রায়ের বাজার, ঢাকা ।। 10% for shy-fox

in hive-129948 •  2 years ago 

◾️ ১৫ জুন
▪️ বুধবার


আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সকলে খুব ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।

আজকে কি নিয়ে পোস্ট করবো তা হয়তো আন্দাজ করতে পারছেন। টাইটেলে যেহেতু বাজার এর নাম দিয়ে শুরু করেছি আজকে বাজার-ই করবো। হ্যা বন্ধুরা, আপনাদের সাথে হয়তো আগেও বলেছি আমরা বন্ধুরা মিলে বাসা নিয়ে ঢাকাতে থেকে পড়াশুনা করি। নিজের বাসা ছেড়ে যেহেতু ঢাকাতে থাকতে হচ্ছে তাই বাজার সদাই নিজেদেরই করে খেতে হয়। তবে প্রতিদিন বাজার করার প্যারা নেই না আমরা। বাসায় ফ্রিজ কিনে নিয়েছি সাত দিনের বাজার একবারে করে নিয়ে আসি। গত দিন আমার আর আমার বন্ধু শিমুলের বাজার করার ডেট ছিল। বিকেল পাচটার দিকে দুই বন্ধু মিলে বের হয়ে যাই নিত্যদিনের বাজার করার উদ্দেশ্যে।

1.jpg

আমাদের বাসা থেকে বাজার খুব একটা দূরে নয়। হেটে যেতে বড়জোর ১৫/২০ মিনিট লাগে। বিকেল বেলা হাটতে হাটতেই চলে গেলাম রায়ের বাজারে। মিনিট বিশেক এর মধ্যে পৌঁছে গেলাম বাজারের কাছে। উপরে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন তা রায়ের বাজারের মেইন গেট এর একপাশের ছবি। বাজারে ঢুকার সময় দেখতে পেলাম একটি হাতি দিয়ে দোকানে দোকানে টাকা তুলা হচ্ছে। বেশ অনেকদিন পরে হাতি দেখে ভালই লাগছিল। হাতিটির উপরে ছোট একটি ছেলে বসে ছিল। সে লাঠি দিয়ে কি একটা ইশারা করতেই হাতিটি তার বিশাল শুড় উচিয়ে দোকানদারকে উদ্দ্যেশ্য করে শব্দ করছিল। মানে টাকা চাচ্ছিল। আমি একপাশে দাঁড়িয়ে কয়েকটি ছবি তুলে নিয়েছি।


2.jpg

3.jpg

হাতি দেখার পরে বাজারের গেট দিয়ে ঢুকে পড়লাম বাজারের মধ্যে। অনেক বাজার সদাই করতে হবে। চাল থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, তরিতরকারি সব। আগে আমরা শুকনো জাতীয় যে সদাইগুলো আছে যেমন চাল, ডাল এসবের দোকানে যাই। আমাদের যেহেতু প্রায় কয়েকদিন পর পরই বাজার করতে হয়, এক দোকান থেকে নিতে নিতে বেশ পরিচিত হয়ে গেছে। দোকানদার এর ব্যবহারও অনেক ভাল। কিছু ছবি শেয়ার করছি।


4.jpg

5.jpg

6.jpg

বাজার করতে করতে টুক করে একটি সেলফি নিয়ে নেই। অনেক গরম লাগছিল। ঘেমে অস্থির হয়ে যাচ্ছিলাম।


7.jpg

চাল ডালের লিস্ট দোকানদারকে বলে দিয়ে আমরা মাছ বাজারের দিকটায় যাই। চাল ডাল মেপে তিনি রেডি করতে করতে আমরা বাকি বাজার করতে থাকি। মাছ বাজারে প্রায় অনেক রকম মাছই থাকে। আমাদের বাসায় সবচেয়ে বেশি যে মাছটি খাওয়া হয় সেটি হচ্ছে রুই। বড় মাছ ছাড়া বুয়া রান্না করতে চায় না। ছোট মাছ একবার কিনে নিয়ে গেছিলাম শখ করে। কিন্তু বুয়া যেভাবে রান্না করেছিল সে কথা আর নাই বলি আপনাদের। তাই ইচ্ছে থাকা সত্যেও ছোট টেংরা, পুটি, চিংড়ি মাছগুলো খুব কমই খাওয়া হয় এখানে। মাছ বাজারের কিছু ছবি শেয়ার করছি।


8.jpg

9.jpg

11.jpg

12.jpg

বড় মিনার কার্প গুলো বেশ পছন্দ হলো আমাদের। দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় ৩৩০ টাকা কেজি। পরে দর দাম করে ৩০০ টাকা কেজি দরে ফিক্সড করে একটি মাছ নিয়ে নেই।


10.jpg

মাছ কেটে নিয়ে আমরা মুরগির বাজারের দিকে যাই। সব কিছুর দাম এখন অনেক বেশি। ঢাকা শহরে টিকে থাকা দায় হয়ে গিয়েছে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারদের জন্য। যাইহোক মুরগির বাজারে গিয়ে জানতে পারি সোনালি মুরগি ২৫০ টাকা কেজি। বয়লার মুরগি ১৬০ টাকা কেজি। দর কাম করে সোনালি মুরগি ২৩০ টাকা ফিক্সড করে চার কেজির মতো নেই। সেই সাথে বয়লার মুরগি ১৫০ টাকা দরে নেই তিন কেজির মতো।


14.jpg

15.jpg

মুরগি কেনার পর্ব শেষ করে এবার মুরগির ডিম কেনার জন্য ডিমের কর্নারে যাই। ৪০ টাকা হালি দরে দুই ডজন ডিম কিনে নেই। এরপর আলু ও তরিতরকারি কেনার জন্য কাচা বাজারের সাইডে ঢুকি।


16.jpg

13.jpg

17.jpg

18.jpg

তরিতরকারি বেশি করে কিনতে পারি না কারন ফ্রিজের নরমালে জায়গা কম। বেশি করে কিনে রাখলে পচে যায়। তাই তরকারি যতটুকু দরকার ততটুকু করেই কিনতে হয়। বাসার নিচ দিয়ে ফেরিওয়ালারা কাচা সবজি ফেরি করতে করতে যায়। সেখান থেকেই কিনি। যাইহোক সব বাজার শেষ করে একটি রিকশা ডেকে এনে তাতে বাজার সদাই তুলে বাসার দিকে এসে পড়ি।


19.jpg

আজ তবে এখানেই শেষ করছি। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজ তবে বিদায় নিচ্ছি। ভাল থাকবেন।

divider.png

বিভাগ তথ্য
ডিভাইস রেডমি নোট ৭ প্রো
লোকেশন what3words Location

divider.png

আমার পরিচয়

santo.jpg

আমি রকিবুল শান্ত। বর্তমানে ঢাকা সিটি কলেজে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে অনার্স ৩য় বর্ষে লেখাপড়া করছি । আমি পজেটিভ চিন্তাধারার একজন মানুষ । সব সময় সিম্পল থাকার চেষ্টা করি। কোডিং করতে, মিউজিক করতে , বিভিন্ন বিষয় এর উপরে আর্টিকেল লিখতে বেশি পছন্দ করি। নিজের স্কিল বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখার চেষ্টা করি। ভালোবাসা পেলে ভালোবাসা দিতে কার্পণ্য করি না ।

শুভেচ্ছান্তে
@rokibulsanto


tnq.png

Mybanner.png


blogPng.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Your post was upvoted and resteemed on @crypto.defrag

Thank you

প্রথমত রায়ের বাজার ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই।
বাজারটা বেশ বড়ো মনে হলো। আর এত্তোগুলো বাজার করেছেন 🤗
মাছটা কিন্তু চমৎকার দেখাচ্ছিল। আর বেশ দামের একটি আইডিয়া দিয়েছেন।
আর হাতির কথা কি বলবো আমাদের এদিকেও মাঝে মাঝেই হানা দেয় 🤗
সবমিলিয়ে ভালো লাগলো পোস্টটি।

ধন্যবাদ ইমরান ভাই পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য। অনেক অনেক ভালবাসা ও শুভ কামনা থাকবে আপনার জন্য।

ঢাকা রায়ের বাজারে গিয়ে আপনি 300 টাকা দিয়ে একটি বড় মাছ, তারপর মুরগির হাটে গিয়েছেন। কাঁচা সবজির বাজারে গিয়েছেন। চাল কিনেছেন। সব মিলিয়ে মনে হয় মাসিক একটি বাজার করে নিলেন একেবারে। এরকম বাজারের অভিজ্ঞতার সাথে সাথে একটু ঘোরাফেরা ও হয়। দেখে খুব ভালো লাগলো এবং আপনার জন্য শুভকামনা থাকবে আগামী দিনের জন্য।

৩০০ টাকা দিয়ে না। ৩০০ টাকা কেজি করে। মাছটির ওজন দেড় কেজির উপরে ছিল। যাইহোক অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত ব্যক্ত করার জন্য। ভালবাসা নিবেন প্রিয় ভাই।

রায়ের বাজার নাম শোনা হয়েছে অনেকবার। কিন্তু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এই প্রথম দেখলাম। খুব ভালো লাগলো সত্যি। বেশ বাজার করেছেন দেখছি। বাড়িতে থাকলে তো বাজার করাই হয় না, মেসে থাকার দরুন দুই এক দিন হলো আমিও বাজারের হাব-ভাব ভালোই বুঝছি। আমার আবার মাছের বাজার ঘুরতে খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে এমনি বেরিয়ে পড়ি বাজারের দিকে শুধু মাছ দেখার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।

মাছ বাজারে ঢুকলে আসলেই ভাল লাগে ভাই। হরেক রকমের মাছের সমারোহ দেখতে আনন্দই লাগে। আমিও আমার নিজের বাড়িতে কোনদিন এভাবে বাজার করিনি। মেসে থাকার কারনে এখন করতে হয়। কি আর করার। এটাই জীবন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে