স্ট্রীট ফুডsteemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  last year 

jalebi-4901840_1280.jpg
copyright free image source: PixaBay


বিশ্বের প্রায় সব দেশেই স্ট্রীট ফুড ভীষণ পপুলার । আমাদের দেশে বোধ হয় একটু বেশিই পপুলার । রাস্তা ঘাটে, অলিতে গলিতে প্রচুর স্ট্রীট ফুডের দোকান রয়েছে । স্ট্রীট ফুড খাওয়া যদিও খুব আনহেলদি তারপরেও কম দামে ঝটপট সুস্বাদু মুখরোচক খাবার বলতে স্ট্রীট ফুড ছাড়া গতি নেই আর কোনো ।

ছোট থেকে বুড়ো হেনো মানুষ নেই যার স্ট্রীট ফুড ভালো লাগে না । ভারতবর্ষে রাজ্য ভেদে বিভিন্ন মুখরোচক স্ট্রীট ফুড পাওয়া যায় । এক এক স্টেটে এক এক রকমের স্ট্রীট ফুড সেরা । আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে সাধারণত বাঙালি ফাস্ট ফুডই বেশি জনপ্রিয় । তারপরেও এখন তিব্বত, নেপাল, চায়না সহ দেশের অন্য রাজ্যগুলির কিছু কিছু স্ট্রীট ফুড বেশ পপুলার এখন আমাদের রাজ্যে ।

প্রথমেই আসি তেলেভাজা প্রসঙ্গে । বস্তুতঃ আমাদের রাজ্যে স্ট্রীট ফুডের জনপ্রিয়তার একদম শীর্ষে অবস্থান করছে তেলেভাজা । আলুর চপ, বেগুনি, সিঙ্গাড়া, ডিমের চপ, ফুলকপির চপ, মাছের চপ, ফুলুরি, ডাল বড়া, ভেজিটেবল চপ, পকোড়া, ডাল পুরি, কচুরি এইসব । এছাড়াও এর পাশাপাশি ছোলা, ঘুগনি, ঝাল মুড়ি, জিলেপী এবং পাঁপড় ভাজাও খুবই জনপ্রিয় ।

আমাদের পাড়াতে বিকেল হলেই চলে আসে তিনটে স্পটে ঘুগনি এবং ফুচকা ওয়ালা । হিন্দিতে যা পানি পুরি বাংলায় তাই হলো ফুচকা । ফুচকা বিশেষ করে মেয়েদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটা স্ট্রীট ফুড । আমাদের রাজ্যে চা-পান-বিড়ির থেকে ১০ গুন্ বেশি হলো ফুচকার অস্থায়ী ষ্টল । অলিতে গলিতে শুধু ফুচকাওয়ালা আর ফুচকাওয়ালা ।

এখন কিন্তু, এই ফুচকার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আরো কয়েকটি স্ট্রীট ফুডের দোকান । তার মধ্যে সব চাইতে জনপ্রিয় হলো মোমো । নেপাল ও তিব্বতের ফাস্ট ফুড এখন বাংলায় স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে । ভেজ ও নন ভেজ দু'রকমের মোমোই পশ্চিমবঙ্গে ভীষণ জনপ্রিয় । এরই সাথে আরো দু'টো ফাস্ট ফুড রেপিডলি গ্রো করছে । চাওমিন এবং রোল ।

চাওমিন স্কুল কলেজ এবং অফিস পাড়াতে সব চাইতে বেশি পপুলার । সস্তাতে পেট ভরাতে চাওমিনের জুড়ি মেলা ভার । এগ চাওমিন আর চিকেন চাওমিন - এই দু'রকমই চলে সব চাইতে বেশি । এবারে আসি রোলের কথায় । সন্ধ্যা ঘনালেই রোলের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভীড় দেখা যায় । এগ রোল আর চিকেন রোল - এই দু'রকমের রোলে মজেছে আপামর পশ্চিমবঙ্গবাসী ।

রোল আর চাওমিনের পাশাপাশি ফিস কাটলেট, চিকেন কাটলেট, ফিস কবিরাজি, চিকেন ললিপপ, চিকেন পকোড়া, এগ ডেভিলও ভালোই চলে । সন্ধ্যের একটু আগে থেকে রাত আটটা অব্দি একটানা ভিড় জমে থাকে স্ট্রীট ফুডের দোকানগুলোতে ।

স্বাদে অতুলনীয় হলেও স্বাস্থ্যের জন্য ততটা নয় আমাদের দেশের স্ট্রীট ফুড ।


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)


তারিখ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

টাস্ক ৩৯৫ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 5a8f87f7aa886761f76d1d012e6af22d65ef52e3f45b7977018302245ea6ab8a

টাস্ক ৩৯৫ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা যারা স্ট্রীট ফুড খায় তারা সচেতনতার কথা খুব একটা চিন্তা করে না। স্ট্রিট ফুড খাওয়া হয় মূলত সাদের কথা চিন্তা করে। আমাদের শহরে ইদানিং দেখতে পাচ্ছি প্রচুর বার্গারের ফুড কার্ট হয়েছে। আর ফুচকা তো আগা গোড়াই সকলের প্রিয় খাবার। ধন্যবাদ দাদা।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

কথা সত্যি স্ট্রীট ফুড দেখতে যতটা আকর্ষনীয় স্বাস্থ্যের জন্য ততোটা ভালো নয়।বাইরের খাবার যদিও আমার খাওয়া হয়না।আর ভাজা ভুজি তো একদমই নয়।আমাদের দেশে ও বিকেল থেকে নানা রকমের বাহারি ভাজা ভুজি দেখতে পাওয়া যায়। সব মানুষের উপচে পরা ভীড় লক্ষ্য করা যায়। আমার লোভ হয় শুধু মোমোর উপর।চিকেন মোমো গরম গরম উফফ।তাই পছন্দের এই খাবারটি নিজের হাতেই করে খেতে পছন্দ করি।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

শুরুটাতো ভালোই করেছিলেন দাদা কিন্তু মাঝে ফুচকার কথা বলে লোভ লাগিয়ে দিলেন, জীবে তো জল চলে আসলো। তবে জিলাপী এবং ঘুগনি বেশ লাগে আমার কাছে।

একদম ঠিক বলেছেন দাদা, সবার পছন্দের খাবার এই স্ট্রিট ফুড।মুখরোচক খাবার হওয়ায় স্বাস্থ্যকর না জেনেও আমরা এই স্ট্রিট ফুড খেয়ে থাকি।সব দেশেই এই খাবারের প্রচলন আছে।তবে ইন্ডিয়া তে যে বেশি এটা শুনেছি।ফুসকা তো মেয়েদের একটু বেশি প্রিয়।তবে বর্তমান ছেলেরাও সমান তালে ফুসকা পছন্দ করে দাদা।এছাড়াও মোমো এখন বেশ জনপ্রিয়।আরো সব স্ট্রিট ফুডের নাম বলেছেন সবগুলোই মুখরোচক।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

স্ট্রীট ফুড, বিশ্বে এমন কোন দেশ নেই যে সেই দেশের মানুষের এই খাবারগুলো অপছন্দ। অনেক সময় দেখা যায় কোন একটা জায়গায় এই স্টেট ফুড তৈরি করা হচ্ছে এবং বিক্রি করা হচ্ছে। এ ধরনের খাবারগুলো অতিরিক্ত মাত্রায় মুখোরুচর জন্য মানুষের কাছে এত প্রিয়। ছোট-বড় সবাই এখানে খাবারগুলো খেতে পছন্দ করে। তবে আমার মনে হয় ফুচকা মানুষের বেশি প্রিয়।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা সবই চিনলাম মোটামোটি কিন্তু ঘুগনি কোনটা চিনতে পারলাম না । এখন যে অবস্থা ফুচকা না খেলে চলেই না মেয়েদের। যাদের এই অভ্যাস গড়ে গিয়েছে তারা বিকেল হলেই চলে যায় ফুচকার দোকানে সাথে ভেলপুরি তো আছেই। আপনাদের মতো আমাদের দেশেও এসব দোকান পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। যদিও এসব স্ট্রীট ফুড আমাদের শরীরের জন্য ভালো না।

