আমার বাংলা ব্লগ। মৃত্যুর পথযাত্রী মা। ১০% beneficiary shy-fox এর জন্য।

in hive-129948 •  2 years ago 
আবার এসেছি ফিরে, বাংলা ব্লগের তীরে প্রিয় ভাই বন্ধুদের ভালোবাসার নিড়ে। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে এলাম নিজের মনের কিছু অনুভূতি "মৃত্যুর পথযাত্রী মা কে নিয়ে" আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে।

মৃত্যুর পথযাত্রী মা।

20221017_083515.jpg

মা কে জড়িয়ে ধরে মায়ের পাশে শুয়ে আছি, ইনশাআল্লাহ মা এখন অনেকটা সুস্থ। তবে আমার মানসিক অশান্তি অনেক বেশি হওয়ার কারণে নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারছি না। যেখানে প্রয়োজন লক্ষ লক্ষ টাকা, তবুও মায়ের পাশে থেকে মনে হচ্ছে আমি আমার জান্নাতের পাশে শুয়ে আছি।


FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png


পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলতে আমরা যা বুঝি তা হলো শুধুই মা। নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মত পৃথিবীতে যদি কেউ থেকে থাকে একমাত্র মা ই আছে। যে সন্তানের জন্য পৃথিবীর সবকিছু ত্যাগ করতে পারে। যত ঝড় তুফান আপদ বিপদ থাকুক না কেন সন্তানকে বুকে আগলে রেখে লালন-পালন করে। কিন্তু একটা প্রশ্ন বারবারই মনে জাগে, আমাদের সমাজে আমাদের পরিবারে মায়ের সেই সন্তানরা মা কে বুকে আগলে রাখে। হয়তো কেউ রাখে, আবার হয়তো কেউবা খোঁজ খবর ও রাখি না।


FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png


আমার এমনিতেই জীবনটা কেন জানি অন্ধকার ছায়য় ঘিরে পেলেছে। তার মাঝে হঠাৎ মায়ের হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা তাকে নিয়ে সারারাত কোথায় থেকে কোথায় গেছি কোথায় নিয়ে যাব পাগলের মতো ছুটছি এদিক ওদিক। প্রথমে দয়াগঞ্জ ইবনেসিনায় নিয়ে গেলাম। অনেক রিকুয়েস্ট করার পর অবশেষে মাকে ডাক্তার দেখানোর সুযোগটা পেলাম। ডাক্তার যখন মাকে দেখলো তখন একটাই কথা বলল এখানে রাখা যাবে না যত দ্রুত সম্ভব হসপিটালে ভর্তি করতে হবে। যদি মোটা অংকের টাকা থাকে তাহলে প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করেন। আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মত অবস্থা। কি করব দিশেহারা হয়ে পড়ে তাকে অনেক অনুরোধ করে বললাম প্রাইভেট হসপিটালে ভর্তি করানোর মতো পয়সা আমার কাছে নেই। মা কে বাঁচাতে হবে কি করতে হবে সেটা বলুন।

কিছু একটা চিন্তা করলো ডাঃ, হয়তো আল্লাহর রহমত, একটা ইনজেকশনের নাম লিখে দিল, রেফার করে দিল বাংলাদেশ হৃদরোগ হসপিটাল। অবশ্য ডাক্তার ছিল সেখানকার একজন প্রফেসর। হৃদরোগ হাসপাতালে যেতে যেতে প্রায় রাতের ১টা বাজে। মা চটপট করছে, মনে হয়েছে মাকে হয়তো আর ফিরে পাবোনা। নিজের বুকে চেপে রাখা বোবা কান্না নিয়ে মাকে কোলে করে ছুটে চলেছি অজানা গন্তব্যে। যদিও আমি কখনো যাইনি হৃদয় হসপিটালে, এমনকি আমি চিনিও না। হাতে কাছে যার কোন মানুষ নেই, মাকে নিয়ে ছুটে চলেছি একা, হঠাৎ দেখা পেলাম আল্লাহর হয়তো রহম ত করেছেন তাই পেয়েছি এক শুভাকাঙ্ক্ষীর দেখা। যদিও তিনি আমার অফিসের একজন কর্মচারী ছিল, কিন্তু তার ঋণ আমি শোধ করতে পারবোনা, অনেক সাহায্য করেছিল আমায়। আমি শুধু ভাবছি কখন যাব হাসপাতালে আর কত দূর।

অবশেষে রাত একটার দিকে পৌঁছলাম হৃদরোগ হসপিটালে। ভর্তির কাজকর্ম শেষ করতে করতে বেজে গেছে প্রায় রাত দুইটা। এরই মধ্যে হৃদরোগ হসপিটালে এত পরিমান রোগি যা বলে বোঝানো প্রায় অসম্ভব। আর মৃত্যুর পথযাত্রী মাকে নিয়ে কোন ছবি তোলা তখন আমার কাছে একেবারে অসম্ভব, কল্পনাও করেনি। মৃত্যুর পথযাত্রী মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি কখন চিকিৎসা দেবে মাকে। কখন বেডে নেব মাকে। অবশেষে মাকে একসাথে অনেকগুলো ইনজেকশন দিল এবং কি ওয়ার্ডে ভর্তি করলো কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম। থেমে নেই এই পরীক্ষা ওই পরীক্ষা ব্লাড টেস্ট একটার পর একটা দিয়ে যাচ্ছেন।

অর্থ ছাড়া পরিবারের বাকি সদস্য গুলো ছাড়া একা এরকম একটা মুহূর্ত যা কল্পনা করা খুবই কঠিন। আমার পক্ষে লিখাও সম্ভব না। এক বুক যন্ত্রণা শুধু তাড়া করে বেড়াচ্ছে। কি লিখবো আর কি বলবো, আসলে মানুষের এ পরিস্থিতি গুলো কাউকে লিখে বা বলে বোঝানো একেবারেই অসম্ভব। মৃত্যুর পথযাত্রী মাকে নিয়ে লিখা সেটা বোঝানোর ক্ষমতা আমার হয়নি। তবে আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি পৃথিবীতে সব ছেড়ে বেশি কষ্ট,এর ছেড়ে মনে হয় আর হয় না। তবুও অনেকদিন আমার বাংলা ব্লগের বাইরে থাকায় আপনাদের মাঝে মনের আবোল তাবোল কিছু কথা লিখলাম।

20221010_073206.jpg

কাক ডাকা ভোরের হৃদরোগ হসপিটালের একটা চিত্র।


FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png


20221010_073156.jpg

সকালবেলায় কয়টা বাজে আমি সময়টা বলতে পারবোনা, সূর্য উকি দিয়েছে। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে নিজেকে মনটাকে একটু সতেজ করার জন্য মেডিকেলের একটা ফটোগ্রাফি নিলাম।


FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png


20221010_071527.jpg

অনিদ্রায়িত রাত্রি যাপন করার পর মুখ ধুয়ে দেয়ালের পিঠ ঠেকিয়ে একটু বসলাম। সেই সময় এক কাপ রং চা খেতে খেতে সেলফিটা নেওয়া।


FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png


20221010_071501.jpg

ঢাকা হৃদরোগ হসপিটাল সকালটা। মেডিকেলের পার্কে যখন এসে বসলাম মনের মাঝে একটু উষ্ণ শীতলতায় হওয়া দোলা দিয়ে গেল মনে। হলো যেন নতুন পৃথিবীর আলো দেখতে পেয়েছি।


FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png


20221010_071446.jpg

যতই বেলা বাড়তে শুরু করেছে ততই লোকজনের আনাগোনা বাড়তে শুরু করেছে। তবে মেডিকেলের এই চিত্রটা আমার কাছে অনেক পুরোনো। কারণ আমি দীর্ঘ সময় কাটিয়েছি চিটাগং মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ভোর থেকে সকাল আটটা নাগাদ মেডিকেলের এই চিত্রটা সব সময় দেখা যায়।


FUkUE5bzkAZT3HzV5tJDiU2ik81PCd4JCyhWnRcDN8XJsVFY3UNB8DCRWUhECrBewyvr56XLHQLFtR3iJUgyYXhoNnQzaPV4fGATT2PmXhFCBxcFCr2kEHS2obaiYPVBvHXcZ5NDLfrZh4qAU4CWzpqmK5XnDexEGztE.png


বন্ধুরা কেমন লেগেছে মৃত্যুর পথযাত্রী মাকে নিয়ে কাটানো সময়। আসলে কিভাবে বলব কিভাবে লিখব সে ভাষাটুকু হারিয়ে ফেলেছি। তবুও এলোমেলোভাবে যা পেরেছি তাই লিখেছি। দোয়া করবেন যাতে আমি পুনরায় আগের মত সুন্দর মন মানসিকতা নিয়ে লিখতে পারি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে। আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে, আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমি তো মনে করি ভাইয়া আপনার ভাগ্যটা অনেক ভালো পৃথিবীতে থেকে আপনি আপনার মায়ের সেবা যত্নের মাধ্যমে জান্নাতটাকে করায় করে নিয়েছেন।। আসলে মনকে যতভাবেই বুঝতে দেওয়ার চেষ্টা করি না কেন মা যে কত বড় দৌলত মাঝে কত ভালোবাসার বস্তু সেটা হয়তো বলে কেউই বোঝাতে পারবে না।।

আপনার মা এখন সুস্থ আছে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা রইল তিনি যেন তাকে পুরোপুরিভাবে সুস্থ করে দেন।।

আসলে ভাই মা পাশে থাকলে মনে হয় যেন একটা জান্নাত আমার কাছে আছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

ভাই আপনার মাকে নিয়ে লেখাটা পড়ে বেশ খারাপ লাগলো। আসলে পৃথিবীতে মায়ের মত আপন কেউ নেই, সেই মা যদি অসুস্থ হয় তাকে নিয়ে চিন্তা করাটাই স্বাভাবিক। আপনি যে অত রাতে একা আপনার মাকে নিয়ে হসপিটাল থেকে হসপিটালে ছোটাছুটি করেছেন জেনে বেশ খারাপ লাগলো। আসলে কেউ অসুস্থ হলে তখন একদিকে যেমন প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয় তেমনি অন্যদিকে লোকজনেরও প্রয়োজন হয় ।কেননা একটা অসুস্থ মানুষ নিয়ে লোকজন ছাড়া এক ছোটা ছুটি করা মুশকিল। তারপরেও আপনি একজন শুভাকাঙ্ক্ষী পেয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।বিপদেই মানুষ চেনা যায়।দোয়া করি আপনার মা যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।

জ্বী আপু এখন শুধু উপরওয়ালার কাছে একটাই চাওয়া মা কে যেন আল্লাহ সুস্থ করে দেন।

আলহামদুলিল্লাহ আপন্র মা এখন সুস্থ আছেন কিছুটা শুনে ভালো লাগল।আসলে ভাই আমার কথা বলতে গেলে অনেক ইমোশনাল লাগবে আমিও আপনার মতো আমার আব্বুকে নিয়ে অনেক ঘুরেছি অনেক জায়গা কিন্তু শেষ অব্দি বাচাতে পারি নাই।আপনার মায়ের জন্য দোয়া করি ভাই।

আসলে ভাইয়া সময়টা খুবই নির্মম, দোয়া করি পৃথিবীর সকল মানুষ মা-বাবাকে নিয়ে সুখে থাকুক।

আপনার মায়ের এখন কি অবস্থা? সবমিলিয়ে এখন তিনি কেমন আছেন? আসলে পৃথিবীতে মা অনেক আপন জিনিস যা একবার হারিয়ে গেলে পাওয়া যায়না। আল্লাহ পাক আপনার মাকে সুস্থ করে তুলুন এই দোয়া করছি।

ভাই পৃথিবীতে টাকা না থাকলে নিজেকে ভীষণ অসহায় মনে হয়, আপনার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে বিষয়টি। তবে উপরে একজন আছেন, ভরসা রাখুন। দোয়া করছি আপনার মায়ের জন্য।🤲

হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দিয়েছে। মোটামুটি কিছুটা সুস্থ হয়েছে। আমার বাসায় আছে। তবে যে খরচের কথা বলেছে ডক্টর তা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত অবস্থায় আছি।

ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন পৃথিবীতে টাকার কাছে মানুষ অসহায়, টাকা না থাকলে কিছুই নেই। তখন বেঁচে থাকা কতটা কঠিন অন্তত উপলব্ধি করা যায়।

আলহামদুলিল্লাহ 🤲
আগের থেকে কিছুটা ভালো জেনে খুশি হলাম।
টাকা এখনকার দিনে অনেক কিছু।
মা তো তাই সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেতে হবে তাকে সুস্থ করার।।।

জি অবশ্যই।

আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন আপনার মা কে দ্রুত সুস্থ্য করে দেন। আসলে জগতে মায়ের চাইতে আপন আর কেও নেই। এই সত্য যার মা নেই শুধুমাত্র সেই অনুভব করতে পারে। খুবই ভালো লাগলো যে আপনার কষ্টের কথা গুলো আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন হয়ত আমরা সাহায্য করতে পারবা না তবে উপর ওয়ালার কাছে প্রার্থনা করতে পারব। যথাসাধ্য করেন ভাই, বাকি সব আল্লাহ ভরসা।

টাকা পয়সা যেমন পৃথিবীতে মূল্যবান একটা সম্পদ। তেমনি মানুষের দোয়া ও তার চাইতে বড় সম্পদ। আপনাদের কাছে দোয়াটাই কামনা করছি।

মা পৃথিবীর সবচেয়ে দামি সম্পদ। একমাত্র মায়ের সাথে এই পৃথিবীতে কারো তুলনা হয় না। আপনার গল্পটি পড়ে দুঃখে হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে গেল। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যেন আপনার মা অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।

আপনাদের দোয়া এবং ভালোবাসা কামনা করছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আপনার মা হার্ট এটাক করেছিল এটা জেনে সত্যি খুবই মর্মাহত হলাম। মা শব্দটা ছোট হলেও এর মহত্ব অনেক বড়। মাকে নিয়ে কি বলবো আসলে মাকে নিয়ে যতই বলতে চাই ততই কম হয়ে যাবে। সুতরাং মাকে নিয়ে কোন মন্তব্য না করেই আমি আপনাকে বলব কোন রকম চিন্তা করবেন না ইনশাল্লাহ আপনার আম্মা খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে যাবে। অসুস্থতা আল্লাহ কর্তৃ ক দান আবার তিনি তা সুস্থ করেন। মাকে নিয়ে অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছেন যদিও আর্থিক সমস্যা সকলেরই থাকে, তবে আমি বলতে চাই মায়ের পাশে থাকুন এবং তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করুন তাহলে দুজনেই শান্ত থাকবে না আশা করি।

কি ভাইয়া অবশ্যই, এত সুন্দর উৎসাহ এবং পরামর্শ দিয়ে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভাইয়া আপনার লেখাগুলো যখন পড়ছিলাম তখন দুচোখে পানি চলে এসেছিল। আসলে মায়ের প্রতি আমাদের অফুরন্ত ভালোবাসা হয়তো আমরা উপস্থাপন করতে পারি না। কিন্তু নিজের ভেতরে লুকানো কষ্ট গুলো হয়তো শেয়ার করার চেষ্টা করি। মা ছাড়া এই পৃথিবীতে আপন আর কেউ নেই। মায়ের চিকিৎসার জন্য আপনি অনেক কষ্ট করেছেন বুঝতেই পারছি। যে আপনার বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছে আসলে সেই প্রকৃত বন্ধু। দোয়া করি আপনার মা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

ঠিকই বলেছেন বিপদে বন্ধুর পরিচয় পাওয়া যায়। আসলে মাকে নিয়ে বর্ণনা করার মত কিছুই নেই, আর বর্ণনা করা অসম্ভব কঠিন একটা কাজ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

ভাইয়া আপনার মায়ের এরকম অবস্থার কথা শুনে সত্যি ভীষণ খারাপ লাগলো। আসলেই ঠিক বলেছেন যখন অবস্থা খারাপ হয় তখন সবকিছুতে ই যেন একসাথে লাগে। আমি আপনার পরিস্থিতিটা বুঝতে পারছি টাকার না থাকা আর সাথে কোন সঙ্গী না থাকা এই বিষয়টি সত্যি কঠোর পরিস্থিতি। ডাক্তার প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলেছিলেন কিন্তু আপনার পক্ষে তা সম্ভব নয় বলে তাকে অনুরোধ করলেন। মাকে তো অবশ্যই বাঁচাতে হবে। তাও ভালো ডাক্তার একটা ইনজেকশন দিয়ে হৃদরোগ হসপিটালে যাওয়ার কথা বললেন। যাওয়ার সময় একা হলেও একজন সঙ্গী পেয়েছিলেন এটা শুনে ভালো লাগলো। আসলে মা আমাদের জীবনে কতখানি জড়িয়ে রয়েছে তা আমরা লিখে বা বলে বোঝানো সম্ভব না। এখন কিছুটা সুস্থ জেনে ভালো লাগলো। আশা করি আপনার মা খুব তাড়াতাড়ি‌ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ফিরবেন।

ইনশাআল্লাহ আপু, আপনাদের দোয়া এবং ভালোবাসা কামনা করছি।

আসলে পৃথিবীতে মায়ের অনুপস্থিতি পূরণ করার মত কেউ নেই। মাঝরাতে এরকম নিজের প্রিয় মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজের উপর দিয়ে কতটা প্রেসার যায় সেই সিচুয়েশনে কখনো পড়িনি তবে আপনার এই লেখা পোস্ট থেকে কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পেরেছি। আল্লাহতালা আপনাকে ধৈর্য ধরার ক্ষমতা দান করুক।

উৎসাহ দিয়ে সাহস যোগানোর জন্য আপনাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।

আপনার লেখাটি পড়ে একটি বিষয় আমার বেশি ভাল লেগেছে সেটি হল মা-র প্রতি যে ভালোবাসা।যার হৃদয়ে মা-র জন্য এত ভালবাসা জমা আছে তার মা কখনো টাকার সমস্যায় চিকিৎসা ব্যাহত হবে না ইন-সা-আল্লাহ। আল্লাহ তা'আলা অবশ্যই আপনার মাকে খুব দ্রুত সুস্থ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনবে ইন-সা-আল্লাহ।

আপনাদের দোয়া এবং ভালোবাসায় আমার একমাত্র সম্বল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল, ভালো থাকুন সব সময়।

প্রথমেই দোয়া করি আপনার মা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন। আপনার লেখা পড়তে পড়তে চোখের কোনে একটু পানি চলে এসেছে। কিছু সময় মানুষ অনেক অসহায় হয়ে যায়। আপনি ঠিক বলেছেন মা থেকে বড় কোন সম্পদ হতে পারে না। মা অসুস্থ হলে কোন কিছুই ভাল লাগে না। আপনি একা মাকে নিয়ে এত দৌড়াদৌড়ি করেছেন নিশ্চয়ই এর ভাল ফলাফল আপনি পাবেন। ভাই আপনাকে আল্লাহ টাকা না দিলেও আপনি খুব ভাল একজন সন্তান। এত রাত করে অসুস্থ মাকে নিয়ে একা এক হসপিটাল থেকে আরেক হসপিটালে গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন। আপনার মার দোয়া আপনাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের সবার উচিত বাবা মাকে যথাযথ সম্মান দিয়ে চলা। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনার মনের কথাগুলো আল্লাহ যেন কবুল করেন। আপনার জন্য রইল ভালোবাসা এবং দোয়ার দরখাস্ত।

মৃত্যুর পথযাত্রী মা কে নিয়ে রাতের বেলায় অনেক ছুটাছুটি করেছেন। সত্যিই ভাইয়া বিপদ যখন আসে তখন আশেপাশে কাউকেই পাওয়া যায় না। আপনাকে আপনার অফিসের কর্মচারী সহযোগিতা করেছেন যেনে ভালো লাগলো। আর আপনার মায়ের জন্য দোয়া রইল 🤲 পৃথিবীর সকল মায়েই বেঁচে থাকুক হাজার হাজার বছর। দোয়া রইল তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন ইনশাআল্লাহ 🤲

অসময়ে একজন বন্ধু পাওয়া আসলে এটা অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। দোয়া করি তাকে আল্লাহ সর্বোচ্চ সম্মান দান করুক। এবং আপনাদের দোয়া এবং ভালবাসার সাথে থাকলে ইনশাআল্লাহ সব কিছুই ঠিক হয়ে যাবে।

ভাইয়া ,আপনার মাকে নিয়ে লেখা পড়ে খুবই খারাপ লাগছে।সত্যিই কি বলে সান্ত্বনা দেব আপনাকে বুঝতে পারছি না।তবে যার সাহায্য করার মতো কেউ নেই তার জন্য ও কোনো না কোনো ভালো মানুষ অবশ্যই থাকে ঈশ্বরের তরফ থেকে।তাছাড়া যন্ত্রণাগুলি সত্যিই প্রকাশ করা অসম্ভব।মনকে শক্ত রাখুন ভাইয়া সব ঠিক হয়ে যাবে।শুভকামনা রইলো।

জি আপু আল্লাহ কোন না কোন ভাবে মানুষকে সহযোগিতা করেন। তবে এই সময়টা শুধু কল্পনায় পরিস্কার দেখা যায় কিন্তু লিখে বা বলে পরিষ্কার করে বোঝানো মুশকিল।

সত্যি বলতে ভাই আপনি যে আপনার মায়ের পাশে শুয়ে থেকে জড়িয়ে ধরে আছেন এই বিষয়টি আমার কাছে ভীষণ ভীষণ ভালো লেগেছে। ঠিক বলছেন ভাই আপনাকে পৃথিবীতে যদি কখনো কেউ নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে থাকে সে শুধুমাত্র মা তাছাড়া আর কেউ হতে পারে না। আশা করি আপনার মা অতি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন। মহান আল্লাহতালার কাছে আপনার মায়ের জন্য দোয়া চাচ্ছি। আল্লাহতায়ালা যেন আপনাকে ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দান করুক।

আপনাদের ভালোলাগা ভালোবাসা পেয়ে তো বেঁচে আছি আমার বাংলা ব্লগের নিড়ে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

প্রথমে আপনার মায়ের সুস্থতা কামনা এবং আপনি বলেছেন আবোল তাবোল কিছু লিখেছেন। আসলে আবোল তাবোল এর কিছুই নেই খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে আত্মকাহিনী তুলে ধরেছেন, যেটি কিছুটা কষ্ট লাগলেও অনেক ভালো ও লাগলো যে আপনি মায়ের পাশেই ছিলেন ধন্যবাদ।

আসলে ভাই মনের এমন পরিস্থিতিতে কি লিখব কিভাবে গুছিয়ে লিখব সেটা বুঝে উঠতে পারেনি। তবু আপনাদের ভালোবাসা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।

হতাশ হবেন না ভাই খুবই ভালো লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া করছি আল্লাহ যেন মাকে খুব দ্রুত সুস্থ করে দেন।তবে বাবা-মায়ের এরকম অসুখ করলে, সন্তানদের উপরে যে কত প্যারা যায়, মানসিক যন্ত্রণা কতটা যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। সেটা শুধুমাত্র একজন সন্তান এই উপলব্ধি করতে পারেন।তবে আপনার অফিসের কর্মচারী। যিনি আপনাকে অনেক সাহায্য করেছিলেন। তার জন্য অনেক অনেক দোয়া করছি মন থেকে।আসলে যে কোন বিপদ আসলে ধৈর্য ধরে সেটার মোকাবেলা করতে হয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ কাউকে না কাউকে দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।♥♥

মা-বাবার জন্য শ্রেষ্ঠ দোয়াটাই করে গেছেন আপু, আপনার জন্য রইল অফুরন্ত ভালোবাসা।

সম্পূর্ন পোস্ট টি পড়ে দুঃখে ভারাক্রান্ত হয়ে গেল মনটা। আমি জানি ঘটনাগুলো আপনি যতটা সহজে বর্ণনা করেছেন ওই সময়টি আপনার কাছে মোটেও সহজ ছিল না। আপনার মায়ের জন্য দোয়া রইল।

কিছুই লিখতে পারছিলাম না ভাইয়া। মনের সাথে যুদ্ধ করে যতটুকু পেরেছি লিখেছি। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন এর থেকে বেশি কষ্ট বোধহয় পৃথিবীতে আর কিছুই নেই। আপনার ভালোবাসা এবং উৎসাহ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

প্রথমেই বলব আল্লাহতালা যেন আপনার মাকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেন। আপনার লেখাটি পড়ে খুব খারাপ লাগলো কখন যে চোখের কোণে জল এসে গেল। যখন পড়ে দেখলাম আপনার মা স্ট্রোক করেছেন। মা লেখাটি অনেক ছোট কিন্তু কত যে মধুর। সত্যি আপনি খুব ভাগ্যবান ব্যক্তি যে আপনার মায়ের সেবা করতে পারছেন। এক হসপিটাল থেকে অন্য হাসপাতাল নিয়ে আপনার মায়ের সেবা করলেন এবং চিকিৎসা করতেছেন। তারপর আবার বলবো আল্লাহ যেন আপনার মাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেন।

আসলে আমি ভাগ্যবান, কারণ আমার কাছে একটা জান্নাত আছে। যত কষ্টই হোক সব কিছুই ভুলে যাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।