রহস্যগল্প 'মাশরুম" - পর্ব ০৩ [শেষ পর্ব]

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)


copyright free image source pixabay

দ্বিতীয় পর্বের পর


মনস্থির করে ফেললেন মি: বালাপোরিয়া । দেখতেই হবে ব্যাপারটা । অবিশ্বাস্য জিনিষটা চাক্ষুস করার তীব্র ইচ্ছে কিছুতেই দমন করতে পারলেন না উনি । দ্রুত পোশাক পাল্টে নিলেন । ড্রেসিং গাউন চেঞ্জ করে পাতলা একটা টি শার্ট পরে নিলেন, প্যান্ট ছেড়ে শর্টস পরে জুতোর বদলে ডাবল মোজা পরে নিলেন; তার পর রাবারের চপ্পল । রাবারের চপ্পল পরলেন এই কারণে যাতে নি:শব্দে চলাচল করা যায় । দরজা খুলে নিচে নেমে মেইন গেটের সামনে এসে দাঁড়ালেন । স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন যখন দেখলেন গেট লকড নয় । অতি সন্তর্পণে ধীরে ধীরে হ্যাশ বোল্ট টানতে লাগলেন । মৃদু কর্কশ শব্দে অবশেষে গেট খুলে গেলো ।

গেট খোলা রেখেই বাইরে পা রাখলেন মি: বালাপোরিয়া । আকাশে আজ পূর্ণিমার চাঁদ । জোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে চরাচর । ধূসর পর্দা টানা চারিদিক । যদিও ফাগুন মাস তবুও শেষ রাতের দিকে হিম পড়ে এখনো । পাতলা টি শার্ট পরা, একটু শীত শীত করছে বালাপোরিয়াজীর । ধীরে ধীরে এগিয়ে চললেন তিনি "মাশরুম ঘরের" দিকে ।

মাশরুম ঘর । রাত আড়াইটে । প্লাস্টিকের পাতলা চাদর ঠেলে অতি সন্তর্পণে ভিতরে প্রবেশ করলেন মি: বালাপোরিয়া । অন্ধকার নয় ঘর । তবে উজ্জ্বল আলো নেই । ঘরের দুই প্রান্তে দুটি অনুজ্জ্বল আলো জ্বলছে । ধীরে ধীরে বালাপোরিয়া এসে দাঁড়ালেন সেই পেতলের গামলার কাছে । অতি তীব্র মিষ্টি গন্ধ চারিদিক । সকালে যেমন গন্ধটা পেয়েছিলেন তার চাইতে অনেক বেশি তীব্র এখন । আর হ্যাঁ, কোনো সন্দেহ নেই গন্ধের উৎস সেই পেতলের গামলা ।

ধীরে ধীরে গামলার দিকে ঝুঁকলেন । রাতেও দেখতে পেলেন গামলা শূন্য । কোনো মাশরুম নেই । তবে কি আগে ছিল ? এখন নেই ?

কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কীসব চিন্তা করলেন বালাপোরিয়াজী । তারপর ঘুরে পর্দার দিকে ফিরলেন । দেখতেই হবে পর্দার পিছনে কি আছে ? অবশ্য তিনি এখন কিছুটা অনুমান করতে পারছেন পর্দার আড়ালে কি থাকতে পারে ! লঘু পদক্ষেপে পর্দার কাছে গিয়ে পর্দা ওঠালেন । ভিতরে ঢুকে মোবাইলের টর্চ জ্বাললেন, কারণ ভেতরটা ছিল নিকষ কালো অন্ধকার ।

পরপর অনেকগুলি খাঁচা সাজানো রয়েছে দেখতে পেলেন । প্রত্যেকটি খাঁচায় রয়েছে বেশ কিছু গিনিপিগ । আর একটা ট্রেতে রয়েছে কয়েকটা মরা গিনিপিগ । ভুরু কুঁচকে কিছুক্ষণ সেদিকে চেয়ে রইলেন মি: বালাপোরিয়া । ব্যাপারটা এখন বেশ বোধগম্য হচ্ছে তাঁর কাছে । এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য ।

ধীরে ধীরে আবার পর্দা ঠেলে সেই পেতলের গামলার কাছে এসে দাঁড়ালেন তিনি । কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন গামলার কালো মাটির দিকে । কয়েকটি সাদা-কালো-বাদামি রঙের গিনিপিগের লোম দেখতে পেলেন তিনি মাটিতে । কি মনে করে একটা আঙ্গুল ছোঁয়ালেন সেই লোমের উপর । সেই মুহূর্তে মি: বালাপোরিয়া তাঁর সারা জীবনের সবচাইতে মারাত্মক ভুলটি করে বসলেন ।

কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি সবিস্ময়ে লক্ষ করলেন কালো মাটির বুকের অসংখ্য ছিদ্র দিয়ে কুচকুচে কালো রঙের শত শত পিনের একটা কুশন যেন উপরের দিকে ঠেলে উঠলো নিমেষের মধ্যে । ভালো করে তাকাতেই টের পেলেন সেগুলো মাশরুম । শত শত আলপিন আকৃতির নিকষ কালো মাশরুম । হাতটা উপুড় করে তিনি মাশরুমগুলির মাথার উপরিভাগ স্পর্শ করলেন । প্রায় সাথে সাথে সুঁচ ফোটানোর মত একটা তীব্র ব্যাথা তাঁকে ক্ষনিকের জন্য সেন্সলেস করে দিলো । মাথাটা ঝিম ঝিম করতে লাগলো । মিষ্টি গন্ধের তীব্রতা যেন শতগুনে বাড়িয়ে তুললো ।

দু'মিনিট পর । এখন আর তাঁর ব্যাথার কোনো অনুভূতি নেই । আছে ভালো লাগার একটা অসম্বব আমেজ । ঘুমিয়ে পড়তে ইচ্ছে করছে তাঁর । হাত টা তুলতে গেলেন তিনি । পারলেন না, হাতে কোনোরকমের কোনো সাড় নেই । কাঁধ পর্যন্ত অবশ ।

পাঁচ মিনিট পর । আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না মি: বালাপোরিয়া । ধীরে ধীরে হাঁটু ভেঙে বসে পড়লেন গামলাটা যে কাঠের স্ট্যান্ডের উপরে রাখা তার পাশে । বাঁ হাতটা এখনো পুরো অবশ রয়েছে । নাড়াতে পারছেন না । আটকে রয়েছে গামলার ভিতরে মাশরুমগুলোর মাথার উপরে টাচ করা অবস্থায় । শুধু বড় বড় চোখ মেলে অসহায়ের মত চেয়ে রইলেন গামলার মাশরুমগুলোর দিকে । মাথার ভিতর ঝিম ঝিমানি আরো বেড়েছে । দ্রুত দেহের শক্তি হ্রাস পাচ্ছে । মাথা উঁচু রাখাটাই কষ্টের মনে হচ্ছে ।

দশ মিনিট পর । মি: বালাপোরিয়ার সমস্ত শরীর এখন অবশ, প্যারালাইজড । কী ঘটতে যাচ্ছে বুঝতে পারছেন । কিন্তু দারুন অসহায় তিনি । চিৎকার করে সাহায্য চাইবেন সে শক্তিও নেই তাঁর শরীরে বিন্দুমাত্র এখন ।

তিরিশ মিনিট পর । মৃত্যুর ঠিক আগে মি: বালাপোরিয়া বিস্ফারিত চোখে দেখতে পেলেন নিকষ কালো মাশরুমগুলি রক্তবর্ণ ধারণ করছে, টকটকে লাল রঙ; ঠিক তাঁরই শিরায় প্রবাহিত রক্তের মতো রাঙা । অস্ফুট স্বরে শুধু শেষ বারের মতো বলতে পারলেন "a genetically modified new species of carnivorous toxic mushroom, the masterpiece!"

.......[সমাপ্ত ]

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

মাশরুমটি কে ড: সোম মাস্টারপিস বললেও মাসরুম টি অত্যন্ত ভয়ানক এবং বিপদজনক। যেহেতু শিকার দেখলেই এটি মাটির ছিদ্র থেকে বেড়িয়ে আসে এবং সবসময় উপরে অবস্থান করে না, তাই এটি যেকোন হিংস্র প্রাণী থেকে কোন অংশেই কম নয়। আর কৌতুহল ভাল কিন্তু বেশি কৌতুহল ভাল নয়। অধিক কৌতুহলী হয়েই মি: বালাপোরিয়া নিজের মৃত্যুর দিকে হাত বাড়িয়েছে। মৃত গিনিপিগ গুলো দেখেই মি: বালাপোরিয়ার সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কারণ মাটিতে গিনিপিগের লোম এবং মৃত গিনিপিগ গুলো দেখেই তার বুঝে যাওয়া উচিত ছিল এখানে বিষ জাতীয় বা বিষাক্ত কোন পদার্থ থাকতে পারে। কোন রকম সতর্কতা অবলম্বন না করে সম্পূর্ণ অচেনা এবং অজানা একটি মাশরুমে হাত দেওয়াই তার জন্য কাল হয়ে দাড়ালো। প্রোফেসর সোম এর কড়া বাড়ণ এবং মৃত গিনিপিগ গুলোই নিশ্চিত করছিলো এখানে বিপদজনক কোন ব্যপার আছে। মি: বালাপোরিয়ার উচিত ছিল হাত না দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা। আর এই ভয়ংকর মাশরুমের ক্ষমতা হচ্ছে সুন্দর মিষ্টি গন্ধের মাধ্যমে শিকার কে আকৃষ্ট করা এবং বিষাক্ত সুচ দিয়ে আক্রমণ করে রক্ত শুষে নেওয়া। যার কারণে এই কারনিভোরাস বা মাংসাশী মাশরুম টিকে আমার অত্যন্ত অদ্ভ্যুত এবং ভয়ানক লেগেছে। জিন পরিবর্তন করে ড: সোম অত্যন্ত মারাত্মক একটি মাশরুম তৈরি করে ফেলেছে।
গল্প টি এক কথায় অসাধারণ ছিল দাদা। সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার টি পড়ে অনেক ভাল লেগেছে।❤

অনেক মানুষ হয়তো জানেনই না আদপেই কার্নিভোরাস মাশরুম পৃথিবীতে বর্তমান। ওয়েস্টার মাশরুম। যার বিষ প্যারালাইস করে দেবার ক্ষমতা রাখে।

থ্রিলার আমার দারুন লাগে। তবে শেষটা মারাত্মক ভালো ছিলো। টানটান গল্পের সমাপ্তি হলো। ❤️

দাদা প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই, এত সুন্দর বিজ্ঞানসম্মত কল্পকাহিনী আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।

আমি আপনার তিনটি পর্ব পড়ে এই বিজ্ঞানসম্মত কল্পকাহিনীর সারমর্ম তুলে ধরলাম:

১. ডক্টর সোম আমেরিকা ফেরত জীনতত্ত্ব বিষয়ক বিজ্ঞানী। তিনি আমেরিকা থেকে ফিরে এসে মাশরুমের জিন নিয়ে গবেষণা করবেন। মাশরুমের জিন নিয়ে গবেষণা করে এমন একটি মাশরুম তৈরি করবেন, সেই মাশরুম টি টক্সিক বা বিষাক্ত যা জীবের পান নিতে পারে। এমন বিষাক্ত মাশরুমের গবেষণা সাধারণ জায়গায় সম্ভব নয় কারণ মানুষের উপদ্রব আছে, তাই মানুষজন ভুলক্রমে যদি মাশরুমের গায়ে হাত দিয়ে ফেলে তাহলে মৃত্যু হতে পারে জেনে জঙ্গলে মাশরুমের গবেষণা শুরু করে।

২. সরকারের নিকট হতে মিস্টার বালা পরিয়া কে পাঠানো হয়, ডক্টর সোমের নিকট যে ঠিকঠাক মত গবেষণা কার্য চালানো হচ্ছে কিনা।

৩. মি: বালাপরিয়া , ডক্টর সোমের নিষেধাজ্ঞা না মেনে কৌতুহলী হয়ে উঠেছিলেন। এমনকি ডক্টর সোমের ব্যক্তিগত ডাইরিটি পড়ে তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি যে এমনটি হওয়া সম্ভব। পরবর্তীতে মি: বালা পরিয়া গিনিপিগ গুলো দেখে বুঝতে পারছিলেন যে, ডক্টর সোম গিনিপিগ জীবের মাধ্যমেই পরীক্ষা করেন যে মাশরুম টাচ করলেই জীবের মৃত্যু সম্ভব। কিন্তু তারপরেও মি: বালা পরিয়া বিশ্বাস করেন নাই, অতি কৌতূহলবশত হয়ে মাশরুমের গায়ে টাচ করেন এবং তার জীবনটা অবিশ্বাস , কৌতুহল ও নিষেধাজ্ঞা না মানার কারণে শেষ হয়ে যায়।

সারাংশ:
১. অবিশ্বাস (ডক্টর সোমের মাশরুম দিয়ে জীবিত গিনিপিগ কে পরীক্ষা করে দেখে যে গিনিপিগ মারা যায় কিনা)
২. নিষেধ অমান্য করা.
৩. জিনোম সম্পর্কে অজ্ঞতা.
৪. অতিরিক্ত কৌতুহলী.

৬/০৯/২০২১(সোমবার)
সময়: ১১:৩৭, রাত্রে
এইসময় এরপর যদি কেউ আমার লেখা পড়ে , কপি করে কমেন্ট করে তাহলে সেই ক্রেডিট আমার।
ধন্যবাদ দাদা,

আর সব ছোট গল্পের মতোই যেন খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল। আমি ভেবেছিলাম আরো অনেক কিছু হতে চলেছে বিশেষ করে গত পর্বের লেখাটি পড়ার পরেও। বর্তমান সময়ে অনেক জেনেটিক্যালি মডিফাইড খাবার এবং গবেষণা হচ্ছে। অনেক সময় উপযোগী লেখা ছিল। দাদা আপনার লেখার হাত অনেক ভালো এবং পাঠক কে ধরে রাখতে পারবেন।

গেট খোলা রেখেই বাইরে পা রাখলেন মি: বালাপোরিয়া । আকাশে আজ পূর্ণিমার চাঁদ । জোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে চরাচর । ধূসর পর্দা টানা চারিদিক । যদিও ফাগুন মাস তবুও শেষ রাতের দিকে হিম পড়ে এখনো । পাতলা টি শার্ট পরা, একটু শীত শীত করছে বালাপোরিয়াজীর । ধীরে ধীরে এগিয়ে চললেন তিনি "মাশরুম ঘরের" দিকে ।

এই অংশটি পড়ে মনে হচ্ছিল যেন সমরেশ, শীর্ষেন্দুর কোন উপন্যাস পড়ছি। অনেক সাহিত্যিক ভাবগম্ভীরতা নিয়ে লিখেছেন এবং চমৎকার হয়েছে আসলে।

দাদা এই গল্পটি পড়ে আমি অনেক কিছু জানতে পারলাম শিখতে পারলাম এবং বুঝতেও পারলাম। এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি কল্পকাহিনীমূলক বৈজ্ঞানিক গল্পের জন্য। এই গল্পটি পড়ে আমি যেটি বুঝতে পারলাম সেটি হল ডাক্তার সোম একজন জীনতত্ত্ববিদ বৈজ্ঞানিক তিনি মাশরুমের জিনোম সিকোয়েন্স পরিবর্তনের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর রক্তখেকো মাশরুম আবিষ্কার করেছিলেন।যেটিকে সরাসরি দেখা যায় না। এই ভয়ঙ্কর মাশরুম টির অদ্ভুত ব্যাপার ছিল সেটি হল একটি সুন্দর মিষ্টি গন্ধের মাধ্যমে তার শিকারকে আকৃষ্ট করে। এখানে ডাক্তার সোম এই মাশরুমটিকেই মাস্টারপিস হিসেবে অভিহিত করেছেন। মধ্যপ্রাচ্য সরকার মিস্টার বালপোরিয়াকে ডাক্তার সোমের মাশরুম গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন জন্য পাঠিয়ে ছিলেন কিন্তু তিনি ডাক্তার সোমের এই অতি আশ্চর্য জনক আবিষ্কারের উপর অতি উৎসাহিত হয়ে ডাক্তার সোমের বার বার বারণ করা সত্ত্বেও এই মাশরুমটিকে স্পর্শ করেছিলেন। আর এতেই মিস্টার বালপোরিয়ার জীবনের অবসান ঘটল।
এর মাধ্যমে আমরা আরও যেটা বুঝতে পারলাম যে কোন জিনিসের জন্য উৎসাহ ভালো কিন্তু অতি উৎসাহ ভালো নয়।

  ·  3 years ago (edited)

@rme দাদা,গল্পটি আমি অনেকবার পড়লাম এবং পড়ার পর বুঝতে পারলাম গল্পের সারমর্মটি হলোঃসবকিছু জানার পরেও অবিশ্বাস এবং নিছক সন্দেহ ই একটি মানুষের জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়।

কারণসহ ব্যাখাঃ
গল্পের দ্বিতীয় পর্বের শেষ অংশটিই ছিল গল্পটির আসল টুইস্ট।যেখানে দাদার বর্ণনামতে–"বালাপোরিজি ড.সোমের মাস্টারপিস অংশটা পড়ার সময় প্রচন্ড রকমের ভয় পেয়েছিলেন এবং তিনি বলেছিলের এও কি সম্ভব!"
কারণ ড.সোমের ডাইরির মাস্টারপিস অংশটা সংক্ষিপ্ত হলেও ওখানে গবেষণার প্রধান বিষয়গুলোয় লেখা ছিল।আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন আমি এতসব কিভাবে জানলাম।আসলে দাদার গল্পের তৃতীয় পর্বের একটা অংশে বালাপোরিয়াজি যখন মৃত গিনিপিগ গুলো দেখলেন তখন তিনি একটি মন্তব্য করেছিলেন আর তা হলো-

ব্যাপারটা বেশ বোধগম্য মনে হচ্ছে এখন তার(বালাপোরিয়ার)কাছে

অর্থাৎ ডাইরিটা তে সে এক্সাক্টলি এই বিষয়গুলো পড়েছিলেন আর বর্তমানে সে বিষয়টির চাক্ষুস প্রমাণ।সে বুঝতে পারলো গিনিপিগগুলো দিয়ে ড. সোম সেই বিষাক্ত মাংসাশী মাশরুমের উপরই পরীক্ষা চালিয়েছিল।এরপরেও বালাপোরিয়াজির মনে সন্দেহ থাকে এবং সে সেই মারাত্মক ভুল কাজটিই করে ফেলে আর তার শেষ পরিণতি হয় গিনিপিগুলোর মতো মৃত্যু।

এর জন্য আমি গল্পের সারমর্ম টাতেও একই কথা লিখেছি কারণ সে ডাইরির মাস্টারপিস অংশটা পড়েই সবকিছু বুঝতে পেরেছিলেন এবং আমার বিশ্বাস তিনি মৃত্যুর আগে মাসরুমটির যে নাম বলেছিলেন সেটাও ওই ডাইরিতেই লেখা ছিল।আশা করি ব্যাপারটি বোঝাতে পেরেছি।

আসলে আপনার লেখার হাতে জাদু আছে দাদা।আপনি গল্পের তৃতীয় পর্বেই কিছু উক্তির মাধ্যমে সবকিছু পরিষ্কার করে দিয়েছেন।এক কথায় অসাধারণ একটি থ্রিলার সাইন্স-ফিকশন গল্প দাদা।গল্পটিবঅনেক উপভোগ করেছি।ধন্যবাদ সবাইকে

Loading...

দাদা আপনার গল্পের প্রথম দুই পর্ব পড়ে আমার মনে হয়েছিলো এটি একটি থ্রিলার ঘরানার গল্প। কিন্তু শেষ পর্ব পড়ার পর বুঝতে পারলাম এটি সায়েন্স ফিকশন। ১৯৮০ সালে বিজ্ঞানী প্রথম আবিষ্কার করেন কার্নিভোরাস টক্সিক মাশরুম বা ওয়েস্টার মাশরুম। এই ধরনের মাশরুম মুহূর্তের ভেতর মানুষকে এর বিষ দারা প্যারালাইসড করে ফেলে কিছু বুঝে উঠার আগেই। ডঃ সোম এই মাশরুম এর জিন পরিবর্তন এর মাধ্যমে অদৃশ্য একটি ভয়ঙ্কর রূপ দিয়েছে। যেটা মিঃ বালাপোরিয়া বুঝতে পারেনি। তার সতর্কতা বিহীন অযাচিত কৌতুহল তাকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিলো। তার অবশ্যই মরা গিনিপিগ দেখে বিপদটা আঁচ করা উচিৎ ছিলো।

ধন্যবাদ দাদা এরকম একটি কল্পকাহিনী আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার এই কল্পকাহিনী থেকে আমি যেটা বুঝতে পেরেছি সেটি হল ডাক্তার সোম এখানে অতিসংবেদনশীল ভয়ঙ্কর রক্তখেকো মাসুরুমকে মাস্টারপিস বলে অভিহিত করেছেন। ভয়ানক মাশরুম টি তার শিকারকে সুন্দর মিষ্টি গন্ধ দ্বারা আকৃষ্ট করে কাছে ডেকে আনে আর তারই শিকার হয়েছিলেন মিস্টার বালাপোরিয়া।
এখানে আমি আরো যেটা বুঝতে পেরেছি তা হলো ডাক্তার সোম একজন আমেরিকা ফেরত বৈজ্ঞানিক তিনি মাশরুমের জীনতত্ত্ব নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বিভিন্ন রকম মাশরুমের জিনোম সিকোয়েন্স চেঞ্জ করে এই মাস্টারপিস মাশরুম কে আবিষ্কার করেন যা অত্যন্ত ভয়ানক ছিল। মধ্যপ্রদেশের সরকারের প্রতিনিধি মিস্টার বালাপোরিয়া ভিজিট করতে এসে ডাক্তার সোমের বার বার বারণ করা সত্ত্বেও অতি উৎসাহিত হয়ে তিনি এই ভয়ানক মাশরুমটির মধ্যে পড়ে থাকা গিনিপিগ এর লোম স্পর্শ করেছিলেন বলেই তিনি তার মৃত্যুকে ডেকে এনেছিলেন। যদিও তিনি বারবার এটি ভালো করে দেখার চেষ্টা করেছিলেন এবং এর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করেছিলেন। তবে এখানে অতি আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে মিস্টার বালাপোরিয়া অতি উৎসাহিত হয়ে এই মাশরুম টিকে স্পর্শ করায় তার মৃত্যুর কারণে আমরাও এই ভয়ানক মাশরুম টির সম্পর্কে জানতে পারলাম। যেটা গল্পের কোথাও ডাক্তার সোম উল্লেখ করেন নাই।


গল্পটি পড়ে আমি বিভিন্ন ভাবে গবেষণা করে আমি যতটুকু বুঝতে সক্ষম হয়েছি সেটা তুলে ধরা হলো।

প্রথম পর্বে আমি একটি কথা পেয়েছিলাম যেটার নাম জিনোম সিকোয়েন্স:
জিনোম সিকুয়েন্স সম্পর্কে আমি এটা জানতে পেরেছি যে, জিনোম সিকোয়েন্স হলো ডি এন এ আর ক্রম বিন্যাস।এর সাহায্যে খুব নিপুণ ভাবে কোন জীবের জিনেটিক কোডকে আলাদা করা হয়।
তারপরে পোস্টটিতে বলেছেন যে মাশরুম চাষ করা হবে সেটা টক্সিক! অর্থাৎ চাষকৃত মাশরুম টি হবে বিষাক্ত।যেটা খাওয়া যাবে না।
তারপর আমি গল্পে পেয়েছিলাম ড: সোম আমেরিকা থেকে গিয়ে এসে একটি পান্ডব বর্জিত জঙ্গলে একটি গবেষণাগার তৈরি করেছিলেন।এখানে পান্ডব বর্জিত জঙ্গল বলতে আমি পাহাড় এবং জঙ্গল কে বুঝেছি।আমি মনে করি তার গবেষণাগার কোন পাহাড়ে ছিল যেটা জঙ্গলে পরিপূর্ন।যেই গবেষণাগারে মধ্যপ্রদেশের সরকার একজন পরিদর্শককে পাঠায় যার নাম ছিল বালাপরিয়া।

ডা: সোম যে মাশরুম গুলো নিয়ে গবেষণা করেন মাশরুম গুলো ব্রাজিলিয়ান মাশরুম ছিল। কিন্তু পরিদর্শক হিসেবে মি: বালাপোরিয়া সেখানে গিয়ে তার গবেষণাগারে কোন মাশরুম পায়নি। উত্তরে ডা: সোম বলেছিলেন যে তার গবেষণা মূলত জিন নিয়ে। থেকে আমি পরিষ্কার হয়েছি যে গল্পটি জিন নিয়ে। মি: বালাপোরিয়া যখন মাশরুমের কথা বলে তখন ডা: সোম তাকে একটি লম্বা প্লাস্টিকের সেড লক্ষ্য করতে বলেন।সেখানে যাওয়ার জন্য বালাপোরিয়া বেশ আগ্রহ পোষণ করে থাকে।কিন্তু সেখানে সবাইকে যেতে নিষেধ করে থাকে ডা: সোম।কেননা সেট একটু বিপদজনক জায়গা।
কিন্তু সেখানে মি:বালাপোরিয়া যাওয়ার জন্য এক পায়ে খাড়া, তাই ডা: সোম তাকে মাশরুম টাচ না করার শর্তে সেখানে নিয়ে যায়।মাশরুম ঘরে মাশরুম গুলো প্লাস্টিকের চাঁদর দিয়ে ঘেরা ছিল।
সেখানে মি:বালাপোরিয়া একটি মিষ্টি গন্ধ পেয়েছিল যেটা একটি পিতলের গামলা থেকে এসেছিল।পিতলের হামলার কাছে যাওয়া মাত্র ডা:সোম তাকে কর্কশ ভাবে সরে যেয়ে বলেন।

তারপর রাতের খাবার শেষে বালাপোরিয়া শোয়ার ঘরে গিয়ে জানালা খুলে গভীর রাতে ডা:সোম কে মাশরুম ঘরে যেতে দেখেন।

যখন বালাপোরিয়া ডা: সোম এর ডাইরির পাতা উল্টাচ্ছিল এমন সময় মাস্টারপিস নামের লেখাটা তার চোখে লাগে এবং পিতলের গামলা এবং নীল রঙের ঘেরা পর্দার ভেতরে কি আছে সেটা সম্পর্কে জানার জন্য কৌতুহল হয়ে পরেন।
পরে বালাপোরিয়া রুম থেকে একটা পাতলা টি শার্ট এবং চপ্পল পড়ে গেটের বাহিরে যায়।তারপর ধীরে ধীরে বালাপোরিয়া মাশরুম ঘরে প্রবেশ করেন এবং পিতলের গামলার কাছে যায়।অতি মিষ্টি গন্ধটা যেন আরো বেশি তীব্র ছিল।গামলার দিকে ঝুঁকে বালাপোরিয়া নিজেকে প্রশ্ন করেন গামলাতে এখনও কোন মাশরুম নেই তবে মাশরুম কি আগে ছিল?এখন নেই?

তারপর বালাপোরিয়া নীল পর্দার পেছনে কি রয়েছে সেটা দেখার জন্য গেলেন এবং নিকষ কালো অন্ধকার দেখতে পায়।তখন তার মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে নেয়।সেখানে বালাপোরিয়া দেখতে পায় কিছু গিনিপিগ (দেখতে খরগোশের মত)সেখানে মরা গিনিপিগ ও ছিল।
তারপর সে পুনরায় পিতলের গামলার কাছে এসে দাঁড়ায় এবং কালো মাটি গুলো লক্ষ্য করে এবং গিনিপিগের কয়েকটি লোম দেখতে পায়।তারপর বালাপোরিয়া একটি মারত্মক ভুল করে লোম গুলো টাচ করে।
টাচ করা মাত্র লক্ষ্য করেন শত শত মাশরুম।সেগুলো দেখতে নিকষ কালো আলপিনের মতো ছিল।বালাপোরিয়া মাশরুম গুলো উপরিভাগ স্পর্ষ করা মাত্র ক্ষণিকের জন্য সেন্সলেস হয়ে পড়েন।তিন মিনিট পর সে বুঝতে পারে তার হাত কাদ পর্যন্ত অবস হয়ে গেছে।ক্রমান্বয়ে তার শরীর একদম নাজুক অবস্থা হয়ে পড়ে।পরবর্তীতে সে লক্ষ্য মাশরুম গুলো লাল বর্ণ ধারণ করেছে।যেটা আমার কাছে মনে হচ্ছে রক্ত।আমি মনে করি মি: বালাপোরিয়া নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার কারণটা ছিল তার শরীর থেকে মাশরুম রক্ত শুষে নিয়েছিল।

গল্পটি পড়ে আমি বুঝতে আরো ভালো করে বুঝতে পারলাম মি: বালাপোরিয়া একজন নির্বোধ লোক।এখানে এসে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারেনি।সে একজন সরকারি প্রতিনিধি সেটা ছিল তার গৌরব।ডা:সোম এর নিষেধ করা সত্ত্বেও গামলার ভেতরে থাকা মাশরুম স্পর্শ করা ছিল তার জন্য একটি বড় ভুল।তাছাড়া আমি এই গল্পের মাধ্যমে জানতে পারলাম একটি মাংসাশী মাশরুম সম্পর্কে।

গল্পটির তিনটি পর্ব পড়ে আমি এই বিষয় গুলো উপলব্ধি করতে পেরেছি।জানি না কতটুকু সফল হবে।

শুভেচ্ছায় @sabbirrr

  ·  3 years ago (edited)

চমৎকার রহস্যের গল্প উপহার দিয়েছেন আমাদের প্রিয় @rme দাদা।যেটি গল্প শেষ হওয়া সত্ত্বেও সবার মনে রহস্যের জাল বুনে দিয়েছে।
এই গল্পটি পড়ে আমি যেটি বুঝেছি----
ড.সোমের সেরা আবিষ্কার "মাস্টারপিস"।যেটির উদ্দেশ্য ছিল পারালাইজড বিষয় নিয়ে কিছু করার।কারণ এখন বর্তমানে বিভিন্ন বিষাক্ত জিনিস গবেষণার দ্বারা নতুন ঔষুধ আবিষ্কার করা হয়।সেটি কোনো জীব ও জন্তুর উপর প্রয়োগ করা যাবে।যেহেতু ড.সোম ব্রাজিলের ঘন জঙ্গলে জন্মানো মাশরুম নিয়ে গবেষণা করেন সেহেতু সেগুলো খুবই বিষাক্ত এবং রক্তশোষক মাশরুম।এই মাশরুমগুলি বংশপরম্পরায় জিনগতভাবে পরিবর্তিত তাই আমার মনে হয় এটি যখন তখন অদৃশ্য ও হতে পারে।দিনের আলোয় কম গন্ধ ও রাতে অন্ধকারে বেশি আকর্ষণীয় তীব্র গন্ধ ছড়ায় ,এই গন্ধটি ড.সোমের মেডিসিনেরই প্রভাব গামলার কালো মাটিতে।ড.সোম গামলাটির মধ্যে রক্তচোষক মাশরুমগুলিকে গিনিপিগের রক্ত দিয়ে পরিচর্যা করতেন আর তাই রাতে খাওয়ার পরে ও না ঘুমিয়ে মাশরুম ঘরে গিয়েছিলেন।
বালাপোরিয়াজি লাল কভার নোটবুক পড়ে কিছুটা ধারণা পেয়েও নিজেকে সামলে নিতে পারেন নি।কারণ তার মধ্যে বিপদ কাজ করছিল না বরং অবিশ্বাস্য জিনিসটা দেখার অদম্য ইচ্ছেই তার শেষ পরিণতির কারণ।তাই ড.সোমের বারনকে উপেক্ষা করে বালাপোরিয়া টাচ করতেই গিনিপিগের লোম সুচালো ভাবে আঙুলে ইনজেকশনের মতো বেঁধে গিয়ে রক্ত শুষে নিচ্ছিল আর রক্ত খেয়ে মাশরুমগুলি বৃদ্ধি পাচ্ছিল।কারণ গামলা মধ্যে টাচ করতেই অদৃশ্য মাশরুমগুলি টের পেয়ে বেরিয়ে এসেছিল।মানুষের রক্ত যেহেতু গাড় লাল সেহেতু মাশরুমগুলির রং লাল বর্ন ধারণ করেছিল।তবে ড.সোমের গবেষণা যে কিছুটা স্বার্থক হয়েছে তা বালাপোরিয়াজির মৃত্যুর কারণটিতে পরিষ্কার ফুটে উঠেছে।আমি যেটুকু বুঝেছি সেটুকুই ব্যক্ত করলাম মাত্র দাদা।

সবশেষে এই গল্পটি থেকে যে শিক্ষা নিলাম তা হলো, "অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী" এবং "সবসময় ইচ্ছে থাকলে ও কিছু কিছু বিষয়ে প্রকাশ/প্রয়োগ করা উচিত নয়"।
ধন্যবাদ দাদা।

অসম্ভব লিখেছেন দাদা, এটা আগে বলে নিলাম। কারন আমি খুব বেশী বই পড়ি না, তবে হুমায়ুন আহমেদের লেখা পড়তাম এবং টানা পড়ে শেষ করে ফেলতাম। আপনার লেখার প্রতি ঠিক সেই রকম একটা অকর্ষনবোধ করেছি, বহুদিন পর। এক নিঃশ্বাসে শেষ পর্বটি শেষ করলাম, তবে নিঃশব্দে কারন রহস্য ঘেরা বিষয়তো একটু ভয় ভয়ও কাজ করেছিলো।

শেষ দৃশ্যে মনে হচ্ছিল আমার সেন্সও অবস হয়ে আসছে, হুট করেই দাদা শেষ করে দিলেন বলে। আসলে মি: বালাপোরিয়া নোটবুকটা পড়েও নিজের কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভুলটি করে বসলেন এবং ডাঃ সোম এর সেরা আবিস্কারটি স্পষ্ট করে নিজেকে শেষ করলেন।

নোটবুক পড়া এবং তার আবিস্কার সম্পর্কে ধারনা পাওয়া এবং মরা গিনিপিগগুলো দেখে বিষয়টি তার পরিস্কার হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ ছিলো কিন্তু তিনি কৌতুহল বশতঃ সেই নতুন প্রজাতির মাংসাশী বিষাক্ত মাশরুমগুলো স্পর্শ করলেন এবং নিজের মৃত্যুর কারন নিজেই হলেন। তৃতীয় সেন্স কাজ না করলে যা হয়। যথেষ্ট ভালো লিখেছেন দাদা, আমি উপভোগ করেছি। এই রকম আরো কিছু চাই, যেন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। হি হি হি তবে মারা যেন না যাই।

তারমানে ঐ গুলো রক্তচোষা মাশরুম ছিল। এইটা থেকে একটা মেসেজ আমি পেয়েছি। সেটা হচ্ছে কারো ব্যাক্তিগত ব্যাপারে বেশি আগ্রহ দেখালে। সেটার ফল খুব একটা ভালো হয় না। যেমনটা ভুল বালাপোরিয়া। চমৎকার ছিল ভাই সব মিলিয়ে।

Loading...

এখানে বিভিন্ন ধরনের মাশরুম আছে, এমন মাশরুম আছে যা ভোজ্য এবং এমন কিছু মাশরুম আছে যা ভোজ্য নয় কারণ তারা বিষাক্ত।

কিছু ধরণের মাশরুম বা মাশরুমের ধরনগুলি সত্যিই খেতে সুস্বাদু কারণ সেগুলি স্বাদে ভাল এবং উপকারে সমৃদ্ধ।

এখন বেশিরভাগ মানুষ মাশরুম সম্পর্কে জানেন না, কারণ কিছু মাশরুমে খুব বিপজ্জনক বিষ থাকে।

ধন্যবাদ ভাই এই সুন্দর গল্পটি শেয়ার করার জন্য, আমি এটা পড়ে উপভোগ করেছি ..

🥰🥰

মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। মিস্টার বালাপোরিয়াজী ডক্টর সোমের ডাইরি পড়ার পরেও তার কৌতুহল শেষ হওয়ার কথা কিন্তু তাঁর কৌতুহল আরো বেড়ে যায় এবং সে চাক্ষুষ দেখার জন্য গবেষণাগারে চুপিসারে প্রবেশ করে। অথচ সেখানে তার যাওয়া নিষেধাজ্ঞা ছিল। কৌতূহলবশত সে হাত দিয়ে স্পর্শ করে বিষাক্ত মাশরুম এর কবলে পড়ে মৃত্যুর মুখে পতিত হলো। যেখানে ডক্টর সোম নিজেই খুব উদ্বিগ্ন ছিল এবং তাকে নিষেধাজ্ঞা করেছিল যেন গামলার দিকে না যায়। যেহেতু মিস্টার বালাপোরিয়াজী কয়েকবার গামলার দিকে তাকিয়ো মাশরুমগুলো দেখতে পাননি। তার মানে এগুলো অদৃশ্য কিংবা বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন ছিল। আর সেই সাথে অবশ্যই সেগুলো বিষাক্ত ছিল। আর তাছাড়া আমরা সচরাচর যে মাশরুম দেখি সেগুলো থেকে কোন সুগন্ধ বের হয় না। তারমানে এটি ডক্টর সোম এর মাস্টারপিস আবিষ্কার। সেখানে হয়তো তিনি সেগুলো কি মেডিসিন দিয়ে সুগন্ধি করেছিলেন এবং অদৃশ্য করার ক্ষমতা রেখেছিলেন আমার কাছে তাই মনে হচ্ছে। যাই হোক অতি কৌতূহল মানুষকে ভুল পথে ধাবিত করে আমার কাছে মনে হচ্ছে তিন পর্বের এটি মূল শিক্ষা।

দাদা আমি গল্পটার তিনটা পর্বই খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। গল্প থেকে বালোপোরিয়ার একটা জিনিস বুঝতে পারলাম। অতি বেশি জানার আবেগের কারণে তার শেষ পরিণামটা ভয়াবহ হয়েছিল। তিনি মি:সোমেনের বারন করা সত্ত্যেও গামলার কাছে গেলেন এবং না চিনে কালো কুচকুচে কালারের মাশরুমগুলোতে নিজের হাত রাখলেন। যাতে তার জীবনটা অসহায় বেদনা দায়ক হয়ে পরে রইল।তবে দাদা পর্দার আড়ালে থাকা গিনিপিগগুলো কি? সেটা আমি বুঝতে পারি নাই। মানে কোনগুলোকে গিনিপিক বলা হয়।

সত্যি বলতে দাদা এই গল্পের তিনটা পর্ব পড়েও কেনো যানি আমার গল্পের রহস্যটা ঠিক বুঝে উঠতে পারি নাই। তবুও চেষ্টটা করেছি বুঝার কিছুটা হলেও। আপনার লেখার প্রশংসায় তুলনাহীন। আপনে হলেন সব দিকে পার্দশী একজন মানুষ। আপনার জন্য ভালোবাসা এবং শুভ কামনা।

তবে দাদা পর্দার আড়ালে থাকা গিনিপিগগুলো কি? সেটা আমি বুঝতে পারি নাই। মানে কোনগুলোকে গিনিপিক বলা হয়।

image.png
এখান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

আপনি খরগোশের মত যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন সেটাকে গিনিপিগ বলে।গিনিপিগ এর বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন।

ধন্যবাদ ❤️

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই, বিষয়টা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।

❤️😊🙂

আসলে শেষটা যে এত তাড়াতাড়ি হবে বুঝতে পারি নি। যেমনটা ভেবেছিলাম ঠিক তেমনটাই হয়েছে মিঃ বালাপোরিয়া এর সাথে। অতিমাত্রায় আগ্রহ ও চুরি করে অন্যের গবেষণা দেখা মোটেই গ্রহণযোগ্য না। প্রফেসর সোমের আবিষ্কারে কি থাকতে পারে তা শুধু তিনিই জানতেন, তাই মিঃ বালাপোরিয়াকে কোনো মাশরুম টাচ করতে দেন নি। কিন্তু মিঃ বালাপোরিয়ারের চোরের স্বভাব, তাকে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দিয়েছে।

আমার কাছে আপনার এই লেখাটি ছোটগল্পের মত লেগেছে। কিন্তু এই ছোটগল্পের মধ্যেও আমি অনেক রোমাঞ্চিত ও উত্তেজনাময় সময় কাটিয়েছি। প্রতিটি পর্বের শেষের দিকে যে পুরো গল্প পড়ার উত্তেজনা জাগিয়েছে, সে হিসেবে বলতেই হয়, আপনার এই লিখা গল্পটি থ্রিলার + ছোটগল্প।

গল্পটা বিজ্ঞানসম্মত একদম থ্রিলার একটা মুভির মতো লাগছে।কি হবে পরে এটার অপেক্ষায় ছিলাম।এক মুহূর্তের জন্যও উঠতে পারিনাই গল্পটা না পড়ে।আসল কথা হচ্ছে কৌতুহলবশত কোনো কিছু স্পর্শ বা দেখা ঠিক না।মি বালপোরিয়া কৌতুহল বশত কাজটি করেছে এবং তার পূর্ব কোনো ধারনাও ছিলনা এসব ভিন্ন ধর্মী মাশরুমের ব্যাপারে।যার কারণে মি বালপোরিয়া মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো।
তবে নতুন এই কার্টিভরাস টক্সিক মাশরুম সম্পর্কে জানতে পারলাম।যে ভাইরাসটি ডা আবিষ্কার করতে চেয়েছিল।আর এই ভাইরাসের ক্ষমতা ছিল মানুষকে প্যারালাইজড করে দেবার মতে।

ধন্যবাদ দাদা থ্রিলারের মতো ছিল গল্পটি।এসব গল্প দেখতে যেমন ভালো লাগে,পড়তেও তেমন ভালো লাগে।উত্তেজনাকর একটি গল্পের সমাপ্তি হলো❤️

তিন টা পর্ব আমি একসাথে পড়লাম। মি: বালাপোরিয়া জীবনের অনেক বড় একটি ভুল করলেন। গল্প পড়তে ও লিখতে আমার অনেক ভালো লাগে। এই গল্প থেকে নতুন ভাবে নতুন গল্প লেখার অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। পুরোটা গল্প জুড়েই ছিল শুধু রহস্য। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে এত সুন্দর গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

অসম্ভব রহস্যে ভরা ছিল গল্পটি। তবে মি.বালপোরিয়া মাত্রা অতিরিক্ত কৌতুহল দেখিছেন। অতি উৎসুক মন ভয়াবহ পরিস্থিতির সামনে দার করাতে পারে।সেই ঘটনাটি ঘটেছে বালপোরিয়ার সাথে। গিনিপিগ দেখেই ওনার সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। তাহলে অন্তত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যেতেন

@rme দাদা আমার মনে হচ্ছে এই কার্নিভোরাস মাশরুমটাই হচ্ছে ডা এর আবিষ্কার। আর এই মাশরুমের ক্ষমতা আছে মানুষকে প্যারালাইজড করে দেওয়ার এজন্যই তিনি চাচ্ছিলেন না বালাপোরিয়াকে দেখাতে।আর ডা. কার্নিভোরাস মাশরুমের সাথে গিনিপিগের ক্রসিং করানোর মাধ্যমেই এমন কিছু একটা করতে চাইছে যা অত্যন্ত ভয়ংকর আর এটা এখন ডা. প্রকাশ করতে চাইছেন না কারণ কাজ হয়তো আরো বাকি আছে।

মি:বালাপোরিয়ারকে মানা করা হইছে কিন্তু তাও সে মানে নাই আর এজন্যই সে বিপদে পড়ছে।মাশরুমে এমন কিছু একটা আছে যা শরীরে গেলে শরীর সাথে সাথেই প্যারালাইজড হয়ে যায়।আর ওই মাশরুমের ডিএনএ এর সাথে গিনিপিগের ডিএনএ মিলিয়েই ভয়ংকর কিছু একটা ওই ডা. আবিষ্কার করতেছে।

কথায় আছে " Curiosity is the best teacher" কিন্ত মিঃ বালাপোরিয়া এর কৌতূহল তার বিপদ ডেকে আনল। ডঃ সোম থ্রিলার গল্পের Dr. Frankenstein । জিনোম সিকোয়েন্সিং দ্বারা সৃষ্টি এক অন্যবদ
'Masterpiece' যাকে Frankenstein এর 'Monster' এর মত লেগেছে আমার কাছে। ডঃ সোম দেখতে সাধারন হলেও কি অনবদ্য তার সৃষ্টি, এমন ভয়ানক মাশরুম কিন্তু তার গন্ধ মিষ্টি,শিরদাঁড়া তে একদম শিহরন বয়ে আনে আর মনে প্রশ্ন আনে এও কি সম্ভব? হয়ত সম্ভব কারন মানুষ তো অসম্ভব কে সম্ভব বহু বার করছে। কিন্তু মিঃ বালোপোরিয়া তার আবেগের কাছে হেরে গেলেন, হয়ত বিষাক্ত কার্নিভোরাস এর মুখোমুখি না হলে বুঝতেন না 'মাস্টারপিস' এর পিছনের লুকিয়ে আছে ডঃ সোম এর ' God Complex' কিন্তু দুভার্গ্য তিনি এমন সৃষ্টি রহস্য কারো সামনে উন্মোচন করতে পারবেন না। হয়ত ডঃ সোম ইচ্ছা করেই তার(মি: বালাপোরিয়ার) কৌতূহল জাগিয়ে তুলেছেন। কারণ দ্বিতীয় পর্বে মি: বালাপোরিয়া ডঃ সোম কে মাশরুম ঘরের দিকে যেতে দেখলেও, তিনি যখন মাশরুম ঘরে গিয়েছিলেন তখন ডঃ সোম কোথায় ছিল? আবার এমন টাও হতে পারে যে পেতলের গামলা থেকে আগত অদ্ভুত মিষ্টি গন্ধ আর এটার সামনে যাওয়ার পর ডঃ সোম এর উদ্বিগ্নতা তার(মি: বালাপোরিয়ার) কৌতুহল আরো বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে সেখানে স্পর্শ করতে। গল্পের শেষটা খুব বেশি ভয়ানক ছিল সাথে এমন মারাত্মক থ্রিলার পড়ার আনন্দ তো আছেই।গল্পটি কয়েকবার পড়ার পর আমি আমার মতামতটি জানালাম। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর ফিকশন উপহার দেয়ার জন্য।আশা করছি সামনে আরও পাব।

রহস্যময় গল্পের অন্তিম পর্বের অবসান ঘটল আজ। অপেক্ষায় ছিলাম কখন আসবে সেই মুহুর্ত, যে মুহুর্তে মিঃ বালাপোরিয়া মিষ্টি গন্ধের কারণ খুঁজে পাবে। এমনকি খুঁজে পাবে মিঃ সোম মাশরুমের গায়ে টাচ না করতে কেনো বললো। অবশেষে সেই মুহুর্ত আসলো তাতে মিঃবালাপোরিয়া , মিঃ সোমের কথা অমান্য করে মাশরুমে টাচ করলো, তাতে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরলো। কৌতুহলী মন যখন কোন একটা বিষয় না জানা পর্যন্ত রাতের ঘুম বিসর্জন দিয়ে উদঘাটন করে সেই বিষয়টা, তাতে মিঃবালাপোরিয়া মৃত্যুর কুলে ঢলে পরবে তা কি সে জানতো। তবে মিঃসোম মানা করা সত্ত্বেও মিঃবালাপোরিয়া এই কাজটি করেছে। গল্পটা পড়ছিলাম আর ভাবছিলো, গল্পটির প্রত্যেকটি শব্দ এবং লাইন থেকে অনেক কিছু জানার এবং শিখার আছে। মনে একটা প্রশ্ন জাগলো আমি কি পারবো এমন একটা রহস্যময় গল্প তৈরি করতে! কিন্তু তা আমার ভাবনাতেই আসে না।

প্রথমে নমস্কার দাদা ।আমি তিনটি পর্ব পড়ে বুঝলাম সম্পূন বিষয়টা মাশরুম কে নিয়ে। মাশরুম অনেক ধরনের হয় ।কিছু কিছু মাশরুম যা খাওয়া যায় আর কিছু মাশরুম আছে যা খাওয়া যায় না এবং র্স্পশ করা যায় না।ড: সোম আগে মি: বালাপোরিয়ার বলেছিলেন যে এটা র্স্পশ করবেন না ।কিন্তু মি: বালাপোরিয়ার ছিলেন একজন লোভী ধরনের লোক এবং মি: বালাপোরিয়ার অতি বেশি জানার আগ্রহের কারণে তার শেষ পরিনিত ভয়াবহ বা মৃত্যু হয়েছিলে। তিনি ভেবে ছিলেন সেখানে এমন কিছু আছে যা আমি আগে প্রকাশ্য করতে পারলে অনেক লাভ হবে।কিন্তু কথায় আছে লোভে পাপ ,পাপে মৃত্যু।দাদা এতে সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

This might be a poisonous mushroom

=====================> Join my Communities and I WILL FOLLOW YOU
Plant your ideas at FARMERS Bulletin Community
Chill your Tokens at Crypto LAUNCH Community
PINOY Tambayan sa FILIPINO Kami Community
Cure yourSELF at IMMUNE System Community +++++++++++ COVID-19 Remedy?
Alert new GEMS at New TOKEN Projects Community
Warn the netizens at Crypto SCAMS Alert Community

আমরা কেউ জানিনা যে কার ভিতরে কি আছে। যেমন অনেক কিছুই দেখেছি যে দেখতে অনেক সাধারণ হলেও সেটা অনেক ভয়ানক হয়। এই কল্পকাহিনীতে এমনই একটি ব্যাপার ঘটেছে মি: বালাপোরিয়া ভাবতেই পারে নাই যে সাধারণ মাশরুমের মধ্যে এমন বিষাক্ত কিছু থাকতে পারে যা তাকে একবারে শেষ করে দিবে। এই ঘটনা থেকে আমি এতটুকু বুঝতে পারি যে কোনো কিছুকে সাধারণভাবে প্রথমে গ্রহণ করা উচিত নয় খুব ভালোভাবে চিন্তা করে এবং আশেপাশের সিচুয়েশন বুঝে সেই জিনিস কেমন হবে তার ধারণা নেওয়া উচিত।

দাদা গল্পটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো।কিন্তু আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে মাশরুম গুলি অতো ভয়ানক কেন? ধন্যবাদ আপনাকে দাদা এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আমি আপনার আগের পর্ব গুলো মিস করেছিলাম, এই লেখার কয়েক লাইন পড়েই বুঝতে পারলাম আগের গুলো ও পড়তে হবে।
কি চমৎকার বর্ণনা, যেন নিজের চোখে দেখলাম; বিশেষ করে শেষ টা।

চমৎকার লিখেছেন।

  ·  3 years ago (edited)

আমি তিনটা পর্বই পড়েছি। আমার প্রথম পর্বেই এইটা দ্বিধা ছিল যে ড.সোম এতো রেখে কেন একটি জঙ্গলের মধ্যে গবেষণাগার করবেন। তাও আবার মাশরুমের। এর মধ‍্যে নিশ্চয়ই কোনো গোপন ব‍্যাপার আছে। হয়ত লোকালয়ে এটা করলে মানুষ হইতো এর বিরুপ প্রভাবের কবলে পড়ত। আমরা মানুষ এতটা কৌতূহলী যে কেউ আমাদের যেটা করতে নিষেধ করে আমরা কেন সেটাই উৎসাহের সাথে করি। যেটা বালাপেরিয়াজী এর ক্ষেএে দেখা গেছে। ড.সোম এর নিষেধ উপেক্ষা করে তিনি তার কৌতূহল মেটাতে ওই গবেষণাগারে প্রবেশ করে একটি অঘটন ঘটিয়ে ফেলে।

মাশরুমের মধ্যে আবার গিনিপিগ। বিষয়টা খুব গম্ভীর। এবং কী এমন গিনিপগ ওই গুলো যে স্পর্শ করতেই বালাপেরিয়িজির শরীরের এইরকম পরণতি হলো। এসব কী এখনো রহস্য থেকেই যাবে। সত্যি এই অবিশ্বাস্য বিষয়ে গবেষণা করছিলেন ড.সোম। তা কিন্তু বালাপেরিয়াজির পরিণতি দেখে বোঝা যাচ্ছে। অসাধারণ দাদা।

আমার মনে হয় ড: সোম বহুদিন ধরে গিনিপিগ ও মাশরুমের সমন্বয়ে নতুন একটি প্রজাতির উদ্ভব করতে চেয়ে ছিলেন, আর বালোপোরিয়ার এটি স্পর্শ করে তার কাজটি সহজ করে দিলেন, নতুন carnivorous toxic mushroom এর উৎপত্তি হলো, এটি জাস্ট আমার চিন্তা, আশাকরি দাদা আপনি এর আসল উত্তরটা আমাদের সবাইকে জানিয়ে দিবেন।