নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি। |
বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে আমাদের ধর্মীয় সব থেকে বড় উৎসব দুর্গাপূজা নিয়ে আসলে কিছু কথা শেয়ার করবো। আসলে আমাদের কলকাতাতে সব বড় করে দুর্গাপূজো গুলো হয়। কিন্তু কিছু কিছু পূজো প্যান্ডেল অনেক বড় করে না করলেও তাদের থিমগুলো মানুষকে বেশ আকর্ষিত করে থাকে। তাছাড়া যে সব বড় বড় প্যান্ডেল গুলো হয় সেই সব পূজো প্যান্ডেল গুলোতে লাখ লাখ মানুষের ভিড় হয়। আর অনেক ছোট প্যান্ডেল থাকে যার তৈরি করার খরচ হয়তো কম কিন্তু সেগুলো অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। আজকে যেমন এরকম একটা পূজো প্যান্ডেল দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। এই পূজো প্যান্ডেলটি আমাদের বারাসাতেই করেছিল। আমি এবং আমার এক বন্ধু আজ পূজো প্যান্ডেল দেখতে বেরিয়েছিলাম। যাওয়ার পথে রাস্তায় কয়েকজন বললো একটু দূরে গিয়েই একটা জ্যান্ত প্রতিমার দুর্গা করেছে। তোমরা গিয়ে সেটা দেখে আসতে পারো। আমি যদিও একটু ব্যস্ত ছিলাম আর আমার সেই বন্ধুও ব্যস্ত ছিল। কারণ তার দাদা বাবা-মার সাথে রাতের বেলায় পূজো দেখতে বের হওয়ার কথা ছিল। যাইহোক, আমার সেই বন্ধুর নাম সৌরভ। সে আমাদের পাশেই এখন থাকে। তাকে নিয়ে যখন ঘুরছিলাম তখন এই দুর্গা ঠাকুর দেখতে চলে যাই। প্রথমে গিয়ে দেখার সৌভাগ্য হয় না কারণ পর্দা টাঙ্গানো ছিল। কিছু সময় সেখানে গিয়ে বসার পর তারা পর্দা খুলে দেয়। আসলে এই পুজো প্যান্ডেলটি কোন জায়গায় করা হয়নি। একটা দোতলা বাড়ির মধ্যে এই পূজো প্যান্ডেলটি করা হয়েছিল। এই দুর্গা প্রতিমাগুলো একদম মাটিতে তৈরি দুর্গা প্রতিমার মতো লাগছিলো। আমি তো প্রথমে দেখে ভেবেছিলাম এগুলো মাটি দিয়ে তৈরি করা। কিন্তু যেহেতু আগে থেকেই জানতাম যে জ্যান্ত দুর্গা অর্থাৎ ছোট ছোট বাচ্চারা মিলে এটা করেছে। যাইহোক, এটা দেখে আজকে পুজো দেখে আমার সার্থক হয়। এখানে বেশিক্ষণ থাকতে দেয়নি অল্প কিছু সময় বসে ছিলাম তারপর টুকটাক ফটোগ্রাফি করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি।
◾▪️◾পোস্ট বিবরণ◾▪️◾
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | বারাসাত, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
বন্ধুরা, আজকে শেয়ার করা এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমার পরিচয়
আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।
🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit