লাইফ স্টাইল || বন্ধুরা মিলে আরসালানে বিরিয়ানি খেতে যাওয়া

in hive-129948 •  25 days ago 

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি।

বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে তোমাদের সাথে লাইফস্টাইল রিলেটেড একটি পোস্ট আমি শেয়ার করবো। আসলে বেশ কিছুদিন আগে আমি বন্ধুদের সাথে গেছিলাম কলকাতার আরসালানে বিরিয়ানি খাওয়ার উদ্দেশ্যে। তাই নিয়েই কিছু কথা আসলে শেয়ার করবো। আমাদের বাড়ির কাছাকাছি কোন জায়গায় আসলে আরসালানের বিরিয়ানির দোকান নেই। আসলে নেই বললে ভুল হবে তবে কোয়ালিটি মেনটেনের যে ব্যাপার থাকে। সেই ব্যাপারটা আমাদের এখানে পাওয়া যায় না। এই ব্যাপারটা আমি আমার বন্ধুর কাছ থেকেই জানতে পেরেছিলাম। যাইহোক, বিশেষ একটি কাজে আমরা কলকাতাতে গেছিলাম বেশ কয়েকজন বন্ধু বান্ধব মিলে। সেখানে যাওয়ার পর আমাদের প্ল্যান হয় আমরা আরসালানে বিরিয়ানি খাবো। এই আরসালান বিরিয়ানির যে রেস্টুরেন্টটি ছিলো সেটি ছিল পার্ক স্ট্রিটে।

20240825_152232.jpg

20240825_152211.jpg

পার্ক স্ট্রিটে গেলে আসলে কলকাতার অনেক কিছুই দেখা যায়। এইসব দেখতে দেখতে আমরা সেই বিরিয়ানির দোকানে পৌঁছেছিলেন। যেহেতু প্রথমে আমরা চিনতে পারছিলাম না তাই লোকজনের কাছে শুনে শুনে সেখানে গেছিলাম। আমি আগে কখনো এই আরসালান বিরিয়ানিতে যাইনি। যাইহোক, সেখানে যাওয়ার পর আমাদের একটি টেবিল সিলেক্ট করতে হয়। যেহেতু আমরা সাতজন ছিলাম সেই হিসেবে আমাদের একটি বড় টেবিলে দেওয়া হয়। আমরা সেখানে গিয়ে বসার পর যে যার মত করে খাবার খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। আসলে ওইখানে বিরিয়ানির জন্যই ফেমাস এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে যার মত করে বিরিয়ানি খাবো। এখানে অনেক পদেরই বিরিয়ানি ছিল। ভেজ বিরিয়ানি, চিকেন বিরিয়ানি, মটন বিরিয়ানি আবার এইসবের মধ্যেও কিছু কিছু ভাগ ছিল স্পেশাল চিকেন বিরিয়ানি, স্পেশাল মটন বিরিয়ানি।

20240825_152223.jpg

20240825_152201.jpg

যাইহোক, খাবারের মেনু দেখার পর আমরা আমাদের খাবারগুলো সিলেক্ট করি প্রথমে। আমি আমার জন্য ভেজ বিরিয়ানি এবং আমার অন্যান্য বন্ধু বান্ধব কেউ কারোর জন্য করেছিল মটন আবার অন্য কেউ করেছিল চিকেন বিরিয়ানি অর্ডার। অর্ডার করার পরে আমরা হাত ধোয়ার জন্য ওয়াশ রুমে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি বেশ ভিড় তাই কিছুটা সময় আমাদের লাইন দিয়ে ওয়েট করতে হয়। তারপরে ওয়াশরুমে যাওয়ার সুযোগ হয়।তারপর সেখান থেকে আমরা একটু হাত ধুয়ে মুখে জল দিয়ে আসি। কারন আমরা অনেকটা জার্নি করেই সেখানে গেছিলাম। আমাদের এখান থেকে আসলে পার্কস্ট্রিট অনেকটা দূরের রাস্তা। ফ্রেশ হয়ে এসে আমরা আমাদের টেবিলে বসি। তার কিছুক্ষণ পরে দেখি আমাদের খাবারগুলো চলে আসে।

20240825_152159.jpg

20240825_155717.jpg

আমি শুধু ভেজ বিরিয়ানি অর্ডার করলেও তার সাথে একটা স্পেশাল দইয়ের তৈরি কোন রেসিপি দিয়েছিল। যদিও তার নাম আমার জানা নেই। আর আমার বন্ধুদেরকে চিকেন আর মটন বিরিয়ানি গুলো দিয়েছিল। সেগুলো তারা খুব সুন্দর করে উপভোগ করে খেয়েছিল। তবে আমি যে ভেজ বিরিয়ানি অর্ডার করেছিলাম আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগেনি। আর সব থেকে বড় বিষয় হলো এখানে খাবারের প্রচন্ড দাম। কলকাতার এই জায়গায় অবস্থিত হওয়ার কারণেই এখানকার বিরিয়ানির প্রাইস একটু বেশি।

20240825_155716.jpg

20240825_155713.jpg

20240825_150339.jpg

এই আরসালানের অন্যান্য যে দোকানগুলো রয়েছে অন্যান্য জায়গায় সেসব জায়গায় কিন্তু প্রাইস একই না। সেসব জায়গায় প্রাইস তুলনামূলক কম। তবে এইখানে অনেকটাই বেশি ছিল। তবে কি আর করার এতদূর থেকে যখন এত কষ্ট করে এখানে স্পেশাল এবং অথেন্টিক খাবার খাওয়ার জন্য এসেছিলাম। তাই একটু বেশি টাকা পে করতেই হয়েছিল। এই খাবারগুলো খেয়ে আমার বন্ধুবান্ধব খুশি হলেও আমি ততটা খুশি হইনি। এখানে খাবার খেতে খেতে আমরা বন্ধু-বান্ধব অনেক গল্প করি। আসলে বন্ধুদের সাথে খেতে খেতে গল্প করতে ভালো লাগে। আমরা অনেকটা সময় এখানে কাটিয়েছিলাম। তারপর আবার খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কলকাতা রাস্তা দিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করে বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে আসি।


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনপার্ক স্ট্রীট, কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

First_Memecoin_From_Steemit_Platform.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বিরিয়ানি তো আমার প্রিয় খাবার আমার ইচ্ছে রয়েছে যে কলকাতায় একবার গিয়ে ওখানকার বিরিয়ানি খেয়ে আসার
কারণ ওখানে নাকি অনেক সুস্বাদু খাবার খাওয়া যায়। আপনার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।