"বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণ - পর্ব ০৮steemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 


আমার "বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণের আজকের পর্ব জুড়ে থাকছে বাংলার পাখি । আমার গতপর্বে বেশ কিছু পাখির ফটোগ্রাফ দেখেছিলেন আপনারা । আজকের এপিসোডের পুরোটা জুড়ে থাকছে শুধুই পাখি এবং নেক্সট এপিসোডেও তাইই থাকবে । পাখি আমার অসম্ভব প্রিয় ।

বাংলাদেশ হলো সবুজ নীলিমার দেশ । অসংখ্য গাছগাছালিতে পূর্ণ এই দেশে তাই রয়েছে কয়েক হাজার প্রজাতির পাখি । নানান সাইজের, হরেক রঙের আর সুরেলা মিষ্টি কণ্ঠের অসংখ্য পাখির কলতানে নদী বিধৌত বাংলাদেশের অরণ্যানী মুখরিত থাকে সর্বদা । যদিও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে বাংলাদেশে অরণ্যভূমি ক্রমশ সংকুচিত হয়ে পড়ছে আর সেই সাথে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার পাখ-পাখালি ।

এছাড়াও ভূমি-দস্যু, কাঠের চোরা কারবারি আর অবৈধ পক্ষী শিকারিদের দৌরাত্ম্যে ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসেছে অসংখ্য প্রজাতির পাখি । কিছু কিছু প্রজাতির পাখি ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বনদপ্তরের খাতায় endanger বা মহা-বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে ।

এই যেমন ময়ূর, ঈগল, শকুন, বাজ আর চিল এখন মহা-বিপন্ন প্রজাতির লিস্টে রয়েছে । এছাড়াও পাহাড়ি ময়না, টিয়া আর কয়েক প্রজাতির কাকাতুয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ লিস্টে অবস্থান করছে । মাছরাঙা, কাঠঠোঁকরা আর ধনেশ পাখিও বর্তমানে বিলুপ্তির পথে ।

ভাবতে খুবই খারাপ লাগে যে মানুষের লোভের বশবর্তী হয়ে অতিথি পাখিও নির্বিচারে হত্যা করার জন্য এখন খুবই কম আসে বাংলাদেশের জলাভূমিগুলিতে । আগে একটা সময় ছিল যখন শীত পড়লেই কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরের সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে এইসব মাইগ্রেটরি বার্ডস আসতো । সংখ্যায় ছিল তারা অগণিত । আজ কয়েক দশক ধরে মাত্রারিক্ত শিকারের জন্য তাদের বাংলাদেশে আসা প্রায় ৫০% হ্রাস পেয়েছে ।


প্রথমটা হলো বাজপাখি । দ্বিতীয় ছবিতে ঈগল আর চিল । তৃতীয় ছবিতে তোতা আর ময়না ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ২৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


প্রথম আর দ্বিতীয় ছবিতে রয়েছে টিয়াপাখি, তৃতীয় ছবিতে কাঠঠোঁকরা আর মাছরাঙা এবং চতুর্থ ছবিতে রয়েছে এক জোড়া ঘুঘু ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ২৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


প্রথম ছবিতে রয়েছে একটি কোকিল, দ্বিতীয়টিতে লক্ষী পেঁচা, তৃতীয় ছবিতে কি পাখি রয়েছে চিনতে পারিনি আর লাস্ট ছবিতে রয়েছে একটা ঘুঘু আর বুলবুলি ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ২৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


শুধুমাত্র দ্বিতীয় আর তৃতীয় ছবিতে থাকা পাখি দুটো চিনতে পেরেছি । ময়ূর । ভারতের জাতীয় পাখি ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ২৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


প্রথম ফোটোতে কাক ও চিল আর লাস্ট ফোটোতে ধনেশ পাখি ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ২৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


✡ ধন্যবাদ ✡


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫০০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 500 trx)


তারিখ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

টাস্ক ১৮৭ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 63d4bfa2282e422da211474add28fc5b0953942b1b1bb43d675a7dca80b2aca4

টাস্ক ১৮৭ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

হ্যাল্লো ভাই তোমার পোস্ট দেখলাম আমি আমার খুপ ভালো লেগেছে তোমার বল্গ পড়তে আমি একজন নতুন এসেছি স্তিমিত প্লাটফর্ম মে কিছু জানি না তুমি কি আমার ব্লগ প্রমোট করে দেবে ভাই

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

hii bro you done a amazing job can i talk with you bro please reach me my watsup +918143613318

বাংলাদেশ সবুজ নীলিমার দেশ হলেও জনসংখ্যা বিস্ফোরণের ফলে এখানে বনভূমির পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে ফলে পাখিদের উপর অত্যাচার বেড়েছে। তাদের থাকার জায়গা নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে, পাখির বিলুপ্তি হচ্ছে অনেকাংশে। শীত পড়লেই কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরের সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে যে অতিথি পাখিগুলো আসতো তার অর্ধকে নেমে গেছে বর্তমানে যা সত্যি দুঃখজনক ব্যাপার। দাদা, ফটোগ্রাফিতে শেয়ার করা বাংলার পাখি গুলো একসাথে দেখে খুবই ভালো লাগলো।

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@bangla.witness
@xpilar.witness

We are the hope!

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

আমাদের দেশের সবুজ শ্যামল প্রকৃতির মাঝে বিচলিত এই সকল পাখির ডাক পাখির সৌন্দর্য সত্যিই মুগ্ধ করে। যেটা ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারলে তাদের সুন্দর মুহূর্তের দৃশ্যগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। জাদুঘরে বাংলাদেশের যে সকল পাখি বিচরণ আছে তাদের দৃশ্যপট খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।

সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা ছায়ায় ঘেরা পাখি রাখা আমাদের এই বাংলাদেশ।। সকাল হলেই মিষ্টি সুরে ডেকে ওঠে হরেক রকমের পাখি।। যার মধ্যে দোয়েলকে বলা হয় ঘুম ভাঙানি পাখি।।
জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণ করে এ পর্বে এসে আপনি বাংলাদেশের অনেক পাখির ফটোগ্রাফি সুন্দর উপস্থাপনা সহ আমাদের মাঝে তুলে তুলেছেন খুবই ভালো লাগলো।। সবুজ শ্যামল আমাদের এই দেশে এই পাখিগুলো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে রয়েছে তবে অনেক পাখি এখন বিলুপ্তর পথে।।

বাংলাদেশের যাদুঘরের বাংলার পাখি নিয়ে দারুন ফটোগ্রাফি আজ শেয়ার করেছেন দাদা।বাংলার আকাশে উড়ে বেড়ানো এসব পাখি সত্যি ই বাংলার সৌন্দর্য। জাতীয় যাদুঘরে ভ্রমন করে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আশা করা যায়। খুব ভাল লেগেছে ফটোগ্রাফিগুলো। ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য।

It is very beautiful. thanks for sharing

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



গত পর্বে আমরা গ্রাম বাংলার ফটোগ্রাফি ও কিছু পাখির ফটোগ্রাফি দেখেছি। আজকে আপনি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ভ্রমণের সময় আপনি বাংলার পাখি গুলোর ফটোগ্রাফি করেছেন। দাদা আপনার মত আমারও পাখি অসম্ভব ভালো লাগে। আর তাই বাড়িতে পুষতেও অনেক ভালো লাগে। আপনি এখানে বিভিন্ন ধরনের যেসব পাখির ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন প্রত্যেকটা পাখি গুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর হয়েছে। তবে এর মধ্যে ময়ূরীর ফটোগ্রাফট আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার কথার সাথে আমিও একমত দাদা, শীতের সময় যখন অতিথি পাখি আমাদের দেশে বেড়াতে আসে তখন এই দেশের কিছু দুষ্ট লোকেরা এসব পাখি গুলোকে মেরে ফেলে। যার জন্য এই পাখি গুলো খুব একটা বেশি দেখা যায় না। এসব পাখি গুলো এই দেশে অনেক কমে গেছে। অবশ্য সরকার এই বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যাই হোক দাদা পরবর্তী পর্বে আপনার তোলা আরো কিছু ফটোগ্রাফি আমরা দেখবো বলে আশা করছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা।

জী দাদা বাংলাদেশের লোভী মানুষের জন্য আজ বাংলাদেশের অনেক পাখি আজ তাদের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছে। আগে অনেক অথিতি পাখি আসতো বাংলাদেশে এখন আর তেমন দেখা যায় না। এক সময় হয়তো এভাবেই জাদুঘরে দেখতে হবে। বাস্তবে আর দেখতে পারবো না। ধন্যবাদ দাদা।

আসলেই কিছু কিছু অসাধু মানুষের জন্য অনেক পাখি বিলুপ্ত এর পথে।এখন আর আগের মত অথিতি পাখি বাংলাদেশে আসে না।আমারও পাখি বেশ ভালো লাগে। যাই হোক সবগুলো পাখি বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে।

Screenshot_2.png

দাদা এটা সম্ভবত বসন্ত বৌরি পাখি।অনেকে একে ধনিয়া পাখিও বলে।

Screenshot_5.png

দাদা এটা সম্ভবত সান্দা মিনিভেট।আর এই পাখি ইন্দোনেশিয়ায় দেখা যায়।

বাংলাদেশেরপ্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সবুজ অভয়ারণ্যের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির সমাগম ঘটতো।কিন্তু কিছু স্বার্থবাদী লোকদের মাত্রারিক্ত শিকারের জন্য অনেক পাখিই বর্তমানে বিলুপ্তের পথে।সর্বপরি,আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে দাদা।খুব ভাল লেগেছে ফটোগ্রাফিগুলো।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Best

জি দাদা একদম ঠিক বলেছেন দিন দিন পাখি হ্রাস পাচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ থেকে।কিছু পাখি তো অলরেডি বিলুপ্তির পথে।মাত্রাতিরিক্ত পাখি শিকারের জন্যই এখন ৫০ পার্সেন্ট হ্রাস পেয়েছে অতিথি পাখি আসা।বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণ পর্ব -৮ খুবই ভালো লেগেছে দাদা।পাখিগুলোর ফটোগ্রাফি দারুন ছিল।ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য। পাখি নিয়ে পরবর্তী ফটোগ্রাফি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

আসলেই দাদা একসময় শীত আসলে আমাদের এদিকে অতিথি পাখি দিয়ে ভরে যেত। এখন তেমন একটা দেখা যায় না। কিছু অসাধু লোকের এই শিকারের কারণে পাখি আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া বেশ কিছু পাখির ছবি দেখলাম আজকে। পেঁচা আগে দেখলেও ভয় লাগতো এখনো কেমন ভয়ংকরই লাগছে। ভালো লাগলো সবগুলো পাখির ছবি দেখে।

ফটোগ্রাফি বরাবরই আপনি বেশ সুন্দরভাবে করে থাকেন, তবে আজকের উপরের কথাগুলো একটু বেশী ভালো লেগেছে, কারন নির্মম কিছু সত্য কথা লিখেছেন। বাংলার সেই গাছ গাছালি, পাক-পাখালি দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেয়ে অতি লোভী মানুষগুলোর কারনে। ধন্যবাদ