তরুণ বয়সের একটা মজার ঘটনাsteemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

man-4336975_1280.jpg
Copyright Free Image : Source - PixaBay


আজকে আমার জীবনের খুবই ছোট্ট অথচ দারুন মজাদার একটা ঘটনা শেয়ার করছি । ছোটবেলা থেকেই আমার শরীর বেশ বড়সড় । আমার সমবয়সীদের তুলনায় আমার দেহের আকার আকৃতি ও গঠন অনেকাংশেই বৃহৎ ছিল । এ জন্য বিড়ম্বনায় কম পড়তে হয়নি জীবনে । আমি খুবই কম বয়সে আমার স্কুলজীবন শুরু করি অথচ ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় প্রায়ই অপরিচিত মানুষ আমাকে ক্লাস টেনের ছাত্র ভাবতো । আর ক্লাস টেনে পড়ার সময় ইউনিভার্সিটিতে পড়ি ভাবতো ।

ফলে অপরিচিত মানুষের মনে ধারণা জন্মাতো যে আমি মনে হয় ক্লাসে ফেল করে করে এক ক্লাসে বেশ কয়েক বছর ধরে আছি । তো এবার আসি মূল ঘটনায় । আমি তখন সদ্য একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছি । পুজোর ছুটির আগের কথা । হঠাৎ, করে আমার মামা বাড়ি যাওয়ার একটু প্রয়োজন পড়লো । মা যাবে । কিন্তু, বাবার স্কুল, তাই যেতে পারবে না । দাদা ভিন শহরে মেডিকেলে পড়ে । ভাই ছোট । ফলে মা-কে মামা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পড়লো আমার ঘাড়ে ।

বাবা বললো - "দু'এক দিন ক্লাস মিস গেলে কোনো প্রব্লেম নেই, তুমি তোমার মাকে মামাবাড়িতে পৌঁছে দিয়ে এসো। " খুশিতে তো আমি লাফাতে লাগলাম । আমার মামাবাড়ি গ্রামে । তো গ্রামে গেলে মজা হতো ভীষণ । গ্রামের পরিবেশ আমার ভীষণ পছন্দের । সকাল সন্ধ্যা পড়াশোনার ঝামেলা নেই । পুকুরের টাটকা নানা রকমের মাছ, হাঁসের ডিম, টাটকা শাক সবজি, সকালে-বিকালে ক্রিকেট, সন্ধ্যায় আড্ডা । সে এক আনলিমিটেড মজা ।

তাই গ্রামে যাওয়ার কথা শুনলেই আনন্দে আমার মন উদ্বেলিত হয়ে উঠতো । তো পরের দিন ভোরবেলা ব্যাগ ট্যাগ গুছিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম মামা বাড়ির উদ্দেশ্যে । বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে টিকিট কেটে বাসে উঠে পড়লাম আমরা তিনজন - আমি, মা আর আমার ভাই । আমার ভাইয়ের সিট ছিল একদম বাসের পিছন দিকটায় । সামনের দিকের সিটে মা আর আমি বসলুম মায়ের ঠিক এক সিট পরে পেছনে। কিছুক্ষণ পরে বাস ছেড়ে দিলো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ।

মায়ের বাম পাশের সিটে একটা লোক বসে অনেক্ষণ ধরে আমাদের অবজার্ভ করছিলো । বাস ছেড়ে দেওয়ার কিছুক্ষণ বাদে দেখি লোকটি আমার মায়ের সাথে নিচু গলায় কি জানি বলছে । আমি তখন গল্পের বই পড়ছিলাম । কিন্তু, বই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে টুকরো টাকরা কথা কানে আসছিলো আমার । বিয়ে, মেয়ে, সুন্দরী, টাকা-পয়সা ইত্যাদি বিচ্ছিন্ন কিছু শব্দ কানে আসছিলো । যাই হোক, লোকাল বাস । প্রতিটা স্টপেজে থামে আর পিলপিল করে লোক ওঠে । দেখতে দেখতে বাস পুরো ভর্তি হয়ে গেলো । ভীড়ের ঠেলায় আর কিছু শুনতে পেলুম না ।

আমাদের স্টপেজ হলো একদম শেষের দিকে । তাই ক্রমে বাসের ভীড় পাতলা হয়ে এলো । দেখি সেই লোকটি এখনো মায়ের সাথে কথা বলছে । বাসে তখন বেশ কিছু সিট ফাঁকা হয়ে গিয়েছে । তো লোকটি একরকম জোর করে আমাকে তার পাশে এনে বসালো । তারপরে আমার নাম টাম, কি করি এসব জিজ্ঞেস করলো । তারপরে আবার মাকে বললো, "দিদি, একটু ভেবে দেখুন এমন মেয়ে পাওয়া কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপার । তারা চায় শুধু সুন্দর দেখতে একটা ছেলে । তা যেমনটি চাই একদম তেমনটি পেয়ে গিয়েছি । আপনার ছেলেকে দেখালেই তারা পছন্দ করবে ।"

মা বললো তখন , "আমার ছেলের এখন বিয়ে দেব কি করে আপনাকে তো বললাম আমি । ও এখনো পড়াশোনা করে । বয়স একেবারে কম। " তাও লোকটা খুব ঝোলাঝুলি করতে লাগলো । মাকে মোবাইল নাম্বার লিখে দিলো । আমার নাম্বার নিলো । এতক্ষণে আমার মাথায় ঢুকলো ব্যাপারটা । লোকটা ঘটক । বাসের মধ্যেই মায়ের সাথে ঘটকালি করছে । দারুন সুন্দরী একটা মেয়ের সাথে নাকি আমার সম্বন্ধ করতে চায় । শুনে আমি তো অবাক । লোকটা বারবার বলতে লাগলো - "দিদি আপনার ছেলের উপযুক্ত এই মেয়ে । দারুন ফর্সা, ফেস কাটিং দারুন, কোমর অব্দি চুল । মেয়ের বাপের মাছের ভেড়ি আছে । বিস্তর টাকা পয়সা । কিন্তু, তেমন একটা শিক্ষিত ফ্যামিলি নয় । মেয়ে ক্লাস সেভেনে পড়ছে । মেয়ের বাপ চায় শিক্ষিত ফ্যামিলিতে মেয়ে দিতে । তো সব দিক দিয়ে আপনারা উপযুক্ত । আপনাদের ফ্যামিলি শিক্ষিত । আপনার স্বামী শহরের স্কুল টীচার । আপনারা শহরে থাকেন । আপনার ছেলে সুন্দর দেখতে, লেখা পড়া জানে । একদম রাজযোটক যাকে বলে ।"

আমার মাথায় তখন খালি ঘুরছে - "মেয়ে সেভেনে পড়ে মানে তো বাল্য বিবাহ । কভি নেহি ।" আমার মা সব কথা শোনে আর হাসিমুখে ঘাড় নাড়ায় শুধু । দেখতে দেখতে আমাদের স্টপেজ চলে এলো । লোকটা তখন বলতে গেলে ক্ষেপে গিয়েছে একদম । আমাদের কথা আদায় করে ছাড়বেই সে যে করে হোক । অতি কষ্টে তার হাত থেকে রেহাই মিললো । এরপরে বহুদিন অব্দি আমি মাকে বলতাম - "দিতে পারো বিয়ে । যদিও বাল্য বিবাহ হবে । তবুও অসুবিধা নেই । আমি রাজি আছি ।" মা শুনে খালি হাসতো ।

তবে এতদিন পরে বলতে বাধা নেই - বছর খানিক ধরে আমার মাথায় বিয়ের ভূত চেপেছিল । ভাবতাম আহা ! এখন যদি বিয়ে করতে পারতাম ! জীবনটা আমার ধন্য হয়ে যেতো ।


