লাইফ স্টাইল || দাদুর জন্য শপিং করতে

in hive-129948 •  6 months ago 

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি।

বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে তোমাদের সাথে লাইফস্টাইল রিলেটেড একটি পোস্ট শেয়ার করবো। আসলে বেশ কিছুদিন আগে আমার এক দাদুর জন্য শপিং করতে গেছিলাম। সেই বিষয় নিয়েই টুকটাক শেয়ার করার চেষ্টা করব এই ব্লগে। আমরা প্রত্যেকেই শপিং করতে অনেক ভালবাসি। আমার মাঝে মাঝেই শপিং করা হয়। আমি নিজের জন্য শপিং করি আবার বাড়ির লোকের জন্যও শপিং করে থাকি। আসলে কাউকে শপিং করে দেওয়ার মধ্যেও একটা আলাদা আনন্দ রয়েছে।

20240715_110409.jpg

20240715_110412.jpg

20240715_110453.jpg

কয়েকদিন আগে বেনারস থেকে আমার এক দাদু এসেছিল আমাদের এখানে ঘুরাঘুরি করার জন্য। আসলে আমার এই দাদুর সাথে খুব বেশি দেখা হয় না আমাদের। অনেকটা দূরে থাকে আর সব সময় আসতেও পারে না। দাদুকে অনেক বলার পর এবার এসেছিল আমাদের এইখানে আর কি। যাইহোক, দুই দিনের শর্ট ট্যুরে এসেছিল এখানে। আমাদের এখান থেকে বেশ খানিকটা দূরে তার মেয়ের বাড়িও রয়েছে। দাদুর প্ল্যান এরকম ছিল আমাদের এখানে ঘুরে মেয়ের বাড়ি হয়ে পুনরায় আবার বেনারস চলে যাবে। সেই জন্য আমাদের বাড়িতে দুদিন থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর যেহেতু দাদু দুইদিনের জন্য এসেছিল তাই আমরা সব দিক দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম দাদুর সেবা-যত্ন করার জন্য এবং এই সময়টাতে দাদু যেন খুব ভালোভাবে সময়টা কাটাতে পারে সেই বিষয়েও খেয়াল রাখেছিলাম।

20240715_110414.jpg

20240715_110420.jpg

20240715_110400.jpg

বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন আসলে তাদেরকে কিছু গিফট দিতে হয়। এই প্রথাটা আমাদের বাড়িতে অনেক আগে থেকেই রয়েছে। আমি ছোটবেলা থেকেই দেখি বাড়িতে কেউ না কেউ আসলে কিছু না কিছু তাদেরকে গিফট দেওয়া হয়। তবে এখন আমরা বড় হয়েছি তাই দায়িত্ব কিছুটা আমাদের উপরে এসেও পড়েছে। যাইহোক, দাদু আসার পর বাড়ি থেকে সিদ্ধান্ত করা হয়। দাদুকে কিছু একটা গিফট দেওয়া হবে। আর এই দায়িত্ব আমার উপরেই দেওয়া হয় সেজন্য দাদু থাকাকালীন সময় দাদুকে নিয়ে যাই আমি অরবিন্দে।

20240715_110402.jpg

20240715_110406.jpg

আসলে দাদুকে গিফট দেওয়ার আগে দাদুর কাছে একটু পরামর্শ নিয়েছিলাম কি দিলে ভালো হয় সেই সম্পর্কে। দাদু নিজে থেকেই বলেছিল একটা প্যান্টের সিট দিলে সে সেটাকে ভালো করে বানিয়ে নিতে পারবে। আর যেহেতু দাদু নিজে থেকেই এই বিষয়টা বলেছিল সেজন্য চলে যাই অরবিন্দে। এখানে সিট কিনে জামা কাপড় ভালো বানায়। আসলে এইখানে যে ফেব্রিক গুলো পাওয়া যায় তা পরেও অনেক আরাম পাওয়া যায়। এই বিষয়টাও আমি দাদুর কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম। আর যেহেতু দাদু ব্যক্তিগতভাবে এই অরবিন্দের কথা উল্লেখ করেছিল। সেজন্য আমি দাদুকে নিয়ে এখানেই যাই।

20240715_110356.jpg

20240715_110358.jpg

আমাদের বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরের একটি জায়গায় এটি অবস্থিত ছিল। আমরা টোটো করেই এখানে গেছিলাম এখানে গিয়ে দাদুকে আমি দাদুর পছন্দমত প্যান্টের সিট কিনে দিই। এই জায়গাটিতে আসলে আমার আগে কখনো আসা হয়নি। এইবারই গেছিলাম দাদুর সাথে সেদিন আমার সাথে বাবাও ছিল। দাদু আর বাবা এই প্যান্টের সিট কাপড়টি চয়েজ করেছিল। আমি শুধু এখানে পেমেন্টটা করেছিলাম। আসলে এই গিফটটা আমার পক্ষ থেকে আমি দাদুকে দিতে চেয়েছিলাম। আর দাদুকে আমার পক্ষ থেকে গিফটটা দিয়ে আমার নিজেরও অনেক আনন্দ লেগেছিল। এইভাবে দাদুর প্যান্টের সিট কেনার মাধ্যমে শপিং করা সম্পন্ন হয়। দাদুকে যদিও আরও কিছু দিতে চেয়েছিলাম তবে দাদু আর নিতে চায়নি। তারপর আবার টোটো করে পুনরায় বাড়িতে চলে আসি।


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনমধ্যমগ্রাম , নর্থ ২৪ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, দাদুর জন্য শপিং করতে যাওয়া নিয়ে শেয়ার করা আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আপনি দাদুর পছন্দ মতো জিনিস কিনেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া এই বয়সে তাদের পছন্দ মতো কিছু কিনে পারলে তারা অনেক খুশি হয়।আপনি বেশ ভালো কেনাকাটা করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, আপনার এই মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।