বড়গল্প "আমাজনের হৃদয়" [Story "The Heart of Amazon"] - পর্ব ০১

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)


Copyright Free Image Source: pexels


পর্ব ০১

ভোর হয়ে আসছে । ভ্যাপসা একটা গরম ভাব এখনো কিছুটা রয়ে গিয়েছে । ম্যাকাওদের একটানা কর্কশ ডাক আর বাঁদরদের হুপ হাপ্ শব্দ ভেসে আসছে । সহসা একটা হার্পি ঈগলের তীক্ষ্ণ চিৎকারে ছুটতে ছুটতে মাথা উপরের দিকে একবার তাকিয়ে আকাশ দেখার বৃথা চেষ্টা করলেন ক্যাপ্টেন ব্লাই । বিশাল বিশাল গাছের মাথা ওই উঁচুতে জটলা পাকিয়ে একটা ঘন চাঁদোয়া তৈরী করেছে । প্রখর দুপুরবেলাও সামান্য আলো চুঁইয়ে ভেতরে ঢুকতে পারে এ মহারণ্যের পেটের ভেতর ।

সর্বদা একটা আলো-আঁধারি ঘিরে রাখে চারিপাশটা । সঙ্গীদের যথা সাধ্য দ্রুত ছোটার নির্দেশ দিয়ে আবার দ্রুত চলা শুরু করলেন ক্যাপ্টেন । পদে পদে ঝোপ-ঝাড়, লতা-গুল্মের ঘন জঙ্গল । সাধ্য কি তার মধ্যে দিয়ে ছোটা । তবুও ধারালো লম্বা ছুরি দিয়ে দ্রুত ঝোপ-ঝাড় আলগা করে ছুটতে থাকলেন তারা । পেছনে সাক্ষাৎ মৃত্যু তাড়া করে আসছে । এখনও প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে একটি খালে তাদের ক্যানো । কোনোমতে ক্যানোতে উঠতে পারলেই তারা নিরাপদ ।

ছুটতে ছুটতে তারা এক সময় খালের কাছে চলে এলো । এখানে গাছের জটলা কিছুটা কম । খালের ওপর এক টুকরো খোলা আকাশ যেন ঝুলে রয়েছে । অস্তগামী চাঁদের আলোয় ছেয়ে রয়েছে খালের নিস্তরঙ্গ জল । এই আবছা চাঁদের আলোতে দ্রুত অভিযাত্রী দলটি তাদের ক্যানো খুঁজতে লাগলো । সহসা এক অভিযাত্রীর নজরে এলো তাদের ছোট্ট ক্যানোটি ।

-"হো ক্যাপ্টেন, ওই যে আমাদের ক্যানো ।", চিৎকার করে সে ক্যাপ্টেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলো ।

ক্যাপ্টেন তাকালেন । প্রায় দু'শো গজ দূরে কালো মতো কি একটা জলের উপর দুলছে দেখা গেলো । একটি ক্যানো, মানে ছোট্ট একটি ডিঙি নৌকা । দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন জঙ্গলে আদিবাসীদের নৌকো এগুলো । খুব দ্রুত চলে জলের ওপর দিয়ে ।

ক্যাপ্টেন ইশারা করলেন সবাইকে ক্যানোতে যাওয়ার জন্য । পিছনের দুই আদিবাসীর পিঠে ঝুড়ি বাঁধা । ঝুড়িতে কি যেন সযতনে রাখা রয়েছে । ক্যাপ্টেন সবার আগে তাদের দুজনকে সামনে যাওয়ার জন্য সংকেত দিলেন ।

সবাই ধীরপায়ে ক্যানোর দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো । সহসা ম্যাকাও এর তীক্ষ্ণ চিৎকারে বনভূমি সচকিত করে তুললো । মুহূর্তের মধ্যে আদিবাসী দু'জন ঘুরে তাকালো ক্যাপ্টেনের পানে -

"সর্বনাশ হয়েছে বোয়ানা, আমাদের ঘিরে ফেলেছে ।"

শোনা মাত্র ক্যাপ্টেনের মুখ ছাইয়ের মতো ফ্যাকাসে হয়ে গেলো । দ্রুত তিনি সঙ্গীদের বন্দুক রেডি করে ক্যানোর দিকে ছোটার নির্দেশ দিলেন । যতটা দ্রুত সম্ভব সবাই ছোটা শুরু করলো ।

কয়েকটি মুহূর্ত মাত্র । সহসা শীষের মতো তীক্ষ্ণ একটা শব্দ উঠলো হাওয়ায় । খাটো একটা তীর বাতাস কেটে এসে ঝুড়ি বহন করা এক আদিবাসীর ঘাড়ের পেছনে গেঁথে গেলো । হুড়মুড়িয়ে ঘাড় গুঁজে পড়ে গেলো সে । তীব্র বিষে মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরিয়ে এলো । সারা শরীর বেঁকে চুরে যাচ্ছে যন্ত্রণার অভিঘাতে ।

ব্লো পাইপ । বিষাক্ত তীর ছুঁড়ছে ওরা ব্লো পাইপ দিয়ে । এক অভিযাত্রী দৌড়ে এসে পড়ে যাওয়া ঝুড়িটি সবে তুলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে সঙ্গে সঙ্গে আরেকটা তীর বাতাস কেটে এসে কণ্ঠনালীতে গেঁথে গেলো । নিঃশব্দে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো সে ।

সবাই প্রাণপনে পা চালিয়ে ছুটছে । এসে গিয়েছে প্রায় । মাত্র দু'শো গজ দূরত্ব হলেও আমাজানের ঘন জঙ্গল এটি । অতো সহজ নয় খুব দ্রুত এই দুরুত্বটুকু অতিক্রম করা ।

নৌকোর খুব কাছে এসে গিয়েছে অভিযাত্রীদের ছোট দলটি । সহসা আবার বাতাসে শীষ কেটে দুটি বিষাক্ত ডার্ট এসে গেঁথে গেলো অপর দুই অভিযাত্রীর ঘাড়ের পিছনে । কাটা কলা গাছের মতো ঢলে পড়লো তারা মাটিতে । ক্যাপ্টেন ব্লাই আর অপর আদিবাসী ক্যানোটাকে ধাক্কা মেরে তীর থেকে খালের অগভীর জলে নিয়ে ফেললো ।

এবার ক্যানোতে ওঠার পালা । ক্যাপ্টেন উঠে গিয়েছেন । আদিবাসীটি উঠতে গিয়ে সহসা জলের মধ্যেই ঢলে পড়লো । আবার বিষাক্ত তীর । ক্যাপ্টেন হাত বাড়িয়ে জলের ওপর থেকে ঝুড়িটি ক্যানোতে তুলে নিলেন । ঘুরে যেই দাঁড় নিয়ে ক্যানো চালাতে যাবেন সহসা কানের নিচে তীব্র একটা কিসের দংশন অনুভব করলেন । মাথাটা বোঁ করে ঘুরে উঠলো । ক্যানোতে বসা অবস্থাতেই ঢলে পড়লেন কাৎ হয়ে ।

সারা শরীর অসহ্য যন্ত্রনায় জ্বলে যাচ্ছে । মাথা অসম্ভব ভারী, নিঃস্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, চোখে ঝাপসা দেখছেন, হার্ট বিট অসম্ভব দ্রুত । সেই ঝাপসা দৃষ্টি আর মাথার মধ্যে ভোঁতা একটা অনুভূতি নিয়ে ক্যাপটেন ব্লাই দেখতে পেলেন, গাছের আড়াল থেকে অনেকগুলো কালো কালো ছায়ামূর্তি বেরিয়ে এলো ।

দ্রুত ছায়ামূর্তি গুলো শায়িত দেহগুলোর খুব কাছে এসে পড়লো । চাঁদের আলোয় ঝলসে উঠলো ধারালো পারাং । এক একটি নিষ্ঠুর কোপে মাথাগুলি ধড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো । ক্যাপ্টেন ব্লাই বিস্ফারিত চোখে সব কিছু দেখলেন । ওরা তীরবিদ্ধ হলেও তাঁর মতোই তখনো সবাই জীবিতই ছিল, কিন্তু প্যারালাইজড অবস্থায় । জীবিত অবস্থাতেই প্রত্যেকের মাথা কেটে নিয়েছে ওরা ।

ধীর পায়ে মূর্তি গুলো এসে দাঁড়ালো ক্যানোর সামনে । ক্যাপ্টেন তাঁর চোখের সামনে দেখতে পেলেন সদ্য বিচ্ছিন্ন নরমুন্ডের চুলের ঝুটি ধরে ঝুলিয়ে হাসতে হাসতে এগিয়ে আসছে ওরা । কাটা মুন্ডগুলো থেকে তখনও রক্ত চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে ।

স্নায়ুর ওপর অসম্ভব চাপ আর নিতে পারলেন না ক্যাপ্টেন । সহসা চারিপাশের সব কিছু আঁধার হয়ে এলো ।

[ক্রমশঃ ...]

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

তারমানে এইটা সেই গল্প, যে গল্পের কথা আপনি হ্যাংআউটে বলেছিলেন ভাই মানে নরখাদক , উফজ বারবার গুলিয়ে যাচ্ছি , আচ্ছা ক্যাপ্টেন ব্লাই এর শেষমেষ কি হলো এবং তাদের সঙ্গীদের বা কি অবস্থা হলো বা ছায়া মূর্তি গুলো শেষমেষ কি করলো জানার অপেক্ষায় থাকলাম ভাই ।। বেশ রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি ।

@tipu curate 4

  ·  2 years ago (edited)

কি ভয়ঙ্কর গল্প রে বাবা। পড়ার সময় গা ছম ছম করছিলো। এমন গল্প কীভাবে লিখেন। কাটা মাথা হাতে নিয়ে ক্যাপ্টেন এর দিকে আসছে। ক্যাপ্টেন কি বাঁচতে পারবে এই বিপদ থেকে। এমন এমন জায়গায় গল্প শেষ করেন দাদা পরের পর্ব না পড়া পর্যন্ত শান্তি পাওয়া যায় না।

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

অনেক দিন পর ভিন্নধর্মী একটা লেখা পেলাম দাদা। সমসাময়িক ঘটনা গুলো থেকে ক্রমশ ঢুকে যাচ্ছিলাম লেখার ভেতর। কেমন একটা গা ছমছমে ব্যাপার পুরো লেখায়। তবে নাম গুলো খুব অদ্ভুত ধরনের। ক্যাপ্টেনের পরবর্তী অবস্থা জানার জন্য ছটফট করছি সত্যি। ভূতুড়ে ভূতুড়ে একটা গন্ধ,,,,,, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

পড়তে পড়তে মনে হচ্ছে বেশ ভয়ংকর উত্তেজনা কাজ করছিলো।এমন এক জায়গায় থামলেন কেন🤔।ভাবছি মূতিগুলো কেমন ছিলো।মুন্ডগুলো দিয়ে কি করতো।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়। ধন্যবাদ

কল্পনা করতেই তো ভেতর থেকে কলিজা শুখে যাচ্ছে দাদা🤒।রাতের বেলা পড়লে যদি এমন কল্পনা করতে যেতাম, ব্যাস ঘুম হাওয়া হয়ে যেতো।
পরবর্তীতে কি আসছে?ক্যাপ্টেনের সাহসিকতার দৃষ্টান্ত নাকি তার জীবনাবসান।

নরমুন্ডের চুলের মুঠি ধরে ঝুলিয়ে হাসতে হাসতে এগিয়ে আসছে ওরা । কাটা মুন্ডগুলো থেকে তখনও রক্ত চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে ।

দাদা আপনার এই লেখার মাঝে ভিন্নতা খুঁজে পেয়েছি। তবে যখন এই লেখাগুলো পড়ছিলাম গায়ের লোম একেবারে কাঁটা দিয়ে উঠছিল। খুবই ভয়ঙ্কর ছিল। আশা করছি পরবর্তী পর্বগুলো আরও বেশি আকর্ষণীয় হবে। ধন্যবাদ আপনাকে এবং শুভকামনা রইলো আপনার জন্য। ♥️♥️♥️

শুরুটা এককথায় চমৎকার হয়েছে। এ ধরনের গল্প পড়তে আমার কাছে নেশার মত লাগে। শুধু একটাই সমস্যা এক নিঃশ্বাসে পড়তে পারি না। কারণ গল্পগুলো পর্ব আকারে আসবে হাহাহাহা। যাইহোক এতদিন পরে মানুষ খেকোদের গল্প শুনতে পাচ্ছি বলেই মনে হলো। অনেকদিন যাবত অপেক্ষায় ছিলাম, অবশেষে অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। ধন্যবাদ দাদা।

অ্যামাজন জঙ্গল নিয়ে নির্মিত অনেক ছবি দেখেছি ।সত্যিই ওইগুলো অনেক ভয়ানক ছিল তাছাড়া ক্যাপ্টেনের কেনোতে ওঠার মুহূর্তে দংশন বিষয়টি সত্যি আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে। অনেক ভয়ঙ্কর গল্প দেখছি দাদা পরবর্তী পর্বের জন্য আশায় রইলাম।

অ্যামাজন জঙ্গল নিয়ে নির্মিত অনেক ছবি দেখেছি ।সত্যিই ওইগুলো অনেক ভয়ানক ছিল তাছাড়া ক্যাপ্টেনের কেনোতে ওঠার মুহূর্তে দংশন বিষয়টি সত্যি আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে। অনেক ভয়ঙ্কর গল্প দেখছি দাদা পরবর্তী পর্বের জন্য আশায় রইলাম।

গল্পটা পড়ে আগামাথা কিছুই বুঝলাম না। কিন্তু ভয়ঙ্কর কিছু অনুভূতি হল। ক্যাপ্টেন কি একেবারেই মরে গেল নাকি অজ্ঞান হয়ে পড়লো সেটাও বুঝতে পাচ্ছি না। গল্পটা ভীষণ ভয়ঙ্কর এবং কি মনে হয় অনেক বড় হবে। দাদা আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

এগুলো কি মানুষ দাদা যারা মুখোশের আড়ালে রয়েছে আমি তো প্রথমে মনে করেছিলাম ভয়ংকর কোন দৈত্য দানব পরে দেখলাম যে একটার পর একটা তীর ছুঁড়ছে। আবার জীবন্ত মানুষের মুন্ডু গুলো কেটে হাতে ঝুলিয়ে রাখছে সত্যিই অনেক ভয়ঙ্কর গল্পটা ভয়ে সারা শরীর কাঁটা দিয়ে ওঠে। ক্যাপ্টেনের মাথাও কি শেষ পর্যন্ত কাটা যাবে নাকি কে জানে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

সত্যি কথা বলতে দাদা মাঝে মাঝে আপনাকে দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। কারণ এই ধরনের গল্পগুলো লিখতে পরিবেশ এবং অনেক ধৈর্য নিয়ে গল্পগুলো লিখতে হয়। আপনার গল্পের ভাষাগুলো অসাধারণ ছিল। সব বিষয়ে যে আপনার জ্ঞান আছে তা আপনার ভাগ অল্পের ভাষা দেখে বোঝা যায়। গল্পটা পড়ার সময় গা ছমছম করতেছিল। যাই হোক পরের পর্বের আশায় থাকলাম দাদা।

দাদা গল্পটি মনে হচ্ছে শেষের দিক থেকে শুরু করেছেন। পেছনে আরো অনেক বড় গল্প লুকিয়ে আছে। ক্যানো তে আসার আগে ওই দিকে কি ঘটেছিল অথবা সামনে কি ঘটতে যাচ্ছে এখন সেটাই রহস্য।
যাই হোক দাদা গল্পটি অনেক রোমাঞ্চকর হবে বুঝতে পারছি। ভয়ংকর এই গল্পটি পড়তে পড়তে বারবার আমার গা শিউরে উঠছিল। গল্পটি পড়তে পড়তে একেবারে গল্পের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিলাম। বিশ্বাস করেন দাদা ব্যস্ততার কারণে দুপুরে টাইম মতো লাঞ্চ করতে পারিনি কিছুক্ষণ আগে খেতে বসেছিলাম। খেতে খেতে গল্পটা পড়তে শুরু করি গল্প শেষ করে দেখি প্লেটের ভাত সেরকমই পড়ে আছে। বোঝেন কি অবস্থা, পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

ভাইয়া গল্পটা পড়তেছি আর কল্পনা করতেছি। প্রথমে ভেবেছিলাম তারা নৌকায় উঠতে পারবে। কিন্তুু সবাই যে মারা যাবে সেটা ভাবি নি। খুব ভয়ংকর গল্প। ধন্যবাদ ভাইয়া।

ওমা কি ভয়ংকর গো !! কি লিখেছেন দাদা? গল্পটি পড়ে তো ভয়ে গা-হাত-পা শিরশিরিয়ে ওঠেছে। তাহলে ক্যাপ্টেন কি ভয়েই মারা গেল ?নাকি ক্যাপ্টেনেরও ওই একই অবস্থা হবে ?পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। খুবই চমৎকার একটি গল্প পেলাম। পড়ে বেশ ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



একেবারে টানটান উত্তেজনার সময়ে পর্বটা শেষ করলেন। এখন মনে হচ্ছে দ্বিতীয় পর্ব যে কখন পাবো? দ্রুত দ্বিতীয় পর্ব চাই দাদা।

ওরে বাবা! এ কি গল্প শুরু করলেন দাদা, আগেরগুলোই তো বেশ ছিলো. দারুণ একটা অনুভূতি কার্যকর থাকতো।

এ্যাডভানচার ভালো লাগে কিন্তু শুরুতেই শরীরে শিরশির ধরিয়ে দিলেন, বুঝতে পারছি না বাকীগুলোতে আরো কি কি করবেন, ভয়ানক কিছু একটা শুরু করলেন মনে হচ্ছে।

প্রথম পর্ব থেকেই কাটা মাথা বাপরে বাপ, খুবই ভয়ংকর গল্প। ক্যাপ্টেন এখন সব কিছু কেমনে সামলায় তা জানার আগ্রহে বসে আছি। আগামী পর্ব আরো আকর্ষনীয় হতে চলছে। অপেক্ষায় আছি দ্বিতীয় পর্বের।

দাদা গল্পটি পড়তে পড়তে ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে গেলাম।তবে ক্যাপ্টেন এর পরবর্তী অবস্থা বা সাহসিকতা জানার জন্য আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।এত চমৎকার ভিন্নধর্মী একটি গল্পের সূচনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় দাদা♥♥

আমার ক্ষুদ্র মাথায় এতো রহস্য গল্প কোনক্রমেই ঢুকে না। তার পরেও মনে হলো একটি কিট দংশনে এতগুলো ধ্বংস । এযেনো ছায়াহীন কোন জীবের অস্তিত্ব বুঝায়। বাকিগুলো চরিত্রের উপস্থাপন।

সত্যি খুবই চমৎকার একটি সাবজেক্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন, অনেক কিছু জানতে পারলাম আজকের পর্ব থেকে যা একেবারেই অজানা ছিল। আরও অনেক তথ্য জানতে পারব আগামী পর্বগুলোতে। খুবই ভয়ংকর অবস্থা এরূপ পরিস্থিতিতে ক্যাপ্টেন কিভাবে যে তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছাবে তারই অপেক্ষায় আছি, টানটান উত্তেজনা কাজ করছে।

দাদা আজকে আপনার গল্পটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে এবং এই গল্পটি পড়ে গায়ের লোম জানো কাঁটা দিয়ে উঠলো। এত ভয়ানক গল্প সত্যিই এই গল্পটি যদি আমি রাতের বেলা একা পড়তাম তাহলে খুবই বেশি ভয় পেতাম। তবে গল্পটি ভয় হলেও এই গল্পটি পড়তে খুবই ভালো লেগেছে আমার এবং পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি। আশা করছি পরবর্তী পর্বে আরও আকর্ষণীয় হবে।

দারুণ রহস্যময় গল্প, ছোট বেলায় পড়া রসহ্য উপন্যাস চোখের সামনে ভেসে উঠলে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

অ্যামাজন জঙ্গলের রোমাঞ্চকর একটি গল্প শোনালেন দাদা। পড়ে গা শিউরে উঠলো। ক্যাপ্টেন ব্লাই এবং ঝুড়ির মধ্যে কি ছিল জানার অপেক্ষায় রইলাম। এত সুন্দর একটি গল্প পোষ্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

তীব্র বিষে মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরিয়ে এলো । সারা শরীর বেঁকে চুরে যাচ্ছে যন্ত্রণার অভিঘাতে ।

বনের ভেতরের এরকম ভয়ঙ্কর একটা দৃশ্য ভেবেই গা শিউরে উঠছে আমার। ভয় লাগছে শুনে যখন নিস্তেজ দেহগুলো থেকে মুন্ডু গুলো কেটে নিচ্ছে। গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

ভিন্নধরনের গল্প এটি ,পড়ে গা ছমছম করছে। আবার চিন্তা ও হচ্ছে মনে লোকগুলো কারা ছিলেন কেনই বা এতগুলো মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।একটা রহস্যের চিহ্ন মনে অঙ্কিত হচ্ছে, পরের পর্বগুলো পড়লে নিশ্চয়ই জানা যাবে।আমার মনে হচ্ছে আদিবাসীদের পিঠে বাঁধানো ঝুড়িতে কোনো মূল্যবান জিনিস আছে।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা,ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর গল্প আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।

অনেক ভয়ানক গল্প দাদা!! আমার তো গায়ের লোমগুলো দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। যখন এই গল্পটি পড়ছিলাম নিজেকে ক্যাপ্টেন এ জায়গায় রেখে কল্পনা করলাম, কি সেই ভয়ানক দৃশ্য, কাটা মাথা হাতে নিয়ে ক্যাপ্টেন এর দিকে এগিয়ে আসছে। ভাবলেই তো গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। এর পরবর্তীতে কি হবে? জানতে ইচ্ছা করছে।

কি মারাত্মক গল্প লিখেছেন দাদা! পরের পার্ট খুব শীঘ্রই চাই। সত্যিই অসম্ভব ভাল হয়েছে। এই ধরনের গল্প আমিও কখনো পড়িনি।

দাদা গল্পটি শেষ পর্যন্ত পড়তে পড়তে আমার একবারে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। এধরনের ওয়েস্টার্ন সিরিজ এর মত গল্পগুলো কিংবা গোয়েন্দা উপন্যাস গুলো না করে থাকতে পারি না। মজার জিনিস তো তাই একটু সময় নিয়ে পড়তে হয়। গল্পটির শেষ মুহূর্তে এসে ক্যাপ্টেন ব্লাই এর মত আমার নিজের বুক কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে। তবে শেষ অবধি না পড়া পর্যন্ত মাথাব্যথা যাবে না মনে হচ্ছে।

মনে হচ্ছিল গল্পের ভেতর ঢুকে গেলাম।
ভীষণ গা ছমছম করছিল উত্তেজনায়।
পরের পর্বে কি ঘটবে জানার জন্য ব্যাকুল হয়ে গেলাম।
অসাধারণ আর অনবদ্য।

Hey