কৃতজ্ঞতাবোধ শব্দটি বর্তমানে প্রায় বিলুপ্ত

in hive-129948 •  last year 

gratitude-1251137_1280.png
Copyright Free Image: PixaBay


বর্তমানকালে "কৃতজ্ঞতাবোধ" শব্দটির অপমৃত্যু ঘটে গিয়েছে । কারণ, এই শব্দটির ব্যবহার এখন প্রায় নেই বললেই চলে । কি ভাবে প্রয়োগ হবে, এখন তো কেউই উপকারীর কৃতজ্ঞতাবোধ করে না কখনো । উপকারীর উপকার স্বীকার করে কৃতজ্ঞ এখন আর কেউই থাকতে চায় না । ছোটবেলায় আমরা বাংলা ব্যাকরণ বইতে "এক কথায় প্রকাশ" অনুচ্ছেটিতে পড়তাম -

"উপকারী উপকার স্বীকার করে যে" - কৃতজ্ঞ
"উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে" - অকৃতজ্ঞ
"উপকারীর অপকার করে যে" - কৃতঘ্ন

বিশ্বাস করুন এই শেষের শব্দটি আমার মনেই থাকতো না ভালো করে । "কৃতঘ্ন" । কী খটোমটো নাম । বাংলা ভাষায় এই শব্দের প্রয়োগ ছিল কম । মূলতঃ এটি সংস্কৃত শব্দ । আমাদের ছোটবেলায় কৃতঘ্ন শব্দটির প্রয়োগ কম ছিল তার কারণ মানুষ এখনকার মতো এতো অমানুষ হয়ে যায় নি তখনো । উপকারীর উপকার স্বীকার না করুক তার ক্ষতি করতো না সেভাবে তেমন কেউ । তাই প্রয়োগও করা পড়তো না ।

ইংরেজিতে শুধুমাত্র দুটি ওয়ার্ড আছে - "Grateful" আর "Ungrateful" - "কৃতজ্ঞ" আর "অকৃতজ্ঞ" । বিশ্বাস করুন, কৃতঘ্ন শব্দটি এতো রেয়ার ছিল একসময় যে বাংলা ভাষা এমনকি ইংরেজিতেও অপ্রচলিত ছিল । হিন্দিতেও অকৃতজ্ঞ বোঝাতে "নিমকহারাম" বা "বেঈমান" প্রচলিত ।

দুনিয়ায় কৃতঘ্ন হওয়ার মতো এতো নিকৃষ্ট পাপ আর কিছুতেই নেই । এক জনকে খুন করা আর কৃতঘ্ন হওয়া প্রায় সেইম ।

আমাদের ফ্যামিলিতে আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে এই কৃতঘ্ন হওয়া বহুবার দেখেছি জীবনে । মানুষ কী করে এতটা নিচে নামতে পারে তা আমার ধারণার বাইরে । দু'একটা ঘটনার কথা বলি খুব সংক্ষেপে -

০১. অকৃতজ্ঞতা - এক এতিম বাচ্চাকে ফুটবল মাঠ থেকে কুড়িয়ে নিয়ে এসে নিজের পরিবারে ঠাঁই দিয়ে তাকে ছোট ভাইয়ের আসনে বসিয়েছিলো আমার বাবা । সেই ছেলেটির পড়াশোনা থেকে শুরু করে চাকরি-বিয়ে অব্দি সবই করেছিল আমার বাবা । সুদীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে আমাদের পরিবারে লালিত পালিত হয়ে সেই লোকটা যখন নিজের পরিবার নিয়ে পৃথক হয়ে গেলো তখন আমার বাবার অসুস্থতার সময়ে বিন্দুমাত্র কোনো হেল্প করেনি । সেই লোকটার মেয়ের বিয়েতেও আমার বাবাকে নিমন্ত্রণ অব্দি করেনি । এর চাইতে অকৃতজ্ঞতা আর কি হতে পারে !

০২. কৃতঘ্ন - আমার বাবার আপন মেজো ভাইয়ের পরিবারের কোনো বড় খরচ সব সময় আমার বাবাই বেয়ার করতো - "বিয়ে, শ্রাদ্ধ, পরিবারের কারো অসুখের চিকিৎসা, অপেরেশন" ইত্যাদি । এ ছাড়াও কত অজস্র উপলক্ষ করে যে আমার বাবার কাছ থেকে টাকা আনতো তার সীমা ছিল না । সেই বাবার মেজ ভাই ও তার ছেলে-মেয়ে একটা সময় আমার বাবা-মায়ের সাথে খুবই দুর্ব্যবহার করেছিল । বাবার ব্যাংকের চেকবুক লুকিয়ে রাখা, পৈতৃক সম্পত্তি যাতে বেদখল করতে পারে সে জন্য দলিল লুকিয়ে রাখা - প্রভৃতি জঘন্য কাজের সাথে দুর্ব্যবহার তো ছিলই । তবে, মৃত্যুর আগে তিনি ক্ষমা চেয়ে গিয়েছিলেন বাবার কাছে তাঁর কৃতকর্মের জন্য ।

০৩. অকৃতজ্ঞ - বাবার এক বোন সাংসারিক অশান্তি সইতে না পেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে । সৌভাগ্যবশত দড়ি ছিঁড়ে পড়ে বেঁচে যায় । তারপরে বাবাই তার সেই বোন আর ভাগ্নীকে বাড়ি নিয়ে এসে আশ্রয় দেয় । তারাও বাবার অন্নে লালিত পালিত । বাবার সেই বোন আর কখনো স্বামীর বাড়ি ফেরত যায়নি । তার মেয়েকে খুব ছোট থেকে লালিত পালিত করেছে আমার বাবাই । পড়াশোনা, চাকরি এবং বিয়ের পর সেই মেয়ে একদিন বাবার সাথেই সব চাইতে বড় বেইমানি করলো । বাবার বোন এবং সেই ভাগ্নী শুধুমাত্র টাকার লোভে বাবার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করলো ।

০৪. অকৃতজ্ঞ - আমার এক জেঠতুতো বড় বোনের চাকরির জন্য আমি টাকা দিয়েছিলাম । বেশ মোটা অংকের টাকা । ধার হিসেবে দিয়েছিলাম যদিও, তবে টাকা ফেরত নেওয়ার ইচ্ছে ছিল না আমার । তো চাকরি পাওয়ার পর আমার সেই বোন নানান রকম ফন্দি-ফিকির করা শুরু করলো যাতে ওই টাকাটা আর ফেরত না দেয়া লাগে । আমার নামে আর কি দুর্নাম করবে, তাই আমার বাবা-মায়ের সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করা শুরু করলো । ব্যাপারটা সহ্যের সীমা অতিক্রম করছে দেখে আমি একজনের মাধ্যমে বলে পাঠালাম যে সে যদি এমন খারাপ ব্যবহার করে আমার বাবা-মায়ের সাথে তবে ওই টাকা আমি ফেরত নেবো এবং কি ভাবে নেবো সে পথ আমার জানা আছে । যাই হোক এরপরে সে নিজেকে শুধরে নিয়েছিল । তবে দীর্ঘ ১৩ বছর পরেও সেই টাকা কিন্তু আমি আজও পাইনি, অবশ্য পাওয়ার আশাও করিনি কখনো ।

০৫. কৃতঘ্ন - একদম লেটেস্ট একটা ঘটনা শেয়ার করেই আজকের লেখা এখানেই সমাপ্ত করছি । মাত্র সপ্তাহ দু'য়েক পূর্বে আমাদের পরিবারের খুব বিশ্বস্ত একজন চরম বিশ্বসঘাতকতা করলো আমাদের ফ্যামিলির সাথে । এই লোকটা সুদীর্ঘ তেইশ বছর ধরে আমাদের ফ্যামিলি থেকে নানান সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছে । বলতে গেলে তার ফ্যামিলিই চলতো আমাদের টাকায় । যাকে আমরা অন্ধের মতো বিশ্বাস করতাম সেই লোকটা আমার মায়ের চেক জালিয়াতি করে ছ'লক্ষ টাকা তুলতে গিয়ে কোমরে দড়ি পরেছিলো । ব্যাংকের ম্যানেজার পুলিশে হ্যান্ডওভার করার ঠিক আগের মুহূর্তে ফোন করে আমরা তাকে জেলে যাওয়া থেকে বাঁচাই । জেলের হাত থেকে বাঁচানো হলেও তার সঙ্গে আমাদের পরিবারের সমস্ত সম্পর্ক ছেদ করেছি । চরম কৃতঘ্ন এই লোকটাকে পুলিশে দেইনি শুধু তার দু'টো বাচ্চার জন্য । একটার বয়স মোটে ৬ বছর ।


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)


তারিখ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

টাস্ক ৪৫১ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 0c8faae6d2d0b562013ab1294e6e5198073a07f98f3f9f37d08d05425d00816b

টাস্ক ৪৫১ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

»»——⍟——««

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আজকে আবারো হাজির হয়ে গিয়েছি আমার আরো দুইটি NFT আর্ট নিয়ে । "আজি ধানের ক্ষেতে রৌদ্র ছায়ায় লুকোচুরির খেলা রে ভাই, লুকোচুরির খেলা ।" ঠিক তাই ধানের ক্ষেতে তৎকালীন বাংলার এক রাজকন্যা দাঁড়িয়ে দেখছে ধান রোপনের দৃশ্য । এটিই আমার আজকের NFT আর্টের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ।

তাহলে, চলুন দেখে নেওয়া যাক আমার আজকের NFT আর্ট দুটি -


"ধানের ক্ষেতে তৎকালীন বাংলারএক রাজকন্যার বিচরণ চিত্র"

Screenshot 2023-12-24 000234.png

০১. Indian Princess

০২. Indian Princess

Hello, your two works of art are eminently very striking and valuable, your eyes shine when you see such art, God bless you... from my country Venezuela.

এই দুটির মধ্যে ফুল মাথায় দেয়া প্রথম ছবিটি আমার কাছে বেশি ভাল লেগেছে।

Dada amadr kobe shikhaben ato sundor sundor art?

Amr mone hoi protita poribar e asob manush thake jara asole chorom level er okritoggo and okritogno. Sobai kom besi aii manush gulor sathe porichito aii jnno ajkal sahajjo baperta society theke chole jacche. Manush r kaoke bisas korte parena. Mulotoh okritoggota suru hoi poribar theke. Kintu din sas e eder amadr valor jnnoi maf kore deya lage, shudhu somporko gulo sas hoye jai.

উপকারীর অপকার করে যে" - কৃতঘ্ন

আসলেই দাদা এই শব্দটির সাথে আমরা শুধু বইয়ের মধ্যেই পরিচিত। তবে এর বাইরে তেমন একটা মনে পড়ে না। শুধু কৃতজ্ঞতা ও অকৃতজ্ঞতা এ দুটো জিনিস মাথায় আসে। তবে দিন দিন অকৃতজ্ঞের সংখ্যা বেড়েই চলছে। অন্যের কাছ থেকে সুবিধা গ্রহণ করে কৃতজ্ঞতা বোধ পর্যন্ত করে না। যাইহোক দাদা আপনার পরিবারের সাথে যেরকম অকৃতজ্ঞ লোকের ছোঁয়া ছিল, এ ধরনের অকৃতজ্ঞ লোক সমাজেও অনেক রয়েছে। আর সেদিনকার ঘটনা অবশ্যই মনে রয়েছে, যেদিন আপনার মায়ের ব্যাংকের চেক জালিয়াতি করে টাকা হাতানোর প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। সর্বোপরি দাদা কৃতজ্ঞতার কথা আসলে আমরা সকলেই আপনার প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ।কারণ এই কমিউনিটির মাধ্যমে আমরা সুন্দর সুশৃংখলভাবে নিজেদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

এই যে ৩টা অনুচ্ছেদ সবটাই মুখস্ত। কিন্তু ঐ যে বললেন কৃতঘ্ন শব্দটার কথা,সেটা বারবার মুখস্ত করতাম।তবে এটা ঠিক পূর্বেকার সময়ে এই শব্দটা ব্যবহৃত হতো না।কারণ তখনকার মানুষ কৃতজ্ঞ আর অকৃতজ্ঞ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।আর বর্তমানে উপকার কারীর পিছনেই লেগে যায় সে মানুষগুলো যাদের উপকার করে এসেছিল।আমি নিজেও এমন মানুষ দেখেছি,দেখছি আমাদের নিজেদেরই মানুষ তারা।তাদের উপকার করে এসেও এখন সেই উপকারের দাম নেই, সামান্যতম কৃতজ্ঞতাবোধ তাদের নেই। আপনার পরিবারে ঘটে যাওয়া প্রত্যেকটা কাহিনী পড়ে বেশ খারাপ লাগলো।সবার জন্য এতকিছু করার পরও তারা এমন করতে পারলো।আসলেই মানুষ এমন কেন বুঝিনা,যার ভালো চাই সেই উলটো ছুরি মেরে বসে।

This article profoundly reflects the lack of gratitude in contemporary society, where the values of gratitude between individuals seem to be diminishing. It's regrettable to witness that the once-prized virtue of gratitude is gradually fading away, with people forgetting to express appreciation to those who once helped them. This evokes a sense of sorrow and prompts reflection on human nature. While there are still touching stories of kindness in this indifferent world, there is a pressing need to revive the buried sentiment of gratitude in people's hearts. Let's strive to spread warmth and rediscover the importance of gratitude.

খুব দুঃখজনক ঘটনা দাদা। বারবার আপনাদের সাথে জঘন্য ঘটনা ঘটেছে। বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। আপনজন হয়ে,আশ্রিত হয়েও এমন দূরব্যবহার করেছে মেশ মশার সাথে।আসলে উপকারীর উপকার স্বিকার করাতো দূরের কথা উল্টে আপনাদের পরিবারের সাথে জঘন্য ব্যাবহার করেছেন এবং ক্ষতি করে গেছেন তবুও আপনারা বরাবরই ক্ষমা করে দিয়েছেন। আসলে ক্ষমাই মহৎ গুণ এটাই প্রকাশ পেয়েছে আপনার পোস্ট।

দাদা আপনার এই পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার বাবার সব আদর্শ আপনি ধরে রেখেছেন। বর্তমানে যতো দিন যাচ্ছে ততই মানুষের কৃতজ্ঞতা বোধ কমে যাচ্ছে। আপনার বাবা নিঃস্বার্থভাবে সবার উপকার করেছে কিন্তু কখনো এর প্রতিদান চাইনি তারপরেও এমন খারাপ ব্যবহার করোরই আসলে করা উচিত হয়নি। এই পৃথিবীর সব থেকে বড় আপনজন হলেন যে ব্যক্তি অন্ন দান করে আর সেই অন্যকেই মানুষ বেঁচে থাকে। সৃষ্টিকর্তা বলে একজন আছেন তিনি কর্ম গুণের সবাইকে কর্মফল দেবেন।

Posted using SteemPro Mobile

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

এধরনের ঘটনাগুলো আসলেই বেশ দুঃখজনক, দাদা। তবে যে টা বুঝতে পারলাম, আপনার বাবাও একজন মহান এবং উদার মনের মানুষ। তাই তো এতবার করে ঠকে যাওয়ার পরেও অন্যের বিপদ দেখলে চুপ করে না থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সবসময়। আপনাদের কর্ম, আপনারা করেন দাদা। বাকিরাও তাদের কুকর্ম অনুযায়ী ফল অবশ্যই পাবে! কারণ উপর থেকে সবকিছুর হিসেব একজন ঠিকই রাখছেন!

Posted using SteemPro Mobile

দাদা আপনার ফ্যামিলির সঙ্গে ঘটে যাওয়া, সর্বশেষ ঘটনাটা আপনি হ্যাংআউটে বলেছিলেন, তবে উপরের ঘটনাগুলো জানতাম না। তবে এটা জানতাম যে, আপনার বাবা একজন ছেলেকে মাঠ থেকে তুলে নিয়ে এসে বাড়িতে ঠাঁই দিয়েছিল। তবে এত বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনা যে আপনাদের পরিবারের সঙ্গে ঘটেছে, তা একদম জানা ছিল না। আসলে লেখাটা পড়ে, কি মতামত করব তাই বুঝতে পারছি না ভাই, সত্যিই ব্যাপারগুলো বেশ দুঃখজনক।

আসলে দাদা সব গুলো ঘটনা পড়ে কি যে লিখবো সেটাই ‍বুঝতেছি না। মানুষ এত অকৃতজ্ঞ ও কৃতঘ্ন হয় কিভাবে। এগুলো অকৃতজ্ঞতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। জেঠতুতো বড় বোন তো টাকা দিচ্ছেই না আবার খারাপ ব্যবহারও করে। যায়হোক দাদা আশা করি সবসময় শেষ হাঁসিটা আপনারাই হাঁসবেন। ধন্যবাদ।

আমি পড়ার সময় নিজেই কেমন একটা বোধ করছিলাম। যে মানুষগুলো লাইফের সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট টাইম গুলোতে হেল্প করলো তাদের সাথে সামান্য এক সৌজন্যতা বোধ পর্যন্ত দেখালো না । হায়রে মানুষ।

এদের কথা বাদ দিলাম, আমি আঙ্কেলের কথা ভাবছি। কথায় আছে গাছ ভালো তার ফলও ভালো। আপনি আপনার বাবার গুন পেয়েছেন। এত ভয়াবহ অপরাধ করার পরও যে মানুষগুলো ক্ষমা করে দিতে পারে তাদের প্রতি সৃষ্টিকর্তা সবসময় রহম করুন। আমিন। নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তার কাছে এটি অধিক প্রিয়।

Dada, this is a very nice and touching explanation to ingratitude, gratitude and ungrateful.

It is true that the word grateful is far from the mouth of many today, but that shouldn't stop us from doing good to people if we can.

I personally, I am very grateful to you @rme Dada, for all your generous contribution to the steemit platform, and to me personally.

Thank you Dada and may the Almighty continue to bless you.

উপরের যে ঘটনাগুলো লিখেছেন দাদা তার কিছু ব্যাপার আমিও দেখেছি আমাদের পরিবারে। এই ধরনের ঘটনা গুলো আসলে সম্পর্ক গুলো নষ্ট করে দেয়। তবে মানুষ এমনই। এটা মনে করেই আমাদের চলতে হবে। সবচাইতে ভালো হচ্ছে মানুষের কাছ থেকে কোন কিছুই আশা না করা। উপকার করে যেতে হবে কে কি করলো না করল সেদিকে না দেখাই ভালো। তাহলে অন্তত কষ্ট পেতে হবে না। খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে।

"উপকারী উপকার স্বীকার করে যে" - কৃতজ্ঞ
"উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে" - অকৃতজ্ঞ
"উপকারীর অপকার করে যে" - কৃতঘ্ন

এই তিনটি শব্দের মধ্যে বর্তমান সমাজে দুইটি শব্দের মানুষের সংখ্যা বেশি হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে যাকে উপকার করা যায় সেই বড় ক্ষতি করে। আপনার জীবনের সেই দৃষ্টান্ত স্বরূপ মানুষগুলো হলো বড় উদাহরণ। ভালো মানুষ চেনা খুবই মুশকিল। প্রত্যেকটা ঘটনা খুবই দুঃখজনক ছিল। এই ধরনের মানুষদের চিন্তাধারা পৃথিবীকে অসুন্দর করে তোলে।

দুনিয়ায় কৃতঘ্ন হওয়ার মতো এতো নিকৃষ্ট পাপ আর কিছুতেই নেই । এক জনকে খুন করা আর কৃতঘ্ন হওয়া প্রায় সেইম ।

চরম বাস্তব কথা দাদা। বর্তমান সময়ে এসে মানুষের মধ্যে কি যে হয়ে যাচ্ছে তা বোঝা বড় দায়। রক্তের সম্পর্কগুলোর বিচ্ছেদ হচ্ছে আবার অচেনা অজানা মানুষগুলো কোনো কারণ ছাড়াই বড় উপকারে আসছে।

তবে, যারা উপকার পাওয়ার পর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, বরং উপকারীর ক্ষতি করতে চায়। তার মতো নিকৃষ্ট আর কিছু হতে পারে না।

যখন কাছের কেউ বিশ্বাস ভেঙ্গে ফেলে, এর মতো কষ্ট আর হয় না। উনার বাচ্চার কথা চিন্তা করে ওনাকে জেলে না দিয়ে ভালো কাজ করেছেন। তবে উনার একটা শাস্তি পাওয়া উচিত ছিলো।

প্রতিটি ঘটনা পড়েই পৃথিবীতে ভালো মানুষ নেই বলে মনে হচ্ছিলো।কিন্তু যার লেখা পড়ছি সে কতোটা ভালো মানুষ তা তো বলার অপেক্ষাই রাখেনা।আসলে এ ধরণের ঘটনাগুলোর সাথে আমি বেশ ভালো ভাবেই পরিচিত,তার কারণ আমার বাবাও আপনার বাবার মতোন ই।তবে ,এ ধরণের মানুষগুলো ঠকেও হাসি মুখে থাকতে পারে কারণ ভালো মানুষদের মনে আলাদাই শান্তি থাকে,ভালো মানুষ হওয়ার শান্তি।

This is exactly what peace is, it is behaving well in this world no matter who you are and where you are in this world, being kind and good is having a beautiful and healthy peace.

কৃতজ্ঞতা আর অকৃতজ্ঞতা এই দুইটি শব্দের সাথে পরিচিত হলেও "কৃতঘ্ন" এই শব্দটার সাথে তেমন একটা পরিচিত ছিলাম না।

আমার মনে হয় কাছের মানুষগুলোই আমাদের সব থেকে বেশি ঠকায়। তা না হলে এত উপকার করার পরেও কিভাবে তারা এভাবে প্রতিদান দিতে পারে। এতকিছুর পরেও আপনি এবং আপনার পরিবার মানুষদের জন্য খুব বেশি করেন আর এটাই সব থেকে বড় গুণ।

In this platform I helped a lots of people, teach them how things work, helped them in growing their accounts, but once they started to receive good votes, they just forgot me.

When they don't know anything they just message me day and night, now they don't even have time to say hi.

Hello boss, calm down, I have never forgotten you, despite many things....

আসলে দাদা ঠিকই বলেছেন বর্তমানে মানুষের ভেতর থেকে কৃতজ্ঞতা বোধ শব্দটাই যেন উঠে যাচ্ছে। তবে আপনার পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সবগুলো ঘটনাই সত্যি ভীষণ হৃদয়বিদারক ।এত উপকার করার পরেও সবাই শুধু খারাপ চিন্তাই করেছে। আংকেল একজন মহান উদার মনের মানুষ আপনার লেখাগুলো থেকে বুঝতে পারলাম । আপনিও যে তার সব গুণ পেয়েছেন সেটা আর বুঝতে বাকি নেই ।আপনার মত উদার মনের মানুষ আমি খুব কম দেখেছি। একদম সবার থেকে অন্যরকম। যার সঙ্গে অন্য কারোর তুলনা হয় না ।সব সময় ভালো থাকুন এই প্রার্থনা সব সময় আপনার জন্য।ধন্যবাদ।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

হ্যাঁ দাদা এটা তো হ্যাংআউট একদিন শেয়ার করেছিলেন যে বাসা থেকে চেক নিয়ে গিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়েছিল। সবগুলো ঘটনা পড়েই কষ্ট লাগলো আসলে মানুষ এরকম বিবেকহীন হয় কিভাবে? প্রথম যে ঘটনাটা ছোট্ট ছেলেটাকে তুলে নিয়ে এসে এতকিছু করল আর সে তার ন্যূনতম মূল্যবোধ বিবেচনা করলো না।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা বর্তমান যুগে অকৃতজ্ঞ এবং কৃতঘ্ন লোকের অভাব নেই। তাইতো এখনকার বেশিরভাগ মানুষ অন্যের উপকার করা বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ মানুষ জাতি হচ্ছে সবচেয়ে হারামি। উপকার পাওয়ার আগে পায়ে পর্যন্ত ধরতে পারে, কিন্তু উপকার পাওয়ার পর আর কোনো খবর থাকে না। সুযোগ পেলে উপকারের বিনিময়ে অনেকে ক্ষতি ও করে ফেলে। তবে আপনাদের পরিবারের সাথে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো চরম খারাপ করেছে। কিন্তু আপনি আপনার বাবার মতোই পরোপকারী হয়েছেন দাদা। এটা বলতেই হচ্ছে। আপনাদের মন আসলেই অনেক বড়। চেক জালিয়াতির পরে ও জেল থেকে বাঁচিয়ে নিয়েছেন, এমনটা একমাত্র বড় মনের মানুষেরাই করতে পারে। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

বর্তমানে মানুষের মাঝে কৃতজ্ঞতা জিনিসটা খুব কম দেখা যায়। মানুষ সুযোগ পেলে উপকারের বদলে ক্ষতি করে বসে। আপনার লিখা ঘটনাগুলো পড়ে ভীষণ খারাপ লাগলো এবং লোকগুলোর জন্য খুব আফসোস লাগলো। উপকারীর উপকার স্বীকার করা উচিত এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত।

Posted using SteemPro Mobile

আমি ভাবছি মানুষ কতটা নিচুঁ মেন্টালিটির হলে এমন অগৃহীত কাজ করতে পারে! আপনাদের সাথে থেকে খেয়ে আপনাদেরই ক্ষতি করার চেষ্টা! ব্যাপারটা আসলেই দুঃখজনক! সবগুলো ঘটনাই একেকটা স্বার্থপরতার সাক্ষী! মানুষের উপকার করলে উল্টো যদি আমারই ক্ষতি করে বসে এর থেকে খারাপ কোনো অনুভূতি হবে বলে মনে হয় না! তবে দাদা এতো জঘন্যতম অপরাধ করার পর আপনি কিন্তু ক্ষমা করে দিয়েছেন! এ ব্যাপারটা আমার জন্য তথাপি সবার জন্যই একটা আদর্শ মনে করি। আল্লাহ তায়ালা আপনার মঙ্গল করুক সবসময় সেটাই কামনা করি 🌼

আসলে দাদা দিন যত যাচ্ছে মানুষ তত অমানুষে পরিণত হচ্ছে ৷ মানুষ ভুল যাচ্ছে তার মনুষ্যত্ববোধ ৷ নিজের স্বার্থের কাছে বিসর্জন দিচ্ছে সেই মনুষ্যত্ব ৷ আসলে কতটা নিচুঁ মন মানসিকতার হলে মানুষ এমন কাজ করতে পারে আমার জানা নেই ৷ তবে সত্যিই দাদা ভীষণ খারাপ লাগলো এই অকৃতজ্ঞতাবোধ মানুষের ব্যাপারে জেনে ৷ কিভাবে পারে মানুষ এ ধরনের কাজ করতে ৷ আসলে দাদা এই যুগে এসে সব'ই সম্ভব 😔

Posted using SteemPro Mobile

আপনার শেয়ার করা প্রতিটি বর্ণনা খুবই খারাপ লাগলো দাদা। আমাদের সমাজে এমন অনেক ঘটনা আছে যারা আসলেই উপকারীর অপকার করে। উপকারকারী ব্যক্তির সাথে সব সময় বেইমানি করে। সব সময় শেষ পর্যায়ে গিয়ে আঘাত করে চলে যাই। এটা আসলে খুবই জঘন্য একটি খারাপ কাজ। তবে এটাই বলব এই ধরনের বেইমান কিংবা খারাপ ব্যক্তিদের শাস্তি কিন্তু শেষ সময় ভোগ করে যেতে হয়। অনেক খারাপ লাগলো আপনার আজকের পোস্ট পড়ে।

