চায়ের বাড়ি

in hive-129948 •  last year 
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও মোটামুটি ঠিক আছি।

বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্ট গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে আমার বেশ ভালো লাগে। নানা ধরনের জায়গায় গেলে নতুন নতুন খাবার গুলো খেয়ে দেখার সুযোগ হয়। নতুন নতুন খাবারের টেস্ট নেওয়া সে এক দারুন অভিজ্ঞতা। আমাদের বাড়ির কাছের বারাসাত এবং মধ্যমগ্রাম এই দুটি জায়গায় প্রচুর পরিমাণে রেস্টুরেন্ট রয়েছে। গত সাত থেকে আট বছরের মধ্যে নতুন নতুন রেস্টুরেন্টের সংখ্যা অনেক গুণ বেড়েছে। এই দুটি জায়গায় অবস্থিত অনেক রেস্টুরেন্টে আমি বিভিন্ন সময় খেয়েছি। কোনভাবে আমি যদি খোঁজ পাই নতুন কোন রেস্টুরেন্ট হয়েছে তাহলে আমি চেষ্টা করি সেখানে গিয়ে পছন্দের খাবারগুলো খেয়ে দেখার। কিছুদিন আগেই ফেসবুকের একটা পোস্টের মাধ্যমে মধ্যমগ্রামের চৌমাথায় নতুন একটি রেস্টুরেন্ট হয়েছে খোঁজ পাই । রেস্টুরেন্টের নাম হল চায়ের বাড়ি

20230525_191818.jpg

20230525_191252.jpg

এই নাম শুনে প্রথমে ভেবেছিলাম এখানে শুধু চা ই পাওয়া যায় কিন্তু পরে আমার এই ধারণা ভুল হয় যখন সেই ফেসবুক পোস্টের মধ্যে ঢুকে এই রেস্টুরেন্টের খাবারের মেনুগুলো দেখি । তখন দেখি এটি একটি মোটামুটি বড় রেস্টুরেন্ট এবং এখানে যাবতীয় সব ধরনের খাবার কমবেশি পাওয়া যায়। সব থেকে বেশি আকর্ষিত করেছিল এই রেস্টুরেন্টের খাবারের দাম গুলো । যথেষ্টই কম দাম ছিল অন্যান্য রেস্টুরেন্টের থেকে। এই পোস্টটি দেখার পরই মন স্থির হয় এখানে গিয়ে খাবার গুলো একটু টেস্ট করে দেখব। তাই কিছুদিন আগে সময় বের করে এক বন্ধুর সাথে গেছিলাম এই রেস্টুরেন্টে। এখানে যাওয়ার জন্য প্রথমে আমাকে মধ্যমগ্রাম স্টেশনে যেতে হয়। সেখান থেকে টোটো করে চলে যায় সরাসরি চৌমাথায় । চৌমাথায় পৌঁছানোর পরেই এই রেস্টুরেন্টটি আমার চোখে পড়ে।

20230525_185028.jpg

20230525_185021.jpg

যাওয়ার আগে লোকেশন এর ব্যাপারটা খুব ভালোভাবে জেনে গেছিলাম সেই জন্য যাওয়ার সাথে সাথে পেয়ে গেছিলাম রেস্টুরেন্টটি। যাই হোক সেখানে পৌঁছানোর পর সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠে যাই রেস্টুরেন্টের ভিতরে। রেস্টুরেন্টের সবকিছু একদম সাজানো গোছানো ছিল। রেস্টুরেন্টের দেওয়ালে বিভিন্ন আর্ট ও ডেকোরেশন করে তারা খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তুলেছিল। রেস্টুরেন্টে সেই সময় খুব একটা ভিড় ছিল না। সেই জন্য বসার জায়গা নিয়ে কোন সমস্যা হয়নি। গিয়ে সুন্দর জায়গা দেখে আমি এবং আমার বন্ধু বসে পড়ি । তারপর মেনু দেখে খাবারের জন্য অর্ডার করি। রেস্টুরেন্টের নাম যেহেতু চায়ের বাড়ি তাই প্রথমে আমরা চা ই অর্ডার করি । দুই জনের জন্য দুই কাপ। পরে খাবারের মেনু থেকে আমি আমার নিজের জন্য একটি বার্গার অর্ডার করি এবং আমার বন্ধু তার জন্য চিকেন নাগেট অর্ডার করে।

20230525_184346.jpg

20230525_184030.jpg

দুই বন্ধু চা খেতে খেতে গল্প করি ১৫ মিনিট। গল্প করার সময় আমাদের অর্ডার করা বার্গার এবং চিকেন নাগেট চলে আসে। এগুলোর দাম খুব একটা বেশি পড়েনি। মোটামুটি অল্প টাকার মধ্যে হয়ে গেছিল। কিন্তু টাকা কম থাকলেও টেস্ট যথেষ্টই ভালো ছিল। খাবারগুলো খাওয়ার পূর্বে খাবারের কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। তাছাড়া রেস্টুরেন্ট এর ভিতরের পরিবেশটা খুব সুন্দর লেগেছিল আমার কাছে তাই রেস্টুরেন্টের ভিতরেও কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। যাইহোক খাওয়া-দাওয়া শেষ করার পরে পেমেন্ট করার সময় তারা খাবার সম্পর্কে আমাদের মন্তব্য জানতে চায়। যেহেতু রেস্টুরেন্ট টি নতুন করেছে তাই খাবারের কোয়ালিটি এবং টেস্ট কেমন ছিল সেই বিষয়ে আমাদের মতামত চাইছিল। আমরা ভালো রেটিং দিয়ে আসি তাদের পরিবেশন করা খাবার গুলোকে।

20230525_184027.jpg



বন্ধুরা, "চায়ের বাড়ি" যাওয়া নিয়ে শেয়ার করা ব্লগটা তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

ইউনিক একটা নেম দেখে আমিও অবাক হয়ে গেছে, আমিও ভেবেছি এখানে চায়ের বাহারি রকমের মেনু দেয়া থাকবে, পরবর্তীতে দেখতে পেলাম এখানে সব ধরনের খাবার রয়েছে। যাইহোক ডেকোরেশনটা কিন্তু খুবই চমৎকার ছিল।

Posted using SteemPro Mobile

হ্যাঁ ভাই রেস্টুরেন্ট টির নামটা বেশ ইউনিক ছিল ।আমিও প্রথমে আপনার মত ভেবেছিলাম এখানে বিভিন্ন রকমের চা পাওয়া যাবে শুধু।

এটা অনেক বড় সৌখিন কাজগুলোর মধ্যে একটি। নাম শুনে আমিও প্রথমে ভাবলাম শুধু চা পাওয়া যায় হয়তো। যাক বেশ কিছু খাবারের অর্ডার দিয়েছেন এবং বেশ গল্প গুজবে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে। পুরো পরিবেশটা বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে।

Posted using SteemPro Mobile

আপনার সুন্দর মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

চায়ের নাম শুনে আপনার পোস্ট পড়তে শুরু করলাম ভাই, কেননা চায়ের প্রতি আমার আলাদা একটা দুর্বলতা রয়েছে। কেননা প্রতিদিন আমার মিনিমাম ১২ থেকে ১৫ কাপ চা লাগে। আবার কোন সময় এর থেকেও বেশি চা খেয়ে ফেলি। আমিও প্রথমে ভেবেছিলাম, চায়ের বাড়ি রেস্টুরেন্টে শুধু চাই পাওয়া যাবে, তবে আমার ভাবনাটাও ভুল ছিল, এই রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন ধরনের খাবারও পাওয়া যায়। আর আপনার ফটোগ্রাফিতে থাকা চায়ের পেয়ালা টা দেখে মনে হচ্ছে চা খেতে খুবই স্বাদ পাওয়া গেছে। যাইহোক ভাই, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চায়ের বাড়ি রেস্টুরেন্টে কাটানো সময় টুকু আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

ভাই আপনার চা খাওয়ার কথা শুনে আমি তো অবাক হয়ে গেলাম। ১২ থেকে ১৫ কাপ চা সে তো বিশাল ব্যাপার!
আমি তো ছয় মাসেও এত কাপ চা খাই না।

আসলে নতুন রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করার মজাই আলাদা। কারণ প্রথমত খাবারের দাম তুলনামূলকভাবে কম থাকে এবং দ্বিতীয়ত খাবার কোয়ালিটিও বেশ ভালো থাকে। এই ধরনের রেস্টুরেন্টে সময় কাটাতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। চিকেন নাগেট আমার খুব পছন্দ। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছিল। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাই। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

এটা ঠিক কথা ভাই নতুন কোন রেস্টুরেন্ট খুললে সেখানে খাবারের দাম তুলনামূলক কমই রাখে। আমি যে রেস্টুরেন্টটিতে গেছিলাম সেটি বেশ ভাল ছিল । বেশ সুন্দর সময় পার করেছিলাম তাছাড়া খাবারগুলোও বেশ ভাল ছিল।

ভাইয়া আমিও প্রথম ভেবেছিলাম যেহেতু রেস্টুরেন্টের নাম চায়ের বাড়ি তাই শুধু চা ই হবে। কিন্তু ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি তে রেস্টুরেন্টের রিভিউ শোনে। রেস্টুরেন্ট টি আসলে দেখতে খুব সুন্দর ভাইয়া ।ভিতরের পরিবেশ মনোরম ।তবে রেস্টুরেন্টের খাবারের তুলনায় দাম কম শুনে আরো বেশি ভালো লেগেছে। ইন্ডিয়া থাকলে অবশ্যই একবার গিয়ে ট্রাই করতাম। কারন নতুন নতুন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার ট্রাই আমার কাছে খুব ভালো লাগে।

হ্যাঁ আপু রেস্টুরেন্ট এর ভিতরের পরিবেশ বেশ মনোরম ছিল আর খাবার গুলোর দামও বেশ কম ছিল।

এত সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে আপনার সুন্দর মন্তব্যটি আমাদের সামনে রাখার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।