"টিনটিন" ভালোবাসার অপর নাম

in hive-129948 •  3 years ago 

tintin
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY


ছোট্টবেলায় আমি তখন ক্লাস থ্রীতে পড়ি । আমার দাদা একদিন স্কুল থেকে ফিরলো একটি ঝকঝকে মলাটের অদ্ভুত সুন্দর বই নিয়ে । বইটির নাম "রঙীন উৎসব", সত্যজিৎ রায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় সহ নামকরা লেখকদের অদ্ভুত সুন্দর সব গল্প । বইটির অলংকরণও অসাধারণ । দারুন দারুন সব ছবি । বইটি পেয়ে আমি কিছুক্ষনের জন্য খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়লাম । ক্ষণকাল পরেই আবিষ্কার করলাম বইয়ের উপহার পেজে জ্বল জ্বল করছে আমার নাম । পুজোর উপহার । আমার দাদা কিনে এনেছে স্কুল ছুটির পর । আমার দাদা আমার থেকে অনেক বড় । আমি যখন ক্লাস থ্রী তে পড়ি দাদা তখন মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ।

আমার জীবনে ওই বইটাই ছিল প্রথম উপহার পাওয়া বই । তাই আমি যে কতটা খুশি হয়েছিলাম সেটা ভাষায় প্রকাশ করা ইম্পসিবল । যাই হোক, বইটি নিয়ে আমি বারে বারে তার মিষ্টি গন্ধটা শুঁকতাম বুক ভরে । রাতে ঘুমোতে যেতাম বইটা শিয়রের কাছে নিয়ে । তবে তখনো কিন্তু আমি বইটির কোনো গল্প পড়া শুরু করিনি । দুই দিন পরে রাতে খাওয়ার পরে পড়তে বসলাম । আমার একটি অদ্ভুত অভ্যাস ছিলো এবং এখনো আছে । আমি কোনো বই একেবারে প্রথম থেকে পড়া শুরু করি, মাঝখান থেকে নয় । প্রথম থেকে শুরু করে শেষ অব্দি । বেছে বেছে পড়ার অভ্যাসও আমার নেই । তাই, শুরু করলাম পড়া একেবারে প্রথম থেকেই । প্রথমেই দেখতে পেলাম টিভির পর্দায় দেখা আমার চিরপরিচিত কার্টুনের মত কিছু ছবি । কার্টুন আমি খুবই লাইক করি । কিন্তু, সে তো টিভির পর্দায় । বইয়ের পৃষ্ঠায়ও যে কার্টুন দেখা যায়, পড়া যায় সে সম্পর্কে আমার আগে থেকে কোনো ধারণাই ছিল না ।

অদ্ভুত একটা উত্তেজনা টের পেলাম বালক বয়সের মনের মধ্যে । এক নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করে ফেললাম কার্টুন গল্পটি । নামটি আমার এখনো মনে আছে, কোনোদিনও ভুলবো না । ওটাই ছিলো আমার লাইফে পড়া প্রথম কমিক্স স্টোরি । আমি অবশ্য তখনো জানতাম না যে ও গুলো কে কমিক্স বলে । আমার বাবাই পরে বলেছিলো যে ওই ধরণের বইয়ে ছাপা স্পিচ বেলুন সম্বলিত কার্টুন চরিত্রে কোনো গল্পকে বলে কমিক্স স্টোরি ।

যাই হোক, এক নিঃশ্বাসে পড়ে তো শেষ করলাম ছোট্ট সেই কমিক্সটি । নাম - "ডানপিটে খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদু", লেখক ও শিল্পী : নারায়ণ দেবনাথ । আমি কিছুক্ষন মুগ্ধতায় বিভোর থাকলাম । এত্ত ভালো লেগেছিলো সেটি যে কি বলবো । কিছুক্ষনের জন্য আমি নিজেকে খাঁদু ভাবা শুরু করলাম । সেই শুরু । কমিকসের প্রতি ভালোবাসা আজ পর্যন্তও বিন্দুমাত্র কমেনি আমার । এত বড় হলাম, কিন্তু ছোটবেলার সেই বালক বয়সের মনটি আমি হারিয়ে যেতে দেইনি । এখনো সময় পেলে কমিক্স পড়ি, আর সেই ছোটবেলার মতোই সমান আনন্দ পাই ।

পুজো শেষ হলো, স্কুলে ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলো । ডিসেম্বর মাস । ক্রিকেট খেলার ধুম শুরু হয়ে যেত সেই সময় । শীত মানেই তখন ব্যাটের ছড়াছড়ি, বলের গড়াগড়ি । আমরা টেনিস বলে ক্রিকেট খেলতুম মাঠে । ক্রিকেটের প্রতি ছিল আমার দুর্নিবার টান, যেটা এখনো অব্দি ফিকে হয়নি । তো সেই বছরেই আমাকে খেলার জন্য ডাকতে এসে বন্ধুরা ফিরে যাওয়া শুরু করলো । আমি মাঠে যাওয়াই এক প্রকার বন্ধ করে দিলাম । কারণ , তখন আমার পড়ার টেবিলে শোভা পাচ্ছে - "এবারো বারো ", "প্রোফেসর শঙ্কুর কান্ডকারখানা", "শুকতারা পূজাবার্ষিকী", "সন্দেশ" এবং তখনকার সময়ের সব চাইতে জনপ্রিয় পূজা বার্ষিকী "আনন্দমেলা" । এসব বই পত্রিকা আগের থেকেই আমাদের বাড়িতে ছিল । আমার দাদার এগুলো । এর আগে কোনোদিনও ছুঁয়ে দেখিনি । কিন্তু, সেদিন "রঙীন উৎসব" বইখানি পড়ে আমি নতুন এক জগতের সন্ধান পেলাম । বইয়ের জগৎ, কল্পনার জগৎ , জানার জগৎ - সব মিলিয়ে রূপকথার এক অদ্ভুত মায়াবী জগৎ ।

এর আগে শুধুমাত্র ক্লাসের বই পড়তাম, নীরস লাগতো সেগুলো আমার কাছে । এরপর থেকে ধীরে ধীরে আমি মাত্রারিক্ত ভাবে বুক addicted হয়ে পড়লাম । বাইরের দুনিয়া এখন আর আমাকে টানে না । আমি এখন কল্পনার জগতের সন্ধান পেয়ে গেছি । সেখানেই কাটে আমার সকাল, সন্ধ্যা, রাত । সব চাইতে ভালো লাগতো কমিক্স । "শুকতারা" তেই আমার কমিকসের প্রতি টানটা আরো জোরালো হয়ে পড়ে । কারণ তখনকার শুকতারা মানেই ছিল নারায়ণ দেবনাথ । তার অসাধারণ সব সৃষ্টি হাঁদা-ভোঁদা, নন্টে-ফন্টে, বাঁটুল দি গ্রেট, বাহাদুর বেড়াল, ডানপিটে খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদু ইত্যাদি অজস্র মন মাতানো কমিক্স । সবই কিন্তু সাদা কালো ।

আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকী গুলোতেও ছিল কমিকসের ছড়াছড়ি । কিন্তু, সেগুলোও ছিলো সাদা কালো । এই আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকীতেই আমি প্রথম আবিষ্কার করি লী ফকের "ফ্যান্টম", অরণ্যদেব; আমার আরেকটি ভালোবাসার নাম । যাই হোক, একদিন আমার হাতে এলো আনন্দমেলার বেশ পুরোনো কিছু পাক্ষিক সংখ্যা । এর আগে তো শুধুই পূজাবার্ষিকী পড়তাম । আনন্দমেলার পাক্ষিক সেই সংখ্যাগুলো আমার স্মৃতির মনিকোঠায় চিরদিন জ্বল জ্বল করবে, কারণ ক্রমশ: প্রকাশ্য ।

তো সেই আনন্দমেলার পাক্ষিক সংখ্যা গুলোই ছিল হরেক রকমের কমিক্স এর খনি, সবই রঙিন এবং ঝক ঝকে প্রিন্ট । টারজান, রিপ কাৰ্বি, ডেনিস দ্য মিনেস, এস্টেরিক্স ও ওবেলিক্সের মজাদার সব এডভেঞ্চার, অরণ্যদেব (ফ্যান্টম), মজাদার গাবলু (হেনরি) এবং "টিনটিন এর এডভেঞ্চার" । "টিনটিন " নামটি আমাকে দুর্নিবারভাবে আকর্ষণ করে । এক নিঃশ্বাসে সেদিন পড়েছিলাম মাত্র দুই পৃষ্ঠার ধারাবাহিক ভাবে বেরোনো টিনটিনের এডভেঞ্চার কমিক্স "টিনটিন ও আশ্চৰ্য উল্কা " । পড়েই আমি দিশেহারা হয়ে গেলাম । অপূর্ব গল্প, অদ্ভুত দর্শন ছোট্ট খাট্ট ভীষণ মজাদার চেহারার টিনটিন আর তার আদুরে কুকুর কুট্টুস (স্নোয়ী) দারুন লেগেছিলো । অস্থির হয়ে উঠলো আমার মন বাকি এপিসোড গুলো পড়ার জন্য ।

কিন্তু, বিধি বাম । পুরোনো সংখ্যা হলে যা হয় আর কি ! কোনো সংখ্যা এ বছরের তো কোনো সংখ্যা পরের বছরের, কোনটি আবার ৩ বছর আগেকার । ফলে, একটা ভীষণ ক্রোনোলোজিক্যাল এররের সম্মুখীন হলাম । কোনো সংখ্যায় পাই "কাঁকড়া রহস্য", কোনোটায় আবার "ফ্লাইট ৭১৪", কোনটায় "চন্দ্রালোকে অভিযান" - সে এক বিশাল জগা খিচুড়ি । সাধ্য কি সেখান থেকে কোনো গল্প বোঝা ।

সেই মন খারাপ আমার বহুদিন ধরে ছিল । ছোট ছিলাম তাই নিজের ইচ্ছেমত আনন্দমেলা কেনা সম্ভব ছিল না । আর আমার বাবা গল্পের বই পড়া তেমন একটা লাইক করতেন না । ফলে, মন খারাপ করে থাকা ছাড়া আর কোনো ওয়ে ছিল না । এই ভাবে কেটে গেলো আরো ৩ টি বছর । আমি তখন ক্লাস সিক্সে পড়ি । মিড্ টার্ম এক্সাম শেষ, বাবাকে বললাম টাকা দাও গল্পের বই কিনবো । অনেক সাহসী আমি তখন । বাবা টাকা দিলো । দাদার সাথে গেলাম বইয়ের দোকানে । বাবা মাত্র ১০০ টাকা দিয়েছিলেন । আমার টার্গেট ছিল টিনটিন কিনবো । তো টিনটিনের এতগুলো সংখ্যা দেখে তো আমি খুশিতে একেবারে আত্মহারা । মোট ২১ টা বই তখন বাংলায় বেরোতো টিনটিনের । আমি বেছিলাম ৮-১০ তা কিনবো । কিন্তু, দাম দেখে তো আমার চক্ষু চড়ক গাছ । এক একটা টিনটিনের কমিকসের দাম ৯৬ টাকা ।

মাথা ঘুরে গেলো । কোনোরকমে একটা বই কিনলাম "বোম্বেটে জাহাজ" । আমার চোখ মুখ দেখে দাদা আর নিজের বই না কিনে নিজের জমানো টাকা দিয়ে কিনে দিলো আরো একটা বই "লোহিত সাগরের হাঙ্গর", চাচা চৌধরীর দুটি কমিক্স, তিনটে কমিক্স ওয়ার্লড আর লীলা মজুমদার অনূদিত এডগার রাইজ বারোজের "বনের রাজা টারজান" ।

খুশিতে একেবারে আত্মহারা হয়ে গেলাম । বাড়ি ফিরে আগে নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে বসে গেলাম টিনটিন নিয়ে । তার সাথেই বেরিয়ে পড়লাম বুকে দুঃসাহস নিয়ে রহস্যের টানে, বিপদের বেড়াজালেও মাথা ঠিক রেখে, জীবনের মায়া তুচ্ছ করে বদমাশদের ধাওয়া করে তাদের হাঁড়ির হাল করতে । ক্ষুরধার বুদ্ধি, মনে অপরাজেয় সাহস আর অসততার সাথে কোনোমতেই আপোসে না যাওয়া টিনটিন । বাচ্চাদের মুহূর্তে আপন করে নেওয়া সেই টিনটিন , সঙ্গে ভীষণ আদুরে তুলতুলে তুষারের ন্যায় সাদা কুট্টুস । ক্যাপ্টেনের মতো ভীষণ সাহসী আর মজাদার সঙ্গী, বদ্ধ কালা কিন্তু অসম্ভব প্রতিভাধর প্রোফেসর ক্যালকুলাস, কোকিলকণ্ঠী বিয়াঙ্কা কাস্তাফিওর, দম ফাটা হাসির চরিত্র দুই মজাদার বোকা গোয়েন্দা যাদের দুই জনের চেহারা একেবারে same , নামেও ভীষণ মিল জনসন ও রনসন ।আর হার না মানা অন্ধকার জগতের শক্তিশালী গডফাদার রাস্তাপপুলাস, বস্টন আর ড: মুলার । অদ্ভুত চরিত্রের নেস্টর, ওয়াগ আর জেনারেল আলকাজার । আমি ডুবে গেলাম ।

জীবনে আমার পড়া সর্বশেষ্ঠ কমিক্স "টিনটিন"। রহস্য, এডভেঞ্চার, মন্দের বিরুদ্ধে ভালোর লড়াই এবং ভীষণ মজা । এগুলো সব কিছুই পাওয়া যাবে দুই মলাটের একটি টিনটিন কমিকসের মধ্যে । সেই যে টিনটিনের প্রেমে পড়ে গেলাম । আমার তিরিশ বছরের এই জীবনে আজও বেরোতে পারলাম না টিনটিনের সেই জগৎথেকে । আমার ছেলের নামও তাই টিনটিন । ও যেন টিনটিনের মতোই সৎ নির্ভীক বন্ধুবৎসল আর রহস্যপ্রেমী হতে পারে সেটাই আমার একমাত্র চাওয়া ।


টিনটিন আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু :)

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা আপনার পুরো ঘটনাটি আমি আজকে সুন্দরভাবে পরে জানতে পারলাম, যে আপনি ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। বই পড়তে খুবই ভালবাসতেন এবং আপনার ছেলের নাম টিনটিন ক্যানো রেখেছেন। সেই রহস্য আজ আমার কাছে একদম পরিষ্কার। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে আজকের আপনার গল্পটা শেয়ার করেছেন। আমি সত্যিই খুবই আনন্দিত যে আপনার ছেলের নাম টিনটিন রেখেছেন এবং টিনটিনের গল্পের চরিত্রের ছেলেটির মতমতোই সৎ নির্ভীক বন্ধুবৎসল আর রহস্যপ্রেমী হতে পারে। টিনটিনয়ের জন্য এই দোয়াই রইলো।

দাদা আমি সত্যিই অবাক হয়ে গেছি, আপনি ক্লাস থ্রীতে পড়েন। তখন আপনাকে প্রথম আপনার দাদা উপহার দিয়ে ছিল রঙীন উৎসব বইটি। সেই বইটির কথা আপনার আজও খুব মনে আছে। প্রতিটা কথায় আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আপনি খুবই দক্ষ এবং আপনি ছোটবেলা থেকেই বইপাগল। আপনি ছোটবেলা থেকেই বই পড়তে খুবই ভালোবাসেন। এটি আমি খুবই ভালো করে এখুন বুঝতে পারলাম, যে আপনি ছোটবেলা থেকে বই পড়তে পছন্দ করেন। এই বইটি নিয়ে আপনি ঘুমাতে যেতেন এবং সব সময় বইটি নিয়ে থাকতেন। জীবনে প্রথম উপহার দাদার কাছ থেকে বইটি পেয়ে আপনি খুবই আনন্দিত হয়েছিলেন। সেই দিনটির কথা আমার ভাবতেই ভালো লাগছে। আপনার সেই দিনগুলো অনেক আনন্দের ছিল। বইটির নাম সহ এবং গল্পগুলো আপনার মনে আছে। সত্যি দাদা আপনার প্রশংসা করতে হবে।

ছেলেবেলায় যেকোনো গল্পের বই উপহার হিসেবে পাওয়া মানে একটি আনন্দের বিষয় ছিল।আর সেটা যদি হয় প্রথম উপহার তাও আবার কোনো আপনজনের দেওয়া তাহলে তো কথাই নেই।সত্যজিৎ রায়ের গল্পের বইগুলো আমার কাছে ও খুব ভালো লাগে।নতুন বইয়ের পাতায় একটি দারুণ কাগজের গন্ধ পাওয়া যায়, যা আমার ও খুব ভালো লাগে।

বইয়ের পৃষ্ঠায়ও যে কার্টুন দেখা যায়, পড়া যায় সে সম্পর্কে আমার আগে থেকে কোনো ধারণাই ছিল না ।

আমার কাছে ও এই বিষয়টি নতুন দাদা।কার্টুন ফোনে প্রায় দেখা হয়, খুবই ভালো লাগে।যেকোনো গল্প একবারে না পড়ে শেষ করলে সেই গল্প পড়ার মজাটাই হারিয়ে যায়।

দাদা খাঁদু শব্দের অর্থ কি?