সত্যি বলতে দাদা পৃথিবীর সব স্ট্রিট ফুড একদিকে আর আমার কাছে আলুর চপ, বেগুনী সিঙ্গারা একদিকে। এগুলো কিছু টা অস্বাস্থ্যকর কিন্তু এগুলো ছাড়া বাঙালির জীবন অপূর্ণ হা হা। তবে মেয়েদের ফুসকা প্রেম টা যেন অনেক অনেক বেশি।। তবে আমাদের দেশে স্ট্রিট ফুড হিসেবে চাওমিন বা কাটলেট খুব একটা জনপ্রিয় না। স্ট্রিট ফুড নিয়ে আপনার পোস্ট টা বেশ ভালো লাগল দাদা।।

Posted using SteemPro Mobile

স্ট্রীটফুড লাভারদের জন্য স্বাস্থ্যের বিষয় টা মাথায় রাখা খুবই দুষ্কর দাদা। সব জেনেশুনেও স্ট্রীট ফুড থেকে দূরে থাকা যায় না দাদা। আমাদের এখানেও অলিতে গলিতে ফুসকা, দই-ফুসকা, চটপটি, ভেলপুরি, পানিপুরি, মুড়িমাখা, মোমো আর ওয়াফেল এর দোকান। সাথে তেলে ভাজা তো আছেই।

Posted using SteemPro Mobile

কি করলেন দাদা এসব? একে তো জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে, তার মধ্যে আপনার পোস্টে ঢুকে দেখি এত এত লোভনীয় এবং মুখোরোচক খাবার। দেখেই তো পেট আর জিভ একসাথে চু চু করছে। এরকমের খাবার গুলোর নাম শুনলেই জিভে জল আসে। আর দাদা আমাদের দেশেও সেই একই অবস্থা। সেই বিকাল থেকে শুরু হয় রাত ১১-১২ টা পর্যন্ত চলে এসব খাবার এর দোকান গুলো। দারুন ছিল আজকের পোস্টটি দাদা।

ভারত এবং বাংলাদেশে স্ট্রিট ফুড বেশ জনপ্রিয় দাদা। অস্বাস্থ্যকর হলেও স্ট্রিট ফুডের চাহিদা ব্যাপক। আমার তো স্ট্রিট ফুড খুব পছন্দ। তেলে ভাজা খাবার, মোমো,ফিস কাটলেট আমার বেশি পছন্দ। তবে মাঝে মধ্যে ফুচকা, ঘুগনি এবং ঝালমুড়ি খেতেও দারুণ লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

শুধু আপনাদের ওখানে না দাদা আমাদের বাংলাদেশেও কিন্তু স্ট্রীট ফুডের অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। আমার তো ভীষণ ভালো লাগে স্টীড ফুড। ঠিক বলছেন যদিও আনহেলদি হয় কিন্তু দেখলে জিব্বা সামলাতে পারি না। বেশ মজার লাগে ফুচকা খেতে। তাছাড়া অন্যান্য তেলে ভাজা বেগুনি, আলুর চপ অনেক মজার খাবার। আপনি যখন খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা দিয়েছেন আপনার লেখাগুলো পড়ার সাথে সাথে খাওয়ার ইচ্ছে হয়ে গেল। দারুণ বর্ণনা করলেন আপনি দাদা ভালো লেগেছে।

আনহেলদি হলেও কিন্তু, স্ট্রিট ফুড খুব সুস্বাদু লাগে খেতে দাদা। ঠিকই বলেছেন, তেলেভাজা পশ্চিমবঙ্গের স্ট্রিট ফুড গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার। আর তারই পাশাপাশি স্থান দখল করে নিয়েছে ফুচকা, যেটি মেয়েদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এছাড়া মোমো , যার নাম শুনেই জিভে জল চলে আসে। আর চিকেন রোল তো খুবই প্রিয় আমার। পোস্টটি পড়তে পড়তেই খাবার গুলোর কথা কল্পনা করে, জিভে জল চলে আসলো।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা, আমাদের এদিকেও সমানতালে এই খাবারগুলোর জনপ্রিয়তা বেশ বেড়ে গিয়েছে ভাই। এই মাঝরাতে যখন খাবারগুলোর নাম পড়ছিলাম,তখন যেন কিছুটা হলেও মনে মনে খাবারগুলো খাওয়ার স্বাদ উপলব্ধি করতে পারছিলাম।

Nice post

পোস্ট পড়ে যতটুকু বুঝতে পারলাম তাতে আপনাদের এলাকায় এই ফুডগুলোর জনপ্রিয়তা অনেক। কম দামে মুখ রুচি কর খাবার গুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে আপনাদের এলাকায় যদিও এই খাবারগুলো মানবদেহে বেশি ক্ষতি করে বিশেষ করে তেলে ভাজা খাবারগুলো। তবে সেটা জেনেও মুখরোচীকর বলে সবাই প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকে।

Posted using SteemPro Mobile

স্ট্রীট ফুড কিছুটা অস্বাস্থ্যকর হলেও আসলে এর চাহিদা অনেক বেশি এবং খুবই মুখরোচক। আমি আসলে ভাজা স্ট্রিট ফুড গুলো খাওয়ার ইচ্ছা না থাকলেও লোভ সামলাতে পারি না।

স্ট্রিটফুডগুলোর কথা শুনলেই মুখে পানি এসে যায়।আর এক্ষেত্রে যদি ফুচকা, চটপটি হয় তাহলে তো কথাই নেই।আমাদের দেশেও প্রচুর জনপ্রিয় এই ফুচকা।বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন জিনিস প্রচলিত তবে ফুচকা যেন সব জায়গায় স্থান করে নিয়েছে।এর মাঝে আরও অনেক ধরনের খাবার আছে, এখন আবার বিভিন্ন রকম ফলের মাখাও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।আপনার এই পোস্ট পড়ে ইচ্ছে করছে বাইরে গিয়ে ঘুরেঘুরে খেয়ে আসি,হাহাহা।

দাদা আপনি তো স্ট্রীট ফুডের সম্পূর্ণ ইতিহাস বলে ফেললেন। ভাতর পাকিস্তান আর বাংলাদেশে স্ট্রীট ফুড বেশি চলে। এই তিন দেশের মানুষ তেলে ভাজা জিনিষ বেশি খায়। তাছাড়া এগুলো মুখরোচক হওয়ার কারনে কমবেশি সবাই পছন্দ করে। অনেক মানুষ আছে আগে গ্যাস্টিকের টেবলেট খায় তারপরে স্ট্রীট ফুড খায়,হা হা হা। ধন্যবাদ দাদা।

কথাটি একদম ঠিক বলেছেন দাদা স্ট্রিটফুড সবার পছন্দের খাবার । কিন্তু খাবারগুলো আকর্ষণীয় দেখালেও আমাদের স্বাস্থ্যের দিক যদি বিবেচনা করি তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি।
তারপরও আমরা এই খাবারগুলো দেখলে লোভ সামলাতে পারি না। তবে ইন্ডিয়াতে যে বেশি তা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। এই স্ট্রিটফুডের দোকানগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকে। সবগুলো খাবার অনেক লোভনীয় ছিল। পোস্টটি পড়েই লোভ লেগে গেছে। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

স্ট্রীট ফুড গুলো খেতে বেশ মজা লাগে। আমি সব থেকে দাদা ঝালমুড়ি খেতে পছন্দ করি। তার পরে হচ্ছে ফুচকা। চমৎকার বলেছেন । আমাদের দেশেও স্ট্রীট ফুড বেশি দেখা যায়।