copyright free image source pixabay
দ্বিতীয় পর্বের পর
তিন
মাঝ রাতের দিকে বৃষ্টিটা একটু ধরে এসেছিলো । দুলালেরা যখন খালের ধারে আসে তখন আর বৃষ্টি নেই, তবে জোলো হাওয়াটা এলোমেলো ভাবে জোরে বইছে । মেঘ কেটে গিয়ে রাতের আকাশ অনেকটাই মেঘবিহীন হয়ে পড়েছে । শুধু টুকরো টুকরো তখনো কিছু জলভরা মেঘ এলোমেলো ভাবে ভেসে বেড়াচ্ছে ।মেঘ কেটে গিয়ে হঠাৎই শ্রাবন মাসের চাঁদ উঁকি মেরেছে আকাশে ।আর সেই ঘোলাটে চাঁদের আলোয় দুলাল দেখতে পেলো নিতাই এর দেহটা যেন ধোঁয়ায় তৈরী ।
এলোমেলো বাতাসের ধাক্কায় মাঝে মাঝে যেন অবয়বটা কিছুটা বিকৃত হয়ে যাচ্ছে ।নিতাই দুলালের মাছের খালুই ধরে দাঁড়িয়েছিল । সবিস্ময়ে দুলাল দেখতে পেলো চাঁদের আলো যেন নিতাইয়ের এর দেহ ভেদ করে যাচ্ছে; দেহের পিছনের হরগোজা কাঁটা ঝোপ অস্পষ্ট দেখতে পেলো দুলাল । মাথাটা বোঁ করে ঘুরে উঠলো ।
তবে কী ?........
শ্রাবণ মাসের আকাশ । মুহুর্তের মধ্যে একগাদা কালো মেঘ এসে চাঁদটাকে ঢেকে ফেললো । নিমেষে সব অন্ধকার । লণ্ঠনের টিমটিমে আলোতে দুলাল দেখলো সব কিছু ঠিকঠাকই আছে । ওই তো নিতাই দাঁড়িয়ে আছে । তাহলে, একটু আগে সে কি দেখলো !!!
নিশ্চিত দুলাল ভুল দেখেছে । চোখের ভুল । জলজ্যান্ত একটা মানুষকে ধোঁয়ায় তৈরী দেখাটা চোখের আর মনের ভুল ছাড়া আর কি হতে পারে! এই সব দ্রুত ভেবে দুলাল মনটাকে শান্ত করার চেষ্টা করতে লাগলো ।
-"কি রে দুলে ? জাল নিয়ে মাঝ খালে দাঁড়িয়ে কি ভাবছিস কি ? তাড়াতাড়ি জালটা পেতে ফ্যাল ।"
-"এই তো পাতি ..."
তাড়াতাড়ি কথাটি বলে দুলাল জাল পাততে নিমেষের মধ্যে অতি তৎপর হয়ে উঠলো । জালের এক মুড়ো খালের ও প্রান্তের কাঁটাঝোপের গোড়ায় বেশ শক্ত করে বাঁধলো । তারপরে এ প্রান্ত বাঁধার জন্য খালের এই পারে এসে একটা প্রাচীন অশ্বত্থ গাছের শিকড়ে জালের প্রান্তদেশে খুব ভালো করে পেঁচিয়ে বাঁধলো ।
যাক মোটামুটি কাজ শেষ । এখন অপেক্ষা করার পালা । আর মাঝে মাঝে পাতা জাল ছেঁকে মাছ গুলো সংগ্রহ করে আবার জাল পাতা । এক জায়গায় দু'বার জাল পাতা-ছাঁকার পরে আবার নতুন জায়গায় জাল পাততে হয় । সেটাই নিয়ম । না হলে বেশি মাছ পাওয়া যায় না । দুলালেরা গরীব, তাই তাদের খাটুনি বেশিই দিতে হয় । এক রাতে মোট ৫-৬ জায়গায় জাল পাততে হয় ।
জাল পাতা শেষ হলে পর দুলাল জল থেকে উঠতে গেলো । এখানে খালের পাড়টা বিশ্রী উঁচু । তাই নিতাই এর কাছে হাতটা বাড়িয়ে দিলো --
"নেতাই, হাতটা ধরতো একটু, উঠি দেখি ।"
নিতাই হাত বাড়িয়ে দিলো । দুলাল নিতাই এর হাতটা ধরা মাত্রই যেন কারেন্টের শক খেলো । এ কি মানুষের হাত !!! এতো বরফের চাঁই । প্রেতের হাতের মতো বরফ কঠিন হাত । এই কি তার প্রাণের বন্ধু নিতাই ?
