কুঞ্জবিহারীর নিকুঞ্জ - পর্ব ০৪

in hive-129948 •  3 years ago 


copyright free image source pixabay

তৃতীয় পর্বের পর


চার


বাতাসপুর গ্রামের বিখ্যাত চোর হলো গে পাঁচু । আর বিখ্যাত মাছ শিকারী হলো পল্টু । দুই জনেই নিশাচর প্রাণী । রাত জেগে যে যার কাজ সারে । শোনা কথা, চোরেরা নাকি নিজের গাঁয়ে চুরি করে না, কিন্তু পাঁচুর কারবারই আলাদা । সে নিজের গাঁ ভিন্ন আর কোনো গাঁয়েই চুরি করে না । অতি সম্প্রতি সে অবশ্য দেবীপুর গাঁয়েও চুরি করা শুরু করেছে । কারণটা আর কিছুই না, দেবীপুর এখন তার শ্বশুরালয় । দেবীপুরের জামাই সে । এই তো মাত্র এক মাস আগে অঘ্রাণ মাসে সে বিয়ে করেছে দেবীপুরে । তাই দেবীপুরের পরে তার একটা অধিকার জন্মেছে । অবশ্য প্রথম চুরিটা সে করেছিলো নিজেরই শশুরমশায়ের বাড়িতেই ।

তাই নিয়ে পাঁচুর বউ বিশাল ঝামেলা পাকিয়েছিলো, বিশাল অশান্তি করেছিলো সংসারে । বড্ড মুখ করেছিলো পাঁচুকে, দুই বেলা রান্না বান্নাও করেনি কিছু । মুড়ি-মুড়কি খেয়ে দু'বেলা কাটিয়েছিলো দু'জনেই । পাঁচুর শশুরমশাই অবশ্য জামাইয়ের কীর্তি জানতে পেরে খুবই আহ্লাদিত বোধ করেছিলো । সেও পাকা চোর । পাঁচুর হাতের সূক্ষ কাজ দেখে গর্বে তার বুক ফুলে উঠেছিলো । চোরের বাড়িতে চোর চুরি করে না, কথাটি ডাহা মিথ্যে প্রমাণিত করেছিলো পাঁচু নিজের শশুরমশাইয়ের বাড়িতেই চুরি করে । চোরেদের মহলে তাই পাঁচুর একটা আলাদা নাম ডাক আছে ।

এবার আসি পল্টুর কথায় । পল্টু সদ্য মাধ্যমিক পাশ করেছে । তার বাপ শহরে চাকরি করেন । প্রত্যেক সপ্তাহের শনিবার বিকেলে বাড়ি আসেন আর এসেই পল্টুকে ধরে ঠ্যাঙান । এক সপ্তাহও মিস নেই । কারণ প্রায় প্রত্যেকদিন পল্টু গাঁয়ের এর বাড়ি তার বাড়ির পুকুরে রাতের বেলায় মাছ ধরে বেড়ায় । মৎস্য শিকারী সে, নামজাদা শিকারী । তবে সবই অন্যের পুকুরের মাছ শিকার । গাঁয়ে খাল-বিল, দীঘি কম নেই । পল্টু সে সব জায়গাতেও মাছ ধরে । তারপরেও অন্যের পুকুরের মাছ ধরা ছাড়তে পারেনি । এই জন্যেই মার্ খায় প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত বাপের হাতে ।

আজকে হঠাৎই পল্টু আর পাঁচুর এক সাথে দেখা হয়ে গেলো ঝিলের ধারে । পল্টু আজকে ঝিলে গিয়েছে গজার মাছ শিকারে । বিশাল সাইজের একটা গজার মাছ কয়েকদিন ধরেই সে ওয়াচ করছে ঝিলের জলে ।আজকেই একটা হেস্ত নেস্ত করার ইচ্ছে আছে তার । আর পাঁচু বেরিয়েছে গাঙ্গুলি বাড়ির উদ্দেশ্যে । গাঙ্গুলি বাড়িতে আজকে নতুন জামাই এসেছে । জামাইয়ের ক্যামেরাটা দারুন পছন্দ হয়েছে পাঁচুর । বিকেল বেলায় জামাইবাবু গাঁ বেড়াতে বেরিয়েছিলেন । সঙ্গে ছিলো ওই ক্যামেরাখানা । দারুন জিনিস । বিলিতি মাল । দামও নিশ্চয়ই অনেকই হবে । ক্যামেরাখানা বাগাতে পারলে পাঁচুর বেশ কিছু রোজগার হবে । তাহলে এই শীতে একটা দামী শাল কিনতে পারবে সে । শ্বশুরবাড়ি যাবে শাল গায়ে । অনেক দিনের শখ তার ।

এ হেন দুই ক্ষণজন্মার হঠাৎ সাক্ষাৎ হয়ে গেলো ঝিলের পাড়ে । দু'জন দু'জনকে ভালোই চেনে, জানে । টুকটাক কিছু কথা বার্তা হলো উভয় নিশাচরের মধ্যে । শীতের রাত । হু হু করে পৌষের উত্তুরে হাওয়া কাঁপিয়ে দিচ্ছে চরাচর । চাঁদ অস্তমিত । গাঢ় অন্ধকারের চাঁদরে ঢাকা চারিদিক । হিম ঝরে পড়ছে গাছের পাতা বেয়ে, দূর্বা ঘাসের প্রান্ত দিয়ে, ঝিলের জলে । টুপ্ টুপ্ টুপ্। শীতের ছন্দ, হিমের ছন্দ । ছন্দময় শীতার্ত রাত । শীতঘুমে সবাই কাত । জেগে আছে শুধু দুই কীর্তিমান, দুই টাউট ।

কিছুক্ষন কথা বার্তা হওয়ার পরে যেই দু'জনে নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে পা বাড়িয়েছে, ওমনি একটা অদ্ভুত ব্যাপার ঘটে গেলো । হঠাৎই মোটর বাইকের শব্দ পাওয়া গেলো । আর চোখের নিমেষে দুটি বাইক এসে ঝিলের ধারে সেই অশত্থের তলে এসে গেলো; যেখানটায় হরনাথ বাবু কুকুরটিকে গুলি বিদ্ধ অবস্থায় পেয়েছিলেন । ঘটনার আকস্মিকতায় ঘাবড়ে গিয়েছিলো দু'জনেই । ভেবেছিলো পুলিশ । তাই চটপট গা ঢাকা দিলো দু'জনেই । আর গা ঢাকা দেওয়ার সুবিধেও বিস্তর এখানে । প্রচুর বুনো ভাট, কালকাসুন্দা আর অ্যাশ-শ্যাওড়ার ঝোপ এখানে । গুটি সুটি মেরে একটা বুনো ঝোপের আড়ালে গা ঢাকা দিলো দু'জনে ।

প্রথম বাইক থেকে নামলো তিন জন মুশকো চেহারার লোক । আবছা অন্ধকারে চেহারা ঠিক ঠাওর করা গেলো না । এর পর দ্বিতীয় বাইক থেকে নামলো আরো দুই জন লোক । তাদের মধ্যে কেউ এক জন কি একটা আলো জ্বাললো । নিমেষের মধ্যে অশত্থতলা দিনের আলোর মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠলো । সেই আলোয় এবার স্পষ্ট দেখা গেলো আগন্তুকদের প্রত্যেকের চেহারা । তিনটে ষণ্ডা গুন্ডা । দয়া মায়াহীন চেহারা । আর বাকি দুই জনের মধ্যে একজন একটু বুড়োটে, শান্ত সৌম্য চেহারা । চেহারার মধ্যে একটা দুঃখী অসহায় ভাব ফুটে উঠেছে । আরেকজনকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে সেই হলো লিডার । প্রায় ছ'ফিট লম্বা, মেদহীন ছিপছিপে চেহারা । খুবই ফর্সা । এক মাথা ঢেউ খেলানো কালো চুল । পরনে কালো রঙের স্যুট । আর চোখে মুখে এমন একটা নিষ্ঠুর ভাব রয়েছে যা দেখলে বুকের রক্ত ছলাৎ করে ওঠে । প্রথম কথা বললো সেই -

"ড: বাগচী আপনার যন্ত্রে লাস্ট সিগন্যাল পাওয়া গেছিলো এই লোকেশন থেকেই । ল্যাটিচিউড এন্ড লঙ্গিচিউড ম্যাচড হান্ড্রেড পার্সেন্ট । তাহলে সিড কোথায় ?"

সেই শান্ত সৌম্য চেহারার বুড়োটে লোকটা একটু এগিয়ে এসে পকেট থেকে একটা ছোট টিভি রিমোটের মতো যন্ত্র বের করে কয়েকটা সুইচ টিপলেন । তার পরে ডিসপ্লে স্ক্রিন-এ কিছু দেখলেন । এরপর হতাশ ভঙ্গিতে সেটাকে আবার সুইচড অফ করে পকেটে রেখে দিলেন । তারপরে বললেন -

"সিগন্যাল আর পাওয়া যাচ্ছে না । তার মানে এখান থেকে সিডকে কেউ নিয়ে গিয়েছে । এই যে ঘষটানোর কিছু স্পষ্ট চিন্হ রয়েছে এখানে । আর আপনাদের ছোঁড়া গুলিতে খুব সম্ভবত সিডের শরীরের মধ্যে বসানো ট্র্যাকার স্থায়ীভাবে ড্যামেজড হয়ে গেছে । এখন থেকে সিডকে খোঁজা অনেক কস্টকর হয়ে গেলো । আপনাদের তখনই বলেছিলাম গুলি করবেন না ।"

"আপনি নিজেই জানেন ড: বাগচী যে সিড হলো আমাদের একটা লস্ট প্রজেক্ট । যে উদ্দেশ্যে তাকে তৈরী করা হয়েছিলো সেটি ব্যর্থ হয়েছে । সিড আমার সব নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছিলো না । তাই তাকে ধ্বংস করা আমাদের প্রাইম টার্গেট । আপনার মনের অবস্থা আমি বুঝতে পারছি ড: বাগচী । সিড আপনারই আবিষ্কার । তাকে ধ্বংস করতে কষ্ট হওয়াটাই স্বাভাবিক । কিন্তু, এ ছাড়া আমাদের দ্বিতীয় কোনো উপায় নেই ।"

এরপরে লিডার লোকটি তার সঙ্গীদের দিকে ফিরে তাকিয়ে বললো -

"গো অন । সব ঝোপ ঝাড় তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখো ।পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লেজার গান ফায়ার করবে ।"

কথাটা কানে যাওয়া মাত্রই পাঁচু আর পল্টু নিঃশব্দে সরে পড়লো সেখান থেকে । আর থাকা মোটেও নিরাপদ নয় তাদের জন্য সে স্থান ।


[ক্রমশ:]

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা আজকে আপনার গল্পটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনার গল্পটি সত্যিই অনেক রহস্যময়। এই গল্পটির পরবর্তী অংশ পড়ার জন্য আমার খুব ইচ্ছা করছে। আসলেই চুরির বিষয়টি আমার খুবই ভালো লেগেছে। সে নিজের গ্রাম ছাড়া অন্য গ্রামে গ্রামে চুরি করে না। সত্যিই খুবই রহস্যময়। পরবর্তী অংশ পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

দাদা আপনার গল্পটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই গল্পটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। গল্পটিতে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে। পরের অংশটুকু পড়ার জন্য খুবই আগ্রহ জাগছে। আসলে মাছ ধরা আমার খুব শখ, পুকুরের মধ্যে রয়েছে মধ্যে রয়েছে অনেক আনন্দ।পরের অংশ পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

গল্প টি পড়ে অনেকে ভালো লাগলো দাদা আপনি গল্পের মধ্যে একটি শিক্ষনিয় বিষয় তুলে ধরেছেন।এ রকম গল্প আমাদের মাঝে সেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

অনেকদিন পর চতুর্থ পর্বটি পাবলিশ হলো। এই পর্ব পড়ার পর আগামী পর্ব পড়ার আগ্রহ আরো বেড়ে গেল। সীডের রহস্যটা খুবই জটিল সেটা আগামী পর্বগুলোতে আস্তে আস্তে খুলবে। অপেক্ষায় রইলাম।

হিমের ছন্দ । ছন্দময় শীতার্ত রাত । শীতঘুমে সবাই কাত । জেগে আছে শুধু দুই কীর্তিমান, দুই টাউট ।

এই দুইজনের ক্যারেক্টার ও বর্ণনাভঙ্গি খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। চমৎকার লিখেন আপনি

খুবই ভালো লাগছে দাদা অনেকদিন পর আবার লেখা শুরু করলেন গল্পটা। আপনার গল্পের ভেতরে আলাদা একটা মজা আছে। সেটা হচ্ছে কিছু মজার শব্দ ব‍্যবহার।

গে পাঁচু এর শ্বশুরবাড়ি দেবিদার তাই ঐ গ্রামের প্রতি তার একটা দায়িত্ব আছে আর সেই দায়িত্ব থেকে নিজের শ্বশুরবাড়িতে চুরি। এটা দারুণ ছিল। এবং এতদিন জানতাম চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। আজ আপনার গল্প থেকে জানলাম চোরে চোরে জামাই শ্বশুরও হয়।

প্রতি শনিবার পল্টুর বাপ শহর থেকে বাড়িতে এসে পল্টুকে ঠাঙায় কথাটা পড়ে অনেকক্ষণ হেসেছি😂😂।
এবং আমার মনে হচ্ছে ড.বাগচি সিডকে নিয়ে তার প্রজেক্টর কথা বললেন সেটা হয়তো সেই কুকুর যেটা কুঞ্জবাবু তার বাড়িতে নিয়ে গেছেন। যাইহোক দাদা দারুণ ছিল। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।।

অনেক সুন্দর একটি গল্প, পাঁচু আর পল্টু দুজনেই ভালো বিখ্যাত চুরি কাজের জন্য। একজন বাড়ি ঘরে চুরি আর অন্য জন পুকুরের মাছ৷
তবে কাহিনীটা একদম সত্যিকারের লাগলো। তবে শেষ মেস দেখা গেল চুরে চুরে ভাইরা ভাই।

দাদা অসাধারণ সুন্দর একটি গল্প ছিল। পড়ে অনেক মজা পেলাম।

অনেকদিন পর দাদা!!
আমি তো আগের কাহিনী প্রায় ভুলতে বসেছিলাম।
কি বলে যে থ্যাংকস দিবো জানিনা।এবার কিন্তু শেষ করবেন দাদা।
জাস্ট চমৎকার হচ্ছে এক কথায়।

গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। গল্পটার মধ্যে শিক্ষনীয় অনেক কিছু আছে। যা পড়ে সত্যি অনেক ভালো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

খুব সুন্দর অসাধারণ হয়েছে দাদা। পাচু আর পল্টু দুজনেই চুরির জন্য বিখ্যাত

দাদা গল্পের আজকের অংশটুকু পড়লাম। পড়েই শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অদ্ভুতুড়ে সিরিজ এর কথা মনে পড়ল। ওই সিরিজের প্রায় সবগুলো বই আমার পড়া। আপনার লেখার সঙ্গেও অনেকটা ঐরকম মিল লক্ষ করলাম। এ ধরনের বই পড়তে আমার এখনো ভীষণ ভালো লাগে কিন্তু আপনার লেখায় একটাই সমস্যা। লেখাগুলো পর্ব আকারে আসবে। চাইলেও এখনই সব একসাথে পড়তে পারব না। যাইহোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম

  • রহস্যময় গল্প আগে থেকেই ভালো লাগে। এই রকম গল্প পড়লে একটা নেশার কাজ করে।আমি হুমায়ুন আহমেদের মিসির আলী সিরিজের অনেক গল্প প্রড়েছি। এই রকম গল্প পড়তে শুরু করলে শেষ করতে না পারলে ভালো লাগে না। বাকি অংশে কি হতে চলছে এটাই আরো বড় আকর্ষন। আপনার আগের পর্বগুলো হয়তো আমি মিস করছি। সেগুলো পড়ে নিবো। পরবর্তী পার্ট একটু দ্রুত পোস্ট করে দিবেন। অপেক্ষায় রইলাম। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো দাদা,। 🧡🧡

দাদা সত্যি গল্পটা পড়ে ভালো লাগল।আর আপনার প্রতিটা গল্প এক একটা রহস্য ঘড়া।আমার অনেক ভালো লেগেছে পল্টুর চুরির বিষয়টি সে কি নিজের গ্রামে ছাড়া অন্য কোথায় চুরি করে না।আর আরো মজার বিষয় হলো জামাই শ্বশুরের চুরির বিষয়টি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।পরবর্তী পাটের জন্য অপেক্ষায় রইলাম রইলাম দাদা।

দাদা আপনার গল্পটি খুবই সুন্দর হয়েছে। আমারও খুবই ভালো লেগেছে।সুন্দর ভাবে গল্পটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই গল্পটির মধ্যে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে এবং গল্পটির পরবর্তী অংশ পড়ার জন্য খুবই আগ্রহ জাগছে।

আজকের পর্বটি খুব জমজমাট হয়েছে।আমিতো এক নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করে ফেললাম। পাচু আর পল্টু দুটি চরিত্রের ভেতরে আমার বেশি ভালো লেগেছে পাঁচর চরিত্র।
"পাঁচুর কারবারই আলাদা । সে নিজের গাঁ ভিন্ন আর কোনো গাঁয়েই চুরি করে না।" এই অংশটুকু পড়ে খুব মজা পেয়েছি। এটা থেকেই পাঁচুর চরিত্রের সম্পর্ক অনেকটা ধারণা পাওয়া যায়। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করি শীঘ্রই পাব ।

গল্পটি অনেক রহস্যময়। রহস্যময় গল্প পড়তে খুবই ভালো লাগে। আর এই রহস্য লুকিয়ে আছে পরবর্তী অংশে। সেই জন্য পরবর্তী অংশ পড়ার জন্য আরও মন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে আজকের এই গল্পটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এটি তৃতীয় পর্ব, আশা করছি চতুর্থ পর্বে গল্পটি আরও সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করবেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

দাদা,এই গল্পটি পড়ে অসাধারণ লাগতেছে,রহস্য লুকিয়ে আছে। এমন হয়না,যে গল্পের কিছুটা অংশ পড়ার পর পরবর্তীতে কি হবে সেটা জানার জন্য অধিক আগ্রহ বেড়ে যায় ঠিক তেমনি আমিও এখন পরবর্তী অংশ পড়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়তেছি। খুব ভালো লাগে এই রকম রহস্যময় গল্প পড়তে, পরবর্তী অংশ তারাতাড়ি পড়ার অপেক্ষায় আছি দাদা। অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর গল্প শেয়ার করার জন্য।

দাদা অসাধারণ হয়েছে গল্পটি। গল্পটির প্রতিটি লাইন পড়ছি আর মনে হচ্ছে যে এরপর কি হবে এরপর কি হবে! গল্পটি আস্তে আস্তে রহস্যের দিকে মোড় নিয়েছে। গে পাঁচুর চুরির ধরন টা আমার কাছে বেশ ইউনিক লেগেছে। দাদা কুঞ্জবিহারীর নিকুঞ্জ - পর্ব ০৫ এর জন্য অপেক্ষায় রইলাম। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

দাদা অসাধারণ সুন্দর একটি গল্প আপনি আমাদের উপহার দিয়েছেন। এই গল্পের পর্ব 4 অসাধারণ হয়েছে। পাঁচু এবং পল্টু চোরের কাহিনী পড়ে হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গেল। পাঁচু চোর এবং তার শ্বশুর। বিয়ে করতে না করতে পাঁচু তার শ্বশুর মশাইয়ের বাড়িতে ইতিমধ্যে চুরির কাম সেরে ফেলেছে। খুবই হাস্যকর ঘটনা। শশুরের গ্রাম আর নিজের গ্রাম পাঁচু চোরের চুরি করার প্রধান স্থান। আর পল্টু চুলের কাজ এই শীতে পুকুরে পুকুরে মাছ চুরি করে বেড়ানো। এই শীতের রাতে দুই চোর ঝড়ের মধ্যে পালিয়ে নিরাপদে থাকতে পারলো না। লিডার লোকটির ঝোপঝাড় খোজার আদেশ শুনতে পেরে ঝড় থেকে পালালো পাঁচু চোর এবং পল্টু চোর। দাদা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী পড়ার জন্য। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আপনার এই গল্প আজ প্রথম পড়লাম।অসাধারণ লাগলো।শ্বশুর এবং জামাই চোর হওয়ার ব্যাপারটা আর শ্বশুরের বাড়িতেই চুরি করার কাহিনি টা খুব মজা লেগেছে। পল্টু চরিত্র টাও ভালো লেগেছে। আমারও ছিপ দিয়ে মাছ ধরতে ভালো লাগে তবে নিজের পুকুরে।
দাদা আমি একজন বাংলার স্টুডেন্ট। তাই সবদিক বিবেচনায় আপনার গল্পে রূপক এবং প্রাকৃতিক চর্চা অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে।সেই সাথে প্রবাদের ব্যবহারও অনেক সুন্দর। ভাষায় সচ্ছতা ও সাবলীল নীতি সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে।চরিত্র সৃষ্টি হয়েছে কাহিনি অনুযায়ী। সব মিলে সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর গল্প আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।

  ·  3 years ago (edited)

চোরের কোন ধর্ম নাই। সুযোগ পেলেই চুরি করে। হতে পারে নিজগ্রাম,নোইলে হতে পারে অন্য গ্রাম। আপন কিংবা পর চোরের কাছে কোন দেখা দেখি নাই। মেন কথা তারা সুযোগ সন্ধানী। পাঁচু চোর এর মত অনেক চোর রয়েছেন যারা এভাবে চুরি করে নিজের গ্রামকে অতিষ্ঠ করে তোলে। আবার এদিকে মাছ শিকারি পল্টুর মত অনেক মানুষ রয়েছে যারা রাত-বেরাত এভাবে মাছ ধরে বেড়ায়।

শোনা কথা, চোরেরা নাকি নিজের গাঁয়ে চুরি করে না, কিন্তু পাঁচুর কারবারই আলাদা । সে নিজের গাঁ ভিন্ন আর কোনো গাঁয়েই চুরি করে না।

শুধু তাই নয়, চুরি করেও সে বাহবা কুড়িয়েছে।
দেখা যাক এত ঘটনা ঘটানোর পরও কোথায় তাদের নিরাপদ মনে হলো......

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Please consider to approve our witness 👇

Come and visit Italy Community

মানুষের জীবনটাই রহস্যময়। এই রহস্যময় জীবনের প্রত্যেকটি ধাপ মানুষ এর নিজের পরিচয় বহন করে। রহস্য না থাকলে কোন গল্প পড়ে মজা পাওয়া যায় না। দাদা আপনার গল্পটি পড়ার সময় নিজেকে গল্পের চলতি চরিত্রের মত মনে হয়েছে। মনে হচ্ছে চোখের সামনেই এসব কাহিনী ঘটে যাচ্ছে। পূর্বের তিনটি পর্ব পড়া হয়নি কিন্তু চতুর্থ পর্ব পড়ার পর পূর্বের তিনটি পর্ব পড়ার মতো কৌতুহল তৈরি হয়েছে। এক কথায় এই অংশটি আমার কাছে ব্যঙ্গরসাত্মক এবং রহস্যময় মায়া জালের মতো মনে হয়েছে।

এটি আপনার সম্পর্কে একটি মৌলিক গল্প? অথবা এটি একটি বই থেকে একটি গল্প যা আপনি ভাগ করতে চান?

এটি চোর দ্বারা বেষ্টিত একটি খুব অদ্ভুত পরিবার এবং একজন অন্যের জন্য গর্বিত, একটি প্রবাদ আছে যা বলে: যে চোর অন্য চোরকে ছিনতাই করে তার 100 বছরের ক্ষমা আছে।

দাদা এতো সুন্দর গল্প লিখেছেন । আমিতো হাসতে হাসতে........ । এতো সুন্দর গল্প পড়ে আমি আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ এ রকম একটা মজার গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার কারর জন্য। শুভকামনা।

গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। গল্পটার মধ্যে শিক্ষনীয় অনেক কিছু আছে। যা পড়ে সত্যি অনেক ভালো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

বরাবরের মতো এই পর্বটিও অনেক ভালো লাগলো দাদা।পরের পর্ব পড়ার জন্য আগ্রহ বাড়িয়ে দিলেন।কারণ পাচু এবং পল্টু ওই ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে আছে।এবার সিডকে খোঁজার জন্য ওই জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে যদি ওরা দুজন ধরা পড়ে তাহলে তো কেচছা খতম।অপেক্ষায় রইলাম দেখি পড়ে কি হয়।

ভাই, গল্পটা খুব ভালো লাগলো। আপনি আমাদের বলেছেন একটি সুন্দর গল্পের একটি রহস্য রয়েছে যার উত্তর আমরা জানি না। আপনি গল্পের পরবর্তী অংশে গল্পটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি দুর্দান্ত কাজ করেছেন। এই গল্পটি অনেকেই পড়তে চান। আমি ভেবেছিলাম আমার জামাই-শাশুড়ির চুরির ঘটনা বড়। আমি আশা করি পরের অংশটি দ্রুত আসবে। আপনার সাহায্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। |

পাঁচুর কিছু কিছু বিষয় আমার কাছে অনেক মজাদার লেগেছে।সে নিজের গ্রামেই চুরি করে।নিজের শশুরমশাইয়ের বাড়িতে চুরি করা।তবে সম্পূর্ণ গল্পের টুইস্ট শেষে গিয়ে পেয়েছি।যা পরবর্তী পর্ব পাঠের আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে।পাঁচু এবং পল্টু দুজনের জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে।এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা

সম্ভবত মাস দেড়েক আগে প্রথমের পর্ব গুলো পড়ে ছিলাম ভাইয়া, আজ হুট করে যখন গল্পটা পড়লাম তখন চোরের কথা গুলো নিয়ে ভাবছিলাম হয়তো অন্য টপিক, কিন্তু শেষের দিকে এসে ব্যাপারটা খোলাসা হলো, অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বের জন্য। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।

দাদার গল্পগুলো অসম্ভব মজাদার লাগে পড়তে।
ভালোবাসা অভিরাম প্রিয় দাদা।

গল্পের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা পাঁচুর পেশা ছিল চুরি করা।৪র্থ পর্বের অংশ বেশ ভালো লেগেছে। একটি গ্ৰামের একজন চোরের চরিত্র তুলে ধরাই এই গল্পের প্রধান লক্ষ্য। পরবর্তী অংশে জন্য ধন্যবাদ অপেক্ষায় রইলাম।

পাচু আর পল্টু

নাম দুটো দারুন মজার। কিন্তু গল্পের কাহিনী মনে হচ্ছে সবে শুরু। দাদা ভীষণ মজা পাচ্ছি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। সীড কি আসলেই কোন রোবটিক বিষয়। ধন্যবাদ

দাদা আেনার গল্পের মাঝে অনেক কিছু শেখার মতো জিনিস আছে। যেগুলো আমাদের নিত্যকার দিনের কাজে ব্যবহার করা হয়।
সবগুলোর অংশ অনেক সুন্দর হয়েছে।
পরবর্তী অংশের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা

অবশ্য প্রথম চুরিটা সে করেছিলো নিজেরই শশুরমশায়ের বাড়িতেই ।

দাদা আপনার লেখা এই লাইনটি পড়ে খুবই মজা পেয়েছি। অবশেষে কি না শ্বশুর বাড়িতে চুরি করল। তবে যাই হোক গল্প রহস্য ধীরে ধীরে আরও গভীরের দিকে যাচ্ছে। কুকুর আকৃতির সেই প্রাণীর সন্ধান করতে চারদিকে লোক ছড়িয়ে পড়েছে। এবার গল্পের মধ্যে রহস্য তৈরি হবে দাদা। গল্পটি ধীরে ধীরে রহস্যের গভীরে ঢুকে যাচ্ছে। আশা করছি পরবর্তী পর্বগুলো আরও বেশি আকর্ষণীয় হবে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা। সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

দাদা এতদিন এই গল্পটির অপেক্ষায় ছিলাম।কারন এটি তো প্রায় ভুলতে বসেছিলাম।খুবই ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।চুরির গল্পগুলো খুবই মজার ও পরিণতিতে খুবই আকর্ষণীয় মুহূর্ত ফুটিয়ে তোলা হয়।যা আমার খুবই ভালো লাগে।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম,ধন্যবাদ দাদা।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



গল্পটি পড়ে খুব মজা পেলাম। অসাধারন ভাবে উপস্থাপন করেছেন।

গো অন । সব ঝোপ ঝাড় তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখো ।পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লেজার গান ফায়ার করবে ।"কথাটা কানে যাওয়া মাত্রই পাঁচু আর পল্টু নিঃশব্দে সরে পড়লো সেখান থেকে । আর থাকা মোটেও নিরাপদ নয় তাদের জন্য সে স্থান ।

এটা একদম মনে ধরেছে দাদা।

পাচু চোর ও পল্টু গল্পোটি পরে ভালোই লাগলো দাদা।মনে হচ্ছে সামনে গল্পের মোর আরও ভিন্ন কিছু মজাদার আসবে ।নতুন সৃজনশীলতা ই শিখেদিলেন এই গল্পের মাধ্যমে দাদা ।পরবর্তী ধাপের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ।ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর গল্পো শেয়ার করার জন্য।

অনেকদিন পর আবারও শুরু হল আমাদের প্রিয় নিকুঞ্জ বিহারী গল্প। আপনি এত সুন্দর করে গল্পটি উপস্থাপন করেছেন যার প্রতিটি লাইনে রয়েছে রহস্যময়তা তবে সবথেকে ভালো লেগেছে যখন সে চুরি করে। আর চুরি করার প্রতিটি বিষয়ে আমাকে মজা দিয়েছে আনন্দ দিয়েছে যে সেকি না অন্য কোন গ্রামে চুরি করতে যায় না শুধুমাত্র নিজের গ্রাম ছাড়া যখনই তদন্ত করা হয়েছিল তখনই তারা সেখান থেকে সটকে পড়ে যায়। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।

দাদা গল্পটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এই গল্পটির মধ্যে রহস্য লুকিয়ে আছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে গল্পটি পরের অংশ রেখে দিয়েছেন। এই গল্পটি পড়ার জন্য খুবই আগ্রহ জাগছে। জামাই শাশুড়ির চুরির বিষয়টি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আশা করি পরের অংশটুকু তাড়াতাড়ি পাবো।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা।

কুঞ্জবিহারীর নিকুঞ্জ পর্ব ৪ পুরোটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। এই গল্পটার মধ্যে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। আশা করব খুব তাড়াতাড়ি এই গল্পের পরের গল্পটা আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন দাদা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে নিয়ে আসার জন্য।

সিড কি ওই কুকুরটা যাকে হরনাথবাবু পেয়েছিল? এখন তো দেখছি কুকুরটির পিছনে অন্য কাহিনী আছে।