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫২৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 525 trx)


তারিখ : ২২ জুলাই ২০২৩

টাস্ক ৩৩২ : ৫২৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫২৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 5113a62d00db3bef4ec533584e8669111e38ae92e94182066bd508a3133dc5d5

টাস্ক ৩৩২ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আরেকটু হলেই বিশাল কেলেঙ্কারি হয়ে যাচ্ছিলো, বাল্য বিবাহ করে মণ্ডপ থেকেই সোজা শ্রীঘরে। হাঃ হাঃ।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

শুধু বিয়ের কথা ভাবতেন নাকি বাচ্চা কাচ্চার কথাও। 😜😜

ছবিতে বাচ্চাদের জুতা দেখা যায় 🤭

হু তা তো ভাবতাম । সেটা ওখানে লিখিনি । বিয়ের পর আমার মা তনুজাকে সব ফাঁস করে দিয়েছে । আমি মাকে বলতাম - "আগে বিয়ে দিয়ে দাও আমাকে । না হলে ছেলে মেয়ে মানুষ করবো কখন ?"

না হলে ছেলে মেয়ে মানুষ করবো কখন ?"

এটা শুনে কাকি কী বলতো তখন?

হু তা তো ভাবতাম । সেটা ওখানে লিখিনি ।

সত্যিই বিয়ের বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে নিয়ে অনেক মজার মজার কল্পনা করতে মন্দ লাগতো না। 😜
আর সেগুলো পোস্টে না লেখাই ভালো। হিহিহি। 🤭🤭

আহ! বিয়েতে সত্যি মজা, খালি খাওন আর খাওন। হা হা হা হা।
দাদা তো দেখছি সেই রকম একটা সুযোগ মিস করেছেন, দেখতে সুন্দর, চেহারা ফর্সা, কোমর অবদি চুল, পুরো জবরদস্ত একটা সম্বন্ধ ছিলো, হি হি হি। দাদা বৌদিকে কি এই গল্পটা শুনিয়েছিলেন, আর শুনিয়ে থাকলে বৌদির উত্তর কি ছিলো?

আমি আর কি শোনাবো ? অনেক আগেই আমার মা-ই সব ফাঁস করে দিয়েছে তনুজার কাছে :)

হা হা হা, সেটা শুনে নিশ্চিত বৌদির চরম হাসি পেয়েছিলো। জীবনে এই রকম কিছু মুহুর্ত থাকাটা জরুরী, মাঝে মাঝে মনে করে হাসা যায়।

বৌদি মনে হয় ঘটকরে খুঁজতেছে। 😆

হা হা হা... ঘটককে একবার বৌদি খুঁজে পেলে তাকে হয়তো আর কোনোদিন খুঁজে পাওয়া যাবে না।

রীতিমতো কিশোর বয়সেই বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে গিয়েছিলেন দাদা। আঁকার আকৃতিতে বড়সড়ো হওয়ার এই এক সুবিধা। অবশ্য এত ভালো প্রস্তাব পায়ে ঠেলা উচিত হয়নি। হা হা হা... বৌদি এই কমেন্ট পড়লে আমার খবর আছে।

আসলেই, মিস হয়ে গেলো :)

Hi, friend.
I think that if you had married at a very young age, your destiny would have been another, maybe you would not be in steemit and you were not a software developer, we do not know what was best for you was what happened next.

ha ha :) You are right I think :)

দারুন মজা পেলাম দাদা,হিহিহি।😃তবে ওই ভুতটাকে আর বাঁচতে দিয়েন না,মেরে ফেলেন।শান্তিতে আছেন,সুখে আছেন তাই থাকেন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

