বন্ধুরা ,
সবাই তোমরা কেমন আছো ? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক অনেক ভালো আছি। |
---|
জায়গাটিতে ঢুকেই বেশ শান্ত লাগছিল । সেই সন্ধ্যার সময় সেরকম কোন লোকের দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না সেখানে গিয়ে। জায়গাটি জাপানি বনের মতো করে তৈরি করা হয়েছিল। এর ভিতরে জাপানি সংস্কৃতির বিভিন্ন জিনিস প্রদর্শন করা ছিল। এটা আমাকে বলতেই হবে জাপানি সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের সত্যিকারের স্বাদ গ্রহণ করার জন্য সুন্দর একটি জায়গা এটি। কৃত্রিম পুকুর, কাঠের সুন্দর সেতু, বাঁশের বন এই স্থানটিকে বেশ আকর্ষণীয় করে তুলেছিল। এই এলাকাটির ভিতরে প্যাগোডাও বিদ্যমান ছিল। এর ভিতরে গিয়ে জাপানি স্টাইলের রেস্টুরেন্ট, মন্দির, লেক এবং সুন্দর জেন বাগান দেখতে পেয়েছিলাম। ফটোগ্রাফির জন্য জায়গাটি অত্যন্ত সুন্দর ছিল। এজন্য বেশ কিছু ফটোগ্রাফি এখান থেকে আমি করে নিয়েছিলাম। দুটি পর্বের মাধ্যমে আমি সেই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করব যার আজ প্রথম পর্ব ।
গত পর্বে জাপানিজ ফরেস্ট সম্পর্কে সবকিছু শেয়ার করেছিলাম তাই আজকের পর্বে আর সেই সব কিছু লিখলাম না। সেইখান থেকে তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দুটি পর্বের মাধ্যমে শেয়ার করার তোমাদেরকে আমি বলেছিলাম। দুইদিন আগে প্রথম পর্বটি শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে দ্বিতীয় পর্বটি শেয়ার করছি।
"পঞ্চাশ বছর আগে জাপানিজ বনে ধ্যানরত সাধুদের ভাস্কর্য। সাধুরা মানুষকে নিঃস্বার্থ দান করার আনন্দ গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল যা অভ্যন্তরীণ সুস্থতা এবং আধ্যাত্মিক বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। তাদের সাথে কিছুক্ষণ বসে থাকলে সুখকর অনুভূতির দেখা পাওয়া যায় ।"
-এমন কিছু কথা ভাস্কর্যের নিচে লেখা ছিল।
নতুন একটি প্যাগোডা তৈরীর কাজ চলছিল। এই প্যাগোডাটি সম্পূর্ণভাবে কাঠ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল। যদিও এর কাছে যাওয়ার সুযোগ ছিল না তাই দূর থেকেই দেখতে হয়েছিল।
জাপানিজ ধর্মীয় বিশ্বাসের বড় একটি অংশ হলো এটি। জাপানিজ ফরেস্ট এর মধ্যে একটি প্যাগোডা ছিল। প্যাগডার সামনে তামার তৈরি সিলিন্ডার আকৃতির জিনিসগুলোর উপর জাপানিজ ভাষায় এইসব লেখা ছিল। লেখাগুলোর মানে তো আমি ঠিক জানিনা, তবে ধর্মীয় বিশ্বাস আছে এটি হাত দিয়ে ঘোরালে মনোকামনা পূর্ণ হয়।
ফটোগ্রাফিটিতে যে গেটটি দেখা যাচ্ছে এই গেটের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করলে বেশ সুন্দর ডিজাইন করা সিঁড়ি ছিল। সিঁড়িগুলোর ডিজাইন আমার কাছে বেশ ইউনিক লেগেছিল।
কাঠের তৈরি একটি বাঁকানো ব্রিজ। জাপানিজ ফরেস্টের কয়েক জায়গায় এরকম ব্রিজ দেখেছিলাম। বেশ সুন্দর লাগছিল এই ব্রিজ গুলো দেখতে।
এটি হলো জিগ জ্যাগ ব্রিজ। জেন শিক্ষা অনুসারে জিগ জ্যাগ ব্রিজ এর একটা বিশেষত্ব আছে। এই ব্রিজ এর উপর দিয়ে হাঁটার সময় মনোযোগ কেন্দ্রীভূত হয়।
পিলারের সারি অনেকটা বাঁকানো ভাবে পরপর এইখানে সাজানো ছিল। সন্ধ্যার সময় এর ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় কিছুটা ভয়ও লাগছিল।
একটি গাছের নিচে মাটির ঢিবির উপর একজন বয়স্ক পুরুষ এবং বয়স্ক মহিলার মুখের ভাস্কর্য রাখা ছিল।
This post was selected for Curación Manual (Manual Curation)
@tipu curate
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted 👌 (Mana: 3/7) Get profit votes with @tipU :)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জাপানিজ ফরেস্টের আমি প্রথম পর্ব দেখেছি ।আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে জাপানিজ ফরেস্টের বাইরের প্রাকৃতিক সৌন্দর হৃদয় ছুঁয়ে গেল। অসাধারণ দৃষ্টিনন্দন স্থানে গেলে বিষন্ন মন এমনিতে ভালো হয়ে যাবে। আপনি অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির বেশ অসাধারণ ছিলো। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জাপানিজ ফরেস্টের দুটি পর্বই আপনি দেখেছেন শুনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit