বর্ণভেদ

in hive-129948 •  3 years ago 


Copyright Free Image Source: Pixabay


বর্ণভেদ । ভারতের মাটিতে মানুষে মানুষে সব চাইতে বড় ভেদাভেদ হলো এই "বর্ণভেদ" । একই জাতিসত্ত্বা-কে টুকরো টুকরো করার একটি হীন চক্রান্ত হলো এটি । প্রাচীন কালের একটি উন্নত কার্যকরী প্রথার নিকৃষ্ট রূপ হলো আধুনিক যুগের "বর্ণভেদ প্রথা" । প্রাচীন ভারতে "ব্রাহ্মণ্যবাদ" খুবই প্রবল ছিল, যা বর্তমানে কিছুটা স্তিমিত । আত্মঘাতী একটি সামাজিক প্রথা ও মতবাদ হলো এটি, যা "বর্ণ প্রথা"-কে তীব্রতা প্রদান করে থাকে । "ব্রাহ্মণ্যবাদ" আর্য পুরোহিতদের উর্বর মস্তিষ্কপ্রসূত একটি মতবাদ যাতে সমগ্র সমাজকে ৪ টি স্তরে বিভক্ত করে এবং ব্রাহ্মণদের সর্বশ্রেষ্ঠতা প্রদান করে থাকে ।

=> ব্রাহ্মণ
=> ক্ষত্রিয়
=> বৈশ্য
=> শূদ্র

এই চারটি বর্ণ । এদের মধ্যে সব চাইতে নিষ্কর্মা কিন্তু সকল কিছুর নিয়ন্তা ছিল ব্রাহ্মণ বর্ণের লোকেরা । শুধুমাত্র পুজো-পাঠ, হোম যজ্ঞ ভিন্ন আর কোনো কাজেই লাগতো না এদের । অথচ বলা চলে সমাজের সর্বময় ক্ষমতার আধিকারী ছিল এরাই ।

এবার আশা যাক একেবারে সুপ্রাচীন ভারতের বর্ণপ্রথা-তে । "ব্রাহ্মণ্যবাদ" সুপ্রতিষ্ঠ হওয়ার বহু পূর্বের কথা । আর্যদের আগমন এবং সমগ্র উপমহাদেশ তাদের করতলগত । অনার্যরা বহু যুদ্ধের পর পরাজিত । এই আর্যরা ছিল মধ্য ইউরোপের, মধ্যপ্রাচ্যের এবং ইরান থেকে আগত উন্নত নাসা, গৌর বর্ণ, নীল চক্ষু এবং উচ্চতায় লম্বা ও শক্তিধর এক জাতি । এরাই তিন ভাগে ভাগ হয়ে ইউরোপে, আরব দেশ সমূহ এবং উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে । উপমহাদেশ দখলের পর আর্যরা অনার্যদের হত্যার বদলে তাদেরকে নিজদলের অন্তৰ্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় । জন্ম হয় শূদ্র বর্ণের । আর্যরা দেশ শাসনে খুবই উপযুক্ত ছিল । অনার্যদের ধর্মকে তারা নিজেদের ধর্মের সাথে একীভূত করে । সিন্ধু সভ্যতা গড়ে ওঠে ।

সিন্ধুকে আর্যরা বলতো "হিন্দ", সেই থেকে সমগ্র ভারতবর্ষকে তারা নাম দিলো "হিন্দুস্থান", আর নিজেদেরকে "হিন্দু" । বৈদিক সভ্যতার সূত্রপাত হলো । ধীরে ধীরে বেদ, পুরাণের সৃষ্টি হলো । একই অভিন্ন জাতিসত্ত্বা ছিল তখন । শাসনের সুবিধার্থে জন্ম নিলো সামাজিক শ্রেণীবিন্যাস অর্থাৎ "বর্ণপ্রথা" । সকল পুরোহিত এবং আশ্রমের গুরুশ্রেণীর মানুষদের-কে (বর্তমানের পুরোহিত এবং শিক্ষক শ্রেণী বর্গ) ব্রাহ্মণ বর্ণে বিভক্ত করা হলো । এবং তাঁদেরকে সামরিক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা ছাড়া আর সকল ধরণের ক্ষমতা প্রদান করা হলো । সবচাইতে সম্মান প্রাপ্ত শ্রেণিবর্গের লোক ছিলেন এই ব্রাহ্মণরা । জন্মসূত্রে ব্রাহ্মণ ছিলেন না কেউই । কার্যভেদে তাদেরকে শ্রেণীভুক্ত করা হতো ।

এরপরের বর্ণ ছিল "ক্ষত্রিয়" । বস্তুত দেশ শাসনের ভার ন্যস্ত থাকতো এই শ্রেণীর মানুষদের হাতে । সমগ্র ভারতবর্ষের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্রেণীভুক্ত লোক । এদেরকে ক্ষত্রিয় নামে অভিহিত করা হত । রাজা, রাজপুরুষ এবং সকল রাজকর্মচারী এই শ্রেণীভুক্ত ছিলেন । সকল প্রকারের রাজনৈতিক এবং সামরিক ক্ষমতা ছিল এদেরই হাতে (বর্তমানের দেশের সরকার, প্রধান মন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী, আমলা এবং সকল সরকারি কর্মচারী ) ।

প্রাচীন ভারতবর্ষের সকল ব্যবসায়ী শ্রেণীভুক্ত মানুষদের আলাদা একটি শ্রেণীতে রাখা হলো । জন্ম হলো "বৈশ্য" বর্ণ । দেশের সকল রকমের অর্থনৈতিক ব্যাপারে এদের অবাধ বিচরণ ছিল । ব্যবসা এবং দেশের আর্থিক উন্নতিসাধন ছিলো এদের একমাত্র কর্ম (বর্তমানের সকল কর্পোরেট সংস্থার মালিক থেকে শুরু করে বৃহৎ, মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী )।

এর পর বাকি থাকে কারা ? সাধারণ জনসাধারণ । যাদের একটি বৃহৎ অংশ ছিল অনার্য । এদেরকে আলাদা একটি শ্রেণীভুক্ত করা হলো । সাধারণ জনগণ এরাই ।দেশের প্রজা । চাষবাস আর উপরের তিন শ্রেণীর মানুষদের অধীনে বিভিন্ন কাজকর্মে যুক্ত করা হলো তাদেরকে (বর্তমানের সাধারণ জনসাধারণ )। জন্ম নিলো "শূদ্র"

তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রাচীন ভারতের বর্ণপ্রথা সত্যি সময়োপযোগী একটি কার্যকরী সিস্টেম ছিল । সমাজকে চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত করার ফলে দেশ শাসন সহজতর এবং সঠিক ছিল । তখন কেউই জন্মসূত্রে এই সকল শ্রেণীভুক্ত হতো না । এক জন শূদ্র কর্মগুণে ব্রাহ্মণ বা ক্ষত্রিয় শ্রেণীভুক্ত হতে পারতো যেমন ঠিক তেমনি এক জন ব্রাহ্মণ শূদ্র শ্রেণীভুক্ত হতে পারতো তার কর্মফলে । স্থায়ী বা জন্মসূত্রে এই বর্ণ প্রদান করা হতো না । কিন্তু, পরবর্তীতে ব্রাহ্মণরা ক্ষত্রিয়দের চাইতেও প্রচুর ক্ষমতাশালী হয়ে উঠতে থাকে, বানোয়াট ধর্মের দোহাই দিয়ে শুরু করে তাদের কুচক্র হাসিল করার কাজ । সৃষ্টি হয় আরেক বর্ণপ্রথা, নির্মম নিষ্ঠুর , সাধারণ জনগণকে পায়ের তলায় পিষে রাখার বর্ণপ্রথা । তাই, প্রাচীন ভারতের বর্ণপ্রথার সাথে আধুনিক যুগের বর্ণপ্রথার প্রভূত অমিল, বস্তুত আকাশ পাতাল তফাৎ । এই বিষবাস্প-কে আমাদের দূর করতেই হবে । যে করেই হোক ।

আমার ছোটবেলার একটি ঘটনা দিয়ে নিবন্ধটি শেষ করতে চাইছি । আমি গ্রামের যে স্কুলে ছোটবেলায় পড়াশুনা করেছিলাম সেখানে আমার সহপাঠী কোনো মুসলিম ছেলে ছিলো না, আমার চাইতে দু'ক্লাস উপরে পড়তো একটি মুসলিম ছেলে । যাই, হোক আমার সহপাঠীর মধ্যে ১ জন ছিল নিম্নবর্ণের হিন্দু এবং একজন সহপাঠিনী ছিল মুসলিম । এই মুসলিম সহপাঠিনীর সাথে আমার দারুন ভাব ছিল । এক সাথে টিফিন ভাগ করে কত খেয়েছি । যেখানে আমার সহপাঠীরা এড়িয়ে চলতো তাকে এবং আড়ালে নানা কটুবাক্য প্রয়োগ করতো । আর সব চাইতে মনোকষ্টে থাকতো সেই নিম্নবর্ণের ছেলেটি । আমার ভাবতেই অবাক লাগে ওই বয়সেও বর্ণভেদ আমার সহপাঠীদের শিশুমনে গেঁড়ে বসেছিল । আমি এ সব কোনো কালেই গায়ে মাখিনি । মানুষের একটাই জাত সে মানুষ । তাই আমি আমার ওই বন্ধুটির বাড়িতে একদিন জল খেলুম । বেশ বড় একটি শোরগোল উঠলো পাড়ায় । আমার বাবা বিষয়টা মোটেও গায়ে না মাখাতে সবাই মিইয়ে গেলো কেমন । এরপরে ব্যুমেরাং - ভাত খেলুম একদিন তার বাড়ি দুপুর বেলায়, বর্ণভেদের মাথায় সজোরে পদাঘাত করে । আমি তখন মোটে ক্লাস থ্রী । অন্নপাপ বাপরে বাপ্ । সেই অন্নপাপ-ই আমি করেছিলুম সেদিন । তখন তো আর অতো শত বুঝতাম না । বন্ধুর বাড়ি খেয়েছি , ভালো লেগেছিলো । এখন গর্বই হয় ।

চণ্ডীদাস নিজে ছিলেন ব্রাহ্মণ আর ভালোবেসেছিলেন এক ধোপার মেয়ে রজকিনী রামী-কে । তাঁর একটি পদাবলীর থেকে একটি লাইন এখানে দিলুম -

শুনো হে মানুষ ভাই,
সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই ।


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Beautiful.

আমার দাদা সেই ছোটবেলা থেকেই এক দারুন মনের অধিকারী। আপনার বাবার অবস্থান ছিল সত্যিই প্রশংসনীয়। যেমন বাপ, তেমন তার বেটা। আমাদের সমাজের ছোট্ট শিশুমন থেকেই এই হীন বর্ণবাদের আবির্ভাব ঘটে তাঁর পরিবারের শিক্ষা থেকেই। আহা ,, আমরা সবাই যদি নিজের ভাই এর মতকরে একে ওপরের সাথে মিশে থাকতাম, তবে সমাজের রূপটাই পরিবর্তন হয়ে যেত।

Thank You for sharing Your insights...

জি, দাদা, এটা সত্য কথা যে,
প্রাচীন ভারতের বর্ণপ্রথার সাথে আধুনিক যুগের বর্ণপ্রথার অনেক ব্যবধান , তবে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের ধ্যান-ধারণা যদি আপনার মত হত তাহলে পৃথিবীতে বসেই আমরা স্বর্গীয় সুখ উপভোগ করতে পারতাম, মানুষের মাঝে বর্ণবাদ নিয়ে আর এত সমস্যা সৃষ্টি হতো না।

ভারতের মাটিতে মানুষে মানুষে সব চাইতে বড় ভেদাভেদ হলো এই "বর্ণভেদ" ।

সত্যিই এটি খুবই দুঃখজনক একটি বিষয়।তবে এই বর্নভেদ পূর্বে চরমতম থাকলেও এখন কিছুটা কমেছে।যদিও কোথাও কোথাও এই বর্নভেদ প্রথা এখন ও চলে আসছে ধারাবাহিকতায়।ভাবতেই অবাক লাগে।আমি একটা শব্দই বিশ্বাস করি সেটা হলো"মানুষ"।অনেক শিক্ষণীয় বিষয় ছিল দাদা।

হিন্দু ধর্মের ব্যপারগুলো যদিও আমার অনেকটাই আবছা আবছা জানা ছিল, তবে ব্যাপারটা পুরোপুরি জেনে ভালোই লাগলো । বেশি ভালো লেগেছে, আপনার সহপাঠিনীর প্রতি আন্তরিকতা দেখে । আসলে আমি যেটা মনে করি, সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই । এটাই প্রথম ও শেষ কথা । বেশ ভালই লিখেছেন ভাই ।

আমি গ্রামের যে স্কুলে ছোটবেলায় পড়াশুনা করেছিলাম সেখানে আমার সহপাঠী কোনো মুসলিম ছেলে ছিলো না, আমার চাইতে দু'ক্লাস উপরে পড়তো একটি মুসলিম ছেলে ।

সত্যি দাদা আপনি সুপারহিরো আসলে আপনার কোন তুলনা হয় না। আপনি ছোটবেলা থেকেই অসাধারণ ব্যক্তি।আপনার ব্যবহার এবং আপনার কাজকর্ম সত্যিই প্রশংসনীয়। আসলে অন্য কারো সাথে আপনার কোন তুলনা হয় না। আজকে পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভাল লাগল আপনি ধর্ম বর্ণ কোন কিছুর ভেদাভেদ করেননি, মানুষ হিসেবে আপনি সকলকে সমান চোখে দেখেছেন। আসলে এরকম ধর্ম বর্ণ নিয়ে তর্ক করা এবং পার্থক্য করা ঠিক না। আসলে আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। খুবই ভালো লাগলো, আপনার জন্য রইল দোয়া এবং সব সময় আপনার সুস্থতা কামনা করি দাদা।

Thank You for sharing...

ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী ভেদাভেদ
মানুষের মাঝে বাড়ায় দূরত্ব,
ভালোবাসা-সহমর্মিতা পরস্পরের তরে
সকলের উপরে মানুষ চিরন্তন সত্য।

ভালোবাসার বন্ধনে আবেগ থাকুক
হৃদয়ের বন্ধনে থাকুক সুখের পরশ
সীমানা হোক সকলের তরে অনাবৃত
পারস্পরিক বৈষম্য হোক অবারিত।

হৃদয়ের তরে হৃদয়ের উষ্ণতা
মুক্ত হোক মনের সকল মলিনতা,
দূর হোক বৈষম্যের যত পার্থক্য
ভালোবাসায় ফিরে আসুক সাম্য।

ঠিক মনে হলো যেন পাঠ্যবইয়ের কোনো কবিতা পড়ছি । অসাধারণ হয়েছে । শব্দশৈলী, ভাষার গাঁথুনি আর ভাবের গভীরতা ব্যাপক । কবিতাটি আলাদাভাবে পোস্ট হিসেবে দেখতে চাই ।

পুরোটাই আমার বাংলা ব্লগের জন্যই সম্ভব হয়েছে। চেষ্টা করবো দাদা।

দাদা হিন্দুদের মধ্যে জাতের ব্যাপারটা শুনেছি। কিন্তু এত জাত আছে ভালো ভাবে জানা ছিল না। আজকে অনেক কিছু জানলাম। আপনার পোস্ট মানেই শিক্ষনীয় কিছু।

এই মুসলিম সহপাঠিনীর সাথে আমার দারুন ভাব ছিল।

সহপাঠিনী দেখেই কি খাতিরটা একটু বেশি ছিল মনে হয়। শত হলেও আপনি বলে কথা।😝
আপনি ছোটবেলা থেকেই আলাদা ছিলেন সবকিছুতেই। এ জন্যই তো আপনাকে আমারা এত পছন্দ করি।

Thank You for sharing...

হুম, ছোটবেলায় আমার সাথে সহপাঠীর চাইতে সহপাঠিনীদের সাথেই ভাব বেশি ছিল । ঠিকই ধরেছেন আপনি ।

বড় বেলার সহপাঠিনীদের নিয়ে একদিন লিখবেন। সেই অপেক্ষায় রইলাম।

Openly লিখবো না, হে হে ☺️ ডিসকর্ড এ লিখবো কথা দিলাম ।

হুররে।
স্ক্রিনশট নিয়ে রাখতে ভুলবো না কথা দিলাম।

বর্ণ বৈষম্য সম্পর্কে পাঠ্যবইতে অনেক পড়েছি। আমার জানা ছিল ব্রহ্মার শরীরের উপরের অংশ থেকে তৈরি হয়েছে ব্রাহ্মণ, তারপর ক্ষত্রিয়, তারপর বৈশ্য এবং একেবারে শেষে পায়ের অংশ থেকে তৈরি হয়েছে শূদ্র জাতি। কোথায় যেন পড়েছিলাম এমনটা। আমার ধারণা ছিল এ বর্ণপ্রথা হিন্দু ধর্ম গ্রন্থের দ্বারা স্বীকৃত কিন্তু এখন জানতে পারলাম যে পুরোটাই বানোয়াট। নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য সুবিধাবাদী কিছু মানুষ তৈরি করেছে এই প্রথা। সত্যি বলতে কি এই প্রথার মধ্যে আমি মানুষকে হেয় করা বা মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করা ছাড়া ভাল কোন কিছু দেখতে পাই না। আপনি একজন উন্নতমানের আধুনিক সুশিক্ষা সম্পন্ন মানুষ, তাই হয়তো এমন বলতে পারছেন। আপনার জাতির অন্যান্য মানুষের ধারণা হয়তো ভিন্ন। যাই হোক মনুষ্যত্বের জয় হোক এটাই কামনা। ভালোবাসা রইল দাদা।❤️❤️👍

Thank You for sharing Your insights...

Hello Guy

Sorry The inconvenience I saw your email address via social Media and therefore decided to contact you to Present to you our products .

We are an anonymous network selling oil consumer drugs such as Cocaine, Cannabis, Marijuana, Shit, Weed, etc.We have Global coverage of online consumer drug we also sell and supply high quality and purity research chemicals and plant food(Mephedrone),1 Ounce , KETAMINE for more information. if interested Should get back to me as soon as possible.
You may get back to me via < [email protected] >
Hope to read from you Thank you.

Melanie

বর্ণ বৈষম্য সমাজের মারাত্মক একটি ব্যাধি। যা প্রাচীন কালেও ছিল এখনো আছে যা সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে। এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি বর্ণ বৈষম্য কুমানোর চেষ্টা করছেন। যা সত্যিই প্রশংসনীয়। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

সত্যি বলতে দাদা আপনি অনেক ভালো মনের একটি মানুষ আপনার মধ্যে ছোট বেলা থেকেই কোনো অহংকার নেই। দাদা আপনার মতো মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। বর্ণ বৈষম্য সম্পর্কে পাঠ্যবইতে অনেক পড়েছি।হিন্দু জাত সম্পর্কে এতো কিছু জানতাম না দাদা আপনার পোস্টে অনেক ধর্ম সম্পর্কে জানার আছে। আপনার পোস্ট মানেই শিক্ষনীয় বিষয়। আমাদের সকলের উচিত সকল ধর্মের মানুষকে শ্রদ্ধা করা ও ভালোবাসা। ধর্মের মধ্যে কোন বর্ণ বৈষম্য না আনা।

শুনো হে মানুষ ভাই,
সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই ।

চন্ডীদাসের পদাবলী অনেক পরেছি দাদা। চন্ডীদাসের এই লাইন গুলো সত্যি অসাধারণ। বর্ণভেদ থেকে আমাদের সকলকেই দূরে থাকা উচিত। কারণ আমরা সবাই মানুষ। সবার উপর মানুষ সত্য। মানুষের উপর সত্য কিছুই নাই। চন্ডীদাস একজন ব্রাহ্মণ হয়ে ও অন্য জাতের মেয়েকে বিয়ে করলেন। চন্ডীদাসের মতো হলে আমাদের মাঝে কোনো ধর্ম বৈষম্য থাকত না। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয়♥️ দাদা।

Thank You for sharing...

দাদা এখনও আমাদের সমাজে

=> ব্রাহ্মণ
=> ক্ষত্রিয়
=> বৈশ্য
=> শূদ্র

এই চার বর্নের ভেদাভেদ পরিলক্ষিত হয়। তবে ভারতবর্ষ অনেক এগিয়ে গিয়েছে।বহু ভাষা বহু জাতী বহু বর্ন নিয়ে ভারতবর্ষ চলছে।কালের বিবর্তনে সব ধরনের কুসংস্কার হয়তো বিলীন হয়ে যাবে। খুবি জটিল একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।আমিও ছোট থেকে বড় হয়েছি এগুলোকে দূরে রেখে। আমারও বেষ্ট ফ্রেন্ড মানে সহপাঠিনী এক জন মুসলিম। যার সাথে এখনও আমার যোগাযোগ অক্ষুন্ন আছে। আমি তাদের বাড়িতে অনেকবার খেয়েছি।যাই হোক স্থান কাল পাত্র ভেদে কিছু বিষয় এখনও লক্ষ করা যায়।যেগুলো কোন প্রকার যৌক্তিকতা ছাড়াই এখনও প্রচলিত। ভাল থাকবেন দাদা। শুভেচ্ছা রইল।

বর্ণভেদ । ভারতের মাটিতে মানুষে মানুষে সব চাইতে বড় ভেদাভেদ হলো এই "বর্ণভেদ" । একই জাতিসত্ত্বা-কে টুকরো টুকরো করার একটি হীন চক্রান্ত হলো এটি।

দাদা আপনার আপনার এই লেখার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টিতে কোন বৈষম্য রাখেননি। আমরা মানুষই মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করেছি। নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য নিচু জাত তৈরি করেছি। তৈরি করেছি অচ্ছুত। মানবতাকে পায়ে ঠেলে দিয়েছি।
মানুষ কবিতার কয়েকটি লাইন--

মানুষ; মানুষ হিসেবে মানুষকে মূল্যায়ন করো
মানুষ নামটি হৃদয় থেকে একবার উচ্চারণ করো,
তবে মানুষের জন্য তোমার মন কাঁদবে
তোমার হৃদয় গলবে
মনে-মগজে তুমি হয়ে যাবে সত্যিকার মানুষ।

বাহ্, কবিতাটি দারুন লিখেছেন তো ! আমার খুবই ভালো লেগেছে ।

দাদা
প্রথমে আমার আন্তরিক ভালবাসা ও আদাব নিবেন। অমি আপনার প্রতিটি কবিতা খুটিয়ে খুটিয়ে পড়ার চেষ্টা করি এবং নিজেকে অবগাহন করি। আপনার একগুচ্ছ অণুকবিতা "ব্যাথাতুর মন, অভিমানী সত্ত্বা"
কবিতা হতে আমি আবেগতাড়িত হয়ে আমার লেখা বড় অভিমানী তুমিঃ দাদার "ব্যাথাতুর মন, অভিমানী সত্ত্বা" এর অনুপ্রেরণায়
আপনার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করি হৃদয়ের অন্তঃস্থল হতে। আমার জন্য আর্শীবাদ করবেন দাদা।

Thank You for sharing...

Come join a whatsapp group and vote for each other
https://chat.whatsapp.com/JTCHpnhGCNB2r0V5414GpJ

শুনো হে মানুষ ভাই,
সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই ।

সব কথার উপরে শেষ কথাই হল এটা। আর মানুষের মাঝে এত ভেদাভেদ সব কোলাহলের মূল উৎস। বর্ণভেদ এমন একটি রোগ যার কারণে সমাজের মানুষদের মধ্যে উঁচু-নিচু পার্থক্যটা সবাই করে।কিন্তু কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাই একসাথে চলতে পারার মত মানুষ খুব কমই আছে ।খুব ভালো লাগলো দাদা আপনার মতো একজন মানবিক মানুষ দেখতে পেয়ে। ছোটবেলা থেকেই আপনি এরকম তা আপনার এখনকার মনোভাব দেখলেই বুঝতে পারি।

চীনা, কৃষ্ণাঙ্গরাও ইতিহাসের কোনো না কোনো সময়ে জাতিগত আচরণ পেয়েছে।

ব্রুস লির আমার আঁকার দিকে তাকান, তিনি চাইনিজ হওয়ার কারণে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন, কিন্তু জীবনে তার অধ্যবসায় তাকে অবশেষে সাফল্য এনে দিয়েছে

WhatsApp Image 2022-04-21 at 12.10.30 PM.jpeg

Thank You for sharing...

যত দিন জাতপাতের কচকচনি চলতে থাকবে ততদিন আমাদের সমাজের সার্বিক ক্ষতি হতে থাকবে। মানুষের বানানো কিছু নিয়মের সত্যিই বদল প্রয়োজন। আশা করছি শিক্ষা কিছুটা হলেও পরিবর্তন করবে।

দাদা, নতুন জিনগত রিসার্চ গুলোতে অর্য ইনভেশন থিয়োরি শুধুমাত্র রটনা হিসেবেই বলা হচ্ছে।

এটি বেশ ইন্টারেষ্টিং তো । "আর্য ইনভেশন" যদি মিথ্যা হয়ে থাকে তবে তো নতুন একটি ইতিহাস উন্মোচিত হবে । সিন্ধু সভ্যতা নিয়ে পড়ার খুউব ইচ্ছে আছে টাইম বের করতে পারছি না । রাহুল সাংকৃত্যায়নের "ভোলগা সে গঙ্গা" বইটা পড়া আছে আমার । অনেকগুলি ছোট বড় গল্পের মধ্য দিয়ে প্রাচীন ইন্ডাস ভ্যালি সিভিলাইজেশন এবং তৎ পরবর্তী নানান সভ্যতা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে । ইন্টারেষ্টিং খুব ।

রাখিগ্রাহীর কাছে নতুন কঙ্কালগুলোর জেনেটিক্স রিসার্চ করে প্রাথমিক ভাবে যা তথ্য উঠে এসেছে তাতে ইনভেশন থিয়োরিকে নস্যাৎ করছে। ব্রিটিশরা মিথ্যে বললেও জিন তো মিথ্যে বলবে না। আশা করা যায় আগামী ১০ বছরের মধ্যে সব কিছু জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে।

দাদা, "ভোলগা সে গঙ্গা" বইটা ফিকশন না?

ইতিহাস আশ্রিত ফিকশন ।

শুনো হে মানুষ ভাই,
সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই ।

বর্ণভেদ থেকে আমাদের সকলকেই দূরে থাকা উচিত। কারণ আমরা সবাই মানুষ। সবার উপর মানুষ সত্য। মানুষের উপর সত্য কিছুই নাই। চন্ডীদাস একজন ব্রাহ্মণ হয়েও ধোপার মেয়েকে ভালোবেসে ছিলেন। তবে যাই হোক দাদা আপনি ছোটবেলা থেকেই একজন ভালো মনের মানুষ এটা আমরা বুঝতেই পেরেছি। আসলে সব কিছুকে দূরে ঠেলে দিয়ে আমরা যদি সবাইকে মানুষের চোখে দেখি তাহলে আর আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না। অনেক সুন্দর কিছু কথা তুলে ধরেছেন এ জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। দাদা আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। 💗💗

হিন্দুদের মাঝে জাতের বিভক্তি আগেও শুনেছিলাম। তবে ব্রাক্ষ্মণরা একটু বেশিই মর্যাদা পেয়ে থাকে। দিন শেষে তারা নিম্ন জাতের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের হেয় চোখে দেখে। আমাদের এলাকায়ও এমনটা দেখেছি দাদা। উচ্চ পদমর্যাদার হিন্দু ধর্মের লোকেরা নিন্মপদমর্যাদার লোকেদের হেয় চোখে দেখে। তবে দাদা আপনি যে সহপাঠিনীর সাথে অন্ন ভাগ করে খেয়েছেন সেটা কিন্তু ভালো ছিল। আমরা তো সবসময় বন্ধুদের সাথে বসে এবং বাসায় গিয়েও খাওয়া দাওয়া করে আসি 😍। দিনশেষে,
সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই ❤️

Thank You for sharing...

Hiçbir ırk hiçbir ırktan , hiçbir insan hiçbir insandan üstün değildir.

প্রাচীন কালের একটি উন্নত কার্যকরী প্রথার নিকৃষ্ট রূপ হলো আধুনিক যুগের "বর্ণভেদ প্রথা" ।

কথাটি একদম যথার্থ বলেছেন দাদা। ধর্ম, বর্ণ জাতপাত, প্রথা এই সবকিছু নিয়ে আমাদের মানুষদের এতটাই মাথাব্যথা যে আমরা যে সৃষ্টির সেরা জীব মানব জাতি আমরা সেটাই ভুলে যায়। তবে দাদা আপনি ছোটবেলা থেকেই একজন ভালো মনের মানুষ এবং একজন সত্তিকারের ভালো মানুষ। আপনার বাবার আদর্শ, আপনার পরিবারের শিক্ষাই আপনাকে ভালো মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। প্রতিটা বাবা-মার উচিত তার সন্তানকে জাত ধর্মের কুসংস্কার থেকে দূরে রেখে সত্তিকারের মানবিক গুণে গুণান্বিত করে তোলা। তবেই আমাদের এই পৃথিবীর মানুষ মানুষের জন্য হয়ে উঠবে।

Thank You for sharing...

তখন তো আর অতো শত বুঝতাম না । বন্ধুর বাড়ি খেয়েছি , ভালো লেগেছিলো । এখন গর্বই হয় ।

আমি জানতাম দাদা আপনাদের ধর্মের এই জাতের নিয়ম টা। কারন কলকাতার মুভি অনেক দেখছি যার জন্য অনেক কিছুই আমার জানা ছিল। তবে এতোটা ও জানতাম না, আজকে অনেক কিছুই জানা হলো। তবে দাদা সব শেষে একটি কথাই বলবো আপনার মধ্যে আলাদা একটা গুন আছে যা কিনা সবার মধ্যে থাকে না।

Thank You for sharing...

দাদা,খুব সুন্দর লিখেছেন।কিছু কিছু আমি সমাজ বিজ্ঞান কিংবা বাংলা দ্বিতীয়পএ চাকরির পরীক্ষার সুবাদে পড়া হয়েছিলো।আজকে আরো অনেক বিস্তারিত জানতে পারলাম।প্রাচীন কাল থেকেই প্রধানমন্ত্রী, কর্পোরেট সংস্থার মালিক,জনসাধারণ ইত্যাদি বংশ অনুযায়ী ছিলো।আর ঐকালে বেশি ছিলো বর্ন নিয়ে ভেদাভেদ, নিম্ন বংশের মানুষগুলোকে মানুষ মনে হতো না।এমন ও ধারনা হত, তাদের সাথে বন্ধুত্ব,কিংবা তাদের বাড়িতে খাওয়া যাবে না।আর মুসলিমদের দেখতে তো অপবিএ হয়ে যাবে।আমি নিজেও আমার মায়ের কাছে শুনেছি, মা পড়তে যেতো হতো হিন্দু বাড়ির উপর দিয়ে, তখন মা মুসলিম ছিলো বিদায় কপাল কুচকিয়ে বলতো রাম রাম 😃😃।ভালো ছিলো।

Thank You for sharing Your insights...