স্থানুর মতো অর্ধ-উত্থিত অবস্থায় দাঁড়িয়ে রইলো দুলাল । সেই বরফের মতো ঠান্ডা কঠিন হাত হতে নিজের হাত ছাড়াতে ব্যর্থ হলো । নিতাইয়ের মুখের দিকে তাকালো সে । কি দেখতে পেলো ?
কালো কয়লার মতো কঠিন বিকৃত একটা মুখ । ধক ধক করে জ্বলছে জ্বলন্ত অঙ্গারের মতো একজোড়া নিষ্ঠুর চোখ । ও চোখ কি মানুষের ? ঠোঁটের দু'পাশের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে পড়া সাদা ঝকঝকে এক জোড়া শ্বদন্ত । সেদিকে তাকিয়ে দুলাল প্রায় বাহ্যজ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ল । এ কার পাল্লায় পড়েছে সে ? প্রাণ নিয়ে সে কি আর ফিরতে পারবে বাড়ি ?
-"কি দেখছিস দুলে ? হ্যাঁ রে আমি সত্যিই তোর বন্ধু নিতাই । তবে আমি এখন প্রেত । শশুরবাড়ি গিয়ে কলেরায় শেষ হয়ে গেলাম । আমার দাহ অব্দি হলো না । সেই থেকে আমি পিশাচ ।"
-"তো তো ...আআমরা ...তো ..কোকোনো ....খবর পাইনি !!!!"
-"তা পাবি কি করে ? আমি পরশু মরেছি, এখনো তোদের গ্রামে খবর এসে পৌঁছায়নি ।"
-"প্রেত হয়ে আমার এখন খুবই তৃষ্ণা, জানিস তো ? রক্ত তৃষ্ণা । মানুষের তাজা গরম রক্ত ! আঃ ! কি যে মজা তোকে বলে বোঝাতে পারবো না । তার পরে পেট ভরে তাজা নরমাংস ! দুলাল রে ! কাল বৌটাকে শেষ রাতে খেয়েছি । কি যে ভালো লাগলো, কি যে আরাম পেলাম ।কিন্তু আজ দেখছি আমার খিদে আরো বেড়ে গেছে ।"
-"আ! ... আ:...আ:"
-"দুলাল, প্রেতের খিদে বড় ভয়ংকর খিদে ! শিকার যখন ধরেছি তোর আজ আর নিস্তার নেই । তোর তাজা গরম রক্ত আমি আজ পেট ভরে খাবো । মাংস ছিঁড়ে ছিঁড়ে ....হাড়গোড় চিবিয়ে চিবিয়ে খাবো ।"
বলতে বলতে পিশাচ নিতাই লকলকে লোলুপ জিহ্ববাটা বের করে একবার ঠোঁটটা চেটে নিলো ।
দাদ গল্প পড়তে পড়েছে মনে হচ্ছিলো আমাকেই নিতাই খাবে।আমার কাছের ভয়ের সাথে সাথে গল্পটি চমৎকার লেগেছে। তারপরের কাহিনির জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গল্পটি পড়ার পর আগে এক গ্লাস পানি খাইলাম। শুধু গল্পটি পড়ে আমি যে ভয় পাইছি। তাহলে দুলাল এর কি অবস্থা হয়েছে। দুলাল তো আরো রাতের অন্ধকারে একা প্রেতাত্মার সাথে কথা বলছিল। দুলাল তো শেষ, তাহলে দুলালের এখন কি হবে.? ভাইয়া পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি যতটা ভেবেছিলাম এ তো তার চেয়েও উপরে। নিতাই কলেরায় মরে এখন পিশাচ 😵😵। অসাধারণ দিকে মোড় নিয়েছে গল্পটা। দেখা যাক শেষ পযর্ন্ত কী হয়। টান টান উওেজনা দুলাল কী বাঁচতে পারবে পিশাচ নিতাইয়ের হাত থেকে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কী হয়। না কী দুলাল পুরোটা স্বপ্ন দেখল। এই ঘটনা তার কল্পনা? অনেক জল্পনা কল্পনা থেকেই যাচ্ছে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
গল্পটা দিয়ে একটি তিন চার পর্বের ভৌতিক কার্টুন তৈরি করলে বাচ্চাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠত। কার্টুনের নাম : পিশাচ নিতাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গল্পটা অনেক মনোযোগ দিয়ে পড়ে বুঝতে পারলাম, নিতাইয়ের সাথে আমার সাথে ঘটে যাওয়া কিছু মুহূর্তের মিল খুঁজে পাচ্ছি। আপনারা বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা ,আমার জীবনে একটি প্রেতাত্মাকে বাঁশঝাড়ের এর উপরে গান গাইতে দেখার ভয়ানক অভিজ্ঞতা রয়েছে।
দুলালের সাথে আমার জীবনের খুঁজে পাওয়া কিছু মিল।
ছোটবেলা থেকে আমি একজন ফুটবল প্রেমিক ফুটবল খেলা আমি খুব পছন্দ করি। আমাদের গ্রামের মানুষজন গুলো কিন্তু তার ব্যতিক্রম নয় তারা প্রত্যেক ফুটবল বিশ্বকাপের সময় আমাদের স্কুলের ফিল্ডে একটি বড় বাইস্কোপের ব্যবস্থা করেন যেখানে বড় পর্দায় আমরা বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা উপভোগ করতে পারি। গতবার যখন আমি ফুটবল খেলা দেখে বাড়ি ফিরছিলাম তখন প্রায় আনুমানিক রাত ৩ টা বাজে আমি তখন আমার মোবাইলে গান শুনতে শুনতে বাড়ির দিকে হাঁটছিলাম। আমার বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার পাশে একটি কবর স্থান রয়েছে এবং তার পাশে রয়েছে বিরাট বড় একটি বাঁশের ঝাড়। যখন আমি কবরস্থানের পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম তখন খেয়াল করলাম মর্মর করে বাসের শব্দ হচ্ছে, আমি কিন্তু একা ছিলাম স্বাভাবিকভাবে আমার গায়ে কেমন একটি ছমছমে ভাব চলে এলো। কিছুক্ষণ পর খেয়াল করলাম বাঁশঝাড়ের উপরে সাদা পোশাক পরা কে যেন গুন্ গুন্ করছে সেটি দেখার পরে আমি ভয়ে থর থর করে কাঁপতে শুরু করছিলাম, তবু কোন রকম ভাবে আমি বাড়ি ফিরতে সক্ষম হয়েছিলাম।
দুলাল (তার জীবনের দৈনন্দিন কাজ) মাছ ধরতে গিয়ে নিতাই পেতের খপ্পরে পড়েছে , দুলাল কি পারবে নিজের বাড়ি ফিরতে ?
ধন্যবাদ@rme ভাইয়া , এত সুন্দর একটি গল্প ধারাবাহিক ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
• অপেক্ষায় রইলাম তৃতীয় পর্বের জন্য....
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গল্পটির শেষ খুবই উত্তেজনাময়।প্রথমে ভেবেছিলাম মেছো ভূত এখন আবার দেখছি মাংসখেকো ভূত।সত্যিই দুলালের জন্য চিন্তা হচ্ছে।আবার থেকে থেকে মনে হচ্ছে এটি দুলালের রাতে মাছ ধরতে যাওয়ার ফলে নানা কালো ছায়ার ভয়ের সম্মুখীন হয়ে ঘুমন্ত স্বপ্নের মধ্যে সেগুলিরই প্রভাবে জল্পনা কল্পনা।ধন্যবাদ দাদা।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পিশাচ! এই কারণেই সর সর করে তাল গাছের ডগায় উঠে গিয়েছিলো। এইবার বুঝলাম। গল্প জমে উঠেছে। দুলারের বাঁচার পথ নেই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখন আমার একটু ভয় ভয় করছে। এমন মনে হচ্ছে যে আমি দুলাল এর জায়গায় রয়েছি🥺
তারপর কি হবে তা জানার জন্য আর তর সয়ছেনা।
অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
টান টান আকর্ষণ ধারাবাহিক ভাবে প্রতিটি পর্ব খুব সুন্দর ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।সেই সাথে সাথে বিপদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দুলাল মিয়া।আমি ভেবেছিলাম যে কোন পিচাশ হয়তো নিতাই এর রূপ ধারণ করে দুলাল মিয়াকে এত হেনস্থা করতেছে।কিন্তু এটা কি শুনলাম🤔!!
নিতাই যে সত্যি সত্যি মারা গেছে কলেরায়।কিন্তু তার সবদাহ (দাহ্য) না হওয়ার কারণটা কি দাদা? আর দাহ্য না হওয়ার কারণেই ক সে পিচাশ হয়ে দুলাকে খেতে এসেছে? এটাই এখন আমার কাছে মূল রহস্য মনে হচ্ছে।
সূর্যের আলোয় দেখা নিতাই এর ধোয়ার শরীর আর নিতাইয়ের শীতল হাত এর ভয়ংকর উৎভট চেহারা খুবই ভয়ংকর দৃশ্য।সেই সাথে নিতাইয়ের অঢেল আগ্রহ যে দুলার মিয়ার রক্ত খাওয়া।এরকম মুহূর্তে এসে থেমে যাওয়ায়, গল্পটি আমার কাছে খুবই আকর্ষণীয় লাগছে।
এই বুঝি দুলালকে নিতাই খেয়ে ফেলবে।মনে হচ্ছে পরবর্তী পর্বে আমরা দুলালের যুদ্ধ দেখতে পাবো।কিভাবে সে এই পিচাশ এর হাত থেকে রক্ষা পাবে সেটা নিয়ে আমি একজন চিন্তায় মগ্ন।অপেক্ষায় আছি শেষ পর্বের জন্য😍।
ভালোবাসা রইলো দাদা।,💞
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দুর্দান্ত এক শ্বাসরুদ্ধকর একটা জায়গায় এসে থেমে গেলেন দাদা..বেচারা দুলালের যে কি হবে।তবে গল্পের নাম দেখে এটুকু নিশ্চিত যে দুলাল মরবে না।তারপরেও দেখা যাক দুলাল কিভাবে নিতাইয়ের এই মরণ ফাঁদ থেকে রক্ষা পায়।অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবো দাদা পরবর্তী আপডেটের....
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি প্রথম দুইটা পর্বেই কিছুটা আভাস পেয়েছিলাম,যে, এই ভুতটা আর কেউ না, সেটা নিতাই। তবে এতোটা ভয়ংকর ভাবে দুলালের সামনে আসবে সেটা বুঝতে পারি নাই। দুলাল, যখন নদী থেকে নিতাই এর সাদা মেঘের মতো শরীরটা দেখলো, আমি যদি দুলালের জায়গায় থাকতাম, তাহলে নির্ঘাত ওখানেই শেষ হতাম। তবে যখন দুলাল নিতাই এর বরফের মতো হাতটা ধরলো, তার তখন কি অনুভুতি হচ্ছিল, সেটা হয়ত আমরা তেমন একটা অনুভব করতে পারব না।
এটা দুঃখ জনক, যে নিতাই কলেরায় মারা গিয়ে পিশাচ হয়েছে। সে এমন পিশাচে পরিণত হলো যে নিজের স্ত্রীকে পর্যন্ত খেয়ে ফেললেন। যানি না দুলালকে সে কি করবে। না বন্ধু হয়ে, পিশাচ হওয়া সত্যেও বন্ধুর ভালোবাসাটা বুঝতে পারবে। এখন দেখার পালা পরর্বতী পর্বে, পিশাচ নিতাই, তার প্রাণের প্রিয় বন্ধু দুলালকে কি করে, খেয়ে ফেলে না বাঁচিয়ে রাখে,।
আমার আমার মনে একটু সন্দেহ হচ্ছে, এটা আসলেও কি দুলালর এর সাথে ঘটছে,নাকি দুলাল রাতে ঘুমের ঘরে নিতাইকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন।সেটা দেখার বিষয়। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।
আমি দাদার গল্প লেখার দক্ষতাকে সাধুবাদ জানাই। এতো সুন্দর ভাবে সুক্ষ বুদ্ধু মত তা দিয়ে, গল্প লিখে তিনি আমাদেরকে উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। দাদা আপনার জন্য, শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা সব সময়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই বুঝি শেষ হলো রে খেলা................ না এখনো অনেক কিছু বাকি আছে কারন শেষ অবদি না যাওয়া পর্যন্ত খেলার ফলাফল নিয়ে কিছু অনুমান করা যাবে না। গল্পের লেখক অনেক চালাক যে কোন সময় ভূতের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিতে পারেন, হি হি হি
তবে দেখার বিষয় ভূত এখন কোন দিকে যান তাজা রক্ত না তাজা মাছের গন্ধ.......... পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আমরা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কি করবে এখন দুলাল ভয়েতো আমিই কাঁপছি।আর দুলালের তাহলে কি অবস্থা। পরবর্তী পর্ব তাড়াতাড়ি চাই দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাপ রে বাপ । রেহাই দেন দুলালকে । কেমন একটা পরিস্থিতি ভাবা যায় , চারিদিকে জনমানবহীন একটা জায়গা,তার ভিতর খালের জলের ছড়াছড়ি , মাঝ রাত দুলাল বাঁচবে তো । নাকি....?
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ও দাদা এক্কেবারে শরীরের লোম দাঁড়িয়ে গেলো।কি লিখলেন!!কি সাঁজালেন!!
লাস্টের দিকের লাইন গুলো পড়ছিলাম আর কল্পনা করছিলাম দৃশ্য গুলো।ভাগ্যিস রাতে পড়িনি নাহলে তো ঘুম একদম হারাম।
দাদা পুরাই টপ ক্লাসের লিখা। জাস্ট মুখে ভাষা নেই আর প্রশংসা করার! এক কথায় অসাধারণ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেচারা দুলাল।
দুলাল কি পারবে এই পরিস্থিতি থেকে নিজেকে উদ্ধার করতে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। তবে দুলালের আগেই বোঝা উচিত ছিল। যখন নিতাই অতি দ্রুত তাল গাছে উঠে আবার নেমে আসলো। নিতাই এর হাতে কি এখন আলো আছে? থাকলে এ যাত্রায় বেচেও যেতে পারে। না হলে ভবলীলা সাঙ্গ। দাদা ভূতের গল্প লেখায় আপনার জুড়ি মেলা ভার। মাল্টি ট্যালেন্টেড শব্দটাও আপনার জন্য কম হয়ে যায়। পরবর্তী পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ও মাই গড, কি যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি! কেমন করে বাজবে দুলাল? কে তাকে বাঁচাবে? এই পরিস্থিতিতে একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই পারে তাকে বাঁচাতে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গল্পের এই পর্বটি আমার কাছে সবচেয়ে ভয়ানক মনে হল। দুলাল ত এক মহা বিপদে পরে গেল। গল্পের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভূতের গল্প আমার খুব ভয় লাগে। বুক ধরপর করছে। দুলালের কপালে যে কি আছে জানিনা। তবে আমার মনে হয় দুলাল মৃত্যুর মুখ থেকে বের হবেই। যাক লোমহর্ষক একটা গল্প অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বের।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি শুরু থেকেই ভেবেছিলাম নিতাই ই ভূত হবে।এখন ধারণাটা অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেল
তবে নিতাইয়ের ভয়ঙ্কর আচরণে বেশ ভয় পেয়েছি এখনও বুকটা কাপছে কাঁপছে মনে হয়।
তবে সেই শব্দে দুলাল রক্ষা পাবে এটা আমার বিশ্বাস।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আহারে দুলাল🤒😥। তবে এই এপিসোড এ আমি ভয় পেয়েছি অনেক। অপেক্ষায় রইলাম পরের এপিসোড এর জন্য দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুবই ভালো লাগছে মজার গল্পটি পড়তে। এই গল্পের শেষ না হয় সেই আশায় করি। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর ভৌতিক গল্পগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দুলাল খুব বাজে পরিস্থিতিতে রয়েছে। নিতাই এর শরীরে ভর করা ভূত থেকে রেহাই পেলে বাঁচে।সব মিলে গল্পের ভৌতিক ব্যাপার গুলো এখন চলে এসেছে।তবে বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করলে ভূত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যেটা সন্দেহ করেছিলাম সেটাই সত্য হলো। নিতাই এ আসল পিশাচ ও ভূত। দুলালের জন্যে এখন কষ্ট হচ্ছে। কি হবে তার? কিভাবে বাঁচবে সে এখন?
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই পর্বে শেষের অংশটি পড়ে গা হাত পা ঠান্ডা হয়ে এসেছে। খুবই ভয়ঙ্কর লাগছে। দুলালের শেষ পরিণতি কী হবে তা ভেবেই পাচ্ছিনা। পিশাচ নিতাই এর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে কি দুলাল?
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই পর্বের শেষ অংশটা খুবই ভয়ঙ্কর ছিল। বেচারী গরিব দুলাল সন্দেহ করলেও কখনো ভাবেনি তার বন্ধু একজন ভূত। দুলাল নিজেও জানেনা তার বন্ধু কয়েকদিন আগে গত হয়েছে। তার বন্ধু নিতাই তার স্ত্রীকে তৃপ্তি করে খেয়েছিল। এবার দুলালকে খেতে চাচ্ছে। দুলাল কি পারবে তার এই বন্ধু অর্থাৎ ভূতের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে? চতুর্থ পর্বে দেখা যাক কি হয়!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কি ভয়ংকর!! এখন দেখবার বিষয় দুলাল কিভাবে বাচে। দুলাল বাচবে আমার বিশ্বাস।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ওমা একি ভয়ঙ্কর গল্প পর্তে পর্তে শরীরের লোম দাঁড়িয়ে গেছে। আবার পড়তে ও মন চাইছে। খুব আকর্ষণীয় গল্প দাদা। আগামী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit