Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৩২

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৩২


পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৩১


শুভ সকাল বন্ধুরা,

আশা করি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন ।

শীত তো দ্রুত ফুরিয়ে আসছে । বসন্ত জাগ্রত দ্বারে । ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় আপনাদের মন নেচে উঠুক এই শুভ কামনায় শুরু করছি ভারতীয় জাদুঘর ভ্রমণের আজকের এপিসোড ।

আজকের পর্বে থাকছে মেরিন লাইফ এর পঞ্চম এবং সর্বশেষ এপিসোড। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল, আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীকুলের সংরক্ষিত স্টাফ করা দেহের সিরিজ ফটোগ্রাফের আজ শেষ পর্ব এখানে শেয়ার করা হলো ।

আমাদের আজকের এপিসোডে যে সব সামুদ্রিক প্রাণীবর্গের স্টাফ করা দেহ থাকছে সেগুলো হলো :

১. Hammerhead shark বা হাতুড়িমুখো হাঙর
২. তেলিয়া ভোলা বা তেলে ভোল মাছ
৩. কাতলা
৪. রুই
৫. ফলুই
৬. কালবাউশ মাছ
৭. পটকা মাছ বা মিল্কস্পটেড পাফার মাছ
৮. সাদা টিপ রিফ হাঙর
৯. গ্রানুলাটেড গিটার মাছ

তো বন্ধুরা চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে ! আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না আজকের আয়োজন আপনাদের কাছে ।


Hammerhead shark বা হাতুড়িমুখো হাঙর । এই শার্কের মাথা দেখতে ভারী অদ্ভুত । হুবহু একটি হাতুড়ির মতো । মাথার দুই পাশের চোয়াল বহুদূর বিস্তৃত হয়ে একটি হাতুড়ির মাথার মতো সৃষ্টি করেছে । চোখ দুটিও বসানো এই হাতুড়ি আকৃতির মাথার দুই পাশে । ফলে একটি চোখ থেকে আরেকটি চোখের দূরত্ব অনেক । প্রায় ২-৩ ফিট । খুব অদ্ভুত তাই না ?
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এটি একটি তেলিয়া ভোলা বা তেলে ভোল মাছ । এরা কমন গ্রপার (Groupers) শ্রেণীভুক্ত মাছ । আকারে বিশাল এই মাছ কিন্তু অসম্ভব দামি । এই মাছের পটকার দাম অনেক । এক কিলো তেলিয়া ভোলার পটকার দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি টাকা । কেন এতো দাম ? এর কারণ এই মাছের পটকা থেকে সব চাইতে দামি অপারেশনের সুতো তৈরী হয় । এই সুতো দিয়ে সেলাই করলে সেটা চামড়ার সাথে এমনভাবে মিশে যায় যে কোনোরকমের কোনো দাগ থাকে না । মুখমন্ডলের প্লাস্টিক সার্জারিতে এই সুতো ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


আমাদের চির পরিচিত চারটি মাছ । কাতলা, রুই, ফলুই এবং কালবাউশ মাছ । এখানে মাছগুলোকে সজ্জিত করা হয়েছে একটি পুকুরের কোন কোন জলস্তরে তারা বসবাস করে । কাতলা হলো জলস্তরের সর্ব উপরের মাছ, তার নিচের স্তরে থাকে রুই মাছ, মাঝের স্তরে থাকে ফলুই এবং একেবারে সর্বশেষ মাটির কাছাকাছি স্তরে থাকে কালবাউশ মাছ ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এই সেই বিখ্যাত পটকা মাছ বা মিল্কস্পটেড পাফার মাছ । আমাদের গ্রামে এই মাছকে বলা হতো ট্যাঁপা মাছ । জাপানে সর্বাধিক জনপ্রিয় এই মাছকে বলা হয়ে থাকে ফুগো । জাপানেই সব চাইতে বেশি খাওয়া হয়ে থাকে এই মাছ । জাপানের জাতীয় মাছ এই ফুগো । ভয় পেলে বা আক্রান্ত হলে এই মাছের শরীরের অভ্যন্তরে অবস্থিত ব্লাডার বাতাসে পূর্ণ করে একেবারে গোল ফুটবলের মতো হয়ে যায় । তখন এদের গায়ের কাঁটাগুলো শজারুর কাঁটার মতো দেখায় । একটি কাঁটাঅলা ফুটবলের মতো দেখতে লাগে তখন এদের । এই মাছ অসম্ভব টেস্টি কিন্তু একই সাথে এদের পিত্ত এবং নাভি কুন্ডলি ভয়ানক বিষাক্ত । একটিমাত্র পটকা মাছের পিত্তথলির বিষে ৩০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে । তাই খুবই সতর্কতার সাথে এদের শরীর থেকে পিত্তথলি ও নাভিকুন্ডলী কেটে বাদ দিয়ে রান্না করতে হয় । জাপানে একমাত্র লাইসেন্সড প্রাপ্ত শেফ ছাড়া ফুগো রান্নার অনুমতি নেই ঠিক এই কারণে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


দুই প্রজাতির হাঙ্গর । সাদা টিপ রিফ হাঙর এবং গ্রানুলাটেড গিটার মাছ । সাদা টিপ্ রিফ হাঙরের সর্বাঙ্গে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাদা রঙের টিপের মতো গোল গোল স্পট থাকে । এরা সামুদ্রিক কোরাল রিফে বসবাস করে থাকে । আর গ্রানুলাটেড গিটার মাছ দেখতে হবহু একটি গিটারের মতো । কি অদ্ভুত । তাই না ?
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা কখন যে দেখতে দেখতে মেরিন লাইফের শেষ পর্যায়ে চলে আসলাম বুঝতেই পারলাম না। মেরিন লাইফের পর্বগুলো আমার সত্যি খুব ভালো লেগে ছিল। সাগর এবং সাগরের প্রাণী গুলোর ব্যাপারে আমার একটা কৌতুহল সবসময় কাজ করে। গ্রুপার সম্পর্কে আগেই জানতাম কিন্তু এ মাছের দাম যে এত তা জানা ছিল না। দাম শুনে রীতিমতো ভিরমি খাবার জোগাড়। মাছ দিয়ে তৈরি হয় অপারেশনের সুতা এই তথ্য প্রথম জানতে পারলাম। আর ফুগো বা পটকা মাছ খাবার ব্যাপারে জাপানিদের অসংখ্য ভিডিও দেখেছি। যাই হোক মেরিন লাইফের পর্ব গুলোর মাধ্যমে অনেক অজানা বিষয় জানতে পেরেছি আপনার কাছ থেকে। ধন্যবাদ আপনাকে

yes

দাদা মাছ গুলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যি বলতে আমার চোখের সামনে যেন জিবন্ত মাছ ভাসতেছে। দাদা একটা কথাই বলবো আপনার পোস্ট মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারতেছি এবং দেখতে পারতেছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

কত বৈচিত্র অদ্ভুত সব প্রজাতির মাছ। দেখে ভালই লাগলো কিছু অদ্ভুত মাছের সাথে পরিচিত হতে পারলাম। প্রত্যেকটি মাছেই যেন অনন্য সুন্দর। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর করে ডিটেলসে উপস্থাপন করার জন্য।

শীত ফুরিয়ে আসছে এবং বসন্তের আগমনে আপনার শুভেচ্ছা বার্তাটি কিন্তু অসাধারণ ছিল।

তবে একটা জিনিস খুবই খারাপ লাগছে এটি আজকেই শেষ পর্ব। আপনার ভ্রমণের অসাধারণ দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লাগতো এবং যে গুলো সত্যি অনেক শিক্ষণীয় ছিল। আজকে আর ফটোগ্রাফি নিয়ে কোন মন্তব্য করব না।

শুধু বলব সত্যিই অনেক মিস করবো আপনার প্রতিটি পর্বগুলো যে কাল থেকে আর এগুলো আসবেনা আমাদের সামনে।

এটি একটি তেলিয়া ভোলা বা তেলে ভোল মাছ । এরা কমন গ্রপার (Groupers) শ্রেণীভুক্ত মাছ । আকারে বিশাল এই মাছ কিন্তু অসম্ভব দামি । এই মাছের পটকার দাম অনেক । এক কিলো তেলিয়া ভোলার পটকার দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি টাকা

দাদা আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো, বিশেষ করে এই সব তথ্য আমার জানা ছিলো। এই মাছের দাম এত কেন এটি দেখে আমার খুবই আশ্চর্য মূল্য হলো। তারপরে আমি ভালো করে পড়ে দেখতে পেলাম এই মাছের পটকা দিয়ে অপারেশনের সুতা তৈরি করা হয়। যার কারনে এই সুতা স্কিনের সাথে একদম মিশে যায়। সত্যিই অসাধারণ আমার এই তথ্যটি অজানা ছিল। জেনে আমার খুবই ভালো লাগছে। আসলেই মাছের দাম খুবই বেশি এই জন্যই। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এবং অনেক সুন্দর সুন্দর বিষয় জানতে পারলাম, খুবই ভালো লাগলো। আপনার জন্য রইল শুভকামনা ও ভালোবাসা।

প্রতিবার এর মতন এবার ও কিছু অসাধারন ঐতিহাসিক ছবি দেখতে পেলাম দাদা। পটকা মাছ খেয়ে আমাদের দেশে প্রায়ই মানুষ মারা যায়। এমন মাছ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো আমার মতে। যাই হোক দাদা সব গুলো ছবি অনেক সুন্দর ছিলো। শুভেচ্ছা রইলো দাদা।

দাদা স্টাফড করা সামুদ্রিক প্রাণীদেহের ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আজকের এই পর্বে বিভিন্ন মাছ দেখলাম সত্যিই খুব সুন্দর এগুলো। অনেক ভালো লাগলো আজকের ফটোগ্রাফি দেখে কারণ এর থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম। যদিও মাছগুলো নাম জানতাম না আজকে ছবিসহ সব জেনে নিলাম।

এই সেই বিখ্যাত পটকা মাছ বা মিল্কস্পটেড পাফার মাছ । আমাদের গ্রামে এই মাছকে বলা হতো ট্যাঁপা মাছ । জাপানে সর্বাধিক জনপ্রিয় এই মাছকে বলা হয়ে থাকে ফুগো । জাপানেই সব চাইতে বেশি খাওয়া হয়ে থাকে এই মাছ । জাপানের জাতীয় মাছ এই ফুগো ।

এই মাছ বর্ষার মৌসুমে নদীতে জেলেরা প্রচুর মাছ ধরে। এই ধরনের টেপা মাছ তখনই দেখা যায়। আমি এই মাছ নিয়ে অনেক খেলেছি বিশেষ করে পাটকাঠির অংশ মুখের ভেতর দিয়ে দিতাম আবার ফুস হয়ে যেত। আবার ফুলাইতাম খুবই ভালো লাগতো। আমার কাছে ভালো লেগেছে আর এটা জাপানের জাতীয় মাছ আগে জানা ছিল না আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম দাদা। খুবই ভালো লেগেছে তথ্যমূলক পোষ্ট প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছেন যেটা থেকে অনেক কিছু শেখার এবং জানার আছে।❤️❤️

ok

  ·  3 years ago (edited)

আজকের নতুন পোস্ট মানে নতুন কিছু জানাও শিক্ষা। আপনার প্রতিটি পোস্ট থেকে আমরা কিছু না কিছু পোস্ট থেকে শিখতে থাকি। আজকেও অজানা এই বিষয়গুলো জেনে অনেক ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে। পরবর্তীতে নতুন কিছু জানাও শেখার অপেক্ষায় রইলাম।

यह एक अद्भुत मेसियम है

একটিমাত্র পটকা মাছের পিত্তথলির বিষয়ে ৩০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে ।

আজকের মাছের ফটোগ্রাফিগুলি অধিকাংশই পরিচিত।আমরা ও এই পটকা মাছকে টেপা মাছ বলতাম দাদা।আমাদের এলাকায় এক পরিবারের 3 জন সদস্য এই মাছ খেয়ে মারা গিয়েছিলেন একইসঙ্গে।আমরা ও মাঝে মাঝে নদীতে এই মাছ পেতাম কিন্তু ভয়ে খাওয়া হতো না।শুনেছি খুবই টেস্টি।খুবই সুন্দর ছিল ফটোগ্রাফিগুলি, ভালো লাগলো দেখে।ধন্যবাদ দাদা ও শুভকামনা রইলো দাদা।

এই সেই বিখ্যাত পটকা মাছ বা মিল্কস্পটেড পাফার মাছ । আমাদের গ্রামে এই মাছকে বলা হতো ট্যাঁপা মাছ । জাপানে সর্বাধিক জনপ্রিয় এই মাছকে বলা হয়ে থাকে ফুগো । জাপানেই সব চাইতে বেশি খাওয়া হয়ে থাকে এই মাছ । জাপানের জাতীয় মাছ এই ফুগো । ভয় পেলে বা আক্রান্ত হলে এই মাছের শরীরের অভ্যন্তরে অবস্থিত ব্লাডার বাতাসে পূর্ণ করে একেবারে গোল ফুটবলের মতো হয়ে যায় । তখন এদের গায়ের কাঁটাগুলো শজারুর কাঁটার মতো দেখায় । একটি কাঁটাঅলা ফুটবলের মতো দেখতে লাগে তখন এদের । এই মাছ অসম্ভব টেস্টি কিন্তু একই সাথে এদের পিত্ত এবং নাভি কুন্ডলি ভয়ানক বিষাক্ত । একটিমাত্র পটকা মাছের পিত্তথলির বিষয়ে ৩০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে । তাই খুবই সতর্কতার সাথে এদের শরীর থেকে পিত্তথলি ও নাভিকুন্ডলী কেটে বাদ দিয়ে রান্না করতে হয় । জাপানে একমাত্র লাইসেন্সড প্রাপ্ত শেফ ছাড়া ফুগো রান্নার অনুমতি নেই ঠিক এই কারণে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।

এই তথ্য গুলো অনেকটাই অজানা ছিল । তবে ব্যাপারটা জেনে ভালোই লাগলো । শুভেচ্ছা রইল ।

জাস্ট অসাধারণ দাদা দেখতে দেখতে আমরা আপনার মেরিন লাইফের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আপনি আমাদের মাঝে মেরিন লাইফের অনেকগুলো পর্যায়ক্রমিক ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার করা ফটোগ্রাফিক পোস্টগুলো আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছিল। আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেকগুলো প্রাণীকুলের ছবি উপস্থাপন করেছেন যেটা দেখে সত্যিই আমার অনেক ভালো লাগলো। আপনি আজকে অনেকগুলো মাছের ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার এই ফটোগ্রাফির মধ্যে তেলে ভোলা মাছ টি একটু অন্যরকম মনে হয়েছে। কারণ এই মাসের পিঠের উপর দিয়ে কাটার মত দেখাচ্ছে অনেকটা কুমিরের গায়ে যে রকম দেখা যায়। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে অনেক চমৎকার করে উপস্থাপন করার জন্য।

প্রিয় মানুষকে কাছে পেলে ফাগুন হয়ত পূর্ণ রূপ পেতো দাদা ☹️😥।
যাই হোক, প্রতিদিনের মত আজকেও অনেক চমকে যাওয়ার মত বিষয় জানলাম দাদা। তেলিয়া ভোলা মাছ যে কোটি টাকা কিলো , এটা দেখেই চোখ কপালে উঠে গেছে আমার। পটকা মাছ টাও সাংঘাতিক ছিল দাদা।

এটি একটি তেলিয়া ভোলা বা তেলে ভোল মাছ । এরা কমন গ্রপার (Groupers) শ্রেণীভুক্ত মাছ । আকারে বিশাল এই মাছ কিন্তু অসম্ভব দামি । এই মাছের পটকার দাম অনেক । এক কিলো তেলিয়া ভোলার পটকার দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি টাকা । কেন এতো দাম ? এর কারণ এই মাছের পটকা থেকে সব চাইতে দামি অপারেশনের সুতো তৈরী হয় । এই সুতো দিয়ে সেলাই করলে সেটা চামড়ার সাথে এমনভাবে মিশে যায় যে কোনোরকমের কোনো দাগ থাকে না । মুখমন্ডলের প্লাস্টিক সার্জারিতে এই সুতো ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।

দাদা এটা আমার কাছে সব থেকে বেশি অবাক লেগেছে। আর এই বিষয়টা আমার মোটেই জানা ছিল না। সত্যি আমি হতবাক।

চমৎকার দাদা প্রতি পর্বের প্রাণীদের ছবিগুলো খুব অসাধারণ চমৎকার হয় দামি হয় । সচরাচর এগুলো দেখতে পাওয়া যায় না । যেগুলো আপনার মাধ্যমে দেখতে পাই ।আজকের পর্বের প্রতিটিস্টাফ করা ফটোগ্রাফি খুবই চমৎকার ছিল ।বিশেষ করে

১. Hammerhead shark বা হাতুড়িমুখো হাঙর
২. তেলিয়া ভোলা বা তেলে ভোল মাছ
৭. পটকা মাছ বা মিল্কস্পটেড পাফার মাছ
৮. সাদা টিপ রিফ হাঙর
৯. গ্রানুলাটেড গিটার

মাছের ফটোগুলো ভাল লেগেছে ।আরো আশায় রইলাম দেখার ।ধন্যবাদ ও দোয়া রইল দাদা এতো সুন্দর স্টাফ করা প্রানীদের ফটো দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ।

EZrGNWcrMDNczaEXa66AEJHcKH7nrfa7r2fnEEb26owGbKmVZzVNY38ZTpQGcSKBRTWKQQ1NYenwo9LEQ2PvU7bfyvF5uQyBcpg9GAJ2va...2w7ep3LhhQa9kvWQkCLWjKffNejcyyHjp9ScganhREzkD3tjt9Po5p3UVrueKo7yazdVpNDXMDDSuBxwSR2of5d3Hw7x1SEccV31Hi7jLan7SSYxXeu1BPFSh4.png

মাছের ছবিগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে তেলে ভোল মাছটা অনেক ভয়ংকর লাগলো। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফ একদম পারফেক্ট ছিলো দাদা। পোটকা মাছের ছবি দেখে মনে হচ্ছে মুখ আগুনে পুড়ে গেছে। দাদা আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অসাধারণ সব ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য৷ আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

EZrGNWcrMDNczaEXa66AEJHcKH7nrfa7r2fnEEb26owGbKmVZzVNY38ZTpQGcSKBRTWKQQ1NYenwo9LEQ2PvU7bfyvF5uQyBcpg9GAJ2va...2w7ep3LhhQa9kvWQkCLWjKffNejcyyHjp9ScganhREzkD3tjt9Po5p3UVrueKo7yazdVpNDXMDDSuBxwSR2of5d3Hw7x1SEccV31Hi7jLan7SSYxXeu1BPFSh4.png

দাদা আজকের এপিসোড খুব দারুণ কিছু তথ্য দিয়েছেন আপনি যেগুলো আমি জানতামই না। ছোটবেলা থেকেই পটকা মাছ নিয়ে কত দুষ্টামি করতাম। মাছ ধরতে গেলে আগে আমার পটকা মাছ চাই চাই। কারণ এই ফটকা পুলাতে খুব ভালো লাগে। আর এই ফোটকা মাছের মুখে হাওয়া দিলে অনেক ব্লাডার বলের মত হয়ে যায়, আর খেলতে খুব আনন্দ লাগে। যাই হোক আজকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জানলাম এবং আমাদেরকে ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর ধারাবাহিক ভাবে সবকিছু অনেক সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল গভীর ভালোবাসা।

এক কিলো তেলিয়া ভোলার পটকার দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি টাকা । কেন এতো দাম ? এর কারণ এই মাছের পটকা থেকে সব চাইতে দামি অপারেশনের সুতো তৈরী হয় । এই সুতো দিয়ে সেলাই করলে সেটা চামড়ার সাথে এমনভাবে মিশে যায় যে কোনোরকমের কোনো দাগ থাকে না । মুখমন্ডলের প্লাস্টিক সার্জারিতে এই সুতো ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।

এই তথ্যগুলো আমার আগে জানা ছিলো না, আপনার ফটোগ্রাফিগুলোর সাথে সাথে অনেক কিছুই জানা হচ্ছে আমাদের। ধন্যবাদ

হুম শীত এখন শেষের দিকে। কিন্তু আমাদের এলাকায় এখনো বেশ শীত পড়ছে। আপনি বেশ কিছুদিন ধরে কলকাতার মিউজিয়াম ভ্রমণ করার পর্ব গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করছেন। এ পর্বে হাঙ্গর মাছের অদ্ভুত প্রজাতির একটি অংশ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। তাছাড়াও পটকা মাছের দৃশ্য টা একটু অদ্ভুতই লেগেছে।

এই সেই বিখ্যাত পটকা মাছ বা মিল্কস্পটেড পাফার মাছ ।

এই মাছ আমার কেমন যেনো লাগে দেখলেই দাদা।কেমন অদ্ভুত আর ভয় লাগে।
দাদা গল্পের জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছি।

দাদা আপনি আজকের এই পর্বে দারুন কিছু প্রাণীর স্টাফ করা দেহের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। হাতুড়িমুখো হাঙর মাছের ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এছাড়া পটকা মাছ বা ট্যাঁপা মাছের ফটোগ্রাফিও অনেক ভালো হয়েছে। সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রাণীর স্টাফ করা দেহের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো দাদা।

দাদা ছবিগুলো এককথায় অসাধারণ হয়েছে 👌
মিল্কস্পটেড পাফার মাছটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে 🥀
আর হাঙ্গর দেখে সত্যিই ভয় লাগছে 😔
শুভ কামনা সবসময়ই রয়েছে 🥀

আসলেই এই চারটি মাছ কাতলা, রুই, ফলুই এবং কালবাউশ আমাদের খুব পরিচিত। ভারত মহাসাগর, আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের বেশ অনেকগুলো স্টাফ করা প্রানী ও মাছের ছবি দেখতে পেলাম মেরিন অংশের পোস্টগুলোর দ্বারা। শীত শেষ হওয়ার সাথে মেরিন অংশটিও শেষ হয়ে গেল। পরের অংশের অপেক্ষায়। খুব তথ্যবহুল ও শিক্ষণীয় পোস্ট এই সিরিজের সবগুলো পোস্ট। ধন্যবাদ সহজে আমাদেরকে এত চমৎকার সব প্রানীর ধারণা ও ছবি দেখার সু্যোগ করে দেয়ার জন্য। কলকাতা গেলে এটি মিস করব না। খুবই সমৃদ্ধ একটি মিউজিয়াম।

45GhBmKYa8LQ7FKvbgfn8zqd6W2YEX34pMmaoxBszxVcFaFRaYtrbhP5uFE57vwtKEnRVcfHiPuUhFVnNsUym7pT5VnCqyg5yhZZUE7NzG...mHBdkLfRy8awki3usxrQA9pGaNZDfpt8nLEwBEzJuspcJQbwnPKgksksmdCX4wGGCxP1mCUC5SnebPUVJx44gP8SzUDJ9qHZxCn5H4gVGkHNmtgVBghzv13zaz.png

দাদা আপনি প্রতিদিন আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম ভ্রমণের ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক অজানা জিনিস জানিয়ে দিচ্ছেন। সত্যি বলতে এই অজানা জিনিস গুলো জানতে পেরে খুবই ভালো লাগছে সাথে কিছু ছবি দিয়ে আপনি পূর্ণাঙ্গ ধারণা দিয়ে দিচ্ছেন। পরিশেষে বলতে চাই দাদা পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল।

Daco_123427.png

এটি একটি তেলিয়া ভোলা বা তেলে ভোল মাছ । এরা কমন গ্রপার (Groupers) শ্রেণীভুক্ত মাছ । আকারে বিশাল এই মাছ কিন্তু অসম্ভব দামি । এই মাছের পটকার দাম অনেক । এক কিলো তেলিয়া ভোলার পটকার দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি টাকা । কেন এতো দাম ? এর কারণ এই মাছের পটকা থেকে সব চাইতে দামি অপারেশনের সুতো তৈরী হয় । এই সুতো দিয়ে সেলাই করলে সেটা চামড়ার সাথে এমনভাবে মিশে যায় যে কোনোরকমের কোনো দাগ থাকে না । মুখমন্ডলের প্লাস্টিক সার্জারিতে এই সুতো ব্যবহৃত হয়ে থাকে । এই তথ্য গুলি সত্যি অবাক করার মতো ছিলো ।দাদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অজানা বিষয় গুলি আমাদের সামনে তুএটি একটি তেলিয়া ভোলা বা তেলে ভোল মাছ । এরা কমন গ্রপার (Groupers) শ্রেণীভুক্ত মাছ । আকারে বিশাল এই মাছ কিন্তু অসম্ভব দামি । এই মাছের পটকার দাম অনেক । এক কিলো তেলিয়া ভোলার পটকার দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি টাকা । কেন এতো দাম ? এর কারণ এই মাছের পটকা থেকে সব চাইতে দামি অপারেশনের সুতো তৈরী হয় । এই সুতো দিয়ে সেলাই করলে সেটা চামড়ার সাথে এমনভাবে মিশে যায় যে কোনোরকমের কোনো দাগ থাকে না । মুখমন্ডলের প্লাস্টিক সার্জারিতে এই সুতো ব্যবহৃত হয়ে থাকে। দাদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অজানা বিষয় গুলি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

আমরাও পটকা মাছকে ট্যাপা মাছ বলেই চিনি। তবে এই পটকা মাছের পিত্তথলি ও নাভি কুন্ডলি যে ভয়াবহ বিষাক্ত তা জানা ছিলোনা। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে, আপনার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন ধরনের মেরিন লাইফের প্রাণী সম্পর্কে জানতে পারছি এবং তাদের সম্পর্কে প্রচুর পরিমাণে জ্ঞান অর্জন করতে পারছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য দাদা।