নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ঠিক আছি। |
---|
বিগত কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড গরম পড়েছে, এই গরমের মধ্যে আসলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। যাইহোক, বেশ কিছুদিন আগে আমি বাঁকুড়া ভ্রমণে গেছিলাম, সেখান থেকে অন্যান্য অনেক জায়গায়ও আমি গেছিলাম। সেই সময়টাতে যে গরম ছিল, সেই কথাগুলো বারবার মনে পড়ে যাচ্ছে এখন। পুনরায় এরকম গরম দেখে সত্যি খুব অস্বস্তি ফিল হচ্ছে। এই গরমের মধ্যে কোন কাজ করারও ইচ্ছা থাকছে না। যাইহোক, আজকের এই ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকে ব্লগে তোমাদের সাথে আমি খাতড়া শহর থেকে মুকুটমণিপুর ভ্রমণের সময় যে বিষয়গুলো ইনজয় করেছিলাম তাই নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো।
ভ্রমণ করতে আমরা সবাই অনেক ভালবাসি। ভ্রমন করলে আসলে নতুন নতুন জায়গা সম্পর্কে জানা যায়। আর নতুন নতুন জায়গা সম্পর্কে জানতে অনেক ভালো লাগে আমার। বেশ কিছুদিন আগে আমি যখন এই খাতড়া শহরে গেছিলাম, এই শহর সম্পূর্ণই আমার কাছে নতুন ছিল। এই শহরের আশেপাশে কোথায় ঘোরাঘুরির জায়গা রয়েছে, সেই সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই ছিল না। সেখানে গিয়েই লোকজনের কাছে শোনার মাধ্যমে এখানকার ঘোরাঘুরির জায়গা সম্পর্কে জানতে পারি। এখানকার ঘোরাঘুরির জায়গা গুলো সম্পর্কে জানার পরে, সেগুলো ভ্রমণের জন্য আমি ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। এখানে ভ্রমণের জন্য সবথেকে ভালো জায়গা ছিল মুকুটমণিপুর।
এখানে আসলে অনেক কিছুই দেখার জায়গা ছিল। যাইহোক, আমরা যেদিন খাতড়া শহরে ছিলাম তার প্রথম দিন সকাল সকাল টোটো রিজার্ভ করে রওনা করি খাতড়া থেকে মুকুটমণিপুরের উদ্দেশ্যে। খাতড়া শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছিল এই মুকুটমণিপুর। এই দূরত্বটুকুর ভেতরে দেখার জন্য খুব সুন্দর সুন্দর জায়গা পেয়েছিলাম আমরা। খাতড়া থেকে মুকুটমণিপুরের রাস্তাটা ছিল খুব সুন্দর আর রাস্তা দিয়ে চলার সময় সুন্দর প্রকৃতি দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। এই দূরত্বের মধ্যে সেরকম দোকানপাট বা অন্যান্য তেমন কিছু ছিল না। তবে চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতটাই ভালো লাগছিল যে, বারবার টোটো দাঁড় করিয়ে আমরা রাস্তার সাইডের প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো উপভোগ করছিলাম।
এই রাস্তার সাইডে ছিল শত শত বিঘা ফসলের জমি। সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ করা ছিল। কিছু জমি নরমাল ভাবেও পড়ে ছিল অর্থাৎ সেখানে কোনো ফসলের চাষ ছিল না। আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের পাহাড়ি গাছপালা দেখতে পেয়েছিলাম আমরা। এই জায়গাটা পাহাড়ি ধরনের ছিল আর কি, সেজন্যই এগুলো দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। তাছাড়া চলার পথে অনেক দূর আমি ছোট ছোট পাহাড়ও দেখতে পেয়েছিলাম। এটা সবথেকে বেশি আমাকে আনন্দ দিয়েছিল। এখানে গিয়ে যে পাহাড় দেখতে পাবো, সেটা আমি আগে থেকে জানতাম না যদিও। তাই পাহাড় দেখার বিষয়টা আমাকে সব থেকে বেশি সারপ্রাইজ করেছিল। এখানে আরেকটা বিষয় আমার খুবই ভালো লেগেছিল, সেটা হচ্ছে এখানকার লাল মাটি। এরকম লাল মাটি কিন্তু আমাদের এখানে দেখা যায় না। ওইখানের লাল মাটিতে বেশ ভালোই ফসলের ফলন হয়।
যাইহোক, এগুলো দেখতে দেখতে আমরা এগিয়ে চলছিলাম মুকুটমণিপুরের পথে। আর এই সময় আরো একটা জিনিস দেখেছিলাম সেটা হলো এখানকার বাড়িঘর গুলো। এখানে বাড়িঘর গুলো আমাদের এখানকার তুলনায় একটু আলাদা ছিল। যেহেতু ওখানে প্রচন্ড গরম পড়ে তাই ওদের বাড়ি তৈরি করার ধরন ছিল আলাদা। কিছু কিছু জায়গায় ছনের ঘর দেখতে পেয়েছিলাম। তাছাড়া টিনের ঘরও ছিল, তবে সেটা একটু অন্যরকমের ছিল যা আমাদের এখানকার টিনের ঘরের থেকে অনেকটা আলাদা ছিল। ওভারঅল এরকম ভাবে সব কিছু দেখতে দেখতে আমাদের যাত্রা অব্যাহত থাকে। আমাদের যে টোটো ওয়ালা ছিল আমরা তাকে বারবার দাঁড় করিয়ে এসব কিছু ভালো করে ইনজয় করছিলাম। এইজন্য আমাদের সময়ও বেশি লেগে যাচ্ছিল সেখানে পৌঁছাতে।
চলবে...
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ট্রাভেল |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | খাতড়া, বাঁকুড়া, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@tipu curate
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted 👌 (Mana: 4/5) Get profit votes with @tipU :)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব সুন্দর একটি ট্রাভেল পোস্ট করেছেন ভাইয়া। খাতরা থেকে মুকুটমনিপুরে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন এবং অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যেসব ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে সত্যিই অসাধারণ লেগেছে। আসলে নতুন নতুন জিনিস দেখতে বা নতুন কোন জায়গা সম্পর্কে জানতে আমার অনেক ভালো লাগে। মুকুট মণিপুরে যেয়ে আপনি অনেক পাহাড় দেখেছেন ও লাল মাটি দেখেছেন এবং সেগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে এমন ট্রাভেল পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার এই ট্রাভেল পোস্টটি যে আপনার কাছে খুব সুন্দর লেগেছে, সেটা জেনে অনেক খুশি হলাম আপু। যাইহোক, আপনার এই সুন্দর মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ট্রাভেল পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা ঘরে বসে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জায়গার ছবি দেখতে পাই। দূর থেকে হলেও সেই জায়গাগুলা দেখার সৌভাগ্য হয় ট্রাভেল পোস্টের মাধ্যমে। এখন আর খড়ের তৈরি চালের ঘর দেখা যায় না। মাটির তৈরি ঘরগুলো গরমের জন্য খুবই উপযোগী। সময়ের ব্যবধানে ঘর গুলো বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাই, ঠিক কথা বলেছেন, এখন আর খড়ের তৈরি চালের ঘর দেখা যায় না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বি ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভ্রমণ করতে ভালোবাসে না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। আর সব সময় ভ্রমণের মাধ্যমে আমরা সকলে নতুন নতুন কিছু দেখতে পাচ্ছি৷ আজকে আপনিও খুবই সুন্দর একটি ভ্রমণ এর পোস্ট শেয়ার করেছেন৷ এখানে পথে পথে অনেক কিছুই দেখতে পাচ্ছি৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব ভালো লাগল পড়ে। মুকুটমণিপুর আমিও গিয়েছি তবে বেশ কিছু বছর আগে৷ ছবিগুলো অসাধারণ তুলেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit