস। এই দুটো অসাধারণ ছিলো। এখন হাজারো চ্যানেলের ভিড়ে আর তেমন কোন প্রোগ্রাম দেখার মত প্রোগ্রাম খুঁজে পাইনা। যখন আলিফ লায়লা হতো তখন পুরো দেশের মানুষজন টিভিতে বুঁদ হয়ে থাকতো। আর আমাদের বাংলাদেশের মানুষের অন্যতম আরেকটি বিনোদনের জায়গা ছিল হুমায়ূন আহমেদের নাটক আর ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি। এই দুটো যখন হতো তখন দেশের সমস্ত মানুষের চলাফেরা বন্ধ হয়ে যেতো। পুরো দেশ মনে হয় থমকে যেতো। আহা কি চমৎকার ছিল সেই দিনগুলি।

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Please consider to approve our witness 👇

Come and visit Italy Community

আমি আপনার সাথে একমত প্রিয়, আমরা যারা ইন্টারনেটের উপর নির্ভর করেছি এবং আপগ্রেড করেছি

দাদা আজকে অসাধারণ কিছু অনুভূতির কথা শেয়ার করেছেন। এ ধরনের টিভি দেখলে এখনো ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। আলিফ লায়লা, সিনবাদ দুটিই দেখেছিলাম, তবে অনেক বেশি ছোট থাকাতে তেমন একটা মনে নেই। তবে ওই দিনগুলোর কথা এখনো চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তবে দাদা আপনি যে কার্টুনগুলোর কথা বলেছেন সে কার্টুন একটাও আমি দেখিনি। কিন্তু জেনে ভালো লাগলো। আজকে আপনার পোস্ট পড়ে অসাধারণ কিছু অভিজ্ঞতা হল। আর ছোটবেলার অনেক কথাই মনে পড়ে গেল। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

দাদার আপনার পোষ্টটি পড়তে গিয়ে অতীতকে বারবার সামনে হাজির করছিলাম।যখন নাকি আমরা আলিফ লায়লা দেখতাম তখনকার টিভি কিন্তু এখনকার মত এত আপডেট ছিল না। কিছুক্ষণ পরপর জিম জিম করতো আর কিছু পর পর গিয়ে এন্টিনারে বাঁশকে ঘুরাইতাম যেন আলিফ লায়লা ক্লিয়ার দেখতে পারি।আর টিভিটা ছিল ঠিক আপনার পোষ্ট এ শেয়ার করা টিভির মত।সত্যিই দাদা আপনি আমাকে আমার অতীতে নিয়ে গেলেন আপনার পোষ্ট এর দ্বারা।
আপনার অশেষ কৃতঙ্গত। প্রকাশ করছি।

দাদা আমারও আলিফ লায়লা আর টিনটিন ভীষণ প্রিয় ছিল ছোট বেলায়। আমাদেরও টিভি ছিল না। পাশের বাড়ির একজনের টিভি দেখতাম তাও ঠান্ডার মধ্যে নিচে বসে। যাক এগুলো সবই এখন স্মৃতি। তবে কার্টুন গুলো খুব ভালো উপভোগ করতাম।

একেবারেই শৈশবের দিন গুলি ফিরে পেলাম আপনার লেখায়। আলিফ লাইলার এক পর্ব শেষ না হতেই পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা, কি দারুণ সময় ছিলো।ভীষণ পছন্দের ছিলো মোগলি।এখনো মাঝে মাঝে ছেলের সাথে কার্টুন দেখি কিন্তু সেই আনন্দ আর ফিরে আসেনা। শৈশবের সাদাকালো টিভির আবেদন হোম থিয়েটারেও মেটেনা।

এরপরে ছিলো ভারতের সেই সময়কার অত্যন্ত জনপ্রিয় আর একটি সিরিয়াল "আলিফ লায়লা" ।

আমার খুবই পছন্দের একটি সিরিয়াল ছিলো। বাংলাদেশে এই সিরিয়াল প্রচারিত হতো শুক্রবার। আমাদের তখন একটা সাদা কালো ১৪" টিভি ছিলো। এই আলিফ লায়লা তখন এতোই জন্মপ্রিয় ছিলো একটা শুক্রবারও মিস দিতাম না। তবে এখন এই সিরিজ ইউটিউব এ পাওয়া যায় কিন্তু হাস্যকর লাগে গ্রাফিক্স এর কাজ দেখে। এখন প্রযুক্তি এগিয়ে গেছে তাই সেগুলো এখনকার যুগের সাথে যায় না। দাদা, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ছোট বেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।

নব্বই দশক প্রত্যেকের জন্য ছিল সোনালী মুখ। এ সময় আমরা যেখানে টিভি বিভিন্ন প্রোগ্রাম দেখে কাটিয়েছি ওই সময়ে উন্নত দেশে মানুষ কম্পিউটার ইন্টারনেট ইত্যাদি ব্যবহার করেছেন। টিভি প্রোগ্রাম গুলো দেখে আমরা গঠনমূলক অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।

দাদা এই জন্যই কি আমাদের ছোট বাবার নাম টিনটিন রাখা হয়েছে?? আসলে সত্যি বলতে আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন সাদাকালো টিভি পেয়েছি। পাশের ঘরে যেতাম শুক্রবারে ছবি দেখতে কারণ তখন বিটিভি এর যুগ ছিল। বিটিভিতে প্রতি শুক্রবার বিকেল বেলায় ছবি দিত আর আমরা পাগল হয়ে যেতাম ছবি দেখার জন্য। সেই সময় গুলো সত্যিই খুব মিস করি। 1998 সালে কম্পিউটার পেয়েছেন এটাতো সত্যি কি বলব অনেক আগেই পেয়েছেন। কারণ আমি যখন ছোট ছিলাম তখন সাদাকালো টিভির দেখতাম আর সেই সময় আপনার কাছে কম্পিউটার ছিল নেট ছিল। যদিও কম্পিউটার আপনার বড় ভাইয়ের জন্য কেনা হয়েছিল কিন্তু আপনিও তো পেয়েছেন।

首先,爷爷,当我看到你的这个电视时,我想起了我的过去。以前,我们地区只有几台电视机,而且也是黑白的。我现在清楚地记得,孟加拉电影在星期五举行,我们附近的许多人都会一起来看电影。日子真的很好,孟加拉电视上会有 Alif Laila 和另一部卡通片,我现在不记得他的名字了。过去的回忆真的很美好,爷爷,如果我能回到过去,也许还不错。

আমি যখন খুব ছোট ছিলাম তখন পুরো গ্রামে 2-3 টি টিভি ছিল।সাদা-কালো টিভিতে সপ্তাহে যে সিনেমা হতো পূর্বে গ্রামের লোকের ভিড় জমা হতো।কিন্তু আমি কয়েকটি পর্ব মাত্র "আলিফ লায়লা" দেখেছি।রাতে অন্যের বাড়ি ছুটে গিয়ে।তবে আর অন্য কিছু দেখিনি আর জানিও না।তারপর হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় প্রোগ্রামটি আর হয় না, তখন মন খুব খারাপ হয়েছিল।শৈশবের আবছা স্মৃতি মনে পড়ে গেল দাদা,তখন টিভি দেখার মধ্যে অদ্ভুত আনন্দ ছিল।যেটি এখন নেই।

দাদা ছোটবেলায় আমার খুবই প্রিয় কার্টুন ছিল টম এন্ড জেরি এবং আলিফ লায়লাও আমার খুবই পছন্দের একটি প্রোগ্রাম ছিল। টিভির সামনে বসে পড়তাম খাওয়া নাওয়া ভুলে এই প্রোগ্রাম গুলো দেখতে। এই প্রোগ্রাম গুলো দেখার জন্য ছোটবেলায় ঠিকমতো পড়তেও বসতাম না। তার জন্য যে কত বকুনি খেয়েছি আম্মুর কাছে তার ঠিক নেই। পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আপনার এই পোস্ট টি পড়ার মাধ্যমে আমার সেই ছোটবেলার টিভি দেখার ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল দাদা। ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে একটি সাদা-কালোর টিভি ছিল যদিও টিভিটি এখন পর্যন্ত আমার বাড়িতে অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। ছোটবেলায় আমার সবথেকে পছন্দের টিভি সিরিয়াল গুলোর মধ্যে ছিল আলিফ লায়লা, মিনা কার্টুন এবং টম এন্ড জেরি।

দাদা এখনো মনে আছে, একজনে এন্টেনা ঘুরাইতো আর আরেকজন টিভির দিকে তাকিয়ে থাকত কখন ঝিরিঝিরি ভাবটা কমে আসে। আবার এন্টিনা ছেড়ে দিলে যা তাই হয়ে যেত, হাহাহা। বেশ মজার ছিল তখনকার দিনগুলো।

আর হ্যাঁ দাদা আপনি ঠিক বলেছেন। নব্বই দশক সত্যি গোল্ডেন সময় ছিল।আমরা যারা নব্বই দশক পার করে এসেছি তারাই জানি সে সময়টা কতটা মধুময় ছিল। এখনকার জেনারেশন কল্পনাও করতে পারবে না।

আমাদের গ্রামে হাতে গোনা দুই একটা টিভি ছিল। যেদিন আলিফ লায়লা হত সেদিন সবাই এক জায়গায় জড়ো হয়ে বসে যেত আলিফ লায়লা দেখতে। বাড়ি ভর্তি মানুষ জড়ো হয়ে যেত। রুমের একপাশ থেকো অন্য পাশে হেঁটে যাওয়াই যেত না। এখনও স্পষ্ট মনে আছে। আমি ভাত নিয়ে বসে পরতাম আলিফ লায়লা দেখতে। হাহাহা

দাদা আপনি একেবারে ছোটবেলার শৈশবে নিয়ে গেলেন একেবারে সবকিছু যেন চোখের সামনে ভেসে উঠল। এ ধরনের স্মৃতি সবারই মনে হয় আছে আলিফ লায়লা দেখার জন্য রাত জেগে বসে থাকতাম টিভির সামনে বসে থাকতে থাকতে কখন যে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে টেরই পেতাম না। তখন টিভির খবর গুলো যেন বসে বসে দেখতাম কখন শেষ হবে কখন শুরু হবে নাটক ,কয়টা অ্যাড গেল সেটাও গুনতাম। রামায়ণ অনেক পছন্দের ছিল খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতাম। জঙ্গলবুক কে আমরাও মুগলি বলতাম খুব ভালো লাগতো। আসলেই ছোট বেলার স্মৃতি গুলো আর কখনোই মেটানো সম্ভব নয় ।খুবই ভালো লাগলো দাদা আপনার আজকের লেখাটা পড়ে।