নদীর ঘাটের সৌন্দর্য ফটোগ্রাফিতে

in hive-129948 •  last year 

নমস্কার সবাইকে,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও মোটামুটি ঠিক আছি।

বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আমি অনেক ভালবাসি। একটু সময় সুযোগ বের করতে পারলেই বন্ধুদের সাথে প্ল্যান করে কোথাও না কোথাও গিয়ে ঘুরে আসি। বেশ কিছুদিন হয়ে গেছে বন্ধুদের সাথে নিয়ে গেছিলাম মৌসুনি আইল্যান্ড নামক একটি জায়গায়। সেখানে যাওয়ার সরাসরি কোন রাস্তা ছিল না । অনেকটা ভেঙে ভেঙে সেখানে পৌঁছাতে হয়েছিল আমাদের। আর আমাদের এই যাত্রা পথের জার্নি টাও বেশ ইন্টারেস্টিং হয়েছিল এই জন্য। বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রথমে নিকটবর্তী রেলস্টেশন থেকে আমাদের যেতে হয়েছিল শেয়ালদহ স্টেশনে। সেখান থেকে পার হেড পঁচিশ টাকা করে টিকিট কেটে নিয়েছিলাম নামখানা স্টেশন পর্যন্ত।

20230731_090018.jpg

20230731_090013.jpg

নামখানা স্টেশনে নামার পর কয়েকটি ধাপে এই মৌসুনি আইল্যান্ড পৌঁছানো যায়। যেমন বাসে করে গেলে প্রথমে দশ মাইল নামক একটি জায়গায় নামতে হতো এবং সেখান থেকে টোটো করে পাতিবুনিয়া ঘাট যেতে হতো। পাতিবুনিয়া ঘাট থেকে ইঞ্জিনের নৌকার মাধ্যমে যেতে হতো বালিয়াড়ি ঘাটে। তারপর সেখান থেকে পুনরায় টোটো নিয়ে যেতে হতো এই মৌসুনি আইল্যান্ডে। তবে আমরা নামখানা স্টেশন থেকেই টোটো নিয়ে সরাসরি চলে আসি এই পাতিবুনিয়া ঘাটে। আমরা বাসে করে যায়নি কারণ বাসে গেলে আরো একবার এক্সট্রা গাড়ি চেঞ্জ করতে হতো সেই জন্য। এই পাতিবুনিয়া ঘাটে নামার পরেই নদীর সৌন্দর্য চোখে পড়ে ছিল আমার।

20230731_090020.jpg

20230731_090027.jpg

নদী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এই নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আমাদের কলকাতার গঙ্গার কাছে অনেকবার বন্ধুদের সাথে ঘুরতে চলে যাই। নদীর ঘাটে বসলে আলাদা একটা শান্তি লাগে। সেখানে যে হাওয়াটা পাওয়া যায় যা মন জুড়িয়ে দেয়। যাইহোক পাতিবুনিয়া ঘাটে যাওয়ার পর আশেপাশের দৃশ্য আমরা বেশ ভালো করে উপভোগ করি। আমরা যেহেতু প্রথমবার এই জায়গায় গেছিলাম তাই এই জায়গার সবকিছু স্মৃতির পাতায় ধরে রাখার জন্য বেশ ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম। সেই ফটোগ্রাফি গুলোতে তোমরা নদীর আশেপাশের সৌন্দর্যটা খুব ভালোভাবে দেখতে পারবে। এই নদীতে যে ইঞ্জিনের নৌকা দেখা যাচ্ছে এতে করেই এই নদীর অপরপ্রান্তে পার হতে হয়েছিল আমাদের। নদী পার হওয়ার গল্পটা বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল তা না হয় অন্য কোন সময় তোমাদের সাথে শেয়ার করব।

20230731_090033.jpg

20230731_090217.jpg

ইঞ্জিনের নৌকা লোকে ভরে গেলেই একপাশ থেকে অন্যপাশের উদ্দেশ্যে রওনা করে। ইঞ্জিনের নৌকাটি লোক দিয়ে ভরার জন্য যেহেতু কিছুটা সময় লাগছিল তাই আমরা আশেপাশের নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বেশ কিছুটা সময় হাতে পেয়েছিলাম। সেজন্য প্রথমে ইঞ্জিনের নৌকায় না উঠে আশেপাশে একটু ঘোরাঘুরি করি এবং চারপাশের সব কিছু দেখে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে নৌকায় গিয়ে উঠেছিলাম। এই নদীর ঘাট থেকে ছোট ছোট অনেক মাছ ধরার ট্রলারও দেখা যাচ্ছিল। যেগুলো ঘাটে বাঁধা ছিল যা দেখতে খুবই ভালো লাগছিল । এই নদীতে এই ট্রলারের সাহায্যে জেলেরা মাছ ধরে। নদীর এই ঘাটে জেলেদের অনেক জালও নেড়ে দেওয়া ছিল যা তোমরা ফটোগ্রাফিতেও দেখতে পারবে।

20230731_090153.jpg

ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: পাতিবুনিয়া ঘাট, ওয়েস্ট বেঙ্গল।


বন্ধুরা, নদীর সৌন্দর্যের কিছু ফটোগ্রাফি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে অপরূপ সৌন্দর্যের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন । আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি আমি বেশ মুগ্ধ হয়ে গেছি। আসলে নদীর মাঝে নৌকায় থাকা মানুষগুলোকে দেখতে বেশ ভালোই লেগেছে আমার কাছে। কিন্তু আমি অনেক ভয় পাই ভাই নৌকায় চড়তে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

আমার শেয়ার করা নদীর ঘাটের সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে গেছেন এটা আমার জন্য অনেক খুশির বিষয় ভাই। ধন্যবাদ এত সুন্দর করে কথাগুলো বলার জন্য।

নদীর ঘাটের অপরূপ দৃশ্য আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছেন। যেখানে দেখতে পারলাম নৌকার সহ নদীর ঘাট ইট দিয়ে বাধানোর দৃশ্য। পাশাপাশি আকাশের সৌন্দর দৃশ্য। নদীর বুকের টলমলে পানি সব মিলে কিন্তু আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে আপনার এই অসাধারণ দৃশ্যগুলো।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর গুছিয়ে কথাগুলো বলার জন্য।