অণুকবিতা "ভীষণই অরাজনৈতিক"

in hive-129948 •  3 years ago 


Copyright-free Image source : Pixabay


অণুকবিতা "ভীষণই অরাজনৈতিক"



💘


♡ ♥💕❤

চোখ দুটি তার লুকিয়েছে আজ ভীষণ অভিমানে,
চামড়া ঢাকা কঙ্কালদেহ আজ দাঁড়িয়েছে সম্মুখ সমরে ।
নির্মম সভ্যতার বুকে আজ পদাঘাত করি
মানুষ নামের অমানুষ হতে ভিক্ষা নয়, নিয়েছে কাঁড়ি
এক মুঠো ক্ষুধার অন্ন আর ধনীর বুকের এক খাবলা মাংস ।


কত মিছিল চলে গেছে রাজপথ দিয়ে,
কত সিংহ কণ্ঠের গর্জনে ময়দান আজ কাঁপে ।
কত স্বপ্নের রঙিন ফানুস উড়িয়েছে কত শত নেতা,
তবু হতভাগাদের সেই শূন্য উদর রয়ে যায় আজও ফাঁকা,
মাথার উপরে সুনীল আকাশ, তাদের রাজপথেই বিছানা ।


গভীর রাতের এই শহরটা আমার ভীষণই অচেনা,
দিনের বেলায় এর ঐশ্বর্যে চোখ ঝলসে যায় ।
রাতের আঁধারে শত বুভুক্ষু প্রেত-মূর্তি ওঠে জেগে,
ডাস্টবিনে তারা সারমেয়দের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে ।


মানুষ নাকি ? ওরা তো পশু, কারণ ওরা বস্তিতে থাকে,
মানুষ হলুম আমরা, যারা গাড়ি ঘোড়ায় চড়ি ।
কী বলো পাগলের মতো ? ওরাও মানুষ ? ওদেরও খিদে আছে ?
আমি ভাবতুম নোংরা কুকুর, ডাস্টবিন ঘেঁটে বেঁচে থাকে ।
পাঁচটি বছর পরে যখন ভোটের সময় আসে,
তখন শুধুই মানুষ ওরা অন্য সময় পশু ।


ঝড় উঠেছে, ভীষণ বৈরী হাওয়ায়
স্বপ্নের পাল ছেড়ে বারংবার ।
বাউল হাওয়া তবু পারেনি তাকে নোয়াতে,
তীব্র আশায় সমুজ্জ্বল সুকঠিন মাস্তুল ।


আকাশ মেঘলা হলেই চোখের কোণে জমে জল;
বৃষ্টি যখন নামে চোখের পাতা ভেজে ।
যখন ওঠে তীব্র বৈশাখী ঝড়,
রক্ত চলকে হৃদয়ে তুফান ওঠে ।


জীবন খাতা আমার প্রশ্নে ভরতি,
আজো উত্তর পেলাম না ।
প্রশ্নের পর প্রশ্ন জোটে,
উত্তরের জন্য মাথা খুঁটে
তবু কোনো উত্তর পেলাম না ।

♡ ♥💕❤


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

প্রত্যেক টি কবিতা দারুন । আমি মুগ্ধ হয়েছি আজ আরেকবার দাদা আপনার লেখা পড়ে।

চোখ দুটি তার লুকিয়েছে আজ ভীষণ অভিমানে,
চামড়া ঢাকা কঙ্কালদেহ আজ দাঁড়িয়েছে সম্মুখ সমরে ।
নির্মম সভ্যতার বুকে আজ পদাঘাত করি
মানুষ নামের অমানুষ হতে ভিক্ষা নয়, নিয়েছে কাঁড়ি
এক মুঠো ক্ষুধার অন্ন আর ধনীর বুকের এক খাবলা মাংস ।

কত মিছিল চলে গেছে রাজপথ দিয়ে,
কত সিংহ কণ্ঠের গর্জনে ময়দান আজ কাঁপে ।
কত স্বপ্নের রঙিন ফানুস উড়িয়েছে কত শত নেতা,
তবু হতভাগাদের সেই শূন্য উদর রয়ে যায় আজও ফাঁকা,
মাথার উপরে সুনীল আকাশ, তাদের রাজপথেই বিছানা ।

রাজপথে মিছিল যেন মানুষের অধিকার এনে দেবে এই প্রতিশ্রুতি দেয়
এদিকে মানুষের মুখের খাবার কিছু মানুষ রুপী অমানুষ কেড়ে নেয়।

ভাল থাকবেন দাদা । ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা ও ভালবাসা সবসময় থাকবে আপনার জন্য।

Thank You for sharing Your insights...

