লাভ সিটি ক্যাফেতে চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়া

in hive-129948 •  2 months ago 

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও বেশ ভালো আছি।

বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ক্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে বাইরে গিয়ে টুকটাক খাওয়া-দাওয়া নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো। তোমরা সবাই জানে যে মাঝে মাঝে বাইরে গিয়ে আমি টুকটাক খাওয়া দাওয়া করে থাকি। কোন সময় বন্ধুদেরকে সাথে নিয়ে কোন সময় পরিবারের লোকজনদের সাথে নিয়ে বাইরে বাইরে খাওয়া দাওয়া হয়। তবে অধিকাংশ সময় সন্ধ্যার সময় যখন যাই বন্ধুদেরকে সাথে করে নিয়েই যাই কোন ক্যাফে বা রেস্টুরেন্টে টুকটাক খাওয়া-দাওয়ার উদ্দেশ্যে। আজ দুপুরের দিকে আমার এক বন্ধু মিহিরের সাথে কথা হচ্ছিলো। আসলে এ আমার অনেক পুরনো এক বন্ধু। আজ হঠাৎ কথা হওয়ার সময় আমরা বিকেলে একটু বের হওয়ার প্লান করি। আসলে এই বন্ধুর সাথে তেমন একটা বের হওয়া হয় না।

20241106_172547.jpg

20241106_172540.jpg

20241106_172543.jpg

যাইহোক, বিকেলের দিকে বেরিয়েছিলাম দুই বন্ধু মিলে বাইকে করে। আসলে অনেক আগে বাইকে করে দাদা বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতাম। বিকেলের সময়টাতে ঘুরতে বেশ ভালই লাগে। আজ বিকালে ঘুরতে গিয়ে আমরা কোন একটি জায়গা খুঁজছিলাম সেখানে বসে টুকটাক খাওয়া দাওয়া করা যায়।অবশেষে খুঁজতে খুঁজতে আমরা লাভ সিটি নামক একটি ক্যাফে দেখতে পাই। আসলে ক্যাফেটি নতুনই খুলেছে আগেও ব্যারাকপুর রোডের সাইডে অনেক ক্যাফেতে গেছি।তবে সেই সময় এই ক্যাফেটি তৈরি হয়নি।

20241106_172534.jpg

20241106_172549.jpg

20241106_172553.jpg

এটা খুব সম্ভবত রিসেন্টলি খুলেছে। এই কারণে যখন আজ গেছিলাম এটা দেখতে পেয়েছি। এটা দেখতে পেয়ে আমরা দুই বন্ধু মিলে আমার এই ক্যাফেতে চা খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। আসলে চা কেমন হবে তাই নিয়ে আমাদের একটু কনফিউশনও ছিল ।যেহেতু নতুন ক্যাফে ছিল পুরনো ক্যাফে হলে তার টেস্ট হয়তো আমাদের জানা থাকতো। কারণ ব্যারাকপুর রোডের অনেক ক্যাফেতেই আমাদের টুকটাক খাওয়া দাওয়া হয়ে থাকে। যাইহোক, এই ক্যাফেতে যাওয়ার পর গিয়ে দেখি ক্যাফেতে কোন লোকজন তেমন নেই। আর সন্ধ্যার কিছুটা আগেই গেছিলাম বলতে গেলে। এইজন্য দেখছিলাম তারা তাদের সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছে। যাইহোক, আমি আমার জন্য চা অর্ডার করি এবং আমার বন্ধু তার জন্য চিকেন পকোড়া অর্ডার করে। আসলে আমি চা বাদে অন্য কিছু খেতে চাইনি।

20241106_172556.jpg

20241106_172610.jpg

20241106_173503.jpg

সেজন্য আমার নিজের জন্য কোন কিছু অর্ডার করিনি। আমরা দুই বন্ধু মিলে এখানে বসে গল্প করতে থাকি। যেহেতু তারা সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছিলো এজন্য তাদের পকোড়া করতে একটু সময় লেগে গেছিলো। প্রায় কুড়ি মিনিট পরে তারা চিকেন পকোড়া আমাদের টেবিলে দিয়ে যায়।তবে তার আগেই চা দিয়েছিল। চা এর টেস্ট আমার কাছে মোটামুটি লেগেছিলো। খুব বেশি ভালো লেগেছিলো সেটা বলবো না। এভাবে আমরা দুই বন্ধু মিলে একটা খাওয়া দাওয়া করে কিছু সময় সেখানে কাটাই।তারপর আমরা আবার বেরিয়ে পড়ি অন্য আরেকটি জায়গার উদ্দেশ্যে।


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনব্যারাকপুর রোড , বারাসাত, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

First_Memecoin_From_Steemit_Platform.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png