বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও মোটামুটি ঠিক আছি। |
---|
মাঝে মাঝে বাইরে থেকে টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করতে একেবারে খারাপ লাগে তা কিন্তু নয়। বাইরে থেকে খাওয়া দাওয়া করতে গেলে একটু বেশি টাকার প্রয়োজন পড়ে তাই পকেট একটু বেশি টাকা না আসলে আর রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয় না। যখন দেখি পকেটে একটু বেশি টাকা আছে তখন বাইরে খাওয়ার কোনো না কোনো প্ল্যান করে বসি। এই তো গত কালকের কথাই শেয়ার করছি, দুপুর পর্যন্ত আমার কাছে একটা টাকাও ছিল না , দুপুরের পরে মা আমার কাছে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যাংকে রেখে আসার জন্য বলে এবং মাসখানেক পরে পুনরায় ব্যাংক থেকে তুলে দেওয়ার জন্য বলে।
যেহেতু ১০ হাজার টাকা এক মাস পরে মাকে তুলে দেওয়ার জন্য বলেছিল তাই ভাবলাম এখান থেকে ৫০০ টাকার মত নিয়ে আমি আমার নিজের পিছনে খরচ করি এবং বাকি টাকাটা ব্যাংকে রেখে দিই। পরে যখন আমার কাছে টাকা আসবে আমার টাকা থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে মাকে ১০ হাজার টাকা পূর্ণ করে তারপরে দেব। যাইহোক এই ভেবে মায়ের ব্যাংকে জমা করা টাকা থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে নিজের পকেটে রাখি এবং বাকি টাকা দুপুরের দিকেই ব্যাংকে জমা করা আসি। সন্ধ্যার দিকে আমার এক বন্ধুর সাথে প্ল্যান করে গেলাম স্টার মলের উদ্দেশ্য।
আমার বিভিন্ন ব্লগে এই স্টার মল বারবার চলে আসে কারণ আমাদের এইখানে সবথেকে বড় মল এটি । আর মাঝে মাঝেই আমার এখানে যাওয়া হয়। কোন সময় শপিং করতে, কোন সময় মুভি দেখতে, আবার কোন সময় খেতে। এই শপিং মলে একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে তার নাম হলো গ্লাস হাউস। আমি আগে কোনদিন এইখানে যাইনি। দূর থেকে এই রেস্টুরেন্টটি সবসময় দেখেছি এবং এই রেস্টুরেন্টের সামনে দিয়ে সব জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছি। এবার বন্ধুর সাথে প্ল্যান করে ভাবলাম আমরা এই গ্লাস হাউজের মধ্যে কি আছে গিয়ে দেখে আসি। নতুন একটি রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়ে আসাও হবে আবার দেখে আসাও হবে। সেই ভাবনা থেকে বন্ধুর সাথে চলে গেলাম এই গ্লাস হাউস রেস্টুরেন্টের মধ্যে ।
এখানে গিয়ে তো অবাক হয়েছিলাম! কারণ এটা শুধু রেস্টুরেন্ট ছিল না, এটি একটি বারও ছিল। যেখানে অ্যালকোহল জাতীয় পদার্থ মানুষ বসে সেবন করতে পারে কিন্তু আমরা যেহেতু খাই না তাই আমরা আমাদের জন্য অন্য খাবার অর্ডার করার সিদ্ধান্ত নি। আমরা সেখানে গিয়ে প্রথমে আমাদের জন্য মোমো অর্ডার করি কিন্তু সেখানে মোমো না থাকায় আমরা পুনরায় খাবারের আইটেম গুলো দেখে নিজেদের জন্য চাওমিন অর্ডার করেছিলাম। এখানে খাবারের বেশ দাম ছিল তাই চাওমিন বাদে অন্য কোন খাবার আমরা অর্ডার করিনি। দুইজনের দুই প্লেট চাওমিন খেতেই প্রায় ৪১০ টাকা লেগে গেছিল।
এই রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা বেশ সুন্দর ছিল। মলের মধ্যে সব জায়গায় এয়ার কন্ডিশন থাকে এবং সব জায়গায় যথেষ্ট ঠান্ডা থাকে কিন্তু এই রেস্টুরেন্টের মধ্যে গিয়ে আরো বেশি ঠান্ডা লাগছিল। বেশি ঠান্ডার কারণে চাওমিনও দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছিল তাই আমরা সেই চাওমিন দ্রুত খেয়ে শেষ করি ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার আগে। চাওমিন এর কোয়ালিটি বলতে বেশ ভালোই ছিল। আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল। আমি অনেক জায়গা থেকেই চাওমিন খেয়েছি সব জায়গার টেস্ট মোটামুটি একই থাকে। চাউমিন খাওয়া শেষ করে আমরা দুই বন্ধু সেখানে বসে কিছু সময় গল্প করি। তারপর বিল আসলে সেই বিল পে করে আমরা বেরিয়ে আসি। বিলের সাথে আমি ৩০ টাকা টিপসও দিয়েছিলাম। এই টিপস এর পরিমাণ যথেষ্ট কম ছিল তবে আমি যেহেতু খুব বেশি টাকা ইনকাম করি না তাই আমার জন্য এটাই অনেক ছিল।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: স্টার মল, মধ্যমগ্রাম, ওয়েস্ট বেঙ্গল।