নমস্কার সবাইকে ,
তোমরা সবাই কেমন আছো ? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও অনেক অনেক ভালো আছি। |
---|
প্রথমেই আমি সবাইকে আজকের ব্লগে স্বাগতম জানাই। কালী পুজোয় ঘোরাঘুরি নিয়ে আজ তোমাদের সাথে পঞ্চম তম ব্লগ টি শেয়ার করব। কালী পুজো পরিক্রম নিয়ে চতুর্থ পর্বের ব্লগে তোমাদেরকে আমি জানিয়েছিলাম পরিবারের লোকজনদের সাথে পুজোর একদিন আগেই আমি বেশ কয়েকটি পুজো প্যান্ডেল ঘুরে ঘুরে দেখেছিলাম। সন্ধ্যার অনেকটা পর আমরা ক'জন ক্লাবের পুজো প্যান্ডেলটি দেখে আমরা গেছিলাম পাইওনিয়ার ক্লাব পুজো প্যান্ডেলটি দেখার জন্য। সেখানে গিয়েই প্রথমে আমাদের সবাইকে লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল। পুকুরের এক সাইডে আমরা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং অন্য সাইডে প্যান্ডেলটি করেছিল। লাইনে দাঁড়িয়েও আমরা পুজো প্যান্ডেলটির বাইরের অংশ খুব ভালোভাবে দেখতে পাচ্ছিলাম ।
প্রতিবছরই এই জায়গার পুজো প্যান্ডেলটি খুব ভালো করে। তাদের নতুন নতুন থিমের জন্য অনেকগুলো পুরস্কার প্রাপ্তও হয় প্রতিবছর । বিগত ৫০ বছর ধরে তারা তাদের এই পুজো প্যান্ডেলটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে আসছে। প্রতিবছর তারা নিত্যনতুন থিম বানিয়ে মানুষকে তাক লাগিয়ে দেয়। বারাসাত এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত দর্শনার্থীরা এখানে খুব ভিড় করে তাদের এই পুজো প্যান্ডেলটি দেখার জন্য। এই বছর তারা থিম করেছিল মরোক্কোর কসবা টাওয়ার। সাউথ আফ্রিকার মরোক্কোর কসবা টাওয়ার এর আদলে করেছিল এটি।
বারাসাতের পাইওনিয়ার এলাকাটা বারাসাতে বসবাসকারী সবাই চেনে ,খুবই ফেমাস একটি জায়গা। ফেমাস হওয়ার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে সেগুলো আর এখানে আলোচনা করছি না। একদম স্টেশনের পাশেই জায়গাটি। এখানে একটি বড় পুকুর রয়েছে তার পাশে একটি মাঠ আছে এবং এই মাঠেই প্রতিবছর এই পুজো প্যান্ডেলটি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
ওয়েস্ট বেঙ্গলের মধ্যে বারাসাত জায়গাটি কালী পুজোর জন্য সবথেকে বেশি ফেমাস। এই কারণে বারাসাতের বাইরে থেকেও প্রতিবছর হাজার হাজার দর্শনার্থীরা এখানে পুজো প্যান্ডেল দেখতে আসে, এইজন্য অনেক বেশি ভিড় হয়ে যায় এসব নামকরা পুজো প্যান্ডেল গুলোতে। পুজোর একদিন আগে এতটা ভিড় হবে আগে থেকেই জানতাম। তারপরও বেশি ভিড় হওয়ার অন্য একটি প্রধান কারণ হলো এই বছর কোন ভিআইপি পাসের ব্যবস্থা না থাকা। অন্য বছর দুটি লাইন হয় একটা নরমাল লাইন এবং অন্যটি ভিআইপি লাইন। যারা ভিআইপি পাস পায় তারা খুব সহজেই প্যান্ডেলের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে । আমি প্রতিবছরই এইখানের ভিআইপি পাস পাই তাই এই পুজো প্যান্ডেলটি দেখতে আমার অন্যান্য বার কষ্ট হয়না কিন্তু এইবার এখানে গিয়ে দেখতে অনেকটা কষ্ট হয়ে গেছিল। তাছাড়া ফ্যামিলির সাথে গেছিলাম তাদেরও বেশ কষ্ট হয়ে গেছিল। প্রায় কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করার পর আমরা এই প্যান্ডেলটির মধ্যে প্রবেশ করতে পারি।
এই কুড়ি মিনিট দাড়িয়ে দাড়িয়ে বোর ফিল করছিলাম সেরকম ব্যাপার ছিল না। এই প্যান্ডেলের সামনের পুকুরটির মধ্যে প্যান্ডেলটির একটি অংশ করা হয়েছিল। যেখানে ওয়াটারফল এর দারুন দৃশ্য দেখার সুযোগ হয়েছিল আমাদের। ওয়াটারফল এর দৃশ্য সবারই নজর কেড়ে নিয়েছিল । যতটা সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম সবটুকু সময় ওয়াটারফল এর দৃশ্যগুলো উপভোগ করছিলাম। প্যান্ডেলটির মধ্যে প্রবেশ করার পর প্যান্ডেলটা আমার খুবই ভালো লেগেছিল কিন্তু অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে প্যান্ডেলের মধ্যে দাঁড়ানোর সুযোগ দিচ্ছিল না। কোন রকম করে মায়ের মুখ দর্শন করলাম, সবার সাথে ধাক্কা ধাক্কি করতে করতে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম আবার ভিড়ের ধাক্কা খেতে খেতে বাইরে চলে এসেছিলাম।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: বারাসাত ,নর্থ ২৪ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।