ছোটবেলার স্মৃতিচারণ - মৎস্যশিকারী আমি

in hive-129948 •  2 years ago 


Copyright Free Image Source : Pixabay


প্রত্যেক বছর বর্ষাকাল এলেই এখনো মনটা ছটফট করে ওঠে ছোটবেলার মাছ শিকারের কথা মনে পড়লে । আমি আসলে দারুন ভালোবাসতাম মৎস্য শিকার করতে । বিশেষ করে বর্ষার দিনে গ্রামের পুকুর, খাল-বিলে মাছ ধরার যে কি মজা তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না । বড়শি আর জাল এই দুটোই ছিল আমাদের প্রধান হাতিয়ার মৎস্য শিকারে ।

অনেক ভাবেই আমরা ছোটরা মাছ শিকার করতাম । কেউ খ্যাপলা জাল ছুঁড়ে, কেউ বড়শি দিয়ে, কেউ অগভীর জলে জাল পেতে মাছ শিকার করতাম আমরা । আমি জাল ছুঁড়তে জানতাম না, আর ভোরবেলায় ধানখেতের মধ্যে অগভীর জলে জাল পাততে যেতেও মন সায় দিতো না । ওই কাজটিতে এক্সপার্ট ছিল আমার কাকাতো-জেঠাতো ভাইয়েরা ।

আসলে আমি একটু বাবু মানুষ ছিলাম ছোট্টবেলাতেই । কাদা মাখামাখি পছন্দ করতাম না বিশেষ । তাই, ভোরবেলায় ধানক্ষেত, ডোবা বা অগভীর বিলের জলে মাছ ধরার জাল পাততে যাইনি কোনোদিনও । তবে, পুকুরে বড়শি দিয়ে প্রচুর মাছ ধরেছি । খালে কাজিন ভাইদের সাথে জাল ছুঁড়ে মাছ মারার সঙ্গী হয়েছি । বিলের জলে নৌকো করে বড়শি দিয়ে মাছ ধরেছি । আর ডোবার জলে তো রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করে মাছ শিকার করতাম সমবয়সীদের সাথে ।

বর্ষাকালে আমাদের গ্রামের কাঁচা রাস্তা বেশ অগম্য হয়ে পড়তো কাদায় । তাই, স্কুল ফাঁকি দিতে ইচ্ছেমতো । বাবা রাজি থাকলেও মা মোটেও স্কুলে পাঠাতে চাইতো না এসময়টায় । আমি তাই মাঝে মাঝে ক্লাসে যেতাম বর্ষাকালে । কিন্তু, প্রায় দিনই বাড়িতে থাকতাম । সকাল বেলাটায় নমো নমো করে কোনো রকমে পড়া শেষ করেই আমরা মেতে উঠতাম মাছ শিকারে ।

বাড়িতে সব সময়েই নানান আকারের ছিপ-বড়শি, হুইল মজুত থাকতো । এক এক রকম মাছের জন্য এক এক রকমের ছিপ-বড়শি বা হুইল । পাটকাঠি ছিপের ক্ষুদ্র বড়শি ছিল পুঁটি মাছ শিকারের জন্য । মজবুত বাঁশের চাঁছাছোলা কঞ্চির ছিপ আর মাঝারি আকারের বড়শি ছিল ফলুই, তেলাপিয়া, কৈ, শোল, টাকি, জাপানি পুঁটি, ট্যাংরা, বান, নাইলোটিকা এসব শিকারের জন্য । আর বেশ মজবুত প্রকান্ড হুইল বড়শি গুলো ছিল রুই-কাতলা, মৃগেল, বড় শোল, ভেটকি এসব শিকারের জন্য ।

খ্যাপলা জালও আমাদের বাড়িতে বেশ কয়েক রকমের মজুত থাকতো সবসময় । বড়, ছোট ও মাঝারি সাইজের খ্যাপলা জাল, কোনোটায় লোহার নল গুলো মোটা নিরেট আর ভারী, আবার কোনটায় সরু ফাঁপা ও হালকা । কোনোটার জালের ফাঁস বড়, কোনোটার মাঝারি আবার কোনোটার খুবই ক্ষুদ্র ।

পাতা জালও ছিল অনেক রকমের । লম্বা, খাটো, দীর্ঘ প্রশস্ত, কম প্রশস্ত । কোনোটার জালের ঘরগুলি খলসে, পুঁটি, বান মাছ ও পারশে ট্যাংরা শিকারের জন্য । আবার কোনোটার জালের ঘরগুলি তেলাপিয়া, নাইলোটিকা, শোল, টাকি শিকারের জন্য । আরেক প্রকারের পাতা জাল ছিল । খুবই ক্ষুদ্র জালের ঘরগুলো । চিংড়ি শিকারের জন্য শুধু এগুলো ।

ছোটবেলায় মাছ শিকার করতে গিয়ে অনেক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি আমি । আমার কাজিনেরা বড় গাঙে মাছ শিকার করতে গিয়ে কুমির অব্দি দেখে এসেছে । আমার অবশ্য সে রকম সৌভাগ্য কোনোদিনও হয়নি । তার আগেই গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসি । তবে, খালে একবার নৌকাডুবি হয়েছিল আমাদের মাছ ধরতে গিয়ে । একটুর জন্য নৌকোর তলায় চাপা পড়া থেকে বেঁচে গিয়েছিলাম আমি । বেশ কয়েক ঢোক খালের ঘোলা জল পেটে যাওয়া ছাড়া আর তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি সেবার ।

এবার একটা মজার ঘটনা শেয়ার করে আজকে শেষ টানছি । জীবনে প্রথম পেন দিয়ে লিখে পরীক্ষা দেই আমি ক্লাস টু তে । এর আগে পাঠশালা, ছোট ওয়ান আর বড় ওয়ান এর সব কয়টি পরীক্ষায় আমি হয় শ্লেট বা পেন্সিল ব্যবহার করেছি । তো, সেবার বর্ষার শেষের দিকে মিড টার্ম এক্সাম পড়লো । সেদিন সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছিলো আর হাওয়া দিচ্ছিলো বেশ । বর্ষার জোলো হাওয়া । গায়ে মাখলেই মনটা চিড়িং বিড়িং করে লাফাতো মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য ।

তো পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে আমি আর আমার এক সহপাঠী দুজনে মিলে প্ল্যান করতে থাকলাম যে কোনোরকমে পরীক্ষাটা দিয়েই বাড়ি ফিরে আজকে মাছ ধরতে যেতে হবে । এই ধরণের নানান পরিকল্পনায় অর্ধেক পথ এসে হঠাৎ আমরা একটা জিনিস লক্ষ করে আনন্দে দিশেহারা হয়ে গেলাম । রাস্তার এক সাইডে খুবই নিচু মতো ছোট্ট একটা ডোবা ছিল । বিলের নতুন বর্ষার জলে এখন সেটা একদম টইটুম্বুর । একেবারেই ছোট্ট একটা ডোবা । অথচ এখন মাছে ভর্তি । পরিষ্কার মাছের খলবলানি শোনা যাচ্ছে ।

রইলো পরীক্ষা মাথার উপরে । আমরা দু'জনে নেমে পড়লাম মাছ ধরতে । কিন্তু, ধরবো কি করে ? যতই ছোট ডোবা হোক হাত দিয়ে তো আর জলের মধ্যে মাছ ধরা সম্ভব নয় । তাই, মনের মধ্যে একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলে দু'জনে ফের রওনা দিলাম স্কুলে । অঙ্ক পরীক্ষা তখনকার দিনে ছেলেদের কাছে রীতিমতো আতংক ছিল । সবাই ভীষণ নার্ভাস আর টেনশনে থাকতো ।

এই দিন আমিও খুবই টেনশনে ছিলাম । অঙ্ক পরীক্ষার ভয়ে নয় । পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে সেই ডোবায় মাছেরা থাকবে তো ? আমাদের আগে আর কেউ মেরে নিয়ে যাবে না তো ? এই চিন্তায় তখন পরীক্ষা মাথায় উঠে গিয়েছে । যাই হোক পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে আমি আর আমার সেই সহপাঠী মিলে সেই ডোবা থেকে মাছ ধরে তবে বাড়ি ফিরেছিলাম । হাতের কাছে কোনো সরঞ্জাম না থাকাতে আমি জামা খুলে আর মাথার ছাতা দিয়ে বহু কষ্ট করে বিশাল সাইজের একটা নাইলোটিকা ধরে ফেললাম ।

সেদিন বাড়ি ফিরে হুলুস্থুলু কান্ড ঘটে গিয়েছিলো । পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরলাম জামা ছাতা সব বিসর্জন দিয়ে প্রকান্ড একটা নাইলোটিকা হাতে ঝুলিয়ে । মাছের কানকোর ছিদ্র দিয়ে গাছের ছালের দড়ি ঢুকিয়ে হাতে ঝোলাতে ঝোলাতে একরকম নাচতে নাচতে বাড়িতে এসে ঢুকলাম । কান্ড দেখে মায়ের তো একদম চক্ষুস্থির । দাদা question paper চাইলো । আমি বললাম জামা ছাতা সব ভুলে রাস্তায় ফেলে এসেছি । আর জামার বুকপকেটে রয়েছে question paper ।

এরপরে কি ঘটলো সেটা আর নাই বা বললাম । তবে, হ্যাঁ সেবার অঙ্ক পরীক্ষায় আমি ১০০ তে ৯৯ পেয়েছিলাম । আমি জাতে মাতাল হলেও তালে ঠিকই ছিলাম । হে হে :)


পরিশিষ্ট


প্রতিদিন ১৫০ ট্রন করে জমানো এক সপ্তাহ ধরে - ৭ম দিন (150 TRX daily for 7 consecutive days :: DAY 07)


trx logo.png




টার্গেট ০৩ : ১,০৫০ ট্রন স্টেক করা


সময়সীমা : ৩১ জুলাই ২০২২ থেকে ০৬ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত


তারিখ : ০৬ আগস্ট ২০২২


টাস্ক ২১ : ১৫০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

১৫০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 79b899084a340546689a07cb9cd8afb0ba9cf8517a182bcf59986433ff75ca03

টাস্ক ২১ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

RME, Thank You for sharing Your insights...

দাদা তোমার ছোট বেলার সাথে আমার ছোট বেলা বেশিরভাগটাই মিলে গেছে। ছোটবেলায় মাছ ধরা আমার নেশা ছিল। বিশেষ করে বর্ষাকালে প্রচুর নতুন জলের মাছ ধরতাম। বৃষ্টি হলেই বেরিয়ে পড়তাম দলবল নিয়ে। তবে কোনোদিনও মাছ না ধরে বাড়ি ফিরিনি। যদিওবা কোনোদিন মাছ ধরতে না পারতাম অন্যের টা থেকে চুরি করে নিয়ে বাড়ি আসতাম। হাঃ হাঃ হাঃ

Thank You for sharing...

god bless you

Very Amazing!!!! Definitely was different than what I thought it was going to be. I will be watching it again!
Very Absolutely loved this film! Saw it on the big screen and watch it all the time a home. This is a great one, go watch it!!!
This was a pretty good movie and really suspenseful it definitely will keep you on the edge of your seat: https://divedigital.vip/movie/900667/one-piece-film-red

Thumbnail

আমি জাতে মাতাল হলেও তালে ঠিকই ছিলাম । হে হে :)

এই না হলেন আমাদের বুদ্ধিমান দাদা হি। পরীক্ষা থেকে মাছ ধরার টেনশন বেশি বাহ বৈশ দারুণ তো। আমি নিজেও ছোটবেলা মাছ ধরেছি তবে ঐ বরশী দিয়েই বেশি। আপনার ছোটবেলার মাছ ধরার কাহিনী টা দারুণ লাগল দাদা। কী রঙিন শৈশব ছিল আপনার।

Thank You for sharing...

এই ধরনের মজার স্মৃতি কমবেশি আমাদের সবারই রয়েছে। তবে পোস্টটি পড়ে সেই অতিথিতে ফিরে গেলাম।

প্রত্যেক বছর বর্ষাকাল এলেই এখনো মনটা ছটফট করে ওঠে ছোটবেলার মাছ শিকারের কথা মনে পড়লে । আমি আসলে দারুন ভালোবাসতাম মৎস্য শিকার করতে

মাছ ধরতে কার না ভালো লাগে আর যদি বাড়ির পাশে আমার মত থাকে পদ্মা নদী তাহলে তো কোন কথাই নেই। পদ্মার তীরবর্তী অঞ্চলে বেশ কয়েক পদ্ধতিতে মাছ ধরা হয় আমি প্রায় সবকটা পদ্ধতিতে মাছ শিকার করেছি শখের বসে। আপনার মত নৌকাডুবিতেও পড়েছি তবে ঘোলা জল নয় পদ্মার জল খেয়েছি।

Thank You for sharing...

মাছ ধরতে আমার খুবই ভালো লাগে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমি কখনো বড়শি দিয়ে একটি ও মাছ ধরতে পারিনি। অনেকবার চেষ্টা করেছি। নদীতে তো দূরের কথা। আমি কোনো পুকুরের ও মাছ ধরতে পারি না। আপনার মাছ ধরার গল্পটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।এতো সুন্দর একটি স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

Thank You for sharing...

হা হা,বেশ মজা পেলাম🤪।এর পরের ঘটনা বললেও বুঝতে পেরেছি😉।বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে বেশ ভালো লাগে।ভালো লাগলো।আসলেই জাতে মাতাল হলেও তালে ঠিক আপনি 😉।ধন্যবাদ

Thank You for sharing...

আমি জাতে মাতাল হলেও তালে ঠিকই ছিলাম । হে হে :)

হা হা 😄
দারুন দারুন 😍

মনে হচ্ছিল কল্পনায় ঠিক আপনার সাথে মাছ ধরার মিশনে নেমে গেছিলাম 😄
এ এক দারুন অনুভুতি।

আপনি সত্যিই একজন সুযোগ্য এবং বুদ্ধিমান মানুষ তা আমরা বুঝে গেছি।

দারুন স্মৃতিচারণ করেছেন 🤗 বেশ হাসলাম কিছুক্ষণ।

Thank You for sharing...

এরপর কি ঘটলো জাতি সেটা সম্মানের সহিত জানতে চায় দাদা হা হা হা।

পুরো ঘটনাটি পড়ে ছোট বেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। আমি বড়শি দিয়ে মাছ ধরতাম এবং পুকুরে ডুবিয়ে হাত দিয়েও মাছ ধরতে পারতাম বেশ। পরীক্ষা শেষ হলে সারাদিন নদীর তীরে বসে থাকতাম বড়শি নিয়ে, কত মাইর খেয়েছি এর জন্য হিসেব নাই।

Thank You for sharing...

আমি তো ভাবলাম ডোবার মাছের চিন্তায় পরিক্ষাটা না আবার গোল্লায় যায়। যায় হোক লাষ্ট কথাটা খুব ভাল লাগলো মাতাল হলেও তালে ঠিকই ছিলেন হি হি হি..................

Thank You for sharing...

এটা আমি জানি ও বিশ্বাস করি , আপনি জাতে মাতাল তালে ঠিক । তবে মাছ ধরার ঘটনাটা বেশ মজার ছিল । এমন ঘটনার স্বাদ পেয়েছি ,আমিও জীবনে বহুবার ভাই । একদম অতীত যেন চোখের সামনেই ভাসছিল ।

Thank You for sharing...

আমি জাতে মাতাল হলেও তালে ঠিকই ছিলাম । হে হে :)

মৎস্য শিকারের গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। পরীক্ষা শেষ করে বড় একটি মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরেছেন শুনেই তো স্মৃতিগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছে। ছোটবেলায় আমিও মাছ শিকার করতে পছন্দ করতাম। তবে সময়ের সাথে সাথে সবকিছুই শুধুই অতীত হয়ে গেছে। সবকিছুই আজ স্মৃতির পাতায়।

Thank You for sharing...

সে আপনি দাদা সবসময় ই তালে ঠিক।😏😜😜

এতো যুদ্ধ এই মাছ ধরতে!কি যে সুখ কে জানে।

সেবার অঙ্ক পরীক্ষায় আমি ১০০ তে ৯৯ পেয়েছিলাম । আমি জাতে মাতাল হলেও তালে ঠিকই ছিলাম ।

দাদা আপনার এই ছোট বেলার মজার গল্প গুলো আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে, আর মাছ ধরার নেশা নেই এমন মানুষ খুজে পাওয়া সম্ভব না। আর আপনি তো সব কিছুতেই ফাস্ট। কিছু বলার নেই, তবে পড়ে অনেক মজা পেলাম ছোট বেলার কথা মনে পরে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে।

Thank You for sharing...

দাদা আপনার মত আমরাও তা ছোটবেলায় মাছ ধরতাম তবে একটি বিষয় অনেক ভালো লাগলো দাদা... অংকের পরীক্ষা দিনে আপনি অংকের টেনশন না করে ডোবায় মাছ থাকবে কিনা সেই চিন্তা করছেন, হাহাহা। সত্যি অনেক মজা পেলাম। ছোটবেলায় এইরকম গরমের সময় গ্রীষ্মের ছুটিতে গ্রামের বাসায় যেতাম। সেখানে জাল ফেলে মাছ ধরা হতো অনেক বন্ধু-বান্ধব ছিল আত্মীয়-স্বজনরা মিলে একসাথে পুকুরে নেমে মাছ ধরতাম। সেই সোনালী দিনগুলো কতইনা মধুর ছিল দাদা, ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।।

Thank You for sharing...

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

  ·  2 years ago (edited)

মাছ ধরাতে আমিও ছোট বেলা থেকেই খুব আগ্রহী । তবে আমার সব থেকে বেশি ভাল লাগে পানি সেঁচে মাছ ধরতে এবং আলো কাঁটায় টিপ জাল দিয়ে মাছ ধরতে ।

সেদিন বাড়ি ফেরার পরের ঘটনা অনুমান করতে পারছি । নিশ্চয় শ্রাবণের দিনেও পিঠের উপর ভাদ্র মাসের তাল পড়েছিল ।

Thank You for sharing...

দাদা ভালোই বৃষ্টি শুরু হয়েছে আমাদের দিকে, ইদিকে আসবেন নাকি? একসাথে মাছের পুকুরে যাওয়া যাবে। পুকুরে কয়েক টন মাছ আছে সাথে হুইল, হাত ছিপ সবই বর্তমান। দারুন মজা হবে।

পোস্টটি পড়ে খুব ভাল লাগলো ।আমি মেয়ে হয়েও গ্রামে গেলে মাছ ধরার চেষ্টা করতাম । খুব বেশি সেই দিনগুলিতে চলে গিয়েছিলাম দাদা । অনেক ভাল লাগলো পড়ে । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ।

Thank You for sharing...

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Thank You for sharing...

नमस्ते @rme
मैं हूं @daws321
मैंने आपको वोट दिया है चलो एक दूसरे को फॉलो करें

ছেলেবেলায় মাছ ধরা যে কি আনন্দ তা সত্যই ভাষায় প্রকাশ করা দুরূহ হয়ে ওঠে। স্কুল থেকে ফেরার পথে মাছ ধরার আনন্দ আর কখনোই সেভাবে ফেরেনা।

Thank You for sharing...

আমি তো পড়তে পড়তে ভাবছিলাম যে আপনি মনে হয় পরীক্ষা না দিয়ে মাছ ধরেই সময় শেষ করে ফেলেছেন। পরে দেখলাম না পরীক্ষা ঠিকই দিয়েছেন। আপনি দেখছি ছোটবেলা থেকেই জাতে মাতাল হলেও তালে ঠিকই ছিলেন। আর উত্তম মধ্যম কেমন পড়েছিল একটু বললে শুনতাম।

আপনার ছোটবেলার গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে ছোটবেলা মাছ ধরা যেন প্রত্যেকেরই একটা নেশার মত ছিল। আমি মাছ ধরতে পারতাম না। তবে বাবার সাথে ছোটবেলা মাছ ধরতে যেতাম। বাবা-মাছ জাল দিয়ে ধরতো তো আমি সেগুলো ধরে ধরে ব্যাগে রাখতাম। সত্যি মুহূর্তটি অনেক আনন্দের ছিল। আপনার গল্পটি আমার অনেক ভালো লেগেছে দাদা।

Thank You for sharing...

দাদা আপনার এ পোস্টটি পড়ে মনে হচ্ছে আমিও একেবারেই ছোটবেলায় চলে গেলাম। ছোটবেলায় সহপাঠীদের সাথে আমি নিজেও ছোট ছোট ডোবায় কত যে মাছ ধরেছি তার কোন হিসাব নেই। কিন্তু দাদা অংক পরীক্ষায় আমি কখনো ১০০ তে ৯৯ নাম্বার পাইনি। দাদা আপনার ছোটবেলার কথাগুলো জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। ছোটবেলার মাছ শিকারের মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Thank You for sharing...

প্রথমে দুটো ঘটনা শুনে একটু ভয় লেগে গিয়েছিল। নদীতে কুমির আসতো সে সময়! সাংঘাতিক ব্যাপার। আর আপনিও বড় বাঁচা বেঁচে গিয়েছিলেন দাদা।

আপনার লেখাটা পড়ছিলাম আর হাসছিলাম শেষের দিকে। বাড়িতে ঢুকে উত্তম মধ্যম কিছু পরেনি দাদা 🤪? আসলে মাছ ধরা একটা অন্যরকম মজার ব্যাপার। মারাত্মক নেশা এটা। আমার অনেক বড় দাদাদের দেখেছি। মাছ ধরতে গেলে খাওয়া-দাওয়া বাদ দিয়ে ধ্যান জ্ঞান শুধু ওই দিকেই থাকতো। আমার নিজের অবশ্য এরকম নেশা ছিল না। তবে বছর চারেক আগে পিসির বাড়ি একবার মাছ ধরতে গিয়ে হাতে কাটা ফুটেছিল। আর তার জন্য ভীষণ যন্ত্রণা ভুগতে হয়েছে অনেকদিন ধরে।

Thank You for sharing Your insights...

দাদা ছোটবেলার স্মৃতিগুলো জীবনে চলার পথে বারবার মনে পড়ে যায়। যখন আশেপাশে কোথাও ছোটদের ডোবা বা পুকুরে এইভাবে মাছ ধরতে দেখি তখনই দাঁড়িয়ে থেকে দেখতে খুব ইচ্ছা করে। আপনার গায়ের জামা ও ছাতা বিসর্জন দিয়ে নাইলোটিকা মাছ ধরার ঘটনাটি পড়ে খুব মজা পেয়েছি। আমিও ছাত্র জীবনে একবার পাড়ার ছেলেদের পাল্লায় পড়ে খেলতে গিয়ে বই হারিয়ে ফেলেছিলাম। পরে বাসায় ফিরে সেকি হুলস্থুল কান্ড কান মলাও খেয়েছিলাম। নিশ্চয়ই আপনারও সেই অবস্থা হয়েছিল হা হা হা হা।
চিন্তা করা যায় মাথায় মাছ ধরার এত বড় টেনশন নিয়েও আপনি ১০০ তে ৯৯ পেয়েছেন তাও আবার অংকে।
আসলেই আপনি জাতে মাতাল তালে ঠিক।

Thank You for sharing...

নাইলোটিকা মাছ ধরে বাড়ি ফিরে যাওয়া।দারুণ ব্যাপার তো দাদা।তাছাড়া আমিও কিন্তু মাছ ধরতে বেশ পটু।তবে বড়শি দিয়েও হাত চেপে টেংরা ,টাকি ,তেলাপিয়া,পুঁটি ও কৈ মাছ বেশি ধরতাম।আর পুকুরের বিভিন্ন পোনা মাছ তো আছেই।এটি নেশার মতো ছিল আমার কাছে, বেশ মজার।এখনো কখনো কখনো নেমে পড়ি কাদায় মাঠে,আপনার লেখা পড়ে মনে পড়লো।তবে আপনি যে অঙ্ক পরীক্ষায় ১০০ তে ৯৯ পেয়েছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।

Thank You for sharing...

দাদা আপনার ছোটবেলার গল্পটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। আমার চোখের সামনে আমার ছোটবেলার কিছু কিছু মুহুর্ত এমনভাবে জ্বলজ্বল করছিল এবং আপনার গল্পটা পড়তে পড়তে আমি যেন সেই ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম। আমিও নানুর বাড়িতে গিয়ে দেখতাম অনেকে অনেক ভাবে মাছ ধরে বর্শি দিয়ে জাল দিয়ে। অনেক অপেক্ষার পর বড়শিতে মাছ সে যে কি আনন্দ তা বোঝার মতো নয়। সেই মুহূর্তগুলো এখন অনেক বেশি মনে পরে। কিন্তু বড় বেলায় থেকে ছোটবেলা কোন বেলাতেই মাছ ধরতে পারতাম না। কিন্তু মাছ ধরা দেখতে খুব ভাল লাগত। খুব ইচ্ছা করত ধরতে কিন্তু পারতাম না। এজন্য খুব মন খারাপ হতো। ছোটবেলায় ফিরে যাওয়া যায় না তবে আপনার গল্পটা পড়ে সেই মুহূর্তগুলো ফিরে দেখা। অনেক ধন্যবাদ দাদা এত মজার গল্প শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে।

Thank You for sharing Your insights...

দাদা আপনার গল্পটি পড়ে খুবই হাসি পেল আসলেই আপনি যাতে মাতাল তালে ঠিক। তা না হলে আপনি বললেন যে, পরীক্ষা দেওয়ার সময় আপনার শুধু চিন্তা হচ্ছিল মাছ গুলো ওখানে থাকবে তো? না অন্য কেউ মেরে নিয়ে যাবে। কিন্তু এই চিন্তা মাথায় থাকলেও পরীক্ষা আবার ঠিকমতোই দিয়েছেন। নাহলে ১০০ তে কেউ নিরানব্বই পায় ।আসলেই আপনি যাতে মাতাল তালে এক দম ঠিক ঠাক।

Thank You for sharing...

দাদা আপনি কি ক্যালানি টা খেয়েছেন তাই ভাবছি। যাই হোক অংকে একজন পারাদর্শী ছিলেন তা বোঝাই যাচ্ছে। ‌আপনার নৌকা ডোবার কাহিনীটি আমি পড়েছি অনেক আগেই। এবার আসি আমার কথায়। মেয়ে হয়েও আমি ছিলাম ডানপিটে মেয়ে। আপনাদেরতো জাল আর বঁড়শী আমার হাতিয়ার ছিলো হাত ও তরকারি কেটে যে ঝুড়ি গুলোতে রাখে সেগুলো। নাম জানিনা আঞ্চলিক ভাষায় হাস্যকর একটা নাম 😜। তখন ১ম শ্রেণীতে পড়তাম আমি আর আমার চাচতো বোন দুজনেই হাত দিয়ে ছোট ছোট মাছের পেছন থেকে দুহাত এক করে আস্তে আস্তে এনে খপাস করে ধরতাম🤭🤭 । বোটি দিয়ে ছোট গর্ত করে পানি দিয়ে ওইগুলো আবার ছোট পুকুরে পালার জন্য রাখতাম। আমরা ভাবতাম বুজি বাচ্চা ফুটাবে 🙄। যাইহোক কিছুক্ষণ পর আসলে দেখাতাম সেগুলো নেই। হাঁস মুরগী খেয়ে পেলতো নাহলে লাপিয়ে চলেযেতো।

Thank You for sharing Your insights...

আপনার সেই দৃশ্যটা কল্পনা করে আমার হাসি পাচ্ছে। ছোট্ট একটা মানুষ জামা কাপড় ছাড়া হাতে বিশাল একটা মাছ নিয়ে বাড়ি ফিরছে। তবে আসলেই আপনি তালে ঠিক ছিলেন। মাছ মারার এরকম প্রচন্ড টেনশন থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষায় একশতে ৯৯ পেয়েছিলেন। ওদিকটাতে কোন গাফিলতি হয়নি। মজা পেলাম পোস্টটি পড়ে।

Thank You for sharing...