Donate to this poor girl

আমাদেরকে খুলে দিতে হবে হৃদয়ের বন্ধ দুয়ার। পথ শিশুদের জন্য হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। ছোট শিশুরা কত আর্তনাদ করে। এ আর্তনাদ গুলো কি মানুষের হৃদয়ে পৌঁছায় না?
আপনার এই অণুকবিতা গুলোর মর্মার্থ অনেক দাদা। কবিতাগুলো নিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে গেলে অনেক কিছু খুঁজে পাওয়া যায় এই কবিতা গুলোর মধ্যে । আসলে আমার অনেক ভালো লাগে আপনার এই অণু কবিতা গুলো পড়তে।

Thank You for sharing...

মানুষ নাকি ? ওরা তো পশু, কারণ ওরা বস্তিতে থাকে,
মানুষ হলুম আমরা, যারা গাড়ি ঘোড়ায় চড়ি ।
কী বলো পাগলের মতো ? ওরাও মানুষ ? ওদেরও খিদে আছে ?
আমি ভাবতুম নোংরা কুকুর, ডাস্টবিন ঘেঁটে বেঁচে থাকে ।
পাঁচটি বছর পরে যখন ভোটের সময় আসে,
তখন শুধুই মানুষ ওরা অন্য সময় পশু ।

কবিতার লিখা লাইনগুলো বাস্তব। বস্তিতে থাকা মানুষকে আমাদের সমাজের অনেকেই মানুষ বলে গন্য করে না।

কিন্তু যখন ভোটের সময় আসে তাদের মূল্য বেড়ে যায় অন্যান্য সময় তাদের দিকে ফিরেও তাকায় না তারা।
আর এইটাই হলো আমাদের সমাজের বাস্তবতা।

মানুষ নাকি ? ওরা তো পশু, কারণ ওরা বস্তিতে থাকে,
মানুষ হলুম আমরা, যারা গাড়ি ঘোড়ায় চড়ি ।
কী বলো পাগলের মতো ? ওরাও মানুষ ? ওদেরও খিদে আছে ?
আমি ভাবতুম নোংরা কুকুর, ডাস্টবিন ঘেঁটে বেঁচে থাকে ।
পাঁচটি বছর পরে যখন ভোটের সময় আসে,
তখন শুধুই মানুষ ওরা অন্য সময় পশু ।

দাদা আজকের কবিতার প্রতিটি লাইন অসাধারণ। তবে এই কবিতার অর্থ বুঝা অনেক জ্ঞানের ব্যপার। আজকের কবিতার অর্থ খুজতে অনেক সময় লেগেছে। তবে অনেক মজা পেলাম, ধন্যবাদ দাদা।

কোনটা রেখে কোনটা ভালো বলবো। সবগুলো অণু কবিতা এতো গভীর থেকে লিখেছেন দাদা একদম হার্টে লেগেছে।

মানুষ নাকি ? ওরা তো পশু, কারণ ওরা বস্তিতে থাকে,
মানুষ হলুম আমরা, যারা গাড়ি ঘোড়ায় চড়ি ।
কী বলো পাগলের মতো ? ওরাও মানুষ ? ওদেরও খিদে আছে ?
আমি ভাবতুম নোংরা কুকুর, ডাস্টবিন ঘেঁটে বেঁচে থাকে ।
পাঁচটি বছর পরে যখন ভোটের সময় আসে,
তখন শুধুই মানুষ ওরা অন্য সময় পশু ।

বাস্তবতা আসলে এমনি হয় দাদা। বড় বড় নেতারা ভোট দেয়ার বেলায় মানুষ মনে করে। আর যখন সে নেতা হয়ে যায় তখন সে আর কাউকে মানুষ মনে করে না। অথচ তাদের ভোটেই সে নির্বাচিত হয়েছে 🙂

Thank You for sharing...

কষ্ট লাগে। কেবল ভোটের সময়ই তাদের কিছু কদর। আর বাকী সময় অবহেলা।

এজন্য মাঝে মাঝে সমাজতান্ত্রিক কিছু ধারনা আমার ভাল লাগে। পুজিবাদে বস্তুবাদ নিয়ে আসে।

আমরা আজো ফাইব স্টারে যাই যেখানে পাশের রেল স্টেশনেই অনেকে দু বেলা কোনরকম খেয়ে খোলা আকাশের নিচেই শুয়ে পড়ে। ভাবলেই মনটা অশান্ত হয়ে যায়। কি করতে পারছি!!

তোমার শেয়ার করা কবিতা খুবই অসাধারণ হয়, দাদা। "ভীষণই অরাজনৈতিক" কবিতাটি তোমার অন্যান্য কবিতার মতোই অর্থবহ সুন্দর একটি কবিতা। প্রত্যেকটা কবিতা সম্পূর্ণভাবে একটি কবিতা থেকে অন্যটি ভিন্ন এবং বিষয়বস্তু সম্পূর্ণ আলাদা । তোমার কবিতার মধ্যে আমরা প্রতিদিন নতুনত্ব কিছু খুজে পাই সব সময়। খুবই ভালো লাগে পড়ে। অনেক কিছু শিখতে পারি, অনেক কিছু জানতে পারি, অনেক কিছু বুঝতে পারি কবিতাগুলো পড়ে। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর কবিতা আমাদের সাথে সবসময় শেয়ার করার জন্য। আজকের কবিতার এই বিশেষ লাইনগুলো আমার মন ছুঁয়ে গেছে।

মানুষ নাকি ? ওরা তো পশু, কারণ ওরা বস্তিতে থাকে,
মানুষ হলুম আমরা, যারা গাড়ি ঘোড়ায় চড়ি ।
কী বলো পাগলের মতো ? ওরাও মানুষ ? ওদেরও খিদে আছে ?
আমি ভাবতুম নোংরা কুকুর, ডাস্টবিন ঘেঁটে বেঁচে থাকে ।
পাঁচটি বছর পরে যখন ভোটের সময় আসে,
তখন শুধুই মানুষ ওরা অন্য সময় পশু ।

Thank You for sharing Your insights...

দাদা আপনার কবিতা পড়ে আমার ভীষণ ভালো লাগে আপনারএই কবিতায় সমাজের বিশৃঙ্খলা অনিয়মের বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে। ধনীরা গরিবদের বারবার শোষন করছে। এই গরীব অসহায়দের নিয়ে রাজনীতি করছে শতশত নেতা রাজপথে তাদের কত স্বপ্ন দেখায় এইসব গরীব অসহায়দের নিয়ে ।কিন্তু দিন শেষে তারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। আমাদের সমাজের উচ্চ স্তরের লোকজন বস্তিতে থাকা মানুষগুলোকে আসলে মানুষ মনে করে না তারা তাদের পোষা বিড়াল এর থেকেও নিকৃষ্ট মনে করে। এত সুন্দর একটি প্রতিবাদ মূলক কবিতা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Thank You for sharing Your insights...

মানুষ নাকি ? ওরা তো পশু, কারণ ওরা বস্তিতে থাকে,
মানুষ হলুম আমরা, যারা গাড়ি ঘোড়ায় চড়ি ।
কী বলো পাগলের মতো ? ওরাও মানুষ ? ওদেরও খিদে আছে ?
আমি ভাবতুম নোংরা কুকুর, ডাস্টবিন ঘেঁটে বেঁচে থাকে ।
পাঁচটি বছর পরে যখন ভোটের সময় আসে,
তখন শুধুই মানুষ ওরা অন্য সময় পশু ।

দাদা আপনার সবগুলো অনু কবিতার মধ্যে এই কবিতাটি এতটা বাস্তবমুখী এত চমৎকার ভাবে কবিতার ছন্দ গুলোকে আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন পড়ে তো একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সত্যি দাদা খুবই বাস্তব মুখী কবিতার লাইনগুলো ছিল। আসলেই কিছু মানুষ আছে যারা মানুষকে মানুষ মনে করে না তাদের প্রয়োজনে শুধু তাদেরকে মানুষ হিসাবে সাময়িক গণ্য করেন। এদেরকে আমরা সবাই চিনি তারপরও কেন জানি আমরা এদের পিছনে দৌড়ায়। আমার কাছে বিষয়টা খুব খারাপ লাগে, তাই আমি এসব রাজনীতি মধ্যে নেই

Thank You for sharing...

খুব সুন্দর অনুকবিতা গুলো।প্রতিটি লাইন সুন্দর।

জীবন খাতা আমার প্রশ্নে ভরতি,
আজো উত্তর পেলাম না ।
প্রশ্নের পর প্রশ্ন জোটে,
উত্তরের জন্য মাথা খুঁটে
তবু কোনো উত্তর পেলাম না ।

কিছু প্রশ্নের আসলেই উওর নেই। ধন্যবাদ

কেউ বেঁচে থেকে হ্যাঁ হুতাশ করে ,
আর কেউ বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে
কেউ স্বপ্ন দেখায়, কেউ স্বপ্নকে তছনছ করে
তবুও বেঁচে থাকতে হবে ,আশায় বুক বাঁধতে হবে ।

পৃথিবী কোন দিকে ঘুরছে তা আমার জানা নেই , তবে এতটুকু জানি বেঁচে থাকতে হবে, টিকে থাকতে হবে , এর বিকল্প কিছু নেই ।

পাঁচটি বছর পরে যখন ভোটের সময় আসে,
তখন শুধুই মানুষ ওরা অন্য সময় পশু ।

আমাদের সমাজের বাস্তবতা এখন। শুধু ভোটের বেলায়ই ওদের মানুষ মনে করা হয়। অন্য সময় আচরণ করা হয় পশুর মত। ভোটের সময় অমানবিক মানুষ গুলোই মানবিক রূপ ধারন করে ভোট ভিক্ষা করতে আসে। প্রকৃত ভিক্ষুক তো তারাই।

জীবন খাতা আমার প্রশ্নে ভরতি,
আজো উত্তর পেলাম না ।
প্রশ্নের পর প্রশ্ন জোটে,
উত্তরের জন্য মাথা খুঁটে
তবু কোনো উত্তর পেলাম না

পৃথিবীর বুকে এমন অসংখ্য প্রশ্ন আছে যেগুলো আমাদের মনে উকি ঝুকি মারে। কিন্তু সেগুলোর উওর পাওয়া যায় না। আপনার এই লাইনগুলো তারই ইঙ্গিত করে। জীবনখাতা আমার প্রশ্নে ভরতি আজো উওর পেলাম না। অসাধারণ লিখেছেন কবিতা টা দাদা।।

গভীর রাতের এই শহরটা আমার ভীষণই অচেনা,
দিনের বেলায় এর ঐশ্বর্যে চোখ ঝলসে যায় ।
রাতের আঁধারে শত বুভুক্ষু প্রেত-মূর্তি ওঠে জেগে,
ডাস্টবিনে তারা সারমেয়দের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে ।

দাদা আপনি এত ভাল লেখেন যে আপনার কবিতা নিয়ে মন্তব্য করার দুঃসাহস আমার নেই। শুধুমাত্র দু'একটি কথা বলছি যেটা মনকে নাড়া দিয়ে গেল। দাদা আপনার কবিতার লাইন কয়টি আমার হৃদয়ের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে একেবারে রক্তাক্ত করে। আমি নিজের চোখে অনেক দেখেছি খাবার নিয়ে মারামারি করতে। এইতো গত পরশুদিন স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলাম গাড়ির জন্য। পাশের ডাস্টবিনে তাকাতেই নজরে এলো দোকানের ফেলে দেয়া পচা আপেল থেকে যে সামান্যটুকু ভালো আছে সেগুলোই নিয়ে যাচ্ছে বাড়িতে ছেলে মেয়েদের খাওয়ানোর জন্য। দেখে আমার কাছে খুব খারাপ লাগলো। আসলে সবাই নির্বাক খবর নেবে কে।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



দাদা আপনার প্রতিটি অনুকাব্যের মধ্যে কেমন যেন একটা বিদ্রোহী ভাব আর বিদ্রুপ লক্ষ করলাম।

কত মিছিল চলে গেছে রাজপথ দিয়ে,
কত সিংহ কণ্ঠের গর্জনে ময়দান আজ কাঁপে ।
কত স্বপ্নের রঙিন ফানুস উড়িয়েছে কত শত নেতা,
তবু হতভাগাদের সেই শূন্য উদর রয়ে যায় আজও ফাঁকা,
মাথার উপরে সুনীল আকাশ, তাদের রাজপথেই বিছানা ।

মাত্র অল্প কয়েকটা লাইন তবে কি দারুন অর্থবহ। যদিও কবিতা লিখতে পারিনা তবে ভালো কবিতা গুলো পড়তে আসলেই অনেক ভালো লাগে। শুভকামনা রইল

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

কত মিছিল চলে গেছে রাজপথ দিয়ে,
কত সিংহ কণ্ঠের গর্জনে ময়দান আজ কাঁপে ।
কত স্বপ্নের রঙিন ফানুস উড়িয়েছে কত শত নেতা,
তবু হতভাগাদের সেই শূন্য উদর রয়ে যায় আজও ফাঁকা,
মাথার উপরে সুনীল আকাশ, তাদের রাজপথেই বিছানা ।

সমসাময়িক একটি বিষয় নিয়ে খুব সুন্দর কবিতা লিখেছেন দাদা ।আসলে বর্তমানে আমাদের পৃথিবীর নেতাদের অবস্থা এটাই ।তারা বক্তব্যের মাধ্যমে মঞ্চ কাপাবে । মিছিলে কাঁপাবে রাস্তা। কিন্তু যারা হতভাগা তারা চিরজীবন হতভাগা থেকে যাবে। আর যারা উপর পোস্টে আছে ম্যাক্সিম দুর্নীতিবাজ তারা দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়ছে। অথচ কত মানুষ আছে রাস্তার ধারে বিছানা পেতে শুয়ে থাকে। অথচ দুবেলা-দুমুঠো খাবার হচ্ছে না। নীল আকাশ তাদের বাড়ির ছাদ হয়ে থাকছে। ধন্যবাদ দাদা সময়োপযোগী একটি কবিতা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

Thank You for sharing Your insights...

আপনি কে আর আপনি কেন কমেন্টের ফিডব্যাক দিলেন। আপনি জানেন না এই কমিউনিটিতে ইংরেজি চলবেনা। বাংলায় উত্তর দিতে হয়।

দাদা আপনার কবিতার প্রথম লাইনে আপনি ধনী-দরিদ্র্যের বিভেদ বুঝিয়েছেন ।আর এখানে বুঝিয়েছেন গরিবেরা এক মুঠো অন্নের জন্য তারা কত কষ্ট করছে অপরদিকে বড়লোকেরা ভোগ বিলাসে জীবন-যাপন করছে। নিচের চলো নেই আপনি রাজপথ কে অনেক মানুষের বিছানার সাথে তুলনা করেছেন অসাধারণভাবে কবিতাটি লিখেছেন দাদা ।ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা আপনার আজকের কবিতাটির মাধ্যমে বর্তমান সমাজের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। এইসকল পথের মানুষদের দেখার মত আসলে কেউ নেই। কোন যুগেই ছিলো না। এরা সব সময়ই অবহেলিত।
খুব ভালো লেগেছে আজকের কবিতাটি।

দাদা এত সুন্দর একটি কবিতা উপহার দিয়েছেন যে কবিতাতে ভেসে উঠেছে হাজারো রাজনৈতিক এবং অসৎ নেতার শপথের কথা। রাজপত কেঁপেছে খেপেছে সারাদেশ। তবুও কি হয়েছে নিঃশেষ দারিদ্রতার এই বেশ। দাদা এর জন্য দায়ী আমাদের সমাজ আমরা প্রতিটা মানুষ। সচেতনতা অভাব, অসচেতন মানুষ, নোংরা মন মানসিকতা।

জীবন খাতা আমার প্রশ্নে ভরতি,
আজো উত্তর পেলাম না ।
প্রশ্নের পর প্রশ্ন জোটে,
উত্তরের জন্য মাথা খুঁটে
তবু কোনো উত্তর পেলাম না ।

এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য। দাদা আপনার প্রতি রইল অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা অবিরাম।

সময় আসলেই তারা নর্দমার কিট ডাকা মানুষদের মানুষ মনে করে।এরপর তাদের কাজ শেষ হলে সেই মানুষগুলোকে আবার নর্দমার কিট ই ভাবে।দারুণ লিখেছেন দাদা।অনেকদিন পর একেবারে ভিন্ন কিছু পেলাম।

কত মিছিল চলে গেছে রাজপথ দিয়ে,
কত সিংহ কণ্ঠের গর্জনে ময়দান আজ কাঁপে ।
কত স্বপ্নের রঙিন ফানুস উড়িয়েছে কত শত নেতা,
তবু হতভাগাদের সেই শূন্য উদর রয়ে যায় আজও ফাঁকা,
মাথার উপরে সুনীল আকাশ, তাদের রাজপথেই বিছানা ।

এ লাইনগুলো সত্যি হৃদয় ছুঁয়ে গেছে দাদা, নির্মম বাস্তবতাকে কত সুন্দর কাব্যিকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সত্যি বাস্তবতা এখানে বড্ড বেশী নির্দয় এবং নিষ্ঠুর।

Hey take a look of work @riki2000

দাদা, আপনার কবিতাগুলো আমার খুব ভালো লাগে। এতদিন আপনি বিরহের কবিতা শেয়ার করেছেন। আজকে যে অণুকবিতা শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে।এই অণুকবিতার মধ্যে সমাজের নোংরা রাজনীতি বিষয়গুলো ফুটিয়ে তুলেছেন। পাঁচ বছর তারা অমানুষ থাকে যখন ভোটের সময় হয় তখন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ভোটের জন্য ভিক্ষা করে। যখন জয় হয় অসহায় ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য বিন্দু পরিমান সাহায্যের হাত বাড়িয় দেনা আর যদি হাত বাড়িয়ে দিত তাহলে আর কুকুর মত ডাস্টবিনের পচা বাসি খাবার খোঁজে মরতে হতো না। দাদা, এই পুরো কবিতাগুলো পড়ে সত্যি আমার খুব ভালো লেগেছে। এই কবিতা গুলোর মধ্যে বাস্তব চিত্র গুলো আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন।দাদা, অণুকবিতার মধ্যে এই কবিতাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে।

মানুষ নাকি ? ওরা তো পশু, কারণ ওরা বস্তিতে থাকে,
মানুষ হলুম আমরা, যারা গাড়ি ঘোড়ায় চড়ি ।
কী বলো পাগলের মতো ? ওরাও মানুষ ? ওদেরও খিদে আছে ?
আমি ভাবতুম নোংরা কুকুর, ডাস্টবিন ঘেঁটে বেঁচে থাকে ।
পাঁচটি বছর পরে যখন ভোটের সময় আসে,
তখন শুধুই মানুষ ওরা অন্য সময় পশু ।

ধন্যবাদ দাদা💐

Thank You for sharing Your insights...

আজকের লেখার মাঝে সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে দাদা। ভোট আসলেই প্রতিটি পাতিনেতার প্রতিশ্রুতির শেষ থাকে না। আর কাজ ফুরিয়ে গেলে আবার ফিরে যায় নিজের চিরচেনা রূপে। মানুষকে যেন মানুষই মনে করে না এরা। এই সমাজের দরিদ্র আর দুঃখী হয়ে জন্ম গ্রহণ করাটা যেন পাপের।

চোখ দুটি তার লুকিয়েছে আজ ভীষণ অভিমানে,
চামড়া ঢাকা কঙ্কালদেহ আজ দাঁড়িয়েছে সম্মুখ সমরে ।
নির্মম সভ্যতার বুকে আজ পদাঘাত করি
মানুষ নামের অমানুষ হতে ভিক্ষা নয়, নিয়েছে কাঁড়ি
এক মুঠো ক্ষুধার অন্ন আর ধনীর বুকের এক খাবলা মাংস ।

চোখ দুটি তার লুকিয়েছে আজ ভীষণ অভিমানে,চামড়া ঢাকা কঙ্কালদেহ আজ দাঁড়িয়েছে সম্মুখ সমরে ।
নির্মম সভ্যতার বুকে আজ পদাঘাত করি
মানুষ নামের অমানুষ হতে ভিক্ষা নয়, নিয়েছে কাঁড়ি
এক মুঠো ক্ষুধার অন্ন আর ধনীর বুকের এক খাবলা মাংস ।

দাদা আপনার কবিতা মানে অসাধারণ কিছু। তবে আজকের আপনার অনুকবিতা থেকে এই কবিতাটি আমার কাছে হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।♥♥

মানুষ নাকি ? ওরা তো পশু, কারণ ওরা বস্তিতে থাকে,
মানুষ হলুম আমরা, যারা গাড়ি ঘোড়ায় চড়ি ।
কী বলো পাগলের মতো ? ওরাও মানুষ ? ওদেরও খিদে আছে ?
আমি ভাবতুম নোংরা কুকুর, ডাস্টবিন ঘেঁটে বেঁচে থাকে ।
পাঁচটি বছর পরে যখন ভোটের সময় আসে,
তখন শুধুই মানুষ ওরা অন্য সময় পশু

আপনার এই উপরোক্ত চরণগুলির প্রমাণ বাস্তবতা।আসলেই নির্বাচন আসলেই ওই মানুষগুলারে মানুষ মনে করা হয় বাকী সময়তে ওদেরকে ভাবা হয় পশুতুল্য।আপনার এই লিখনির জন্য সাধুবাদ জানাই দাদা আপনাকে।

Thank You for sharing...

মানুষ নাকি ? ওরা তো পশু, কারণ ওরা বস্তিতে থাকে,
মানুষ হলুম আমরা, যারা গাড়ি ঘোড়ায় চড়ি ।
কী বলো পাগলের মতো ? ওরাও মানুষ ? ওদেরও খিদে আছে ?
আমি ভাবতুম নোংরা কুকুর, ডাস্টবিন ঘেঁটে বেঁচে থাকে ।
পাঁচটি বছর পরে যখন ভোটের সময় আসে,
তখন শুধুই মানুষ ওরা অন্য সময় পশু ।

সত্যি বলতে দাদা আজকের অনুকবিতা পড়ে আমার চোখের কোনে পানি চলে আসছে। বস্তিতে থাকা মানুষ গুলো সতি অনেক অবহেলিত দেখে মনে হয় এরা অনেক যুদ্ধ করে জীবন যাপন করছে।ওদের সামনে গেলে মনে হয় ওদের চেয়ে আমরা অনেক ভালো জায়গায় থাকি তবু আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি না।আমার মন চায় ওদের পাশে দাঁড়াতে। আমরা ওদের পশু না ভেবে সবাই যদি ওদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে ওঁরা ও সুন্দর জীবন কাটাতে পারবে।আপনার লেখা কবিতা গুলো মনোমুগ্ধকর দাদা।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালো বাসা রইল দাদা।ভালো থাকবেন দাদা।

Thank You for sharing Your insights...

প্রত্যেকটা কবিতায় এত বাস্তবিক । কবিতার প্রতি লাইনে কোথা থেকে যেন গর্জন শোনা যাচ্ছে বিরোধের , অধিকারের লড়াইয়ের। অসাধারণ ছিল অণু কবিতাগুলো। ভালবাসা নিও দাদা।

সামাজিক অবস্থার বাস্তবতা, স্বপ্ন খুব সুন্দর, কিন্তু বাস্তবে তা প্রায়ই ভেঙ্গে যায়, পৃথিবীর কোন এক কোণে কিছু মানুষ সবসময়ই থাকবে পৃথিবীর ভুলে, অবহেলিত, আমাদের এই মানুষ এবং জিনিসগুলির প্রতি আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত , প্রশংসা

সময়ের সাময়িকীতে
সমাজকে করে দেখালেন দুভাগ,
যা দেখালেন তাই ঘটছে আজ
কোনোখানেই যেন নাই ঠিকঠাক।

বৈষম্য আর অর্থহীন অবহেলায়
সমাজ উঠেছে যেন গড়ি,
সমাজে করে তারাই কুকীর্তি
অর্থ যাদের করেছেন বিলাসী।

কত মিছিল চলে গেছে রাজপথ দিয়ে,
কত সিংহ কণ্ঠের গর্জনে ময়দান আজ কাঁপে ।
কত স্বপ্নের রঙিন ফানুস উড়িয়েছে কত শত নেতা,
তবু হতভাগাদের সেই শূন্য উদর রয়ে যায় আজও ফাঁকা,
মাথার উপরে সুনীল আকাশ, তাদের রাজপথেই বিছানা ।

একদম বাস্তবধর্মী কবিতা লিখেছেন দাদা,নেতাদের শুধু ভোটের আগেই দেখা যায় বড়ো বড়ো ভাষণ দিতে ।যখন নেতা হয়ে যায় তখন বস্তির খেটে খাওয়া গরিব মানুষগুলি, তাদের কাছে কুকুর বলে মনে হয়।আবার বছর ঘুরে 5 বছর গেলে মনে পড়ে ওদের কথা কিন্তু এতদিনে তারা না খেয়ে কোনরকমে দিন যাপন করেছে।ভেবেই কষ্ট লাগে, তবুও কিছু করার নেই।ক্ষমতাবানরা ক্ষমতার অপব্যবহার করলে, সুন্দর ছিল কবিতাটি।ধন্যবাদ দাদা।

Thank You for sharing...