তরুণ বয়সে তরুণী পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা অনেক বেশি থাকে 😎 ঘটকের ভাব এমন যে, বাসের ভিতর বিয়ে দিতে পারলেই শান্তি পেতো মনে হয় 😁 তরুণ বয়সে বিয়ের ভুত মাথায় চাপে অনেকেরই তবে এটা সামাল দিতে সামর্থ্যের প্রয়োজন যেটা আপনার ছিলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

এত কম বয়সে মেয়েদের বিয়ের প্রস্তাব আসে জানতাম । ছেলেদেরও যে বিয়ের প্রস্তাব আসে আপনার কাছ থেকে প্রথম জানলাম। বিয়ে না করলেন , ঠিকানা নিয়ে প্রেম তো করতে পারতেন । কি সুন্দর পাত্রী ছিল আহা! মিস করলেন।

হিহিহি। বেশ কিছুক্ষণ হাসলুম। বিয়ের ভুত এক বছর মাথায় ছিল। হ্যান্ডসাম আর সুন্দর হলো তো যে কেউ মেয়ে দিতে চাবে। আমি কিন্তু গল্পটি পরছিলাম আর ভাবছিলাম শেষ পর্যন্ত কি দাদা ঘটককে মাইরি দেয় নাকি? কিন্তু না বাবা । দাদাও তো দেখছি মনে মনে মজা পেতে শুরু করল। বেশ মজাই লাগছিল দাদা প্রেম প্রেম মনে হচ্ছিল তাই না। ভেবে দেখেন তো দাদা।তখন যদি সে বাল্যবিবাহটি হয়ে যেত তাহলে কি আর বৌদিকে পেতেন?

Posted using SteemPro Mobile

मेरी भी कहानी कुछ आपकी तरहा ही है।
मेरे भी शरीर का आकार बड़ा और बचपन में ही बालों के सफेद हो जाने के कारण मे मात्र हर 27 वर्ष मे ही वृद्ध दिखने लगा हूँ।
कल ही शॉप पर एक लड़की आकर मुझे बोली दादा जी एक कुकर देना।
😜😅 अब तो आदत सी है मुझको ऐसे जिनेमे....

Posted using SteemPro Mobile

বাহ্ দাদা এরকম ঘটনা আমাদের জীবনে কখনোই ঘটল না। রীতিমতো বাসের মধ্যেই সম্বন্ধ। এমন সম্বন্ধ কি করে হাতছাড়া করলেন দাদা। আমি হলে তো এক সেকেন্ড দেরি করতাম না। যেহেতু মেয়েটা কলেজে পড়তো তাহলে তার সম্পর্কে ডিটেলস টা রাখতে পারতেন তাহলে বেশ মজা হতে পরবর্তীতে। দাদা যে লোকটা আপনার মাকে এত কিছু বলছিল উনি মনে হয় ঘটক। আর ঘটকেরা এমন ভাবেই বলে, সত্যি বলতে তারা পারে বটে। ওই সময় বিয়ে করলে আপনার ছেলের বিয়ের বয়স হয়ে যেত দাদা।

ভাই মেয়েটি কলেজে পড়তো না, ক্লাস সেভেনে পড়ছিল তখন। আশা করি ঠিক করে নিবেন।

Posted using SteemPro Mobile

হা হা হা... পোস্ট পড়তে পড়তে অনেক সময় ধরে হাসছিলাম দাদা। তবে দাদ তুমি তো অনেক সুন্দর দেখতে, এই দিক থেকে প্রপোজটা যে একেবারেই ঘটক বৃথা দিয়েছেন তা কিন্তু নয়। তোমাকে দেখলে এমনিতেই যেকোনো লোক পছন্দ করবে, এটাই স্বাভাবিক।

আমার মাথায় তখন খালি ঘুরছে - "মেয়ে সেভেনে পড়ে মানে তো বাল্য বিবাহ । কভি নেহি ।

আমি হলে কিন্তু রাজি হয়ে যেতাম দাদা।😂😂

দারুন একটি ঘটনা পড়লাম দাদা, কিন্তু আমি এবং আমার মা অনেকবার বাসে ট্রাইভেল করেছি কখনো আমার জন্য এরকম সম্বন্ধ আসে নি, হাহাহা। তবে মেয়েটি কলেজে পড়লে হয়তো ব্যাপারটা অন্যরকম হতে পারতো, হাহাহা মজা পেলাম দাদা। আপনাকে ধন্যবাদ।

ট্রাই করতে থাকুন । হতেও তো পারে একদিন, কে বলবে সেটিং হয়ে গেলো একদিন দেখা যাবে :)

দাদা, চেষ্টা চলছে, চলবেই। পথে ঘাটে এমন ঘটক পেলেও পেতে পারি। হাহাহা।

হা হা 😄
পুরো ঘটনাটা পড়ে ভীষণ হাসলাম।
ইস্ সেদিন যদি দাদার বিয়েটা হয়ে যেতো তাহলে আজ ছেলে পুলে বড় হয়ে যেতো। হয়তো কমিউনিটির হাল ধরতো 😄

দিতে পারো বিয়ে । যদিও বাল্য বিবাহ হবে । তবুও অসুবিধা নেই । আমি রাজি আছি ।" মা শুনে খালি হাসতো ।

দাদা আপনি মাসিমাকে বলতেন জোর করে হলেও আমাকে বিয়ে দিয়ে দাও 😅😅। পুরো ঘটনাটা পড়ে অনেক মজা পেলাম। সত্যি অনেক মজার ঘটনা ছিল। আসলে অনেক সময় এই ধরনের ঘটনা গুলো ঘটে। আমি যখন ক্লাস 3 তে পড়ি তখন আমার সাথেও এই রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। মনে পড়লেই হাসি পায়।

বাহ! দারুন একটি গল্প পড়লাম। পড়ে বেশ মজা পেলাম দাদা। এত ভালো সম্বন্ধ মিস করে কেউ।তবে মেয়েদের বড় বড় চুল আমারও বেশ পছন্দ।কোমর অবধি। তনুজা বৌদি গল্পটি শুনে নিশ্চয়ই রাগ করেননি?

বেশ হাসি পেল ভাই, এই মাঝরাতে লেখাটা পড়ে। ভাগ্যিস ঘটকের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন।

খুব হাসি পাচ্ছে। ঘটকরা অনেকটা এমনই হয় নাছোড়বান্দা। যেকোন ভাবেই তারা মেয়ে আর ছেলের এত প্রশংসা করে যে বিয়ে মনে হয় তখনই করে ফেলা যায়। ঘটনাটা সত্যি খুব মজার ছিল।

হাহাহা দাদা হাসি থামছে না।ছোট বেলাই লম্বা থাকার কারনে এমন পরিস্থিতি আমাকেও পরতে হয়েছে। আর সবাই বড় ক্লাসে পরি ভেবে সম্মান করতো বেশ।লাস্টের ঘটনার সাথে আমার একটা ফ্রেন্ডের এমন হয়েছিল সে ছিল মেয়ে।আমরা ঘুরতে যাচ্ছিলাম ফেমিলি নিয়ে আর ঘটক সাহেব তার কেরামতি করতে লাগেন কিন্তু কোনো লাভ হয়েছিল না।খুব ভাল লাগলো দাদা।

দাদা আপনার মতো এমন পরিস্থিতিতে আমাকেও পড়তে হয়েছিল। আমি তখন ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়তাম। কলেজ থেকে বাসায় ফেরার সময় বাসের মধ্যে এক ঘটক এসব বলেছিল আমাকে। আমি তো শুনে পুরোপুরি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতেও অনেক বার এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তবে বাসায় গিয়ে আপনি আন্টিকে এসব বলে বেশ ভালোই মজা নিয়েছিলেন। আপনি ছোট থেকেই বেশ দুষ্ট ছিলেন দাদা। পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

Hey! I understand that, It's always so exciting to visit uncle home and specially when you get to have those fresh vegetables to eat.
Sorry to say, but child marriage is not legal and why those people are thinking to get that girl married, if she is just in 7th standard?

দাদা,আপনার তরুণ বয়সের মজার ঘটনাটি পড়ে হাসতে হাসতে শেষ।বিশেষ করে শেষ এই কথাটি জেনে যে,এক বছর ধরে আপনার মাথায় বিয়ের ভূত চেপেছিল।আমি ভাবছিলাম,এটা পড়ে বৌদি কেমন ভাববে!কিন্তু আপনার মন্তব্য পড়ে দেখলাম বৌদি আগে থেকেই জানে আপনার মায়ের কাছ থেকে।তবে দাদা সেইসময় বিয়ে হলে আমাদের টিনটিনের বয়স না জানি তরুণ বয়সের মতোই হতো।হি হি☺️☺️

দাদা সেই বয়সে তাহলে তো আপনি লজ্জা কমই পেয়েছেন। মন চায় কিন্তু কিছু কথা প্রকাশ করা যায় না ঠিক তেমনি একটা ঘটনা সেই বয়সে কোন ধরনের বিয়ের কথা শুনলে দারুন ছিল। বিয়ের ভুত একবার চেপে বসলে রেহাই পাওয়া মুশকিল দাদা। ছোট্ট জীবনের গল্পটি দারুন ছিল।

দাদা মোটাসোটা হলে অনেক দিক দিয়ে লাভ। সুন্দরী বউ পাওয়া যায়,মেয়ের বাবার অনেক টাকা পয়সা থাকে, মেয়ের বাপের মাছের ভেড়িও থাকে। কি চান্সটা মিস করলেন দাদা,হি হি হি.......। অনেক মজার একটি গল্প পড়লাম। ধন্যবাদ দাদা।

বিয়ের কথা শুনেই কত খুশি দেখছি দাদা।ঘটকরা আসলে এরকমই।একটা বিয়ে দেয়ার জন্য তারা উঠেপড়ে লেগে যায়।তবে আপনার মায়ের মাথা নাড়ানো আর হাসির কথা শুনে আমার বেশ মজা লেগেছে।কারণ উনিও মনে মনে ভাবছেন ছেলে তো এখনো ছোট,আর এখনই বিয়ের জন্য ঘটকের লাফালাফি শুরু হয়ে গেল।

এরপরে বহুদিন অব্দি আমি মাকে বলতাম - "দিতে পারো বিয়ে । যদিও বাল্য বিবাহ হবে । তবুও অসুবিধা নেই । আমি রাজি আছি ।" মা শুনে খালি হাসতো ।

বিয়ের ভুত তাহলে সেই বয়সেও চেপেছে।

ছোটবেলায় আমার ক্ষেত্রে হতো উল্টা যত উপর ক্লাসে উঠতাম আর লোকজন ভাবতে যে আরো নিজের ক্লাসে পড়ি। খুবই অবাক হতো আমাকে দেখে। এত ছোটখাটো ছিলাম ।
তাছাড়া দাদা আপনার কাছে দেখছি সেই ছোটবেলা থেকেই মেয়ের আনাগোনা। সেই বয়সে বিয়ে করলে এতদিন তো আপনার বাচ্চাকাচ্চার বিয়ের বয়স হয়ে যেত। বোঝাই যাচ্ছে বেশ সুদর্শন ছিলেন ছোটবেলায়। না হলে ঘটক এত জোরাজুরি করবে কেন।

আহা দাদা আশা দিয়ে রাখতেন। পরে সাবালক হবার পর না হয় বিয়ে টা সেরে ফেলতেন। মাছের ভেরি থেকে আপনার নামে আমরাও মাছ নিয়ে আসতাম।এহেহে খুব মিস হয়ে গেল।