ক্রিয়েটিভ রাইটিং || রোমাঞ্চকর গল্প: নিষিদ্ধ দ্বীপের রহস্য (পর্ব-০২)

in hive-129948 •  3 months ago 

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভালো আছো। আমিও ভালো আছি। আজকের এই ব্লগে তোমাদের সাথে একটি রোমাঞ্চকর গল্প শেয়ার করবো । গল্পটির নাম "নিষিদ্ধ দ্বীপের রহস্য"। গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব নিচে দেখে নেওয়া যাক।

hawaii-196432_1280.jpg

ইমেজ সোর্স

প্রথম পর্বের লিংক

এই দ্বীপে প্রথম দিন গিয়ে প্রত্যেকেরই অনেক অসুবিধা হচ্ছিল। কারণ সবকিছু প্রথম দিনেই গুছিয়ে নেওয়া অনেকটা চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। তারপরও যেহেতু বেশ কিছু লোক একসাথে ছিল। এইজন্যে তারা একে অন্যের সাহায্যে এই কাজগুলো ভালো করে গুছিয়ে নিচ্ছিল। যেহেতু অনেকদিন জার্নি করে এখানে পৌঁছেছিল তাই তারাও ক্লান্ত ছিল। তাই তাদের থাকার ব্যবস্থার মত জায়গা এই দ্বীপে করে নিলে তারা সবাই একটু ঘুমিয়ে পড়ে। এর আগেও বলেছি যেহেতু তাদের থাকার জায়গাটা তারা অনেক মজবুত করে তৈরি করেছিল। বাইরের কোন প্রাণী বা অন্য কোন কিছুর হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য তাই তারা অনেকটা নিরাপদেই ঘুমোতে পারে।

এইখানে পৌঁছানোর পর তাদের এরকম রুলস তৈরি করা ছিল। সূর্যের আলো নিভে গেলে তাদের কোন অবস্থাই তাদের থাকার জায়গা থেকে বের হওয়া যাবে না। কারণ এরকম অজানা জায়গায় যে কোন মুহূর্তেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটে যেতে পারে এটাও তারা জানতো। যাইহোক, তারা যখন ঘুমিয়ে পড়ে হঠাৎ সন্ধ্যার দিকে বিভিন্ন রকমের ডাক শুনতে পায়। এটা কোন পশুর ডাকি হবে তবে পরিচিত কোন পশুর ডাক বলে তখন তাদের মনে হয় নি। অজানা দ্বীপ অজানা কোন প্রাণী থাকতেই পারে। এইভেবে তারা এই বিষয়ে আর কোনো ভাবনা চিন্তা করে না। সন্ধ্যায় সবাই একসাথে বসে পরের দিনের প্ল্যান প্রস্তুত করে। কি করে এই দ্বীপের রহস্যকে সবার সামনে আনা যাবে এবং দ্বীপের কোথায় কি রয়েছে সেই সম্পর্কে জানবে। তাছাড়া কোন মূল্যবান বস্তুর সন্ধান এই দিক থেকে পাওয়া যায় কিনা এই নিয়েও তাদের প্ল্যান প্রস্তুত হয়ে যায়।

সেদিন রাতে তারা যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন আশেপাশে কোন কিছু ঘোরাঘুরি করছে এইগুলো তারা অনুধাবন করে। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বড় বড় পায়ের ছাপ পাওয়া যায়। যেটা দ্বীপে যখন প্রথম প্রবেশ করেছিল। ঠিক ওই পায়ের চিহ্নই তারা দেখেছিল। এই বিষয়টা তাদের ভাবনার মধ্যে ফেলে দেয়। যেহেতু তারা এখানে পুরো সেফটি মেইনটেইন করে এসেছিল। আর তাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ছিল। প্রতিকূল পরিবেশে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। আর প্রথম দিন গবেষণা করার জন্য তারা একসাথে এই দ্বীপের ভেতরের অংশে প্রবেশ করে। এই দ্বীপটি ছিল সবুজে ঘেরা তারা একটা জিনিস দেখে অবাক হয়। এইদিকে যে সবুজ জঙ্গল রয়েছে সেখানেও রাস্তা রয়েছে। অর্থাৎ এই রাস্তা দিয়ে কোন কিছু চলাচল নিয়মিত হয় সেটা দ্বারা বুঝতে পারে। তারা একদিকে মনে মনে খুশি হয় নতুন কোন কিছু হয়তো এখান থেকে তারা খুঁজে পাবে।

আবার একদিক থেকে ভয়ও পাচ্ছে, কি না কি অপেক্ষা করছে তাদের জন্য এই ভেবে। তবে মনের সাহসের যেহেতু এখানে এসেছে তাই পিছিয়ে যাওয়ার কোন মন মানসিকতা তাদের মধ্যে ছিল না। তারা এগিয়ে চলে একদম ভেতরের দিকে। তারা যখন তাদের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যায় তারা এই দ্বীপে বিভিন্ন রকমের পাখি এবং প্রজাপতি দেখতে পায়। যেগুলো অন্যান্য জায়গায় তারা আগে কখনোই দেখিনি। হঠাৎ হঠাৎ করে রং পরিবর্তন করে ফেলা পাখি এবং প্রজাপতি তাদেরকে মুগ্ধ করে তোলে। তাছাড়া এমন অনেক গাছ দেখতে পায় যা তার আগে কখনোই দেখেনি। এইভাবে তারা অনেক দূরে এগিয়ে যাওয়ার পরে একটা গ্রামের মতো জায়গা দেখতে পায়। যেখানে গোল গোল করে ঘর তৈরি করা রয়েছে। যেমনটা তারা পূর্বেই খুঁজে পেয়েছিল এই দ্বীপে এসে। তবে তারা আগে যেগুলো দেখেছিল সেগুলো পুরাতন ছিল আর এখানে যেগুলো তৈরি করা সেগুলো নতুন।

চলবে..


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীক্রিয়েটিভ রাইটিং (রোমাঞ্চকর গল্প)
লোকেশনবারাসাত , ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আমার আজকে শেয়ার করা এই রোমাঞ্চকর গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!