টিনটিন নামটি খুবই সুন্দর, সেই নামের পিছনে এত সুন্দর সুন্দর গল্পের রহস্য লুকিয়ে আছে আজই জানতে পারলাম।অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ দাদা।

বই পড়া নিঃসন্দেহে ভালো অভ্যেস এবং এটা আমাদের স্কুল জীবন হতে শুরু করানোর চেষ্টা করেন সবাই। বিশেষ করে আগে যে কোন বিষয়ে পুরস্কার হিসেবে প্রথম চয়েজ থাকতো সবার বই কিন্তু এখন সেই ধারাবাহিকতাটা বজায় নেই।

আপনার বই পড়ার আগ্রহটা সেই ছোট বেলা হতে ছিলো, এটা দেখে খুব ভালো লেগেছে আর এইখানে আপনার সাথে আমার পার্থক্য আপনি ভালো কিছু খোঁজার চেষ্টা করেছেন এবং নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি করার চেষ্টা করেছেন আর আমি বই রেখে দুষ্টুমিতে বেশী ব্যস্ত থাকতাম, হি হি হি এখনো করি এটা।

তবে টিনটিন এর বিষয়টি বেশ ভালোভাবে পরিস্কার হলাম আজ, যদিও এর আগে একবার শুনেছিলাম আপনার মুখ হতে টিনটিন কমিকসের রহস্য। তবে আজ পুরো বিষয়টি ভালোভাবে পরিস্কার হলাম। ধন্যবাদ দাদা আপনার ছোট বেলার গল্প এবং টিনটিনের রহস্য শুনে ভালো লাগলো। আর আমাদের টিনটিন সোনামনির জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

অনেক অনেক ভালো লাগলো দাদা আপনার জীবনের সুন্দর মুহূর্ত গুলো পড়ে । অনেক ছোটবেলা থেকেই আপনি গল্পের বই পড়তে শুরু করেছেন যা এখন অব্দি আপনার ভালো লাগার হয়ে আছে। এটা খুবই আশ্চর্যের বিষয় ।টিনটিন যে আপনার খুবই পছন্দের কমিকস সেটা আপনার ছেলের নাম শুনলেই বোঝা যায়। টিনটিন আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে । টিভিতে যখনই টিনটিন হয় আমার মেয়ের সঙ্গে আমি ও বসে বসে দেখি ।তবে কখনো টিনটিনের কমিক্স পড়িনি ।আমি টিভিতে প্রথম কার্টুন হিসেবে টিনটিন কে দেখেছি।আমাদের টিনটিন সোনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা।

বই পড়লে বই পড়ার প্রতি এক অদ্ভুত রকমের ভালোবাসা জন্মায়। কারণ বই হচ্ছে আমাদের চিরদিনের বন্ধু। বিশেষ করে এডভেঞ্চার ও কমিক্স বই গুলোর প্রতি ছোটবেলায় আমাদের অনেক বেশি আকর্ষণ ছিল। নতুন নতুন চরিত্র সম্পর্কে জানতে আগ্রহ অনেক বেশি ছিল। মাঝে মাঝে বই পড়তে পড়তে অন্য এক জগতে হারিয়ে যেতাম।ছোটবেলায় পড়ার বইয়ের ভাঁজে লুকিয়ে রেখে কত যে গল্পের বই পড়েছি তার কোনো শেষ নেই। গল্পের বইয়ের প্রতি আমার আলাদা রকমের আকর্ষণ ছিল। মজার মজার এডভেঞ্চার গল্পের মধ্যে নিজের চরিত্র গুলো খুঁজে পেতাম সবসময়। কেন জানি তারা আমার সঙ্গী হয়ে গিয়েছিল। ছোটবেলার দিনগুলো আজ মনে পড়ে গেল। লুকিয়ে লুকিয়ে গল্পের বই পড়া ও মায়ের বকুনি শোনা সবকিছুই যেন চোখের সামনে ভেসে বেড়াচ্ছে। আপনি আপনার প্রিয় মানুষটির নাম কেনো টিনটিন রেখেছেন এটা আজ বুঝতে পারলাম। টিনটিন বাবুর জন্য আশীর্বাদ রইলো সে যেন টিনটিনের মতোই সৎ, বন্ধুসুলভ এবং রহস্যপ্রেমী একজন মানুষ হতে পারে। দাদা আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

দাদা একটা জায়গায় আপনার সাথে আমার অদ্ভুত মিল পেলাম। টিনটিন আমার ও খুব পছন্দের কমিকস। ছোট বেলায় একবার কাউকে না বলে একটা লাইব্রেরীতে গিয়ে সারাদিন ধরে টিনটিনের কমিকস পড়েছিলাম। আমি আবার একটু বেছে বেছে পড়ি। আপনার পড়ার অভ্যাসের কথা শুনে খুব ভালো লাগলো দাদা।

আপনার বিভিন্ন পোস্ট পড়েই আমি বুঝতে পেরেছিলাম আপনি বইপাগল একজন মানুষ, বইপ্রেমী একজন মানুষ, বই ভালোবাসার মানুষ।এক কথায় বলা যায় বইপোকা দাদা। আপনার ভালবাসার টিনটিন দোয়া করি সেই টিনটিন এর মতই বেড়ে উঠুক, সাহসী হোক, সবার ভালবাসায় সিক্ত হোক।

দাদা প্রথমেই বলি আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপনার সাথে ঘটে যাওয়া ছোটবেলার মিষ্টি গল্পগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। গল্প পড়ে বোঝা যাচ্ছে দাদা আপনি কতটা বইয়ের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। আর সবগুলো বইয়ের নাম যে টিনটিন ছিল সেটাও কিন্তু খুব দারুন বিষয়।

আপনার গল্প পড়ে দাদা ছোটবেলার অনেক কথা মনে পড়ে গেল, আপনার ঘটে যাওয়া ছোটবেলার প্রতিটা ঘটনা খুব সাবলীল আর সুন্দর ছিল, গল্পটি পড়ে খুবই মজা পেয়েছি, অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আপনি বই ভালোবাসেন বলেই ক্লাস থ্রিতে কি বই উপহার পেয়েছিলেন আর তার নাম কি ছিল সেটা আপনার মনে আছে।ছোটবেলায় আমরাও অনেক বই উপহার পেয়েছি এবং পড়েছি কিন্তু কোনোটারও নাম বলতে পারবো না।আসলেই দাদা পড়লে আপনার মতোই পড়া উচিৎ।আমিও অনেক বই পড়েছি হুমায়ুন আহমেদের যখন যেটা পড়েছি তখনই খুব ভালো লাগতো আপনার মত অতো টানতো না। তবে হাঁদা-ভোঁদা, নন্টে-ফন্টে, কেমিক্যাল দাদু,বাটুল দি গ্রেড এগুলো টিভিতে অনেক দেখেছি এখনো দেখি খুবই ভালো লাগে। কার্টুন দেখতে আমার সবসময়ই অনেক ভালো লাগে।আসলেই দাদা ছোটবেলায় এমন অনেক স্মৃতি আছে যেগুলো মনে পড়লেই মনটা অনেক ভালো হয়ে যায় আপনার প্রথম বই উপহার পাওয়াটা তেমন একটা দারুন স্মৃতি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার ছোটবেলার বই পড়ার আনন্দ গুলো আমাদের সাথে ভাগ করেছেন অনেক ভালো লেগেছে পড়ে। টিনটিন ও ফ্যান্টম এর ইতিহাসও জানতে পারলাম আপনার লেখা থেকে। অবিরাম ভালবাসা রইল দাদা আপনাদের জন্য।

বইটি নিয়ে আমি বারে বারে তার মিষ্টি গন্ধটা শুঁকতাম বুক ভরে ।

আমার ও এই অভ্যাসটি আছে দাদা। এমনকি এখনো আছে।নতুন বই এর ঘ্রাণটা আমার কাছে এখনো অনেক ভালো লাগে।
আমিও একসময় ঠিক আপনার মতোই বই পাগল ছিলাম।একটা বই শুরু করলে তা শেষ না অব্ধি আমি কোনোভাবেই কেনো জানিনা শান্তি পেতাম না।যেকোনো রকমে বইটির একটি একটি করে লাইন আমার পড়ে ফেলতে হতো। কিন্তু এখন কেনো জানি বই পড়া হয়ে উঠেনা।আমার বাবা ও গল্প,কমিক্স এর বই পছন্দ করতেন না তাই কিনতেও পারতাম না।তবে কাজিনদের থেকে এনে এনে পড়তাম।আপনার আজকের লিখা পড়ে কত স্মৃতি মনে পরে গেলো দাদা।
আসলে বই ই শ্রেষ্ঠ বন্ধু,যেমন আপনার টিনটিন।
দোয়া করি আমাদের টিনটিন যেনো একদম আপনার মনের মতোই হয়।

দাদা আপনি যে প্রচুর বই পড়েন সেটা আমরা জানতাম। কিন্তু আপনি যে এতটাই বই পোকা ছিলেন সেটা জানতাম না। আর টিনটিনের গল্পের সাথে আপনার যে আত্তিক সম্পর্ক রয়েছে সেটা তো জানতাম না। আর সত্যিই মনে মনে একটা প্রশ্ন ছিল, আপনার ছেলের নাম টিনটিন কেন, আজ বুঝলাম। অনেক ধন্যবাদ দাদা অনুভূতি গুলো ভাগ করে নেয়ার জন্য 💌

দাদা ছোটবেলা থেকে আমিও কমিকস স্টরি গুলো খুব পছন্দ করি ।আমার অনেক ভালো লাগে এবং আমি অনেক মজা পাই বইগুলো পড়ে। তবে আমি যে বিষয়টি বলব আপনি আপনার বই পড়ার অভ্যাস দেখে আমি মুগ্ধ ।আপনি যতগুলো বই পড়েছেন আমি হয়তো তার 5% পড়াশোনা করতে পারি নাই তবে আমার খুব ইচ্ছা আছে নিজেকে সমৃদ্ধ করার কারণ বই একমাত্র মাধ্যম যে আপনাকে সব দিক থেকেই সমৃদ্ধ করে তুলবে ।ছোটবেলার বিভিন্ন জিনিস ভালো লাগে সবচেয়ে ভালো লাগে উপহার পেতে, বই উপহার পাওয়া ।এট আমার কাছে খুব ভালো লাগে এবং আমি যদি কাউকে কোন গিফট দেই মূলত আমি বই গিফট করে থাকি। ভালো ভালো বই শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় , বঙ্কিমচন্দ্র, সমরেশ মজুমদার, ফাল্গুনী এর বই । আমি যখন বইমেলায় যাই প্রচুর বই কিনি আমি অবসর টাইমে যখন ভালো লাগে না মন ভালো থাকেনা তখন আমি বই নিয়ে পড়ে থাকে বই পড়ি।

দাদা জীবন তো আমরাও পার করে এসেছি। শৈশব তবে আমাদের চেয়ে আপনার টা একটু ব্যতিক্রম। আমরা যখন ছোট ছিলাম আমাদেরকে মেরে পড়াতে নিয়ে বসাতো। আর আপনি ক্লাস থ্রীতে পড়া অবস্থায় বইয়ের প্রতি এত পাগল ছিলেন যা আমার ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে। কমিক্স বই গুলো আমি পেয়েছিলাম ক্লাস টু থেকেই। আমার বড় ভাইয়া গভমেন্ট জব করতো, শহর থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় নিয়ে যেতে। বইয়ের চিত্র গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে পড়তে নয়। তবে আমাদের আগেকার লেখা যে গল্প কবিতা এগুলো ছিল অসাধারণ। খুবই সুন্দর ছিল আর আপনি কমিকসের প্রতি এত পাগল ছিলেন যা অকল্পনীয়। কার্টুন প্রচুর দেখতাম তবে টিভিতে বইয়ের প্রতি তেমন একটা আকরষন ছিলো না ছোট থেকেই। আপনি অনেক সুন্দর করে লেখক, গল্প, কবিতার, প্রতিটা লেখক এর নাম এত সুন্দর করে উল্লেখ করেছেন। আমার মনে হয় এগুলো কালেকশন করতে আমার আরো দু চার পাঁচ বছর লেগে যাবে। আপনি টিনটিনের প্রেমে পড়েছেন এবং আপনার কলিজার টুকরা নাম রেখেছেন টিনটিন। এখন আপনার ৩০ পেরিয়েছে, এখনও টিনটিনের প্রেমে পড়ে আছেন। আর আপনার পরপারে যাওয়া অব্দি আপনার কাছেই থাকবে কারণ সেটা আপনার ম কলিজার ধন দাদা। পুরোটা ব্লগ পড়ে খুবই ভালো লেগেছে কিন্তু বিশ্লেষণ করার মত সাধ্য আমার নেই। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং ভালবাসা অবিরাম দাদা।

দাদা আপনার এই ধরনের লেখার সবথেকে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে একটানা পড়ে ফেলা যায় কোনরকম বিরক্তি ছাড়া। আপনার গল্পগুলো যখন পড়তাম তখন মনে মনে একটা ধারনা ছিল যে, আপনি অনেক বই পড়েছেন। কিন্তু আজকের এই পোস্টের পর বুঝতে পারলাম ছোটবেলা থেকেই আপনার বইয়ের প্রতি কতটা ঝোঁক ছিল বিশেষ করে কমিকস বইয়ের প্রতি এবং কমিকস ভিত্তিক সেই সকল প্রকাশনা গুলোর প্রতি।

আপনার দাদা কে অনেক ধন্যবাদ ছোটবেলায় আপনাকে এভাবে করে কমিকসের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য। আমি আমার ভাইয়ের মেয়ের জন্য গত জন্মদিনে চার-পাঁচটি বই উপহার দিয়েছিলাম যাতে করে একাডেমিক বইয়ের বাইরে বইয়ের প্রতি ভালো লাগা তৈরি হয় কারন সে এখন মাত্র ক্লাস ফোরে পড়ে।

টিনটিন আর ফ্যান্টমের রহস্য জানতে পারলাম আজকে। আর সবথেকে অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে আপনার বন্ধুরা এবং পাড়ার ছেলেরা আপনাকে ক্রিকেট মাঠে কম পেয়েছে এবং আপনি বইয়ের জন্য আরেকটি ভালোলাগা ক্রিকেটকে কমিয়ে দিয়েছেন।

ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য

গল্পের বই পড়তে ভালবাসেনা পৃথিবীতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। ছোটবেলায় আমাকে গল্পের বইয়ের পোকা বলে সম্বোধন করা হতো। যদিও নামটি আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর লাগতো। বাইরের জগতের খেলাধুলা ও আনন্দঘন মুহূর্ত এগুলোর চেয়ে গল্পের বই গুলো আমাকে বেশি আকর্ষণ করতো। মজার মজার গল্পের বই পড়া, লুকিয়ে লুকিয়ে পেপার কাটিং করে ছোটগল্পগুলো পড়া আমার এক ধরনের শখের কাজ ছিল। তবে সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে আজ আমাদের সমাজের বাচ্চাদের ছোট বেলার চিত্র গুলো পাল্টে যাচ্ছে। গল্পের বইয়ের প্রতি আকর্ষণ এর চাইতে ইলেকট্রনিক ডিভাইস এর প্রতি তাদের আকর্ষণ বেড়ে যাচ্ছে। দাদা আপনার ছেলেবেলার কথা গুলো জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। তবে আপনার বড় দাদা আপনাকে প্রথম বই উপহার দিয়েছেন এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো। ভালোবাসার অপর নাম হচ্ছে বড় দাদা বা বড় দিদি। তবে আমার এমনই দুর্ভাগ্য আমার কোনো বড় দাদা নেই। তাই আমি আপনার ছোটবেলার সেই মুহূর্তগুলোর প্রতিটি বিষয় অনেক উপভোগ করলাম। তবে আজ কেন জানি ইচ্ছে করছে একটি কথাই বলতে আমি বড় অভাগা কারণ আমার কোনো বড় দাদা ছিল না। টিনটিন বাবু ও আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

যখন প্রথম আপনার ছেলেটির নাম শুনেছিলাম তখন মনের মধ্যে প্রশ্ন এসেছিল টিনটিন নামটি কেন রাখা হয়েছে? মনের মাঝে অনেক প্রশ্ন এসেছিল। আজ বিষয়টি একেবারেই ক্লিয়ার হয়ে গেলাম। অনেক অনেক দোয়া রইল টিনটিন বাবুসোনার জন্য, আপনার মনের ইচ্ছা গুলো যেন পূরণ হয়।

অনেক ভালো লাগলো আপনার ছোটবেলার গল্প গুলো শুনে, বই পড়ার অভ্যাস টি আসলেই খুবই ভালো, আপনি এই অভ্যাসটি এখনো ধরে রাখতে পেরেছেন দেখে খুবই অবাক লাগে কারন এখনকার এই যুগে আগের মত মানুষকে দেখা যায়না বই পড়তে কারণ বই পড়ার জায়গাটি দখল করে নিয়েছে বর্তমান আধুনিক যুগের মোবাইল ডিভাইস গুলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ছোট বেলার বই পড়ার স্মৃতিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে নিজের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য । বই পড়া ডেফিনেটলি ভালো অভ্যাস । তবে আমি আমার কিশোর বয়সের একটি বৃত্ত থেকে এখনো বেরোতে পারিনি তাই তথাকথিত বড়দের বই যাকে বলে প্রেমের গল্প উপন্যাস কোনোদিনও পড়া হয়নি । আমি আমার কৈশোর জীবনের ভালো লাগা বইয়ের যে বৃত্তটা আছে তার ভিতরেই নিজেকে গন্ডিবদ্ধ রেখেছি ।

আসলে বড় হতে চাই না । ছোটই থাকতে চাই। আজীবন :)

দাদা ♥️

সব মানুষের ই ছোট বেলায় কিছু না কিছু সখ ইচ্ছা থাকে ।আর আপনার যে সখ টিনটিন এর কমিক্স পড়া ।যার ভালোবাসা ছোট বেলা থেকে বুকে বেধে ত্রিশ বছর পর্যন্ত ধারন করে রেখেছেন অন্তরে ।এতোই ভালোবাসেন যে নিজ সন্তানের নাম ও টিনটিন রেখে দিলেন ।ধন্য দাদা আপনার টিনটিন কমিক্স ও আপনিও ।আমিও পড়ে দেখবো এই কমিক্স।টিনটিনের জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইলো দাদা ।

দাদা কিছু দিন আগেও টিনটিন এর মুভি দেখলাম, আমারও খুব পছন্দের কমিকসের বই এর মধ্যে এটি একটি। জনসন ও রনসন দের তো সেই লাগে আমার। আজকের পোস্ট টি পড়ে দাদা আপনার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি।

ছোটবেলার যেকোনো বই পেয়ে আমরা অনেক আনন্দিত হই, কিন্তু আপনি যে বই পেয়ে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে সব সময় বই নিয়ে থাকতেন। এই বিষয়গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি আসলে ছোটবেলা থেকে বইপ্রেমী ছিলেন এবং আজও বইপ্রেমী আছেন। তবে আপনার ছেলে টিনটিন বাবর নামের পেছনে এত সুন্দর একটি রহস্য লুকিয়ে আছে। সেটি আজ আপনার এই গল্পের মাধ্যমে জানতে পারলাম। দোয়া করি আপনার ছেলে আপনার গল্পের সেই টিনটিন বাবুর মতই হবে।

দাদা আপনার বই পড়ার অতীত ইতিহাস জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। সত্যি বলতে কি আপনার যে পছন্দের নাম ফ্যান্টম ও আরেকটা টিনটিন। মানে এই দুটো নামই যে, বই কেন্দ্রিক হয়ে বাস্তব জীবনের সঙ্গে রূপ দিয়েছে, তা আসলে আজকের গল্পটা না পড়লে হয়তো অজানাই থেকে যেত । যাইহোক আমারও একটা সময় এরকম বই পড়ার ভীষণ আগ্রহ ছিল, বিশেষ করে আমি যখন ইন্টার্ন ছিলাম তখন,প্রচুর বই পড়েছে যদিও সেগুলো ছিল একটু ভিন্ন রকমের বই ছিল । মানে ফিকশন টাইপের বই আরকি। ধন্যবাদ আপনার অতীত স্মৃতি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।

  ·  3 years ago (edited)

দাদা আপনার আজকের লেখাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ছোটবেলায় আমরা অনেক গল্পের বই পড়েছি কিন্তু এখনকার বাচ্চারা গল্পের বই পড়তে তেমন একটা আগ্রহী নয়। যেটা দেখলে খুব খারাপ লাগে। আমাদের সময় গল্পের বই নিয়ে মনের মধ্যে একটা অন্যরকম উত্তেজনা কাজ করতো।
টিনটিন দা অ্যাডভেঞ্চার এটি গল্পের বইটি পড়া হয়নি। কিন্তু এই কার্টুনটি টিভিতে হয়। মাঝেমধ্যে দেখি আমার বাচ্চার সাথে। খুব মজা লাগে কার্টুনটি দেখতে।
তাছাড়া হাঁদা-ভোঁদা, নন্টে-ফন্টে এইগুলো আপনি গল্পের বইতে পড়েছেন কিন্তু এইগুলো সব কার্টুনে দেখেছি। বেশ মজা লেগেছে।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Please consider to approve our witness 👇

Come and visit Italy Community

দাদা আপনার মতো আমার ও বই পড়ার একটা অভ্যাস রয়েছে।আমি সব সময় কিছু না কিছু বই পড়ি।কারণ আমার পড়তে অনেক ভালো লাগে।তাই যখন কোনো বই কিনি তা পড়া না পযন্ত আমার ঘুম আসে না।চেষ্টা করব আপনার মত হতে

a very worthy story to be appreciated, continue to work, hopefully it can be an example for us beginners @indra2alam

আমি কখনই আমার দাদার কাছ থেকে গল্পের বই বা অঙ্কন পাইনি, আমার পরিবার ক্যাথলিক হওয়ার কারণে তারা আমাকে প্রথম বইটি দিয়েছিল তা ছিল একটি বাইবেল কিন্তু বছর পেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে সেই বিশ্বাসটি অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল।

ভেনেজুয়েলায়, আমার শৈশবে কমিক্স কখনোই বিখ্যাত ছিল না। সবচেয়ে বেশি যা পড়া এবং দেখা হয়েছে তা হল অ্যানিমেস এবং সেগুলি এখনও দেখা এবং পড়া হয়।

আমি আপনাকে একটি হালকা উপন্যাস পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি যেটি সম্ভবত আপনি খুব পছন্দ করবেন উপন্যাসটির নাম কনোসুবা, এটি একটি ফ্যান্টাসি, অ্যাডভেঞ্চারের উপন্যাস এবং এটি খুব মজার।

source

দাদা আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। যে কোন উপহার পেলে তা অনেক ভালো লাগে নিজের কাছে। আর উপহারটি যদি হয় বই এবং প্রথম উপহার তাহলে তো আর কথাই নেই। দাদা সত্যজিৎ রায়ের গ্রন্থ গুলো পড়তে অনেক ভালো লাগে। দাদা আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

Hola me identifico mucho con tu post, cuando era niña compartía mucho tiempo con mi abuela y una de las cosas que mas aprecio fue un libro que ella me regalo, aun lo recuerdo como si fuera ayer era un libro llamado las historias del gran maestro su caratula era color fucsia con letras doradas y se podía ver la imagen de Jesucristo con un niño, mi abuela era creyente así como lo soy yo hoy en día; me encantaba pasar tiempo con ella, así que entiendo tu emoción cuando nos cuentas esta historia, su regalo me sumergió en un deseo de aprender y conocer mas y meterme en el mundo de esos escritos, aun ahora que soy una adulta me gusta mucho leer mi libro favorito se llama "Papillon".

Es muy importante compartir esa pasión por la lectura con las generaciones futuras, hacer esto podría cambiar totalmente el rumbo de vida de una persona, muchas de las decisiones de mi vida fueron guiadas por las lecciones que aprendí en ese primer libro y se también que nuestros personajes favoritos de los comics de una u otra manera nos inspiran y nos motivan a soñar es por eso es que a mi hija quise regalarle el libro que mi abuela me obsequio y que por tanto tiempo he atesorado, quería con esto darle el regalo de la sabiduría y como muy bien tu lo dices en tu post mas que un libro darle una muestra de amor y que los personajes que están plasmados allí sean sus amigos, su confidente y abran a un mundo totalmente nuevo para ella.

Gracias por compartir esa hermosa vivencia con nosotros.

দাদা আপনি ক্লাস থ্রি থেকে কমিকসের বই পড়া শুরু করেছেন, ব্যাপারটা সত্যি আমার কাছে অনেক অবাক লেগেছে। আপনি এত ছোট বয়স থেকেই কমিকসের বই পড়া শুরু করেছেন। কিন্তু এখনকার জেনারেশনে খুব একটা কারো বইয়ের প্রতি আগ্রহ আছে বলে সচরাচর দেখা যায় না। দাদা আপনার পছন্দের নাম ফ্যান্টম এবং টিনটিন বাবুর নাম কেন টিনটিন রাখা হল এর পেছনের রহস্যটা জানতে পারলাম। নন্টে ফন্টে আমার খুবই পছন্দের একটি কমিকস। দাদা আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

তাইতো বলি দাদার কাছে বই কেন শ্রেষ্ঠ বন্ধু । বই মানে কল্পনার জগতে হারিয়ে যাওয়া । বই মানে নতুনত্বের
সাথে পরিচয় হওয়া ।

তবে আমি তেমন কমিক্স বই পড়িনি । দাদার টিনটিনের গল্প শুনে আমার খুব ইচ্ছে করছে কমিক্স পড়তে। ছোট থাকতে পত্রিকায় কার্টুনের ছবিগুলো দেখতে খুব ভাল লাগত ।
আমার প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ । ওনার গল্প পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে । সাথে কবিতার প্রতি ভীষন আকর্ষন আছে ।

দাদা আপনার আজকের লেখাটা পড়ে আমাদের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল । ছোটবেলায় আমিও অনেক গল্পের বই পড়তাম । গল্পের বই পড়ার সময় কোন দিকে না তাকিয়ে আগে ওইটা শেষ করার চিন্তা থাকতো।আমি পড়তাম বিভিন্ন রকমের কমিকস চাচা চৌধুরী, পিংকি, বল্টু ইত্যাদি। টিনটিন অবশ্য আমার পড়া হয়নি কিন্তু টিভিতে এটা দেখেছি সত্যিই খুব মজার কার্টুন। ধন্যবাদ এত সুন্দর ঘটনাটা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ।

দাদা টিনটিন বাবু সেটাই যেন হয় যেটা আপনি চাচ্ছেন সৎ, নির্ভীক, বন্ধুবৎসল রহস্যপ্রেমী। তবে আপনার বই পড়ার স্পৃহা টা ছিল বলেই আজ এত সুন্দর করে লিখতে পারেন। আমিও আপনার মতই বহু বই পড়েছি । তবে আমার বাবা আমাকে বই পড়তে উৎসাহী করতেন। তার ছোট লাইব্রেরীতে এখনও বই গুলো সুন্দর সাজানো আছে। আমি
একদিন এই বই গুলো নিয়ে একটি পোষ্ট করার চেষ্টা করবো। ভাল থাকবেন দাদ শুভেচ্ছা।

জীবনের ফেলে আসা দিনগুলো খেয়াল হলে, সেই বয়সটা মানস পটে নক্ষত্রের মত জ্বল জ্বল করে ভেসে উঠে। মনে হয় বয়সটা ওখানেই থমকে আছে। অদ্ভুত মানুষের জীবন। আশীর্বাদ কামনায়.....

গল্পের চরিত্রের প্রেমে পড়লে আর বের হওয়া আর সেটা যদি অল্প বয়সে হয় তাহলে তো কথাই নেই। আপনার টিনটিনের সাথে প্রেম, আর আমার প্রেম সমরেশ মজুমদারের দীপাবলি, জয়িতা, এত বছর কাটলো সেখান থেকে বেরই হতে পারলাম না। আপনার লেখাটাই একটা গল্প যার থেকে আপাতত আর বের হওয়া হবেনা দাদার।