উপরের লেখাগুলো পড়ছিলাম যখন নিজের পাঁচটি ঘটনার চোখে পড়লো তখন খুবই খারাপ লাগলো, আসলে বিশ্বস্ত এবং কাছের মানুষেরাই আমাদের ক্ষতি করে, এতটা উপকার করার পরেও প্রায় প্রত্যেকটা মানুষই টাকার জন্যই দুর্ব্যবহার কিংবা বেইমানি করে থাকে।

দাদা বেশ দারুন করে মনের মত একটি পোস্ট আজ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আমিও কিছু দিন যাবৎ ভাবছিলাম যে উপকার করা আর সেই উপকারের ঘাড় মটকানো নিয়ে আমিও একটি পোস্ট শেয়ার করবো। হয়তো সময়ের জন্য করে উঠতে পারিনি। তবে আজ আপনার পোস্ট পড়ে মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেল। মনের মধ্যে শুধু একটিই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচেছ যে মানুষ কেন এমন হয়? তবে আমি কিন্তু একটি কথা বিশ্বাস করি এমন লোক গুলো কিন্তু বেশী দিন ভালো থাকতে পারে না। ধন্যবাদ দাদা বিশ্লেষন করে পুরো বিষয়টি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

Hello how are you? I would really like you to make a post on Steem Aliaza before the end of the year. We miss him here too and we love him very much.

দাদা, আপনার পোস্টটি পড়ছিলাম আর মনের মধ্যে অনেক ধরনের চিন্তাভাবনা হচ্ছিল। আসলে কি বলবো সেটা বুঝে উঠতে পারছি না। বর্তমানে আমাদের সমাজে অকৃতজ্ঞ এবং কৃতঘ্ন লোকের সংখ্যায় অনেক বেশি। ছোট ছোট গল্পের মাধ্যমে বিষয়গুলো বোঝানোর চেষ্টা করেছেন দাদা। যখন এগুলো পড়ছিলাম মনের অজান্তেই মনটা কেন হয় খারাপ হয়ে গেল। আসলে আমরা মানুষেরা কিভাবে এইসব করতে পারি!! যে মানুষটা উপকার করে তা-রি ক্ষতি করি। পোস্টটা পড়ে কয়েক মিনিট নিস্তব্ধভাবে ছিলাম!

সর্বশেষে আপনার শেয়ারকৃত দুটি এনএফটি আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে অনেক ভালো লেগেছে। ইন্ডিয়ান রানী বলে কথা!! আসলে ধান ক্ষেতের মাঝে এত চমৎকার একটি দৃশ্য আপনি তৈরি করেছেন যা অতুলনীয়.....

  ·  last year (edited)

সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো দিন দিন কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা মানুষ গুলো কমে গিয়ে কৃতঘ্ন মানুষের সংখ্যাই বেড়ে চলেছে। আমরা একসময় অদ্ভুত সমাজের সম্মুখীন হতে হবো, যেখানে কেউ কাউকে বিশ্বাস করবে না, সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে না। তাতে ক্ষতি হবে কিছু সত্যিকারের ভালো মানুষের যাদের সত্যিই সহায়তা প্রয়োজন।

আসলেই দাদা, ছোট বেলায় "এক কথায় প্রকাশ" এ পড়া এই শব্দগুলো আমাদের খুবই পরিচিত।বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ শব্দটি আসলেই হারিয়ে গেছে।আপনার পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এতগুলো ঘটনা সত্যিই হৃদয়ভেদী।আসলে আংকেলের পরোপকারীর মনোভাবটি আপনার মধ্যে বিরাজমান সেটা স্পষ্ট দাদা।কাছের মানুষদের কারনেই ভালো সম্পর্কগুলি তিক্ততায় পরিণত হয়।আপনারা সর্বদা ভালো থাকুন ও সুস্থ থাকুন সেটাই প্রে করি দাদা।

আসলেই কৃতঘ্ন শব্দটি আগে তেমন ব্যবহার হতেই দেখা যায়নি কারণ মানুষ সে সময় বেশিরভাগই কৃতজ্ঞ ছিল। আমরা শুধু ব্যাকরণে এক কথায় প্রকাশ করার জন্য এই শব্দটি শিখেছি। এখন সম্পদের পরিমাণ মানুষের যে হারে বাড়ছে সে হারে আমরা বস্তুবাদী হচ্ছি পাশাপাশি অকৃতজ্ঞতার পরিমাণও বাড়ছে।

এই একই রকম অভিজ্ঞতা আমাদের এদিকেও দেখা যায়। ধার দিয়ে টাকা পাওয়া যায় না এজন্য দেখা যায় এখন যাদের আসলে প্রকৃত প্রয়োজন রয়েছে তারাও বিপদে ধার পায় না। যেতে হয় চরা সুদের বিভিন্ন সোর্সে। এটি সমাজের জন্য একটি বড় সমস্যা। উপকারীর উপকার সবসময় স্বীকার করলে সমাজে উপকার করার প্রবণতা আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে। ধন্যবাদ দাদা।

দাদা সত্যি বলতে আমাদের পৃথিবী থেকে কৃতজ্ঞতাবোধ শব্দটি উঠেই গেছে, উপকার করার পর সে ব্যক্তিটি ভুলে যাবে এটাই স্বাভাবিক এখনকার সময়ে, প্রতিটা জায়গায় নিজেই ভাবি আমি না আবার অকৃতজ্ঞ হয়ে যায় কৃতজ্ঞ ব্যক্তির ক্ষেত্রে।
সবাইকে আল্লাহ সঠিক জ্ঞান দান করুক।
আর দাদা আপনার nft আর্ট এর প্রশংসা আমি কিভাবে করব বুঝতে পারছি না, জাস্ট অসম্ভব সুন্দর।

আপনার লেখাগুলো পড়ে এখানে আমি কি মন্তব্য করব সে ভাষাটা আমার জানা নেই। তবে একদিন আমি একজনকে বলেছিলাম কাউকে উপকার করলে সে অবশ্যই আপনাকে ক্ষতি করবে। এই কথা শুনে পাশের একজন মুরুব্বি আমাকে জিজ্ঞাসা করল তুমি কেন এই কথাটা বললে আর কেন এটা করা হয়? এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা ছিল না। তবে শুধু মেয়েটা বিশ্বাস করি যে যেমন কর্ম করবে সে তেমন ফল পাবে। এখানে যারা এ ধরনের অকৃতজ্ঞতা বোধ দেখিয়েছে তারা অবশ্যই একদিন তার কর্মের ফল পাবে।

Posted using SteemPro Mobile

저는 스패머가 아닙니다. 디스코드에는 접속이 안 됩니다. 저를 스팸 목록에서 빼주시길 부탁드립니다. 앞으로는 동일한 글을 올리지 않겠습니다.

দাদা আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে অনেকটাই খারাপ লাগলো।আসলে নিজের লোকরাই আমাদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়ে থাকে।তাদের বিপদের সাহায্যের কথা ভুলে যায় তারা খুব সহজেই।মানুষ এখন কৃতজ্ঞতা শব্দটি থেকে বহু দূরে চলে গিয়েছে।কৃতজ্ঞতা এখন বিলুপ্তির পথে।সৃষ্টিকর্তা এভাবেই ভালো মানুষদের পরীক্ষা করে।কিছু করার নেই আসলে,এটাই প্রকৃতির নিয়ম বর্তমানে বাস্তবতা।ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ছোটবেলায় ব্যাকরণে এক কথায় প্রকাশ এই অনুচ্ছেদ গুলো পড়তাম এবং খুব বোঝার চেষ্টা করতাম। এটা আবার কিভাবে হয় উপকার করলে আবার অস্বীকার করে মানুষ। কিন্তু এখন বর্তমান সমাজে অকৃতজ্ঞতারপ্রবণতা চলছে।
একজন ব্যক্তির কাছ থেকে উপকৃত হয়ে কিভাবে তাকেই সবার আগে ক্ষতি করা যায় এই ধরনের মন-মানসিকতা মানুষের বেশি চলে আসছে। হ্যাং আউটে শুনেছিলাম দাদা আপনার মায়ের চেকের জালিয়াতের কথাটি শুনে অনেক খারাপ লাগেছে আসলেই মানুষ কতটা অকৃতজ্ঞ হলে এই ধরনের কাজ করে। কৃতজ্ঞ-অকৃতজ্ঞ তার প্রত্যেকটি সংক্ষিপ্ত ঘটনা গুলো পড়ে হৃদয়ে গেঁথে রইলো।আপনার মত মহান ব্যক্তি হয় না কারণ আপনি চিন্তা করেছেন তার ছোট দুইটা বাচ্চা রয়েছে সেজন্য তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেননি। দাদা আপনি ও আপনার পরিবার সবসময় ভালো থাকুন এই প্রার্থনাই করি।

  ·  last year (edited)

কিছু বলার ভাষা খোঁজে পাচ্ছি না দাদা, সত্যি আমরা কতটা নিচু এবং মানুষ হিসেবে নিজেদের কতটা নিম্নস্তরে নিয়ে গেছি। যারা আমাদের উপকার করে, যারা আমাদের ভালোর চিন্তা করে এবং নানাভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, আমরা সুযোগ পেলে সেই মানুষগুলোকে অপমান করতে কিংবা ক্ষতি করতে দ্বিধাবোধ করি না। লেখা এবং ঘটনাগুলো পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেলো।