কোলকাতার কালী পুজো - পর্ব ০৬

in hive-129948 •  last year 

IMG_20231113_030854.jpg


কালীপুজোর দ্বিতীয় রাত্রি । এই দিনও তনুজা আমাদের সঙ্গী হয়েছিল । টিনটিনকে রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ একরকম ভুলিয়ে ভালিয়ে ঘুম পাড়িয়ে চারটে বাইকে করে আমরা বেরিয়ে পড়লুম । ঘড়িতে তখন রাত প্রায় ১ টা বাজে । দ্বিতীয় রাত্রে আমাদের প্রথম পুজো প্যান্ডেলে পৌঁছে গেলুম । এই পুজো প্যান্ডেলটি আমাদের বাড়ির খুব কাছেই । বাইকে করে যেতে মাত্র মিনিট দশেক লাগে । প্রত্যেক বছর এই পুজো প্যান্ডেলে নতুন নতুন থিম পুজো হয় । এবছরের থিম ছিল - "হ্যারি পটারের স্কুল হগওয়ার্টস" ।

বেশ অনেক খরচ করেছিল এই পুজো প্যান্ডেলটা সাজাতে । বাইরেরটা একদম নিখুঁত হগওয়ার্টসের মতোই করেছিল । লাইটিংটা ছিল অসম । ভেতরে ভূত-প্রেত, ড্রাগন, জাদুবিদ্যা, ডাকিনীতন্ত্র এসব দিয়ে বেশ সুন্দর করে সাজিয়েছিল । আপনারা জানেন যে "জে কে রাউলিং" এর লেখা বিশ্ববিখ্যাত একটি চরিত্র এই হ্যারি পটার । সারা দারুণভাবে সমাদৃত আর জনপ্রিয়তার নিরিখে একদম শীর্ষে অবস্থিত হ্যারি পটার সিরিজের বইগুলি । এই বইগুলি অবলম্বনে আট আটটি সিনেমাও তৈরী করা হয়েছে । সবগুলিই দারুণভাবে হিট ।

এই হ্যারি পটারের জাদুবিদ্যা শেখার যে স্কুল ছিল তার নাম - "হগওয়ার্টস" । এই স্কুলে হ্যারি পটারের পাঁচ বছরের অধ্যয়নকালীন সময়ের বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের সংকলিত রূপই হলো হ্যারি পটারের গল্প । হ্যারি পটারের অদ্ভুত রহস্যে মোড়া আর জাদুতে ভরা প্রতিটি এডভেঞ্চারগুলো হলো এই হগওয়ার্টসকে কেন্দ্র করেই । আমার কাছে মোটামুটি লেগেছিলো এই হগওয়ার্টস থিমকে কেন্দ্র করে পুজো প্যান্ডেলটি । আমার মতে আরেকটু বাজেট বাড়ালে সব দিক থেকেই নিখুঁত হতো ।

যাই হোক মন্দ লাগেনি এই পুজো থিমটি ।


আগাগোড়া রহস্যে মোড়া জাদুবিদ্যা শেখার স্কুল, হ্যারি পটারের স্কুল - "হগওয়ার্টস" ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১ টা ১০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


প্রবেশ তোরণ ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


শিং-ওয়ালা ড্রাগন হল ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১ টা ২০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ডাকিনী মাকড়শার হলঘর ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


অনেকগুলি হল । প্রতিটা হলে অনেকগুলি যন্ত্র চালিত রোবোটিক ভূত-প্রেত, ডাইনি, জাদুকর ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ড্রাগন, দৈত্য, রাক্ষস, প্রেত প্রভৃতি রূপকথার ভয়ঙ্কর প্রাণীদের অনেকগুলো মডেলও রাখা ছিল প্যান্ডেলের প্রতিটা কোণে ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


মূল দেবী মূর্তি । অনেক সুন্দর হয়েছিল প্রতিমাটি ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ১ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)


তারিখ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

টাস্ক ৪৯৬ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : a80f9eb98be8ba6d49d061f35612c72d93b20223cb3496492aeb6d5c808fa1a4

টাস্ক ৪৯৬ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

»»——⍟——««

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

গ্রাম বাংলার সবুজ প্রকৃতির ওপর আধারিত আমার আজকের এনএফটি আর্টটি। গ্রামের প্রকৃতি তার অকৃপণ হাতে সাজিয়েছে নানান উপাচারে । অপরূপ এই প্রাকৃতিক দৃশ্যের সাথে আর কোনো দৃশ্যেরই তুলনা চলে না । বিশেষ করে জোৎস্না আলোকিত গ্রামের প্রকৃতির কোনো তুলনাই নেই ।

পূর্ণিমা রাতে গ্রামের প্রকৃতি - এটাই হলো আমার আজকের এনএফটি আর্টের সাবজেক্ট ।

তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আমার আজকের আর্টটি -


NFT ART


Screenshot 2024-02-14 000306.png

Indian rural scenery - Moonlit Night

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



কালীপুজোর দ্বিতীয় রাতে রাত ১ টার সময় দিদিকে সঙ্গে নিয়ে বাসা থেকে কাছেই পুজো প্যান্ডেলে বাইকে করে সবার সাথে ১০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে গেলেন। এই পুজো প্যান্ডলটি আপনার কাছে মোটামুটি ভালো লেগেছে দাদা।আলাদা আলাদা থিমে পুজো প্যান্ডেলগুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগে। প্রতি বছর এই পুজো প্যান্ডেলে নতুন নতুন থিম পুজো হয়।এবছরের থিম ছিল - "হ্যারি পটারের স্কুল হগওয়ার্টস"।আপনার ফটোগ্রাফি ও তথ্য বহুল বর্ননা পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

ছোট বাচ্চাদের নিয়ে এত রাতে বের হলে একটু ঝামেলা হয়। বিশেষ করে তারা বিরক্ত করে ভালোভাবে কোন কিছু উপভোগ করা যায় না। বেশ ভালই করলেন টিনটিন বাবুকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে সবাই চলে গেলেন। পুজো প্যান্ডেল অসাধারণ ছিল। বেশ ভালোই বর্ণনা দিলেন দাদা। আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে অনেক সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করেছি আমরাও।

দাদা কলিকাতার কালী পুজোর বেশ কিছু পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আজও দেখছি প্রায় ২০টির মতো ফটোগ্রাফি শেয়ার করে আজ আপনি কলিকাতার কালি পুজোর আরও একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আপনার শেয়ার করা পোস্টটি পড়ে"হ্যারি পটারের স্কুল হগওয়ার্টস" নিয়ে আরও কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ দাদা ‍সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

HOW YOU CAN RECOVER YOUR LOST CRYPTO/FUNDS: Lost hope in a crypto scam? I got my $394,330 back! I invested $430,000 in a bogus crypto site. Big returns promised, withdrawals blocked, extra fees demanded – it was a nightmare. Feeling trapped, I even considered the unthinkable. My family helped me through it, and my niece suggested HACKERSTEVE911. They'd helped her with grades, but I'd never thought of them for this. I contacted them, expecting little. But within four days, they recovered $394,330 back to my wallet! My hope, my life, was back. If you're in a similar situation, don't lose hope. Contact them on [email protected] | https://hackersteve.great-site.net/

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

কালী পুজোর দ্বিতীয় রাতেও বেশ ভালো কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখছি ৷ তবে টিনটিন বাবু ঘুম ভেঙ্গে গেলে কি হতো দাদা ? নিশ্চয়ই ভীষণ কান্না-কাটি করতো আপনার কাছে না পেয়ে ৷ তবে যাই হোক , আপনাদের ওদিকে কালী পুজো আসলেই ভীষণ জাঁকজমক ভাবে করা হয় ৷ এই পুজো প্যান্ডেল মায়ের মূর্তি সব কিছুই অসাধারণ হয়েছে ৷ ভীষণ সুন্দর লাগছে ৷ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন সেই রঙিন দৃশ্যে গুলো ৷ ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য

Posted using SteemPro Mobile

টিনটিন বাবুকে ঘুম পাড়িয়ে চলে গেছেন কালী পুজো দেখতে কিন্তু যদি টিনটিন বাবু ঘুম থেকে জেগে দেখতো তাহলে হয়তো অনেক চিৎকার করত। পূজোর প্যান্ডেলটি কাছে হওয়াতে হয়তোবা বাবুকে রেখে যেতে পেরেছেন। পুজোর ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার অনেক ভালো লেগেছে। দাদা আপনার শেয়ার করা পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পাড়ি।অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

এবছরের থিম ছিল - "হ্যারি পটারের স্কুল হগওয়ার্টস" ।

পুজো প্যান্ডেলটা দেখতে কিন্তু ভাই হুবহু তেমনটাই লাগছিল। এর পেছনে যারা কাজ করেছে, তাদের কাজের প্রশংসা করতেই হয়। দারুণ উপভোগ করলাম ছবিগুলো।

আমাদের টিনটিন সোনা কে ঘুমিয়ে রেখে সবাই মিলে পুজো প্যান্ডেলে যাওয়ার এই ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ মজার লাগলো দাদা। হা হা হা...🤭🤭 পাইওনিয়ার পার্কের এই পুজো মন্ডপে আমরাও গেছিলাম দাদা। তবে আমরা যখন গেছিলাম তখন এক জায়গা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কারণ এই প্যান্ডেলের যে অংশ জলের উপর ছিল ওই জায়গা নাকি ভেঙে গেছিল, এজন্য আমাদের আর ওখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাছাড়াও তুমি হ্যারি পটার সম্পর্কে যে তথ্যগুলো দিয়েছো দাদা, ওগুলো আমার খুব বেশি একটা জানা ছিল না আগে। তোমার মাধ্যমেই এইগুলো জানলাম।

This is another interesting episode you have shared with us on Kali puja in Kolkata.

I have also learnt about harry potter, and I love the images you shared alongside it.

Thanks for sharing with us @rme Dada ❤️❤️

দাদা এ বছরে কালীপুজোর ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট ওয়াও মাইন্ড ব্লোয়িং হয়েছে। দুইটা বাইক নিয়ে চারজন মিলে বেশ মজা করেই পুজো দেখেছেন। ভারতের এরকম থিম পুজো গুলো দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

টিনটিন বাবুকে ঘুম পাড়িয়ে চুপিচুপি চলে গিয়েছিলেন কালী পূজা দেখতে। পরবর্তীতে যদি টিনটিনের ঘুম ভেঙে যেতো, তাহলে তো অনেক চিৎকার চেচামেচি করতো। এমনিতেই তো টিনটিন বাবুর রাগ অনেক বেশি। যাইহোক বাসার কাছে হওয়ায় খুব সহজেই পূজা প্যান্ডেলে পৌঁছাতে পেরেছেন দাদা। তাদের থিম এবং সম্পূর্ণ আয়োজন বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। লাইটিংটা একেবারে চোখ ধাঁধানো। প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার ভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। সব মিলিয়ে পোস্টটি ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile