আমার বাংলা ব্লগ। ফুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য।

আমার বাংলা ব্লগের সকল সহকারি এবং সহযোদ্ধাদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে এলাম "ফুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য" নিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে।

চলুন যাওয়া যাক মূল পর্বে।

ফুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

বন্ধুরা আপনারা হয়তো অনেকেই দেখেই বুঝে গেছেন এটা আমার সেই চেনাজানা পরিচিত "বি আই ডব্লিউ টি এ শিশুপার্ক" আর যেহেতু এটা আমার একবারে হাতের কাছে এবং সকাল বেলায় পাঁচটা থেকে সকাল দশটা টা পর্যন্ত এই ৫ ঘন্টা পার্কে ঘুরা ফেরা জগিং একেবারে উন্মুক্ত। অর্থের প্রয়োজন হয়না, নিরিবিলি খুবই সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সবচাইতে পারফেক্ট একটি জায়গা আমি মনে করি। তাই মাঝেমধ্যে আমার এখানে ঘুরতে আসা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে এলাম "ফুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য" নিয়ে। চলুন আমরা ফুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গল্পে গল্পে উপভোগ করি।

---

---

ফুলের সৌন্দর্য হাতে নয়, ফুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গাছে। আমরা সবাই খুব ভালোবাসি এবং প্রতিনিয়ত আমরা চেষ্টা করি সে ফুলের সৌন্দর্য এবং ফুলের ভালোবাসা সব সময় উপভোগ করার জন্য। তবুও কেন জানি কিছু কথা থেকে যায়। আমরা ফুল ভালবাসি, সে ভালবাসার নিদর্শন প্রকাশ করতে গিয়ে ঘুরছিলাম কিছুক্ষণ হাতে নিয়ে। ঘুরলাম প্রয়োজন ফুরিয়ে গেল ফেলে দিলাম। তবে আমি মনে করি এটা কোন প্রকৃত ভালোবাসা নয়, ভালোবাসা হচ্ছে স্বর্গীয় একটা অনুভূতি যা দুর থেকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে।

---

---

বিআইডব্লিটিএ শিশুপার্কে সকালবেলা যখন স্নিগ্ধ মৃদু হাওয়া খেতে গেলাম তখন আমার অনুভূতিটা একটু ভিন্ন রকম ছিল। তাই আমি চিন্তা করলাম যে আমি ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করব না। কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে আমার বন্ধুদের সাথে গল্প করি। সত্যি কথা বলতে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য সমাহার, সেটা আমরা সবাই জানি। তবে আমরা কেউ দেখতে পাই আবার কেউ দেখতে পাই না। আবার আমরা কেউ কেউ মনে করি যে আমি একটা গাছ লাগিয়ে দিলাম, ফুল হলো না হলে, পরিচর্যা করার দরকার নেই, একেকজন একেক রকম ভাবনা।

---

---

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পরিপূর্ণ করে ফুটিয়ে তোলার জন্য আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। এবং একটি আকর্ষণীয় প্রকৃতির পরিবেশ গড়ে ওঠা খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আমরা চাইলেই প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবোনা। কারণ যদি আমরা সেটা নিজের ইচ্ছায় পরিশ্রম না করে কোন কিছু করি। আমরা পার্কে যাই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করি কিন্তু এই সৌন্দর্য উপভোগের পিছনেও অর্থ ব্যয় করতে হয় এবং অনেক পরিশ্রমের পরে এই সৌন্দর্য গুলো ফুটে উঠে। আমরা চাইলে আমাদের সবার বাড়ির আঙিনায় বাড়ির ছাদে এবং ব্যালকনিতে পরিবেশ তৈরি করতে পারি।

---

---

ফুলের সমাহার দেখে আমি এতটাই মুগ্ধ হয়ে গেছি যে, ফুলের বর্ণনা কি দিব তখন আমার কাছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যতা ছল ছল করে চোখের সামনে ভাসছে। মনে হয় যেন ভালোবাসা ভালোলাগার এবং কি অনুভব অনুভূতি গুলো প্রকাশ করার একটা স্থান পেয়ে গেছি। কিন্তু আমি এখানে আরো বহুবার এসেছি কিন্তু এভাবে কখনো আমি ভাবি নি আজকে যে প্রাকৃতিক পরিবেশ টা আমার নজরে পড়েছে।

---

---

মানুষ সৌন্দর্যের পূজারী আর মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ভালোলাগা ভালোবাসা সবকিছু ক্ষেত্রে পরিবেশের গুরুত্ব অপরিসীম। আবার সেখানে মানুষের কিছু ঘৃণিত চিত্র দেখা যায়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতির মুখে ছুড়ে ফেলে দেওয়া অনেকের এটা পেশাগত কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

---

---

আমি মনে করি আমাদের প্রত্যেকটা মানুষকে সচেতন হতে হবে। এবং সুন্দর প্রাকৃতিক গত একটা পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সেখানে আমাদের প্রজন্মের ভালো একটা দিক নির্দেশনা পাবে। কিন্তু বর্তমানে তা দিন দিন শুধু ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। আমরা একটা বারও ভাবি না যে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে।

---

---

এখন মাঝে মাঝে ভাবি আসলো ছোট থাকলে কতইনা সুন্দর দিন কাটিয়েছি। ফুলের গাছের পরিচর্যা করেছি। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে পাঠিয়ে দিয়েছি বিকেল বেলা পানি দিয়ে সে স্কুলে স্কুলে গিয়েছি বড়দের কে যথার্থ সম্মান করেছি। দোকানপাটে যাওয়া হতো না এবং কি বড়দের কে দেখলে চুপিসারে লুকিয়ে যেতাম। আর বর্তমানে মান-সম্মানের ভয়ে রাস্তায় বের হওয়া টা খুব রিস্কি মনে হয়। আমাদের সমাজের প্রতিটা মানুষকে প্রকৃতিকে ভালবাসতে হবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে ভালবাসতে হবে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে।

---

---

আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা অনেকেই ভাবছেন যে মুখে অনেক কিছু বলা যায় করে দেখানো প্রায় অসম্ভব। আসলে আমি অজগায়ের মানুষ, যাবে বেড়ে উঠা আর আমার গ্রামের বাড়িতে গাছগাছালির যতটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে একটু বেশি আছে। তাই আমি আমার মনের ভাব প্রকাশ করছি এই কারনে। কারণ শহরে আমরা সেই তুলনায় কোনো কিছুই পাই না। আমরা প্রতিদিন যে পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করি, আমরা সেই পরিমাণ অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারছিনা। আর আমরা যে অভিযোগগুলো গ্রহণ করছি সেগুলো হচ্ছে সম্পূর্ণ বিষাক্ত কলকারখানায় আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য একেবারে নষ্ট করে দিচ্ছে। তাই আমাদের সবাইকে বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে এবং পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে হবে।

---

---

বন্ধুরা কেমন লেগেছে আমার মনের ভাবগুলো। জানি হয়তো কারো কাছে ভালো লাগছে, আবার কারো কাছে ভালো নাও লাগতে পারে। ভালো-মন্দ কমেন্টে জানাবেন। সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।