বাজার দর

in hive-129948 •  6 months ago  (edited)

444904386_1443967859568813_2767402115486801696_n.jpg
Copyright Free Image:Source - পুরোনো কলকাতার চালচিত্র নামক একটি ফেইসবুক গ্রুপ


উপরের ছবিটা ভালো করে একটু লক্ষ্য করুন । এটি একটি বহু পুরোনো মাসিক পত্রিকার ছেঁড়া পাতা । এই পাতায় ১৯৭৫ সালের জুন মাসের কোলকাতার বাজার দরের একটা তালিকা রয়েছে । ১৯৭৫ সাল থেকে ২০২৪ - অনেকটাই লম্বা সময় । প্রায় পঞ্চাশ বছর, অর্ধ শতাব্দী । এই সময়ের মধ্যে কোলকাতার বাজার দর অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে । তার পেছনের মূল কারণটা কি শুধুই ভারতীয় রুপীর ক্রমাগত দরপতন নাকি আরো কিছু কারণ আছে এর পেছনে ?

খুব ভালো করে ১৯৭৫ সালের জুন মাসের এই বাজার দরটি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে শুধুমাত্র inflation বা মুদ্রাস্ফীতিই একমাত্র কারণ নয় । আসুন বিশ্লেষণ করে দেখা যাক বাজার দরের তালিকাটি -


প্রথমেই আসি আনাজ বা শাক-সবজির দরে :

সবজিদর (প্রতি কে.জি.)
আলু বড়₹১.৩০
আলু ছোট₹১.২০
পেঁয়াজ₹০.৬০
পটল₹১.২৫
বেগুন বড়₹ ১.৫০
বেগুন ছোট₹১.০০
পেঁপে₹১.০০
ওল₹৩.০০
ঢেঁড়স₹১.০০
আমড়া₹০.৬০
কাঁচকলা বড় (এক জোড়া)₹০.৩০
পুঁইশাক₹০.৩০
কচুমুখী₹১.০০
বিট কপি₹২.০০
গাজর₹৪.০০
কাঁচা লঙ্কা₹২.০০
আদা₹৩.০০
রসুন₹৩.০০

উপরের সবজির দরের তালিকাটা পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে মুদ্রাস্ফীতির তুলনায় দাম সকল সবজিরই বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে এই ৫০ বছরে । কিন্তু, কিছু কিছু সবজির দাম সময়ের সাথে যে রেটে বাড়ার কথা তার চাইতে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, আবার কিছু সবজির দাম সময়ের সাথে যে রেটে বাড়ার কথা সে রেটে কিন্তু বাড়েনি । যেমন ধরুন আলু । আলুর দর ১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে ২০-৩০ টাকা অব্দি এসেছে । দাম বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ১৫-২০ গুণ । অথচ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির আনুপাতিক হার আলুর চাইতে অনেক বেশি । তখন দর ছিল ৬০ পয়সা প্রতি কেজি । এখন ৪০-৪৫ টাকা । দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৭০-৭৫ গুণ । আরো একটা ব্যাপার দেখুন - তখন ওল আর গাজরের দাম ছিল অনেক বেশি । ওল তিন টাকা কিলো আর গাজর চার টাকা । সেই তুলনায় কিন্তু এই পঞ্চাশ বছরে গাজর আর ওলের দাম তেমন বাড়েনি । বর্তমানে গাজরের দাম ৫০-৬০ টাকা কিলো । অর্থাৎ, গাজরের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১০-১৫ গুণ মাত্র । ওল এখন ৯০-১০০ টাকা । অর্থাৎ, তখনকার বাজারদর অনুযায়ী বর্তমানে ওলের দামের বৃদ্ধি কম ।

এর পেছনে অনেকগুলো কারণ বর্তমান । তার মধ্যে প্রধান কারণগুলো হলো -
০১. মুদ্রাস্ফীতি
০২. কৃষি সরঞ্জামের দাম বৃদ্ধি, পূর্বে কৃষি সরঞ্জাম বাড়িতেই প্রস্তুত হতো এবং খরচ একেবারেই নগণ্য ছিল
০৩. শ্রমিক ও কিষাণ খরচ বৃদ্ধি
০৪. সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে এই খাতে খরচ অনেক বেড়েছে
০৫. আগে খাল খননের মাধ্যমে জলসেচ ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমানে সব কৃষক ওয়াটার পাম্প ইউজ করছে, ফলে এই খাতে খরচ বেড়েছে
০৬. সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির ফলে সবজির দাম এখন আকাশছোঁয়া


এবারে আসি মাছ-মাংসে -

মাছ-মাংসদর (প্রতি কে.জি.)
রুই মাছ (কাটা) ৩ কেজির উপরে সাইজ₹১৩.০০
চারাপোনা₹৭.৫০-৮.৫০
ইলিশ₹১৪.০০
জ্যান্ত ট্যাংরা₹১৩.০০
জ্যান্ত কৈ,মাগুর, শিঙি₹১২.০০
চিতল (কাটা)₹১১.০০
চিংড়ি (ছোট)₹৭.০০
চিংড়ি (বড়)₹১২.০০
খাসির মাংস₹১২.০০
দেশি মুরগি (গোটা)₹১০.০০
দেশি মুরগি (কাটা)₹১৪.০০
মুরগির ডিম (জোড়া)₹০.৮০
হাঁসের ডিম (জোড়া)₹১.০০

মাছের দাম সব্জির তুলনায় অনেকটাই কম বৃদ্ধি পেয়েছে । বড় সাইজের রুই মাছের কেজি ছিল ১৩ টাকা তখন, এখন ২৫০, অর্থাৎ, ২০ গুণ মাত্র বৃদ্ধি পেয়েছে । তবে ইলিশ মাছের দর বৃদ্ধি কিন্তু অস্বাভাবিক হারে হয়েছে । ১৪ টাকার ইলিশের দর এখন প্রায় ২০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ।

এবারে আসি মাংসের কথায়। দেখাই যাচ্ছে সেকালে খাসির মাংসের চাইতে অনেক দামি ছিল মুরগির মাংস । আর এখন খাসির মাংসের দর মুরগির চার গুণ বেশি । এর পেছনের কারণ হলো সেকালে তেমন পোল্ট্রি ফার্ম ছিল না, কিন্তু গ্রামে গঞ্জে অঢেল ছাগল ভেড়া পাওয়া যেত । আর বর্তমান যুগে তো পোল্ট্রি ফার্মের বিপ্লব ঘটে গিয়েছে, কিন্তু সেই তুলনায় ছাগল-ভেড়ার ফার্ম বাড়েনি ।


এবারে আসি ফলমূলে -

ফলদর (প্রতি কে.জি.)
ফজলি আম₹৩.০০
ল্যাংড়া আম₹৫.০০
কমলা লেবু (জোড়া)₹১.৫০
মুসম্বি (জোড়া)₹১.০০
কলা (ডজন)₹৫.০০
দেশি আনারস (একটা)₹১.০০
আগরতলা আনারস (একটা)₹২.৫০
পেয়ারা (জোড়া)₹০.৩০
নারিকেল (১ টা)₹১.৫০-২.০০
সবেদা (জোড়া)₹০.২০

ফলের বাজার চিরটাকালই বেশ চড়া । সেই পঞ্চাশ বছর আগেই আমের কিলো ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা ছিল । অথচ, তখন এখনকার চাইতেও বেশি পরিমানে আমের ফলন হতো । কমলা লেবুর দাম কিন্তু অস্বাভাবিক হারে বাড়েনি, তার পেছনের কারণ হলো দার্জিলিং, সিকিম আর ভুটানের থেকে প্রচুর পরিমানে কমলা পাওয়া যায়, আর এর যোগান এখনো কমেনি । ফলের বাজার পঞ্চাশ বছর আগেও যেমন চড়া ছিল, এখনো ঠিক তেমনই চড়া আছে । তবে, দর বৃদ্ধি অস্বাভাবিক হারে হয়নি । মুদ্রাস্ফীতি অনুযায়ী যতটুকু বাড়ার কথা বরং তার চাইতে কিছুটা কমই বেড়েছে ।


এবারে আসি তেল-ডাল-মশলায় -

তেল-ডাল-মশলাদর (প্রতি কে.জি.)
সরিষা তেল₹৬.৫০
নারিকেল তেল₹১৪.০০
ডালডা (বনস্পতি)₹৭.৮০
মুগ ডাল₹২.৬০
মসুর ডাল₹২.৪০
ছোলার ডাল₹১.৮০
শুকনো লঙ্কা₹১১.০০
হলুদ₹৪.৫০

ভারত হলো তেল, ডাল ও মশলা উদ্পাদনকারী দেশ হিসেবে শীর্ষে । অথচ গত পঞ্চাশ বছরে তেল-ডাল-মশলার দাম বৃদ্ধিতে অস্বাভাবিক প্রভাব পড়েছে । সরিষার তেলের দর বেড়েছে ১৫ গুন, নারিকেল তেলের দরবৃদ্ধি হয়েছে ২০ গুণ, মুগের ডাল ৪০ গুণ, মসুর ডাল ৬০ গুণ, ছোলার ডাল ৫৫ গুণ, শুকনো লঙ্কা ২৭ গুণ আর হলুদ বেড়েছে ৬০ গুণ ।

এর পেছনের মূল কারণটি কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি নয় । এটার পেছনে একটাই কারণ আর তা হলো সিন্ডিকেট । মজুত করে করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে অস্বাভাবিক রেটে বিক্রি করে আর বিদেশে পাচার করে ।


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

»»——⍟——««

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদ আপনার বাজার দর নিয়ে আজকের পোস্টটি পড়ছিলাম। যদিও আমার কাছে বেশ কঠিন একটি বিষয় মনে হয়েছে। তবে বাজার দর বৃদ্ধি পাওয়ার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আপনি প্রতিটি বিষয়ের আলাদা আলাদা করে বেশ সুন্দর ব্যাখা ‍তুলে ধরেছেন। যা আমার কাছে বেশ বাস্তব সম্মত মনে হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা এমন সুন্দর একটি বিশ্লেষণ তুলে ধরার জন্য।

আপু আপনার এই কমেন্টসে বানান ভুল আছে দয়া করে ঠিক করে নিবেন।

This is a very nice post you have shared of the market rate over the last 50years.

In my country also, there have been rapid increments in the process of goods, and our economy is quite bad also

Thank you Dada for sharing with us 😊❤️❤️❤️

এই জিনিসগুলো উৎপাদন করতে যেই জিনিস গুলো প্রয়োজন হয়, সেগুলো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়িয়েছে। এরফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে গিয়েছে অনেক গুন। আর কৃষক এগুলো বিক্রি করতে গেলেও সিন্ডিকেটের কারণে নায্য মূল্য পায় না।

আপনি ঠিক কথাই বলেছেন দাদা, মুদ্রাস্ফীতি শুধুমাত্র বাজারদর বেড়ে যাওয়ার একমাত্র কারণ নয়, সিন্ডিকেট সবসময় মুখ্য ভূমিকা পালন করছে, আমাদের এই উপমহাদেশে।

Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 100 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Congratulations, your post has been upvoted by @upex with a 41.02% upvote. We invite you to continue producing quality content and join our Discord community here. Keep up the good work! #upex

আর আমাদের মতো সাধারণ জনগণকে সব কিছুর মূলে মুদ্রাস্ফীতি এটা বলেই চুপ করিয়ে দেওয়া হয়।কিন্তু আসলে মাঝে কতো হাজার কারণ যে রয়েছে সেগুলো অজানাই থেকে যায়!অবাক হলাম লিস্টটি দেখে।

সবকিছুর দাম দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে। আর আমরা সাধারণ মানুষরা ভাবছি মুদ্রাস্ফীতির কারণে হয়তো এমনটা হচ্ছে। কিন্তু আসল ঘটনা অন্য জায়গায়। মূলত সিন্ডিকেটের কারণেই এরকম হচ্ছে। কি আর করার দাদা সবকিছুই মেনে নিতে হবে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে মধ্যবিত্তরা।

দাদা আজকের পোস্টের বাজারদর দেখে অনেক বেশী অবাক হলাম।কি দাম ছিল আগে। আর এখন দাম কতটা বাড়তি।আপনি চমৎকার বিশ্লেষন করে তুলে ধরেছেন। বিষয়টি ভালো লেগেছে আমার। সত্যি সিন্ডিকেট করে করে সবকিছুর দাম আজ আকাশছোঁয়া।আর এজন্য আমাদের মতো সাধারন মানুষ সবচেয়ে বেশী বিপাকে পরছে।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

এটার পেছনে একটাই কারণ আর তা হলো সিন্ডিকেট। মজুত করে করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে অস্বাভাবিক রেটে বিক্রি করে আর বিদেশে পাচার করে।

একেবারে যথার্থ বলেছেন দাদা। আমাদের দেশেও একই অবস্থা। বিশেষ করে সবজি,মাছ আর ফলমূলের দাম একেবারে আকাশছোঁয়া। একটু আগে বেগুন কিনলাম ৮০ টাকা কেজি। যেভাবে দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, মানুষের ইনকাম তো সেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না। আমাদের দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা তো বলে সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যাবে না। তাহলে নাকি বিরাট সমস্যা হয়ে যাবে। মোটকথা সাধারণ জনগণ সবদিক দিয়েই বিপাকে আছে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

আমারও তাই মনে হয়েছে দাদা, ওল এবং গাজরের দাম কিন্তু ১৯৭৫ সালের দর অনুযায়ী তেমন বিশেষ বাড়েনি। এখনও অনেক জায়গায় তিন-চার টাকায় গাজর কিনতে পাওয়া যায় পাইকারি দরে। তাছাড়া ইলিশ মাছের দাম ২০০ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে, এটা জেনেও বেশ খানিকটা অবাক হলাম। তবে সর্বোপরি আমার এটাই মনে হচ্ছে যে, মুদ্রাস্ফীতি, কৃষি সরঞ্জামের দাম বৃদ্ধি, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির ফলে আজ সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া। যাইহোক, তোমার আজকের পোস্টের মাধ্যমে অনেক অজানা জিনিস জানতে পারলাম।

জ্বী দাদা, খুব সুন্দরভাবে নির্মম সত্যটা তুলে ধরেছেন আজ, সিন্ডিকেট এর অপ্রত্যাশিত দৌরাত্ম্য পুরো ব্যবস্থাপনাকে পরিবর্তন করে দিয়েছে।

আগে দ্রব্যমূলের দাম অনেক কম ছিল। মুদ্রাস্ফীতির কারণে হয়তো অনেক কিছুই দাম বেড়ে গেছে। কিন্তু আপনি যেভাবে ক্লিয়ার ভাবে বোঝালেন তাতে করে বুঝতে পারলাম কিছু কিছু জিনিসের দাম মুদ্রাস্ফীতি অনুযায়ী ঠিক আছে আবার কিছু কিছু জিনিসের দাম একটু বেশি বেড়ে গেছে। আসলে তাদের দিকে একটু কড়া ভাবে নজর রাখা উচিত যেন বাজারে কৃত্রিমভাবে সংকট দেখিয়ে বিদেশে পাচার না করতে পারে।

The Yeh Rishta Kya Kehlata Hai has developed steadily alongside its viewership, mirroring shifts in society and poignant stories.

এই পুরোনো পাতার কোনে এ মাসের বাজার দর লেখা দেখেই ভাবলাম বর্তমানে যে বাজার চলছে কলকাতায় তারই নমুনা মনে হয়।কিন্তু এ তো দেখছি আদ্দিকালের,তবে বুঝলাম সেই সময় অনুযায়ী কিছু জিনিসের দাম বেশ চড়া-ই ছিল।এখনের দাম সেখানে বৃদ্ধি পেয়ে আকাশ-পাতাল তফাৎ।আপনি তার কারণ সম্পর্কে সুন্দর আলোচনা করেছেন দাদা,ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা আপনাদের দেশের দ্রব্যমূল্যের ৫০ বছরের মধ্যে দামের যে বৃদ্ধি সেই পর্যালোচনা করেছেন। আমাদের এখানে দিনে রাতে দাম উঠানামা করে তাও আবার আকাশচুম্বি দেখা যায় ৩০ টাকা কেজি পেঁয়াজ রাতারাতি হয়ে গেছে দেড়শ টাকা কেজি। প্রত্যেকটা জিনিস প্রতিনিয়ত দাম বেড়ে যাচ্ছে যা মানুষের নাগালের বাইরে। বর্তমান সরকার চেষ্টা করছে সবকিছুর দাম স্বাভাবিক রেটে বিক্রি করার । কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করে সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দেয় এই হলো আমাদের দেশের অবস্থা।

সব স্তরে সিন্ডিকেটের জন্য বেশি সমস্যায় পরতে হচ্ছে।আমাদের দেশে পর্যাপ্ত ডিম মজুদ থাকার পরেও বাজারে সংকট দেখিয়ে চরা দামে বিক্রি করছে।মুদ্রাস্ফীতি তো আছে কিন্তু যদি সিন্ডিকেট কে একটু নারানো যায় আমার মনে হয় অনেকটা আয়ত্তে চলে আসবে বাজার দর।

একদম আমার পরিষ্কার কথা ভাই,
সিন্ডিকেট নিপাত যাক, জয় হোক সাধারণ মানুষের, সাধারণ মানুষ বেঁচে থাকুক সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে। দারুণ তথ্য ছিল পুরো পোষ্টটিতে।

দাদা তাও আপনাদের দেশ অনেক ভালো। জিনিষ পত্রের দাম নাগালের ভিতরে আছে। আর আমাদের দেশে লোভী ব্যবসায়ী আর সরকার মিলে সিন্ডিকেট করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে। তারপর জনগনের পকেট কাটে। বাংলাদেশের জিনিষ পত্রের যা দাম বাড়ছে তা কল্পনাও করা যায় না। এর ফলে ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে,দুবাই, সিঙ্গাপুর, ইউরোপ, আমেরিকায় টাকা পাচার করছে। আর গরীবরা পেটের দায়ে খেটে মরছে। জানিনা বাংলাদেশ এই অবস্থান থেকে উঠতে পারবে কি না। ধন্যবাদ।

দারুন একটা জিনিস শেয়ার করেছেন দাদা। রীতিমতো সংগ্রহে রাখার মত একটা বিষয়। দামের ব্যবধান দেখলে এখন রীতিমত অবিশ্বাস্য মনে হয়। আপনি তবে আপনি যে পয়েন্টগুলো উল্লেখ করেছেন সেগুলোই মূল কারণ দাম বাড়ার পেছনে। আর আমাদের দেশের অবস্থা তো আরো খারাপ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের কারণে। আমাদেরকে আপনাদের থেকে অনেক বেশি দামে সবজি কিনে খেতে হচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।