◾️ ১৫ জুন
▪️ বুধবার
আমাদের বাসা থেকে বাজার খুব একটা দূরে নয়। হেটে যেতে বড়জোর ১৫/২০ মিনিট লাগে। বিকেল বেলা হাটতে হাটতেই চলে গেলাম রায়ের বাজারে। মিনিট বিশেক এর মধ্যে পৌঁছে গেলাম বাজারের কাছে। উপরে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন তা রায়ের বাজারের মেইন গেট এর একপাশের ছবি। বাজারে ঢুকার সময় দেখতে পেলাম একটি হাতি দিয়ে দোকানে দোকানে টাকা তুলা হচ্ছে। বেশ অনেকদিন পরে হাতি দেখে ভালই লাগছিল। হাতিটির উপরে ছোট একটি ছেলে বসে ছিল। সে লাঠি দিয়ে কি একটা ইশারা করতেই হাতিটি তার বিশাল শুড় উচিয়ে দোকানদারকে উদ্দ্যেশ্য করে শব্দ করছিল। মানে টাকা চাচ্ছিল। আমি একপাশে দাঁড়িয়ে কয়েকটি ছবি তুলে নিয়েছি।
হাতি দেখার পরে বাজারের গেট দিয়ে ঢুকে পড়লাম বাজারের মধ্যে। অনেক বাজার সদাই করতে হবে। চাল থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, তরিতরকারি সব। আগে আমরা শুকনো জাতীয় যে সদাইগুলো আছে যেমন চাল, ডাল এসবের দোকানে যাই। আমাদের যেহেতু প্রায় কয়েকদিন পর পরই বাজার করতে হয়, এক দোকান থেকে নিতে নিতে বেশ পরিচিত হয়ে গেছে। দোকানদার এর ব্যবহারও অনেক ভাল। কিছু ছবি শেয়ার করছি।
বাজার করতে করতে টুক করে একটি সেলফি নিয়ে নেই। অনেক গরম লাগছিল। ঘেমে অস্থির হয়ে যাচ্ছিলাম।
চাল ডালের লিস্ট দোকানদারকে বলে দিয়ে আমরা মাছ বাজারের দিকটায় যাই। চাল ডাল মেপে তিনি রেডি করতে করতে আমরা বাকি বাজার করতে থাকি। মাছ বাজারে প্রায় অনেক রকম মাছই থাকে। আমাদের বাসায় সবচেয়ে বেশি যে মাছটি খাওয়া হয় সেটি হচ্ছে রুই। বড় মাছ ছাড়া বুয়া রান্না করতে চায় না। ছোট মাছ একবার কিনে নিয়ে গেছিলাম শখ করে। কিন্তু বুয়া যেভাবে রান্না করেছিল সে কথা আর নাই বলি আপনাদের। তাই ইচ্ছে থাকা সত্যেও ছোট টেংরা, পুটি, চিংড়ি মাছগুলো খুব কমই খাওয়া হয় এখানে। মাছ বাজারের কিছু ছবি শেয়ার করছি।
বড় মিনার কার্প গুলো বেশ পছন্দ হলো আমাদের। দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় ৩৩০ টাকা কেজি। পরে দর দাম করে ৩০০ টাকা কেজি দরে ফিক্সড করে একটি মাছ নিয়ে নেই।
মাছ কেটে নিয়ে আমরা মুরগির বাজারের দিকে যাই। সব কিছুর দাম এখন অনেক বেশি। ঢাকা শহরে টিকে থাকা দায় হয়ে গিয়েছে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারদের জন্য। যাইহোক মুরগির বাজারে গিয়ে জানতে পারি সোনালি মুরগি ২৫০ টাকা কেজি। বয়লার মুরগি ১৬০ টাকা কেজি। দর কাম করে সোনালি মুরগি ২৩০ টাকা ফিক্সড করে চার কেজির মতো নেই। সেই সাথে বয়লার মুরগি ১৫০ টাকা দরে নেই তিন কেজির মতো।
মুরগি কেনার পর্ব শেষ করে এবার মুরগির ডিম কেনার জন্য ডিমের কর্নারে যাই। ৪০ টাকা হালি দরে দুই ডজন ডিম কিনে নেই। এরপর আলু ও তরিতরকারি কেনার জন্য কাচা বাজারের সাইডে ঢুকি।
তরিতরকারি বেশি করে কিনতে পারি না কারন ফ্রিজের নরমালে জায়গা কম। বেশি করে কিনে রাখলে পচে যায়। তাই তরকারি যতটুকু দরকার ততটুকু করেই কিনতে হয়। বাসার নিচ দিয়ে ফেরিওয়ালারা কাচা সবজি ফেরি করতে করতে যায়। সেখান থেকেই কিনি। যাইহোক সব বাজার শেষ করে একটি রিকশা ডেকে এনে তাতে বাজার সদাই তুলে বাসার দিকে এসে পড়ি।
বিভাগ | তথ্য |
---|---|
ডিভাইস | রেডমি নোট ৭ প্রো |
লোকেশন | what3words Location |
শুভেচ্ছান্তে
@rokibulsanto
Your post was upvoted and resteemed on @crypto.defrag
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমত রায়ের বাজার ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই।
বাজারটা বেশ বড়ো মনে হলো। আর এত্তোগুলো বাজার করেছেন 🤗
মাছটা কিন্তু চমৎকার দেখাচ্ছিল। আর বেশ দামের একটি আইডিয়া দিয়েছেন।
আর হাতির কথা কি বলবো আমাদের এদিকেও মাঝে মাঝেই হানা দেয় 🤗
সবমিলিয়ে ভালো লাগলো পোস্টটি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ইমরান ভাই পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য। অনেক অনেক ভালবাসা ও শুভ কামনা থাকবে আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঢাকা রায়ের বাজারে গিয়ে আপনি 300 টাকা দিয়ে একটি বড় মাছ, তারপর মুরগির হাটে গিয়েছেন। কাঁচা সবজির বাজারে গিয়েছেন। চাল কিনেছেন। সব মিলিয়ে মনে হয় মাসিক একটি বাজার করে নিলেন একেবারে। এরকম বাজারের অভিজ্ঞতার সাথে সাথে একটু ঘোরাফেরা ও হয়। দেখে খুব ভালো লাগলো এবং আপনার জন্য শুভকামনা থাকবে আগামী দিনের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
৩০০ টাকা দিয়ে না। ৩০০ টাকা কেজি করে। মাছটির ওজন দেড় কেজির উপরে ছিল। যাইহোক অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত ব্যক্ত করার জন্য। ভালবাসা নিবেন প্রিয় ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রায়ের বাজার নাম শোনা হয়েছে অনেকবার। কিন্তু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এই প্রথম দেখলাম। খুব ভালো লাগলো সত্যি। বেশ বাজার করেছেন দেখছি। বাড়িতে থাকলে তো বাজার করাই হয় না, মেসে থাকার দরুন দুই এক দিন হলো আমিও বাজারের হাব-ভাব ভালোই বুঝছি। আমার আবার মাছের বাজার ঘুরতে খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে এমনি বেরিয়ে পড়ি বাজারের দিকে শুধু মাছ দেখার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাছ বাজারে ঢুকলে আসলেই ভাল লাগে ভাই। হরেক রকমের মাছের সমারোহ দেখতে আনন্দই লাগে। আমিও আমার নিজের বাড়িতে কোনদিন এভাবে বাজার করিনি। মেসে থাকার কারনে এখন করতে হয়। কি আর করার। এটাই জীবন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit