আমার বাংলা ব্লগ। আমার পাড়া, আমার স্কুল।

in hive-129948 •  2 years ago 
আমার বাংলা ব্লগের সকল সহযোগী এবং সহযোদ্ধাদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। তাই তো আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে এলাম "আমার পাড়া, আমার স্কুল" নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য। আশা করি সকলের কাছেই ভালো লাগবে।

আমার পাড়া, আমার স্কুল।

20220711_110925.jpg

জানিনা কার কাছে কেমন লাগবে আমার এই স্মৃতির পাতার ফটোগ্রাফি। এটাই আমার পাড়া, এটাই আমার স্কুল এটাই আমার গর্ব করার একটা স্থান। যেখানে সৌন্দর্যের শেষ নেই। আমাদের পুরো পাড়াটাকে উজ্জ্বল করে রেখেছে এই স্কুল। যদিও এই স্কুলে আমাদের বাড়ির আত্মীয়-স্বজন বা আশেপাশের মানুষ ছাড়া বাইরের মানুষ তেমন একটা আসা যাওয়া নেই। আমাদের পাড়ায় একটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এটা অনেক গর্বের বিষয়। শৈশব কৈশোর এবং কি এখনো ঘন্টার পর ঘন্টা পুকুরপাড়ে সিঁড়িতে বসে কাটিয়ে দেই। যখন ঈদের সময় চাচাতো ভাই জেঠাতো ভাই এবং কি আরও আত্মীয়-স্বজনেরা আসে মিলন মেলা হয় তখন আনন্দের সময় গুলো এখানেই কেটে যায়।


FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png


20220711_111044.jpg

এটা হচ্ছে আমাদের পাড়ার ভিতরে আমাদের পুরাতন বাড়ির পুকুর। আমরা এই পুকুরটাকে পুরান পুকুর নামেই জানি। আর বর্তমানে এই পুকুরের পাড় ছাড়া জলে আছে প্রায় পাঁচ কানির উপরে। এটা আমাদের দাদাদের সম্পত্তি, কালের বিবর্তনে বাপ চাচাদের মধ্যে ভাগাভাগি হওয়ার কারণে এ পুকুরের সম্পত্তি থেকে আমরা অনেকটা সরে গেছি। তবুও এ পুকুরটাকে দেখলে অথবা গোসল করতে আসলে মনে আলাদা একটা প্রশান্তি পাওয়া যায়। পুকুরটা যেমন বিশাল তেমনি মনে অনেক বিশালতা কাজ করে। এ পুকুরের মধ্যে অনেক বড় বড় রুই কাতলা বোয়াল প্রায় সব ধরনের নদীর মাছ পাওয়া যায়।


FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png


20220711_111028.jpg

পাড়ার ভিতরে অনেকটা পথ হেঁটে আসার পর নিজের স্কুলের সামনে ফুল গাছের ছবিগুলো দেখে ছবি তুলতে বুললাম না। খুব সুন্দর করে পরিপাটি করে সাজিয়েছে ফুল গাছ দিয়ে। রাস্তার দুপাশে স্কুলের ওয়াল ঘেসে লাগানো হয়েছে অনেক কাঠের গাছ। এই জায়গাটা এত সুন্দর্য বিরাজ করছে, যে কখনও আসেনি সে বিশ্বাস করবে না। আর যে একবার এসেছে সে বিশ্বাস করবে এই জায়গাটা সৌন্দর্য কতটা। স্কুলের সামনেই পুকুর দেখতে চোখ জুড়িয়ে যায় প্রাণ জুড়ে যায় এটাই হচ্ছে আমার পাড়া।


FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png


20220711_111007.jpg

সকাল দশটা কিংবা ১১ টার সময় চাচাতো ভাই, ভাইস্তা, এবং কি আমার চাচাতো ভাইকে নিয়ে হাঁটার পর অনেকটা ক্লান্তিবোধ হচ্ছিল। তবুও নিজের স্কুলের সামনে এত সুন্দর একটা মুহূর্তে ক্যামেরাবন্দি করতে বুললাম না। তবে এটা আমার বাংলা ব্লগে সারা জীবনের জন্য রয়ে যাবে স্মৃতি হিসেবে। জানিনা কার কাছে কেমন লাগছে জায়গাটা। আমার শৈশব কৈশোর বেড়ে ওঠা এখান থেকে। পুরো পাড়ায় বাপ, চাচা, দাদা, দাদার, দাদার ভাইয়েরা সবাই আমরাই একে অপরের পরিপূরক। আর গ্রামের সহজ সরল মানুষের গুলোর কথা শুনলে হাসি দেখলে মনে এত বেশি আনন্দ তৃপ্তি পাওয়া যায় যা বলে বোঝানো কঠিন।


FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png


20220711_110938.jpg

এটা হচ্ছে স্কুলের সাইনবোর্ড দৌলখাঁড় পূর্বপাড়া সরকারি প্রাইমারি স্কুল। ১৯৯৫ সালে এই স্কুলের স্থাপিত হয়। আর যখনই স্কুলের স্থাপনা শুরু হয় তখন এখানে আমাদের মক্তব ছিল। সকাল বেলায় আমরা কোরআন পড়তে বসতাম এই জায়গাটায়। এখন মসজিদটা একটু সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সামনের দিকে। এই স্কুলটা যখন স্থাপিত হচ্ছে তখন আমিও প্রায় সব কিছুই বুঝি। যদি এই স্কুলে আমি পড়াশোনা করিনি। কিন্তু আমার গ্রামের একটা সরকারি প্রাইমারি স্কুল এত সুন্দর করে নির্মাণ হয়েছে যা সত্যিই প্রশংসা করতে ইচ্ছে করে। আবার পড়াশোনা হয়েছিল দৌলখাঁড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দৌলখাঁড় সরকারি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়।


FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png


20220711_110856.jpg

এ যেন জীবন্ত একটা ছবি কথা বলছে। যদিও আগে রাস্তাটি আকাবাকা মেঠো পথ ছিল কিন্তু এখন আর মেঠো পথ নেই। এখন হয়ে গেছে পিজ ডালা রাস্তা। আমার এলাকার সৌন্দর্য এবং কিরূপের বর্ণনা দিয়ে শেষ করতে পারবো না। সত্যিই অপরূপ একটা পাড়া, বলতে আমার নিজের কাছে আনন্দ বোধ হয়।


FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png


20220711_102429.jpg

চাচাতো ভাইয়া ফোন করে অনেক রিকুয়েস্ট করার পর এখানে আসা। এ বাড়িতে আবার তেমন একটা আসা হয় না। না আসতে না আসতে দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে এবং কি লজ্জাবোধ করে। মনে হয় যেন অপরিচিত মানুষ, তবে এরা হচ্ছে আমার বাবার চাচাতো ভাইদের বাড়ি, তার মানে আমারও কাকাদের বাড়ি। আমরা একসময় দাদারা এক হাড়িতে ভাত খেত। আর এখন পুরো পাড়া জুড়ে যে যার জায়গা মত অবস্থান করছে। সবাই সবাইকে নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। তেমন একটা যাতায়াত না থাকার কারণে কেমন জানি একটা পরপর ভাব চলে এসেছে। কিন্তু আমরা একই রক্তের আপন মানুষ। তবুও অনেকদিন পর চাচাতো ভাইয়ের রিকোয়েস্টে ঘুরতে আসা।


FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png


20220711_102214.jpg

লোকেশন

আমাদের পাড়াতে প্রত্যেকটা বাড়িতে দুই একটা বিল্ডিং আছে এবং কি খুব সুন্দর করে নির্মাণ করা হয়েছে। বাড়িগুলো চাচাতো ভাই জেঠাতো ভাই সবার বাড়ি দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। তবে নিজেকে তাদের সাথে তুলনা করতে পারি না, কারণ আমি থাকি কুড়েঘরে তারা থাকে অট্টালিকা। তবুও নিজের চাচা নিজের আপন জন বলে পরিচয় দিলে গর্ব বোধ হয়।


FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png


জানিনা বন্ধুরা কেমন লেগেছে আজকে পোস্ট, আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে আমার পাড়া আমার স্কুল। আশা করি সকলে ভালো মন্দ কমেন্টে জানাবেন। সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
আপনার শেয়ার করা পোস্টের লেখাগুলো পড়ে খুব ভাল লেগেছে। আজকাল অনেকেই নিজের স্কুলের কথা ভুলে যায় যেখানে তাদের পড়াশোনার শুরু হয়েছে। আপনার ছবি এবং বর্ণনা দেখে বুঝা যাচ্ছে কতটা আবেগপ্রবণ হয়ে আপনি লেখাগুলো লিখেছেন। আপনি এখনো আপনার স্কুল, আপনার পাড়াকে খুব ভালোবাসেন এটা বুঝতে পেরেছি। পুকুর আর আপনার চাচাতো ভাইদের বাড়িগুলো দেখতে ভাল লাগছে। ভাই, যে যার পজিশন থেকে রাজা। নিজেকে কখনো ছোট করে দেখবেন না। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আবেগপ্রবণ হয়ে পড়াটা স্বাভাবিক ভাই, তবে হ্যাঁ এটা ঠিক বলেছেন সবাই নিজের জায়গা থেকে রাজা। তবুও সবার মাঝেই কিছু কিছু প্রজাও থাকে আমি তাদের একজন। কাঙ্খিত মন্তব্য দিয়েই সাথে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

আপনাদের পাড়া আপনাদের সরকারি স্কুলটা বেশ সুন্দর তো।পিচ ডালা রাস্তা সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর। পুরোনো পুকুরটাও বেশ সুন্দর।পানিগুলো দেখেই আমার বেশ ভালো লাগছে।বিভিন্ন মাছ চাষ হয় জেনে বেশ ভালো লাগলো।আচ্ছা বড়শি দিয়ে মাছ ধরেন না,আমি হলো তো বড়শি নিয়ে বসে পড়তাম😂😂।আর হ্যা ছোট বেলার মকতব এর কথা মনে করিয়ে দিলেন,সকালে বেলা উঠে মকতবে যাওয়া যে কি পরিমান কষ্ট লাগতো।ছবিগুলো ভালোই ছিলো।ধন্যবাদ

সিফ দিয়ে মাছ ওঠাতে গিয়ে অসংখ্য সিফ ভেঙ্গেছে। এই পুকুরের মাছগুলো বিশাল বড় বড় হয়। তবে আগের মত এখন আর সে দিন টা ফিরে পাওয়া যায় না। এবং কি সময় হয়ে ওঠে না। আপনার এত সুন্দর মন্তব্য আমাকে সত্যি মুগ্ধ করেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

ঠিক বলেছেন নিজের পাড়ার, নিজের গ্রামের স্কুল ই নিজের গর্ভ। খুব সুন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আপনাদের স্কুল টি। হঠাৎ করে আপনাদের স্কুল দেখে আমার নিজের ছেলেবেলার স্কুলের কথা মনে পড়ে গেল। আমাদের স্কুলটিও এমন ছিল চার দিকে সবুজ প্রকৃতিতে ঘেরা ছিল। ফটোগ্রাফি তে আপনার গ্রামটি বেশ ভালো লাগলো।

আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনার ছোটবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দিতে পেরে সত্যিই আমি গর্বিত। সুন্দর এবং মার্জনীয় উৎসাহ দিয়ে সাথে থাকার জন্য, শুভেচ্ছা রইল।

আপনার প্রাইমারি স্কুল টা দেখছি একটু আলাদা। আপনার প্রাইমারি স্কুলের আশপাশ গুলো অনেক সুন্দর। আমাদের গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিল্ডিং গুলো এত সুন্দর না।স্কুলের পাশ দিয়ে এত খুবই সুন্দর একটি রাস্তা। আপনি একটা কথা ঠিক বলেছেন অনেকদিন আত্মীয় বাড়িতে না গেলে আত্মীয় সম্পর্কটা অনেকটা দূরে সরে যায়। এভাবে চলতে থাকলে একসময় আপন পর হয়ে যায়। ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে ধন্যবাদ আপনাকে।

এই স্কুলটা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে আমাদের সমবয়সী কিছু বন্ধু এবং ছোট ভাইয়েরা মিলে। তাদের নিজের মত করে সাজিয়েছিল এবং কি এই স্কুলের কমিটির দায়িত্বে যারা আছে তারা সবাই সফল এবং ব্যবসায়ী মানুষ। আমাদের পাড়ার মানুষগুলো নিজের পেট থেকে নিজের বাড়ির আঙিনা কিংবা নিজের পাড়ার সৌন্দর্যটাকে বেশি দেখে। সাথে থাকার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

জানেন তো ভাই ছোট বেলার স্মৃতি জড়িয়ে থাকা এই জায়গা গুলো সব সময় ভীষণ নস্টালজিক করে দেয় আমাদের। কি মধুর দিন গুলো কাটিয়ে এসেছি! কত মজাই না করতাম! ভাই আপনার স্কুলের সামনে দিয়ে পাকা রাস্তা টা আমার খুব ভালো লেগেছে এক কথায়। আর এটা একদম ঠিক অনেক দিন কোন নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে না গেলে বা যোগাযোগ না থাকলে কেমন একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে যায় অজান্তেই। তবে আমরা চাইলেই হয়তো সেই বন্ধন টা ধরে রাখতে পারি। ভালো লাগলো লেখা গুলো পড়ে ভাই। ভালো থাকবেন।

আপনি ঠিকই বলেছেন, আমরা চাইলে আমাদের বন্ধন গুলো চির অটুট রাখতে পারি। সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

আপনি আমার পাড়া আমার স্কুল নিয়ে খুব সুন্দর একটি অনুভূতি শেয়ার করেছেন।গ্রামের পুকুরে গোসল করার মজাই আলাদা ভাইয়া।আর গ্রামের প্রাইমারি স্কুল দেখলে তো নিজের মধ্যে অন্যরকম একটা অনুভূতি হয়।এমন সুন্দর অনুভূতি পড়তে অনেক ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর একটি অনুভূতি শেয়ার করেছেন ভালো লাগলো পড়ে।

আমার অনুভূতি গুলো আপনার ভালো লেগেছে এটাই আমার অনেক বড় পাওয়া। সাথে থাকার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

আপনাকে ও শুভেচ্ছা অনেক

আসলে আমাদের শৈশব স্মৃতিগুলো সত্যি অনেক মধুর ছিল। আপনার গ্রামের এই স্কুলটি দেখে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ভাবে করেছেন। আর স্কুলে ফুলের বাগান থাকলে দেখতে ভালো লাগে।

আপু মনে কিছু নিবেন না, এটা আমার শৈশবের পড়ালেখা করার স্কুল ছিল না। আমার স্কুল ছিল অন্য একটা। আপনি ভুল করেছেন। এটা আমার পাড়ার স্কুল, এই স্কুলে আমি পড়াশোনা করি নাই। তবে আপনি অসাধারণ মন্তব্য করেছেন। ঠিকই বলেছেন শৈশবের স্মৃতিগুলো খুবই মধুর ছিল। সুন্দর মন্তব্য করে সাথে থাকার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

আপনার ব্লক কি পড়ে আমারও সেই ছোটবেলার কথা মনে হয়ে গেল সেই ছোট্টবেলায় ফেলে আসা পাড়ার স্কুল।। এখনো যখন মাঝে মাঝে যাই সেখানে বুকের মধ্যে কেমন যেন একটা চিনচিন আওয়াজ হয় জায়গাগুলো খুবই পরিচিত শুধু কাছে নেই সেই বন্ধুগুলা আর সেই পুরানো স্মৃতি গুলো।।

স্কুলের পরিবেশ টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে চারিপাশে একদম সবুজে মোড়ানো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।।

ঠিকই বলেছেন ভাই চতুর্দিকে সবুজের মোড়ানো। তবে এই ব্লগটি থেকে আপনি আপনার চির অতিতে ফিরে যেতে পেরেছেন, সত্যি আমি খুবই আনন্দ অনুভব করছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আপনার পাড়া আপনার স্কুল খুব সুন্দর এবং নিরিবিলি মনে হচ্ছে ফটোগ্রাফি তে।জি আপনি ঠিকই বলেছেন প্রশংসা যোগ্যই প্রাইমারি স্কুলটি।আবার পিচ ঢালা রাস্তা দুই পাশে কাঠের গাছ,তাছাড়াও পুকুর।সত্যি অনেক ভালো লাগছে দেখতে।ঠিকই বলেছেন আপনি নিজের আপনজনের পরিচয় দিতে গর্ববোধ হয় আসলেই নিজের কুড়ে ঘর থাকলেও নিজের লোকের বিল্ডিং তো।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার নিজের পাড়া এবং স্কুল নিয়ে ব্লগটি ভালো লিখেছেন।

এত প্রশংসা করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এবং আমাকে আনন্দিত করে আমার পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।

আপনাদের পাড়াটা কিন্তু ভীষণ সুন্দর। বিশেষ করে আপনাদের স্কুলটাও কিন্তু অনেক সুন্দর লেগেছে। পরিবেশটা দেখতে যেন খুবই মনোমুগ্ধকর। আসলে ছোটবেলার স্মৃতি কখনো ভোলার নয়। কিন্তু কর্মব্যস্ততার কারণে দূরে থাকতে হয়। যদিও আপনি অনেকদিন পরে গিয়েছেন কিন্তু আসলে কেউ পর নয়। অনেকদিন পরে যাওয়াতে অনেকটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আর এটা কি বললেন, আপনি কুড়ে ঘরে থাকেন আর আপনার চাচারা অট্টালিকায় থাকে। এটা তো একেবারে বাবুই পাখির কবিতার মত হয়ে গেল। আসলে যার যা সমর্থ্য সে সে এভাবেই থাকবে। ভীষণ ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে।

একেবারে ঠিকই বলেছেন, একেবারে বাবুই পাখির মত। তবুও নিজের ঘরে থাকি এটাই গর্ববোধ করি। আপন জনের বন্ধন কখনো ছিন্ন হয় না। কিন্তু যাতায়াত না থাকলে দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। আমরা চাইলে সম্পর্কটা মজবুত করে রাখতে পারি। এত সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।