আলু দিয়ে মুরগি ভুনা রেসিপি ।। 10% for shy fox

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সকলে খুব ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি। আজকে সাধারন একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি আপনাদের সাথে। আলু দিয়ে মুরগি ভুনা। এই রান্না প্রতি সপ্তাহেই আমাদের কম বেশি খাওয়া হয়। ক্যামেরা বন্দি করে রেখে দিয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে। যা কিছুই করি না কেন এখন কেমন জানি আপনাদের সাথে শেয়ার না করলে মনের মধ্যে আনচান আনচান করতে থাক্যা। হাহা। অভ্যাস হয়ে গেছে আপনাদের সাথে শেয়ার করাটা। ভাল লাগা কাজ করে কোন কিছু শেয়ার করার পরে। তো যাইহোক কথা না বাড়িয়ে তবে শুরু করা যাক।

আমরা বন্ধুরা মিলে বাসা নিয়ে থাকি তা তো আপনাদের বলেছিই। বাসায় যখন বুয়া আসে না তখন নিজেরাই রান্না করে খাই আবার মাঝে মধ্যে হোটেল এ গিয়ে খাই। তবে হোটেল এর খাবার খেতে ভাল লাগে না । সব কিছুর মধ্যে এত পরিমান তেল দেয়া থাকে খাওয়ার পর পেটের বারোটা বেজে যায়। আজকে দুপুরে আমাদের বাসার কাজের খালা আসে নাই। তো কি আর করার। ফ্রিজে মুরগি রাখা ছিল বের করে কাটাকাটি শুরু করে রান্না করে ফেলি। আমি একা সব কিছু অবশ্য করিনি। আমার ফ্রেন্ডরা পিঁয়াজ রসুন আদা এগুলো কাটাকাটিতে হেল্প করেছে। সবে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ। হাহা। অনেক কথা হল এবার তবে রন্ধনশিল্পে মনোনিবেশ করা যাক।

প্রথমে আমরা চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে তাতে পরিমানমতো তেল দিব। তেল একটু গরম হয়ে গেলে তাতে কেটে রাখা পিঁয়াজ গুলো দিয়ে দিব।

পিঁয়াজ গুলো একটি বাদামি বর্ণ হয়ে এলে তাতে আদা রসুন পেস্ট দিয়ে দিব।

এরপর ভাজা কাঠি দিয়ে কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করে এর মধ্যে মরিচের গুড়া, হলুদের গুড়া, ধনিয়ার গুড়া, সাদা এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, কাচামরিচ, লবণ দিয়ে ভাল ভাবে মসলাটি কসিয়ে নিব।

মসলা ৩/৪ মিনিট কসানোর পর এতে কেটে রাখা মুরগিগুলো দিয়ে দিব।

এরপর আলু গুলোও দিয়ে দিব। আলুর সাইজ আমি মিডিয়াম রেখে কেটেছি।

এবার মশলার সাথে মুরগি ও আলুগুলো ভাল করে মিশিয়ে দিব।

এই ধাপে আমরা মশলার সাথে মুরগির গুলো মিশিয়ে সুন্দর করে ৫/৬ মিনিট মুরগি কসিয়ে নিব। এর মধ্যে আর পানি এড করিনি। মুরগি কসানোর পরে পানি দিব।

ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৭/৮ মিনিট কসানোর পরে এতে পরিমানমতো পানি এড করে দিব। মসলা কসানোর সময় চুলার আচ কম রাখতে হবে তা না হলে নিচে ধরে যেতে পারে।

পানি দেয়ার পরে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মুরগি আরও কিছুক্ষন রান্না করতে হবে ভাল করে সিদ্ধ হওয়ার জন্য।

এর মধ্যে চামিচ দিয়ে চেকে নিতে হবে লবণ এর পরিমান ঠিক আছে কিনা। কিছুক্ষন রান্না করার পরেই আমাদের রান্না হয়ে যাবে। এরপরে বাটিতে বেড়ে গুপুস গাপুস করে খেয়ে নিব।

এই ছিল আজকের রান্না। গরমে ঘেমে গিয়েছিলাম তাই পরনে যা ছিল ওমনি সেলফি নিয়েছি। বাই দ্যা ওয়ে রান্নাটি কিন্তু ভাল হয়েছিল। সবাই খেয়ে প্রসংশা করেছে। আজকে তবে এখানেই রাখছি। দেখা হবে আগামিকাল ইনশাল্লাহ। ভাল থাকবেন সবাই। আল্লাহ্‌ হাফেজ।