লাইফ স্টাইল || খাওয়া-দাওয়ার উদ্দেশ্যে কে এফ সি -তে যাওয়া।

in hive-129948 •  9 months ago  (edited)

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমি মোটামুটি ঠিক আছি।

বাইরে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে এখন তোমাদের সাথে খুব বেশি ব্লগ শেয়ার করা হয় না। সত্যি কথা বলতে, এখন আর আগের মতো বাইরে গিয়ে খাওয়া হয় না আমার, সেই জন্যই শেয়ার করা হয় না। অনেক আগে প্রচুর পরিমাণে বাইরে খাওয়ার জন্য যাওয়া হতো। তবে ইদানিং বিষয়টা একটু কমে গেছে। যদিও মাঝে মাঝে বাইরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে বেশ ভালই লাগে। যাইহোক, কয়েকদিন আগে তিন বন্ধু মিলে গেছিলাম একটু বাইরে খাওয়া-দাওয়া করার জন্য। যদিও বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে আমরা ঠিক করে যাইনি কোথায় গিয়ে খাবো সেই বিষয়টা। মূলত আমাদের অন্য আরেকটি কাজ ছিল, সেই কাজের জন্যই দুপুরে তিনজন বের হয়েছিলাম। যাইহোক, আমাদের কাজ শেষে যখন খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপার নিয়ে কথা হয় তখন আমরা ডিসাইড করি, আমাদের এখানকার সব থেকে বড় মলের উপরে যে ফুড কোর্ট রয়েছে সেখানে খেতে যাবো

20240503_125746.jpg

20240503_125756.jpg

সেখানে আসলে বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকানের স্টল রয়েছে। যাইহোক, কয়েকদিন আগে গরমও ছিল বেশ তাই তাড়াতাড়ি আমরা সেখানে গিয়ে এসির মধ্যে শান্তিতে বসি প্রথমে। তারপর নিজেদের জন্য খাবার ডিসাইড করতে থাকি। কিছু সময় পরে আমরা সবাই মিলে এটা সিদ্ধান্ত নি যে, কেএফসি থেকে আমরা নিজেদের পছন্দের খাবারগুলো খাব। আমরা তিন বন্ধু তিনজনের জন্য আলাদা আলাদা ভেরিয়েশনের খাবার অর্ডার করেছিলাম। আমার জন্য আমি অর্ডার করেছিলাম ভেজ বার্গার। আমার এক বন্ধু, সে তার জন্য অর্ডার করেছিল চিকেন বার্গার এবং আরেকজন বন্ধু তার জন্য অর্ডার করেছিল ফ্রাইড চিকেন ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। তাছাড়া খাবার গুলোর সাথে খাওয়ার জন্য কোলড্রিংসও অর্ডার করেছিলাম আমার।

20240503_130016.jpg

20240503_125856.jpg

20240503_125859.jpg

যাইহোক, আমরা দুপুরের একটু পরে এখানে গেছিলাম। এই জন্য অর্ডার করতেও খুব বেশি সময় লাগেনি। অন্যদিন যখন সন্ধ্যায় যাই, অর্ডার করতেই অনেকটা সময় লেগে যায়। কারণ কেএফসির ওইখানে বেশ অর্ডারের চাপ থাকে। যাইহোক, অর্ডার করার পরে আমাদেরকে ৭ মিনিট পর খাবার গুলো দেবে, এমনটাই বলে ওরা। সেজন্য আমরা অপেক্ষা করতে থাকি। সাত মিনিট অপেক্ষা করার পর আমরা যখন খোঁজ নিতে যাই খাবার হয়েছে কিনা, তখন তারা বলে আরও কিছুটা সময় লাগবে। সেইসময় আমরা তিন বন্ধু মিলে একসাথে বসে গল্প করতে থাকি। যেহেতু খাবার দিতে একটু লেট হচ্ছিল, সেই জন্য আমরা একটু ফ্রেশও হয়ে আসি সেখানে যে ফ্রেশ হওয়ার জায়গা ছিল সেই জায়গা থেকে। এইভাবে মোটামুটি ২০ মিনিট পার হয়ে যাওয়ার পর আমাদের খাবারগুলো আমাদের গিয়ে নিয়ে আসতে হয়।

20240503_124253.jpg

20240503_124057.jpg

খাবারের কোয়ালিটি নিয়ে বলতে গেলে, বার্গার গুলো বেশ ভালই ছিল। তবে ফ্রায়েড চিকেনে একটু লবণ বেশি ছিল। আমরা যদিও এই বিষয়টা নিয়ে কমপ্লেইন করেছিলাম। কারণ এইরকম একটা নামিদামি ব্রান্ড, তারা যদি খাবারে কোয়ালিটি মেইনটেইন না করে তাহলে সেটা একটা বড় সমস্যা। যাইহোক, কমপ্লেইন করাতে কোন লাভ হয়েছিল বলে মনে হয় না। কারণ তারা সেটা জাস্ট শুনেছিল আর এর প্রেক্ষিতে যে কোন একশন নেওয়ার প্রয়োজন আছে, সেটা তাদের অ্যাক্টিভিটিতে দেখতে পাইনি। সেদিন আমাদের খাবারের বিল ১০০০ টাকারও উপরে চলে গেছিল। কে এফ সি -তে খাবারের অ্যাকচুয়ালি অনেক দাম। যেহেতু অনেকটা ব্যয়বহুল এখানে খাওয়া, সেই জন্য এই জায়গাতে আমার খুব বেশি খাওয়া হয়না। মাঝে মাঝেই আসা হয় এখানে, আর যে বার আসা হয় অনেক টাকাই পকেট থেকে বেরিয়ে যায়। যাইহোক, তিন বন্ধু মিলে শেয়ারে খেয়েছিলাম, এইজন্য খুব একটা চাপের হয়নি টাকার বিষয়টা।

20240503_124051.jpg

20240503_124028.jpg

সব থেকে বড় বিষয় হলো, আমরা তিন বন্ধু এখানে অনেকটা সময় কাটিয়ে গল্প করেছিলাম। এই বিষয়টা আমাদের বেশ ভাল লেগেছিল। এখন পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, কাছের বন্ধুদের সাথে সবসময় দেখাও হয় না, কথাও হয় না। মাঝে মাঝেই দেখা হয়, কথা হয় তাদের সাথে। কাছের বন্ধুদের সাথে রকম একসাথে খেতে খেতে আড্ডা দিতে বেশ ভালই লাগে। যাইহোক, দুপুরের পরের সময়টাতে এই জায়গাটাতে লোকেরও চাপ ছিল না। তাই আমরা অনেক সময় রিলাক্সেই থাকতে পেরেছিলাম। আমাদের এখান থেকে যেতেও ইচ্ছে করছিল না কারণ সেদিন বাইরে বেশ গরম ছিল। আমাদের তিন জনেরই তখন মনে হচ্ছিল, এখানে বসে আরও কিছুটা সময় গল্প করি। তবে সেটা ভাবলে তো হয় না, আমরা কিছু সময় পর বেরিয়ে যায় সেই জায়গা দিয়ে । মোটামুটি আমরা এখানে ৪৫ মিনিটের মতো সময় একসাথে ছিলাম এবং আড্ডা দিয়েছিলাম, তারপর নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি সবাই।


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনমধ্যমগ্রাম , ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, কে এফ সি -তে খাওয়া-দাওয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়া নিয়ে শেয়ার করা আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আমরাও মাঝে মাঝেই এরকম বন্ধুরা মিলে বেরিয়ে পড়ি সবাই একসাথে গল্প করা আড্ডা দেওয়ার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টা বেশ উপভোগ করি। বন্ধুদের সাথে খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি সুন্দর সময় কাটানোর মুহূর্ত টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।

আমরাও মাঝে মাঝেই এরকম বন্ধুরা মিলে বেরিয়ে পড়ি সবাই একসাথে গল্প করা আড্ডা দেওয়ার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টা বেশ উপভোগ করি।

আমরা সকলেই ভাই এই বিষয়টা অনেক উপভোগ করি।

তিন বন্ধু মিলে মাত্র ১০০০ টাকায় খেয়ে নিলেন? তাতো আমার মনে হয় বেশ কম। তবে কি দাদা জানেন আমি আবার কালে ভদ্রে এমন হাই ডিলিসিয়াস খাবার খাই। খুব যে খাওয়া হয় তা নয়। তবে যতটুকু জানি এ এফসি সত্যি কারের অর্থে গলা কাটে। তবে আপনার আইডিয়াটি কিন্তু আমার কাছে দারুন লেগেছে। তিন জনে আলাদা আলাদা খাবার।

তিন বন্ধু মিলে মাত্র ১০০০ টাকায় খেয়ে নিলেন? তাতো আমার মনে হয় বেশ কম।

বেশি কিছু খাইনি আপু, তাও এই টাকা বিল এসেছিল। এই টাকা হলে বাইরে থেকে অনেক বেশি খাবার পাওয়া যেত।

তিন বন্ধু কেএফসিতে খেতে গেলেন ঠিকই কিন্তুু তিন বন্ধুর মাঝে মনের মিল নেই। একজন খেলেন ভেজ বার্গার, একজন চিকেন বার্গার এবং আরেকজন বন্ধু খেলেন ফ্রাইড চিকেন ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। যায়হোক বন্ধুর সময় বন্ধু খাওয়ার সময় কোন ডিস্কাউন্ট নেই,হে হে হে। ধন্যবাদ।

যায়হোক বন্ধুর সময় বন্ধু খাওয়ার সময় কোন ডিস্কাউন্ট নেই,হে হে হে।

হাহাহা.. 🤣🤣🤣এটা বেশ দারুণ বলেছেন ভাই।

তিন বন্ধু মিলে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সেই সাথে মজার মজার খাবার ও খেলেন। বন্ধুদের সাথে গেলে বিভিন্ন ভেরিয়েশনের খাবার অর্ডার করা যায় আর টেস্টও করা যায় সবগুলো। অপরদিকে পকেট খরচও কম হয়। অর্থাৎ সব দিকেই সুবিধা। কে এফ সির বার্গার আর ফ্রাইড চিকেন আমার বেশ পছন্দ। সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ আপু, আমরা তিন বন্ধু মিলে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম এই কে এফ সি - তে খাওয়া দাওয়া করতে গিয়ে।

বন্ধুদের সাথে গেলে বিভিন্ন ভেরিয়েশনের খাবার অর্ডার করা যায় আর টেস্টও করা যায় সবগুলো। অপরদিকে পকেট খরচও কম হয়।

এটা কিন্তু একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু আপনি।

তিন বন্ধু মিলে খাওয়া-দাওয়া করেছেন দেখে ভালো লাগলো। তারমধ্যে সবাই নিজেদের পছন্দের খাবার অর্ডার করেছেন দেখছি। আসলে পছন্দের খাবার অর্ডার করলে খেতেও ভালো লাগে। আসলে যেখানে অতিরিক্ত দাম সেখানে সবসময় না খাওয়াটাই বেটার। তবে আপনারা দেখছি তিনজন মিলে দামটা শেয়ার করে নিয়েছেন। শেয়ার করলে সবকিছুই সম্ভব। আপনাদের এত সুন্দর খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত দেখে ভালো লাগলো।

আসলে যেখানে অতিরিক্ত দাম সেখানে সবসময় না খাওয়াটাই বেটার।

হ্যাঁ আপু, ঠিক বলেছেন। এই জন্যই তো আমি সব সময় কে এফ সি থেকে খাই না। তবে মাঝে মাঝে এই জায়গা থেকে খাওয়া হয় আর কি।

তিন বন্ধু মিলে কেএফসিতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছেন এই মুহূর্তটা পড়তে পেরে ভালো লাগলো। আর এটা ঠিক বলেছেন কেএফসি ব্র্যান্ডের খাবার গুলোর দাম বেশি। এখানে সব সময় গেলে পকেটের টাকা আর বাঁচবে না। তবে শেয়ারে খেয়েছেন হিসেবে ভালোই হয়েছে, টাকার চাপটা কম গেল। অন্যদিকে খাবার গুলো দেখিয়ে তো লোভ লাগিয়ে দিলেন। এবার আমাদের খাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করেন,হিহিহি।

খাবারের লোভ যখন লাগিয়ে দিয়েছি, তাহলে আপু আপনারা কলকাতাতে ঘুরতে আসেন, আপনাদেরও খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেব। হিহি.. 🤣

সেই কপাল হলে নিশ্চয়ই যাব।তখন খাওয়াতে হবে।

ঠিক আছে আপু, অবশ্যই খাওয়াবো।