বন্ধুরা ,
সবাই তোমরা কেমন আছো ? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক অনেক ভালো আছি। |
---|
কয়েকদিন আগে আমি এবং আমার একটি বন্ধু গেছিলাম ইকোপার্কে একটু ঘোরাঘুরি করার জন্য। ইকোপার্কে ঘোরাঘুরি নিয়ে কয়েকদিন পরে তোমাদের সাথে ব্লগ শেয়ার করব। ইকো পার্ক থেকে বের হওয়ার সময় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হস্তশিল্প মেলার মধ্যে দিয়ে আমাদের আসতে হবে সেটা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। এই মেলা সম্পর্কে আমরা আগে থেকে জানতামই না। সারাদিন ইকো পার্কে ঘোরাঘুরি শেষ করে সন্ধ্যার দিকে যখন ইকো পার্কের ৬ নম্বর গেট দিয়ে বের হয়েছিলাম, কিছুদূর হেটে আসার পরেই আমরা এই মেলার শুরুটা দেখতে পাই। প্রথম প্রথম আমরা বুঝে উঠতে পারছিলাম না এখানে কি হচ্ছে! একটু এগিয়ে সামনে আসার পরেই বুঝতে পারলাম এখানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সবথেকে বড় হস্তশিল্প মেলা হচ্ছে।
আমি আগে আমাদের বারাসাতে অনুষ্ঠিত হস্তশিল্প মেলায় গেছি, সেই তুলনায় এটি ছিল প্রায় ১০ থেকে ১২ গুন বড়। এত বড় হস্তশিল্প মেলা আমি আমার লাইফে প্রথম সেই দিনই দেখলাম। এত বড় মেলা দেখে আমি এবং আমার বন্ধু দুজনেই সারপ্রাইজ হয়ে গেলাম। ইকো পার্ক থেকে বের হয়ে আমাদের তখনই বাড়ি আসার কথা ছিল কিন্তু আমরা এত বড় মেলা দেখে এখানে কিছুটা সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিলাম দুইজনেই। তারপর হস্তশিল্প মেলায় আমাদের ঘোরাঘুরি শুরু হল। হস্তশিল্প মেলায় ঘুরতে ঘুরতে আমরা এমন এমন জিনিস দেখলাম যা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। হস্তশিল্পীদের হাতের কাজগুলো দেখার মত ছিল। তাদের নিখুঁত হাতের কাজ গুলো দেখে বেশ ভালো লেগেছিল।
বাঁশ, কাঠ ,বেদ, পেপার, মাটি এবং অন্যান্য অনেক জিনিস দিয়ে তারা এত সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করেছিলো যা সবার নজর কেড়ে নিচ্ছিল। আমরা প্রথম প্রথম ভাবছিলাম এই হস্তশিল্প মেলা থেকে কিছু জিনিস কিনে নিয়ে যাব কারণ আমাদের অনেক জিনিসই খুব পছন্দ হয়েছিল কিন্তু আরেকটা ভয়ের কারণে আমরা তা করি নি। এই সময়টাতে বাসে এত পরিমাণে ভিড় হয় কোনো জিনিস কিনে আমরা বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারবো না এটা আমরা আগে থেকেই জানতাম। এই জন্য মেলা থেকে কোন কিছু না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কেনার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও। যাইহোক না কিনলে যে দেখা যাবে না সেরকম তো কোন ব্যাপার না তাই পরে মেলার এক অংশ থেকে অন্য অংশে ঘুরে ঘুরে সবকিছু ভালো করে দেখলাম। ঘুরতে ঘুরতে অনেক ফটোগ্রাফিও করেছিলাম।
এইখানের আর একটা জিনিস খুব ভালো লাগলো তা হলো এইখানে বসেই মানুষ বাঁশ, বেদ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করছিল সবার সামনেই যা সাধারণত গ্রামে দেখা যায়। মানুষ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই জিনিসগুলো তৈরি করা উপভোগ করছিল। আমরা হস্তশিল্পের কদর কমই করি তাই দিনে দিনে এই হস্তশিল্প আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের উচিত এই শিল্প ও শিল্পীদের কদর করা এবং এই হস্তশিল্প টাকে সামনের দিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত এত বড় হস্তশিল্প মেলার উদ্দেশ্যই ছিল এই শিল্পীদের সবার সামনে তুলে ধরা এবং তাদের কাজগুলো যেন সবাই দেখে বুঝতে পারে আমাদের এই হস্তশিল্পের কাজগুলো কত সুন্দর।
হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয়েছিল এই হস্তশিল্প মেলায়। মানুষ বিভিন্ন ধরনের জিনিস কিনে নিয়ে যাচ্ছিল। ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মধ্যে দর কষাকষি দেখতে আমার বেশ ভালই লাগছিল। এই মেলায় আমরা প্রায় ৩০ মিনিটের মত ঘুরেছিলাম। ঘুরতে আমার বেশ ভালোই লাগছিল কিন্তু আমরা যেহেতু সন্ধ্যার পরে গেছিলাম আর আমাদেরও বাড়ি ফেরার ব্যস্ততা ছিল তাই তাড়াতাড়ি সেখান থেকে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি বাসে করে। এই হস্তশিল্প মেলা কত দিন থাকবে আমি সঠিক ভাবে জানি না কিন্তু আমার আবার ইচ্ছা রয়েছে সেখানে পুনরায় যাওয়ার এবং কিছু কিছু জিনিস কিনে নিয়ে আসার।
ভাইয়া আমি তো জাস্ট অবাক হয়ে হস্তশিল্পীর প্রতিটা জিনিস জুম করে দেখছি। আমার কাছে হস্তশিল্পী খুবই ভালো লাগে। মাটির তৈরি, বাসের তৈরি ,কাঠের তৈরি প্রত্যেকটা জিনিস জাস্ট চোখ জড়িয়ে যাওয়ার মত। দেখে বোঝা যাচ্ছে ভাইয়া বেশ বড়সড় মেলা বসেছে। যাইহোক মেলার সুন্দর সুন্দর জিনিস গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আমিও অনেক অবাক হয়ে গেছিলাম প্রতিটা জিনিস দেখে। এটি ওয়েস্ট বেঙ্গলের সবথেকে বড় হস্তশিল্প মেলা ছিল তাই অনেক বড় জায়গা নিয়ে এই মেলা হচ্ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার কিন্তু ভীষণ ভালো লাগলো পুরো মেলাটা। আপনি বলছিলেন অনেক বড় মেলা এবং অসংখ্য জিনিসপত্র এখানে উঠেছে। প্রতিটি ছবি দেখলাম আর ভাবছি তাদের হাতের কাজগুলো কি নিখুঁত সুন্দর। বাসে ভিড়ের জন্য জিনিসপত্র তেমন কিনলেন না, এটা একদিক থেকে ভালোই হয়েছে।
যাক সবমিলিয়ে ভীষণ ভালো লাগলো পোস্টটা।
ধন্যবাদ ভাই আমাদের সাথে পুরোটা ভাগ করে নেয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সম্পূর্ণ ব্লগটি খুব ভালোভাবে পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ । হ্যাঁ ভাই অনেক বড় মেলা হয়েছিল এবং এত জিনিস উঠেছিল আমি তো সবকিছু দেখেই শেষ করে পারছিলাম না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হঠাৎ করেই এতো বড় মেলা দেখলে আবাক হওয়ার-ই কথা ৷ হস্তশিল্প মেলার জিনিস গুলো আমারও অনেক ভালো লেগেছে ৷ চমৎকার চমৎকার কিছু আসবাবপত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে ৷ যাই হোক আপনি বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন যদিও বাড়ি ফেরার তারা ছিলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাই বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছিলাম। বাড়ি ফেরার ব্যস্ততা না থাকলে আরো অনেক টাইম ঘুরে ঘুরে দেখতাম যদিও।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইকো পার্কের পাশেই এত বড় মেলা হয় আমি তো আগে জানতাম না। দুই-একদিনের মধ্যেই আমি এখানে ঘুরতে যাব। এত বড় হস্তশিল্প মেলা মিস করা যাবে না। মেলা ঘুরে বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন যা দেখা বেশ ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাই গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন বিশাল বড় হস্তশিল্প মেলা । সেখানে গিয়ে পুরোপুরি ঘুরতে অনেকটা সময় লেগে যাবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit