ট্রাভেল || উদ্দেশ্য মায়াপুর ভ্রমণ (পর্ব -০৫)

in hive-129948 •  last year 

বন্ধুরা,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে মায়াপুর ভ্রমণের উদ্দেশ্য যাওয়া নিয়ে পঞ্চম পর্বে কিছু কথা শেয়ার করব।

চতুর্থ পর্বের লিঙ্ক

20230308_153151.jpg

20230308_153337.jpg

20230308_154048.jpg

টোটো করে সেই বড় মন্দিররের কাছে যেতে আমাদের এক একজনের কাছ থেকে দশ টাকা করে নিয়েছিল । সেখানে পৌঁছানোর অনেক আগে, টোটো থেকেই বড় মন্দিরটি দেখা যাচ্ছিল অনেকটা দূর থেকে। যে মন্দিরকে এতদিন ইউটিউবে, ফেসবুকে দেখে এসেছি সেটাকে সামনে থেকে দেখার আনন্দটাই অন্যরকম ছিল । আমরা টোটো করে মন্দিরের একদম গেটের সামনেই নেমেছিলাম। সেখানে নামার পর মন্দিরের ভিতরে যাওয়ার জন্য আর ধৈর্য ধরে থাকতে পারছিলাম না। তবে নামার পর কিছুটা ধৈর্য ধরে থাকতে হয়েছিল কারন আমার সাথে থাকা বান্ধবী এবং বান্ধবীর দিদিকে গেটের সামনে থেকে অনেকগুলো ফটো তুলে দিতে হয়েছিল। মন্দিরের ভিতরের প্রাঙ্গণটা অনেক সুন্দর ছিল। চারদিকে ফুলের বাগান করা ছিল, বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ দিয়ে।

20230308_154051.jpg

20230308_154057.jpg

20230308_154102.jpg

চারপাশের পরিবেশ টা অনেক সুন্দর করে সাজানো ছিল আর কি। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসে। বিদেশীরাও এখানে বেশ সংখ্যায় আসে। এর ভিতরে যে একটাই মন্দির ছিল সেরকম কোন ব্যাপার ছিল না, কয়েকটি মন্দির ছিল এবং যাদের বিভিন্ন ধরনের নাম ছিল। প্রধান গেট দিয়ে ঢোকার পর কয়েকটি রাস্তা ছিল ওই মন্দিরগুলোতে যাওয়ার জন্য। এখানে কয়েকটি সুন্দর পুকুরও ছিল যা দেখতে বেশ ভালো লাগছিল । এই মন্দিরটির মধ্যে বহু সংখ্যক নারকেল গাছের দেখা পেয়েছিলাম। অনেক উঁচু উঁচু ছিল এই নারকেল গাছগুলো। এখানে যাওয়ার পর আমরা অনেকটা টায়ার্ড হয়ে গেছিলাম। সেই জন্য সবাই মিলে আমরা পুকুরপাড়ের একটি জায়গায় গিয়ে রেস্ট করতে বসে যাই।

20230308_154117.jpg

20230308_154443.jpg

20230308_154446.jpg

20230308_154459.jpg

পুকুর পাড়ে বসে আমরা চারপাশের মন্দির গুলো দেখছিলাম প্রথমে। পুকুর পাড়ে বসে রেস্ট কিছু সময় হয়ে যাওয়ার পর আমি এইখানে থেকে অনেক ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। চারপাশে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ ছিল। আমি সেগুলোরও ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তবে সেই ফুলগুলোর ফটোগ্রাফি আমি অনেক আগেই শেয়ার করেছি, সেই জন্য আর আজকের ব্লগে সেগুলো শেয়ার করলাম না। পুকুর পাড়ে কিছু সময় রেস্ট করার পর আমরা সিদ্ধান্ত নি বড় মন্দিরটির ভিতরে যাব। এই মন্দিরে প্রবেশের পূর্বে আমরা অনেক জায়গায় ঘুরেছিলাম । সেই সম্পর্কে তোমাদের পূর্বের ব্লগ গুলোতে জানিয়েছি। সেই জন্য এই মন্দিরে যখন আমরা পৌঁছেছিলাম অনেকটা দেরি হয়ে গেছিল। তাছাড়া আমাদের মেইন উদ্দেশ্য এই বড় মন্দিরটির মধ্যে যাওয়াই ছিল। যাইহোক, কিছু সময়ের মধ্যেই আমরা পুকুরপাড় দিয়ে উঠে সরাসরি বড় মন্দিরটির গেটের কাছে চলে যায়।



ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: মায়াপুর, ওয়েস্ট বেঙ্গল।



বন্ধুরা , মায়াপুর ভ্রমনের উদ্দেশ্যে যাওয়া নিয়ে শেয়ার করা আজকের পঞ্চম পর্বের ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

মায়াপুর ভ্রমণের পঞ্চম পর্বে এসে আমরা বড়ো মন্দিরটি দেখতে পেলাম তাহলে। আসলেই ফেসবুক, ইউটিউবে দেখা সুন্দর জায়গাটা চোখের সামনে সরাসরি দেখে খুশী হওয়ারই কথা। ফোটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। সব মিলিয়ে দারুন একটি উপস্থাপনা ছিল এটি ।

মায়াপুরের বড় মন্দিরটি দেখার পূর্বে অনেক অন্য মন্দিরে গেছিলাম, এই জন্যই "মায়াপুর ভ্রমণের পঞ্চম পর্বে" এসে আপনারা বড়ো মন্দিরটি দেখতে পেলেন দিদি। ধন্যবাদ দিদি এই পর্বে শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর প্রশংসা করার জন্য।