ট্রাভেল || উদ্দেশ্য মায়াপুর ভ্রমণ (পর্ব -০৬) শেষ পর্ব

in hive-129948 •  9 months ago 

বন্ধুরা,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে মায়াপুর ভ্রমণের উদ্দেশ্য যাওয়া নিয়ে শেষ পর্বে কিছু কথা শেয়ার করব। যদিও এই পর্বে বেশি কিছু শেয়ার করার নেই, অল্প কথায় শেষ করবো এই পর্ব ।

পঞ্চম পর্বের লিঙ্ক

20230308_164251.jpg

20230308_155544.jpg

মন্দিরের পুকুরপাড় থেকে উঠে আমরা মূল মন্দিরের দিকে গিয়ে প্রথমে আমাদের জুতো, মোবাইল একটা নির্দিষ্ট রাখার জায়গায় রেখে দেই। মূল মন্দিরের মধ্যে মোবাইল অথবা ক্যামেরা জাতীয় অন্য কোন কিছু নিয়ে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। ইচ্ছা তো অনেক ছিল মন্দিরের ভিতরে গিয়ে অনেক অনেক ফটোগ্রাফি করার, তবে ভিতরে গিয়ে ফটোগ্রাফি করার কোন সুযোগ ছিল না। মন্দিরের বাইরে থেকে যতগুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম তাই নিয়ে খুশি থাকতে হয়েছিল আমাদের। যাই হোক, সেখানে হাজার হাজার দর্শনার্থী এসেছিল সেই দিন। সবাইকে লাইন ধরে ধরে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে হয়েছিল। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের দর্শনার্থী এখানে প্রতিদিনই আসে। এর ভিতরে ঢুকতে আমাদের প্রায় ১৫ মিনিটের মত দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল । আমি, আমার বান্ধবী এবং বান্ধবীর দিদি ১৫ মিনিট পরে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারি। এই মন্দিরের ভিতরটা ছিল অসাধারণ। নিচ থেকে উপরের দিকে তাকালে মনে হচ্ছিল অন্য কোন জগতে চলে এসেছি । এর ভিতরে গিয়ে একটা অন্যরকম শান্তি অনুভব হচ্ছিল।

20230308_163319.jpg

20230308_155600.jpg

আমরা যখন গেছিলাম তখন এখানে কৃষ্ণ নাম হচ্ছিল । আমরা সবাই মন্দিরের একটা অংশ বসে এই কৃষ্ণ নাম শুনি। মন শান্ত হয়ে যায় এমন কৃষ্ণ নাম শুনলে। আমরা ভিতরে কিছু সময় বসে মন্দিরের ভিতরের অনেক জায়গায় ঘুরেছিলাম। এত সুন্দর সুন্দর জায়গা ছিল খুবই ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছে করছিল কিন্তু উপায় ছিল না। ভিতরে অনেক বইয়ের দোকান ছিল। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের জিনিস ছিল যা আমাদের ধর্ম রিলেটেড। এইখানের সবকিছুর যথেষ্ট দাম ছিল এইজন্য সেখান থেকে আমি কোনো কিছু কিনি নি। তবে আমার সাথে আমার যে বান্ধবী এবং বান্ধবীর দিদি গেছিল তারা নিজেদের জন্য কিছু কিছু জিনিস কিনেছিল।

20230308_155547.jpg

20230308_154532.jpg

আমার সাথে আমার যে বান্ধবী ছিল তার দিদি ছিল প্রচন্ড কৃষ্ণ ভক্ত। সে এইখানে গিয়ে আরও বেশি সময় কাটাতে চাইছিল তবে আমাদের হাতে সময় বেশি ছিল না । আমরা সবার শেষে এখানে এসেছিলাম তারপরও যতটা সময় সম্ভব ছিল ততটা সময় এখানে থেকে সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখেছিলাম। অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল এখানে গিয়ে সেদিন। ঘোরাঘুরি শেষ করে মন্দির থেকে বের হয়ে আমরা আমাদের মোবাইল, জুতো নিয়ে মন্দির থেকে বেরিয়ে পড়ি। ছয়টি পর্বের মাধ্যমে মায়াপুর ভ্রমনের পুরো ঘটনা গুলো তোমাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে আজ।



ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: মায়াপুর, ওয়েস্ট বেঙ্গল।



বন্ধুরা , মায়াপুর ভ্রমনের উদ্দেশ্যে যাওয়া নিয়ে শেয়ার করা আজকের শেষ পর্বের ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

খুব ভালো লাগলো দেখতে যে আপনি মায়াপুর এ ঘুরতে গিয়েছিলেন। আমার দিদির বাড়িও ওখানে । কিছুদিন আগেই আমি গিয়েছিলাম ঐখানে , খুব ভালো লাগলো দেখে যেই নতুন মন্দির টা তৈরি হচ্ছে । আশা করি , কিছু মাস এর মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে , অনেকটাই হয়ে গেছে কমপ্লিট।

ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জন্য। হ্যাঁ ভাই, কিছু মাস এর মধ্যে এটি পরিপূর্ণ ভাবে তৈরি হয়ে যাবে এটা আমিও শুনেছি।