Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৩৩

in hive-129948 •  3 years ago 

Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৩৩


পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৩২


শুভ সকাল বন্ধুরা,

আশা করি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন ।

গতকাল শেষ হয়ে গেলো আমাদের মেরিন লাইফ এর ধারাবাহিক ফটোগ্রাফি সিরিজটি । আজ থেকে শুরু হবে আমাদের নতুন পর্ব - ভারতীয় বিভিন্ন antique দ্রব্যের ফোটোগ্রাফি । এদের মধ্যে আছে প্রাচীন কালের নানান কারুকার্য্যময় শৌখিন দ্রব্যসামগ্রী । কিছু আছে হাতির দাঁতের তৈরী, কিছু দামি দামি কাঠ যেমন আবলুশ সেগুন চন্দন কাঠের তৈরী, কিছু ব্রোঞ্জ, কিছু তামা, কিছু পিতলের তৈরী, আবার আছে সোনা, রুপা, অষ্টধাতুর তৈরী নানান শৌখিন দ্রব্য যেমন মূর্তি, অস্ত্র-শস্ত্র, বাদ্য যন্ত্র, বাসন-কোসন এবং নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদি কিন্তু দামি ধাতুর তৈরী । অমূল্য এসব antique বস্তু । টাকার মূল্য দিয়ে এদের সত্যিকারের মূল নিরুপন করা যায় না ।

আমাদের আজকের এপিসোডে যে সব antique বস্তুর ফোটোগ্রাফি থাকছে সেগুলো হলো :

১. রাধা-কৃষ্ণের যুগল মূর্তি (চন্দন কাঠের তৈরী)
২. ড্রাগন ওয়ারিয়র (কাঠ খোঁদাই করে তৈরী)
৩. তিব্বতীয় গুম্ফা দ্বার এবং প্রার্থনা বেদী (কাষ্ঠ নির্মিত)
৪. স্বর্ণনির্মিত মধ্যযুগীয় গড়গড়া বা আলবোলা
৫. পেতলের তৈরী নাড়ু গোপালের মূর্তি
৬. অষ্টধাতু নির্মিত অজস্র কারুকার্যখচিত pitcher বা কলসি
৭. তিব্বতীয় গুম্ফাদ্বারের প্রহরীর মূর্তি (আবলুশ কাষ্ঠনির্মিত )

তো বন্ধুরা চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে ! আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না আজকের আয়োজন আপনাদের কাছে ।


রাধা-কৃষ্ণের যুগল মূর্তি (চন্দন কাঠের তৈরী) । খাঁটি চন্দন কাঠ খোদাই করে এই মূর্তিদ্বয় তৈরী করা হয়েছে । সময়কাল : মধ্যযুগ । প্রাপ্তিস্থান : মধ্যপ্রদেশ । সত্যি অপূর্ব কারুকাজ মূর্তি দুটির । কাঠ খুঁদে যে এমন সুন্দর মূর্তি তৈরী করেছিল মধ্যযুগের শিল্পীরা ভাবতেই অবাক লাগে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ড্রাগন ওয়ারিয়র । ড্রাগন যোদ্ধা । চৈনিক মূর্তি । কাঠ খুঁদে তৈরী করা । অনেক ডিটেলস ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মূর্তিটাতে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এটি একটি তিব্বতীয় গুম্ফা দ্বার এবং প্রার্থনা বেদী । দুটোই কাষ্ঠ নির্মিত । অসাধারণ কারুকার্য্যময় এই তিব্বতীয় গুম্ফা তোরণ এবং প্রার্থণা বেদী দেখলে চোখ ফেরানোই দায় ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এটি কি জিনিস বলতে পারেন ? পারলেন না তো ? এটি একটি স্বর্ণনির্মিত মধ্যযুগীয় গড়গড়া বা আলবোলা । হুঁকার একটি সংস্করণ । তাম্রকুট মানে তামাকের ধোঁয়া সেবনের যন্ত্র এটি । খুবই অভিজাত শ্রেণীর মানুষদের জন্য বানানো এটি । ২ কিলো সোনা দিয়ে তৈরী ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এটি একটি পেতলের তৈরী নাড়ু গোপালের মূর্তি । পিওর পিতলে তৈরী মূর্তি বেশ বড় সাইজের । দেখেই বোঝা যায় প্রাচীন কালের মূর্তি এটি ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এটি একটি অষ্টধাতু নির্মিত অজস্র কারুকার্যখচিত pitcher বা কলসি । দেখেই বোঝা যাচ্ছে কোনো এক প্রাচীন অভিজাত ফ্যামিলির গৃহস্থালীর জিনিস এটি । পানীয় জল রাখা হতো এটায় । অষ্টধাতু হলো - সোনা, রূপা, তামা, পিতল, কাঁসা, পারদ, সীসা ও লোহা ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এটি একটি তিব্বতীয় মূর্তি । তিব্বতের গুম্ফা দ্বারে কাষ্ঠনির্মিত তিব্বতীয় প্রহরীর মূর্তি এটি । একটি গোটা কাঠের গুঁড়ি খন্ড বিখন্ড না করে গোটা অবস্থায় খুঁদে খুঁদে এই মূর্তিটি তৈরী করা হয়েছে । আবলুশ কাঠের তৈরী এটি । মজার ব্যাপার হলো তিব্বতীয় মূর্তি হলেও এটি কিন্তু প্রাচীন ভারতের কোনো একজন শিল্পীর নির্মিত । তিব্বতীয় আর ভারতীয় শিল্পীদের স্টাইল একেবারেই আলাদা । তাই সহজেই আলাদা করা যায় কোনটি তিব্বতীয় শিল্পীদের করা আর কোনটা ভারতীয় শিল্পীর করা ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এই পর্বের ছবিগুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। এত সুন্দর আর নিখুঁত কারুকার্য কাঠের উপরে যে করা যেতে পারে, সেটাও আবার এত আগে, সত্যিই এটা কল্পনার অতীত। এছাড়া স্বর্ণনির্মিত আলবোলা, পিতল ও অষ্টধাতুর তৈরি জিনিসগুলোও খুব সুন্দর।

দাদা আজকের পর্বটি দেখে কি বলব বুঝে উঠতে পারছিনা। কি অসাধারণ মূর্তিগুলোর কারুকাজ। ঐতিহ্যের হুক্কার সোনার তৈরি নিদর্শন সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেছি। চন্দন কাঠের মূর্তি টা দেখে আমি রীতিমত অবাক এত সুন্দর মসৃণ ভাবে তৈরি করেছে তার সত্যিই দারুন ছিল। আর আমাদের সাথে এত সুন্দর সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা অবিরাম দাদা।

এটি একটি তিব্বতীয় গুম্ফা দ্বার এবং প্রার্থনা বেদী।

এই ক্যাপশন এর ছবিটি আসলেই দেখলে চোখ ফিরিয়ে নেওয়া বড় দায়।এতো সূক্ষ্ম কাজ!
ধন্যবাদ জানাই এতো কিছু দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যে।

দাদা আজকে আপনি যেই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন সেগুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার। বিশেষ করে রাধা-কৃষ্ণের যুগল মূর্তি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। চন্দন কাঠ দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে রাধা-কৃষ্ণের যুগল মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

বাহ দাদা অসাধারণ সব শিল্পকর্ম অসাধারণ সব মূর্তি। রাধা কৃষ্ণের যুগল মূর্তিটা কী লাল চন্দন কাঠ দিয়ে তৈরি নাকী🙂। পুষ্পা ইফেক্ট থেকে বললাম। প্রত‍্যেকটা মূর্তি আমার কাছে দারুণ লেগেছে। ঐতিহাসিক সব স্থাপত্য বলে কথা। আমি শুধু ভাবছি কয়দিন লাগছিল আপনার এই মিউজিয়াম টা ঘুরতে।

দাদা, ভারতীয় মিউজিয়ামের 33 তম এপিসোড আপনি যে মূর্তিগুলোর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।সেগুলো সম্বন্ধে কি লিখবো নিজেই বুঝতে পারছি না।প্রতিটা মূর্তির ফটোগ্রাফি আকর্ষণীয় এবং সুন্দর। আমার কাজে প্রতিটা মূর্তির ফটোগ্রাফি ভালো লেগেছে তবে তিব্বতীয় গুম্ফা দ্বার এবং প্রার্থনা বেদী ফটোগ্রাফি টা আমার খুবই ভালো লেগেছে।দাদা, ভারতীয় মিউজিয়ামের এপিসোডের মাধ্যমে যদি আপনি ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার না করতেন।তাহলে সত্যি ভারতীয় মিউজিয়াম এ কি কি আছে কখনো জানতেই পারতাম না। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

বাহ অসাধারণ। বিশেষ করে অস্টোধাতুর কারুকার্য খচিত কলস টা দেখে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো।অসম্ভব সুন্দর করে কারুকাজ করছে।

প্রথমে শিল্প তেই হৃদয় ভরা।

চন্দন কাঠ দিয়ে যে এত সুন্দর মূর্তি তৈরি করা যায় এটা সত্যি চমৎকার। মধ্যযুগের শিল্পীদের প্রশংসা না করলেই নয়।। অসাধারণ হাতের কাজ।

তাছাড়াও সমস্ত পোস্ট গুলো এবং শিল্পগুলো ছিল অসাধারণ প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন।

আশ্চর্য হতে হয় শিল্পীদের তৈরি করা এই অসাধারণ কারুকার্য সম্বলিত বিভিন্ন অ্যান্টিক দ্রব্যাদি দেখলে। প্রায় দু কিলো স্বর্ণ দিয়ে তৈরি হুকো চিন্তা করলেই মাথা ঘুরে যায়। আর অষ্টধাতুর বিষয়ে আমি আশ্চর্য হই। রাস্তাঘাটে অনেক সময় দেখেছি অষ্ট ধাতু দিয়ে তৈরি আংটি বিক্রি করতে। কিভাবে এসব ধাতু কে একসাথে মিশিয়ে বিভিন্ন তৈজসপত্র বানানো হতো চিন্তা করলেই অবাক লাগে। যাইহোক নতুন এপিসোড গুলো আশা করি আমার মতো সবার কাছে ভালো লাগবে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য

পেতলের তৈরী নাড়ু গোপালের মূর্তি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম দাদা। দাদা সর্বপ্রথম আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দারুন সব মূর্তিগুলো আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ফটোগ্রাফিগুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার। মিউজিয়ামের ভেতরে থাকা এসব মূর্তিগুলোর ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দাদা আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

এটি একটি তিব্বতীয় গুম্ফা দ্বার এবং প্রার্থনা বেদী । দুটোই কাষ্ঠ নির্মিত । অসাধারণ কারুকার্য্যময় এই তিব্বতীয় গুম্ফা তোরণ এবং প্রার্থণা বেদী দেখলে চোখ ফেরানোই দায় ।

45GhBmKYa8LQ7FKvbgfn8zqd6W2YEX34pMmaoxBszxVcFaFRaYtrbhP5uFE57vwtKEnRVcfHiPuUhFVnNsUym7pT5VnCqyg5yhZZUE7NzG...mHBdkLfRy8awki3usxrQA9pGaNZDfpt8nLEwBEzJuspcJQbwnPKgksksmdCX4wGGCxP1mCUC5SnebPUVJx44gP8SzUDJ9qHZxCn5H4gVGkHNmtgVBghzv13zaz.png

দাদা খুবই সুন্দর বর্ণনা করেছেন। আর বিশেষ করে এই তথ্যগুলো আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে যথেষ্ট ভালো লেগেছে। সবমিলিয়ে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন দাদা।আপনার এবং আপনার পরিবার এর জন্য সুভ কামনা রইল দাদা।

Daco_123427.png

ভারতীয় পুরনো কারুকার্য শৈল্পিকতা দেখে মুগ্ধ হলাম।প্রতিটি কারুকার্য শৈল্পিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি আগে কখনো এই ধরনের কারুকার্য দেখিনি। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে দাদা।পরর্বতী পর্বের জন্য আশায় থাকলাম দাদা।

এটি একটি পেতলের তৈরী নাড়ু গোপালের মূর্তি । পিওর পিতলে তৈরী মূর্তি বেশ বড় সাইজের । দেখেই বোঝা যায় প্রাচীন কালের মূর্তি

দেখতে দেখতে 33 পর্ব ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেলাম, খুবই ভালো লাগলো। দাদা আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আসলে এত সুন্দর ভাবে কখনো দেখার সুযোগ হতো নাহ। আজকে ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লেগেছে। আমার বিশেষ করে গোপালের মূর্তি আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

দাদা আজও অসাধারণ কিছু নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন যার মধ্যে সবথেকে ভালো লেগেছে চন্দন কাঠের তৈরি রাধাকৃষ্ণের ভাস্কর্য। এছাড়া প্রতিটি কারুকার্যে রয়েছে অসাধারণ সৃজনশীলতার ছোঁয়া। মধ্যযুগের সেই সৃজনশীলতা তাদের চিন্তা ভাবনা আমাকে এখন ভীষণ ভাবে। তারা এত সুন্দর করে বিভিন্ন জিনিসের উপর নকশা করতো কারো কাজ করতো শৈল্পিক কাজ করত যা ছিল অনন্য। আপনি প্রতিদিন আমাদের মাঝে অসাধারন কিছু পোস্ট করে যাচ্ছেন যা হয়তো আমাদের পক্ষে এক জীবনে কখনো দেখা সম্ভব হতো না। আপনি জ্ঞানের আধার দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে।

এটি একটি অষ্টধাতু নির্মিত অজস্র কারুকার্যখচিত pitcher বা কলসি । দেখেই বোঝা যাচ্ছে কোনো এক প্রাচীন অভিজাত ফ্যামিলির গৃহস্থালীর জিনিস এটি । পানীয় জল রাখা হতো এটায় । অষ্টধাতু হলো - সোনা, রূপা, তামা, পিতল, কাঁসা, পারদ, সীসা ও লোহা ।

সত্যি আকৃষ্ট হওয়ার মতো সুন্দর। বিশেষ করে হাতের কারুকাজের প্রসংসা করতেই হবে।

দাদা এই পর্বের সব ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ। বিশেষ করে নাড়ু গোপালের পিতলের মূর্তি ও স্বর্ণনির্মিত মধ্যযুগীয় গড়গড়া বা আলবোলা ও রাধা-কৃষ্ণের যুগল মূর্তি (চন্দন কাঠের তৈরী) এই তিনটা বেশিভালো লেগেছে আমার কাছে ।

শ্রদ্ধেয় দাদা ভালো আছেন? আপনি অসুস্থ জেনে খুব খারাপ লাগলো। সৃষ্টিকর্তা যেন আপনাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে তোলে এই প্রার্থনা করছি। আজকের পর্বটি খুবই অন্যরকম মনে হলো। প্রতিটি ফটোগ্রাফির খুবই অপূর্ব সৌন্দর্য। কারুকাজ সমূহ খুবই অসাধারণ। আলোকচিত্র গুলো দেখে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগলো। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার মতে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন দাদা।

দাদা,আজকের এপিসোডগুলি একদম চোখ ধাঁধানো ছিল।কাঠের তৈরি ও চৈনিক আকৃতির দ্বার,মূর্তি ভীষণ সুন্দর ও নিখুঁত একদম সূক্ষ্মভাবে তৈরি করা ছিল।খুবই ভালো লাগলো দেখে, ধন্যবাদ আপনাকে।

এটি একটি তিব্বতীয় গুম্ফা দ্বার এবং প্রার্থনা বেদী । দুটোই কাষ্ঠ নির্মিত

দাদা আজকের ফটোগ্রাফি সবগুলোই অসাধারণ লাগলো। কিন্তু তিব্বতীয় গুম্ফা দ্বার এবং প্রার্থনা বেদী,,,,,,,এটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। কি কারুকাজই না করেছে তার উপর। তাদের দক্ষতার প্রশংসা করতেই হয়।

excellent

দাদার সুস্থতা কামনা করি ।Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৩৩ এর আজকের এপিসোডে যে সব antique বস্তুর ফোটোগ্রাফি থাকছে সেগুলো খুবই চমৎকার ছিল।সব গুলোই ভাল ছিল।তার মধ্যে বেশি ভাল লেগেছে যেগুলো ---

১. রাধা-কৃষ্ণের যুগল মূর্তি (চন্দন কাঠের তৈরী)
২. ড্রাগন ওয়ারিয়র (কাঠ খোঁদাই করে তৈরী)
৩. তিব্বতীয় গুম্ফা দ্বার এবং প্রার্থনা বেদী (কাষ্ঠ নির্মিত)
৪. স্বর্ণনির্মিত

আরও দেখার আশায় রইলাম দাদা ।ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ।

EZrGNWcrMDNczaEXa66AEJHcKH7nrfa7r2fnEEb26owGbKmVZzVNY38ZTpQGcSKBRTWKQQ1NYenwo9LEQ2PvU7bfyvF5uQyBcpg9GAJ2va...2w7ep3LhhQa9kvWQkCLWjKffNejcyyHjp9ScganhREzkD3tjt9Po5p3UVrueKo7yazdVpNDXMDDSuBxwSR2of5d3Hw7x1SEccV31Hi7jLan7SSYxXeu1BPFSh4.png

ওয়াও! দেখতে দেখতে ৩৩ নাম্বার এপিসোড। আজকের পর্বটিও অনেক ভালো লাগলো। অনেক পুরনো সব মূর্তি দেখে মন জুড়িয়ে গেলো। আপনার পোস্টের মাধ্যমে আসলেই অনেক কিছু দেখ ও সেই সম্পর্কে জানা হলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো দাদা।

EZrGNWcrMDNczaEXa66AEJHcKH7nrfa7r2fnEEb26owGbKmVZzVNY38ZTpQGcSKBRTWKQQ1NYenwo9LEQ2PvU7bfyvF5uQyBcpg9GAJ2va...2w7ep3LhhQa9kvWQkCLWjKffNejcyyHjp9ScganhREzkD3tjt9Po5p3UVrueKo7yazdVpNDXMDDSuBxwSR2of5d3Hw7x1SEccV31Hi7jLan7SSYxXeu1BPFSh4.png

এটি কি জিনিস বলতে পারেন ? পারলেন না তো ? এটি একটি স্বর্ণনির্মিত মধ্যযুগীয় গড়গড়া বা আলবোলা । হুঁকার একটি সংস্করণ । তাম্রকুট মানে তামাকের ধোঁয়া সেবনের যন্ত্র এটি । খুবই অভিজাত শ্রেণীর মানুষদের জন্য বানানো এটি । ২ কিলো সোনা দিয়ে তৈরী ।

না আমি কিন্তু দাদা ফেইল মারি নাই, দেখেই আইডিয়াটি করেছিলাম এটা হুঁক্কা জাতীয় কিছু। তবে অবাক হয়েছি শুনে যে ২ কিলো সোনা দিয়ে তৈরী এটা। ধন্যবাদ

ভারতীয় ভিসা পাওয়া এই কোভিড সময়ে একটি চাপের বিষয়। এর মাঝে আপনার এই ছবিগুলো আমায় বিনে পয়সায় ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের দুর্লভ পিস সমূহ দেখার সুযোগ করে দিলো। এই উদ্যোগ জারি থাকুক। শুভকামনা এবং ধন্যবাদ আপনাকে।

আবলুশ সেগুন চন্দন কাঠ এর নাম আগে শুনি নেই দাদা। পেতলের তৈরী নাড়ু গোপালের মূর্তিটা অসাধারন ছিলো। অষ্টধাতু নির্মিত কলসটি দেখে চিন্তা করলাম দাদা কি পরিমান অর্থ ছিলো। এমন জিনিসে পানি বা অন্য কিছু রাখতো। সেই সব দিক গুলো ছিলো স্বর্নযুগ দাদা।

Gorgeous!!

ড্রাগন ওয়ারিয়র । ড্রাগন যোদ্ধা । চৈনিক মূর্তি ।
কাঠ খুঁদে তৈরী করা । অনেক ডিটেলস ফুটে
তোলা হয়েছে মূর্তিটাতে । দাদা এই চৈনিক মূর্তিটি আমার কাছে অসাধারন লেগেছে । বিশেষ করে মূর্তিটির সূক্ষ্ম কারুশিল্প দেখেই বুঝা যায় শিল্পির মাঝে অসাধারন সৃজনশীলতা ছিল। যা সত্ত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে।আর অপনাকেও অংখ্য ধন্যবাদ দাদা প্রাচীন সব জিনসিপত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

অ্যান্টিক দ্রব্যের প্রথম পর্বটি দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল। মুগ্ধ হয়ে গেলাম প্রাচীন সব কারুকার্য দেখে। অষ্টধাতুর কলসি, তিব্বতীয় মূর্তি, চন্দন কাঠের তৈরি রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। দারুন একটি পর্ব উপভোগ করলাম দাদা। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

দাদা, কাঠের তৈরি শিল্প গুলো আমাকে বারবার চমকে দেয়। মাঝে মাঝে নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারি না। এত নিখুঁত কারুকার্য কিভাবে সম্ভব! আর আরেকটা ব্যাপার যেটা খুব অবাক লাগে সেটা হলো, আমরা এই আধুনিক যুগে থেকেও মধ্য যুগের সেই অপরূপ সৌন্দর্যকে কখনো ছাপিয়ে যেতে পারিনা।

I have been to this famous museum many a times and the more I see pictures of these astonishing works, I feel more of thinking what beautiful architectural works people used to do at that time. Thanks to the beautiful work exposed once again.