ট্রাভেল || কলকাতায় গিয়ে ঘোরাঘুরি [পর্ব -০২]

in hive-129948 •  last month 

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি।

বন্ধুরা, আজকে নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে ভ্রমণ বিষয়ক একটি পোস্ট আমি শেয়ার করবো । আমি কয়েকদিন আগেই কলকাতা ভ্রমণ নিয়ে একটি পোস্ট তোমাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। সেটি ছিল কলকাতা ভ্রমণের প্রথম পর্ব। আজ দ্বিতীয় পর্বে বন্ধুদের সাথে কলকাতা ঘোরাঘুরি নিয়ে আরও কিছু কথা আসলে শেয়ার করবো।

প্রথম পর্বের লিংক

20240825_144725.jpg

20240825_144731.jpg

গত পর্বে তোমাদের জানিয়েছিলাম কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের রাস্তা দিয়ে আমরা ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম এবং কোথাও খেতে যাব এরকমটা প্লান করেছিলাম। যাইহোক, অবশেষে আমাকে প্লান নিয়ে একটু কনফিউশন চলে আসে। আমরা কেউ বলি ডমিনোজে খেতে যাবো আবার কেউ বলি কেএফসি খেতে যাব। আবার অনেকে বলে আরসালানে বিরিয়ানি খেতে যাবে। আসলে আমরা বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব একসঙ্গে ছিলাম এইজন্য সবার মতামত ভিন্ন হচ্ছিলো। এই কলকাতা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমাদের মধ্যে যখন এসব নিয়ে একটু আলোচনা হচ্ছিলো আমরা তো হাসতে হাসতে পড়ে যাচ্ছিলাম। আমরা আসলে কোন সিদ্ধান্ততেই উপনীত হতে পারছিলাম না কোথায় খাবো, তাই নিয়েই মজা করছিলাম আর কি।

20240825_145116.jpg

20240825_145120.jpg

আমাদের সাথে যে বান্ধবী ছিল সে অবশেষে আমাদেরকে কফি খাওয়ার জন্য বলে। তবে শুধু কফি খেলে তো আর হবে না। আমাদের বেশ খিদেই লেগে গেছিল আমরা যে সময়টাতে কলকাতার ওখানে গেছিলাম সেই সময়টাতে। তাই আমরা রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে একটা জায়গাতে কফি খেয়ে নিয়ে আবার আলোচনায় বসি। তারপর ভারী কিছু খাবার খাবো এরকমটা ভাবতে থাকি।কলকাতার রাস্তায় এগ রোল বা অন্যান্য অনেক কিছুরই দোকান রয়েছে। তবে আমরা যে দুপুরের সময়টাতে গেছিলাম সেই সময়টাতে সাধারণত পাওয়া যায় না। এগুলো সন্ধ্যের সময় পাওয়া যায়। যদিও আমাকে এগুলো খাওয়ার ইচ্ছে হয়েছিল।

20240825_144750.jpg

20240825_144743.jpg

তবে আমরা সেইগুলো খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। যাইহোক, এভাবে আমরা কলকাতার রাস্তার অনেকটা পথ আলোচনা করতে করতেই কাটিয়ে দেই। তবে এই বন্ধুদের সাথে হাঁটাহাঁটির সময় অনেকটাই মজা হচ্ছিলো। আমি যতদূর মনে করতে পারছি আমাদের হাঁটাহাঁটি করতে যে মজা হচ্ছিল আমরা খেয়েও ততটা মজা করতে পারিনি। আসলে বন্ধুদের সাথে একসাথে ঘুরে যে মজাটা সেটা সব সময় পাওয়া যায় না। আর অনেকদিন পরেই সেই সুযোগটা আমাদের হয়েছিল। আমরা তো লাইন ধরে ধরে কলকাতার রাস্তা দিয়েও হেঁটে যাই। এই সময় আমরা কলকাতার কিছু ভিডিওগ্রাফি ফটোগ্রাফি করে রাখি। যদিও আমার ফোন মেমোরি কম থাকার জন্য আমি খুব বেশি ফটোগ্রাফি ও ফটোগ্রাফি করার সুযোগ পাইনি।

20240825_144752.jpg

20240825_145107.jpg

তবে আমি আমার এক বন্ধুর ফোন দিয়ে সেগুলো করেছিলাম। আসলে তোমরা সবাই জানো যে ভিডিওগ্রাফি করতে অনেক মেমোরির প্রয়োজন পড়ে। তাই আমার ফোন দিয়ে ভিডিওগ্রাফি আর এই করিনি আমার ফোন দিয়ে যে ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম। সেইগুলোই এই ভ্রমনমূলক পোস্টে আমি তোমাদের সাথে শেয়ার করছি। যদি ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করার সুযোগ আছে তাহলে হয়তো অনেক বেশি কিছু দেখার সুযোগ পাওয়া যেত। যেগুলো আমি চোখে দেখেছি সেগুলো তোমরা ভিডিওগ্রাফিতে দেখতে পারতে। তবে চলতে চলতে আমি কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। সেগুলো তোমরা টুকটাক দেখতে পাচ্ছো এই ধারাবাহিক পোস্টের মাধ্যমে। এভাবে বন্ধুদের সাথে মজা করতে করতে প্রায় দুই কিলোমিটারের মতো আমাদের হাঁটা হয়ে যায়। তবে আমরা লোকের কাছ থেকে শুনে শুনে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছিলাম। আসলে আমরা ভালো রেস্টুরেন্ট খুঁজছিলাম। সেইক্ষেত্রে লোকে সাহায্য একটু নিতেই হচ্ছিলো। এই রাস্তায় আমরা আগে ঘুরতে আসলেও খেতে এসেছি সেরকম ব্যাপার ছিল না।

20240825_145110.jpg

20240825_145112.jpg

আমরা পার্ক স্ট্রিটে কলকাতা শহর ঘুরে দেখার জন্য এসেছি। তবে এখানকার খাবারের দোকানগুলো আমাদের খুব বেশি চেনা ছিল না। অবশেষে যখন সবার প্রচন্ড খিদে পেয়ে যায়। আমাদের সিদ্ধান্ত হয়ে যে আমরা বিরিয়ানি খেতে যাব। আসলে দুপুরের সময়টাতে বিরিয়ানি কমবেশি সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। আর কলকাতায় ফেমাস আরসালান বিরিয়ানির জন্য। তাই আমরা আরসালান বিরিয়ানিতে খেতে যাব সবাই একদম সবশেষে এসে এই সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছাই।

চলবে...

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীট্রাভেল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনকলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইলো।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

Add a little bit of body text_20240911_022744_0000.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

পথে পথে বন্ধুদের ঘোরাঘুরি শহরটা খুব কাছে থেকে দেখা। এবং চমৎকার কিছু অনূভুতির স্বাক্ষী। চমৎকার ছিল আপনার পোস্ট টা ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ করেছেন আপনি। বেশ ভালো লাগল আপনার কলকাতা ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্বের পোস্ট টা দেখে।

আমার শেয়ার করা এই পোস্টটি যে আপনার কাছে চমৎকার লেগেছে, সেটা জেনে অনেক খুশি হলাম ভাই আমি। আপনার এই মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।